নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্য রচনাঃ ঘুঘু দেখেছ..........

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

আমার বিয়ের সময় এক কেলেঙ্কারি হলো। ১৯৮৩ সালের ঘটনা। রাত বারোটার দিকে বাসরঘরে ঢুকে ফিল্মি কায়দায় দরজার ছিটকিনি লাগাতে গিয়ে উঁ উঁ শব্দ শুনতে পেলাম। পেছন ফিরে দেখি, আমার নববিবাহিতা স্ত্রী বিয়ের জমকালো শাড়ি গয়না পরে খাটের ওপর জবুথুবু হয়ে বসে আছে আর আমাকে উদ্দেশ্য করে মুখ দিয়ে ওরকম শব্দ করছে। ব্যাপার কী? সে কী আমাকে ছিটকিনি লাগাতে নিষেধ করছে?

কাছে গিয়ে আমিও কথা না বলে ইশারায় ব্যাপার কী জানতে চাইলাম। সেও ইশারায় খাটের নিচে ইঙ্গিত করে দেখতে বললো। আমি উবু হয়ে দেখতে গিয়ে মাথা থেকে পাগড়ি খুলে পড়ে গেল। আর সাথে সাথে খাটের নিচ থেকে বেরিয়ে প্যান্ট শার্ট পরা এক বৃদ্ধা মহিলা তড়িৎ গতিতে আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ঘরের দরজা খুলে পালিয়ে গেল। আমি ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি, বাইরে ভীষণ হৈ চৈ হচ্ছে। বৃদ্ধাকে কল তলায় শুইয়ে ফেলে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। একপাল কম বয়সী মেয়ে লাল, নীল, হলুদ, সবুজ নানারকম রং দিয়ে বৃদ্ধার তোবড়ানো গাল মুখ রঙ্গিন করে দিচ্ছে। কেউ কেউ অতি উৎসাহে কল তলার কাদা তুলে বৃদ্ধার মাথার চুলে সযত্নে মেহেদি লাগানোর মতো করে লাগিয়ে দিচ্ছে। বৃদ্ধা হাত জোড় করে সবার কাছে ক্ষমা চাইছে। কিন্তু তাকে ক্ষমা করা হচ্ছে না। আমার মা, বড়ভাবী এবং বিয়েবাড়িতে আসা বয়স্ক মহিলা আত্মীয়স্বজনরা চিৎকার করে বলছেন, ‘ছেড়ে দে রে, ছেড়ে দে। বুড়ো মানুষ, মরে যাবে।’

অবশেষে এক সময় বৃদ্ধাকে ছেড়ে দেওয়া হলো। তাকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্যও করা হলো। বৃদ্ধা কল তলা থেকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বারান্দায় উঠে আসার পর দেখি, রেনু নানী। কাদা পানি মাখা ঢিলে ঢালা প্যান্ট শার্ট পরে হতভম্ব হয়ে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন। লাইটের আলোয় তাঁর চেহারা হরর ছবির ডাইনীদের মতো দেখাচ্ছে। আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘নানী, তুমি!’ রেনু নানী তাঁর আধ ফোকলা দাঁতে হাসার চেষ্টা করে বললেন, ‘আমার কোন দোষ নাই ভাই। এরাই আমাকে জামা প্যান্ট পরিয়ে তোর ঘরে খাটের তলায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমি যেতে চাইনি ভাই। বিশ্বাস কর।’
রেনু নানী আমার মায়ের আপন মামী। আমার বিয়ের ঘটকালিও তাঁর হাতে। আমি কৃত্রিম রাগ দেখিয়ে বললাম, ‘বেশ, বেশ! এখন যাও, মাঝরাতে গোসল করে অসুখ বাধাও।’

আমার কথা শুনে মেয়েরা হৈ হৈ করে রেনু নানীকে গোসল করাতে আবার কল তলায় নিয়ে গেল। সেখানে সাবানের ফেনা তুলে তাকে ধোলাই করা হতে লাগলো। আমি বাসর ঘরে যাওয়ার জন্য পেছন ফিরে দেখি, আমার স্ত্রী দরজার ফাঁক দিয়ে চুপি চুপি সব দেখছে। আমাকে ফিরতে দেখে সে দ্রুত খাটের ওপর গিয়ে বসে পড়লো। আমি ঘরে ঢুকে দরজায় ছিটকিনি লাগিয়ে তার কাছে যেতেই সে আবার খাটের নিচে ইঙ্গিত করে ফিসফিসিয়ে বললো, ‘আরও আছে।’
ভালো ল্যাঠা হলো দেখছি। খাটের নিচে কতজন লুকিয়ে আছে? জুতাপেটা না করলে তো এরা বেরুবে না দেখছি। আমি পা থেকে নাগরা জুতা খুলে হাতে নিয়ে খাটের নিচে উঁকি মেরে দেখি, একটা টেপ রেকর্ডার। কোন মানুষজন নেই। তখনকার দিনে ছোট ছোট অডিও ক্যাসেটে গান বা কথাবার্তা রেকর্ড করা হতো। নববিবাহিত দম্পতি বাসরঘরে নিজেদের মধ্যে কী কী কথাবার্তা বলে (নানারকম শব্দসহ), তা’ জানার জন্য কে বা কারা এরকম একটা টেপ রেকর্ডার খাটের নিচে ঢুকিয়ে চালু করে রেখে গেছে। আমার কিছু ফাজিল বন্ধু আছে। এ কাজ তাদের না হয়েই যায় না। আমি টেপ রেকর্ডার বের করে ‘তোরা চলিস ডালে ডালে, আমরা চলি পাতায় পাতায়’ এই কথাগুলো বলে রেকর্ডিং বন্ধ করে টেপটা আবার আগের জায়গায় রেখে দিলাম। জুতা খুলে হাতে নেওয়ার পর থেকেই আমার স্ত্রী ফিক ফিক করে হাসছিল। এবার সে হেসে বিছানায় গড়িয়ে পড়লো।

পরদিন বৌভাতের খাওয়া দাওয়া চলছে। তখনকার দিনে মফঃস্বল শহরে কমিউনিটি সেন্টারের কায় কারবার ছিল না। বাড়ির সামনে বা পেছনে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকলে বাড়ির ছাদই ভরসা। তো ছাদের এক অংশে পর্দার আড়ালে মহিলারা খেতে বসেছে, আর এক অংশে পুরুষরা। মেহমানদের খাওয়ানো ও তদারকির জন্য আমার বড়ভাই পর্যাপ্ত লোক নিয়োগ করেছেন। তারপরেও আমাদের এলাকার রেওয়াজ অনুযায়ী নববিবাহিত দম্পতিকে মেহমানদের খাওয়া দাওয়ার খোঁজ নিতে হয়। আমি ও আমার স্ত্রী ঘুরে ফিরে সেই কাজ করছি। রেনু নানীর দু’পাশে দাঁড়িয়ে আমরা তাঁর খাওয়া দেখছিলাম। খেতে খেতে একসময় মাথা তুলে তিনি আমাদের দেখে চমকে গেলেন। তাঁর খাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। আমি ব্যতিব্যস্ত হয়ে বললাম, ‘নানী, খাও খাও। কাল রাতে তোমার ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। পেট ভরে না খেলে চলবে? এই, কে আছো এখানে? আমার নানীকে আর এক পিস রোস্ট দাও।’
আমার স্ত্রী ফিক করে হেসে ফেললো। রেনু নানী বললেন, ‘ভাতার পেয়ে খুব যে হাসছিস রে ছুঁড়ি! আমার মতো বুড়ি কী হবি না কোনোদিন?’
রেনু নানীর মুখ বড্ড বেফাঁস। কখন কী বলে ফেলেন ঠিক নাই। আমি স্ত্রীকে নিয়ে দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়লাম। পুরুষদের মধ্যে আমার সেই ফাজিল বন্ধুরা গল্প করতে করতে খাচ্ছিল। স্ত্রীর কাছে আগেই শুনেছি, সকালে আমি যখন বাথরুমে ব্রাশ করছিলাম তখন ওদের একজন চোরের মতো ঘরে ঢুকে টেপ রেকর্ডারটা খাটের নিচ থেকে নিয়ে গেছে। আমাদের দুজনকে দেখে ওরা খেতে খেতে যেভাবে হাসার চেষ্টা করলো, তাতে মনে হলো সবার কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে। আমি বললাম, ‘কি রে খাওয়া দাওয়া কেমন হচ্ছে?’
‘ভালো।’
‘কোন সমস্যা নাই তো?’
‘না, না।’
‘খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে তোরা নিচে গিয়ে ড্রইংরুমে বসে টেপ রেকর্ডারে গান টান শুনিস। আমি একটু পরে তোদের জন্যে পান নিয়ে আসছি।’
এক বন্ধু খাওয়ার মধ্যে পানি খাচ্ছিল। আমার কথা শেষ হতেই বিষম খেয়ে সে চোখ মুখ লাল করে ফেললো। আমার স্ত্রীর আবার সেই ফিক ফিক হাসি। সাথে শাড়ির আঁচল দিয়ে ঢেকে গোপনে আমার বাঁ হাতে একখানা চিমটি।
*****************************************************************************
এই লেখাটি ইতিপূর্বে প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত। সামু ব্লগের বন্ধুরা যারা এটি পড়েননি, তাদের জন্য এই ব্লগে প্রকাশ করলাম।

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাক, সেই রাতের ভিডিও অনেকে দেখেছে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ।

ধন্যবাদ চাঁদগাজী।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
এত দেখছি একেবারে বাস্তব ঘটনার রম্য রচনা! পড়ে আনন্দ পাওয়া গেলো। যদিও মাল-মশলা কম হয়েছে। কিন্তু নিখাদ শৈলী রয়েছে। সংসার জীবনের অনেকটা সময় পাড়ি দিয়ে এসেছেন। সেই ফিক হাসি আজও কি শরীরে চিমটি কাটে ?

লেখাটিকে ভাললাগা রইলো।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তা' কাটে বৈকি। ভালোবাসা ছাড়া সংসার টিকে না। আর একটা কথা। লেখা ছোট হয়েছে ঠিকই। কিন্তু পড়ে যখন আপনি আনন্দ পেয়েছেন, তখন আমি খুশি।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

আম আদমি বলেছেন: ভাল লাগলো।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আম আদমি।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

নিমগ্ন বলেছেন: :-P =p~ :-P =p~ :-P =p~

লেখা পড়ে ১০০ ভাগ মজা পাইসি। কিন্তু ১ং মন্তব্য পড়ে ২০০ ভাগ মগা পাইসি। :-P =p~ :-P =p~ :-P =p~

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ নিমগ্ন।

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার লেখা মানেই মজা।

পড়ছি আর হাসছি =p~

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পড়ছেন আর হাসছেন, মানে এখনো পড়া শেষ হয়নি? আচ্ছা আগে পড়া শেষ হোক, তারপরে কথা বলা যাবে।

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হেনা ভাই, আপনার জীবনের সেই সরস কাহিনী গুলো আবারও পড়ার সুযোগ পেলাম!!! :)
খুব ভাল লাগছে! অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই!!!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কামরুন নাহার। এগুলো পুরনো লেখা। আর কিছুদিন পর নতুন লেখা দেওয়ার ইচ্ছা আছে।

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

প্রামানিক বলেছেন: হেনা ভাই এইতো এত দিনে একখান কাজের মত কাজ করেছেন। আবার আমরা জমজমাট আড্ডায় মেতে উঠতে পারবো। শুভ্চেছা রইল।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রামানিক ভাই, গতকাল আপনার কথাগুলো নিয়ে অনেকক্ষণ ভেবেছি। আজ সিদ্ধান্ত নিলাম, আপনার কথাই ঠিক। তবে আরও কিছুদিন পর নতুন লেখা দেব। শরীর ভালো থাকলে লিখে যাব ভাই।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯

জুন বলেছেন: আপনার রম্য পড়ে খুব হাসলাম আবু হেনা =p~ আর আমার লেখার লিংকটা দিয়ে গেলাম :)
ঘুঘু দেখেছো, ফাঁদ দেখো নি

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: : ধন্যবাদ জুন। লিঙ্ক খুলে পুরো লেখাটা পড়েছি এবং মনোমুগ্ধকর ছবিগুলো দেখে আপনার পোস্টে একটা মন্তব্যও দিয়েছি। ভারি সুন্দর পোস্ট।

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

দ্বীপ্ত সরকার বলেছেন: বাহ... এতদিন আগের কথা আপনার দেখি সব ই মনে আছে । নিশ্চয়ই মিস করছেন সেই দিনগুলি B:-/

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মাত্র তো ১৯৮৩ সালের কথা। এটা মনে না থাকার কোন কারণই নেই। ১৯৭১ সালে আমার বয়স যখন ১৬/১৭ বছর, তখনকার চার মাসের ঘটনা নিয়ে আমার আত্মজৈবনিক উপন্যাস স্বপ্ন বাসর প্রকাশিত হয়েছে ২০১১ সালে। ৭১ সালের সব ঘটনা আমার হুবহু মনে আছে।
ধন্যবাদ ভাই দীপ্ত সরকার।

১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: এরাই আমাকে জামা প্যান্ট পরিয়ে তোর ঘরে খাটের তলায় ঢুকিয়ে দিয়েছে........হা.....হা......হা......অনেকদিন পর প্রাণখুইলা হাসলাম। তবে এখন আর সেরকম ঘটনা ঘটেনা! সবকিছু কেমন যেন কৃত্রিম হয়ে গেছে!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তখনকার দিনে মজা করবার প্যাটার্নটা ছিল একরকম, এখন অন্যরকম। ছেলেমেয়েরা এখন মোবাইল আর ট্যাবের বোতাম টেপাটেপির মধ্যে আনন্দ পায়। ওই যে ফেসবুক আর ইউ টিউব। ব্লগে প্রকাশিত ভালো লেখাগুলিও পড়ে দেখে না। পড়ার অভ্যাসটা শেষ। অবশ্য এতে ছেলেমেয়েদের কিছু করার নেই। কারণ তারা কর্পোরেট কালচারের শিকার। সারা দুনিয়াতেই তথ্যপ্রযুক্তির জায়ান্টরা জাল ফেলে রেখেছে। এই লোভনীয় জালে পা না দিয়ে কী তাদের কোন উপায় আছে?

ধন্যবাদ মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম।

১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০১

সাহসী সন্তান বলেছেন: শিরোণামে রম্য লেখাটা দেখে ভাবছিলাম আমিও মন্তব্যে একটু রম্য রম্য ভাব আনার চেষ্টা করবো! কিন্তু ঘটনার সালটা পড়তেই আমারও আপনার বন্ধুর বিষম খাওয়ার মত অবস্থা! আরে ১৯৮৩ সালে আমার বাবাও যে বিয়ে করেনি! :`>


তবে আপনার পোস্টের এই ডায়ালগটা সব থেকে বেশি ভাল লেগেছে-
"ভাতার পেয়ে খুব যে হাসছিস রে ছুঁড়ি? আমার মত বুড়ি কি হবি না কোনদিন?" ;)

সম্পূর্ণ বাস্তব মিশ্রিত চমৎকার একটা রম্য লেখা! অনেক ভাল লাগলো! শুভ কামনা জানবেন!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয় সাহসী সন্তান, আপনাকে ধন্যবাদ। বয়সের বিপুল ব্যবধান স্বত্বেও একজন মানুষ আর একজন মানুষের বন্ধু হতে পারে। দয়া করে আমার ব্লগ বাড়িতে যান। সেখানে অনেক রম্য লেখা পাবেন। আশা করি, পড়ে হতাশ হবেন না।

১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৩

সুমন কর বলেছেন: হালকা মজা পেলাম।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: চমৎকার রম্য। অনেক মজা পেলাম।
এখনকার ছেলেপিলে হলে ভিডিও রেকর্ডার রেখে দিত!
ভাগ্য ভাল আপনার যে কিছু রেকর্ড করতে পারেনি।
আপনার বৌ তাইলে চরম বুদ্ধিমতি!
আপনার লেখার ধরন খুব ভাল লাগলো। অনুসরণ করলাম।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আরন্যক রাখাল। আশা করি, আমার আগের ও পরের লেখাগুলিও পড়বেন।

১৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


আরণ্যক রাখালের মন্তব্যটি পড়ে হাসলাম। সত্যিই বেঁচে গেলেন আবুহেনা ভাই :)


আপনার গল্পের অতিরিক্ত প্রাপ্তিটি হলো, সময়ের প্রতিচ্ছবি। পাঠক দু'তিন দশক আগের সময়কে দেখতে পাবেন।

অনেকদিন পর সামুতে লেখা দিলেন.... শুভ প্রত্যাবর্তন!!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগরত্ন মইনুল ভাই। আপনার কমপ্লিমেন্ট আমার কাছে হীরের টুকরার চেয়েও দামী। খুব ভালো লাগছে ভাই।

আপনি ঠিক বলেছেন। ফ্ল্যাশব্যাকের ঘটনা নিয়ে কোন বয়স্ক লেখক যখন লেখেন, তখন অনিবার্যভাবে তখনকার সময়ের প্রতিচ্ছবি ধরা পড়ে। এতে নবীনদের জন্যেও কিছু জানার আছে, শেখার আছে। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রানিত হলাম।

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অনেক ভাললাগল।

আপনার প্রত্যাবর্তনে খুশি হয়েছি অনেক। মজার মজার গল্প আবার নিয়মিত পড়তে পারবো।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মৃদুল শ্রাবন। অনেকদিন অসুস্থ ছিলাম তো! তাই অনলাইন থেকে দূরে ছিলাম। এখন নিয়মিত হবার আশা করছি। দোয়া করবেন।

১৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১২

ডি মুন বলেছেন: আমি টেপ রেকর্ডার বের করে ‘তোরা চলিস ডালে ডালে, আমরা চলি পাতায় পাতায়’ এই কথাগুলো বলে রেকর্ডিং বন্ধ করে টেপটা আবার আগের জায়গায় রেখে দিলাম।

--------------- B-)) হা হা হা B-))

খুব আনন্দ পেলাম রম্যরচনা পড়ে।

অনেকদিন বাদে আবার ব্লগে এলেন।
স্বাগতম। আশাকরি ভালো আছেন ?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই ডি মুন। এখন সুস্থই আছি। লেখা পড়ে আনন্দ পেয়েছেন জেনে আমারও আনন্দ হচ্ছে। আগে আপনি নিয়মিত আমার লেখা পড়তেন এবং চমৎকার সব মন্তব্য করতেন। আমার এখনো মনে আছে।

অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৭

জিয়া শামস সাকিব বলেছেন: বাহ ৷৷ অনেকদিন পর অতীতের স্বাদ পেলাম ৷ সেই কবে এমন শুনেছিলাম মামা খালাদের মুখে ৷ ভাল লাগল ৷৷

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই জিয়া শামস সাকিব। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:০০

শুভ্র বিকেল বলেছেন: হ্যা হ্যা হ্যা। হেনা ভাই, এখনো বিয়া করি নাই। সতর্ক হতে পারুম। সবারই এমন দু একজন বন্ধু আছে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দেখুন, এই লেখাটা তাহলে আপনার কত উপকার করলো! হাঃ হাঃ হাঃ ।

অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
হাহাহ!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ইমরাজ কবির। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এখন তো সব এই ভয়ে ই বক্স খাট বানায়
দারুন বাস্তব জীবন রম্যা ভাই :)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ও, তাহলে এই জন্যেই বক্স খাটের চল হয়েছে? হাঃহাঃহাঃ।

ধন্যবাদ বোন মনিরা সুলতানা। ভালো থাকুন শুভকামনা রইল।

২১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

আমিই মিসির আলী বলেছেন: ভালো লাগছে!
ধন্যবাদ কষ্ট করে এই ব্লগেও লেখাটা প্রকাশ করার জন্য! =p~


টেপ রেকর্ড এ একটা বিরহের গান দিয়ে দিলো ভালো হইতো!!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আমি মিসির আলি।

আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম।

২২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: মজা পেলাম।

যদিও হাসির উপাদান কম ছিল তবু আপনার লেখনভঙ্গী তা পুষিয়ে দিয়েছে। +

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ দিশেহারা রাজপুত্র। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

মারুফ তারেক বলেছেন: ভালো লাগল

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লেখাটি আপনার ভালো লাগায় ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০১

গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: ‘তোরা চলিস ডালে ডালে, আমরা চলি পাতায় পাতায়’ আপনার লেখা পড়ে হাসতে হাসতে শ্যাস হেনা ভাই =p~

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ গোল্ডেন গ্লাইডার।

শুভেচ্ছা নিন। ভালো থাকুন।

২৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

বিপরীত বাক বলেছেন: দারুণ ভাল লাগলো। কোন আতিশয্যতা নেআ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বিপরীত বাক। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বেশ লাগলো। ভালো রম্য রচনার এখন খুব অভাব। সেক্ষেত্রে এরকম লেখা আরও দরকার। লিখুন যাপিত জীবনের আরও রঙ্গ ব্যঙ্গ চিত্র নিয়ে। অনেক শুভেচ্ছা ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে আরও অনেক রম্য রচনা রয়েছে। একবার ঢুঁ মেরে দেখতে পারেন।

লেখা ভালো লাগায় ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার কাছে এসব আনন্দের নামে বিকৃত রূচি চরিতার্থ করা মনে হয়। এখনও কি এসব প্রথা প্রচলিত আছে? যা হোক, আপনি ভালোই টাইট দিছেন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এখন আর এসব প্রথা চালু আছে বলে মনে হয়না।

ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব। শুভেচ্ছা রইল।

২৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এক সময় আমাদের দেশে বিনোদন বলতে ওই বিয়ের অনুষ্ঠানই ছিল ।
যে সব মুরুব্বীরা নানা সময় বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনা , বেপর্দাসহ নানা অভিযোগে তরুণ তরুণীদের কোণঠাসা করে রাখতেন , বিয়ে উপলক্ষে তারাও এই সব না দেখার ভান করে থাকতেন ।

আত্মীয় বান্ধবরা অনেক দিন পর পর এই আনন্দ উদযাপনের সুযোগ পেতেন বলে , তাদের মনে প্রতিটা বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল দীর্ঘ স্মৃতিবাহী এক ানন্দময় অভিজ্ঞতা ।

চমৎকার অভিজ্ঞতার শেয়ার , ভাল লাগলো । আপনি দেখছি অনেকের পরিচিত , আমি প্রথম পরিচিত হতে পেরে আনন্দবোধ করছি ।
শুভ কামনা জানবেন ব্লগার ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের পুরোটাই সত্য। আগে বিনোদনের এসব ঘটনা মুরুব্বীরা অনেকটা উপেক্ষাই করতেন।

আপনার সঙ্গে পরিচিত হয়ে আমিও আনন্দিত। আশা করি, আমার আগের ও পরের লেখাগুলি পড়বেন।

আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভাল্লাগসে!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১০

অভিশপ্ত প্রেতাত্মা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো, হাসলাম প্রানখুলে আমার চেয়ে আমার বৌ লিখাটা পড়ে হাসল।
আমাদের দুজনের পক্ষথেকেই অনেক অনেক অভিনন্দন

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাদের দুজনকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.