নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবতার শান্তির লক্ষ্যে কতিপয় বিবেচ্য বিষয়

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০১


ধর্মাচরণের মূল লক্ষ্যই হ’ল ইহকাল ও পরকালের মঙ্গলের জন্য নীজের জীবনকে পরিচালিত করা । ইহকালের প্রতিটি কাজের প্রতিফল মানুষকে পরকালে ভোগ করতে হবে । জিহাদী হয়ে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে পরকালের মুক্তি সম্পর্কে কোরানে বর্ণিত যে সমস্ত আয়াত উল্লেখ করা হয় সেগুলির পুর্বের ও পরের আয়াতগুলির কথা তেমন গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়না। যে আয়াতে জিহাদের কথা বলা হয়েছে ঠিক তার পুর্বের আয়াতে বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে, কেন কোন প্রয়োজনে, কোন বিশেষ ক্ষনে, কার সনে কতটুকু পরিমানে জিহাদ করতে হবে । আবার একই আয়াতের শেষ অংশে কিংবা পরের অংশেই পরম দয়ালু আল্লাহ অতি মোলায়েম সুরে সহানুভুতির সহিত বলেছেন কতই না ভাল হতো যদি তারা ( যাদের সাথে জিহাদ করতে বলা হয়েছে ) অনুতপ্ত হতো ও বিশ্বাসের প্রতি ফিরে আসতো , তাহলে কতই না হতো শান্তিময় । কোরানে যেমনটি বলা হয়েছে:

“তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে, তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে, আর আহলে-কিতাবীরা যদি ঈমান আনতো, তাহলে তা তাদের জন্য কতই না মঙ্গলকর হতো” ( আল ইমরান , আয়াত ১১০) ।

এছাড়াও চরম উগ্র পন্থার পরিবর্তে ধৈর্য সহনশীলতা ও সহজ সরলপথে অবিশ্বাসী ও অস্বীকারিদেরকে কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে সে সম্পর্কে পবিত্র কোরানে অসংখ্য স্বব্যাখ্যাত আয়াত রয়েছে । নিম্মে তার কয়েকটি দেয়া হলো:

১) সুরা মুজাম্মিল এ বলা হয়েছে “কাফেররা যা বলে, তজ্জন্যে আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন । বিত্ত-বৈভবের অধিকারী মিথ্যারোপকারীদেরকে আমার হাতে ছেড়ে দিন এবং তাদেরকে কিছু অবকাশ দিন” (আয়াত ১০ -১১)। এখানে অবিশ্বাসী ও অস্বিকারীদের প্রতি ধৈর্য ধারনের জন্য বলা হয়েছে । যারা জীবনের সুখ সাচ্ছন্দের বিষয়গুলিকে উপভোগ করে তাদের অবশ্যই উচিত আল্লার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা , কিন্তু যারা তা করবেনা তারা আল্লার প্রতি দোশমনীতে উপরের সারিতেই উপনিত হবে এবং তাদের বিষয়ে আল্লা যথা সময়ে কঠোরতর ব্যবস্থা নিবেন যেমনটি একই সুরার পরবর্তী ১২ নং আয়াতে বলা হয়েছে “নিশ্চয় আমার কাছে আছে শিকল ও অগ্নিকুন্ড”। তাই এদের প্রতি চরম ব্যাবস্থা গ্রহণের দায়ীত্ব আল্লাহ তাঁর নিজের হাতেই রেখেছেন ।

২) সূরা আত্ব তূর এ আল্লা বলেন “ তাদেরকে ছেড়ে দিন সেদিন পর্যন্ত, যেদিন তাদের উপর বজ্রাঘাত পতিত হবে।সেদিন তাদের চক্রান্ত তাদের কোন উপকারে আসবে না এবং তারা সাহায্য প্রাপ্তও হবে না। গোনাহগারদের জন্যে এছাড়া আরও শাস্তি রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না। আপনি আপনার পালনকর্তার নির্দেশের অপেক্ষায় সবুর করুন। আপনি আমার দৃষ্টির সামনে আছেন এবং আপনি আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করুন যখন আপনি গাত্রোত্থান করেন “ (আয়াত ৪৫, ৪৬, ৪৭,৪৮ ) । এসমস্ত আয়াতে অবিশ্বাসীদেরকে তাদের মত করেই ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলতে বলা হয়েছে , আল্লাহ নীজে তাদেরকে শাস্তি দিবেন । আল্লাতে বিশ্বাসী প্রতিটি মানবের কাজ হবে আল্লার বানী অবিশ্বাসী ও অস্বীকারকারীদের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া । তরবারীর চেয়ে কলমের/এলেমের মাধ্যমেই এটা বেশী সম্ভব । এমনকি অবিশ্বাসীদের প্রতি জবরদস্তি করাও সংগত নয়, কারণ এটা মনে রাখতে হবে যে আল্লাহ তাদেরকে ভুলে যাবেননা বরং তারা সবর্বক্ষনিকভাবেই আল্লার নজরে এবং নীবিড় তদারকীতেই রয়েছে ।

৩)সুরা কাফিরুন এ বলা হয়েছে “বলুন, হে কাফেরকূল । আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর ।এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি’’ (আয়াত ১,২,৩)। এখানে কাফেরদেরকে বলতে বলা হয়ছে যে তাদের জন্য় তাদের ধর্ম এবং আমাদের জন্য আমার ধর্ম ।

৪) সূরা ত্বোয়া-হা এ বলা হয়েছে “আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত এবং একটি কাল নির্দিষ্ট না থাকলে শাস্তি অবশ্যম্ভাবী হয়ে যেত । সুতরাং এরা যা বলে সে বিষয়ে ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং আপনার পালনকর্তার প্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পরে এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন রাত্রির কিছু অংশ ও দিবাভাগে, সম্ভবতঃ তাতে আপনি সন্তুষ্ট হবেন” (আয়াত ১২৯-১৩০)। এখানে মন্দ লোকের মন্দ কথার প্রতি ধৈর্য ধারণের জন্য বলা হয়েছে ।

৫)সূরা ত্বোয়া-হা এ আরো বলা হয়েছে “যদি আমি এদেরকে ইতিপূর্বে কোন শাস্তি দ্বারা ধ্বংস করতাম, তবে এরা বলত হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি আমাদের কাছে একজন রসূল প্রেরণ করলেন না কেন? তাহলে তো আমরা অপমানিত ও হেয় হওয়ার পূর্বেই আপনার নিদর্শন সমূহ মেনে চলতাম। বলুন, প্রত্যেকেই পথপানে চেয়ে আছে, সুতরাং তোমরাও পথপানে চেয়ে থাক। অদূর ভবিষ্যতে তোমরা জানতে পারবে কে সরল পথের পথিক এবং কে সৎপথ প্রাপ্ত হয়েছে” ( আয়াত ১৩৪-১৩৫)। আল্লাতে বিশ্বাসীদেরই উচিত অপেক্ষা করা ও দেখা এবং আল্লার প্রতি বিশ্বাসকে অটুট রাখা ।

৬) সূরা নাহল এ বলা হয়েছে “আল্লাহ ইচ্ছা করলে তোমাদের সবাইকে এক জাতি করে দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছা বিপথগামী করেন এবং যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। তোমরা যা কর সে বিষয়ে অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে ”( আয়াত ৯৩)। তার মানে আল্লার প্রতি বিশ্বাস ধেকে দুরে সরে যাওয়াদেরকে আল্লাহ তাদের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন ।

৭)সূরা মারইয়াম এ বলা হয়েছে “আপনি কি লক্ষ্য করেননি যে, আমি কাফেরদের উপর শয়তানদেরকে ছেড়ে দিয়েছি। তারা তাদেরকে বিশেষভাবে (মন্দকর্মে) উৎসাহিত করে। সুতরাং তাদের ব্যাপারে আপনি তাড়াহুড়া করবেন না। আমি তো তাদের গণনা পূর্ণ করছি মাত্র”(আয়াত ৮৩-৮৪)।

৮) সূরা যুখরুফ এ বলা হয়েছে “রসূলের এই উক্তির কসম, হে আমার পালনকর্তা, এ সম্প্রদায় তো বিশ্বাস স্থাপন করে না। অতএব, আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন এবং বলুন, ‘সালাম’। তারা শীঘ্রই জানতে পারবে” (আয়াত ৮৮-৮৯) । এর মানে এটাই দাড়ায় যে যারা সত্য প্রত্যাখ্যান থেকে তাদের ধেকে শুধু মুখ ফিরিয়ে নেয়া , আর তাদেরকে "শান্তির" কথা বলা ।

৯) সূরা আল মুলক এ আল্লাহ বলেন “বলুন, এর জ্ঞান আল্লাহ তা’আলার কাছেই আছে। আমি তো কেবল প্রকাশ্য সতর্ককারী”( আয়াত ২৬)। অন্য এক জায়গায় সূরা হাজ্জ্ব এ আল্লা ইরশাদ করেন “বলুনঃ হে লোক সকল! আমি তো তোমাদের জন্যে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ককারী” (আয়াত ৪৯)। এখানে আল্লাহ বলেন নবী শুধুই সতর্ককারী বল প্রয়োগকারী নহেন। তাই তাঁর অনুসারীদেরও বল প্রয়োগের সুযোগ কোথায় ।

১০) সূরা আল মুমিনূন এ আল্লাহ বলেন "অতএব তাদের কিছু কালের জন্যে তাদের অজ্ঞানতায় নিমজ্জিত থাকতে দিন” (আয়াত ৫৪)। মহাকালের সময় পরিক্রমায় আল্লার কিছুকাল কত প্রলম্বিত তা কি কেও কি কল্পনা করতে পারে । তাই কারো কোন উগ্রগন্থা গ্রহনের কোন কারণ নাই ।

১১) সূরা আল মুমিনূন এ আল্লাহ এও বলেন “মন্দের জওয়াবে তাই বলুন, যা উত্তম। তারা যা বলে, আমি সে বিষয়ে সবিশেষ অবগত” (আয়াত ৯৬) ।

১২) সূরা আল-ফুরকান এ আল্লা বলেন “অতএব আপনি কাফেরদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের সাথে এর সাহায্যে কঠোর সংগ্রাম করুন “(আয়াত ৫২)। এখানে এর সাহয্যে কঠোর সংগ্রাম বলতে আল্লার বাণি প্রচারের মাধ্যমে বৃহত্তর জিহাদের (Jihad-e-Kabir" greater Jihad) কথা বলা হয়েছে, যা তরবারীর মাধ্যমে যুদ্ধকে (Jihad-e-Saghir তথা lesser Jihad), ঈংগিত করেনা। । সুরা সূরা আন নিসা এর আরো দুটি আয়াতের দিকে দৃষ্টি দিলেও দেখা যাবে তার বাণী প্রচারের লক্ষ্যে বৃহত্তর জিহাদের বিষয়ে আল্লাহ কি বলেন “কাজেই আল্লাহর কাছে যারা পার্থিব জীবনকে আখেরাতের পরিবর্তে বিক্রি করে দেয় তাদের জেহাদ করাই কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা আল্লাহর রাহে লড়াই করে এবং অতঃপর মৃত্যুবরণ করে কিংবা বিজয় অর্জন করে, আমি তাদেরকে মহাপুণ্য দান করব” (আয়াত ৭৪)। “যারা ঈমানদার তারা যে, জেহাদ করে আল্লাহর রাহেই, পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের পক্ষে সুতরাং তোমরা জেহাদ করতে থাক শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল” (আয়াত ৭৬)। এখানে ,জিহাদ ,ই. সাগীর’ এর পরিবর্তে জিহাদ ই কাবীর কেই উৎসাহিত করা হয়েছে ।

১৩) সূরা বনী ইসরাঈল এ বলা হয়েছে “তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের সম্পর্কে ভালভাবে জ্ঞাত আছেন। তিনি যদি চান, তোমাদের প্রতি রহমত করবেন কিংবা যদি চান, তোমাদের আযাব দিবেন। আমি আপনাকে ওদের সবার তত্ত্বাবধায়ক রূপে প্রেরণ করিনি” (আয়াত ৫৪) ।

১৪)সূরা নাহল এ আল্লাহ বলেন ”আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে” (আয়াত ১২৫) । আর যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঐ পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদেরকে কষ্ট দেয়া হয়। যদি সবুর কর, তবে তা সবুরকারীদের জন্যে উত্তম (আয়াত ১২৬) । এখানে সবুর তথা ধৈর্য ধারণকেই আল্লা উত্তম বলেছেন । এখন আল্লার পছন্দনীয় উত্তম পন্থাকে বাদ দিয়ে চরম পন্থা অবলম্বন করা কি যুক্তি সংগত হবে ।

১৫) সূরা আল আনকাবুত এ বলা হয়েছে “তোমরা কিতাবধারীদের সাথে তর্ক-বিতর্ক করবে না, কিন্তু উত্তম পন্থায়; তবে তাদের সাথে নয়, যারা তাদের মধ্যে বে-ইনসাফ এবং বল, আমাদের প্রতি ও তোমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে, তাতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমাদের উপাস্য ও তোমাদের উপাস্য একই এবং আমরা তাঁরই আজ্ঞাবহ” (আয়াত ৪৬) । এ কথার মুল অর্থ দাড়ায় ইহুদী ও খ্রিস্টানদের সহিত তর্কে অবতীর্ণ না হয়ে বরং তার থেকেও উত্তম আরো কিছু করা এবং আল্লার একত্বকে গুরুত্বারূপ করা।

১৬) সূরা আল আনকাবুত এ আল্লাহ আরো বলেন “যারা আমার পথে সাধনায় আত্মনিয়োগ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করব। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের সাথে আছেন” ( আয়াত ৬৯ ) । এখানে আল্লার পথে সাধনা করতে সি-রাত আল মোস্তাকিম বা সহজ সরল পথকে বোঝানো হয়েছে । চরম পন্থায় নয় ।

১৭)সূরা আল আন-আম এ বলা হযেছে, “আপনি পথ অনুসরণ করুন, যার আদেশ পালনকর্তার পক্ষ থেকে আসে। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং মুশরিকদের তরফ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন” ( আয়াত ১০৬)। যদি আল্লাহ চাইতেন তবে তারা শেরক করত না। আমি আপনাকে তাদের সংরক্ষক করিনি এবং আপনি তাদের কার্যনির্বাহী নন” ( আয়াত ১০৭) ।

১৮) সূরা ইউনুস এ বলা হয়েছে "আর আল্লাহ শান্তি-নিরাপত্তার আলয়ের প্রতি আহবান জানান এবং যাকে ইচ্ছা সরলপথ প্রদর্শন করেন” ( আয়াত ২৫) । “যারা সৎকর্ম করেছে তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ এবং তারও চেয়ে বেশী। আর তাদের মুখমন্ডলকে আবৃত করবে না মলিনতা কিংবা অপমান। তারাই হল জান্নাতবাসী, এতেই তারা বসবাস করতে থাকবে অনন্তকাল” (আয়াত ২৬) ।

আল্লার নিকট অতি পছন্দনীয় শান্তির বাণীকে পাশ কাটিয়ে শুধুমাত্র মানুষ হত্যা সম্পর্কিত অংশটুকুকে অতিমাত্রায় গুরুত্ব দিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের ধর্ম বিশ্বাসকে পুজি করে ব্যাক্তি বা গোষ্ঠি বিশেষের রাজনৈতিক ও রাষ্টিয় ক্ষমতা দখল, ভোগ ও তা বজায় রাখার জন্য । এতে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমান কতটুকু জেনে বা না জেনে এর প্রতি সমর্পিত এবং জনগনের কত অংশ উগ্রপন্থার জিহাদকে পছন্দ কিংবা অপছন্দ করে সে বিষয়ে জরীপ চালানো যেতে পারে । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে যুক্তরাষ্ট ভিত্তিক একটি অসাম্প্রদায়ীক গবেষণা কেন্দ্র Pew Research Center এধরণের বিষয় নিয়ে গবেষনা ও তথ্য প্রদান করে থাকে। সাম্প্রতিককালে প্য়রিসে ঘটে যাওয়া উগ্রপন্থিদের হামলার অব্যবহিত পরে মুসলিম উগ্রপন্থী জিহাদীদের বিশেষ করে ISIS এর প্রতি সাধারণ মুসলমানদের মনোভাব জানার জন্য মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুসিত ১১টি দেশ যথা লেবানন, ইজরাইল, জর্ডান, প্যালেসটাইন, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, নাইজিরিয়া,বারকিনি ফাসাও, মালএশিয়া, সেনেগাল ও পাকিসস্তান এর মুসলিমদের উপর Pew Research Center একটি জরীপ পরিচালনা করে । পরিচালিত জরীপে ISIS এর বিষয়ে অতি নিগেটিভ মতামত প্রতিফলিত হয় , যা তাদের ১৭ নভেম্বর ২০১৫ তে প্রকাশিত প্রতিবেদনের নিম্মোক্ত তথ্য চিত্র দেখা যেতে পারে ।

জরীপ প্রতিবেদনে চরম পন্থী জিহাদীদের স্বপক্ষে জন সমর্থন খুবই কম দেখা যায় এবং এখন এটা বিশ্ব শান্তি বিনষ্টকারী এবং মুসলিম উম্মার মধ্যেও বিভেদ সৃস্টিকারী হিসাবে চিহ্নিত হচ্ছে । পবিত্র কোরানেও পরিস্কার ভাবে বিভিন্ন আয়াতে বলা হয়েছে কি পন্থায় শান্তিপুর্ণ কর্মসুচীর মাধ্যমে ইসলাম ও বিশ্বামানবতার কল্যানে জিহাদ পরিচালনা করা যায় ।

এমতাবস্থায়, অবিশ্বাসীদেরকে কিংবা ভিন্ন মতাবলম্বীদেরকে হত্যা করার মত চরম পন্থা বেছে না নিয়ে আল্লার কাছে পছন্দনীয় শান্তির পথে চলাই কি উত্তম নয় । একজন মানুষের বিশ্বাসকে কোন ক্রমেই জোর জবরদস্তি করে বদলানো যায়না । তার প্রতি জবরদস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে নির্যাতীত ব্যাক্তি ও তার ঘনিষ্ট শুভানুধ্যায়ীগণ আরো বেশী বিরূপ মনোভাবাপন্ন হয়ে উঠবে ইসলাম ধর্মের প্রতি । সে বা তারা তখন সকল ফ্রন্টেই ( যুদ্ধ, মারনাস্র, বিশ্বব্যপী প্রচার প্রপাগান্ডা ইত্যাদি নিয়ে ) যাপিয়ে পরবে জঙ্গিবাদী জিহাদ ঠেকানোর জন্য । পরিনামে আরো ভয়াবহ রক্তপাত , লক্ষ লক্ষ নিরীহ লোকের দেশান্তর এবং দীর্ঘ মেয়াদী অশান্তি ( এখানে আরো লক্ষনীয় যে এই দেশান্তরিত লোকজন জীবনের মায়া পরিত্যাগ করে আবার পারি জমাচ্ছে বিধর্মীদের দেশেই , তাদের বিশ্বাস সেখানেই তারা শান্তি পাবে, নিরাপত্তা পাবে ) । তাই চরম পন্থার চেয়ে নরম পন্থায় অগ্রসর হলে ক্ষনস্থায়ী শান্তির চেয়ে চিরস্থায়ী শান্তিই অর্জিত হবে বেশী ।

আরেকটি বিষয় ইদানিং লক্ষ করা যাচ্ছে, চরম পন্থার জিহাদের প্রতি মানূষের মনে ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টিতে ভাটার টান লক্ষ্য করে নতুন একটি তথ্য নিয়ে তথাকথিত জিহাদিরা অগ্রসর হচ্ছে, আর তা হলো, উগ্র পন্থা কাম্য নয় তবে জিহাদের প্রতি বিমুখিতাকে নিষেধ করা হয়েছে, প্রকারান্তরে একথা দিয়ে কি বুঝাতে চাওয়া হচ্ছে তা যে কোন বুদ্ধার কাছেই অতি পরিস্কার । যাহোক, এসমস্ত কথার সাথেই সুর মিলিয়ে বলা যায় জিহাদের প্রতি বিমুখীতার কোন প্রয়োজন নেই । এখানে উল্লেখ্য যে, প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে নিম্মোক্ত চারটি পন্থায় জিহাদে অংশ নেয়া যায় :

অন্তরের জিহাদ ( জিহাদ বিন নফস্/কলব্) Jihad of the heart/soul
কথামালার মাধ্যমে জিহাদ ( জিহাদ বিন লিছান ) Jihad by the tongue
কলমের জিহাদ ( জিহাদ ই কালাম/ইলম) Jihad by the pen/knowledge
তলোয়ারের মাধ্যমে জিহাদ ( জিহাদ বিছ সাইফ ) Jihad by the sword

কারো অন্তরে যদি জিহাদী চেতনা শীকড় গেড়ে আছে বলেই মনে হয়, তাহলে উপরের চারটি পন্থার ভিতর সর্বনিম্মে উল্লেখিত চরম পন্থার পরিবর্তে উপরের সাড়িতে থাকা বাকি তিনটি নরম পন্থার মধ্যে যার যার সুবিধামত এক বা একাধিক পন্থা বেছে নিয়ে জিহাদে সামিল হয়ে যেতে পারেন । তাহলে তিনি একদিকে যেমন জিহাদের প্রতি বিমুখীতার অভিযোগ থেকে মুক্ত থাকবেন তেমনি জিহাদের পুণ্য লাভেও সক্ষম হতে পারেন । তবে এটি একটি সম্ভাবনা, প্রকৃত অবস্থা একমাত্র আল্লাই জানেন। তবে এ সম্ভাবনার কথাটিকেই যদি বেশী গুরুত্ব দেয়া হয় তাহলে সেটি চরম পন্থার জিহাদের বেলাতেও সমভাবে প্রযোজ্য । কেননা চরম পন্থা অবলস্বন করে যাকে হত্যা করা হলো সে প্রকৃত পক্ষে বিশ্বাসী ছিল, না অবিশ্বাসী ছিল , তার কার্যকলাপ প্রকৃত সন্ত্রাসী নির্মুলের জন্য ছিল, না অন্য কিছু ছিল, তা একমাত্র আল্লাই ভাল জানেন । বর্তমান বিশ্বে ইসলামের বড় শুভানুধ্যায়ী ও মক্কার পবিত্র কাবা ঘরের নিরাপত্তা ও হেফাজতের দায়ীত্ব পালন কারী সৌদি আরব সহ আরো অনেক ইসলামী দেশই ISIS ঠেকানোর জন্য কাধে কাধ রেখে যুদ্ধ করে যাচ্ছে । এসমস্ত যুদ্ধরত মুসলমান যোদ্ধাদেরকেও বলা হচ্ছে ‘মরলে শহীদ বাচলে গাজী’। আবার ISIS যুদ্ধারাও বলছে ‘মরলে শহীদ বাচলে গাজী’। এখন কোনটা সত্য়ি । শহিদের মর্যাদা পেতে হলে দুটোর মধ্যে একটা তথা অসত্যের বিরোদ্ধে সত্য কায়েমের লক্ষ্যে যুদ্ধে নিহতদেরকেই ধরে নিতে হবে । কিন্তু এ সম্পর্কে শুধুই আল্লা খবর রাখেন, কে সত্যের পথে আর কে অসত্যের পথে । তাই এখানেও একটি সম্ভাবনার বিষয় থেকেই যায়, জিহাদের নামে না বুঝে শুনে যুদ্ধ করে নিহত হলে বেহেস্ত বা দোযক এর যেকোনটিই এক্ষত্রে মিলতে পারে । যদি সত্য হয় তাহলে পুণ্য, আর যদি ভুল হয় তাহলে এর উল্টোটাই ফলার সম্ভাবনাই বেশী । অতএব চরম উগ্র পন্থা অবলম্বন করাটা একটা বিরাট ঝুকিপুর্ণ কাজ , দ্বীন দুনীয়া দুটাই বরবাদ হয়ে যেতে পারে । তাই যে কোন জ্ঞানী ও বিবেকবান মানুষের কাজ হবে চরম উগ্রপন্থা পরিহার করে আল্লার অতি পছন্দনীয় নরম পন্থায় তার সৃষ্ট সকল মানুষের মধ্যে বিশ্বমানবতার জন্য চিরস্থায়ী কল্যানময়ী পন্থার প্রতি মনযোগী হওয়া ও সে অনুযায়ী কর্ম পরিচালনা করা । এতে পুণ্য় লাভ নাহলেও পাপী হওয়ার কোন অবকাশ থকবেনা । আসলে প্রতিটি মানূষেরই উচিত এমন কাজ করা যা দিয়ে কারো জন্য ভাল কিছু না হলেও তা যেন কারো জন্যই বিন্দুমাত্র ক্ষতির কারণ না হয় । আল্লা নীজ সৃষ্ট সকল মানুষের প্রতিই জম্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অতি সদয় ও দয়ালু, তার চলা ফেরা খানা দানা সব কিছুতেই । তবে তাকে দিয়েছেন মুক্ত চিন্তার ক্ষমতা, এটা কাজে লাগিয়ে সে তার পরকালের পথকে করতে পারে পুণ্যময় ।

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশের ওপর উগ্রবাদ আজ ছায়া বিস্তার করে চলেছে। এই উগ্রবাদীরা কারা, তারা কি চায় ,ধর্ম কায়েম না ক্ষমতার মসনদে আরোহন, কি তাদের প্রকৃত লক্ষ্য , কি তাদের উদ্দেশ্য তা জাতির কাছে আজ পরিস্কার । ধর্ম কায়েমই মূল লক্ষ হলে ধর্মীয় নিয়ম রিতি মেনেই তারা তাদের কর্মসুচী নিয়ে এগোত । গোপন কোন মিশনের চেয়ে ১৭ কোটি মুসলমানের দেশে চোরাগুপ্তা কর্মকান্ডের কোন প্রয়োজন হতোনা । গণসম্পৃক্ততায় মাত্র ৯ মাসে যেখানে বিশাল একটি দেশ মুক্ত হতে পেরেছে সেখানে ১৬কোটি মুসলমানের দেশে ধর্মীয় মুল্যবোধের যেকোন মতাদর্শ অর্জিত হয়ে যেত চোখোর পলকে, তাতে থাকত আল্লার কৃপা । কিন্তু বাস্তবে কি দেখা যাচ্ছে , এরা ক্রমশই হচ্ছে জনবিচ্ছিন্ন , ধর্মীয় আদর্শ তথা মানবতন্ত্র তাদের কাছে বড় নয়, বড় হলো উগ্রতন্ত্র। লেখার জবাব যারা লেখা নয়, দিয়ে থাকে মানুষ হত্যা করে , তারা নিয়ম রীতি ধর্ম কোনটাই মানেনা তা যেকোন বোদ্ধার কাছেই জলের মত পরিস্কার ।এখন পর্যন্ত দেখা যায় মুক্ত চিন্তকই তাদের বড় টার্গেট । তনু ধর্ষনকারীদের তারা দেখছেনা, পথকলী শিশুদের পলিথিনের বিষাক্ত বস্তু যোগানদারকে এরা দেখছেনা , এরকম আরো অনেক কিছুই দেখছেনা যা বলতে গেলে তালিকা শুধুই লম্বা হবে কিন্ত তারা যা দেখছে তা সংকোচিত হতে হতে শুধু মুক্ত চিন্তকের দিকেই কেন্দ্রীভুত হতে দেখা যাচ্ছে। তাই স্বধর্মের এসমস্ত কান্ডারীদেরকে সঠিক পথে ফেরাতে না পারলে সেটাও হবে জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।

প্রত্যেকটি নবজাতক শিশুই নিষ্পাপ অবস্থাতেই পৃথিবীর বুকে আগমণ করে । পরে বিশ্বাসী /অবিশ্বাসী ও পথ ভ্রষ্ট হয় সত্য সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞানের অভাব ও পরিবেশের প্রভাবে । বর্তমান যুগে ইন্টানেট সত্য প্রচারের জন্য একটি অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ মাধ্যম । এ মাধ্যমেও ছড়িয়ে দেয়া যায় সত্য়ের বাণী , শান্তির বাণী। আর সত্যের পথে এ কলমের/এলেমের জিহাদে সামিল হতে পারেন বিশ্বমানবতায় বিশ্বাসী সকলেই । এছাড়াও আল্লা বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষের শান্তিপুর্ণ ব্যক্তি চরিত্রের আমল আখলাক দেখেও প্রভাবিত হবে আল্লার প্রতি অবিস্বাসী ও অস্বীকারকারী মানব সম্প্রদায় এবং স্বধর্মের ভ্রান্ত পথযাত্রীরাও। আল্লার দুনিয়ায় সৃস্টি হবে সকলের জন্য শান্তিময় পরিবেশ ও ধর্মীয় ঐক্য়বোধের একটি মহা মিলন ক্ষেত্র ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হায় আমরা কবে চোখ মেলে দেখতে শিখব!

চক্রান্তকারী গোষ্ঠি চাইছে ইসলামকে আঘাত করে ইসলামকে ধ্ভংস করতে। আমরাও তার ফাঁদে পা দিয়ে চলছি! কখোন নিজেরা গোত্রে গ্রতো, কখন মাজহাবে, কখনো নিজেরাই সব দোষ মুসলমানের! ভাল হলে শুধূ মুসলমানকেই হতে হবে! ব্যাস সুশীল অনুভবে তৃপ্তির ঢেকৃর তুলি।

কেউ চিৎকার করে বলিনা, সাহস পাইনা, বলতে পারিনা- প্রতিক্রিয়ার আগে ক্রিয়াটা কে করছে!!!!! অথবা এই মুসলমানকে যুদ্ধবাজ বানানোর গেম প্লে টা কার প্লান! ???

বিগত কয়টি যুদ্ধ মুসলমানরা শুরু করেছে?
কয়টি দেশ জবরদখল করেছে?
যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলোতে আক্রমনকারীকি মুসলমানরা?
ইরাক, আফগানিস্তান, লেবানন, লিবিয়া, আলজেরিয়া সহ যত দেশে যুদ্ধাবস্থা তার শুরুটা কার?
ইন্ধন দিচ্ছে কে? সুফল ভোগী কে?

না। কেউ তা ভববা না। কারণ তাতে আমেরিকার বিরুদ্ধে বলতে হয়।
আমেরিকাকে যুদ্ধবাজ বলতে হয়।
ইসলাইলকে আগ্রাসী বলতে হয়।
ক্রিকেটে যেমন তিন মোড়লের হাতে সব- বিশ্ব নিয়ন্ত্রনে ৫ মোড়লের বাইরে কে যাবে?

সো মুসলমানরা মাইরও খাবে আবার নিজরাই নিজেদের তিরস্কারও করবে! সব দোষ নন্দঘোষ!

হাজার লাখো নিরপরাধ, নারী, শিশু হথ্যার পরও, তাদের রক্তে স্নান করেও কথিত সভ্য! সুশীল! মানবাতাবাদী দেশের তকমা তারা পেতেই থাকবে ! বিশ্বকে ন্যায় শেখাবে- নিজেরা অন্যায় ভাবে পরদেশ দখল লুট করে! বাহ!
আর আমরাও তাদের সভ্য সনদ পেতে - নিজের জাত ভাইদেরই পোষ্টমর্টেম করবো। তারা মরে যাক। নিশ্চিঞ্ন হয়ে যাক। অস্ত্র ধরবে কেন?
তারা মিথ্যা, প্রতারণা , মিডিয়া ব্যবহার করে একটা জাতি নিশ্চিহ্ণে উঠেপড় লেগেছে- তাতে কি? সে নিয়ে কিছূ বলা যাবে না।
একটা দেশ ধ্ভংসে ১২ বছর পর বলবে- রিপোর্ট মিথ্যা ছিল! তাতেই বাহ বাহ ধ্বনি পড়বে!
আড়ালে চাপা পড়বে সমৃদ্ধ একটা দেশের স্মশান হবার ইতিহাস।
সে কথা বলতে নেই! সনদ মিলবে না।!

আফসোস! আমরা আমদের পক্ষই নিতে শিখলাম না।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ চমৎকার উপলব্দির জন্য । আপনার লিখাটি আরো বেশী আবেদনময়ী। আত্বশুদ্ধিতে সহায়ক ।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনার লেখাটি সুন্দর, সংগ্রহে রাখছি। তবে, 'চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী।' আর, আমাদের দেশটাতে যে কত শতাংশ চোর সেটাই ভাবার বিষয়! ভাল থাকুন।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । একটু হলেও তো কারো না কারো মনে নাড়া দিবে । চোর ভাবতে শিখবে গৃহস্তরা সজাগ আছে । চুরী কর্মটা একটু একটু করে কঠিন হবে । সেই বা কম কি ।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১১

কালনী নদী বলেছেন: আবারও অসাধারণ পোস্ট, সংগ্রহে নিচ্ছি।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ । ধর্মীয় বিষয়ে লিখা একটু শংকার মধ্যেই আছি , কে কিভাবে নেয় । মুক্ত চিন্তা চিন্তা থেকে লিখা হলেও তথ্যসুত্র কোরানের বাণী উল্লৈখ করায় লিখাটির কলেবর বেড়ে যায় ।
যাহোক গতকাল একারণে একটু ব্যস্ত থাকায় ভাল করে অনেক কিছুই দেখা হয়নি । জানা হয়নি অাপনার কম্পিউটারের কি বোর্ড সমস্যার কথা । যেখানে আছি সেখান থেকে এখন শুধু সমব্যথী ও সহানুভুতিই জানাতে পারি। দোয়া করি কাটিয়ে উঠুন সমস্যা ।
ভাল থাকুন ,এ শুভকামনা থাকল ।

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:২৩

কালনী নদী বলেছেন: আপনার আন্তরিকতায় আমি সত্যিই মূগ্ধ, আসলে এখন ধর্মীয় কথা বলাটা কেমন হয়ে গেছে! কে কখন কষ্ঠ পায়। সেনসিটিভ বিষয়।
কেন যে এত বৈষম্য সত্যি সবাইকে নিয়ে বড় চিন্তা হয়।

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর উপলব্ধির জন্য ।

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে চমৎকার আলোচনা করেছেন, যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত এবং যুক্তি দিয়ে। এ পোস্টটি আরো বহুপঠিত হওয়া উচিত ছিল।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


অনেক পুরানো একটি পোষ্ট এসে দেখার জন্য ধন্যবাদ ।
এটা সামুতে আমার প্রথম দিকের একটি পোষ্ট । তাই হয়তবা এটার বহুল পাঠ হয়নি ।

৮| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি এটিকে রিপোস্ট করার কথা ভেবে দেখতে পারেন।

৯| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এই পোস্টেও- "মহৎ আত্মত্যাগ: অন্ধজনে দেহ প্রাণে’র কথা" একটি মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.