নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশা পড়ান,অবসর যাপন লেখা-লিখি।বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর

আয়ুধ

পেশা পড়ানো।অবসর যাপন লেখা-লিখি, বর্ধ্মান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর

আয়ুধ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরা হাতির দাম.......

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৯

ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্ম নামক সুড়সুড়িটি নিয়ে বেশ ভালই কাতুকুতু দেওয়া- দিয়ি চলছে।মহারাষ্ট্রে পাকিস্থানী গজল গায়ক গুলাম আলির কনসার্ট শিবসেনা-বিজেপির আন্দোলনে বাতিল করতে হয়।ওদিকে প্রতিবেশী বাংলাদেশে চলছে হানাহানি।যেন কুস্তির আখড়া হয়ে উঠছে।ধর্মরক্ষক বীর পঙ্গুবদের-এ লড়ায়ে হাত তালি যারা দিচ্ছে গ্যালারিতে বসে তা আমাদের কারোর-ই চোখে পড়ছে না।
অসভ্য বর্বর পৃথিবীতে ধর্ম একদিন সভ্যতার আলোক এনেছিল কিন্তু যুগের অবিরাম প্রবাহে আজ সে তার প্র‌য়োজন ফুরিয়েছে।প্রয়োজন ফুরালেই অস্তিত্ব লোপ পেয়ে যায় না।তার জন্য সংগ্রাম দরকার।সে সংগ্রাম কষ্টসাধ্য।নাস্তিকতার নামে যা চলছে তাকেও যুগপোযগী বলা যায় না।ফলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত।
ধর্মবিদ্বেষ আর নাস্তিকতা এক জিনিস নয়।নাস্তিকতা একটি দর্শন,বস্তুবাদের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে।যেখানে ঈশ্বর-আল্লার কোন অস্তিত্বই নেই।যা বিজ্ঞান এবং যুক্তির কষ্টি পাথরে সব কিছুকে যাচাই করে।আর ধর্মবিদ্বেষ কোন বিজ্ঞান এবং যুক্তির তোয়াক্কা না করে ধর্মগোঁড়াদের মত ধর্মের বিরুদ্ধতা করে।যা ব-কলমে ঈশ্বরের অস্তিত্বকে স্বীকার করে নেয় এবং ধর্ম হানাদারদের-ই সাহায্য করে।
ধর্ম এক অতি প্রাচীন প্রতিষ্ঠান,তা যেমন মানুষের উপর নামিয়ে এনেছে অত্যাচারের থাবা তেমনি একথাও সত্য যে মানুষ এই পথ থেকে মুক্তির সঠিক দিশাও খুঁজে পায়নি।একটা জীর্ণ বাড়ি ধ্বংস করতে গেলে প্রয়োজন নতুন বাড়ির।কিন্তু ধর্মবিদ্বেষীরা সেই নতুনের সন্ধান না দিয়ে পথকে দিয়েছে গুলিয়ে।অজ্ঞানতা আর দারিদ্র‌ের করাল গ্রাসে নিষ্পষ্ট সাধারন মানুষ সত্যিকারের পথের সন্ধান না পেয়ে হয়ে উঠছে সন্দিহান।তাই যখন তার সামনে প্রকৃত নাস্তিকরা সঠিক পথের দিশা নিয়ে আসছে তা প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।নাস্তিকতা নৈতিকতাহীন নয় বরং ধর্মীয় নৈতিকতার থেকে তার স্থান আরও উঁচুতে।সেই নৈতিকতা কে গ্রহন করার জন্য প্রয়োজন উন্নত মনুষত্ববোধ।
ধর্ম আজ যে অপ্রয়োজনীয় তাই নয় তা হয়ে উঠেছে পূঁথিগন্ধময়।কিন্তু সেই গন্ধের মধ্য থেকেই স্বার্থান্বেষী মানুষরা খুঁজে নিচ্ছে নিজেদের স্বার্থ।ঠিক যেমন শকুন।কিন্তু তবুও নারীঘাতী শিশুঘাতী এ ব্যবস্থা টিকে থাকে।পথের ভ্রান্তি পথিকের নয় পথিকৃৎ-এর।তাই হাসিনা -মোদীর কোলাকুলি হয় আর রাম-রহিম লড়াই করে।ধর্ম নামক মরা হাতিটির দাম অনেক:কিন্তু তার দাঁতটি যে পায় লাভবান সে হয়।শাসক সেই দাঁতের অধিকারী আর আমরা তার পচা গন্ধে বির্পযস্ত।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ধর্মবিদ্বেষ আর নাস্তিকতা এক জিনিস নয়।নাস্তিকতা একটি দর্শন,বস্তুবাদের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে।যেখানে ঈশ্বর-আল্লার কোন অস্তিত্বই নেই।যা বিজ্ঞান এবং যুক্তির কষ্টি পাথরে সব কিছুকে যাচাই করে।আর ধর্মবিদ্বেষ কোন বিজ্ঞান এবং যুক্তির তোয়াক্কা না করে ধর্মগোঁড়াদের মত ধর্মের বিরুদ্ধতা করে।যা ব-কলমে ঈশ্বরের অস্তিত্বকে স্বীকার করে নেয় এবং ধর্ম হানাদারদের-ই সাহায্য করে।
ভালো বলেছেন।
একজন বিশ্বাসী হিসেবে আপনার ধর্ম বিষয়ক চিন্তার সাথে মোটেই একমত নই তবে আপনার চিন্তার গভীরতা আমাকে মুগ্ধ করেছে।পবিত্র গ্রন্থে বারবার বলা হয়েছে চিন্তাশীলদের জন্যই মুক্তি।
মহান স্রষ্টা আপনার সহায় হোন।
ভালো থাকবেন।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৫১

আয়ুধ বলেছেন: একজন প্রকৃত ধর্মবিশ্বাসীর সঙ্গে নাস্তিকের মতের অমিল থাকলেও মনের অমিল থাকতে পারে না বলেই আমি মনে করি।কারন এরা দুজনেই সত্যের সন্ধানী এবং মানবতাবাদী।সত্য ও মানবতার কাছে এরা দুজনে মাথানত করতে প্রস্তুত।লড়াই ত হয় ধর্মউন্মাদদের সাথে ধর্মবিদ্বেষীদের।এরা দুপক্ষই অজ্ঞানী-অহংকারী ও অত্যাচারীর ক্রীড়ানক নির্বোধ।আপনার কাছ থেকে আমার লেখার গঠন মূলক সমালোচনা কামনা করছি যা আমাকে সমৃদ্ধ করবে এই আশা রাখি।ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন আপনিও।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

দরবেশমুসাফির বলেছেন: আপনার লেখা অনেক ভালো লাগল। তবে

ধর্মগ্রন্থ গুলো পড়ে সেগুলোকে বিজ্ঞান এবং যুক্তির কষ্টি পাথরে যাচাই করে দেখলে উপকৃত হবেন আশা করি। আপনি যদি কোন আদর্শকে অস্বীকার করতে চান তাহলে সেই আদর্শকে তো আপনার বুঝতে হবে নিশ্চয়ই।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৩

আয়ুধ বলেছেন: অবশ্যই সেগুলি পড়তে হবে।আমি সব না পড়লেও পড়েছি ।যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছি তার নিরিখেই এই লেখা।আমি সত্যসন্ধানী সত্যের খোঁজে আমি সব কিছু জানতে এবং বুঝতে চাই।আপনাদের গঠন মূলক সমালচোনাও কামনা করছি।যা আমাকে সমৃদ্ধ করবে এই আশা রাখি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.