নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা কি এত সহজ ছিল?

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০১

১৯২১ সালের ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১ জুলাই ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা কি এত সহজ ছিল?
না, মোটেও না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাতে প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে তার জন্য কিছু লোক প্রবল বিরোধিতা করে।
তারমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বিরোধী ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় আর রাজনীতিক সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী। তালিকা অনেক লম্বা। তারা ব্যঙ্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলতো, "মক্কা ইউনিভার্সিটি" বা "ফক্কা ইউনিভার্সিটি"

ইন্ডিয়ার ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জকে ১৯১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ড. রাসবিহারী ঘোষের নেতৃত্বে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে স্মারকলিপি পেশ করেন।

ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ এবং টাঙ্গাইলের নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী সহ আরো কয়েকজন প্রবল বিরোধিতার মুখে আপ্রাণ চেষ্টা করে ইংরেজ সরকারকে বাধ্য করেন ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইন পাস করতে। আইন পাস হলেও প্রবল বিরোধীদের শান্ত রাখার জন্য ইংরেজ সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্ৰতিষ্ঠার টাকা বরাদ্দ নিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। ব্যাপারটা এ রকম আইন পাস হলে কি হবে টাকা নাই বিশ্ববিদ্যালয় হবে না।



এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ তার নবাবীর অধিকাংশ জমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করে দেন। তাছাড়া নগদ অর্থ দান করেন।
এই ব্যাপারে প্রচণ্ড মানসিক চেপে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ মৃত্যুবরণ করলে টাঙ্গাইলের নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী হাল ধরেন।

এদের জমি, এদের টাকা, এদের শ্রম, এদের ঘাম, এদের জীবন এবং এদের মৃত্যুর উপর দাঁড়িয়ে আছে এই শত বর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি আপনাদেরকে।
আপনারা আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলেই আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হতে পেরেছিলাম। গভীর কৃতজ্ঞতা আপনাদের প্রতি।

ছবি: ইন্টারনেট

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো তর্কে যাবো না।

২| ০২ রা জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:০৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এখানে তর্ক আছে।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ৭:৪৩

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: আরও পড়া যাবেঃ-
More at
Q. M. Jalal Khan

৪| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যারা এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানে তারা এখানে আলোচনা করতে পারে। সত্য জানা দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.