নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক সময় আমিও একজন ব্লগার ছিলাম!

মাসুম আহমদ ১৪

এখনও বলার মত তেমন কিছু অর্জন করতে পারিনি । কোন দিন যে অর্জন করতে পারব সে সম্ভবনাও নাই ।

মাসুম আহমদ ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসময়ে অনেক দূরে চলে যাওয়া আমার চেনাজানা মানুষেরা

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

মৃত্যু ব্যাপারটা একসময় খুব ভয় পেতাম, খুব অপ্রিয় ছিল। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে ততই মৃত্যু জিনিসটা প্রিয় হয়ে উঠছে! কারোর স্বাভাবিক মৃত্যুর খবর শুনলে এক সময় মন খারাপ হত, এখন কেন জানি কারোর স্বাভাবিক মৃত্যুর খবর শুনলে আর মন খারাপ হয়না। তবে অস্বাভাবিক বা অনাকাঙ্খিত কোন মৃত্যুর খবর মনটা খারাপ করে দেয়। অসময়ে কেউ চলে গেলে শুনলে সেটা মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়। যেমন আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্রগুলা যে সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে গিয়ে মারা গেল সেটা মেনে নিতে খুব কষ্ট লাগছে। সেরকম কিছু অস্বাভাবিক এবং অসময়ে অনেক দূরে চলে যাওয়া আমার চেনাজানা কিছু মানুষের মৃত্যর ঘটনা নিয়ে আজকের এই ব্লগ পোস্ট।



মৃত্যু এক

আমার তখন সামনে এস এস সি পরিক্ষা। অগ্রাহায়ণ মাস। বাড়িতে অনেক অত্তিয় স্বজন জড়ো হয়েছেন। সবাই মিলে খুব মজা করছিনেল।আমার মেজ বোনও তার তিন বাচ্চাকে নিয়ে আসছেন।ছোট ছেলের নাম তাহের, বয়স সাড়ে তিন বছর! তাহের ছিল অন্যান্য বাচ্চাদের চেয়ে কিছুটা আলাদা- শান্ত শিস্ট টাইপের ! আমি আমার রুমে বসে অংক করছিলাম। হঠাৎ খেয়াল করলাম সে আমার অংক করাটা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছে। তার চলাফেরা খুব সাইলেন্স টাইপের হওয়ায় সে আমার পাশে এসে কখন দাঁড়িয়েছে সেটা টেরই পাইনি। তাকে কোলে নিয়ে আদর করে আবার অংকতে মজে গেলাম। মজে যাওয়ায় সে কখন চলে গেল সেটাও খেয়াল করিনি। এর ১০/১৫ মিনিট পরে মানুষের চিৎকার শুনে দৌড়ে বেরুলাম। বেরিয়ে গিয়ে দেখলাম আমার ভাগিনা তাহের আমাদের পিছনের পুকুরে পড়ে গেছে। পরে ডাঃ আসতে আসতে সে মারা গেল !



মৃত্যু দুই

আমার কাজিনের এক ফ্রেন্ডের নাম দোয়েল! কাজিন আমার বয়সে ছোট হলেও আমরা ছিলাম ফ্রেন্ডলি। তার সাথে ফ্রেন্ডলি হওয়ার কারনে তার কয়েকটা বন্ধুর সাথেও ছিলাম ফ্রেন্ডলি। এর মধ্যে দোয়েলও ছিল। একদিন সে আমাকে মার্কেটে পেয়ে আলাদাভাবে ডেকে নিয়ে বলল- ভাইজান আপনার সাথে আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলাপ আছে। আপনে কোনদিন সময় করতে পারবেন। আমি তাকে একটা তারিখ দেই। সেই নির্দিষ্ট তারিখ আসার আগে সে খুন হয়! শিবিরের ক্যাডাররা তাকে কলেজের ভিতর টুকরু টুকরু করে ফেলে রাখে। সে ছাত্রদল করত। কোনদিনও জানা হবে না তার সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা কি ছিল, কোনদিনও এমন আপন করে কেউ আমারে ভাইজান বলে ডাকবেওনা।



মৃত্যু তিন

ছোটবেলা খুব মার্বেল খেলতাম। খেলায় এত ভাল ছিলাম না। আমার এক মার্বেল খেলার সাথী ছিলো, নাম নজির হোসেন। যার সাথে আমি প্রায়ই জিততাম। তাই তার সাথে সব সময় খেলতাম। সেও আমার সাথে খেলত, কারন সেও কার সাথে জিত্তে পারত না আমি ছাড়া! একদিন ভরদুপুরে আমি তার সাথে খেলে বাড়ি ফিরে এসে পুকুরে সাঁতরাচ্ছিলাম। তখনই খবর পাইলাম সে কারেন্টে লেগে মারা গেছে। সে নাকি লম্বা রড দিয়ে নারকেল গাছ থেকে ডাব পাড়তে গিয়েছিল। ডাব গাছের কাছেই ছিল কারেন্টের লাইন। ডাবে মারতে গিয়ে সেটা ফসকে গিয়ে কারেন্টের লাইনে পড়ে যায়! এখনও মনে আছে সেদিন সে আমার সাথে মার্বেল খেলায় জিতেছিল।



মৃত্যু চার

একদিন মাঝরাতে হঠাৎ এক মেয়েলি কান্নার আওয়াজ শুনে ঘুম ভাঙ্গল। ঘুম থেকে দেখলাম এক মহিলা কান্নাকাটি করছে, আর বলছে আম্মা আমারে আজকে রাতের জন্য জায়গা দেন তা না হলে ঐ ব্যাটা আমারে জানে মাইরা ফালাইবো। পরে বিস্তারিতে জানলাম তার স্বামী তারে প্রায়ই মাইরা ঘর থেকে বাহির করে দেয়। মহিলা আর তার স্বামী আমাদের পাশের বাসায় থাকে, সেখানে নতুন বিল্ডিং হচ্ছে সেখানে তারা থাকে, সেটা তার স্বামী পাহারা দেয়! এর পরেরদিন আমি এম্নিতে ঐদিকে গেলাম। গিয়ে ঐ লোকটার সাথে কথা বললাম - তারে জিগাইলাম বউরে মারও কেন? জবাবে বলল - না ভাইসাব আর এরকম হবে না, মাঝেমাঝে বউ কথা শুনে না, খুব উলটাপালটা করে। সে সময় মাথা ঠিক রাখতে পারিনা। এর দুইদিন পরে জানলাম লোকটা কারেন্টে লেগে মারা গেছে। বউ পেয়ারা খেতে চেয়েছিল, বউয়ের জন্য লোহার রড দিয়ে পেয়ারা পাড়তে গিয়ে দূর্ঘটনাটা ঘটে।



মৃত্যু পাঁচ

ছেলেটার নাম রুহেল, আমার গ্রামের ছেলে। গ্রামে গিয়ে তার সাথে ক্রিকেট খেলছিলাম। যখন ব্যাটিং করছিলাম সে উইকেটকিপার ছিল। কয়েকবার বেশ জোরে এলবিডব্লিয়ের আবেদন করেছিল। অথচ কেউ জানত না তার মাঝে মরন ব্যাধি ক্যান্সার বাস করছে। এর কিছুদিন পরে জানলাম সে ক্যান্সারে মারা গেছে।



মৃত্যু ছয়

আমাদের গ্রামে এক পল্লি চিকিৎসক ছিলেন। তার বড় ছেলে শামিম আমার বড় ভাইয়ের বন্ধু ছিল। সে প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতো। আমি খুব ভালো করে চিনতাম। একদিন হঠাৎ করে শুনলাম সে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে আত্নহত্যা করছে। পরে জানছিলাম বিষয়টা প্রেম-ঘটিত ছিল।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: :(

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: :(

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

মামুন রশিদ বলেছেন: মৃত্যু অমোঘ । তবু অনাকাঙ্খিত মৃত্যু আমাদের অনেক বেশি কষ্ট দেয় । আমিও চোখের সামনে একবার মৃত্যু দেখেছিলাম । ইন্টারে পড়ার সময় এমসি কলেজের হোস্টেলে দ্বিতীয় ব্লকের পেছনে পুকুর । দরোজা খুলে পড়ার টেবিলে পড়ছি । পুকুরে কিছু বাচ্চা ছেলে গোছল করছিল । হঠাৎ চিৎকার শুনে দৌড়ে গেলাম । দুজন বাচ্চাকে পাওয়া যাচ্ছিল না, একজন নেমে খোজাখুজি করে দুটো বাচ্চার মৃতদেহ খুজে পায় । ব্যাপারটা ছিল খুবই মর্মান্তিক ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: অনাকাঙ্খিত মৃত্যু আসলেই খুব কস্টের!

ভাইজান দেখি ইন্টার আমার কলেজেই পড়ছেন

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

টুম্পা মনি বলেছেন: সবগুলো ঘটনাই পড়লাম। ১নং টা কেন যেন বেশি দুঃখ দিল! মরণ আমাদের সবার নিয়তি! তবুও আমাদের বেঁচে থাকার কত চেষ্টা!

আপনার পোষ্টের আইডিয়া টা এক্সেপশনাল। পাঠক বাধ্য করল খুটিয়ে খুটিয়ে পড়তে। শুভকামনা রইল।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: খুবই মর্মান্তিক।প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন কিছু স্মৃতি থাকে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হুমম প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন কিছু স্মৃতি থাকে

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাগুলো বেশ নাড়া দিয়ে গেলো। আপনার অনুভূতিকে শ্রদ্ধা জানাই। নিজেরটা এখানে আর শেয়ার করলাম না। এতো কিছুর পরও চেষ্টা করুন ভালো থাকার, সুখে থাকার। জীবন তো একটাই। তাই হারানোর যন্ত্রণা ভুলে, উপভোগের উপলক্ষ্য খুঁজে বেড়ানোই ভালো বোধ হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ঠিক বলছেন জীবন তো একটাই। সেখানে যতটুকু সম্ভব সুখে থাকার চেষ্টা করা উচিত!

ধন্যবাদ আপনাকে

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০৫

গোর্কি বলেছেন:
জীবন থেকে জীবনান্তের বিচ্ছেদ এমনিতেই পীড়াদায়ক। তার ওপর অকাল এবং অস্বাভাবিক মৃত্যু কথাটার অর্থ সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করতে পারাটা ভীষণ বেদনাদায়ক।

হৃদয়স্পর্শী লেখাতে +++++

শুভকামনা রইল।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: জীবন থেকে জীবনান্তের বিচ্ছেদ পীড়াদায়ক।

ধন্যবাদ আপনাকে

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫০

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: খুবই বেদনাদায়ক স্মৃতি আপনার।

শুভকামনা জানবেন।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হুমম, ধন্যবাদ আপনাকে

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৩২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
সবার জন্য শুভকামনা থাকলো ||

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হুমম

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুই কষ্টের। তবে সব রকম মৃত্যুই প্রানীর আবহমানকালের স্বাভাবিক পরিণতি। মেনে না নিয়ে কোন উপায় নেই। কিছু কিছু মৃত্যু অবশ্য আজীবন মনের মধ্যে দাগ রেখে যায়, যেমনটি আপনার অভিজ্ঞতালব্ধ মৃত্যুগুলি।

ধন্যবাদ, লেখক।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও

১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

চিশতী শুভ বলেছেন: মৃত্যু তোমায় .............................. ভীষণ ভালবাসি ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০৭

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: তবে অস্বাভাবিক বা অনাকাঙ্খিত কোন মৃত্যুর খবর মনটা খারাপ করে দেয়

১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৪

এহসান সাবির বলেছেন: মনটাই খারাপ হয়ে গেল।

শুভেচ্ছা।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: এই কিছুদিন ধরে মনটা আমারও খারাপ হয়ে আছে ভাই আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্রদের জন্য!

ভাল থাকুন

১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আমি নিজে খুব কাছের মানুষ খুব বেশি হারিয়েছি তা না । একেবারে যে হারাইনি তাও না । কিন্তু কখনই আমার ভিতরে ঝড় ওঠেনি । কেউ কেউ বলে আমার অনুভূতির গভীরতা কম । হতে পারে । তবে হঠাৎ তাদের কথা মনে হলে কোথাও যেনও শূন্যতা ঠিক বাজতে থাকে । আপনার পোষ্টটাও কোথায় গিয়ে যেনও লাগলো । :) :)

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আমিও ভাবতাম আমারও হয়ত অনুভূতির গভীরতা কমে যাচ্ছে। কিন্তু আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ঘটনার পর থেকে মনে হচ্ছে - না পাথর হতে আমার এখনও বাকি আছে!

ভাল থাকুন

১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

নিশাত তাসনিম বলেছেন: মন খারাপ হয়ে যাওয়ার মতো পোস্ট। শুভ কামনা থাকলো।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:১৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে

১৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: একটা শুন্যতার মতো ঘিরে ধরে কাউকে মরতে দেখলে। ঘটনাগুলো বিষণ্ণ করে দিল।

ভাল থাকবেন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:১৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর। আপনেও ভাল থাকবেন

১৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০৮

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: হঠাত্‍ যেন ডুব দিয়ে ওঠলাম।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে

১৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫

শুঁটকি মাছ বলেছেন: সেদিন আপনার লেখাটা কিছুটা পড়ে গিয়েছিলাম। আজ শেষ করলাম। অসময়ে মৃত্যুর কথা ভাবলেই আমার মেহেদীকে মনে পড়ে। মেহেদী ছিল আমার একদম ছোট্টবেলার স্কুলের বন্ধু। ঐটূকুন বয়সেই ও ছিল ক্লাসের সব ছেলেমেয়েদের থেকে আলাদা। ক্লাসে শিক্ষক না থাকলে আমরা যখন হৈ-হুল্লোর করতাম, তখন মেহেদী চুপ করে খাতায় কিছু আকি-বুকি করত, কিংবা বইয়ের পাতা উল্টে-পাল্টে দেখত। শিক্ষক যখন আমাদের কোনো কিছু লিখতে বলত, তখন ও বইতে যেমনভাবে প্যারা করে লেখা, তেমনি লিখত।
ওদের বাসা আর আমাদের বাসা কাছেই ছিল। প্রায় বিকালেই দেখতাম, ক্রিকেট ব্যাট আর স্ট্যাম্প নিয়ে বড় মাঠে খেলতে যাচ্ছে। আমি আর আরেক বন্ধু তুন্না ওর দিকে তাকিয়ে হাত নাড়লেই ও জবাবে হালকা একটু হেসে নাত নেড়ে দৌড় দিত। অদ্ভুত রকম চুপচাপ আর মেধাবী এই ছেলেটা ক্ষণজন্মা ছিল। ক্লাস ওয়ানের প্রথম যেদিন ক্লাস শুরু হবে, ঐদিন গিয়ে শুনি মেহেদী আগের দিন সন্ধ্যায় মারা গিয়েছে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: এসব ঘটনা মন খারাপ করে দেয়, আজীবন একটা দাগ কেটে দিয়ে যায়!

১৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

অপ্রকাশিত কাব্য বলেছেন: কষ্টদায়ক

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হুমম

১৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:




:(

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: :(

১৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: প্রতিটি চলে যাওয়াই বেদনাদায়ক ! আর যে বিদায়ে ফিরে আসার পথ থাকেনা সে বিদায়ের নামই মরণ !

এমন অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর কথা উঠলেই স্কুলের কয়েকজন বন্ধুর কথা মনে পড়ে , এস এস স্যার রেজাল্টের দুই দিন আগেই বেড়াতে গিয়ে .।.।।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: এমন অনাকাঙ্খিত মৃত্যু খুব কষ্ট দেয়

২০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু খুবই দুঃখজনক তবু মরতে হবে এটাই নিয়তি।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হুম তবুও মরতে হবে এটাই নিয়তি

২১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৩

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
মন খারাপ হয়ে গেল।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: এসব ঘটনা আমাদের মন খারাপ করে দিয়ে যায়

২২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

অদৃশ্য বলেছেন:







চমৎকার লাগছে লিখাটা... যারা চলে গ্যাছেন তাদের আত্মা শান্তিতে থাকুক এই প্রার্থনা...

আমিও ভাবলাম আমার কাছাকাছি মানুষদের কথা যারা এই পৃথিবীতা নাই এখন আর...

শুভকামনা...

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: যারা চলে গেছেন তাদের আত্মা শান্তিতে থাকুক এই প্রার্থনা.........

অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য ভাই

২৩| ০১ লা মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

মশিকুর বলেছেন:
মৃত্যুর খবর পড়লে মন খারাপ করে ফেলার নিয়ম। নাকি নিজের মৃত্যুর কথা স্মরণ হয়ে যায়, তাই মন খারাপ হয়ে যায়। কারন যাই হোক পোস্টটা পড়ে খুবই দুঃখ পেলাম :( বিশেষ করে অনাকাঙ্ক্ষি মৃত্যু মেনে নেয়া কঠিন।

ভালো থাকুন।

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু মেনে নেয়া কঠিন....................

আপনিও ভালো থাকুন

২৪| ১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

সুমন কর বলেছেন: অস্বাভাবিক বা অনাকাঙ্খিত কোন মৃত্যুর খবর মনটা খারাপ করে দেয়। অসময়ে কেউ চলে গেলে শুনলে সেটা মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়।

কয়েক মাস আগেই, আমি এমন একটি মৃত্যুর স্পর্শ অনুভব করেছিলাম।

বড্ড অসময়েই...

লেখা ভাল লাগল।

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: অসময়ে চলে যাওয়াটা কষ্টের, খুব কষ্টের!

ভাল থাকুন সুমন ভাই

২৫| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
কেমন আছেন আপনি ?


ভাল থাকুন সবসময় ৷

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:১১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: এই তো ভাই চলে যাচ্ছে!

খবর নিছেন দেখে ভালো লাগছে!

অনেক ভালো থাকুন

২৬| ২২ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দ্রোহী বাঙালী বলেছেন: অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাগুলো বেশ নাড়া দিয়ে গেলো। আপনার অনুভূতিকে শ্রদ্ধা জানাই। নিজেরটা এখানে আর শেয়ার করলাম না। এতো কিছুর পরও চেষ্টা করুন ভালো থাকার, সুখে থাকার। জীবন তো একটাই। তাই হারানোর যন্ত্রণা ভুলে, উপভোগের উপলক্ষ্য খুঁজে বেড়ানোই ভালো বোধ হয়।
- আমি যা বলতাম উনার কথাতেই চলে এসেছে ।
ভাল থাকুন মাসুম ভাই ।
অনেক দিন ধরে আপনাকে দেখছি না , মিস করছি ভাই ।
ভাল থাকবেন ।

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:১২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভাই একটু ঘুরাঘুরিতে বের হইছিলাম। এখন বাড়িতে ফিরছি। এখন আবার রেগুলার দেখতে পাবেন!

ভাল থাকুন সব সময়

২৭| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সামহোয়্যারইন ব্লগের ‘কবিব্লগারদের স্ব-নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কবিতা’ নামে একটা সংকলন পোস্ট তৈরি করছি। আপনার অংশগ্রহণ এ পোস্টকে মূল্যবান করে তুলবে।

ফেইসবুকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া আছে।

শুভেচ্ছা।

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: চমৎকার একটা উদ্যোগ।

আমি আমার একটা কবিতা আপনারে ফেইসবুকে ইনবক্স করেছি!

অনেক অনেক শুভ কামনা

২৮| ২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

আরজু পনি বলেছেন:
ইদানিং প্রায়শই মনে হয়, র্মতু্যটাকে উপভোগ করার মতো যথেষ্ট যোগ্য হতে পারলাম না এখন্ও :(

অস্বাভাবিক মৃত্যু সবসময়ই কষ্টের ।

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: অস্বাভাবিক মৃত্যু সবসময়ই কষ্টের...................। খুব কষ্টের !

ভালো থাকুন

২৯| ২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

আরজু পনি বলেছেন:
" মৃত্যু" বানানটা যফলার ভেজালে ভুল এসেছে ...

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: বানানের ব্যাপরে আপনি খুব সচেতন, ব্যপারটা আসলেই দারুণ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.