নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

আফসার নিজাম

আমি একজন মানুষ

আফসার নিজাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহাবাগে শান্তি বিনষ্টকারী সমাবেশ আর শাপলা চত্বরে শান্তির সমাবেশ

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

নিধর্মবাদী (নাস্তিক) হওয়া মানেই ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা নয়। তাদের কাজ হলো তাদের নিধর্মবাদ প্রচার করা। অন্যকে আঘাত না করেই। আর যদি তারা ভেবে থাকে যে অন্যেকে আঘাত না করলে নিধর্মবাদ (নাস্তিকতা) প্রচারিত হবে না বা এই নিধর্মবাদ (নাস্তিকতা) জনসাধাণ গ্রহণ করবে না তবে এটা ভুল পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই না।



এ দেশেরে প্রেক্ষাপটে আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশে একজনও নাস্তিক নাই। যারা আছেন তারা হলো ধর্ম বিদ্বেষী। আরো স্পষ্ট করে বললে বলতে হয় ইসলাম বিদ্বেষী। ইসলাম বিদ্বেষী বলছি এ কারণে যে নিধর্মবাদী (নাস্তিক)রা ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্মের বিষয়ে কোনো কথা বলে না। বরংচ ভিন্ন একটি ধর্মের সংস্কৃতিকে ক্রমাগত উপস্থাপন করে বাঙলী বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এতে করে নিধর্মবাদী (নাস্তিক)দের ঐ ধর্মের বর্ধিতরূপ ছাড়া আর কিছুই না বলে আমার মনে হয়।



সকল ধর্মেই একটি সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা থাকে। তা বুঝতে হবে। না হয় সমাজ সম্পর্কের তর্কে হাজির হওয়ায় মুর্খতার সামিল। এই সাংস্কৃতিক উপস্থাপনায় রঙও একটি বিষয়। যেমন নিধর্মবাদী (নাস্তিক)দের রঙ লাল। ইসলামের রঙ সবুজ। যদিও যারা বাম রাজনীতি করে সবাই নিধর্মবাদী (নাস্তিক) নয়। এখানে অনেকেই আছেন যারা আস্তিক হিসেবেই সমাজে বিরাজ করছে। বাংলাদেশী বাম রাজনীতি যারা করেন তারা নিজেদের নিধর্মবাদী (নাস্তিক) বলে ঘোষণা করলেও তারা মুলত নিধর্মবাদী (নাস্তিক) নয়। তারা সবাই ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষী। তারা কিভাবে ইসলাম বিদ্বেষী হলো তা এখন গবেষণার বিষয়। মুসলিম বাম রাজনীতিবীদরা নিজেদের নিধর্মবাদী (নাস্তিক) প্রমাণের জন্য যেভাবে ইসলাম বিদ্বেষী হয়ে ওঠে ইসলামের প্রতি জংঙ্গি মনোভাবী, সাম্প্রদাকি ও বর্ণবাদী হয়ে ওঠে শুধু তাই নয় তারা নিধর্মবাদী (নাস্তিক) প্রমাণের জন্য হিন্দু ধর্মের সংস্কৃতিকে ক্রমাগত নিজেদের জীবন প্রাকটিস করে। হিন্দু বাম রাজনীতিবীদরা কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো। হিন্দু বাম রাজনীতিবীদরা নিজেদের বাম রাজনীতিবীদ হিসেবে প্রমাণের জন্য বা নিধর্মবাদী (নাস্তিক) হয়ে ওঠার জন্য হিন্দু বিদ্বেষী হয়ে ওঠে না এবঙ তার জন্য তারা মুসলিম সংস্কৃতিও গ্রহণ করে না। তাই দেখি ইন্ডিয়ায় বাম রাজনীতি জনসাধারণের একটি দল হয়ে ওঠেছে কিন্তু বাংলাদেশে সেই বাম রাজনীতি জনবিচ্ছিন্ন দল হিসেবে হাজির হয়েছে। তারা নির্বাচনে দাড়ালে জামানত হারায়।



নিধর্মবাদী (নাস্তিক)রা বা আমি বলি ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষীরা বেশিরভাগ বাম রাজনীতির খোলসে হাজির হয় রাজনীতির ময়দানে। তারা আবার দুইটি দেশের বাম রাজনীতির পরিচয়ে পরিচিত হয়ে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। একটি রাশানপন্থি রাশানবাম দ্বিতীয়টি চীনপন্থি চীনাবাম। কিন্তু আমার বিবেচতনায় তারা এখন আরো একটি দেশের পরিচয় পরিচিত সেটি হলো ইন্ডিয়ান পন্থি ইন্ডিবাম। ইন্ডিবামরা কিন্তু রাশানপন্থি বাম বা চীনাপস্থি বামের মতো আদর্শবান নয়। তারা মূলত সুবিধাপস্থি বাম। তারা মূলত হিন্দু ধর্মের অনুসারি। কিন্তু তারা হিন্দু হতে পারছে না। কারণ পৃথিবীতে যে কটি ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে পারে না তাদের মধ্যে হিন্দু ধর্ম একটি। যেমন ইহুদি ধর্মে কেউ ধর্মান্তরিত হতে পারে না। এই ধর্মগুলো তাদের ধর্মে দিক্ষিত করতে পারে না বলে তারা তাদের ধর্মের একটি অনুসারি দল গঠন করে। এই অনুসারিরা তাদের পূর্বধর্মে থেকেই সাংস্কৃতিকভাবে নতুন ধর্মের বিষয়গুলো ক্রমাগত প্রাকটিস করে থাকে। বড় পরিতোপের বিষয় হলো বাংলাদেশের বাম রাজনীতির নিধর্মবাদী (নাস্তিক)রা বা ইসলাম বিদ্বেষীরা বা নব্য হিন্দু ধর্মের অনুসারিরা (নহি) তাদের ধর্ম প্রাকটিস করে বাঙলী জাতিয়তাবাদের খোলসে। যেখানে বাঙলী শব্দটি একটি জাতীয় ঐক্যের প্রতিক, একটি ভাষাভাষী মানুষের পরিচয় সেখানে এই নহি এসে ধ্বংস করে দিয়েছে এই জনবসতির ঐক্যকে।



নিধর্মবাদী (নাস্তিক)রা বা ইসলাম বিদ্বেষীরা বা নহিরা তাদের ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশের মহান মুক্তিযোদ্ধকে ব্যবহার করছেন। আমাদের মুক্তিযোদ্ধ যেখানে শোষক জালিমের বিরুদ্ধে শোসিতের যুদ্ধ ছিলো সেখানে তারা এমন ভাবে এই যুদ্ধকে উপস্থাপন করছে মুক্তিযোদ্ধ যেনো ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে হয়ে ছিলো। মুক্তিযুদ্ধ কিন্ত ধর্মের বিরুদ্ধে হয় নাই। দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে তারা ইসলামের বিরুদ্ধে এই বায়নই জাহির করে যাচ্ছেন। এ জন্য তারা তাদের সৃজনক্রিয়ায় যেমন সাহিত্য, ফিল্ম, নাটক, গান, মঞ্চে মানে সম্পূর্ণ উপস্থাপনের সংস্কৃতিতে ইসলাম, ইসলামী লেবাসকে হেয় প্রতিপন্ন করে উপস্থাপন করে যাচ্ছেন। এই সাংস্কৃতিক উপস্থাপনায় ইসলাম হলো মন্দের প্রতিক আর অন্যান্য ধর্মের বিষয়গুলো বিশেষ করে নহিদের কর্মকান্ড কল্যাণের। এভাবেই তারা ইসলামের বিরুদ্ধে একতরফা যুদ্ধ করে যাচ্ছিলেন। এখন ইসলামের অনুসারিরা তাদের উপস্থাপনের সংস্কৃতিসহ ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে হাজির তখনই তৈরি হলো সমলড়াইয়ের ক্ষেত্র। কেউ কারো ছাড়ে নাকো সমানে সমান।



ইসলাম ধর্মের অনুসারিরা নিধর্মবাদী (নাস্তিক) বা ইসলাম বিদ্বেষী বা নহিদের বিরুদ্ধে কিছু না বললেও নিধর্মবাদী (নাস্তিক) বা ইসলাম বিদ্বেষী বা নহিরা ক্রমাগত আল্লাহ এবঙ ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ সা., ইসলামের বিষয় আসয় নিয়ে কটুক্তি করতে থাকে। এই অবস্থা চরম পরর্যায় আসে শাহাবাগীদের মাধ্যমে। যারা আবার সরকারী অনুগ্রহের এই কর্মকান্ড পরিচালনা করে। তা আবার সেই পুরনো কৌশল হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকে পুজি করে। মুক্তিযোদ্ধের চেতনার নামে এখানে নহিদের ধর্ম-কর্ম পালন করতে দেখা যায়। এই পর্যায়ে ইসলামের খেদতমকারীদের বিভিন্ন ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে দেখা যায়। তাদের রাজনীতি, সমাজনীতি ইত্যাদি বন্ধ করার জন্য ওঠে পড়ে লাগে। এদিকে ইসলামের অনুসারিরাও কোনো অংশে কম নয়। তারাও আধুনিক টেকনলজি সমসাময়ীক চিন্তা চেতনার অধিকারী। অতএব তাদের মধ্যে তৈরি হয় লড়ায়ের একটি মনোভাব। যা ৪২ বছর ধরে একতরফা চালিয়ে আসছিলো নিধর্মবাদী (নাস্তিক) বা ইসলাম বিদ্বেষী বা নহিরা। তাদের বিরুদ্ধে যখনই হাজির হলো তখনই আরো একটি নতুন বয়ান শোনা গেলো নিধর্মবাদী (নাস্তিক) বা ইসলাম বিদ্বেষী বা নহিদের মুখে। তা হলো ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। আমরাও ধর্ম পালন করি। তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য আসছো কেনো। ইসলাম হলো সুফী তত্ব প্রচার করতে থাকে। তারা একবারও ভাবে না ইসলাম আগে আসছে না সুফী তত্ব আগে আসছে।



এখানে একটি মজার গল্প বলি। করিম নামের এক ব্যক্তিকে ৪২ বছর ধরে তাদের পাশের বাড়ির দূর সম্পর্কের এক ভাই মদন বিভিন্ন বিষয়ে জ্বালাতন করে। বাড়ির এটা নিয়ে যায় ওটা নিয়ে যায়। পান থেকে চুন খসলে থাপ্পর মানে। করিমের ছেলে মেয়ে কিছু একটা করলেই গালাগালি সহ পিটিয়ে রক্তাত্ব করে ফেলে। করিম মিয়া কিছু বলে না। এভাবে ৪২ সে মার খাচ্ছে, তার ছেলে মার খাচ্ছে তার নাতী মার খাচ্ছে। এক সময় সে ভাবলো আর নয় মদনকে আর ছাড়া যাবে না। মদন যদি আমার গাছের আম পেড়ে নেয় আমিও তারে গাছের আম পেড়ে নিবো। সে যদি আমার সন্তানের উপর হাত তোলে আমিও তার সন্তানের উপর হাত তোলবো। তারপর একদিন মদন মিয়ার সাথে করিমের একটি বিষয় কথা কাটাকাটি হলো অমনি সে করিম মিয়ার মাথায় বাশ দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিলো। কমির মিয়া কালক্ষেপন না করে তার হাতের বাশ কেড়ে নিয়ে মদন মিয়ার মাথায় মেরে দিলো। রক্তে লাল হলো মদনের মাথা। মদন দেখলো অবস্থা তো খারাপ তাই সে চানক্যনীতি ধরলো। রহিমকে বললো ভাই তুমি তো শান্তিবাদী লোক। তুমি কেনো আমার মাথা ফাটিয়ে দিলে। এটা তো শান্তির কাজ হলো না। তুমি শান্তিবাদী সারা জীবন শান্তিতে থাকবে। করিম বললো ভাই শান্তিতে আমি থাকলোও তুমি কিন্তু শান্তিবাদী নও। আমি এই ৪২ বছর ধরে ভুল করে আসছি। আমি যদি আগেই শান্তিবাদী না হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হতাম তা হলে ৪২ বছর ধরে মার খেতাম না।



ইসলাম ধর্মের অনুসারিরা নিধর্মবাদী (নাস্তিক) বা ইসলাম বিদ্বেষী বা নহিরা শুধু ইসলামকে শান্তির ধর্ম বলে শেষ করছে। কিন্তু ইসলাযে শুধু শান্তির ধর্ম নয়। ইসলাম হলো শান্তি প্রতিষ্ঠার ধর্ম। তাইতো সে মন্দের সাথে লড়াই করে। কল্যাণের পাশের এসে দাড়ায়। তাইতো দেখছি শাহাবাগে সরকারের সহযোগিতায় নিরাপত্তার বলয়ে দেশে শান্তি বিনষ্টকারী সমাবেশ আর শাপলা চত্বরে জনসহযোগিতায় শান্তির সমাবেশ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: যে জাতির মধ্যে মানবিক বিবেকবোধই নাই তার আস্তিকতাই কি আর নাস্তিকতাই কি?
ভণ্ড ভণ্ড ভণ্ড (পর্ব-১)
Click This Link

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: হেফাজত মতে আপনিও নাস্তিক, হেফাজত সমর্থকরা আপনাকেও হত্যা করতে চায়.

Click This Link

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

মরু বালক বলেছেন:


সত্য কথা ......

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

ধানশালিক বলেছেন: এ দেশেরে প্রেক্ষাপটে আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশে একজনও নাস্তিক নাই।

বলদ কুথাকার!

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩১

হাসানুর বলেছেন: ভাই আপনেতো নাস্তিক হইয়া গেলেন !
আর আপনের কথাই ঠিক শাহবাগ অনেকের শান্তি নষ্ট করেছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.