নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেপের মনস্তাত্ত্বিক কারণ ও প্রতিকার

১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৯




রেপের মনস্তাত্ত্বিক কারণ ও প্রতিকার

গত ৫ এপ্রিল, বুধবার, দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত হয়েছে, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার দারুল তালিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও কাচারী পাড়াা জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মতিউর (৫০) তার মাদ্রাসার এক ছাত্রকে রেপ করার পর স্থানীয় জনতা তাকে পুলিশে দেয়।

রেপের ভয়াবহতা যে কতটা ব্যাপক তা আমরা জানি। জানিনা এটি কি পরিমাণে রোজ ঘটছে। কারণ রেপের বেশীরভাগ ঘটনাই ধামাচাপা দেয়া হয়। যেমন - এই প্রিন্সিপাল মহোদয় ও মহামান্য ইমাম সাহেব ইতোপূর্বে একাধিক রেপ করলেও তার কোন শাস্তিই হয়নি। আমরা জানতেও পারিনি। বিচ্ছিন্নভাবে দুএকটি ঘটনা মিডিয়াতে এলে আমরা দু'চার কথা বলি। তারপর যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই।

আমার মনে হয় এখন সময় এসেছে জানার, কেন মানুষ রেপ করে? এর প্রতিকারইবা কি? আসুন জানি রেপের মনস্তাত্ত্বিক কারণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে।

রেপের কারণসমূহ:

১। অপরাধী মানসিকতার লোকেরা খুব সহজে, বিন্দুমাত্র অপরাধবোধ না থাকার কারণে নির্দিধায় রেপসহ যেকোন অপরাধ করতে পারে, করে। এটি রেপের প্রধান কারণ।

২। আমাদের দেশের পুরুষরা বিয়ের আগে সেক্স করতে পারেনা সমাজের নিষেধের কারণে। সবার প্রেমিকা থাকেনা, থাকলেও পূর্ণ তৃপ্তির সুযোগ থাকেনা। পতিতালয় আছে। সেখানে যাবার মানসিকতা, সুযোগ, সামর্থ সবার থাকেনা। পরকীয়া বা রেপ করাও ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু শরীরের চাহিদাটা থেকে যায় মোক্ষমভাবেই। ফলে তারা সুযোগ খোঁজে। যেকোন মেয়ে, শিশু এমন কি অতি নিকট কোন আত্মীয়কে একা পেলে রেপ করে।

৩। ধর্ষকদের মধ্যে যৌন ধর্ষকাম প্রবৃত্তি ( Sexual Sadism বা অন্যকে নির্যাতন করে যৌনসুখ লাভের মানসিকতা) থাকতে পারে, থাকে যা রেপের আরেকটি কারণ।

৪। সাইকোপ্যাথিক ব্যাক্তিত্বের অধিকারী লোকেরা রেপ করে। ধারাবাহিক রেপের কারণও এটি।

৫। মাদকাসক্তি মানুষের স্বাভাবিক বিবেচনাবোধ লোপ করে। এটিও রেপের আরেকটি কারণ।

৬। ধর্ষকদের মনে মেয়েদের প্রতি তীব্র অশ্রদ্ধা, ক্রোধ, আক্রমনাত্বক মনোভাব ও প্রতিহিংসা পরায়নতা (যার কারণ হতে পারে অতীতে কোন মেয়ে দ্বারা প্রতারিত, অপমানিত প্রত্যাখ্যাত হওয়া, ইত্যাদি) , ইত্যাদি থাকলে তারা রেপ করে।

৭। একাকীত্ব বোধ, অক্ষমতাবোধ, রাগ, অপমানজনক অনুভূতি, প্রত্যাক্ষাত হওয়া, হতাশা, ব্যর্থতা বা ব্যাক্তিজীবনে কষ্ট, অপ্রাপ্তি .. এসব থাকলে ধর্ষণের আকাঙ্খা বৃদ্ধি পায়।

৮। যে সমাজে দ্বন্দ্ব ও সামাজিক সমস্যার সমাধানের জন্য বলপ্রয়োগ বা প্রচণ্ডতাকে প্রশ্রয় দেয়া হয়, সে সমাজে ধর্ষণের ঘটনা বেশী ঘটে। তাই সামাজিক প্রতিরোধ ও আইনের শাসনের অভাব রেপসহ সব ধরণের অপরাধের জন্য দায়ী।

৯। যেসব পর্ণোচিত্রে মেয়েদের সাথে জবরদস্তিমূলক যৌন সম্ভোগে মেয়েদেরকে তা উপভোগ করতে দেখানো হয় বা মেয়েদের প্রতিবাদ করতে দেখানো হয়না, সেসব দেখে অনেক পুরুষ রেপে উৎসাহিত বোধ করে।

১০। কোন মেয়ে প্রেমে বা বিয়ের আগে যৌন সম্পর্কে রাজী না হলে মেয়েটির 'না' - কে সহ্য করতে না পেরে রেপ করে।

১১। মেয়েদের উপর আধিপত্যবিস্তার ও ভয় দেখিয়ে নিয়ণ্ত্রণ করার মানসিকতাও রেপের অন্যতম কারণ। কখনও কখনও রেপকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখা গেছে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে, বিশেষ করে যুদ্ধের সময় রেপকে শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করতে দেখা গেছে যুগে যুগে দেশে দেশে। যেমন - ব্রাউনমিলার (Brownmiller, 1975) তাঁর বইতে দেখিয়েছেন যে, ইতিহাসের বিভিন্ন যুগে বিজেতারা বিজিতদের শাস্তি দিতে বা ভয় দেখাতে ধর্ষণকে রাজনীতির অঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করেছে। একাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ক্রুসেডের সময় ক্রুসেডররা ইউরোপের মধ্য দিয়ে ভ্রমনের সময় জেরুজালেমকে মুসলমানদের দখলমুক্ত করার সময় প্রচুর রেপের ঘটনা ঘটে।প্রথম মহাযুদ্ধের সময় জার্মান সৈন্যরা বেলজিয়ামের মহিলাদের, আমেরিকান সৈন্যরা ভিয়েতনামে আগ্রাসন চালানোর সময় ভিয়েতনামী মহিলা ও বালিকাদের, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সৈন্যরা আমাদের মেয়েদের, সার্বীয় সৈন্যরা বসনীয় মেয়েদের, ১৯৯০ সালে কুয়েত দখলের পর ইরাকী সৈন্যরা কুয়েতী মেয়েদের রেপ করে। এখনও ভারত, আফগানিস্তান, সিরিয়া, বার্মা,... এসব দেশে প্রচুর রেপ হয়।

১২। ক্ষমতাশীল ব্যাক্তি সুযোগ পেয়ে কোন দূর্বল মেয়ে, শিশু বা ছেলের উপর ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটায় রেপের মাধ্যমে।

১৩। কখনও কখনও বন্ধুবান্ধবরা একসাথে হয়ে বা শক্তিশালী হয়ে আকষ্মিক ভাবে কোন অসহায় মেয়েকে একা পেয়ে আনন্দ-ফুর্তি করার জন্য রেপ করে।

হুজুররা কেন রেপ করে?

সাধারণ মানুষদের মধ্যে যেমন অনেক ধর্ষক আছে, তেমনি হুজুরদের মধ্যেও অনেক সমকামী আছে যেকারণে হুজুরদের (এমনকি হাফেজদের) দ্বারাও মাদ্রাসা ছাত্রদের রেপ হবার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। যদিও ধর্ম ও সমাজের ভয়ে হুজুররা সেটা প্রকাশ করেনা।

মাদ্রাসার বা এতিমখানার কোমলমতি অসহায় শিশুগুলোর উপর বর্বর নির্যাতন করেলেও হুজুরদের বিরুদ্ধে সহজে কেউ মুখ খোলেনা বলে তারা এসব জঘণ্য অপরাধ করতেই থাকে।

তাদের দাম্পত্য জীবনের যৌন অতৃপ্তি কখনও কখনও রেপের কারণ হতে পারে।

ধর্মে ও সমাজে বহুগামিতা জায়েজ হবার কারণে হুজুররা বহুগামিতাতে আসক্ত। এটািও কারণ।

মাদ্রাসার বা এতিমখানার আবাসিক পরিবেশ, অভিভাবকদের অসহায়ত্ব ও হুজুরদের প্রতি তীব্র আনুগত্য হুজুরদের সাহস বাড়ায়। ফলে তারা এমন অপকর্ম করতে ভয় পায়না।

ধর্মীয় অনুশাসন ভাংগার ইচ্ছা কখনও কখনও রেপের কারণ।

আমরা বিভিন্ন মুসলিম দেশের, বিশেষ করে সৌদী আরবের মানুষদের জীবনপ্রনালী অনুকরণ করি। তারা যেহেতু বহুগামী এবং যৌন জীবনে খুনই অসংযমী, তাই আমরাও তাদের মত হবার চেষ্টা করি।

ধর্মীয় আইনের ভুল ব্যাখ্যাও দায়ী। অনেক হুজুর মনে করে, আল্লাহর কাছে তওবা পড়ে মাফ চাইলেই বা হজ্জ্ব করলেই যেকোন পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এমন ধারণাও রেপের জন্য দায়ী।

ধর্মীয় বাধার কারণে হুজুররা সহজে মেয়েদের সাথে মিশতে পারেনা, পতিতালয়ে যেতে পারেনা, প্রকাশ্যে প্রেম করতে পারেনা। ফলে তাদের অবদমিত যৌন চাহিদার কারণে কখনও কখনও তারা ছেলেদের রেপ করে।

অসহায় শিশুগুলোর উপর জুলুম করা সহজ। কারণ এরা শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক দিক থেকে দূর্বল। তাই ভয় দেখিয়ে বা জোর করে এদের রেপ করা যায়। ইত্যাদি।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:

- প্রতিটা শিশুর সামাজিকীকরণের প্রথম প্রতিষ্ঠান হল তার বাড়ী, তার পরিবার। এটিই তার আচরণ, মূল্যবোধ, ধারণা, বিশ্বাস, নৈতিকতা, সাহস, শিক্ষা.. ইত্যাদির ভিত্তি তৈরী করে দেয়। এই ভিত্তিই তার সারাজীবনের আচরণের মূল চাবিকাঠি। এখান থেকে সে যা শিখবে, সারাজীবন সে তাই করবে। পরিবারে সে ভাল কিছু শিখলে সে ভাল হবে, নাহলে খারাপ। তাই ছোটবেলা থেকে আমাদের উচিত আমাদের শিশুদের প্রতিবাদ করতে শেখানো । কখনো যেন তারা কোন অন্যায় মেনে না নেয়। তাহলে তারা ভয় পাবেনা, কিছু গোপন করবেনা, সাহসী হবে, যেকোন অন্যায়ের শুরুতেই প্রতিবাদ করতে শিখবে। এটা খুব জরুরী। আরো জরুরী শিশুকে নিজে অন্যায় না করতে শেখানো যাতে বড় হয়ে সে নিজে যেন অপরাধী না হয়।

- পরিবারের উচিত, এরকম যেকোন জঘণ্য অপরাধ গোপন না করে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। এই প্রিন্সিপালের করা প্রথম রেপের শাস্তি হলে পরের রেপগুলো সে করতে পারতোনা। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর ও সচেতন থাকা দরকার। কারণ সেখানে তাঁদের বাচ্চারাও পড়ে। তাঁদের বাচ্চারাও এমন অপরাধের শিকার হতে পারে।

- মাদ্রাসা বা এতিমখানাগুলোতে এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তাই অভিভাবকদেরও উচিত সচেতন হওয়া।

- অপরাধীরা শক্তিমান হলেও ওসব প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের উচিত সম্মিলিতভাবে তাদের প্রতিহত করা।

- মাদ্রাসায় বা এতিমখানাগুলোতে পড়তে আসে সাধারণতঃ দরিদ্র, অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, ধর্মপ্রাণ মানুষের সন্তানেরা যারা সন্তানকে কোরানে হাফেজ বা আলেম বানানোর জন্য মরীয়া। তাহলে বেহেশত নিশ্চিত। বেহেশতের লোভে জেনেশুনে সন্তানকে এমন কিছ জালেমদের হাতে তুলে দিতে এদের আপত্তি হয়না। আর এই সুযোগটাই নেয় কিছু হুজুররূপী জানোয়াররা। হুজুরদের দয়ালু ও খোদাভীরু হবার কথা। তাঁরা হাদিস কোরান বেশী মানেন- জানেন। তারা কেন এমন হিংস্র পশুর মত সন্তানতূল্য এসব শিশুদের ভয়ংকর নির্যাতন করেন? তাদের এমন জঘন্য পাপে খোদার আরশ কেঁপে ওঠার কথা। অথচ এদের দয়া হয়না কেন? এদের মনে পাপবোধ জাগেনা কেন? কারণ মাদ্রাসাগুলোতে নজরদারী কম। তাই নজরদারী বাড়াতে হবে।

- সর্বোপরি, হুজুর বা অহুজুর, অপরাধ যেই করুক, এরকম বিকৃত মানসিকতার শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা:

কোন অপরাধ সংঘঠিত হবার পর প্রথমে আক্রান্ত ব্যক্তিকে তার নিকট জনেরা তাকে সাহায্য করুন, চিকিৎসা দিন, মানসিক শক্তি যোগান। ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ভুলতে সাহায্য করুন। কিছু করতে না পারলে অন্তত মন দিয়ে সহানুভূতির সাথে তার কষ্টের কথা শুনুন, সমব্যথী হোন। ভিকটিমকে সান্তনা দিন। বলুন যে দূর্ভাগ্যজনক হলেও এমন ঘটনা আরো অনেকের সাথেই ঘটেছে। দরকার হলে পরিবেশ বদলানো দরকার। এতে ঘটনার তীব্রতা কম অনুভূত হয়। পজিটিভ ভাবতে সাহায্য করুন। যাই ঘটুক, তাকে কাটিয়ে উঠে সামনে এগিয়ে যাবার প্রেরণা দিন। সর্বোপরি, প্রতিবাদ করার জন্য মানসিক শক্তি যোগান ও প্রতিবাদের উপায় দেখিয়ে দিন, সাথে থাকুন।

কেন অপরাধের প্রতিবাদ ও প্রতিকার হওয়া জরুরীঃ

* অন্যায়ের প্রতিকার না পেলে মানুষের মনে যে দীর্ঘস্থায়ী মানসিক ক্ষতের সৃষ্টি হয়, তা সারাজীবন তাকে কষ্ট দেয় যার যণ্ত্রণা শুধু সেইই জানে।

* অন্যায়ের প্রতিকার না পেলে বা প্রতিবাদ করতে না পারলে তা মানুষের
মনের উপরে চাপ ফেলে, মানুষ নিজেকে অপমানিত বোধ করে, ঐ কষ্টকর বা অসম্মানজনক অবস্থার কথা ভুলতে পারেনা। ফলে স্বাভাবিক ও আনন্দময় জীবন ব্যাহত হয়।

* নিকটজনদেরকে তার প্রতি হওয়া অন্যায়ের প্রতিকার করতে না পারার অপরাধে কখনো ক্ষমা করতে পারেনা। কোনদিন শ্রদ্ধা করবেনা।

* আক্রান্ত ব্যক্তির মানসিক শক্তি, ক্ষমতা বা সৃজনশীলতা, কাজ করার স্পৃহা, জীবনে কিছু করার বা হওয়ার স্বপ্ন, স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার আনন্দ.. এগুলো চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়। কেউ কেউ অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে। কেউ না মরে বেঁচে থাকে।

* অপরাধীকে বুক উঁচিয়ে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াতে দেখে ভিকটিমের কষ্ট আরো বাড়ে।

* অপরাধী শাস্তি পায়না বলে আরো অপরাধ করার স্পর্ধা ও সুযোগ পেয়ে যায় এবং বীরদর্পে অপরাধ করে।

* তাকে দেখে অন্যরাও অপরাধ করতে উৎসাহিত বোধ করে। আরো মানুষ অপরাধ করে। এভাবে সমাজ, দেশ কলুষিত হয়।

* ভিকটিম ন্যায়বিচার না পাওয়ার কারণে আত্মগ্লানিতে ভোগে, নিজেকে অসহায় ও অপরাধী ভাবে, আত্মহত্যা করে, কাউকে বিশ্বাস করতে পারেনা, মানুষের প্রতি আস্থা হারায়, অনেকে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়।

* ভিকটিমের মনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী কষ্ট, ভয়, লজ্জা, আতংক, ঘৃণা,... ইত্যাদি সৃষ্টি হয় যা তাকে প্রতিনিয়ত মানসিক যণ্ত্রণা দেয়।

* মানুষ স্বভাবগতভাবে ন্যায়পরায়ণ। তাই তার প্রতি ঘটে যাওয়া অপরাধ দগদগে ঘায়ের মত চিরস্থায়ীভাবে থেকে যায় যা কোনদিনও শুকায়না, ভিকটিম কখনোই তা ভুলতে পারেনা।

* অপরাধী শাস্তি পেলে ভিকটিম সান্তনা পায়, কষ্ট চলে যায়, নতুন করে বাঁচার উদ্যম সৃষ্টি হয়, মানসিক ভারসাম্য ফিরে আসে।

উপসংহার:

চোর-ডাকাত পকেটমারকে যখন লোকে পিটিয়ে মেরে ফেলে, তখন কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া উচিত হয়নি বা চোর-ডাকাত-পকেটমারের মানবাধিকার লংঘন করা ঠিক হয়নি... এমন কথা বলেনা। বরং খুশী হয় এই ভেবে যে, অন্তত কিছু পাপীর তো শাস্তি হল! পুলিশে দিলে ঘুষ দিয়ে ছাড়া পেতো। কোন বিচারই হতোনা। আবার অপরাধ করতো। ওসব অপরাধের চেয়ে নারী বা কোমলমতি শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন কি কম অন্যায় ??? আমি মোটেই অখুশী হবনা যদি দিনে-দুপুরে এসব জানোয়ারদেরকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।


৯ মে ২০১৭ তারিখে ভোরের কাগজে লেখাটি ছাপা হয়। লেখাটি ব্লগেও আছে।



http://www.bhorerkagoj.net/epaper/2017/05/09/4/details/4_r4_c2.jpg

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:২১

অচিন্ত ব্যানার্জী বলেছেন: ভাল পোষ্ট।

১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:২২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

সুজাতা হালদা৯২ বলেছেন: আপনার পোষ্ট বর্তমান সময়ের জন্য খুবই উপকারী।

১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, সেজন্যই রিপোস্ট দিয়েছি।

ধন্যবাদ।

৩| ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

সুমন চ্যাটার্জী বলেছেন: সবাই তৎপর হলে জন সচেতনতা বাড়বে। ভাল পোষ্ট।

১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট। বড় হলেও পড়ে ভালো লাগলো আপনার পরামর্শ প্রতিকার ব্যবস্থা গুলো।

আমাদের সামাজিক অবক্ষয় রোধে এগিয়ে আসতে হবে, বিচারবিভাগীয় গতি বৃদ্ধি করতে হবে, শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে দ্রুত। তবেই যদি এমন জঘন্য কাজ কিছুটা কমে।


শুভকামনা আপনার জন্য।

১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

শোভন কুমার বর্ধন বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: "ধর্মে ও সমাজে বহুগামিতা জায়েজ হবার কারণে হুজুররা বহুগামিতাতে আসক্ত। এটািও কারণ।"- কোথায় পাইছেন এই তথ্য ?

১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: বিভিন্ন মুসলিম দেশের নানা তথ্য থেকে। বিশেষ করে সৌদি আরবে বহুবিবাহ একটি অতি সাধারণ ঘটনা। আমাদের দেশ, পাকিস্তান সহ প্রায় সব মুসলিম দেশ ও সমাজে বহুবিবাহ জায়েজ। ধর্মেও জায়েজ। একজন বেহেশ্তী পুরুষ পাবে সত্তর হুর, স্ত্রী পাবে শুধু স্বামী। এতে পুরুষদের বহুগামিতাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

৭| ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

ভাবনা পায়েল বলেছেন: পোষ্টের সাথে সহমত।

১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



ধর্ষনের সেঞ্চুরি করে যারা অনুষ্ঠান করে বেড়ায়, তাদের ছবি চোখে পড়ে না?

মাসাধিককালের পুরনো বাসী ময়লায় আবারও হাত নোংড়া করলেন! না কি, হুজুরদের প্রতি মহব্বতের অাধিক্য সব কিছুকে পেছনে ফেলে দিয়েছে?

ইতোমধ্যেই বনানী কাহিনী তো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসে গিয়েছিল, তো সংগ্রহে সেই সব ঘটনার নায়কদের ছবি টবি দুই একখান ছিল না?

আপনার কথামত ভোরের কাগজে দেখতে গিয়েছিলাম, শিরোনামের ছবিটা সেখানেও আছে কি না। দেখলাম নেই। ছিল না।

যাক, রুচিবোধ বলে কথা। যার যেমন রুচিতে ধরে।

ভাল থাকবেন।

১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: বুঝলাম না। ধর্ষক তো ধর্ষকই। হোক সে হুজুর কিংবা আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে। তাতে কি এসে যায়? আমার লেখাটা পএরনো, ছবিটাও তাই। আমি রিপোস্ট করেছি কারণ আপন জুয়েলারর্সের ছেলেও তার বন্ধুদের ছবি মিডিয়াতে প্রচার হচ্ছে। আমি রেপের ধারাবাহিকতা দেখাতে পুরনো ঘটনা টেনে এনেছি।

আপনার মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে দুঃখিত। আপনিও ভাল থাকুন।

৯| ১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

MAD2017 বলেছেন: বনানীতে কোটি পতির ছেলে আপন জুয়েলার্সের ছেলের মত ছেলেরা কেন রেপ করে?

১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: এদের কারণ ক্ষমতার দম্ভ, আইনকে কিনে নেবার ক্ষমতা, নারীর প্রতি অশ্রদ্ধা, খারাপ বন্ধুদের সংগ, পারিবারিক অনুশাসনের ও প্রকৃত শিক্ষার অভাব ইত্যাদি।

১০| ১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



"ধর্মে ও সমাজে বহুগামিতা জায়েজ হবার কারণে হুজুররা বহুগামিতাতে আসক্ত। এটািও কারণ।"

-উদ্ভট তথ্য। বহুবিবাহ আর বহুগামিতা এক জিনিষ নয়। না জেনে, না বুঝে সব কিছুকে গুলিয়ে ফেললে তো হবে না। বিবাহিত নারী পুরুষের দৈহিক মিলন আর অবিবাহিত নারী পুরুষের কাম বাসনা পূরনকে কি একই জিনিষ বলবেন?

দয়া করে এসব বিষয়ে আরও জানুন, তারপরে লিখুন। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আপনার ধারনা ক্লিয়ার করার জন্য আপনি ইচ্ছে করলে স্টাডি করে দেখতে পারেন, অনুরোধ করব, জেনে নিয়ে তারপরেই কোন কিছু বিশ্লেষনে যাওয়া জ্ঞানী ব্যক্তির কাজ।

শুভ কামনা।

১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আর পৃথিবীর ধনী মুসলিম দেশগুলোতে কাজের মেয়ের সাথে যৌনসম্পর্ককে কি বলে?

১১| ১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

সত্যের ছায়া বলেছেন: বলৎকার, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি প্রভৃতি ঘটনা ঘটার পর অপরাধী যদি শাস্তিভোগ না করে তাহলে রেপিস্টিরা উক্ত কাজ পুনরায় করতে দ্বিগুণ আগ্রহবোধ করে। তখন তাদের মস্তিষ্ক চিন্তাচেতনা অবধামিত হতে থাকে। ফলে সে একই ঘটনা পুন:পুন ঘটায়।
এর বিভিন্ন কারণ আছে, যেগুলো আপনার পোষ্টে কিছু কিছু উল্লেখ আছে। আবার আপনি এমন কতগুলো কারণের কথা উল্লেখ করেছেন যেমন,

২। আমাদের দেশের পুরুষরা বিয়ের আগে সেক্স করতে পারেনা সমাজের নিষেধের কারণে। সবার প্রেমিকা থাকেনা, থাকলেও পূর্ণ তৃপ্তির সুযোগ থাকেনা। পতিতালয় আছে। সেখানে যাবার মানসিকতা, সুযোগ, সামর্থ সবার থাকেনা। পরকীয়া বা রেপ করাও ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু শরীরের চাহিদাটা থেকে যায় মোক্ষমভাবেই। ফলে তারা সুযোগ খোঁজে। যেকোন মেয়ে, শিশু এমন কি অতি নিকট কোন আত্মীয়কে একা পেলে রেপ করে।


আপনার মতে, এগুলো না থাকার ফলে ধর্ষণ অহরহ ঘটছে! কিন্তু আপনার বর্ণিত সুযোগ সুবিধাগুলো আমেরিকা, ইউরোপ, চায়না কিংবা জাপানে বেশি থাকার পরও সেখানে ধর্ষণের হার আমাদের দেশের তুলনায় বেশী। সেখানে পিতা কর্তৃক কন্যার ধর্ষণের নজির ভূরি ভুরি আছে। আমাদের দেশেও এরকম যে নেই তেমনটা বলা যাচ্ছে না। খবরান্তে জেনেছি দেশে আলোচিত দুই ধর্ষকের একজন বিবাহিত ছিলেন এবং তারা গুলশান বনানীর আবাসিক হোটেলের নিয়মিত খদ্দের ছিল। তারপরেও তাদের রুচি চেঞ্চ করতে গিয়ে আজ সমালোচিত।

কিন্তু দু:খের ব্যাপার হলো আমাদের দেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। বর্তমান সময়ে দুই ধর্ষকের এক জনের জাতকুলের পরিচয় কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না?

আমাদের দেশে ধর্ষণের অন্যতম কারণ হলো কু-প্রবৃত্তি।


১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ক্ষমতার দম্ভ, আইনকে কিনে নেবার ক্ষমতা, নারীর প্রতি অশ্রদ্ধা, খারাপ বন্ধুদের সংগ, পারিবারিক অনুশাসনের ও প্রকৃত শিক্ষার অভাব, আইনের কঠে্োর প্রয়োগের অভাব, সামাজিকভাবে ও রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্ষককে প্রশ্রয় দেয়া, ইত্যাদি নানা কারণ আছে।

১২| ১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: বেশ ভালো ,বিশ্লেষন মূলক লেখা।পোস্টে হুজুরের ফটো দেখে কিছু ব্লগার হুজুর কষ্ট পাচ্ছেন।

১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, এই মানসিকতাও ভাল না। হুজুর হলেই সে রেপ করার লাইসেন্স পায়না। তাই তার প্রতিও সমান ঘৃণা থাকা উচিত। ধন্যবাদ।

১৩| ১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সময়োপযোগী লেখা,
কিন্তু সমাজের চিত্র পাল্টে কই ?

১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। জ্বি, পাল্টাচ্ছে না। পাল্টাবে, যদি ক্ষমতাধর বা ক্ষমতাহীন প্রতিটি ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।

১৪| ১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অন্যায় যে করুক সেটা অন্যায়। হজুর অন্যায় করলে সেটাও হাইলাইট হওয়া দরকার। তাহলে মানুষ বুঝবে যে হজুর হলেই অন্যায় করবেনা এটা ঠিকনা। এতে জনগন অন্তত হুজুর থেকেও সাবধান থাকতে পারবে। একজন বলছিল আমি হুজুর দেখেকি আমার ওটাও হুজুর নাকি? আর শয়তান হুজুরকেও ধোকা দিতে পারে এ ঘটনা তার প্রমাণ। সুতরাং হুজুর হলেই তাকে ধোয়া তুলুসি পাতা ভাবার দরকার নেই। অপরাধের বিবেচনা সবার ক্ষেত্রে সমান হওয়া দরকার। হুজুরী লাইসেন্স দিয়ে অপরাধ করে পার পাওয়া আদো দরকার নয়। আর যুগের চিন্তা মাথায় রেখে সৌদি শায়েখদেরও যৌন বিলাশ বাদ দেওয়া দরকার। এককালে এ বিষয়টা দোষনিয় হয়ত ছিলানা, কিন্তু যেহেতু একালে এটা দোষনিয় ধরা হয় সেহেতু একাল বিবেচনায় সেকালের অভ্যাসটার চর্চা না করলে ক্ষতি কি? পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় চলা আমি সঠিক মনে করি। আর হুরের বিষয়টা হলো। আল্লাহ বলেছেন, জান্নাতির ইচ্ছার বাইরে কিছু হবেনা। কাজেই জান্নাতি মহিলা যদি না চায় তবে তার সঙ্গি বহুগামী না হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে হয়ত হুর শুধুই সেবিকা হিসেবে থাকবে। আর যদি মহিলা নিজেই সেটা চায় তবে তাতে কার কি?

১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬

মূর্ক্ষের পিতা হস্তী মূর্ক্ষ বলেছেন: Good

১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬| ১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: Click This Link

১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ

১৭| ১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অরন্যে রোদন।

১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, ঠিক তাই। যারা এসব ঠেকাতে পারে তারা ঘুষ খায়, অপরাধীর সাথে সেলফি তুলে বলে, অপরাধীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।

১৮| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ইসলাম ধর্মে বহুগামীতা ঠেকাতেই বহুবিবাহে উৎসাহ দেয়া হয়েছে - তবে তারও কিছু শর্ত আছে। ধর্ষক, জেনাকারী - মহানবী(সঃ)'র আমলেই ছিল তো এখন কেন থাকবে না? তবে এ জন্য ইসলাম ধর্ম বা আরবদের মানসিকতাকে দায়ী করা যাবে না। গৃহকর্মীদের সাথে আরবরা যেটা করে সেটা ইসলামের মানদন্ড নয়। যদি আরবদের দায়ী করেন তাহলে আরবদের মত প্রকাশ্যে কল্লাকাটা আইন-এর জন্য আন্দোলন করেন। দেখেন ধর্ষণ কমে কিনা। তখন তো বলবেন, এগুলো বর্বর, মধ্যযুগীয় আইন...

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৫১

আলপনা তালুকদার বলেছেন:
আরবে কল্লাকাটা আইন আছে। তবু সেখানে প্রচুর ধর্ষণ হয়। হাত-পা-গলা কাটা আইনগুলো মুসলিম দেশগুলোতে বসবাসরত প্রবাসীের বেলায় প্রয়োগ করা হয়। আরবরা জরিমানা দিয়ে পার পায়। আরবদের নানা জায়গায় বিলাশবহুল বাড়ী আছে যেখানে মদ- মেয়ে সবই পশ্চিমাদের চেয়ে বেশী চলে।

মুসলিম পুরুষরা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য বহুবিবাহের মত অনেক আইন বানিয়ে নিয়েছে, এখনও নিচ্ছে। ইরানের পার্লামেন্ট আইন পাস করেছে যে বয়স ১৩ বছর হলেই পিতা তার পালক কন্যাকে বিয়ে করতে পারবে। ভাবা যায়?

তুরস্কে আইন পাশ হতে যাচ্ছে, ধর্ষক ধর্ষিতাকে বিয়ে করতে রাজী হলেই তার ধর্ষণের শাস্তি মাফ করে দেয়া হবে। এ আইনের প্রকৃত অর্থ হল, কোন মেয়ে কোন ছেলেকে স্বেচ্ছায় বিয়ে করতে রাজী না হলে রেপ করলেই তাকে বিয়ে করা যাবে।

ইউরোপে সমকামীদের যে ক্লাবগুলো আছে, তার অধিকাংশের সদস্য আরবরা।

আমার এক আরবীয় বান্ধবী আছে। নাম হুমা। ওর মুখে শুনেছি, ওদের দেশে পুরুষরা একাধিক স্ত্রীতো রাখেই, এমনকি একই কাজের মেয়ের সাথে বাবা-ছেলে-জামাই,ছেলের বন্ধু সবাই সেক্স করে, রেপ করে। কোন স্ত্রী এর প্রতিবাদ করতে পারেনা। স্বামীরা কোথায়, কখন, কার সাথে কি করে বেড়াচ্ছে, তা জানার অধিকারও স্ত্রীদের নেই। একই কাজ স্ত্রী করলে মাটিতে পুঁতে পাথর মেরে বা গলা কেটে হত্যা করা হয়।

মুশকিল হল, আমরা অন্ধের মত আরববের বিশ্বাস করি। তাদের সম্পর্কে খারাপ কিছু বললে আমরা বিশ্বাস করিনা। তাতে অবশ্য সত্যি মিথ্যা হয়ে যায়না।

১৯| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

আরিফ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট,

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

২০| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ষকদের শাস্তি হোক ধর্ষিতার আর্তনাদ থামুক।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:০৬

সাওরন বলেছেন: ফাজলামি করার জায়গা আর পাননি হুজুর করলে ধর্ষণ আপনারা করলে লীলা

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: অন্যায় অভিযোগ করবেন না প্লিজ। বিশেষ কোন ব্যাক্তির পক্ষে বা কারো বিপক্ষে আমার লেখা নয়। আমি সব ধর্ষককেই সমান ঘৃণা করি। আমি সবার বিরুদ্ধেই লিখেছি।

২২| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৪১

মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: সত্যের ছায়া, নতুন নকিব ও খুরশিদ আপাদত দ্রুত পর্যবেক্ষণে এই তিন জনকেই মানবিক ও মানসিকভাবে পঙ্গু বলে সনাক্ত কতা গেল, এরা মোসলমান হলে অপরাধ করে থাকলে তার পিছনে কারণ খুঁজে তাকে জায়েজ করার চেষ্টা করে, ওরে কুপমুন্ডুক আপনারা কি জানেন না অন্যায় কারীর কোন পরিচয় নেই একমাত্র অপরাধী ছাড়া?


আর যেই হনুমান জ্ঞানী বললেন বিদেশে নিকট আত্মীয়দের মধ্যে এটা সেটা হয় তাকে বলছি এস চান্দু এসে দেখে যাও, উগৈড় তলা বসে আগৈড় তলার খোঁজ নিও না। আজ থেকে ১০/১২ বছর আগে অস্ট্রিয়ায় এক পারিবারিক স্ক্যান্ডাল এখনও গোটা ইউওরোপের ভয়াবহ আলোচিত ঘটনা, এখানে একটি সমস্যা তৈরী হলে তার আলোচনা চলে ৫ বছর পর্যন্ত। আর আরব বা বাংলাদেশে প্রতি দিনেই ঘটে যেখানে ৫০/৬০টা অপ্রকাশিত রেপের ঘটনা।

লেখিকাকে ধন্যবাদ তার সময়োপযোগী সাহসী লেখার জন্য।

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৩| ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:০২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আর মাত্র ১০০টি সাইন দরকার - view this link

১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:২৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: শুভ উদ্যোগ।

২৪| ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ২:১১

সত্যের ছায়া বলেছেন: মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: সত্যের ছায়া, নতুন নকিব ও খুরশিদ আপাদত দ্রুত পর্যবেক্ষণে এই তিন জনকেই মানবিক ও মানসিকভাবে পঙ্গু বলে সনাক্ত কতা গেল, এরা মোসলমান হলে অপরাধ করে থাকলে তার পিছনে কারণ খুঁজে তাকে জায়েজ করার চেষ্টা করে, ওরে কুপমুন্ডুক আপনারা কি জানেন না অন্যায় কারীর কোন পরিচয় নেই একমাত্র অপরাধী ছাড়া?


আর যেই হনুমান জ্ঞানী বললেন বিদেশে নিকট আত্মীয়দের মধ্যে এটা সেটা হয় তাকে বলছি এস চান্দু এসে দেখে যাও, উগৈড় তলা বসে আগৈড় তলার খোঁজ নিও না। আজ থেকে ১০/১২ বছর আগে অস্ট্রিয়ায় এক পারিবারিক স্ক্যান্ডাল এখনও গোটা ইউওরোপের ভয়াবহ আলোচিত ঘটনা, এখানে একটি সমস্যা তৈরী হলে তার আলোচনা চলে ৫ বছর পর্যন্ত। আর আরব বা বাংলাদেশে প্রতি দিনেই ঘটে যেখানে ৫০/৬০টা অপ্রকাশিত রেপের ঘটনা।

লেখিকাকে ধন্যবাদ তার সময়োপযোগী সাহসী লেখার জন্য।


মোহাম্মদ বাসার আপনার মত একজন উম্মাদের পক্ষেই সম্ভব অন্য মানুষ কে 'মানবিক ও মানসিকভাবে পঙ্গু' বলা। আপনাকে এবং অন্য সকল ব্লগার কে চ্যালেঞ্জ করলাম আমার মন্তব্যে কোথাও খারাপ কিছুকে বা নাজায়েজ কাজকে জায়েজ করা হয়েছে কিনা প্রমান করার জন্য। আর আপনার মত মিথ্যা বাদীরাই সব চেয়ে বড় কুপমুন্ডুক।

একজন ছাগলের পক্ষেই সম্ভব আরেক জন কে হনুমান বলা।

আপনি উগুর তলার কথা বলছিলেন না। হ্যা... এই উগুর তলায় বসে আপনার মত তথা কথিত বিদ্ধানদের দিয়ে চারটি বলদের মাধ্যমে দুই নাঙল হাল চাষ করাই। ছাগল রাখাল আছে একজন।

আপনার মত পাগল ছাগলদের সাথে কথা বলতে রুচিতে বাধে, তাই আর কথা বাড়ালাম না।

১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: যেকোন লেখার গঠনমূলক সমালোচনা হতেই পারে। সেটি লেখাকে আরো নির্ভুল করে। কিন্তু সমালোচনা করতে গিয়ে লেখক বা অন্য সমালোচককে অশালীনভাবে কিছু বলা অনুচিত।

দেখুন, ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, চীন - এসব দেশে রেপের কারণ আমাদের চেয়ে আলাদা। যেমন, ওসব দেশে বেশীরভাগ রেপ হয় যখন রেপিস্ট বা রেপিস্ট ও ভিকটিম উভয়ই মাতাল অবস্থায় থাকে। আর আমাদের দেশে হয় সুস্থ মাথায়, জেনে, বুঝে, ইচ্ছে করে, জোর করে।

প্রতিটা দেশের প্রেক্ষাপট আলাদা। তাই একটা দেশের পরিস্থিতিকে আরেকটার সাথে মেলানো বোকামী।

ধন্যবাদ।

২৫| ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৩৮

গ্রামের ছোট্র ব্লগার খায়রুল বলেছেন: পোষ্টটা পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লাগল। আপনি অনুমতি দিলে আমার ফেসবুক টাইমলাইনে এটি পোষ্ট করবো। সর্বশেষে ভালো একটি পোষ্ট দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২৬| ১২ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:৩৬

মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: সত্যের ছায়া আপনি পাগল হয়ে জন্মেছেন, এখন ছাগল অবস্থায় আছেন, কাজেই আপনার কথায় মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই, লেখিকার লেখা সর্বজন প্রশংসিত হওয়াতেই প্রমাণ করে আপনি কি ধরনের ছাগু হয়ে মানুষের পিছনে ছুক ছুক করে দূর্গন্ধ খোঁজেন। মানুষ হবেন আশা করি না, কারণ জেনিটিক্যাল বিচ্যুতি ঘটলে তাকে আর যাই করা যাক মানুষ করা যাবেনা।

নাউজুবিল্লাহ।

১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সবার বুদ্ধি বিবেচনা সমান হলে তো কোন কথাই ছিলনা। সবাই যার যার মত করে ভাবে।

২৭| ১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:১৩

সত্যের ছায়া বলেছেন: মোহাম্মদ বাসার, আপনি সুন্দর একটি পোষ্টে অহেতুক ক্যাচাল সৃষ্টি করেছেন। পাগলামি আর ছাগলামি শুরু করে ল্যাদায়া পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছেন। যাদের চৌদ্দ পুরুষে এই ধরণের সমস্যা আছে তাদের সন্তানদের ভাল হওয়ার কথা না! আগড়তলায় থেকেও এই রোগের চিকিৎসা করা গেল না।

ওয়াসতাগফিরুল্লাহ।।

১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৪১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: মন্তব্য যাই হোক, ভাষা শালীন হওয়া বাঞ্ছনীয়।

২৮| ১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৪০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: শিক্ষয়িত্রী , লেখক হিসেবে আপনার নিশ্চয়ই জানা আছে যে প্রচ্ছদ বইয়ের বিষয়বস্তু প্রতিফলন করে। এখন প্রশ্ন হইলো, ধর্ষক জনগোষ্ঠীর কত অংশ হুজুর হয় ? আপনার লেখার প্রতিফলন কি ক্যাপশনে পুরোপুরি প্রকাশ পায় ? পরিমল , মানিকের ছবি দিলেই কি বেশি প্রতিনিধিত্বকারী ছবি হইতো না ? নাকি ভাসুরের নাম মুখে আনিলে পাপ হইবো? আপনার ছবি সত্য, মতলব খারাপ !

"ধর্মীয় আইনের ভুল ব্যাখ্যাও দায়ী। অনেক হুজুর মনে করে, আল্লাহর কাছে তওবা পড়ে মাফ চাইলেই বা হজ্জ্ব করলেই যেকোন পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এমন ধারণাও রেপের জন্য দায়ী।" ------ এমন ধারণা কই পাইয়াছেন? ইসলাম সম্পর্কে আপনার ধারণা তো হাতুড়ে চিকিৎসকদের মতো। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ ব্যাতীত ইসলাম সম্পর্কে এমন মন্তব্য ইসলাম বিষয়ে মূর্খতা ও ইসলাম বিদ্বেষের পরিচয় বহন করে। জানিয়া রাখুন , অনু পরিমান পাপেরও হিসাব দিতে হইবে। মাফ করা না করা আল্লাহ তায়ালার এখতিয়ার। এইটা সব মুসলমান জানে। আপনি মুসলমান হইলে জানার কথা।

"আমরা বিভিন্ন মুসলিম দেশের, বিশেষ করে সৌদী আরবের মানুষদের জীবনপ্রনালী অনুকরণ করি। তারা যেহেতু বহুগামী এবং যৌন জীবনে খুনই অসংযমী, তাই আমরাও তাদের মত হবার চেষ্টা করি।"
আপনার জানার ভুল আছে। বাংলাদেশের মানুষ পশ্চিমা চশমা চোখে দেওয়া মানুষদের অনুসরণ করে। তাই পরিমল, মানিকের জন্ম হয়, তাহাদের সমর্থক, অপরাধ আড়ালকারী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল, উপাচার্যের জন্ম হয়।
বাংলাদেশের মানুষ সৌদি তথা আরবদের ভালো জানিয়াই অনুসরণ করে, তাহাদের খারাপ কর্ম জানিয়া তাহাদের খারাপ কর্মের অনুসরণ করে না।
"ধর্মে ও সমাজে বহুগামিতা জায়েজ হবার কারণে হুজুররা বহুগামিতাতে আসক্ত। এটািও কারণ।"

ধর্ম ও সমাজে বহুগামিতা আইনগত ভাবে শর্তাধীনে বিবাহের মাধ্যমে জায়েজ করা হইয়াছে। ইহার সাথে ধর্ষণের কি সম্পর্ক পাইলেন ? জায়েজ করিয়া কি বলা হইয়াছে , বিবাহ বহির্ভুত যৌন সম্পর্ক বা ধর্ষণ হালাল ? ধর্মের মতন স্পর্শকাতর বিষয়ে এই ধরণের মিথ্যা তথ্য আপনি শিক্ষয়িত্রী হইয়া কিভাবে দিলেন ?

ধর্ষণের আসল কারণটাই তো কহিলেন না ! অন্ধের মতন পাশ্চাত্য সংস্কৃতি অনুসরণ করিলে বাই প্রোডাক্ট হিসেবে ধর্ষণ তো হইবেই ! এখনকার সিস্টেমটাই তো ধর্ষণের সিস্টেম। সংষ্কৃতিটাই হইয়া গিয়াছে পার্টি , লিটনের ফ্লাট , হোটেল, রুম ডেটের সংস্কৃতির। পরস্পর সম্মতিতে হইলে প্রব্লেম নাই , না হইলে ধর্ষণ ! দীর্ঘদিন সহবাস করিয়া বিবাহ না করিলে ধর্ষণ। প্রতিপক্ষরে জব্দ করার লাইগা ধর্ষণ ! সংবাদপত্রের কাটতি বাড়াইতে ধর্ষণ !
ছিঃনেমা , নাটক , অপন্যাশ , বিজ্ঞাপন , গল্প , পত্রিকা, সিরিয়াল সব জায়গায় পিরিতের আলোচনা, যেন ইহা ছাড়া আর কিছু নাই ! সবসময় সুড়সুড়ি দিয়া পতাকা উড্ডয়ন করিতে বলিবে , আর পতাকা উড়িলে দোষ দিবে তাই হয় নাকি !
হোটেলে , লিটনের ফ্ল্যাটে যাওয়ার সংস্কৃতিতো আমরাই চালু করিয়াছি ! আগুনে ঘি রাখিলে গলিবে না , তাহা ভাবা কি ঠিক হইবে ? ঘি যেন আগুনের কাছে না যায় তাহার ব্যবস্থা করিতে হইবে !

আর বোকা মাইয়াগুলারও দোষ আছে । জলে কুমির আছে জাইনাও জলে নামে , এরপর কুমিরের পেটেই যায়।

তবুও বলি ধর্ষণ প্রমাণিত হইলে বিচি কাটিয়া নেওয়া হউক , ডান্ডায় আইফেল টাওয়ার ঝুলানো হউক ! যেই হোক কোনো ছাড় নাই।

এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা লেখা শুধুমাত্র পক্ষপাতদুষ্টতার কারণে ডাস্টবিনে ফেলার উপযুক্ত হইয়াছে !

১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমার মতলব মোটেই খারোপ না। আপনার দেখার মানসিকতা ত্রুটিপূর্ণ।

ছবির ক্যাপশনে একজন ধর্ষকের ছবি আছে। আমার কাছে তার অন্য আর কোন পরিচয় বিবেচ্য নয়। ওখানে অন্য আর কারো ছবি থাকলেও আমার অনুভূতি একই হত।

আমার লেখাটা পুরনো। ব্লগে এই লেখাটা এই ছবিসহ দেয়া আছে, যেটা আমি কপি করে তুলে দিয়েছি। তাই ছবিটাও একই আছে। লেখাটা যে পুরনো, সেটা লেখার শেষে উল্লেখ আছে। বর্তমান ঘটনাপ্রবাহের সাথে লেখাটি প্রাসঙ্গিক বলেই রিপোস্ট করেছি। হুজুরদের হেয় করা আমার উদ্দেশ্য নয়।

কতভাগ হুজুর ধর্ষক আছে সে হিসেব বের করার দায়িত্ব আপনাকে দিলাম। তবে নিশ্চিত করে বলতে পারি, সংখ্যাটা নেহাত কম হবেনা। তাছাড়া সাধারণ মানুষ অপরাধ করলে অতটা চোখে লাগেনা যতটা লাগে হুজুর বা শিক্ষকরা করলে। কারণ এদের কাছে সমাজের প্রত্যাশা বেশী থাকে। একারণেই আমি শিক্ষিকা বলে আমাকে কথা শোনাতে আপনি ছাড়েননি।

সব মুসলমান জানেনা। অনেক অন্ধ, গোঁড়া মুসলমান আছে, যারা ধর্মের নামে সওয়াবের আশায় নানা পাপ কাজে লিপ্ত। যেমন, মাজার পূজা। সৌদীদের অন্ধ অনুসরণের বিষয়টিও তাই।

একাধিক স্ত্রী রাখার, পালক কন্যাকে বিয়ের, ধর্ষিতাকে বিয়ের বৈধতা, পতিতাবৃত্তি, ধর্ষককে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে বয়কট বা ঘৃণা না করা, ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারা - এগুলো সবই বহুগামিতাকে প্রশ্রয় দেয়ার কৌশল। সব ধর্মে বহুবিবাহ জায়েজ যা মেয়েদের প্রতি সবচেয়ে বড় মানসিক নির্যাতন।

আমার মনে হয় পৃথিবীতে মেয়েদের প্রতি যত বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়, তারমধ্যে মানসিক দিক থেকে সবচেয়ে নির্মম হল স্বামীর বহুস্ত্রীর একসাথে বসবাস।একটা মেয়ের জন্য চোখের সামনে তার স্বামীর অন্য স্ত্রীর ঘরে শুতে যেতে দেখাটা যে কতটা অমানবিক, একটু কল্পনা করলেই বোঝা যায়। মেয়েরা এমন করলে পুরুষদের কেমন লাগবে? মাঝরাতে স্ত্রীর মোবাইল ফোন বেজে উঠলে যেখানে পুরুষদের গায়ের সব লোম খাড়া হয়ে যায়, সেখানে...।

জলে কুমীর সবসময়ই ছিল, এখনও আছে, হয়ত ভবিষ্যতেও থাকবে।
পশ্চিমাদের অনুসরণে পার্টিতে যাক বা মসজিদে নামাজ পড়তে যাক, বা অবোধ শিশু বাড়ীতে ঘুমিয়েই থাকুক, কুমির তাকে কামড়াবেই।

সমাজ সবসময় মেয়েদেরকে দাবিয়ে রেখে আরাম পায়। পুরুষ দোষ করলেও মেয়েদেরকে প্রতি পদে পদে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বখাটের উৎপাত প্রতিহত করতে না পেরে আমরা মেয়েদের স্কুলে যাওয়া, পড়া বন্ধ করে দেই। রেপ বা ডিভোর্স হলেই বলি মেয়ের দোষ, পোশাকের দোষ...। অর্থাৎ দোষ করে পুরুষ, শাস্তি পায় নারী।

তবে ধন্যবাদ, আপনি ধর্ষকের শাস্তি চেয়েছেন। হুজুর ধর্ষক হলেও কি চান?

ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।



২৯| ১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:১২

সত্যের ছায়া বলেছেন: সহ ব্লগার আলপনা তালুকদার, আপনি নিশ্চয় আমার ১১ নং মগন্তব্যটি পড়েছেন। সেখানে আপনার একটি পয়েন্টের উপর দ্বিমত পোষণ করে গঠনমূলক সমালোচনা

""বলৎকার, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি প্রভৃতি ঘটনা ঘটার পর অপরাধী যদি শাস্তিভোগ না করে তাহলে রেপিস্টিরা উক্ত কাজ পুনরায় করতে দ্বিগুণ আগ্রহবোধ করে। তখন তাদের মস্তিষ্ক চিন্তাচেতনা অবধামিত হতে থাকে। ফলে সে একই ঘটনা পুন:পুন ঘটায়।
এর বিভিন্ন কারণ আছে, যেগুলো আপনার পোষ্টে কিছু কিছু উল্লেখ আছে। আবার আপনি এমন কতগুলো কারণের কথা উল্লেখ করেছেন যেমন,

[২। আমাদের দেশের পুরুষরা বিয়ের আগে সেক্স করতে পারেনা সমাজের নিষেধের কারণে। সবার প্রেমিকা থাকেনা, থাকলেও পূর্ণ তৃপ্তির সুযোগ থাকেনা। পতিতালয় আছে। সেখানে যাবার মানসিকতা, সুযোগ, সামর্থ সবার থাকেনা। পরকীয়া বা রেপ করাও ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু শরীরের চাহিদাটা থেকে যায় মোক্ষমভাবেই। ফলে তারা সুযোগ খোঁজে। যেকোন মেয়ে, শিশু এমন কি অতি নিকট কোন আত্মীয়কে একা পেলে রেপ করে।]

আপনার মতে, এগুলো না থাকার ফলে ধর্ষণ অহরহ ঘটছে! কিন্তু আপনার বর্ণিত সুযোগ সুবিধাগুলো আমেরিকা, ইউরোপ, চায়না কিংবা জাপানে বেশি থাকার পরও সেখানে ধর্ষণের হার আমাদের দেশের তুলনায় বেশী। সেখানে পিতা কর্তৃক কন্যার ধর্ষণের নজির ভূরি ভুরি আছে। আমাদের দেশেও এরকম যে নেই তেমনটা বলা যাচ্ছে না। খবরান্তে জেনেছি দেশে আলোচিত দুই ধর্ষকের একজন বিবাহিত ছিলেন এবং তারা গুলশান বনানীর আবাসিক হোটেলের নিয়মিত খদ্দের ছিল। তারপরেও তাদের রুচি চেঞ্চ করতে গিয়ে আজ সমালোচিত।

কিন্তু দু:খের ব্যাপার হলো আমাদের দেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। বর্তমান সময়ে দুই ধর্ষকের এক জনের জাতকুলের পরিচয় কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না?

আমাদের দেশে ধর্ষণের অন্যতম কারণ হলো কু-প্রবৃত্তি।""



করা হয়েছে। আপনি এর উত্তর ও দিয়েছেন। কিন্তু আরেকজন ব্লগার এসে ষাড়ের মত ডাক দিয়ে আমাকে কু-রুচিপূর্ণভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করেছে। আপনি তাতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন! আমি আপ সেট!!!

পড়ে যখন ইট খেয়ে পাটকেল নিক্ষেপ করিলাম তখন আপনি আমাকে নসিহত দিলেন। এটা মেনে নিলাম।

বাকীটুকু ইতিহাস......।

১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনি মিথ্যাচার করছেন। আমি তাকে ধন্যবাদ দিইনি। এখনও আমার মেসেজটি আছে। সবাই দেখছে। আপনিও দেখে নিতে পারেন।

আপনাকে ধন্যবাদ দিলাম। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৩০| ১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:০৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: জি ! অপরাধী যেই হোক , এর মধ্যে কি পরে না ?

অপরাধী থাকিবেই ইহা সত্য , তবে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ আর সংস্কৃতির পরিবর্তন পরিস্থিতির অবশ্যই পরিবর্তন করিবে আশা করা যায়।
কত পার্সেন্ট বাহির করিতে আমাকে দায়িত্ব দিলেন ? সব বিষয়ে অনুমান করিলেন , এমনকি ধর্মের বিষয়েও করিলেন , আর এইটা করিলেন না ? ধর্ম ও হুজুরে আপনার এলার্জি আছে বোঝা যায়।

বিচারের ক্ষেত্রে ইসলামে সবাই সমান সে হুজুর হোক, ছাগু হোক , পাঁঠা বা পাঠী হউক। !

১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি আমার যুক্তি মেনে নিয়েছেন। ধর্মের বিষয়ে আমি কোন অনুমান করিনি। যা রোজ ঘটছে, তাই বলেছি। ধর্মীয় বিষয়ে না থাকলেও আমার হুজুর অহুজুর, সব ধর্ষকদের বিষয়ে ভয়াবহ রকমের এলার্জি আছে।

ইসলামের বিচারে সবাই সমান। তবে সেটা মানার বা মানানোর ক্ষেত্রে বৈষম্য আছে।

ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৩১| ১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

সত্যের ছায়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপা আপনাকে।
আপনি ২২ নং কমেন্টে চোখ বুলাইতে পারেন।

শুভ ব্লগিং।

১২ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমি দেখেছি। আমি তাকে ধন্যবাদ দিয়েছি আমার লেখার প্রশংসা করেছেন বলে। আপনি আপত্তি করার পর দিইনি। কারণ আমি জানি, সবার বিবেচনা, বলার ধরণ সবার ভাল নাও লাগতে পারে। আমারও অনেকের বক্তব্য ভাল লাগেনা। তবে আমি আমার শালীনতা সবসময় বজায় রেখে কথা বলার চেষ্টা করি।

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

৩২| ১২ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:২৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুবই ভাল লিখেছেন, আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। শাসকরা পুলিশরা রেপিস্টদের পক্ষে থাকে, শাস্তি খুব একটা হয়না, এসব কারনেই এটা বাড়ছে।

১২ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, ঠিক বলেছেন। এটা দুঃখজনক।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন।

৩৩| ১২ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

আরিফ মোহাম্মাদ মহিউদ্দিন বলেছেন: আরবরা কি করেছে সেটা ইসলাম নয় , ইসলাম জানতে হলে কুরান এর কাছে আসতে হবে

১২ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আরবরা যা করছে, সেটাই ইসলাম - তা আমি আমার লেখার কোথাও বলিনি। আমি বলেছি, ইসলামের বিচারে সবাই সমান। তবে সেটা মানার বা মানানোর ক্ষেত্রে বৈষম্য আছে। সব মুসলিম দেশের মত আরবেও আছে।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.