নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্রভাই চিন্তা ও সামাজিক মাধ্যমে অসামাজিক WWE রেসলিং!!!

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৪


গতপরশু ইউটিউবে ধর্মীয় উগ্রতা নিয়ে ভারতের দুজন নামকরা বুদ্ধিজীবীর এক বিশ্লেষণমূলক ভিডিও দেখে তাতে একটি আঁতেলীয় মন্তব্য করলাম। যেহেতু ভারতীয় চ্যানেল, সেখানে ভারতের নানাধরণের মানুষের নানামুখি আলোচনা। একটি উগ্রতাকে (ছাত্রভাই বা তালেবান) ব্যাখ্যা করতে, আরেকটি উগ্র গোষ্ঠীর (রাষ্ট্রীয় সয়ংসেবক বা আরএসএস) উল্লম্ফনে রীতিমত কুরুক্ষেত্র। মন্তব্যে যেহেতু দুই উগ্র গোষ্ঠীর চিন্তা-ভাবনার কঠিনভাবে দ্বিমত পোষন করেছি। আর যাই কোথায়। পান্ডব ও কৌরব যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে একত্রে চেপে ধরেছে। দুই বিলাইকে ঝগড়ারত অবস্থায় গায়ের উপর পানি ছিটিয়ে দিলে নাকি মহামারামারিতে রূপ নেয়। এখানে আমার মন্তব্য পানির কাজ করেছে, তবে তা নিজেদের মধ্যে নয়...আমি কেন মন্ত্রপূত পানি ছিটিয়ে দুই দলের মসৃন ও ত্যালত্যালে ব্যাটলফিল্ড কর্দমাক্ত করলাম? তাই আমাকেই...পালিয়ে বাঁচলুম? কুরুক্ষেত্র থেকে পশ্চাদ্দেশের চামড়া সহিসালামতে বজায় রেখে পশ্চাদপসরণ করলেও এখন দেখছি দুইপক্ষের বাণে সামান্য কিছু সংখ্যাক খোলা আকাশের উদারতা নিয়ে আত্নাহুতি দেয়ার জন্য আমার পক্ষ হয়ে লড়ে চলেছে। কী ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা?

এখানে একটি জিনিস লক্ষ্যনীয় যে, এই সামাজিক মাধ্যমগুলো কীভাবে হিউম্যান সাইকিকে প্যারানয়েড করে দিচ্ছে দিনকে দিন তা যেন ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য অশনি সংকেত! আগে শুধু পরিবার ও সমাজ থেকেই এই ভয়ঙ্কর বীজ বপন হত। এখন এটার গ্লোবালাইজেশন ঘটছে সামাজিকতার ভার্চুয়াল আচ্ছাদনে। এক তালেবানী মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনা ভারতসহ বিশ্বের কয়েক কোটি লোককে আরো বেশি ইসলামবিদ্বেষী করে তুলছে। প্রতিক্রিয়ায়, আরএসএস/জায়নিস্ট/পশ্চিমা হেইট স্পিচ গোষ্ঠীর উগ্র কর্মকান্ড বিশ্বের কয়েক কোটি মুসলিমকে আরো বেশি অন্যধর্মবিদ্বেষী করে গড়ে তুলছে। এ যেন ‘ভিসাস সার্কেল’।

এইসব উগ্রতার মাঝে সেইন ভাবনার মানুষের সংখ্যা প্রতিনিয়ত টপাটপ পটল তুলছে টিকতে না পেরে। রাষ্ট্র ব্যবস্থাও বলতে গেলে অসহায়। কারণ জনমতের উপরই গণতান্ত্রিক সরকারগুলো প্রতিষ্ঠিত, সেই জনমত ‘উগ্র নাকি সৌম্য’ তা রাষ্ট্র নামের বিমূর্ত এনটিটি জানার কথাও নয় (তাই বলে বাংলাদেশের মতো উচ্চমার্গীয় গণতন্ত্র এখানে বিবেচ্য নয়?)।



হিউম্যান সাইকির একটি বড় গুণ(!) হচ্ছে নিজের প্রোথিত মতামতকে শ্রেষ্ঠ বিবেচনায় নিয়ে অন্যকেও তা মন্ত্রপাঠ করানো। গুটিকয়েক মহামানব বাদে আমরা কেউই এর বাইরে নেই। এ যেন নিজেকে শ্রেষ্ঠ ব্রিডের হর্স বিবেচনায় নিয়ে (যদিও আদতে খচ্চর!) অন্য সকল ব্রিডকে নিজের দলভুক্ত করা। না চাইলে লাথথি গুতো কিংবা ধাক্কাইতে ধাক্কাইতে স্বর্গ দেখাতে চাওয়া। এখানে ‘তোমরা’ ও ‘আমরা’ গোষ্ঠী ভালো ও মন্দের ফারাকের চেয়ে নিজেদের মতকেই অধিষ্ঠান করার জন্য সর্বসব শক্তিতে নিয়োজিত।

কিন্তু আমরা ভাবি না, যে চিন্তায় সমাজের অসহিষ্ণুতা কমবে; যে ভাবনায় মানুষের জীবনযাত্রার সামষ্ঠিক উন্নতি ঘটবে; যে কর্মকান্ডে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে বেগ পেতে হবে না; যে ধারণায় সমাজের কূপমূণ্ডুকতা দূর হবে; যে বিশ্বাস সমাজ ও জাতির দুষ্টুক্ষতগুলো দূরীভূত করে এক সুখী ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনের পাথেয় হবে, সে সকল চিন্তা, ভাবনা, কর্মকান্ড, ধারণা ও বিশ্বাস যেন কর্পূরের মতো উবে যেতে বসেছে সমাজ থেকে।

অশ্বডিম্ব সদৃশ চিন্তার শ্রেষ্ঠত্ব, কর্মের শ্রেষ্ঠত্ব, জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব বাস্তবে আমাদের যে আরো অধিক নিম্নস্তরের মনুষ্যগোষ্ঠীতে পরিণত করছে তা ভেবে বের করার মতো মেধা বা প্রজ্ঞাও অবশিষ্ট নেই। কারণ মেধা, মনন, প্রজ্ঞা কিংবা জ্ঞান অর্জনের জন্যেও আপনাকে পড়তে হবে, জানতে হবে, বুঝতে হবে। আর এই পড়া, জানা, বুঝার জন্যও দরকার একটি অতি উদারনৈতিক বিস্তৃত বিশাল খোলা আকাশের মতো মন। আর এই খোলা আকাশসম মনটার বীজ বপন হবে পরিবারে। এখন একটি প্রশ্ন, আমাদের পরিবারগুলো কিংবা শিক্ষাব্যবস্থা কী এই ধরনের বীজ সরবরাহ করছে জাতির মাঝে? উত্তর সকলের জানা।

আর এই কারণেই আমরা শিক্ষিত হচ্ছি দুভাবে: সুশিক্ষিত ও কুশিক্ষিত। এই কুশিক্ষিত দল এখন ডেসটিনির ডান-বাম হাতের মতোই চক্রাকারে বাড়ছে। এর প্রতিফলন হিসেবেই দেখছি সামাজিক মাধ্যমে অসামাজিক রেসলিং-এর ক্যারিকেচার। আর এর ভয়ঙ্কর দিক হচ্ছে এরা ভার্চুয়াল রেসলিং থেকে মাঝে মাঝেই বাস্তবের দুনিয়াতেও তার বাস্তব প্রতিবিম্ব প্রতিষ্ঠা করছে দেশে-দেশে, জাতিতে-জাতিতে প্রতিনিয়ত! এ থেকে মুক্তির পথ কী হতে পারে…?
******************************************************************
আখেনাটেন-সেপ্টেম্বর/২০২১
ছবি: pexels.com

মন্তব্য ৬৩ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪০

হাবিব বলেছেন: মেলা দিন পরে পোস্ট করলেন। আশা করি ভালো আছেন।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: হুম; ভালো...আপনাকে তো চেনা চেনা লাগছে...হাবিব স্যার না..। 'আসসালামুআলাইকুম স্যারজি'... তা আপনার লেজের 'স্যার' কই গেল?

ভালও আছেন নিশ্চয়...

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৯

মিরোরডডল বলেছেন:




কিন্তু আমরা ভাবি না, যে চিন্তায় সমাজের অসহিষ্ণুতা কমবে; যে ভাবনায় মানুষের জীবনযাত্রার সামষ্ঠিক উন্নতি ঘটবে; যে কর্মকান্ডে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে বেগ পেতে হবে না; যে ধারণায় সমাজের কূপমূণ্ডুকতা দূর হবে; যে বিশ্বাস সমাজ ও জাতির দুষ্টুক্ষতগুলো দূরীভূত করে এক সুখী ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনের পাথেয় হবে, সে সকল চিন্তা, ভাবনা, কর্মকান্ড, ধারণা ও বিশ্বাস যেন কর্পূরের মতো উবে যেতে বসেছে সমাজ থেকে।

তাই যদি হতো, তাহলে কোন প্রবলেম আর থাকতো কি !
ওটা একটা স্বপ্ন মাত্র । তারপরও এই কথাগুলো পড়তে ভালো লেগেছে ।

এই সামাজিক ব্যধি আগেও ছিলো কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার কারনে এর অতিমাত্রায় বহিঃপ্রকাশ হয়েছে ।

এ থেকে মুক্তির পথ কী হতে পারে…?

কি হতে পারে আনা ?
কেমন করে কুশিক্ষিতদের সুশিক্ষিত করা যায় ।
কে বা কারা করবে ।
এটাতো সবার দায়িত্ব ।
মনন মানসিকতার পরিবর্তন আনা খুব কঠিন ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৫

আখেনাটেন বলেছেন: তাই যদি হতো, তাহলে কোন প্রবলেম আর থাকতো কি ! ---- ঠিক যে, ইউটোপিয়ান সমাজ তৈরি একটি স্বপ্ন। কিন্তু সেই ভাবনার আংশিক বাস্তবায়নেই তো ইউরিপিয়ান সমাজ গড়ে উঠেছে নাকি? তাহলে তারা পারলে আমাদের সমস্যা কোথায়?

এই সামাজিক ব্যধি আগেও ছিলো কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার কারনে এর অতিমাত্রায় বহিঃপ্রকাশ হয়েছে। --- সেটাই...এই মাধ্যম এখন আগুনে ঘিয়ের কাজ করছে...। :|

কেমন করে কুশিক্ষিতদের সুশিক্ষিত করা যায় ।
কে বা কারা করবে ।
এটাতো সবার দায়িত্ব ।
--- না, সবার দ্বায়িত্ব না। এটির জন্য প্রথমে পরিবার ও শেষে রাষ্ট্রব্যবস্থা নীতিগত পরিবর্তন দরকার। কান টানলে মাথা আসে...রাষ্ট্র সঠিক থাকলে, এর অঙ্গগুলোও সঠিকভাবে কাজ করার কথা। তেঁতুল গাছ লাগিয়ে লিচু আশা করলে তা কি সম্ভব?

অনেকদিন পর..ভালো আছেন নিশ্চয়......

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৩

হাবিব বলেছেন: ব্লগে স্যার নিয়া একবার ভালোই ক্যাঁচাল লাগছিলো। কয়দিন তো ভালোই আলোচনা সমালোচনা হইছে এই নিয়া। তাই আমি আর স্যার নাই। ছাত্র হইয়া গেছি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: :( ....... তাই নাকি......। জগৎ সংসার বড়ই বিচিত্র।

যাহোক, ভালো থাকুন। আনন্দে থাকুন।

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১০

জাদিদ বলেছেন: ভালো বলেছেন, দ্বিমত করার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের অবস্থা আরো সামনে কঠিন হবে। সুস্থ মননশীলতা গড়ে উঠছে না। ধর্মীয় তালগাছবাদীদের দৌরত্ব বেড়ে চলেছে। আপনি বলেছেন, তালেবানদের কারনে ইসলাম ফোব বা বিদ্বেষ আরো বৃদ্ধি পাবে। এটা এই মুহুর্তে সত্য কথা। কারন তালেবানরা নিজেদেরকে যতই পরিবর্তনশীল বা অন্য কিছু বলুক না কেন, তাদের অতীত খুব একটা ভালো না। এরা রাজনৈতিক দল নয় বরং যোদ্ধা। আর এই যোদ্ধা দলে অনেক কট্টর ও জঙ্গীবাদী মনোভাবের লোকজন আছে। ফলে এই গোষ্ঠি যখন দাবি করবে তারা পরিবর্তিত হয়েছে - সেটা এক কথায় বিশ্বাস করবে ধর্মান্ধ শ্রেনীর লোকজন।

একটা জঙ্গী গোষ্ঠি একদিনে আমুল পরিবর্তন হয়ে যাবে, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বর্তমান যুগের সাথে মিল রেখে যদি ইসলামের আদর্শগুলোকে তারা এপ্লাই করতে পারে, তখন বুঝা যাবে তালেবান কতটা পরিবর্তন হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে তাদের উপর আমার আস্থা আপাতত নেই। ইসলাম চিরকাল উদারতার কথা বলেছে। তালেবান আর উদারতা ব্যাপারটা তাদের অতীতের কারনেই যায় না।

আফগানী জনগন ধর্ম প্রাণ। কিন্তু তারা স্বেচ্ছায় তালেবানদেরকে বেছে নেয় নাই। তালেবান ক্ষমতায় কেন আসছে এটা সবাই বুঝলেও কিছু প্রাণী বুঝবে না। তারা এটাকে ইসলামের বিজয় হিসাবে দেখে স্বমেহন করে খুশি থাকছে। আফগানী জনগন ভোট দিয়ে যদি তালেবানের চাইতেও বর্বর কাউকে ক্ষমতায় আনে আমি সেটা মেনে নিতে রাজি আছি। কারন সেটা সেই দেশের জনগনের ইচ্ছের প্রতিফলন।

তবে ব্লগে এখন অনেক চিন্তাবিদ ও তার্কিক এসেছেন। তারা বিভিন্ন যুক্তিতর্ক, উইকিপিডিয়ার রেফারেন্স প্রয়োজনে হাদীস সহ আরো অন্যান্য কিছু দিয়ে আপনাকে পই পই করে ইসলামে বিতর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের সহী ব্যাখ্যা আপনাকে পৌঁছে দিবে। আপনি যৌক্তক দ্বিমত করে কোন সুবিধা করতে পারবেন না। কারন দিন শেষে তালগাছটি তাদেরই দখলে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: বাংলাদেশের অবস্থা আরো সামনে কঠিন হবে। --- শতভাগ সহমত। খুঁটিতে দড়ি দিয়ে বাধা ছাগল এখন পাক খাচ্ছে। যত পাক, তত কাছে আসা..মানে অবনমন...এর শেষ কীভাবে হয় কিংবা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা নিয়ে এখনই জাতির ভাবা দরকার...।

তালেবানদের কারনে ইসলাম ফোব বা বিদ্বেষ আরো বৃদ্ধি পাবে। --- এটা এখন প্রমাণিত..বিশেষ করে ভারতের গত কয়েকদিনের উগ্র কর্মকাণ্ডের বাড়বাড়ন্ত তাই ইঙ্গিত করে..

এই যোদ্ধা দলে অনেক কট্টর ও জঙ্গীবাদী মনোভাবের লোকজন আছে। --- এটাই বিশ্বের চেয়ে মুসলিম সমাজের জন্য অশনি সংকেত...

ব্যক্তিগতভাবে তাদের উপর আমার আস্থা আপাতত নেই। ইসলাম চিরকাল উদারতার কথা বলেছে। তালেবান আর উদারতা ব্যাপারটা তাদের অতীতের কারনেই যায় না। --- আপনার সাথে যে কোনো বিচার বিবেক সম্পন্ন মানুষই একমত হবে এ ব্যাপারে।

আফগানী জনগন ধর্ম প্রাণ। কিন্তু তারা স্বেচ্ছায় তালেবানদেরকে বেছে নেয় নাই। তালেবান ক্ষমতায় কেন আসছে এটা সবাই বুঝলেও কিছু প্রাণী বুঝবে না। তারা এটাকে ইসলামের বিজয় হিসাবে দেখে স্বমেহন করে খুশি থাকছে। আফগানী জনগন ভোট দিয়ে যদি তালেবানের চাইতেও বর্বর কাউকে ক্ষমতায় আনে আমি সেটা মেনে নিতে রাজি আছি। কারন সেটা সেই দেশের জনগনের ইচ্ছের প্রতিফলন। ---- আফগানিস্তান নিয়ে ভবিষ্যতে আরো জল ঘোলা হবে। তালেবানকে ক্ষমতায় টিকে রাখার জন্য পাকিস্তান, চীন ও রাশিয়া, ইরান চেষ্টা করবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, ভারত চাইবে না। আর এর জন্য তারা নানারকম অবরোধের মাধ্যমে তালেবানের রাষ্ট্র পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত করবে কিংবা তালেবানের চিন্তা চেতনায় আমূল পরিবর্তনের জন্য জোর করবে...এতে আগের মতোই মধ্যস্ততাকারী হিসেবে থাকবে কাতার ও কিছুক্ষেত্রে তুরস্ক। পরিবর্তনের মাধ্যমে পশ্চিমাদের সাথে তাল মেলাতে পারলে টিকে যাবে। যাই ঘটুক.....উগ্র ভাব ধারার অবসান হোক...নিজেরা শান্তিতে থাকুক....দেশি ছাত্রভাইরাই নিজেদের বুঝুক...

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে ভালো লাগলো। আশা করি ভালো আছেন।
আমিও ভালো আছি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো; :D

পরী ও ফাইহাও ভালো আছে নিশ্চয়।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩২

জাদিদ বলেছেন: সরকার যে সকল কারন দেখিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছিলো, সেটা অযৌক্তিক এবং অগ্রহনযোগ্য। শুধুমাত্র রাজনৈতিক অস্থিরতার ভয়ে আমাদের তরুন প্রজন্মকে প্রায় পঙ্গু করে দেয়া হলো। এটার প্রভাব বুঝতে আপনার আগামী কয়েক বছর লাগবে।

বর্তমান প্রজন্মের কত শতাংশ অবসরে ফেসবুক, টিকটক বা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার না করে বই পড়ে? এরা বড় হচ্ছে বিকৃতরুচি ও স্বস্তা সব জিনিসপত্র শিখে। এদের কাছে সকালে আপনি ভালো তো বিকালে আপনি খারাপ। ভয়াবহ নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা।

ধর্ম আমাদের জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ন অংশ। খোদ ধর্মেই বলা আছে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে। ধর্ম শেখায় উদারতা, বিনয়, নিয়ম শৃংখলা। কেউ মানে আবার কেউ ইচ্ছে করে ভুল করে আবার কেউ অপব্যাখ্যা করে। ফলে ধর্ম ব্যবসা, অস্থিরতা, অন্যকে হেয় করা, অন্য ধর্মের মানুষকে শ্রদ্ধা না করা ইত্যাদি সব বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ ধর্মের নামে শিখছে ধান্দাবাজি। এরা সৃষ্টিকর্তার সাথেও ফটকাবাজী করে। যেমন ধরেন ফেসবুকে কোন যৌনাবেদনময়ী মেয়ের ছবি এড়িয়ে না গিয়ে সেখানে এক নজর দেখে কমেন্ট করে - তুমি নামাজের পথে এসো, তুমি দ্বীনের পথে এসো, আমি তোমাকে গ্রহন করব, বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিবো।

এক নজর কেন দেখে? কারন এক নজর দেখা পর্যন্ত নাকি অনুমুতি আছে। একনজর মানে হচ্ছে চোখের পলক ফেলা পর্যন্ত সময়। ফলে এখানে ঘটে পড়েনা চোখের পলক টাইপের অবস্থা। আপনি যদি বলেন তুমি ভাই ঐ বেগানা মেয়ের ছবিতে গিয়ে কেন লিখেছ তুমি নামাজ পড়, দ্বীনের পথে এসো? আমাদের বিশিষ্ট ইসলামিবিদরা আপনাকে বলবে - ইসলাম বলছে দাওয়াত দিতে। ইসলামে দাওয়াত দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ন বিষয়।

আমি পুরানো ঢাকার কয়েকটি বিখ্যাত মসজিদে একটু দেরী করে গেলে বসবার জায়গা পাই না। একবার সাড়ে ১২টায় গিয়ে দেখি আমার সামনে দখলদার হাজি সেলিম আর উনার পাশে আরেক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী যে কিনা ভেজাল দেয়ার জন্য তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করছে। মসজিদে টাকা লাগবে, সবার আগে তারা হাত উঠাইয়া বইসা রইছে। হুজুর বলে জোরে বলেন আমিন!

এমপি সাহেবের পিছনে যে পোলাপাইনগুলো নামাজ পড়তে আসছে, এই সবগুলোরে এলাকার মানুষজন চিনে। এদের রেপুটেশন ভালো না। আমরা লালবাগবাসী নামে একটা গ্রুপ আছে ফেসবুকে। সেখানে ইভ টিজির করার অপরাধে বহিস্কার করা কয়েকজন শুক্রবারে পোষ্ট দেয় জুম্মা মোবারক! আর মক্কা শরীফের ছবি দিয়া বলে - আমার জান!!

এলা বুঝেন কি জটিল সমীকরনের মধ্যে আছি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: :(( :((

জাদিদ ভাই.....এ মন্তব্য কি আমার জন্য বরাদ্দ হয়েছে.....মনে হচ্ছে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন.....। :P

তবে কথা মন্দ বলেন নাই।

৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: সামাজিক মাধ্যমে এই সব উগ্রতা দেখানোর পেছনে একটু খুব সহজ কারণ হচ্ছে পিসির সামনে বসে নিরাপদে থেকে তা ইচ্ছে তাই বলে ফেলা যায় ! আমরা যখন সামনের কারো সাথে কথা বলি কোন আচরন করি তখন সেখানে আমার মাঝে একটা অনুভূতি কাজ করে যে সামনের লোকটার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে । এই জন্য চাইলেই যে কাউকে আমরা সরাসরি গালি দিতে পারি না, মুখে যা ইচ্ছে তাই বলতে পারি না । হাত মুখে অক্ষত রাখা নিয়ে টেনশন করতে হয়। কিন্তু অনলাইনে এই ব্যাপারটা একদমই বলতে গেলে অনুপস্থিত । যা ইচ্ছে তাই বলা যায় এবং নিরাপদেও থাকা যায় !

এই উগ্রতা কামনোর উপায় আপাতত নেই । এমন একটা সিস্টেম যদি থাকতো যে সামাজিক মাধ্যমে প্রবেশের পূর্বে মানুষকে কিছু ধর্য্যশীলতা সহনশীলতার টেস্ট দিয়ে পাশ করলেই তবে একাউন্ট খোলার অনুমুতি দেওয়া হত তাহলে কাজ হত কিছুটা ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২১

আখেনাটেন বলেছেন: সামাজিক মাধ্যমে এই সব উগ্রতা দেখানোর পেছনে একটু খুব সহজ কারণ হচ্ছে পিসির সামনে বসে নিরাপদে থেকে তা ইচ্ছে তাই বলে ফেলা যায় ! --- ঠিক....তবে সকলেই কি সেভাবে বলতে পারে? যাদের চিন্তার দৈনতা রয়েছে তারাই এরকম ডাবল এজেন্টের মতো আচরণ করতে পারে। ভালো ও মন্দ নিয়ে ভালোমতো পরিবার থেকে গ্রুমিং হলে এরকম সাইকো আচরণ করা ততটা সহজ নয়।

বাবা-মা যদি উগ্র/অসৎ চিন্তার লোক হয়...শিশু তাহলে কোন চিন্তার হবে? সমস্যার ওখানেই রুট।

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:১০

জাদিদ বলেছেন: অপু তানভীর বলেছেন "সামাজিক মাধ্যমে প্রবেশের পূর্বে মানুষকে কিছু ধর্য্যশীলতা সহনশীলতার টেস্ট দিয়ে পাশ করলেই তবে একাউন্ট খোলার অনুমুতি দেওয়া হত তাহলে কাজ হত কিছুটা ।"

আচ্ছা অপু তুমি কেন সোশ্যাল মিডিয়াতে উগ্র নও? কেন তুমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহনশীল ও বিবেচক?
কারন - তুমি সঠিক পড়াশোনা করেছে, নানা ধরনের মানুষের সাথে মেলামেশা করেছ, যাদের মধ্য থেকে তুমি ভালোমন্দ বাছাই করতে পেরেছ। এইগুলো সেকেন্ডারি কারন। প্রাইমারি কারন হলো তোমার ফ্যামিল। তোমার পরিবার ও তোমার কষ্ট অর্জিত শিক্ষা তোমাকে এই ধরনের আচরন থেকে দুরে থাকতে সাহায্য করেছে।

কিন্তু তুমি তো ছাত্রছাত্রী নিয়ে কাজ করো, আমাকে বলো - তোমাদের সময় বা আমাদের সময় আমরা যে নুন্যতম নৈতিকতা শিক্ষার মধ্য দিয়ে গেছি, সেটা কি এখন আছে? আজ থেকে ১০ বছর আগেও ছেলেপেলেরা মুরুব্বিদের সামনে সিগারেট খেত না। সেই সম্মানবোধ, শিক্ষা এখন বর্তমানে নাই।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: প্রাইমারি কারন হলো তোমার ফ্যামিল। তোমার পরিবার ও তোমার কষ্ট অর্জিত শিক্ষা তোমাকে এই ধরনের আচরন থেকে দুরে থাকতে সাহায্য করেছে। -- সহমত।

৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইসলামিক নিয়ম-কানুন কোন ধরণের রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য উপযুক্ত নয়; ইসলাম অশিক্সিত ব্যক্তিদের নিয়ে একটা শ্রেণী সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ঠ মাত্র।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬

আখেনাটেন বলেছেন: প্রত্যেক ধর্মই মানুষকে ন্যায়পরায়ণ হতে বলেছে, উদারতার কথা বলেছে। ধর্মীয় টেক্সটগুলোতে এ নিয়ে হাজারবার বলা হয়েছে। কিন্তু মানুষ এগুলোর অপব্যাখ্যা দ্বারা কিংবা নিজেদের মন-মর্জিমতো ব্যাখ্যা দ্বারা আধুনিক সমাজের সাথে একটি দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক তৈরি করেছে। ফলেই সহনশীল মানবিক পরিবেশ দূরীভূত।

ইসলামিক নিয়ম-কানুন কোন ধরণের রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য উপযুক্ত নয়; --- 'কোনো ধরনের রাষ্ট্র নাকি 'আধুনিক রাষ্ট্র' পুরোপুরি পরিচালনা সম্ভব নয়। তবে আইরনি হচ্ছে, বিশ্বের অনেক আধুনিক রাষ্ট্রই কিন্তু ধর্মের অনেক নীতি তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার সাথে অঙ্গিভূত করেছে। ইভেন, বাংলাদেশেও কিন্তু কিছু 'শরিয়া আইন' বলবৎ। ভারতও ব্যতিক্রম নয়। এমনকি, আপনার 'যুক্তরাষ্ট্র'ও...এগুলো কীভাবে দেখছেন?

১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:১১

জাদিদ বলেছেন: হা হা হা । না আখেনাটেন ভাই আপনার জন্য না। তবে দেখা যাক, স্লিপে কে আউট হয়।
অনেকদিন পর ব্লগে ব্লগার হিসাবে সময় দিচ্ছিলাম। শুরুতেই আপনার পোস্ট পেয়ে ভালো লাগল। আশা করি নিয়মিত হবেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

আখেনাটেন বলেছেন: :D


ভালো লেগেছে আপনাকে মন্তব্যের ঘরে পেয়ে.......। দেখি.............

১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: জাদিদ বলেছেন: আমি পুরানো ঢাকার কয়েকটি বিখ্যাত মসজিদে একটু দেরী করে গেলে বসবার জায়গা পাই না। একবার সাড়ে ১২টায় গিয়ে দেখি আমার সামনে দখলদার হাজি সেলিম আর উনার পাশে আরেক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী যে কিনা ভেজাল দেয়ার জন্য তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করছে। মসজিদে টাকা লাগবে, সবার আগে তারা হাত উঠাইয়া বইসা রইছে। হুজুর বলে জোরে বলেন আমিন!

এমপি সাহেবের পিছনে যে পোলাপাইনগুলো নামাজ পড়তে আসছে, এই সবগুলোরে এলাকার মানুষজন চিনে। এদের রেপুটেশন ভালো না। আমরা লালবাগবাসী নামে একটা গ্রুপ আছে ফেসবুকে। সেখানে ইভ টিজির করার অপরাধে বহিস্কার করা কয়েকজন শুক্রবারে পোষ্ট দেয় জুম্মা মোবারক! আর মক্কা শরীফের ছবি দিয়া বলে - আমার জান!!

এলা বুঝেন কি জটিল সমীকরনের মধ্যে আছি |


অপ্রিয় হলেও এটাই চরম সত্য।
ধর্মের লাগামটা সৎ ও প্রকৃত ধার্মিকদের হাত থেকে ভন্ড, শট, লম্পট ও দুর্নীতিবাজদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে অনেক আগেই।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: ধর্মের লাগামটা সৎ ও প্রকৃত ধার্মিকদের হাত থেকে ভন্ড, শট, লম্পট ও দুর্নীতিবাজদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে অনেক আগেই। --- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাই...........। এ নিয়ে এই লেখাটি লিখেছিলাম আগে।

এরা একবারও ভাবে না...এর ফলে কনসিকোয়েন্সটা কী হতে পারে?

১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেক দিন পর মিশরের সম্রাটকে ব্লগে দেখে খুশি হলাম,বলতে লগ ইন করলাম। তালিবানিদের উত্থানে ভারতের মুসলিমদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়।বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থা অনেকটাই ভিন্ন। কিন্তু সেসব কে তুচ্ছ জ্ঞান করে অবশ্য দৃষ্টি শক্তির গভীরতা না থাকায় একশ্রেণীর মুসলিমদের তালিবানিদের উত্থানের সঙ্গে ইসলামকে সাঙ্গীকরণে মেতে উঠেছেন। সেখানে বরং সহমত না দিলে ধর্মবিদ্বেষীর তকমা পাওয়ার পরিবেশ তৈরি। অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহ যে কথা বলেছেন সেটা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পশ্চিমবঙ্গে শেষ বিধানসভা নির্বাচনে ধর্মীয় উগ্রতার যে প্রতিচ্ছবি দেখেছি তা এখনও স্পষ্ট। এমতাবস্থায় আবার নুতন করে না শুরু হয় ভয়ঙ্কর সে সব দিন তার আশঙ্কায় আছি।
এটাতো গেল চলমান অস্থিরতা প্রসঙ্গে।
এবার আসি আপনার ব্যাপারে। সম্রাটের এহেন পালিয়ে আসাটা ভালো লাগলো না। যদিও যেটা হয়ে গেছে তা আর ফিরে আসবে না। তবে আমাদের কর্ণ হতে দোষ কি,
-এই শান্ত স্তব্ধ ক্ষণে
অনন্ত আকাশ হতে পশিতেছে মনে
জয়হীন চেষ্টার সংগীত,
আশাহীন কর্মের উদ্যম,
হেরিতেছি শান্তিময় শূন্য পরিনাম।
যে পক্ষের পরাজয়
সে পক্ষ ত্যাজিতে মোরে কোরো না আহ্বান
জয়ী হোক, রাজা হোক, পান্ডব সন্তান-
আমি রব নিষ্ফলের হতাশের দলে।

কাভা ভাই আজ জমিয়ে দিয়েছেন। গ্যালারীতে বসলাম।

শুভেচ্ছা আপনাকে।


০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৫

আখেনাটেন বলেছেন: :D

তালিবানিদের উত্থানে ভারতের মুসলিমদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়।বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থা অনেকটাই ভিন্ন। কিন্তু সেসব কে তুচ্ছ জ্ঞান করে অবশ্য দৃষ্টি শক্তির গভীরতা না থাকায় একশ্রেণীর মুসলিমদের তালিবানিদের উত্থানের সঙ্গে ইসলামকে সাঙ্গীকরণে মেতে উঠেছেন। --- বাংলাদেশেও তাই। এক শ্রেণির মানুষের চিন্তার গভীরতা এতটাই শ্যালো যে, এরা এই উগ্র গোষ্ঠীর বিজয়কে ইসলামের বিজয় বলে আখ্যায়িত করছে। আরেকটা গোষ্ঠী তো এ দেশে তালেবানী বিজয়কে 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ'র সাথে মিলিয়ে ফেলেছে। কী কুৎসিত চিন্তা?

অথচ তারা এভাবে ভাবতে পারত....একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী বিদেশী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তাদের বিতাড়ন বা তাদের মাতৃভূমি ত্যাগে বাধ্য করেছে। এখন দেশ গঠনে জাতি-ধর্ম-বর্ণ একসাথে কাজ করতে ঐক্যবদ্ধ, যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে প্রধান্য দিয়ে দেশের আধুনিকায়নে নিয়োজিত হবে। এতে কারোই আপত্তি থাকার কথা না। কারণ গণতন্ত্রের নামে পশ্চিমা আগ্রাসন বিশ্বে ঘটে চলা নিকৃষ্ট ঘটনাগুলির এক একটি উদাহরণ। কীভাবে এরা নিরীহ মানুষের উপর বোমাবর্ষণ করে ধ্বংসস্তুপ বানিয়েছে ভিয়েতনাম থেকে ইরাক, সিরিয়া থেকে আফগানিস্তান।

পশ্চিমবঙ্গে শেষ বিধানসভা নির্বাচনে ধর্মীয় উগ্রতার যে প্রতিচ্ছবি দেখেছি তা এখনও স্পষ্ট। -- নিচের মন্তব্যে ব্লগার হাসান সাহেবের মন্তব্য দেখেন। ভারতে তিনি উগ্রবাদের কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। ভারতীয় সমাজে উগ্রবাদের ছিঁটেফোঁটাও নেই, যা আছে শুধুই রাজনীতির অন্দরমহলে। অথচ গত কয়েকদিনের ইন্দোর, মথুরা, কানপুর, মুজাফ্ফরনগর, উজ্জয়নের সহ বহু জায়গার উগ্র ঘটনাগুলি কি প্রমাণ করে তা আমাদের বিজ্ঞ ব্লগার মহোদয়কে বোঝানো মুশকিল।

১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে ভাল না লেগে উপায় নেই
খানিকটা উচ্চমার্গীয় আলোচনা- এন্টেনায় ক্যাচ করতে সমস্যা হচ্ছে

এই সমস্যা আর সমাধান যোগ্য নয় সম্ভবত! এর কোন শেষ নেই ...

* আপনাকে দেখে ভাল লাগল ভ্রাতা- অনেকদিন পরে এলেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৮

আখেনাটেন বলেছেন: খানিকটা উচ্চমার্গীয় আলোচনা- এন্টেনায় ক্যাচ করতে সমস্যা হচ্ছে -- B:-)


এই সমস্যা আর সমাধান যোগ্য নয় সম্ভবত! এর কোন শেষ নেই ... --- প্রতিকার হয়ত সম্ভব নয়, কিন্তু প্রতিরোধ কিছুটা হলেও সম্ভব।

আপনাকে মন্তব্যের ঘরে দেখেও ভালো লাগল তপনদা। :D

১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: @জাদিদ ভাই, আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় যে মানুষ জন্মগত ভাবে এই উগ্রতার জিন শরীরে নিয়ে জন্ম গ্রহন করে । প্রত্যেক মানুষের মাঝেই এটা বিদ্যমান । পরে যখন সে আস্তে আস্তে বড় হয় তখন এই জিনের উপরে পারিবারিক, সমাজ, স্কুল, আইনের প্রলেপ পড়তে থাকে এবং সে আস্তে আস্তে উগ্র থেকে সভ্য হতে থাকে ।

নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে যদি আমি বলি, আমি আমার বাবাকে প্রচুর ভয় পেতাম । সে আমাকে মেরে শাসন করে নি তবুও আমি তাকে ভয় পেতাম খুব বেশি । এই কারণে আমি যে কাজ করার ক্ষেত্রে একটা অনুভূতি কাজ করতো যে বাসায় যেন কখনও খারাপ রিপোর্ট না যায় ! কোন দিন আসেও নি। আমার ছাত্রছাত্রীদের কয়েকজন কথা যদি বলি । তাদের ব্যাপারেও আমি এই ব্যাপারটা খেয়াল করে দেখেছি । পারিবারিক শাসন সেখানে কঠিন, তবে অতিরিক্ত না । যখন যেখানে যতটুকু দরকার ততটুকু । বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদের ব্যাপারে সচেতন । সন্তানরা তাদের বাবাকে মান্য করছে, ভয় পাচ্ছে । একজন স্টুডেন্টের কথা বলি । কলেজে ওঠার আগ পর্যন্ত তাকে ফেসবুকে একাউন্ট খুলতে দেওয়া হয় নি । যখন অনুমতি দেওয়া হল তখন একজন মনিটর হিসাবে আমাকে সেখানে রেখে দেওয়া হল যাতে ছেলে উল্টাপাল্টা কিছু না করতে পারে । বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার আগ পর্যন্ত তার বাসা থেকে স্মার্ট ফোন দেওয়া হয় নি । এখন কিন্তু তার উপরে বাবা মায়ের এতো মনিটরিং নেই । কিন্তু সে আর যাই হোক উগ্র হয়ে ওঠে নি । কিন্তু ধরুন যদি স্কুল থেকেই তাকে সব কিছু উন্মুক্ত করে দেওয়া হত, কোন প্রকার কোন মনিটরিং ছাড়াই, সে যা ইচ্ছে তাই করতো তাহলে আজকে তার যা স্বভাব তাই করতে পারতো? আমার তা মনে হয় না ! পারিবারিক এই ব্যাপার গুলো খুব বেশি জরুরী !

আরেকটা কথা যেটা উপরে বললাম । বাস্তব জীবনে যখন কোন উগ্রতা দেখানো হয় তখন সেটার জন্য একটা ফল ভোগ করার সম্ভবনা রয়েছে তখনই । স্কুলে কাউকে বাস্তবে ঘুসি দিলে সে একটা ফেরৎ ঘুসি দিবেই । এবং আমার বাসাতেও একটা নালিশ এসে হাজির হতে পারে এবং ফলস্বরূপ বাবার কাছেও মাইর খাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিবে । এই যে একটা আচরনের জন্য আমাকে ফল ভোগ করতে হবে । এটার কারণে ঘুসি দেওয়ার আগেই আমার মাথায় ফলের চিন্তা আসতো সব সময় যা ঘুসি দেওয়া থেকে আমাকে বিরত রাখতো । অন্য দিকে ব্যাপারটা যদি এমন হত, আমার সোস্যাল একাউণ্টের কথা কেউ জানে না । আমি সেখানে কি করি না করি, বাসায় কোন খোজ খবর রাখে না । তখন কিন্তু আমাকে কিছু করতে হলে ঐ দুই চিন্তা করতে হবে না । বাসায় রিপোর্ট আসবে না । ছোট বেলা থেকেই যদি এই চিন্তা মাথার ভেতরে ঢুকে যায় যে আমি যা ইচ্ছে তাই করতে পারি, আমাকে কেউ কিছু করবে না, ধরতে পারবে না তখন সেটার ফল কোন ভাবেই ভাল হয় না । এই রকমই হচ্ছে । এই কারণেই দিন দিন উগ্রতা বাড়ছেই । আরও বাড়বে...।

১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

তালেবানী কর্মকান্ড ভারতের কোটি লোককে আরো বেশি ইসলামবিদ্বেষী করে তুলছে।

তালেবানদের কারনে ইসলাম ফোব বা ইসলাম বিদ্বেষ আরো বৃদ্ধি পাবে।

আরএসএস ইত্যাদির হেইট স্পিচ গোষ্ঠীর উগ্র কর্মকান্ড বিশ্বের কয়েক কোটি মুসলিমকে আরো বেশি অন্যধর্মবিদ্বেষী করে গড়ে তুলছে।

অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলছি এর কোন একটির সাথেও একমত নই।
বাংলাদেশে অনেকে উলসিত হলেও তালেবানরা গ্লোবাল ইসলামের প্রতিনিধী বা লিডারশিপ মনে করা হয় না।


ভারতীয় উগ্রবাদ হিন্দুত্ববাদ ভারতীয় কতিপয় উগ্রবাদি রাজনৈতিক গন্ডির ভেতরই সীমাবদ্ধ। সাধারন ভারতীয় সমাজে কর্পোরেট সমাজে এর তেমন প্রভাব নেই বললেই চলে।

হিন্দুত্ববাদিদের নিরিহ নিরস্ত্র উগ্রবাদ ভারতের বাইরেও কোন বিপদের কোন কারন নেই। বহির্বিশ্বে হিন্দুবাদের প্রভাব নেই বললেই চলে, ইহা বিশ্বের কোন সমস্যাই না।
কতিপয় হিন্দু উগ্রবাদি মুসলিম বিদ্দেসি নেতা টকশোতে ভিডিওতে কি বলে না বলে, এইসব শোনার টাইম আছে?
মুসলিম জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদি সাথে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদিদের তুলনা দেয়াটা ভুল হচ্ছে। যত অপপ্রচারই হোক হিন্দুত্ববাদিদের অত্যাচারে ভারতিয় মুসলিমরা বিপন্ন বোধ করে না। যত মাইর খাক ১টি ভারতীয় মুসলিমও দেশত্যাগে বাধ্য হয় নি। ইভেন ১ জন কাশ্মিরিও দেশ ছাড়েনি।
বিপরিতে মধ্যপ্রাচ্যে মিশর লেবানন জর্ডন সিরিয়া তুরষ্ক সৌদি, ইরান ইরাক, আফগান, পাকিস্তানের ভিন্ন ধর্মিরা নিশ্চিহ্ন হয়েছে, নইলে বিতাড়িত হয়েছে। শুধু তাই না উগ্রমুসলিমদের তান্ডবে নিজ ধর্মের সংখালঘু ভিন্ন মাহাজাব গোষ্ঠিও গণহত্যার শিকার বা দেশছাড়া হয়ে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৯

আখেনাটেন বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলছি এর কোন একটির সাথেও একমত নই। --- আমিও অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলছি এই বাক্যের সাথেও আমি একমত নই। এবং আমি নিশ্চিত আমিসহ দেশে-বিদেশে অনেকেই আপনার এই কথার সাথে একমত হবে না কারণ 'ফ্যাক্ট'। উপরের এক ভারতীয়র মন্তব্যই লক্ষ্য করুন, তিনি লিখেছেন, 'তালিবানিদের উত্থানে ভারতের মুসলিমদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়।'...আর শুধু গত আগষ্ট মাসেই ঘটে চলা মুসলিম বিদ্বেষী ঘটনাগুলোর বাড়বাড়ন্ত তাই নির্দেশ করে। দেখুন এখানে একটি লিস্ট আছে।

ভারতীয় উগ্রবাদ হিন্দুত্ববাদ ভারতীয় কতিপয় উগ্রবাদি রাজনৈতিক গন্ডির ভেতরই সীমাবদ্ধ। সাধারন ভারতীয় সমাজে কর্পোরেট সমাজে এর তেমন প্রভাব নেই বললেই চলে। --- হাসান ভাই, এটা হয় আপনার 'মিথ্যাচার' নয়ত 'অজ্ঞতা'। আপনাকে বর্তমান ভারতীয় সমাজ নিয়ে আরো বেশি জানতে হবে। আপনি কখনও ভারতে গিয়েছেন কিংবা থেকেছেন কিনা জানি না। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেখানে যেরকম একটি বৃহৎ উদার ও অত্যন্ত মহৎ শ্রেণির মানুষ রয়েছে, তেমনি নিউটনের তৃতীয় সূত্র মেনে আরেকটি অত্যন্ত উগ্র ও বাজে শ্রেণির মানুষ বিদ্যমান। আমার ভারত বিষয়ক লেখাগুলি নিশ্চয় পড়ে থাকবেন।

হিন্দুত্ববাদিদের নিরিহ নিরস্ত্র উগ্রবাদ ভারতের বাইরেও কোন বিপদের কোন কারন নেই। --- তাহলে কিছুদিন আগের মুজাফ্ফরনগর দাঙ্গা, দিল্লী দা্ঙ্গায় এত এত মানুষের মৃত্যু কি খালি হাতের মারামারিতে ঘটেছে। শব্দ চয়নে আমাদের আরো যত্নবান হওয়া দরকার। উগ্রবাদ কখনও নিরিহ হয়। :(

কতিপয় হিন্দু উগ্রবাদি মুসলিম বিদ্দেসি নেতা টকশোতে ভিডিওতে কি বলে না বলে, এইসব শোনার টাইম আছে? -- আপনি লেখাটি বুঝে উঠেন নি। টকশোর বুদ্ধিজীবীরা খুবই বিখ্যাত ও উদারনৈতিক।

যত অপপ্রচারই হোক হিন্দুত্ববাদিদের অত্যাচারে ভারতিয় মুসলিমরা বিপন্ন বোধ করে না। যত মাইর খাক ১টি ভারতীয় মুসলিমও দেশত্যাগে বাধ্য হয় নি। ইভেন ১ জন কাশ্মিরিও দেশ ছাড়েনি। --- :D ...স্যরি, হাসান ভাই, বলতে বাধ্য হচ্ছি...আপনার এই বাক্যে 'মস্তিষ্ক বিভ্রাট' ঘটেছে। আপনি বলছেন, 'ভারতিয় মুসলিমরা বিপন্ন বোধ করে না' , আবার বলছেন, 'যত মাইর খাক'। পৃথিবীতে কি এমন মানুষ আছে যে, প্রচন্ড মার খেয়েও বিপন্ন বোধ করে না। পরিবারের কারোও মৃত্যু হয়ে, ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে, ব্যবসা বাণিজ্য হারিয়ে, চাকরি-বাকরিতে ভীষণরকম ডিসক্রিমিনেইট হয়ে বিপন্ন বোধ করবে না। এরকম মানুষও আছে তাহলে। এসব বাক্য কীভাবে লেখেন আপনি? কয়জনকে জানেন আপনি যে দেশ ছাড়েন নি। ভারতীয় জাতীয় পুরষ্কার পাওয়া 'ভেদাম' মুভিটা দেখেন। মানুষ দেশ ছাড়ছে কিনা?

আবার ভারতের 'ইন্টারনাল মাইগ্রেশন ও এক্সটার্নাল মাইগ্রেশন' নিয়েও একটু পড়াশুনা করেন। উদাহরণ দেই, গুজরাট দাঙ্গার পরে গুজরাটের, বিশেষ করে আহমেদাবাদ, মুসলিমরা তাদের ব্যবসা বাণিজ্য হারিয়ে ফেলে 'জোহাপুরা' নামের ভাগাড়ের পাশের এক ঘেট্টোতে এখন বসবাস করছে। এক দুজন নয়, কয়েক লাখ। আর কয়েকলাখ লোক মাইগ্রেইট করে বসতি করে মুম্বাইয়ের 'ধারাবী'সহ অন্য সকল বস্তিতে। এভাবেই ভারতে বড় শহরগুলোতে 'ইন্টারনাল মাইগ্রেশন' এর ফলে আরো অধিক বিপন্ন হওয়া থেকে পালিয়ে এই 'ঘেট্টো' নামের এক দেশের ভিতরে দেশ, শহরের ভেতরে শহর তৈরি করেছে। এগুলো 'ফ্যাক্ট' যা হিন্দুত্ববাদি উগ্রতার ফসল। কম জেনে চিৎকার চেঁচামেচি না করাই মনে হয় বেটার।

নিচে কিছু লেখার লিংক দিলাম..হিন্দুত্ববাদি উগ্রতা নিয়ে জানার পরিধি বাড়ানোর জন্য...সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলতে পারা আমাদের পারিবারিক চর্চা হওয়া দরকার। সকল উগ্রবাদিতায় ত্যাজ্য।

* The Violent Toll of Hindu Nationalism in India by The Newyorker
*Religious Nationalism and India’s Future by CEI
*'Hate Is Being Preached Openly Against Us.' After Delhi Riots, Muslims in India Fear What's Next
*Citizenship Amendment Bill: India's new 'anti-Muslim' law by BBC
*The RSS, ‘Hindutva’ and Rising Attacks against Muslims in India by The World Financial Review
*India can’t alienate its 20 crore Muslims, not when Taliban are finding legitimacy, not ever by The Print
*How Taliban return in Afghanistan triggered Islamophobia in India by Al Jajeera
*The Normalization of Communal Politics in India by The Diplomat
*Indian Muslims in Taliban mirror by The Mid-Day
*How Taliban's Win Might Influence Radical Muslims in Southeast Asia by Voice of America
*Taliban takeover in Afghanistan triggers anti-Muslim hate in India by The Siasat
*India’s Muslims: An Increasingly Marginalized Population by The CFR
*The World is Already Recognising Refugees from the 'Hindu Rashtra by The Wire
*First Arab world, now Canada saying enough is enough to Muslim-hating overseas Indians by The Print



১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কোন ব্যাপারেই বাড়াবাড়ি ভালো নয়।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০১

আখেনাটেন বলেছেন: কোন ব্যাপারেই বাড়াবাড়ি ভালো নয়। -- এক্সাক্টলি..।

১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতি মন্তব্যে আবার না এসে পারলাম না। ভারতে উগ্রবাদীদের হাতে মুসলিম নিগৃহের জন্য কেউ যদি তথ্য দেখেও না মানতে চান তো দয়া করে একটু লম্বা দাঁড়ি রেখে বনগাঁ লোকালে উঠলে আশাকরি রেজাল্ট পাবেন। আমি বসিরহাটের যে স্কুলে পড়তাম সেই স্কুলের মৌলবি স্যার বনগাঁ লোকালে উঠে যে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন তা স্যারের মুখ থেকে শুনে তাজ্জব বনে গেছিলাম।উনি মাথায় টুপি পড়তেন।সেটি নিয়ে খেলাচ্ছলে একে অপরের দিকে ছুড়ে দেয়। এরপরে মুখে অল্প দাঁড়ি থাকায় ছাগলের দাঁড়ি বলে হাত দিতে চাওয়ার বায়নার নামে অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে স্যার ট্রেন থেকে নেমে যান।এটি তো গেল ওনার কথা।
এবার আসি আমার অভিজ্ঞতার কথা।
দীর্ঘ শিক্ষা জীবনে মফস্বল শহর থেকে কলকাতায় আসতে হতো। সামনে লেখাপড়া কম জানা মুসলিম দেখলে একশ্রেণীর যাত্রীদের তাদেরকে নিয়ে টিপ্পনী কাটছে আসরে নামতে দেখেছি। বহুবার এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছি।দাদি,নানি,চাচা বলে উটকে পাটকে দেখতে, বাড়িতে কটা হাঁসমুরগির গরু ছাগল আছে তা নিয়ে খেজুরে গল্পের নামে মানসিক হেনস্থা কমশিক্ষিত সংখ্যালঘুদের মাত্রা পথের ভবিতব্য। অবশ্য নিজের সত্তা বিসর্জন দিলে এসব কোন কিছুই সমস্যা বলে মনে হওয়ার নয়।

ব্লগার মা. হাসান ভীষণ ঘুরতে পছন্দ করেন। বহির্বিশ্বের একাধিক জায়গায় সঙ্গে ভারতেও উনি বেশ কয়েকবার এসেছেন।মনে পড়ে যোগী আদিত্যনাথ সবে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এমন সময় উনি জিজ্ঞেস করেন লক্ষৌ মাওয়া নিরাপদ হবে কিনা। আমি ওনাকে পরিবর্তে হায়দ্রাবাদ যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। যাইহোক ভারতের সমস্যাটা শিক্ষিত মুসলিমদের যাদেরকে প্রতিনিয়ত সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের সংস্পর্শে থাকতে হয়। সমস্যাটা সেই জায়গাতেই। আমার এক বুবু কে আমি পীর সাহেব বলি।ওর বাড়িতে গেলে সারাক্ষণ আল্লা রসুলের কথা শুনিয়ে আমাকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে।অল্প সময়ে নিরবে ওর কথা শুনে যাই। কিন্তু গ্রাম মানেই যে এমন মানসিকতার পরিচয় স্বাভাবিক।ফলে আমরা যারা শহরে আছি তারা পড়ে গেছি শহরের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের ও গ্রামে আমার বুবুদের মসজিদের ইমাম সাহেবদের প্রচারিত তথাকথিত তালিব মুসলিম সেন্টিমেন্টের জাঁতাকলের মধ্যে।




০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। যারা এসব ফ্যাক্ট জানার পরেও মানতে চায় না, তারা অবশ্যই মিথ্যাচার করছে। কিন্তু কেন সেটাও বড় বিস্ময়কর? যারা উগ্রবাদীদের সমর্থক, তাদের কাছে এসব সহজে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। সে যে ধর্মের লোকই হোক। গোঁড়ামী মানুষকে অন্ধ করে দেয়।

যাইহোক ভারতের সমস্যাটা শিক্ষিত মুসলিমদের যাদেরকে প্রতিনিয়ত সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের সংস্পর্শে থাকতে হয়। সমস্যাটা সেই জায়গাতেই। --- আমারও তাই মনে হয়। জামিয়া মিলিয়ার ঘটনা তো রীতিমত...উগ্রতা আরোও বাড়বে এই আফগান ছাত্রভাইদের উদারতায় মনে কয়।

১৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: কমেন্টস্ করার সুযোগ পেলেই হলো, এখানেতো সামনা সামনি বলা-বলি চোখ রাঙ্গানো কিংবা ধমক খাওয়ার সুযোগ নেই!
যা ইচ্ছে তাই বলে দিলেই হয়, এমন মননশীল অনেকেই আছে ভার্চুয়াল জুড়ে।

অনেক দিন পর আপনার পোস্ট পড়লাম।
আশা করছি স্বপরিবারে ভালো আছেন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: ঠিক তাই.......।


ভালো.... :D


আপনাদের দেখেও ভালো লাগছে.....।

১৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভালো; :D পরী ও ফাইহাও ভালো আছে নিশ্চয়।

হ্যাঁ পরী ফাইহা দুজনেই ভালো আছে। তবে তিন দিন আগে ফাইহার জ্বর এসেছিলো। এখন ভালো আছে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৩

আখেনাটেন বলেছেন: সাবধানে রাখেন পিচ্চিদের। ঢাকাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে।

২০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বেশী কথা না বলে এক কথাই বলা যায় -
মিশরে পাকিস্তানে ইরাকে গির্জায়, শিশুপার্কে স্কুলে সংখালঘু সম্প্রদায়ের মসজিদে প্রতি শুক্রবার আত্নঘাতি বোমা হামলায় রক্তগঙ্গা বইয়ে দেয়ার চেয়ে ভারতীয় উগ্রবাদ হিন্দুত্ববাদ বেশী ভয়াবহ।

আমার 'মস্তিষ্ক বিভ্রাট' ঘটেছে তাই বুঝতেছিনা।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: কোনটা বেশি কোনটা কম........এ বিষয়ে মনে হয় এখানে আলোচনা হয় নি। এখানে আলোচনা হচ্ছে দুই গ্রুপের উগ্রতা দিয়ে...। আপনি তো প্রথমে অস্বীকারই করে বসেছিলেন যে ভারতীয় উগ্রবাদীতা সমাজে দৃশ্যমান নয়। সেই স্টেইটমেন্টে স্থির আছেন তো...।

২১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

নতুন বলেছেন: সামনে আরো এই সমস্যা আরো বাড়বে বলে মনে হয়।

ফেসবুকে কমেন্ট পড়াও এক রকমের বিনেদন হয়ে উঠেছে। মানুষ যাকে চেনে না জানেনা তাকেও আক্রমন করছে তার উপরে বিভিন্ন মন্তব্য ছুড়ে দিচ্ছে।

আমাকেও একবার একজন ব্লক করেছিলো তার একটা সেয়ার করা পোস্টের আইডিয়াটা ভুল ছিলো সেটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য। :)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: সামনে আরো এই সমস্যা আরো বাড়বে বলে মনে হয়। --- আমারও তাই মনে হয়।


আমাকেও একবার একজন ব্লক করেছিলো তার একটা সেয়ার করা পোস্টের আইডিয়াটা ভুল ছিলো সেটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য। --- এটা একটা সমস্যা....। যৌক্তিক আলোচনা হতে পারে...কিন্তু না জেনে ভড়ং করলে সেটা বিরক্তিকর। আমি একবার এক ফেসবুক সেলিব্রেটিকে (জামাতি মাইন্ডের..যদিও ভেকধারি}) উনার লেখার কিছু ভুল ধরায়ে দিলে ভদ্রলোক বিরাট আঘাত পেয়ে সাঙ্গপাঙ্গসহ......সে সময় বহুদিন থেকে দেখি আমাকে ফলো করে...এখন যেহেতু ফেসবুকে যাই না তেমন....জানি না এখনও সেলিব্রিটি স্টেটাস রয়েছে কিনা....... :D

২২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০০

শায়মা বলেছেন: ছাত্রভাই শিরোনাম দেখে চিন্তায় পড়েছিলাম। এটা আবার কেমন ভাই?

এদের কোনো রেসলিংই অবশ্য আমি দেখিনা তাই হয়ত জানতাম না।

এই ছাত্রভাইরা আসলেই চিন্তা না দুশ্চিন্তার বিষয়।

ভাইয়া ছাত্রবোন নাই? সবাই কি শুধুই ছাত্রভাই?

আবার শুনছি ছাত্রবোন জবও করতে পারবেনা বাইরেও বেরুতে পারবেনা..... :(

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: ছাত্রভাই শিরোনাম দেখে চিন্তায় পড়েছিলাম। এটা আবার কেমন ভাই? ---- হা হা....এরা বড় ভাই...সবসময় ছোটবোন, বোনের মা, ফুফু, খালাসহ বিপরীত লিঙ্গের সকলকে চাপের মধ্যে রাখে, জাতির ভাগ্যের রাস্তা মসৃন রাখতে। :D


ভাইয়া ছাত্রবোন নাই? সবাই কি শুধুই ছাত্রভাই? === মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন? B:-)

২৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি মোটামুটি নিশ্চিত আগামী কয়েক বছর পর আবার বাংলাদেশে ধুমধাম বোমা বর্ষন হবে, আমাদের প্রীয় উৎসব গুলো মৃত্যুর মিছিলে পরিনত হবে, লেখক কবি গিতিকারদের উপর হামলা হবে আর আমরা ভয়ে গর্তের মধ্যে ঢুকে থরহরিকম্প হবো।

অনেক দিন পর উকি দিলেন? সব ভালো তো ?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৩

আখেনাটেন বলেছেন: আমি মোটামুটি নিশ্চিত আগামী কয়েক বছর পর আবার বাংলাদেশে ধুমধাম বোমা বর্ষন হবে, আমাদের প্রীয় উৎসব গুলো মৃত্যুর মিছিলে পরিনত হবে, লেখক কবি গিতিকারদের উপর হামলা হবে আর আমরা ভয়ে গর্তের মধ্যে ঢুকে থরহরিকম্প হবো। ---- একটি শ্রেণি সবসময় ওৎ পেতে আছে........দৌড়ের উপর না রাখলে এরা এগুলো করতে এক মুহূর্ত দ্বিধা করবে। এখন ছাত্রভাইরা থাকলই পথপ্রদর্শক হিসেবে....

অনেক দিন পর উকি দিলেন? সব ভালো তো ? -- ভালো..... :D

২৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষের এসব আচরণের প্রধান কারণ হলো একই সাথে নিজেকে প্রচার করা আর সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করা তথা তাদের কাছ থেকে নিরাপদে থাকা। ধর্মের বেলায় আমাদের দেশের মানুষ যে নিজেদের ব্রেন অন্যের কাছে বর্গা দিয়ে রাখে সেটা নতুন কিছু নয়। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা একেবারে খারাপ। ব্রেইনওয়াশড একটা প্রজন্ম বের হচ্ছে। দেড় বছর ধরে কারো বইয়ের সাথে সম্পর্ক নেই। এর ফলাফল হবে ভয়াবহ। পেশাগত কারণে ক্লাসে লালসালু পড়ানোর সময় যখনই "শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি।" এই লাইনটা ব্যাখ্যা করতে গিয়েছি তখনই চারজন ছাত্র এই লাইনটাকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পেয়েছে বলে আমাকে এই উপন্যাস না পড়ানোর অনুরোধ করে বসে।
কথা হচ্ছে যে এরা ধর্ম প্রচার আর ধর্ম চাপিয়ে দেয়ার পার্থক্যটাই বোঝে না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৮

আখেনাটেন বলেছেন: দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা একেবারে খারাপ। ব্রেইনওয়াশড একটা প্রজন্ম বের হচ্ছে। দেড় বছর ধরে কারো বইয়ের সাথে সম্পর্ক নেই। এর ফলাফল হবে ভয়াবহ। --- এ নিয়ে গতকালও আমরা কয়েকজন আলোচনা করলাম.....এমনিতেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মাথামুন্ডু নেই....। এটা মড়ার উপর খাড়ার ঘা.......।

পেশাগত কারণে ক্লাসে লালসালু পড়ানোর সময় যখনই "শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি।" এই লাইনটা ব্যাখ্যা করতে গিয়েছি তখনই চারজন ছাত্র এই লাইনটাকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পেয়েছে বলে আমাকে এই উপন্যাস না পড়ানোর অনুরোধ করে বসে। --- এটি আরো বাড়বে সামনে....আফগান, পাকিস্তান, ভারতে এখন যা চলছে এর রেশ বাংলাদেশে আসতে দেরি হবে না.....

কথা হচ্ছে যে এরা ধর্ম প্রচার আর ধর্ম চাপিয়ে দেয়ার পার্থক্যটাই বোঝে না। --- ঠিক তাই...ফলেই সমাজে অসহিঞ্চুতা বাড়ছে, বাড়বে.......

২৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,



লেখাটি মন্তব্য প্রতি মন্তব্যে সুন্দর, সুস্থ্য আলোচনা টেনে আনতে পেরেছে দেখে ভালো লাগলো।

অনেকদিন পরে এসে মাথাব্যথার ভালো একটি বিষয় টেনে এনেছেন। পাশাপাশি একটি উপলব্ধির কথাও লিখেছেন এভাবে-
"আমরা ভাবি না, যে চিন্তায় সমাজের অসহিষ্ণুতা কমবে; যে ভাবনায় মানুষের জীবনযাত্রার সামষ্ঠিক উন্নতি ঘটবে; যে কর্মকান্ডে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে বেগ পেতে হবে না; যে ধারণায় সমাজের কূপমূণ্ডুকতা দূর হবে; যে বিশ্বাস সমাজ ও জাতির দুষ্টুক্ষতগুলো দূরীভূত করে এক সুখী ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনের পাথেয় হবে, সে সকল চিন্তা, ভাবনা, কর্মকান্ড, ধারণা ও বিশ্বাস যেন কর্পূরের মতো উবে যেতে বসেছে সমাজ থেকে।"

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: চারিদিকে উগ্রবাদের বাড়াবাড়ি দেখে হতাশ না হয়ে পারা যায় না। ধর্ম গেল, ধর্ম গেল বলে উপমহাদেশে এখন মাতম চলছে। আর এর মাঝে ছাত্রভাইয়ের ইসলামী ঝান্ডা দেশীয় ছুপা ছাত্রভাইয়েরা মনে মনে উৎফুল্ল। ভারতে ইতোমধ্যে গেরুয়া ও টিকিধারী ছাত্রভাইয়েরা ক্ষমতার যাওয়ায় অন্যরা চিপায় আছে। আমাদের দেশ ভালো আছে....তবে..... :(

২৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০০

সোহানী বলেছেন: পুরোপুরি সহমত নাট ভাই।

অনলাইনের বিভিন্ন মন্তব্য প্রতিমন্তব্য দেখে আঁতকে উঠতে হয়। আমরা কি দিন দিন সাইকি হয়ে যাচ্ছি? কি হবে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের? তারা কি বদ্দ উম্মাদ হয়ে বের হবে।

আমি এর জন্য দায়ী করবো হঠাৎ জনপ্রিয় হয়ে উঠা স্যোশাল মিডিয়াকে। হাতের মাঝে পুরো বিশ্বকে পেয়ে কেউ বুঝে উঠতে পারছে না কি করবে!!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩

আখেনাটেন বলেছেন: অনলাইনের বিভিন্ন মন্তব্য প্রতিমন্তব্য দেখে আঁতকে উঠতে হয়। আমরা কি দিন দিন সাইকি হয়ে যাচ্ছি? কি হবে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের? তারা কি বদ্দ উম্মাদ হয়ে বের হবে। --- অসহনশীল পরিবেশের কারণে সামনের দিনগুলি আরো বিষিয়ে উঠবে এতে কোনো দ্বিমত নেই।

হাতের মাঝে পুরো বিশ্বকে পেয়ে কেউ বুঝে উঠতে পারছে না কি করবে!! --- হুম.....মানুষ হিসেবে যে মানবিক গুণাবলী রয়েছে যা প্রত্যেক ধর্মেই হাজারবার বলা হয়েছে সেগুলো এখন খেলো হয়ে গেছে।

২৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৭

*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: সহনশীলতার মাধ্যমে আমরা অন্যকে জয় করতে পারি।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: *আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: সহনশীলতার মাধ্যমে আমরা অন্যকে জয় করতে পারি। --- সহমত.....

২৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৭

শায়মা বলেছেন: হা হা ছাত্রভাই নামটা শুনলেই ছাত্রবোন কারা জানতে ইচ্ছা করে ভাইয়া। :P

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫০

আখেনাটেন বলেছেন: ছাত্রভাই নামটা শুনলেই ছাত্রবোন কারা জানতে ইচ্ছা করে ভাইয়া। ---- এভাবে বলবেন না....এতে দেশি ছুপা ছাত্রভাইরা (ব্লগেও হাতে হারিকেন নিয়ে ইতিউতি খুঁজলে পাইতে পারেন?) গোস্মা করতে পারেন। উনাদের গোস্মা কিন্তু জালি বেতে সমাপ্তি ঘটে... :P

তো সাবধান?...... B:-)

ছাত্রবোন অলওয়েড কালো আচ্ছাদনে হিডেন......নো খোঁজাখুজিঁ.......কাজে মন দ্যান....ছাত্রভাইদের খোঁচান ক্যান...। X(( X(

২৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৪

শায়মা বলেছেন: ছাত্রভাইদের খুঁঝি বেত্র দিয়া পিটানোর জন্য। সাথে ছাত্রবোনও যদি দু একটা থাকে খুঁজতে হবে না?

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৩

আখেনাটেন বলেছেন: হা হা.......এ যে দেখছি বাস্তবের ছাত্রবোন? ...ডরাই.... :(( :P

৩০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: উগ্রতাকে এখন উগ্রতা দিয়েই মোকাবেলা করা হয়। উদারতার দিন আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। সামনে দিন আরো ভয়াবহ। অবশ্য উদারতারও বিভিন্ন রুপ আছে.........অস্বীকার করার কোন উপায় নাই। স্বার্থের বাইরে কেউই আজকাল চিন্তা করে না।

ইউটোপিয়ান চিন্তা-ভাবনা আমরা করতেই পারি কেউ কেউ; তবে বাস্তবতা হলো, এসব চিন্তার এখন কোন ভাত নাই। দেশ বলেন, আর বিদেশ......এমনকি তথাকথিত উন্নত বিশ্বও এর বাইরে না। পরিবারগুলো থেকে নতুন জেনারেশান শিখবে কিভাবে? এর কর্তারাই তো বিদ্বেষ পোষণ করে যার যার দৃষ্টিকোণ থেকে।

তারপরেও বিশ্ব টিকে আছে এখনও। কতোদিন টিকবে, সেটাই বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। তবে দিকে দিকে হতাশার পরিমানই বেশী।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩২

আখেনাটেন বলেছেন: উগ্রতাকে এখন উগ্রতা দিয়েই মোকাবেলা করা হয়। উদারতার দিন আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। -- এটা এখন ভার্চুয়াল জগতের ট্রেন্ড। মনের ভেতরের পশুটা সহজেই বের করা যায় এবং এতে তেমন একটা ক্ষতি-বৃদ্ধি থাকে না বলেই এ জিনিসের বাড়বাড়ন্ত।

এভাবেই হয়ত আগামী শতাব্দিগুলোর নয়া ইতিহাস রচিত হবে। একসময় পশুর মতোই ফিজিক্যাল আক্রমণের দ্বারা সভ্যতার সূচনা হয়েছে। এরপর ঢাল-তলোয়ার নিয়ে শতাব্দির পর শতাব্দি সাম্রাজ্য বিস্তার ঘটনা হয়েছে। এরপর এসেছে শিল্প-বিপ্ববের মাধ্যমে আধুনিক অস্ত্রপাতি দ্বারা সভ্যতার বিকাশ। এখন হয়ত এই ভার্চুয়াল কদর্য আচরণ, সেটা হাই-টেক এবিউজ/স্ক্যানডাল, ভন্ডামী ই্ত্যাদির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে...স্যোসাল মিডিয়াগুলো সেটার জন্য পাইওনিয়ারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সামনে আরো...।

৩১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: সূচনাটা চমৎকার হয়েছে!
"এ থেকে মুক্তির পথ কী হতে পারে…?" - ইউ হ্যাভ সেট দ্য বল রোলিং .... এর থেকেই শুরু হোক সে পথের অনুসন্ধান। এবং সে অনুসন্ধানের জন্য এ ব্লগটা একটা উপযুক্ত জায়গা হতে পারে।
অবশ্যই আপনি এটা ঠিক বলেছেন যে "কান টানলে মাথা আসে...রাষ্ট্র সঠিক থাকলে, এর অঙ্গগুলোও সঠিকভাবে কাজ করার কথা" - (২ নং প্রতিমন্তব্য)।
পোস্টে প্লাস, একাদশতম।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২০

আখেনাটেন বলেছেন: দেরীতে প্রতিউত্তরে দু:খিত।

লেখালেখি করার সময় মিলছে না। তবে লিখব...আমাদের সকলকেই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে সমাজের মঙ্গলের জন্য।
আমরা যে কোন কলিকালে প্রবেশ করছি খোদা মালুম।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৩২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এসেছিলাম মহারাজের নুতন কোনো পোস্ট আমার অগোচরে আছে কিনা খোঁজ নিতে। নাহা নেই।
নুতন পোস্টের দাবিতে ধর্নায় বসলাম.... :)

০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২২

আখেনাটেন বলেছেন: নুতন পোস্টের দাবিতে ধর্নায় বসলাম.. ---- :(( দু:খিত পদাতিক দা, অনেক পরে....।

লেখালেখির খাউজানির সময় করা যাচ্ছে না। দেখি... :)

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.