নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারকিউমিনের স্বাস্থ্য উপকারিতা

০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:২৯



হলুদের প্রধান সক্রিয় উপাদান হল কারকিউমিন। হলুদ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উৎপাদিত হলেও এটি সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি বাংলাদেশে একটি নিত্য ব্যবহার্য মসলা।

হলুদের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। এটি প্রায় ৪০০০ বছর ধরে ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে হলুদের উপকারিতা নিয়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে ব্যাপক গবেষণা হচ্ছে। গবেষকরা দেখেছেন হলুদ অনেক অসুখের নিরাময় করতে পারে। এতে উন্নত দেশগুলিতে ওষুধ হিসাবে হলুদের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। হলুদের মূল উপাদান কারকিউমিন নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হচ্ছে।



কারকিউমিন হল একটি সূক্ষ্ম জৈব সক্রিয় উপাদান। এই উপাদানের কারণেই হলুদের রং এমন হলুদ। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বিজ্ঞানীরা হলুদের মধ্যে কারকিউমিন আবিষ্কার করেন। ১৯৪৯ সালে গবেষকরা কারকিউমিনের ব্যাকটেরিয়ারোধী প্রভাব প্রথম আবিষ্কার করেন। পরবর্তী গবেষণায় জানা যায় যে এটিতে প্রদাহরোধী, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কার্যকারিতা রয়েছে।

উপকারিতা:



কারকিউমিনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। প্রাচীন কাল থেকে চর্মরোগ, উপরের শ্বাসযন্ত্রের ট্র্যাক্টের ব্যাধি, জয়েন্টে ব্যথা, হজমের সমস্যা এবং আরও অনেক কিছুর চিকিৎসার জন্য হলুদ ব্যবহার করা হতো। আধুনিক গবেষণায় উল্লেখিত অসুখ নিরাময়ে হলুদের কার্যকারিতার কিছু প্রমাণ এবং বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে।

নিম্নলিখিত অসুখগুলির ক্ষেত্রে কারকিউমিনের উপকারিতা লক্ষ্য করা গেছে:



আর্থ্রাইটিস উপসর্গ উপশম:

কারকিউমিন অস্টিওআর্থারাইটিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস উভয় অসুখের ক্ষেত্রে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে কারকিউমিনের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে প্রদাহ জনিত শরীরে লাল ভাব, ফোলা ভাব, আক্রান্ত জয়েন্টে গরম ভাব, জয়েন্টে ব্যথা এবং জয়েন্টের শক্ত হয়ে যাওয়া প্রশমন করতে পারে।

চোখের অসুখ:

গবেষণায় দেখা গেছে যে কারকিউমিন প্রদাহজনক এবং অবক্ষয়জনিত (degenerative) চোখের অসুখ নিরাময়ের ক্ষেত্রে উপকারী। আরেকটি ছোট আকারের গবেষণায় দেখা গেছে যে কারকিউমিন চোখকে সুস্থ রাখতে এবং চোখের কিছু রোগের চিকিৎসার জন্য উপকারী।



কিডনির সুখ:

কারকিউমিন কিডনির জন্য উপকারী হতে পারে। বিশেষ করে কিডনিতে আঘাত পেলে এটা নিরাময়ের জন্য কারকিউমিন উপকারী হতে পারে। এটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

হে ফিভার উপশম:

হে ফিভার এবং অন্যান্য মৌসুমি অ্যালার্জির লক্ষণগুলি কারকিউমিন খাওয়ার মাধ্যমে কমতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে হাঁচি, চুলকানি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

সম্ভাব্য ক্যান্সারের চিকিৎসা:

কারকিউমিন ক্যান্সার প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করতে পারে এমন পর্যাপ্ত প্রমাণ গবেষকদের হাতে নাই। তবে বর্তমানে এর উপর বেশ কিছু গবেষণা চলছে। কয়েকটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে কারকিউমিন ক্যান্সার কোষের সংখ্যাবৃদ্ধির ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে।



পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

কারকিউমিনের খুব কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে বলে জানা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে অত্যন্ত উচ্চ মাত্রায় কারকিউমিন গ্রহণ করলে কারো কারো ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এবং হলুদ পায়খানা হতে পারে।

পরিমাণ এবং ডোজ:

কারকিউমিন এখনো বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত কোন ওষুধ না। তাই এর পরিমাণ বা ডোজ এখনো নির্ধারিত হয় নাই। খাবারের সাথে, তরকারির সাথে এমন কি দুধের সাথে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। তবে বাজারে বড়ি এবং ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায়। এইগুলি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নেয়া উচিত।

কারকিউমিনের অনুমোদিত দৈনিক গ্রহণ (ADI) মান ইউরোপীয় খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ দ্বারা নির্ধারিত হয়েছে ০-৩ মিলিগ্রাম প্রতি কিলোগ্রাম শরীরের ওজন, বা প্রায় ০-১.৪ মিলিগ্রাম প্রতি পাউন্ড।



কেউ যদি দৈনিক খাবার তালিকায় বেশি কারকিউমিন যোগ করতে চান তাহলে সবচেয়ে সহজ উপায় হল প্রতিদিন নানা ভাবে বেশি বেশি হলুদ খাওয়া।

ছবি: ইন্টারনেট

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৪৯

শায়মা বলেছেন: শরীরের জন্য উপকারী আবার হলুদ দিয়ে রুপচর্চাও করা হয়।

আসলে হয়ত স্কিনের জন্য ভালো বলেই এটা দিয়ে রুপচর্চা সেই আদিকাল থেকে শুরু হয়েছিলো।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ আমি জানি।
কাঁচা হলুদ আমার কন্যাকে খাইয়েছি।, উপকার পেয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.