নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি যে লিখি ছাই মাথা ও মুণ্ডু আমিই কি বুঝি তার কিছু?/হাত উঁচু আর হ\'ল না ত ভাই, তাই লিখি ক\'রে ঘাড় নীচু!

স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা

এখন থেকে লিখব না আর সত্যিকারের কিছু/ বলব না আর, চলব শুধু ছায়ার পিছুপিছু।// সবাই যখন নামছে নীচে, আমার তখন কী দায়? / অন্ধকারের সঙ্গী হলাম—আলোক তোমায় বিদায়।// এখন আমি থমকে রব, জীবন হবে থ-ময়,/ মাথা নেড়ে আজ্ঞে বলেই কাটিয়ে দেব সময়।// মিথ্যেটাকে সত্যি জেনেই করব কারাবরণ—/ এখন থেকে জানবে, হে দেশ, কবির হলো মরণ।//

স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাল আমলের রূপকথা (১ম কিস্তি)

০৫ ই মে, ২০১৫ ভোর ৬:১০

এক দেশে ছিল এক রাজা ।দু-তিনজন রাজা থাকলে তো মারামারি করেই তারা অবস্হা খারাপ করে ফেলত।এই কারণে এক রাজা। যাকগে, সেই রাজার ছিল দুই রানি —সুয়ো আর দুয়ো ।তখন তো আর নারীনির্যাতন আইন ছিল না , নইলে কি আর রাজা দুটো বিয়ে করতে পারত ? তো, যথারীতি সুয়োরানির কোনও ছেলেপুলে ছিল না ।আর নিয়মমতোই দুয়োরানির ছিল একখানা ছেলে ।ছেলের নাম বেদানাকুমার ।চেহারা অনেক সুন্দর ছিল তো, ওই যে রাজকুমারদের যেমন হয় আর কি, এজন্যই তার এমন ধাঁচের নাম ।তা, গাল তার বেদানার মতো লাল হয়েই থাকত ,যতটা না গায়ের রং ফর্সা হওয়ার জন্যে, তার চেয়েও বেশি, সবসময় মারামারি করার জন্য ।স্কুলে যেতে-আসতে মারামারি,খেতে-শুতে মারামারি, উঠতে-বসতে-শুতে-হামাগুড়ি দিতে-ছ্যাঁচড়াতে —অলটাইম সে মারামারির পরেই থাকত ।মানে, তোমার-আমার মতোই আর কি ।রাজকুমার বলে এদিক দিয়ে তাকে আলাদা করার কোনও উপায় ছিল না ।
একদিন রাজকুমার ইস্কুল থেকে ফিরছিল একটু আগে আগেই ।সে আবার তোমার -আমার মতো স্কুল-পালাত কিনা !তো, পথের মাঝে তার সাথে দেখা হয়ে গেল এক সন্ন্যেসির ।তাকে দেখে সন্ন্যেসি বলল —ইস্কুল পালাচ্ছিস যে বড় !
বেদানাকুমার বলল—বড় আর হলো কই ।মাত্র এক পিরিয়ড আগেই না পালাতে পারলাম।আরও দু-এক ক্লাস আগে আসতে পারলেই না ব্যাপারটা একটু বড়সড় হতো ।
সন্ন্যেসি বলল—উহ, আবার যুক্তি দেখানো হচ্ছে!
বেদানাকুমার ফড়ফড় করে বলল—যুক্তি দেখাব না তো বায়োস্কোপ দেখাব নাকি ?
সন্ন্যেসি কপাল কুঁচকে বলল—এই বয়সেই বায়োস্কোপ ধরেছিস ?
বেদানাকুমার বলল—ওটা তো অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি ।
সন্ন্যেসি বলল—নে বাবা !
বেদানাকুমার বলল—কই? কী দেবে ,দাও !
সন্ন্যেসির ইচ্ছে হচ্ছিল,ছোঁড়াটাকে সে একটা রামধোলাই দিয়ে দেয় ।কিন্তু সন্ন্যেসি হলে তো ওসব আর করা যায় না,তাই সে বলল —তোর কী চাই, বল দেখি ।
বেদানাকুমার বলল— একটা কাঁকড়া-বিছে যোগাড় করে দিতে পার ? তারপর পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে বলল—উফ ! অঙ্ক স্যার আজকে যা একখান দিয়েছে না !
সন্ন্যেসি বলল—উহু।ওসব হচ্ছে না ।অন্য কিছু চা ।
বেদানাকুমারের মুখ টর্চ লাইটের মতো জ্বলে উঠল ।বলল—চা খাওয়াতে পার এককাপ ?বেশ ভালো করে আদা আর গোল মরিচ দিয়ে ; কড়া লিকার ?

খানিকক্ষণ পরে বেদানাকুমার আর উষ্কোখুষ্কো চুলের এক আধবয়েসী দাঁড়িওয়ালা লোককে দেখা গেল রাস্তার মোড়ের এক চায়ের দোকানে বসে আয়েশ করে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে ।

[চলবে]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.