নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনগণ কী অব্যবস্থাপনা ও অ-টেকসই কিংবা হরিলুট উন্নয়নের সাজা পেতে যাচ্ছে?

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭


বাংলাদেশের অবস্থা কি এখন ‘গজকপিত্থবৎ’...? অদ্ভুত শব্দবন্ধটি কালেভদ্রে ব্যবহার করা হয় ‘অন্তঃসারশূন্য অবস্থা’ বুঝাতে। এখানে গজ অর্থ হল এক ধরনের ক্ষুদ্র কীট। কপিত্থ অর্থ হল কদবেল। কদবেল গাছ বানরের প্রিয় বিচরণস্থল বলে এই গাছের ফল কপিত্থ নামে পরিচিত হয়েছে। কদবেলের বোঁটার কাছে অত্যন্ত ক্ষুদ্র ছিদ্র করে গজপোকা ভেতরে ঢুকে ধীরে ধীরে কদবেলের মূল অংশ খেয়ে ফেলে। বাইরে থেকে বুঝা যায় না যে, পোকায় খেয়ে ফেলা কদবেল আসলেই অন্তঃসারশূন্য হয়ে পড়েছে।

সংস্কৃত প্রবাদে আছে----
আগচ্ছতি যদা লক্ষ্মীর্নারিকেলফলাম্বুবৎ।
নির্গচ্ছতি যদা লক্ষ্মীর্গজভুক্তকপিত্থবৎ।।

অর্থাৎ- নারিকেলে কোথা থেকে জল আসে কেউ যেমন তা জানে না তেমনি লক্ষ্মীও আসেন সবার অগোচরে। আবার লক্ষ্মী যখন চলে যান তখন সংসার বাইরে ঠিকঠাক মনে হলেও গজের খেয়ে ফেলা কদবেলের মতো ভেতরটা সারশূন্য হয়ে পড়ে। বাইরে থেকে আসলটা বুঝা যায় না। অর্থাৎ শূন্যগর্ভ সংসার গজভুক্ত কপিত্থবৎ (গজপোকায় খাওয়া কদবেলের মতো)। (‘প্রবাদের উৎস সন্ধানে’- সমর পাল)



কী সমাজব্যবস্থা, কী রাজনীতি, কী অর্থনীতি? এখন সবই গজকপিত্থবৎ। সমাজের প্রতিটি রূন্ধ্রে রূন্ধ্রে গজপোকারা ঢুকে মূলটুকু খেয়ে ফেলেছে/ফেলছে।

কুলাঙ্গার বাবা/মা আরো অধিক কুলাঙ্গার মেয়ে/ছেলের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাফাই গায়। অসৎ সরকারি কর্মকর্তা সৎ কথা বলে দেশের সমৃদ্ধি আনতে চায়। নীতিহীন রাজনীতিবিদ নীতির কথা বলে অপনীতির রাজনীতি করে। তাদের নষ্ট চেলাচামুণ্ডারা ভ্রষ্ট পথে চলে জনগণের কষ্ট বাড়িয়েই চলেছে। অসাধু ব্যবসায়ী সাধুতার শুভ্র আচ্ছাদনে মুখ লুকিয়ে অসততার নতুন নতুন নজির সৃষ্টি করে চলেছে। মানবসেবায় যার মুখ্য কর্ম হওয়া উচিত, সেই ডাক্তার শ্রেণি এক ধরনের আত্ন-প্রবঞ্চনায় মত্ত হয়ে দেশের স্বাস্থ্য খাতকে অস্বাস্থ্যকর করে তুলেছে। আইনের মাধ্যমে ন্যায়ের কথা বলে অসহায়দের সহায়তা করবে যে আইনজীবী-বিচারক, তাঁরা আজ অন্যায়কে ন্যায়ের মোড়কে বোতলবন্ধি করে বাজারজাত করছে। এভাবে শিক্ষকতা-ব্যাংক-বীমা থেকে শুরু করে প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষই কী এক ফেরোমনের গন্ধে চোরাপথে শুধু ছুটছে আর ছুটছে। এখানে এথিকস-মুল্যবোধ কিংবা ভালোত্বের এক কানাকড়ি দাম নেই।

এইভাবে কদবেলের ভেতরটা খেয়ে দেয়ে খেটে খাওয়া আপামর জনগণের জন্য শুধু চকচকে খোলস সর্বস্ব কাঠামোটা রেখে দিচ্ছে।
আর এইসব অবক্ষয় দেখার পরেও আম জনগণের অবস্থাও হয়েছে ‘কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে’। মানে যেমন যাচ্ছে দিন যাক না। ‘অন্যরা মরল কি বাঁচল তাতে আমার কি আসে যায়?’ যতক্ষণ না নিজে সেই চোরাবালিতে আটকে যাই ততক্ষণ এই বোধোদয় আমাদের কারোই হয় না। এ এক অদ্ভুত অবস্থা!

এটা কি শুধুই নতুন চেতনার সমাজব্যবস্থার ফলে নিষ্ঠুর উদাসীনতা? নাকি কোনো রহস্যময় কালো চাদরে ঢাকা অজানা ‘ভয়’! নাকি ভয়ের কারণেই উদাসীনতা নামের ছলনা!

অনেকে হয়ত মনে করে এ আর এমন কী! গণতন্ত্রে এই রকম সামান্য অন্যায়-অবিচার চলতেই পারে। থামুন মশাই!!

জার্মানিতে বাচ্চাছেলেদের শুনানোর জন্য একটি লোকগীতি আছে। সেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে সামান্য একটি পেরেকের অভাবে রাজত্ব হারিয়ে যেতে পারে?

For want of a nail, the shoe was lost
For want of a shoe, the horse was lost
For want of a horse, the rider was lost
For want of a rider, the battle was lost
For want of a battle, the kingdom was lost
And all for the want of a horseshoe nail.

অর্থাৎ একটি পেরেকের অভাবে ঘোড়ার খুর কাজ করে নি। খুরের সমস্যার ফলে ঘোড়া কাজ করে নি। ঘোড়া না থাকাতে অশ্বারোহী সৈন্য পাওয়া যায় নি। অশ্বারোহী সৈন্যের অভাবে যুদ্ধে হেরে গেল। যুদ্ধ হেরে যাওয়াতে রাজত্ব হারালো। এ সব কিছু ঘটল ঘোড়ার খুরের একটি পেরেকের অভাবে। বাটার ফ্লাই ইফেক্টের সাথে তুলনা করা যেতে পারে।

তাই ‘সুশাসন’কে যদি ‘পেরেকে’র সাথে তুলনা করা যায় তাহলে আমরা এই বাচ্চাছেলেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কতটা আশাবাদী। আকবর আলি খান তাঁর ‘পরার্থপরতার অর্থনীতি’ বইয়ে এই নিয়ে বিস্তর বর্ণনা দিয়েছেন।

কোভিড বাবু ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কদবেলের এই চকচকে খোলসটাকে আছড়ে ভেঙে ফেলে দেখিয়ে দিলো যে ভেতরে শুধুই ফাঁকা এক মহাশূন্য?



উপরের লেখাটি ২০১৮ সালে লিখেছিলাম এই ব্লগে। আমার প্রায় লেখাতে বারবার বলার চেষ্ঠা করেছি উন্নয়ন সাসটেইনেবল না হলে এর কুফল জাতিকে ভোগ করতে হবে একদিন। ঠিক চার বছর পরে কদবেলের সেই খোলস ভেঙ্গে পড়ে ভেতরের কদর্য রূপটি উন্মোচিত হচ্ছে এখন।

যদিও এতে ‘রাঘব বোয়াল’ ও দেশ-বিদেশ থেকে সিঙ্গাপুর-কানাডা দেখা তাঁদের চাটুকার শ্রেণি তথা হালুয়া-রুটির ভাগিদারদের কিছু যায় আসে না। জনগণের হাতে ‘ভোট’ নামক যে হাতুড়ি নেতাদের পশ্চাতে গদাম দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকত সেই হাতুড়ি তো এখন দেশপ্রেমিক ‘মহান নেতা’র আশির্বাদে জাতীয় জাদুঘরে খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে যত্নে রাখা হয়েছে। আর তাই সারের দাম বস্তা প্রতি ৪০০ টাকা বাড়লেই কী আর ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৫০% বাড়লেই কী? তারা তো আর ধান-চাল উৎপাদন করবে না। ঢাকা শহরে যে ব্যক্তি ২৫/৩০ হাজার টাকা বেতনে চার/পাঁচ সদস্য নিয়ে বাস করছে, তারা কীভাবে জীবনযাত্রা নির্বাহ করছে/করবে, এটি নব্য গোয়েবলসরা সযতনে এড়িয়ে যাবে। কদবেল ভাঙ্গলে তো নাঙ্গা দশা। নিজেকে পাবলিক প্লেসে কে নাঙ্গা দেখতে চায়?

অথচ কী সুযোগটাই না ছিল দেশকে প্রকৃত অর্থেই ধাপে ধাপে মালয়েশিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া-সিঙ্গাপুর স্টাইলে (অথোরিটারিয়ানিজম) উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু চাইলেই তো সবাই সবকিছু করতে পারে না বা হতে পারে না। এর জন্য সর্বপ্রথম দরকার একটি স্ট্রং এথিকস। গোটা জাতির এখানেই মাজাভাঙ্গা অবস্থা। দুর্বল ভিত্তির উপর যে ঘর তৈরি করা হয়েছে, তা আজ হোক কাল হোক ভেঙ্গে পড়বেই, এটা গোয়েবলসরা জেনেও না জানার ভান করলেও দেশের প্রতিটা লোক জানে…কবে সেটাই দেখার বিষয়? এখনও সময় আছে সাধুর ভান না করে সত্যিকারের সাধু সাজা দেশ ও জাতির স্বার্থে! যদি প্রকৃত অর্থেই দেশপ্রেম নামক মহার্ঘ বস্তুটির বিন্দু পরিমাণ হলেও অবশিষ্ঠ থেকে থাকে তথাকথিত মহামানবদের?
**********************************
@আখেনাটেন-২০২২
ছবি: Zahoor, Dawn

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

আরইউ বলেছেন: ইরাভার্সিবল সেল ডেথ বলে একটা কথা আছে সেল বায়োলজিতে। মানে ধরুন ইনজুরির ফলে সেল মরেই গেলো যা আর রিকভার করবেনা, ফলে টিস্যু নেক্রোসিস হবে, নেক্রোসিস হওয়া টিস্যু বাদ দিয়ে দিতে হবে, তা না হলে মৃত্যু।

এখনও সম্ভবত সেল ডেথ হয়নি, ইনজুরি সম্ভবত এখনও রিভার্সিবল, এখনও রিকভারি হয়ত সম্ভব।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: নেক্রোসিস হওয়া টিস্যু বাদ দিয়ে দিতে হবে, তা না হলে মৃত্যু। --- নেতাদের আচরণ ও কর্মকাণ্ডে কী মনে হয় ইনারা নেক্রোসিস হওয়া টিস্যু বাদ দিতে ইচ্ছুক? সে জন্যই লিখেছিলাম....মুল্যবোধের যেখানে পচন ধরেছে, সেখানে...এটাই আমাদের নিয়তি...সামনে মাৎস্যান্যায় অবস্থা দেখব হয়তবা...বড় মাছ আরো বেশি করে ছোটগুলোকে খেয়ে দৈত্যে পরিণত হবে। সমাজে ধনী-গরিবের বৈষম্যের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাবে। অথচ বঙ্গবন্ধুর লেখা প্রতিটি বইয়ে এই বৈষম্য নিয়েই সবচেয়ে বেশি সোচ্চার দেখা গেছে, আক্ষেপ করেছেন....এখনকার.মহান দেশপ্রেমিকরা শিখেছে কী তাহলে উনার কাছ থেকে চেতনার ফানুস উড়ানো ছাড়া?

এখনও সম্ভবত সেল ডেথ হয়নি, ইনজুরি সম্ভবত এখনও রিভার্সিবল, এখনও রিকভারি হয়ত সম্ভব। --- আমিও মনে করি সম্ভব...কিন্তু সে ইচ্ছাটা তো থাকতে হবে। কারণ তা সম্ভব করতে হলেই তো সর্ষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভূতদের টেনে বের করতে হবে? শেষে দেখা যাবে ঠক বাছতে গাঁ উজাড়। গলায় হাড্ডি আটকে গেছে বলেই এখন জনগণ নামের বলদদের উপর চাবুক চলছে?

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: ঘর ভেঙে যাওয়ার পর মজবুত ভিত দিয়ে ঘর বানানো হবে কিনা সেটা চিন্তা করে শঙ্কিত।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২০

আখেনাটেন বলেছেন: ইঞ্জিনিয়ারিং ভাষায় 'রিট্রোফিটিং' নামে এক ধরনের নয়া প্রযুক্তি আছে যাতে অমজবুত ঘরকেও পুনরায় মজবুত বানানো যায়। তবে এরজন্য খরচাপাতি পড়বে (অসৎ নেতা, দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তা, অসাধু ব্যবসায়ীদের গদাম দেওয়া)। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সে সদিচ্ছা আপাতত এ দেশের মহান দেশপ্রেমিকদের নেই। তাই...আমাদের দেখে যেতে তেল গড়িয়ে কোথায় যায়?

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের এই মাজাভাঙ্গা লেখার দাতভাঙ্গা জবাব দিতে পারবে একমাত্র ব্লগার হাসান কালবৈশাখী। উনার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করি, তারপরে দেখমু কি কওন যায়।

এখনও সম্ভবত সেল ডেথ হয়নি, ইনজুরি সম্ভবত এখনও রিভার্সিবল, এখনও রিকভারি হয়ত সম্ভব। আরইউ'র এই কথাটা পড়ে একটা চুটকি মনে পড়লো।

এক পাতি মাস্তান অন্য পাড়ায় গিয়েছে মাস্তানী করতে। তো সেই পাড়ার মাঝারী মাস্তান তাকে ধরে সপাটে এক চড় মেরেছে।
পাতি মাস্তানঃ আরেকটা দে দেখি, তোর কতো বড় সাহস!

মাঝারী মাস্তান কষিয়ে আরেক চড়।

পাতি মাস্তানঃ আরেকটা দে দেখি, তারপরে দেখ তোর কি করি!

তো, মাঝারী মাস্তান কষিয়ে আরেক চড় মারলো।

এবার পাতি মাস্তান কাদতে কাদতে বললো, তোর এই থাপ্পড়ের ব্যবস্থা আমি করতাছি! তুই এইখানেই খাড়ায়া থাক; দ্যাখ আমি কি করি!!!

আফসোস! সেই পাতি মাস্তান কিছুই করতে পারে নাই। আসলে তার কোন কিছু করার ক্ষমতাই ছিল না!!!

সেল এর মৃত্যু দেখাই আমাদের নিয়তি!!!

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: আপনের এই মাজাভাঙ্গা লেখার দাতভাঙ্গা জবাব দিতে পারবে একমাত্র ব্লগার হাসান কালবৈশাখী। উনার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করি, তারপরে দেখমু কি কওন যায়। -- হাসান ভাই হয়ত একগাদা ফাউল ডেটা নিয়ে আসবে সাথে জামাইত্যা-বিম্পি অতীতে কী করছে তার ফিরিস্তি...এ আর নতুন কী? উনার প্রতিটি গোয়েবলসীয় ডেটার বিফিটিং কাউন্টার দেওয়া যায়....কিন্তু সময়ের অপচয়...?

সবচেয়ে আশ্চর্য লাগছে যে কৃষকেরা উৎপাদনের তুলনায় প্রায় প্রতিবছর ধানের দামে মার খাচ্ছে। শুধু গত বছর আমদানী বন্ধ করায় লাভের মুখ দেখেছে মনে হয়, তাদের দিকে না তাকিয়ে সারের দাম, তেলের দাম...বাড়িয়ে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে...এখন লেবার খরচ বাড়লে ১৫০০ টাকা মণ ধান বিক্রি করতে না পারলে কৃষকদের ভারতের মতো আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবে না। সরকার ফুড সিকিউরিটি নিয়েও মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ইতোমধ্যে কৃষকেরা ধান-গম চাষ বাদ দিয়ে ফল-মূল চাষে উৎসাহী হয়ে পড়েছে। এটি নিশ্চিত সরকারের জন্য শাখের করাত হবে একসময়। একটাই উপায় হবে...নিপীড়ন।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার লেখা পড়ার পর সেই গল্পটার কথা মনে পড়লো;

একটা বড় জলযানের দ্বিতীয় তলাতে অভিজাত যাত্রীরা আছে। সেখানে খাদ্য, পানি আরাম আয়েশ ইত্যাদির কোন অভাব নাই। চাইলেই যে কোন কিছু পাওয়া যায়। আর নীচ তলাতে আছে সাধারণ যাত্রীরা। তাদের জন্য কোন খাদ্য, পানি বা আরাম আয়েশের সুব্যবস্থা নেই। এক পর্যায়ে নীচের তলার খাবার পানি পর্যন্ত শেষ হয়ে গেল। নীচের তলার যাত্রীরা উপরের তলার অভিজাত যাত্রীদের কাছে পানি চাইল। কিন্তু উপর তলার অভিজাত যাত্রীরা দিতে অস্বীকার করলো এবং দরজা লাগিয়ে দিল। বাধ্য হয়ে নীচের যাত্রীরা প্রাণ বাঁচানোর জন্য জলযানটার মেঝেতে ফুটো করে নদীর পানি সংগ্রহের চেষ্টা করলো।

ঐ জলযানের পরিনাম কি হয়েছিল এটা আপনি বা আমি নিশ্চয়ই বুঝতে পাড়ছি। :)

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৩

আখেনাটেন বলেছেন: ঐ জলযানের পরিনাম কি হয়েছিল এটা আপনি বা আমি নিশ্চয়ই বুঝতে পাড়ছি। --- ঠিক......কিন্তু এতে যে সকল জনগণের তথা গোটা দেশের বারোটা বেজে যাচ্ছে, তা উপরতলার তথকথিত ভদ্রলোকেরা টের পাচ্ছে না। 'গোতাবায়ো' থেকে শিক্ষা নিয়ে সকল অসাধু পন্থা এখনই কঠোর হস্তে দমন করা দরকার। যদিও ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না..বলেই ইতিহাসে প্রমাণিত।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০

ককচক বলেছেন: "সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে গজ পোকারা ঢুকে মূল টুকু খেয়ে ফেলেছে/ফেলছে।" ঠিক বলেছেন। দেশের ভেতর ফুক্কা হয়ে গেছে। রাজনীতি, অর্থনীতি সমাজনীতি সবই যেন এখন গজ পোকার মলে পরিপূর্ণ!

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪০

আখেনাটেন বলেছেন: উপমহাদেশে শিক্ষা খাতে বরাদ্দে তলানিতে ফলে পড়াশুনা শেষ করে সবাই নব্য জমিদার হতে চায় কারণ ঐটি বাদে অন্য কিছু করার মতো শিক্ষাই যোগান দেওয়া হয় নি বা হচ্ছে না; স্বাস্থ্য খাতের ব্যারাম আরো ভয়াবহ....পাছার ফোঁড়া কাটার জন্যও এখন সাকুল্যে ৭/৮ লক্ষ রোগী ভারতে গিয়ে বিলিয়ন ডলার ঢেলে আসছে;
দেশের ৭৩ শতাংশের বেশি মানুষ তিনবেলা পুষ্টিকর খাবার খেতে পায় না; ঢাকা শহরের ৯০ শতাংশ মানুষের নিজের বাড়ি/ফ্লাট কেনার সামর্থ নেই.....এখন বুঝুন মানুষের যে প্রধান চারটি মৌলিক চাহিদা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন ও বাসস্থান সবগুলোরই তথৈচব অবস্থা। এরপর কর্কশ ঢোল বেজে চলেছে উন্নয়নের গীতে।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,




দারুন উপমা সংযুক্ত লেখা।

আমাদের গোয়েবলসদের রাজনীতিতে এখন বড় কথা - ক্ষমতা। সেই ক্ষমতার ইস্যুর তলায় মানুষের জীবন ধারনের মৌল প্রশ্নগুলো অবান্তর করে দেয়া হয়েছে।।
আমাদের "ভোট" নামের অস্ত্রটি্ও আপনার বলা ‘গজকপিত্থবৎ’ হয়ে গেছে অনেক আগেই। বলা হয়, সেই ভোটেই নাকি গনতন্ত্র কায়েম হয়ে গিয়েছে। সেই গনতন্ত্র আমাদের কি দিয়েছে ?
সেই গণতন্ত্র আমাদের কয়েক’শ কোটিপতি উপহার দিয়েছে, জনগণের প্রতিনিধি এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হাযার শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে । (ভাবতে ভালোই লাগছে, দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে !) আর রেখে গেছে ‘ভাত দে হারামজাদা’ এই মনোভাব নিয়ে নিষ্ফল ক্রোধে নিজের আঙ্গুল কামড়ানো ১৭কোটি ৯৮ লাখ সংখ্যক এক অবুঝ জনগোষ্ঠীকে যারা বছরের পর বছর ধরে নিষ্পেষিত হয়ে এসেছেন এমনিভাবেই।

লিখেছেন - "অথচ কি সুযোগটাই না ছিলও দেশকে .......... শিখরে নিয়ে যা্ওয়া।[/sb?"
সেক্ষেত্রে বলি কি ভাবে হবে যেখানে রাষ্ট্রীয়, আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিমন্ডলে একছত্র ভাবে রাজনীতিবিদগণ এবং তাদের বশংবদ সুবিধাবাদীরাই আমাদের রাজনীতিতে ইদানিং কালের ছলচাতুরী ঢুকিয়ে তারই ছত্রছায়ায় নিরঙ্কুশ আধিপত্য চালিয়ে যাচ্ছেন ? যেখানে জনগণ হয়েছে অপাংতেয় এবং তাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার অঙ্গীকারটি হয়েছে ডাষ্টবিনে নিক্ষিপ্ত ?
এই তথাকথিত দেশপ্রেমের ধ্বজাধারীরা যে মেকী মানসিকতা তৈরী করে দিয়েছে আমাদের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলনের মূহুর্তে তা থেকে আমাদের মুক্তি নেই মৃত্যু পর্যন্ত ।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৬

আখেনাটেন বলেছেন: আমাদের গোয়েবলসদের রাজনীতিতে এখন বড় কথা - ক্ষমতা। সেই ক্ষমতার ইস্যুর তলায় মানুষের জীবন ধারনের মৌল প্রশ্নগুলো অবান্তর করে দেয়া হয়েছে।। -- এটাই এখন জাতির গলায় আটকানো হাড্ডি। ...৩/৪ বছরের জায়গায় ৭-১০ বছরে বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত খরচে রাস্তা, এক্সপ্রেসওয়ে, ব্রিজ, কালভার্ট দেখিয়ে জাতিকে মূলা খাওয়াচ্ছি। অথচ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর (শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন ও বাসস্থান) যে লেজেগোবরে অবস্থা, সেবা খাতের সেবা যে তলানিতে গিয়ে নেমেছে, এগুলোর উন্নয়ন যে অন্ধকারের নিমজ্জিত হচ্ছে তা আমরা ভাবছি না...

আজকের প্রথম আলোর কলামে অর্থনীতিবিদ মহিউদ্দিন আহমেদ লিখেছেন, "এ দেশে উন্নয়নের ঢোল বাজানো শুরু হয় প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের আমল থেকে। তাঁর আমলে দেশের চাকচিক্য কিছুটা বেড়েছিল, সন্দেহ নেই। তিনি আগারগাঁওয়ে সংসদ ভবনসহ একটা বড়সড় কমপ্লেক্স গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। কুর্মিটোলার নতুন বিমানবন্দরের কাজে হাত দেন। এখন যেটা ময়মনসিংহ রোড, যা কিনা ঢাকা শহরের ধমনি, এটাও তাঁর সময়ে করা। মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন তাঁর শাসনামলের। যমুনা সেতু আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চিন্তাও আসে তখন। আমরা এখন এসবের অনেক কিছু নেড়েচেড়ে খাচ্ছি।

কিন্তু আইয়ুব খান যা করেছেন, তাতে আমরা খুব খুশি ছিলাম না। আমাদের অভিযোগ ছিল, আমাদের পাট বেচা টাকার অল্প অংশই আমাদের এ অঞ্চলে খরচ হয়। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বেশির ভাগ খরচ হয় পশ্চিম পাকিস্তানের (এখন পাকিস্তান) উন্নয়নে। এই বৈষম্য, এই প্রতারণা দিয়ে উন্নয়নের ঢোল বেশি দিন বাজানো যায়নি। ১৯৬৮ সালে সারা দেশে আইয়ুব খানের ‘উন্নয়ন দশক’ উদ্‌যাপিত হলো। কিন্তু দেখা গেল, ভেতরটা ফাঁপা। কিন্তু ‘উন্নয়ন’ শব্দটি শাসকদের খুব পছন্দ। এর ধারাবাহিকতায় ‘উন্নয়ন’ আমাদের রাজনীতিতে টেকসই হয়ে গেছে।"
-- এখন দেখা যাচ্ছে এই 'উন্নয়ন'র পিতা হচ্ছে পাকি হানাদার আই্য়ুব। পাকিরা এ দেশ থেকে বিতাড়িত হলেও দেখা যাচ্ছে তাদের ভূত আমাদের উপর এখনও সওয়ার হয়ে আছে।

যেখানে রাষ্ট্রীয়, আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিমন্ডলে একছত্র ভাবে রাজনীতিবিদগণ এবং তাদের বশংবদ সুবিধাবাদীরাই আমাদের রাজনীতিতে ইদানিং কালের ছলচাতুরী ঢুকিয়ে তারই ছত্রছায়ায় নিরঙ্কুশ আধিপত্য চালিয়ে যাচ্ছেন ? যেখানে জনগণ হয়েছে অপাংতেয় এবং তাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার অঙ্গীকারটি হয়েছে ডাষ্টবিনে নিক্ষিপ্ত ? -- :( .....এরপরও চাটুকাররা তেলের ডিব্বা খুলে বসে আছে। অথচ গত ১২ বছরে শুধু প্রবাসীরাই রেমিটেন্স পাঠিয়েছে প্রায় ১৬০ বিলিয়ন ডলার। ভাবা যায়....কোথায় গেল এসব টাকার টাকার উন্নয়ন....১৪ বছরে একটি মাত্র মেগা প্রজেক্ট শেষ করতে পেরেছে সফলভাবে। অথচ এরকম একটি প্রকল্প ডিকটেটর এরদোগান, মোদীরা ৩/৪ বছরে অর্ধেক খরচে শেষ করছে।

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
"নাকের ডগায় ঝুলছে মুলো,
গাধায় লোভে ছোটে,
দৌঁড়ানোই সার হলো তার
মুলা নাহি জোটে!"

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: "নাকের ডগায় ঝুলছে মুলো,
গাধায় লোভে ছোটে,
দৌঁড়ানোই সার হলো তার
মুলা নাহি জোটে!"
--- গাধার পিঠে কে? নূরু ভাইয়ের প্রিয় নেতার মতো মনে হচ্ছে? :-B

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
মরারে মারে কেনো জানেন?
নড়েচড়ে বলে। আমাদের এখন নট নড়ন-চড়ন হয়ে পরে থাকতে হবে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০১

আখেনাটেন বলেছেন: মরারে মারে কেনো জানেন?
নড়েচড়ে বলে। আমাদের এখন নট নড়ন-চড়ন হয়ে পরে থাকতে হবে। -- এটা খাটি কথা বলেছেন। একেবারে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের এখন নট নড়ন-চড়ন হয়ে থাকতে হবে।

হীরক রাজার দেশে'র কৃষক ফজল মিয়ার মতো জব করতে, 'যায় যদি যাক প্রাণ, হীরকের রাজা ভগবান' কিংবা 'ভর পেট নাও খাই, রাজ কর দেওয়া চাই'.....

৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩০

কামাল৮০ বলেছেন: সমাজের একটা আমুল পরিবর্তন দরকার।কিন্তু করবেটা কে।ইসলামিক ধ্যান ধারনার লোকরা,নাকি প্রগতিশীলরা।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৬

আখেনাটেন বলেছেন: সমাজের একটা আমুল পরিবর্তন দরকার।কিন্তু করবেটা কে।ইসলামিক ধ্যান ধারনার লোকরা,নাকি প্রগতিশীলরা। -- অবশ্যই প্রগতিশীলরা। তবে তথাকথিত বিরিয়ানিখোর প্রগতিশীল নয়।

আর ইসলামিক ধ্যান ধারনার লোকরা (সো কলড পলিটিক্যাল ইসলাম)... এরা তো আরেক কাঠি সরেস...দেশকে ছোটা আফগান বানাতে বিন্দু পরিমাণ দ্বিধা করবে না। এরা দেশে যেভাবে আছে (৫% ভোট মনে হয়) এর চেয়ে বাড়লে দেশের ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না।

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৬

ককচক বলেছেন: লেখক বলেছেন: উপমহাদেশে শিক্ষা খাতে বরাদ্দে তলানিতে ফলে পড়াশুনা শেষ করে সবাই নব্য জমিদার হতে চায় কারণ ঐটি বাদে অন্য কিছু করার মতো শিক্ষাই যোগান দেওয়া হয় নি বা হচ্ছে না; স্বাস্থ্য খাতের ব্যারাম আরো ভয়াবহ....পাছার ফোঁড়া কাটার জন্যও এখন সাকুল্যে ৭/৮ লক্ষ রোগী ভারতে গিয়ে বিলিয়ন ডলার ঢেলে আসছে;
দেশের ৭৩ শতাংশের বেশি মানুষ তিনবেলা পুষ্টিকর খাবার খেতে পায় না; ঢাকা শহরের ৯০ শতাংশ মানুষের নিজের বাড়ি/ফ্লাট কেনার সামর্থ নেই.....এখন বুঝুন মানুষের যে প্রধান চারটি মৌলিক চাহিদা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন ও বাসস্থান সবগুলোরই তথৈচব অবস্থা। এরপর কর্কশ ঢোল বেজে চলেছে উন্নয়নের গীতে।

সরকার রিজার্ভ কমে যাওয়া জ্বালানির দাম বাড়াচ্ছে, হা হুতাশ করছে। অথচ স্বাস্থ্যখাত উন্নত করলে এবং বড়লোকদের অকারণে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করার সুযোগ বন্ধ করলে আজ এই হা হুতাশ করতে হইতো না। ভালো সেবা না পাওয়ায় মধ্যবিত্তরাও বাধ্য হয়ে ভারতে যাচ্ছেন। সরকার এইসব নিয়ে কোনদিনও ভাবে নাই।

তারা চিকিৎসার নামে বিদেশে টাকা পাচার করেছে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১০

আখেনাটেন বলেছেন: সরকার রিজার্ভ কমে যাওয়া জ্বালানির দাম বাড়াচ্ছে, হা হুতাশ করছে। -- সিস্টেমের ভেতরে কৃচ্ছ্রসাধন না করে জনগণের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে দিল। কারণ জানে জনগণের হাত-পা কেটে ফেলা হয়েছে। পঙ্গু।

অথচ গাছে পানি দেওয়া দেখা.....সহ ফালতু সব কাজে শত নেতা-আমলারা যাচ্ছে জনগণের করের টাকার শ্রাদ্ধ করতে বিদেশে। অদ্ভুত এক দেশের নাগরিক আমরা।

১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১১

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অতিসম্প্রতি তেলের দাম বৃদ্ধির পর বিভিন্ন স্থানে নানারকম দুর্ভাবনার কথা দেখতে পেলেও সরকারের পক্ষে অবস্থানটি এখনো পর্যন্ত জানার সুযোগ হয়নি। চলমান দুশ্চিন্তায় আজকে আপনার পোস্ট থেকেও একই আপনার পেলাম। সংস্কৃতি শ্লোকর উপমা দিয়ে একজন আদর্শ শিক্ষকের মতো বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমিও ভূয়া ভাইয়ের সুরে বলবো, ব্লগার হাসান কালবৈশাখী ভাইয়ের কমেন্ট না পাওয়া পর্যন্ত পপকর্ন নিয়ে বইস্যা পড়লাম। :)

১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪২

আখেনাটেন বলেছেন: কিন্তু আমিও ভূয়া ভাইয়ের সুরে বলবো, ব্লগার হাসান কালবৈশাখী ভাইয়ের কমেন্ট না পাওয়া পর্যন্ত পপকর্ন নিয়ে বইস্যা পড়লাম। ---ভাইজান কেন জানি তেলের ডিব্বা নিয়ে আসিলেন না এ পাড়ায়? :P

১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুযোগ ছিল বলেই আখের গুছিয়েছেন সুযোগ সন্ধানীরা। সুযোগ ছিল বলেই আখের গুছিয়েছেন সুযোগ সন্ধানীরা।

১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: সুযোগ ছিল বলেই আখের গুছিয়েছেন সুযোগ সন্ধানীরা। --- দেশপ্রেমিকরা একটু আধটু আখের গোছালে আপনারা কেন যে গোস্মা করেন বুঝি না? X(

১৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৩৮

কামাল৮০ বলেছেন: এরা কিন্তু ভোটে বিশ্বাস করে না।এরা আসবে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে।যেমন করে এসেছে আফগানে।

১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: ... ছোটা আফগানদের আসার রাস্তাও কিন্তু অনেকটা তৈরি করে দিচ্ছে কওমী জননীরা....দমনের বদলে?

১৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:০৬

ককচক বলেছেন: কিছুদিন আগে যে মন্ত্রী বলেছিলো, 'আমরা লোন নেবো না, দেবো। সে এখন লোনের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার দ্বারেদ্বারে ঘুরছে। অথচ এখনো কিছু অন্ধ দলকানা মানুষ বলছে, সব ঠিকঠাক আছে।
আমরা আসলেই এক আজব দেশের নাগরিক!

১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৯

আখেনাটেন বলেছেন: 'আমরা লোন নেবো না, দেবো। সে এখন লোনের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার দ্বারেদ্বারে ঘুরছে।' [/si....চৈত্র মাসে গরু হারালে .মাথা খারাপ হওয়ায় স্বাভাবিক। সময় লাগবে সুস্থ হতে....আর সুস্থ হতে না পারলে 'গোতাবায়ো'কে গুরু মানতে হবে?

১৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: মনিরা আপু যা একখান মীম শেয়ার করসে এরপর আর কিছু বলার থাকে না। সব পাচার ও অপচারাকৃত টাকা উদ্ধার করতে পারলে আমরা নিজেরাই একখাান আই এম এফ খুলে ফেলতে পারব।

১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫০

আখেনাটেন বলেছেন: সব পাচার ও অপচারাকৃত টাকা উদ্ধার করতে পারলে আমরা নিজেরাই একখাান আই এম এফ খুলে ফেলতে পারব। --- বোধ করি তৃতীয় বিশ্বের সকল দেশেরই এই অবস্থা? সব বাটপাড়েরা কীভাবে যেন...?

১৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭

অপু তানভীর বলেছেন: এসব তো উন্নয়ন বিরোধী কথা বার্তা ! :D

১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৩

আখেনাটেন বলেছেন: এসব তো উন্নয়ন বিরোধী কথা বার্তা ! --- আমার ঘাড়ে কয়টা মাথা উন্নয়নের ঢোল না পিটাবো? এটা কেবল মিঁউ মিঁউ করে নিজেকেই নিজে শুনিয়ে দিচ্ছি নিজেদের সামনের কঠিন দিনগুলোর কথা.... :((

১৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫১

সাসুম বলেছেন: চমৎকার উপমাময় লিখা বরাবরের মতই আখেনাটেন ভাই!

জার্মান পেরেকের কারনে রাজত্ব হারানো মিথোলজিতে ব্যবহার করা পেরেক কে আপনি সুশাসন এর সাথে তুলনা করেছেন।

আমি আরেকটু পেছনে গিয়ে এটাকে তুলনা করতে চাই - বাক স্বাধীনতার সাথে।

একটা সরকার ভুল করবে, চুরি করবে, অপরাধ করবে অন্যায় করবে, দেশে খারাপ আইন প্রণয়ন করবে, সুশাসন এর নামে কি শাসন জারি করবে। মোদ্দাকথা ভয়ানক অবস্থা জারি করলেও সেখান থেকে ফেরত আসার রাস্তা থাকে।

যদি বাক স্বাধীনতা টা থাকে। সরকারের প্রতিটা অপরাধের, প্রতিটা ভুল যদি চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারত সকলেই, যদি আমাদের গলার স্বর উঠার আগেই আমাদেরকে দমিয়ে না দিত ক্লেপ্টোক্রেসির লোকজনেরা, যদি আমাদের কে বলতে দিত, যদি আমাদের শিল্প সাহিত্য আর্ট আমাদের মিডিয়া আমাদের বুদ্ধিজীবি দের কে নিয়ন্ত্রন করতে না পারত অর্থাৎ যদি আমাদের বাক স্বাধীনতা টা অক্ষুন্ন থাকত আমরা প্রতিবাদ করতে পারতাম! ইভেন পুর্ব পাকিস্তানেও আমাদের বাক স্বাধীনতা ছিল এখঙ্কার চেয়ে অনেক বেশি। এটাই আসল সমস্যা! আপনি বড় রাজা, আপনার যদি সমালোচনা করার মত কেউ না ত্থাকে, আপনার যদি ভুল ধরিয়ে দেয়ার কেউ না থাকে তাহলে আপ্নি সব কিছুকেই জায়েজ মনে করবেন।

আপনার আশে পাশে যদি খালি হাসান গোয়েবলশাখীরা থাকে তাহলে আপনি শেষ, দেশ শেষ, সভ্যতা শেষ।

এটাই আমাদের বর্তমানের সবচেয়ে বড় সমস্যা।

বরাবরের মতই পোস্টে কইস্যা পেলাস

১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: আপনি বড় রাজা, আপনার যদি সমালোচনা করার মত কেউ না ত্থাকে, আপনার যদি ভুল ধরিয়ে দেয়ার কেউ না থাকে তাহলে আপ্নি সব কিছুকেই জায়েজ মনে করবেন। আপনার আশে পাশে যদি খালি হাসান গোয়েবলশাখীরা থাকে তাহলে আপনি শেষ, দেশ শেষ, সভ্যতা শেষ। --- এক্কেরে কিডনিতে হিট করছেন গো ভাইজান? আহেন কোলাকুলি করি? :D

এখন রাজার স্বাস্থ্য কামনা করে কৃষক ফজল মিয়ার মতো জাবর কাটতে থাকি, 'যায় যদি যাক প্রাণ, হীরকের রাজা ভগবান'।

১৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫

অক্পটে বলেছেন: এত সুন্দর পোস্ট হয় আমার জানা ছিলনা। কিছু চাটুকার মনের ব্যথায় কোকড়াচ্ছে নিশ্চয়ই। চমৎকার উপমার অবতারনা করেছেন। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৮

আখেনাটেন বলেছেন: কিছু চাটুকার মনের ব্যথায় কোকড়াচ্ছে নিশ্চয়ই। --- :P .........আপনি তো দেখছি মিঞা ভাই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিতে ওস্তাত। ;)

২০| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৩৯

জুন বলেছেন: এটা খাটি কথা বলেছেন আখেনাটেন যে কোভিড আর ইউক্রেন যুদ্ধ শক্ত কদবেলের খোসা ভেংগে দেখিয়ে দিল ভেতরটা পুরোই ফাপা। সামনে কি ভবিষ্যত তা ভবিতব্যই বলতে পারে কিন্ত স্যুট টাই পরে ড্রয়িং রুমে বসা লোকজন এর ভাষায় এগুলো সবই মিথ্যে প্রচার। আমি খুব আতংকিত ইদানীং।
অটঃ আখেনাটেন আমার ব্লগ বাড়িতে আসেন্না যে, কোই গোস্তাকি!!

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১১

আখেনাটেন বলেছেন: সামনে কি ভবিষ্যত তা ভবিতব্যই বলতে পারে কিন্ত স্যুট টাই পরে ড্রয়িং রুমে বসা লোকজন এর ভাষায় এগুলো সবই মিথ্যে প্রচার। --- :(

মানুষের সব সয়ে যাচ্ছে।

আখেনাটেন আমার ব্লগ বাড়িতে আসেন্না যে, কোই গোস্তাকি!!== না, না জুনাপা.....ইদানিং ব্লগে অনেক প্রিয় ব্লগারের পোস্ট পড়তেই পারছি ন....জীবন জীবিকার যাঁতাকল....। দেখি...শীঘ্রি যাব আপনার ব্লগ বাড়িতে.... :D

২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামচিত্র টা দারুণ হয়েছে। এক ছবি হাজার পৃষ্ঠার কথা বলে যায়!
'গজকপিল্থবৎ' শব্দটিও নতুন শেখা হলো। কিন্তু আমাদের কদবেলগুলো তো খেয়ে ফেলছে 'ক্ষুদ্রকীট'সমূহ নয়, বরং বৃহৎ বৃহৎ হস্তীসম জানোয়ারগুলো আস্ত কদবেল খেয়ে ফেলে পশ্চাদ্দেশ দিয়ে বায়ু ত্যাগের সময় জনগণের জন্য শুধু খোলসটা নিক্ষেপ করছে!
সমর পাল এর 'প্রবাদের উৎস সন্ধানে' থেকে চমৎকারর সংস্কৃত শ্লোক উল্লেখ করায় এ পোস্টের আকর্ষণ ভাষাপ্রেমীদের কাছে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করি।
"সর্বপ্রথমে দরকার স্ট্রং এথিক্স" - সর্বস্থান থেকে সেই এথিক্স এর তিরোধান হয়েছে বহু আগেই। আরইউ এর ভাষায়, নেক্রোসিস হয়ে গেছে কিনা তা নিরূপণের জন্য এখনই শল্যবিদের পরামর্শ প্রয়োজন। বিলম্বের আর কোন অবকাশ নেই।


০১ লা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: "সর্বপ্রথমে দরকার স্ট্রং এথিক্স" - সর্বস্থান থেকে সেই এথিক্স এর তিরোধান হয়েছে বহু আগেই। আরইউ এর ভাষায়, নেক্রোসিস হয়ে গেছে কিনা তা নিরূপণের জন্য এখনই শল্যবিদের পরামর্শ প্রয়োজন। বিলম্বের আর কোন অবকাশ নেই। -- একটি জাতি সময়ের সাথে আপগ্রেড হতে পারছে না ভালো লিডারশীপের অভাবে..ভাবতে কষ্ট হয়। যুগের পর যুগ একই ধারা বহমান...নীতি-নৈতিকতার অবনমন পোড়ায়...

ধন্যবাদ জানবেন। ভালো থাকুন নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.