নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা ভাবি, যা দেখি, যা বিশ্বাস করি

আমি খুব সাধারন একটা মানুষ। সাধারন হয়েই থাকতে চাই

শিশু বিড়াল

স্বাধীন দেশের স্বাধীন এক নাগরিক। পেশায় ডাক্তার হলেও নেশা ছবি আঁকা। সবই সখের বশে। ভালবাসি দেশ ও দেশ এর মানুষ।

শিশু বিড়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

~বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ১৬~

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

কে যেন বলছিল অল্পবয়সে যদি যৌনমিলন করতে পারে তাহলে বিয়ে কেন করতে পারবে না। আমার এক রোগীর কথা বলি। মেয়েটার বর্তমান বয়স ১৭ বছর। ৪ বছর আগে যখন তার বয়স ১৩ তখন সে গ্রামের এক ছেলেকে ভালবাসত। ঐ বয়সে তার সাথে কয়েকবার দৈহিক সম্পর্কও স্থাপন হয়েছে। মেয়েটির বাসায় জানাজানি হওয়ায় মান সম্মানের ভয়ে তাড়াতাড়ি করে তার ৩ গুন বয়সী এক লোকের সাথে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়। পড়ালেখায় ভাল হওয়া স্বত্বেও আর করা হয়নি সেটা। মেয়েটি পারেনি তার পারিবারের বিরুদ্ধে যেতে। যথারীতি বাসর রাত থেকেই শুরু হয় জোর করে তার সাথে যৌনাচার। নিজের অনিচ্ছায় চুপ করে পরে থেকেছে মেয়েটি দিনের পর দিন। এক সময় পেটে বাচ্চা এসেছে। এখন তার পেটের বাচ্চার বয়স ৮ মাস। তার সাথে কথা বললাম।
অনেক কথার ফাঁকে সে বলল, "আফা আমি যদি বুঝতাম পিরিত করলে এমন শাস্তি পাওন লাগত তইলে কি কপালটা এমনে পুড়াইতাম? যেই ছুড়া রে ভালা পাইতাম হেতি তো আমার লগে কোনদিন জোর করে নাই। অহন আমার স্বামী আমার লগে জোর করুক কি নাই করুক হেইডা কথা না। উনি তো আমার স্বামী। আমার সবই তো ওনার। জোর করলেও কি করার আছে কন।"
বুঝলাম একটা মানুষ ভেঙ্গে পরে গেলে একটা সীমা পর্যন্ত বুঝতে পারে সে ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু ঐ সীমা যখন অতিক্রম হয় তখন তার সেই বোধটাও আর থাকেনা। তারও নেই।
বাংলাদেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের প্রেক্ষাপটে মেয়েদের ঋতুস্রাব শুরু হলেই বা শারীরিক ভাবে বেড়ে উঠলেই তাদের বিয়ের যোগ্য বলে ভাবা শুরু হয় কিন্তু একইভাবে একটা ছেলের স্বপ্নদোষ হলে বা দাঁড়ি গোঁফ উঠলেই তাকে কিন্তু বিয়ের যোগ্য বলে মনে করা হয় না। তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নেই মেয়েটির তার প্রেমিকের সাথে এমন কাজ করা ভুল হয়েছে তো সেই একই ভুল কি মেয়েটির ঐ প্রেমিকেরও হয়নি? তাহলে শুধু তার ক্ষেত্রে এই নিয়ম কেন? ভুল যারই হোক বা দুজনেরই হোক এটা কোনভাবেই মানা যায় না এজন্য তাকে সারাজীবন শাস্তি পেতে হবে। এটা অন্যায়। অন্য কোন ব্যবস্থা অবশ্যই নেয়া যেত। বুঝানো যেত। শাসন করা যেত। কিন্তু কেবল মেয়েটিকে জোর করে বিয়ে দিয়ে তার সমস্ত জীবন ও সম্ভাবনাকে নষ্ট করা মোটেও উচিত নয়। একই ঘটনা ঐ মেয়েটির কিশোর প্রেমিকের জন্য ঘটলে তাও অন্যায়ই হত। যদিও তাকে এমন কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতেও হয়নি। যেতে হয়েছে শুধু একা ঐ মেয়েটিকেই।
মূল কথায় ফিরে আসি। প্রেমে দুটি মানুষের সম্মতিতে দৈহিক মিলন স্থাপিত হয়। প্রেমের মধ্যে নিজ সম্মতিতে দৈহিক মিলন স্থাপন করায় একজন মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় না। কিন্তু যখনই একজন মানুষের উপর তার সম্মতির বাইরে বা অনিচ্ছায় জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয় সেটাই ধর্ষণ। নিজের অসম্মতিতে কোন মানুষের উপর যখন যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য বল বা চাপ প্রয়োগ করা হয় তা সেই মানুষের বয়স যাই হোক, লিঙ্গ যাই হোক, সম্পর্ক যাই হোক তার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় এবং এটাই ধর্ষণ। বিয়ে হওয়া বা না হওয়া এখানে বিষয় না।
বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। ভালবাসার বন্ধন। বিয়ে একটা মানুষকে আরেকটা মানুষকে ধর্ষণ করার অধিকার দেয়া নয়। কিন্তু এদেশের প্রেক্ষাপটে বাল্যবিবাহ আর শিশুধর্ষণ একই বিষয়ের দুটি ভিন্ন নাম মাত্র। এতদিন ১৮ বছর বিয়ের বয়স ছিল তাই মেয়ের পরিবার বাপ ভাইয়েরা মেয়ের বয়স ১৩ বা ১৪ হলেও তা টাকা পয়সা দিয়ে কাজি অফিসে ১৮ লিখিয়ে নিয়েছে। এখন মেয়ের বয়স ১১, ১২ হলেও তা ১৬ লিখিয়ে নিবে। ছেলেদের জন্য ১৮ বছর বিয়ের বয়স হলেও তা খুব কম ছেলের জন্যই প্রযোজ্য হবে। ক্ষতি হবে শুধু মেয়েদের।
বিয়ের বয়স ১৮ থেকে নামিয়ে ১৬ করার কারনে অর্থাৎ বাল্যবিবাহ কে বৈধতা দেয়ার কারনে আরও কতগুলো বৈবাহিক ধর্ষণের ঘটনা নিশ্চিত হবে এটা ভেবেই হাসি পেয়েছিল। বাসর রাতে স্বামী নামক কতগুলো ধর্ষক খুবলে খুবলে খাবে তাদের স্ত্রীদের আর আমরা সেই ধর্ষণকে ধর্ষণ বলতেও লজ্জা পাব!! যাহ কি বলে!! বিয়ে করেছে তো!! সবকিছুই চলে!! স্বামী তো সবই করতে পারে!! স্ত্রীর সেখানে মত না থাকার কী আছে!! একটু আধটু জোর করলেই ওটাকে তো আর ধর্ষণ বলে না!!! তাইনা? ইত্যাদি ইত্যাদি।
যেকোনো মানুষ, আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি এমন একজন মানুষ পাওয়া যাবে না যার মা, বোন, মেয়ে, বান্ধবী, বা অন্য কোনভাবে পরিচিত কোন মেয়ের কাউকে জীবনে অত্যাচার সহ্য করতে দেখেননি। শিক্ষা, পেশা, সামাজিক অবস্থানও যেখানে একটা মেয়েকে একজন মানুষ হিসেবে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে পারেনা সেখানে অশিক্ষিত , বেকারত্ব ও দারিদ্রময় সমাজে মেয়েদের অবস্থা যে আরও করুন তা সহজেই অনুমেয়। শিক্ষা একটা মেয়েকে কিছুটা হলেও মেয়েমানুষ থেকে মানুষ হবার একটা দরজা খুলতে সাহায্য করে। কিন্তু অল্পবয়সে বিয়ে হলে সেই দরজাও বন্ধ হয়ে যায়। সংসার সামলে শহুরে মেয়েরাই যেখানে নিজেদের দাঁড় করাতে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয় সেখানে গ্রামের মেয়েদের জন্য নিজেদের দাঁড় করানোর কথা চিন্তা করা আরও কঠিন। সেই সমাজে এখন যদি মেয়েদের বিয়ের বয়স আরও কমিয়ে আনা হয় তবে মেয়েদের তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পথ বাধাগ্রস্ত হতে বাধ্য।
যেখানে সরকারের এখন উচিৎ মেয়েদের জন্য সবরকম বিরুপ ব্যবস্থা শক্ত ভাবে প্রতিহত করা, সবদিক থেকে মেয়েরা যেন মানুষের মত মানুষ হয়ে বেড়ে ওঠার, সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া সেখানে বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ১৬ তে কমানো কোনভাবে মেয়েদের জন্য মঙ্গলজনক ফলাফল ব্যে আনবে না। এ যেন অনেকটা এমন, উঁচু গাছ থেকে ফল না পাড়তে পেরে আরও বড় মই ব্যবহার করার বদলে গাছের শেকড় কেটে গাছকেই ছোট করার চেষ্টা। কিন্তু এভাবে গাছকে ছোট করতে গেলে গাছেরই মৃত্যু ঘটে তা সকলেরই অনুধাবন করা উচিৎ।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

মিজভী বাপ্পা বলেছেন: হুমম। বিষয়টি স্পর্শকাতর। এই সিদ্ধান্ত যে কোন মেয়ের জন্য আত্মঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: একমত +++++++

আমার একটা পোষ্টে এই বিষয়ে নিয়ে হুলস্থূল কাণ্ড হয়ে গিয়েছিলো ।

ভালো থাকবেন ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

শিশু বিড়াল বলেছেন: পোস্টটি দেখতে পারি? সম্মতি থাকলে লিংকটা দেবেন।

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০১

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে নিকৃষ্ট অশিক্ষিত, লোভী, অপদার্থ, দুর্ণীতিবাজ, পরশ্রীকাতর মানুষ হল বাং..

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১২

িবষন্নতা বলেছেন: "প্রেমে দুটি মানুষের সম্মতিতে দৈহিক মিলন স্থাপিত হয়। প্রেমের মধ্যে নিজ সম্মতিতে দৈহিক মিলন স্থাপন করায় একজন মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় না"...... কিন্তু এটা তো আবার ওবাধ যৌনতা নির্দেশ করে..... এবং ইসলাম এটাকে জেনা বলছে, যা পাপ।
ওদিকে ধর্ষণের কথা বলে এদিকে জেনাকে সমর্থন দিবেন তা হয় না।
বরং ১৮ আর ১৬ ই বিয়ে হোক না, ইসলাম মতে সবালক হবার সাথে সাথে বিয়ে যদি দেন তাহলে অই ১৮ আর ১৬ তেই বিয়ে হয়ে যায়। দরকার কি তিন গুন বেশী বয়সের বেশী লোককে বিয়ে করার।

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

কালীদাস বলেছেন: এই মুহুর্তে ইউরোপে আছি। আমার পরিচিত কোন ছেলে বা মেয়ে বিয়ে করতে আগ্রহী না এই কালচারে, যদিও লিগাল এজ অফ ম্যারিজ বেশিরভাগ দেশেই ১৬!! কথা হল সেটা ঠিক এখনই বাংলাদেশে এপ্লাই করাটা খুব বড় একটা ঝুকি হয়ে গেল। আপনি এমপিএইচের স্টুডেন্ট সম্ভবত, আমার ধারণা আপনি রিপ্লেসমেন্ট লেভেল ফার্টিলিটির লেভেল জানেন। আমরা আগামি বছরের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে সম্ভবত সেটা এচিভ করব এবং বাংলাদেশের ফার্টিলিটির মেইন পোর্শনটুকু আসে ঐ ১৫-১৯ বছরের মেয়েদের থেকে। খুব শক্তভাবে এবছর রিকমেন্ড করেছিলাম আমাদের দেশে মেয়েদের বিয়ের বয়স ২১ করার জন্য, তাহলে আমাদের দেশে যে ফার্টিলিটি ডিক্লাইন করা শুরু করেছে সেটা আরেকটু তাড়াতাড়ি বোঝা যেত....অরণ্যে রোদন করেছি।

বিয়ের বয়স কমানোর জন্য বলা হয়েছে প্রাইম মিনিস্টারের উপরে গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে অনেক প্রেশার আসছে। এটার প্রোপার সল্যুশন ছিল ২টা- ম্যাস মিডিয়াকে আবার ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এ ব্যাভার শুরু করা এবং ইমিডিয়েটলি দেশে হাইস্কুল লেভেলে এডাল্ট এডুকেশনের এটলিস্ট বেসিকটা প্রোভাইড করা। আমরা যথারীতি আবার মাথাটাই কেটে ফেলেছি।

আমি এসব কারণেই এখন আর বাংলাদেশের পাবলিক হেলথ সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহ পাই না; গুটিকয়েক লোকের (প্রাইভেট এবং পাবলিক) স্বার্থ সংরক্ষণই এখানে মেইন কনসেপ্ট।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৩

নির্ঘুম লযাম্পোস্ট বলেছেন: বিষন্নতার মন্তব্য সমর্থন করছি

৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৫

নির্ঘুম লযাম্পোস্ট বলেছেন: বিষন্নতার মন্তব্য সমর্থন করছি

৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:২৭

হাসানস০০৭ বলেছেন: বিয়ের বয়স ১৬ হোক আর ১৮, পাত্রের সাথে পাত্রির বয়স পার্থক্য সর্বোচ্চ ৮-১০ বছর হতে হবে। তাহলে তাদের মধ্যে বন্দুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে। স্ত্রী শুধু স্ত্রী নয় একজন বিশ্বস্ত, ভালো বন্ধু। আমাদের পিতা-মাতা এখানেই ভুল করে, মেয়েদের মান-সম্মান কিচ্ছু বিচার না করে একজনের হাতে ধরিয়ে দিতে পারলেই যেন বাচে। আমি ১৬ বছরের বিরোধী নই। কিন্তু সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে যেন তারা ১৮ বছরের পরে যেন চিন্তা করে।

আমার এলাকায় ১২ বছরের এক মেয়ে পালিয়ে গিয়েছে ১৬ বছরের এক ছেলের সাথে। এখন মেয়ে ফিরে এসেছে। সাথে এক সন্তান। মেয়ে ও সন্তান উভয়েই সুস্থ।
অতএব, পক্ষে-বিপক্ষে অনেক বাস্তব ঘটনা আছে, কিন্তু সচেতন হতে হবে আমাদের পরিবারকে, আমাদের সমাজকে, আমাদের মুরিব্বিদেরকে।

৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:২৭

মুসবিহা বিনতে ওয়ালী বলেছেন: ছেলেদের বিয়ের এজ কমানো দরকার

১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: শিওর ।

বিয়ের নতুন বয়সসীমাঃ যৌক্তিকতা বনাম বাঙালীর ‘সুইট সিক্সটিন’ অভিলাষ ।

১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

সংগ্রামী বালক বলেছেন: "প্রেমে দুটি মানুষের সম্মতিতে দৈহিক
মিলন স্থাপিত হয়। প্রেমের মধ্যে নিজ
সম্মতিতে দৈহিক মিলন স্থাপন করায়
একজন মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়
না।"
আমি অপনায় এই কথাটির সাথে একমত না।প্রেমে দুটি মানুষের সম্মতি থাকে তাই সেইটা ধর্ষন হয়না,যেখানে পুরো সমাজ তার বিরুদ্ধে থাকে।আর সেইটা ধর্ষন হয়ে গেলো যেখানে পুরো সমাজ রাজী,কিন্তু বিছানাতে প্রেমিক নেই বলে মেয়ে রাজী না।জানি কথাটা শুনতে ভালো শুনাচ্ছে না,তবুও বলবো :এটা বাংলাদেশ।এখানে প্রেমটা মৌখিক আয় মুল কাজটা দৈহিক।আপনি যখন এ দৈহিক কাজটা পারছেন,তারমানে আপনি সেই কাজটার জন্য সম্পুর্ন উপযুক্ত।আর একটা উপযুক্ত মেয়ের জন্য অবশ্যই বিবাহ প্রথাটাই বেশী উপযুক্ত,মানবাধিকারের নামে অসামাজিক দৈহিক মিলন নয়।

১২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: হুম্ম

১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

বৃতি বলেছেন: মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ১৬ নামিয়ে আনা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে একটি অযৌক্তিক ও ভয়াবহ সিদ্ধান্ত। তবে খুব বেশি অবাক হইনি এই কারণে যে, এরকম অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। পোস্টে +++। এ বিষয়টি নিয়ে অপূর্ণর পোস্টটাও সুন্দর।

১৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫২

রিফাত হোসেন বলেছেন: ১৬ বা ১৮+ ফোকাস না করে বিবাহ আর বয়সের পার্থক্যকে ফোকাস করা উচিত। কিন্তু তার মানে যে শারীরিকভাবে অক্ষম বা আর্থিকভাবেও অক্ষম তাদের কথা বলছি না। সক্ষমদের ই বিবেচনায় আনছি। প্রেম করবে গভীরভাবে কিন্তু বিয়ে করে ঘরে তুলার সামর্থ্য নাই! এটাও যেমন মানা যায় না। তেমনি জোর করে, শারীরিকভাবে অক্ষম, বয়সের পার্থক্যে অনেক ছোট তেমন কাউকে বিয়ে করাউ উচিত নয়। আর বাচ্চা নেওয়া উচিত বয়স আর শারীরিক ও মানষিক দিক দিয়ে তৈরী তখন ই।

আর লেখাপড়া চাইলে আজীবিন করা যায়। আমি অবশ্যই চাব আমার সহধর্মিণী শিক্ষিত হোক। কিন্তু সংসার খেয়াল রেখে। আমি যদি সারাদিন কাজ করে পরিবারকে সহযোগীতা করতে পারি তাহলে পড়াশুনা করতে পারবে না? ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।

আর মেয়ের পরিবারকেও সঠিক ছেলে নির্বাচন করতে হবে বিয়ের জন্য যে দুই জনের মতের মিল হয় কিনা।

এটা আমার অভিমত।

তবে যদি বিষয়ভিত্তিক পড়াশুনা শেষ পূর্বক চাকুরী করতে চায় তাহলে আমার ঘোর আপত্তি আছে। কারন পার্ট টাইম ঠিকাছে কিন্তু ফুল টাইম এর প্রয়োজনীয়তা নাই। যেহেতু আমিই ব্যস্ত কাজ নিয়ে। ঘরের দিকে কিছুটা হলেও একজনকে বেশী দিতে হবে, বাচ্চাদের খেয়াল রাখতে হবে।

আমি কিন্তু এখনও বিয়ে করি নাই। বলা যেতে পারে পরিবার থেকে অনুমতি পাই নাই। যদিও ২১ বছরেই সাবলম্বী হই তবে এখন বয়স বাড়লেও সবার চোখে ঐ দিন পৃথিবী তে আসলাম! । সাবলম্বী বলতে, ভাল বেতন, ভাল চাকুরী, ভাল বাসা তবে ভাড়া, চিকিৎসা ও বেকার ভাতা,পেনশন সহ এত সব সুবিধা থাকা সত্যেও আমি বাংলাদেশ এর সংস্কৃতি বা অন্ধ নিয়মে বন্দী!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.