নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুখী হবার অব্যর্থ কৌশল

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১১



সুখী হবার অব্যর্থ কৌশল

যেকোন স্বামী-স্ত্রী যদি সংসার জীবনে সুখী হতে ও সুখী করতে চান, তাহলে তাঁদের কিছু কৌশল জানা দরকার। এ উপমহাদেশের একজন মহান মনোবিজ্ঞানী হিসেবে আমি সেই "দূর্লভ মহামন্ত্র" আপনাদের খেদমতে পেশ করছি "বিফলে মূল্য ফেরৎ" জাতীয় নিশ্চয়তাসহ।
প্রশ্ন হল, যদি সফল হন, তাহলে আমি কি কি পুরস্কার পাব, সেটা চুক্তি করব কিভাবে?

আমার সাথে আরো মহান যাঁরা দ্বিমত পোষণ করবেন, তাঁরা আওয়াজ দেবেন। আমরা সম্ভাব্য পুরস্কার ভাগাভাগি করিব।

সংসারে অশান্তির কারণ:

শতকরাভাগ আশি ভাগ ক্ষেত্রে পারিবারিক কলহের কারণ আর্থিক। অভাবে স্বভাব নষ্ট। প্রয়োজনের তুলনায় আর্থিক সংগতি কম হলে সব সম্পর্কে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে সংসারে অশান্তি হয়।

আর্থিক সংগতি বেশী হলেও অশান্তি। বেশী সম্পদ, বেশী ব্যস্ততা। ফলে পরিবারকে দেবার সময় কমে যায়, পরিবারপরিজনদের সাথে দূরত্ব বাড়ে। কখনো কখনো বেশী সম্পদ পরকীয়া, বহুবিবাহ, বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কের মত ঘটনা ঘটায় যা অশান্তির কারণ।

মধ্যবিত্ত পরিবারে আয় বাড়ানোর জন্য সংসারের স্বামী-স্ত্রী উভয়ে কর্মব্যস্ত থাকার ফলে পরিবার-পরিজনদের সাথে সময় কাটানো, বেড়ানো হয়ে ওঠেনা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে। এতেও পারিবারিক বন্ধন আলগা হয় যা অশান্তির আরেকটি কারণ।

সব সংসারে অশান্তি হয়, প্রেমের বিয়েতে আরো বেশী হয়। কারণ প্রেম চলাকালীন সময়ে প্রেমিক-প্রেমিকাদের একে অন্যের প্রতি প্রত্যাশা বেশী থাকে, আবেগ বেশী থাকে, ফলে যুক্তি কাজ করেনা। আর তারা সংসার জীবনের নানা বাস্তবতাকে আমলে না নিয়ে কল্পনায় সুখের সাগরে ভাসতে থাকে। একে অন্যকে ইমপ্রেস করার জন্য নিজের খারাপ দিকগুলো স্বেচ্ছায়, সযত্নে আড়াল করে রাখে। বিয়ের পর কল্পনা আর বাস্তবের অমিল, একে অন্যের প্রতি আকর্ষণের তীব্রতা হ্রাস, স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও উভয়ের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে মানিয়ে চলার প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি কারণে অশান্তি হয়।

সেটল ম্যারেজে প্রত্যাশা কম থাকে। ফলে মনের মত অল্প কিছু পেলেই মনে হয়, "এটুকুও নাও পেতে পারতাম। শুকুরআলহামদুলিল্লাহ!!" যাদের পছন্দের মানুষ থাকেনা, তাদের বেলায় সেটল ম্যারেজে অশান্তি তুলনামূলকভাবে কম।

এর বিপরীতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোকষ্টের আর একটি বড় কারণ হলো, অপছন্দের কাউকে বিয়ে করা। আমাদের দেশে তথা প্রাচ্যের দেশগুলোতে অভিভাবকরা জোর করে অপছন্দের পাত্র-পাত্রীদের বিয়ে করতে বাধ্য করে। পরে মনোমালিন্য বা মতের অমিল হলেই পুরনো প্রেমিক-প্রেমিকার কথা মনে হয়। মনে হয় তার সাথে বিয়ে হলে কোন অশান্তি হতনা, আমি মহাসুখে থাকতাম। এই অতৃপ্তি, অতি কাঙ্খিত মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে না পাওয়ার কষ্ট মানুষকে সারাজীবন অসুখী রাখে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাকে না পাওয়ার আক্ষেপ থেকে যায়।

ভারতে ও পাকিস্তানে কোন ছেলে বা মেয়ে পরিবারের অমতে ভিন্ন ধর্ম, জাত বা স্টেটাসের কাউকে বিয়ে করতে চাইলে যদি পরিবার তাকে নিবৃত করতে না পারে, তাহলে পরিবারের সবাই মিলে পরিকল্পনা করে ঠাণ্ডা মাথায় তাকে, কখনো কখনো তার প্রেমিকা বা প্রেমিকসহ তাকে হত্যা করা হয়। একে "honour killing" বা "পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে হত্যা" বলা হয়। সমাজ একে 'হত্যা' বা 'অপরাধ' মনে করেনা। কি জঘণ্য চিন্তা! নিজের সন্তানের সুখ, ভালবাসা, এমন কি জীবনের চেয়ে পরিবারের সম্মান বেশী প্রিয়, সম্মান রক্ষা বেশী জরুরী।

আমাদের অভিভাবকরা মনে করেন, বিয়ের জন্য ছেলের শিক্ষা, স্টেটাস বা উপার্জনটাই মূখ্য। নিজের আর্থ-সামাজিক অবস্থানের সমতূল্য বা বেশী হলেই মেয়ে সুখে থাকবে। মেয়ে তাকে পছন্দ করে কিনা, তার সাথে মানসিকতা মেলে কিনা - এসব দেখার দরকার নেই। অনেক ফালতু অজুহাতে ছেলেদেরকেও বাধ্য করা হয় অপছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে।
অভিভাবকরা মনে করেন, একবার বিয়ে হয়ে গেলেই ভালবাসা আসবে হাওয়া থেকে, আল্লাহর রহমত থেকে। না এলেই বা ক্ষতি কি? একবার বাচ্চা হয়ে গেলে ভাল না বেসে যাবে কোথায়? তখন তো আর তার উপায় নেই। বাড়ীতে কুকুর পুষলেওতো মায়া হয়, আর সেখানে স্বামী বা স্ত্রী!

মানুষ অনেকসময় ভুল করে। ভালবেসে বিয়ে করেও পরে অসুখী হয়। সেটল ম্যারেজে কি সেটা হয়না? তখন সেটাকে তেমন খারাপ চোখে না দেখে বলা হয় "কপালের দোষ" আর প্রেমের বিয়ে অসুখী হলে খুশী হয়ে বলে, "বেশ হয়েছে। যেমন কর্ম, তেমন ফল। এখন বোঝ ঠ্যালা।" যেন ভালবেসে পরিবারের অমতে বিয়ে করে সে মহাপাপ করে ফেলেছে। তাহলে পাপের শাস্তি তো হবেই। বাবা-মা কষ্ট করে সন্তান লালন-পালন করেন। তাই তাঁরা মনে করেন, সন্তান কাকে বিয়ে করবে বা করবেনা সে সিদ্ধান্ত দেবার পূর্ণ অধিকার তাঁদের আছে।

অভিভাবকরা ছেলে- মেয়েদের সুখের কথা ভেবেই বড় যত্ন করে তাদের অমতে বিয়ে দিয়ে তাদেরকে চরম অসুখী করেন। একটাই অমূল্য জীবনে পছন্দের মানুষের সাথে সুখে-দুখে জীবন কাটানোর আনন্দের তুলনায় সম্পদ, জাত, ধর্ম ইত্যাদি কোন কিছুই যে গুরুত্বপূর্ণ নয়, একথা অভিভাবকদের কে বোঝাবে?

আমাদের দেশের মেয়েরা ভীষণ কৃপণ। তার কারণও আছে। মেয়েরা সারাজীবন পরনির্ভশীল। বাবা, স্বামী বা ছেলের উপর। তারা জানে স্বামীর অবর্তমানে ওদের অবস্থা কতটা নাজুক হয়। তাদেরকে সবসময় আর্থিক দিক থেকে বঞ্চিত করা হয়।বাবার সম্পত্তি, বিধবা হলে স্বামীর সম্পত্তি ঠিকমত দেয়া হয়না। নিজে উপার্জন করলেও নিজের ইচ্ছামত স্বামী তা খরচ করতে দেয়না। এমন কি দেনমোহরটাও দেয়না।তাই সারাজীবন, বিশেষ করে বিয়ের পর মেয়েরা হয় হিসেবী। শ্বশুরবাড়ীর লোকেদের পিছনে টাকা খরচ করা তারা পছন্দ করেনা, অপচয় মনে করে। ফলে শ্বশুরবাড়ীর লোকেদের সাথে তাদের সম্পর্ক ভাল হয়না। ফলে এই কারণে স্বামীর সাথেও তার সম্পর্ক খারাপ হয়।

আমাদের দেশে সবচেয়ে বৈরী সম্পর্ক হয় শ্বাশুড়ী-বৌয়ের। তার কারণও আছে। মা সীমাহীন কষ্ট করে তিল তিল করে ছেলেকে মানুষ করেন। ছেলেকে অসম্ভব ভাল বাসেন। তার কাছে প্রত্যাশাও বেশী। কারণ ধর্মমতে বাবা-মার দেখাশোনার দায়িত্ব ছেলে-মেয়ে উভয়ের হলেও ছেলেদের দায় বেশী বলে সমাজ মনে করে। সারাজীবন মা ছেলের কাছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ। বিপত্তি ঘটে বিয়ের পরে ছেলের কাছে স্ত্রী মায়ের চেয়ে বেশী প্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলে। তাছাড়া বেশীরভাগ স্ত্রী বিয়ের পর স্বামীকে নিজের হাতের মুঠোয় রাখতে চায়, তার আত্মীয়দের কাছ থেকে আলাদা করার চেষ্টা করে। ফলে স্বামী ও তার আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয় যা অশান্তির অন্যতম কারণ।

বেশিরভাগ মেয়েরা ইনসিকিউর ফিল করে বরকে নিয়ে, সন্দেহ করে, যা কিনা সংসারে অশান্তির বড় কারণ। বিশেষ করে যারা প্রেম করে বিয়ে করে, তারা আরো বেশী জেলাস হয়। ইনসিকিউরিটির সবচেয়ে বড় কারণ হল, এমনিতেই আমাদের দেশে মেয়েদের ভাল বিয়ে হওয়া সহজ নয়; তার উপরে মেয়ে যদি বেকার, অসুন্দর বা ডিভোর্সি হয়, তাহলে দ্বিতীয় বিয়ে হওয়া অনেক বেশী কঠিণ। তাই বউরা ভয়ে ভয়ে থাকে যেন স্বামী কিছুতেই হাতছাড়া না হয়। স্বামীকে চোখে চোখে রাখে। আর যদি জানতে পারে স্বামীর আগের প্রেম ছিল, বা স্বামীর আলুর দোষ আছে, বা তার চেয়ে সুন্দরী-শিক্ষিতা- চাকরীজীবি এক বা একাধিক বান্ধবী আছে, তাহলে বৌরা কিছুতেই তাদের সহ্য করতে পারেনা। স্বামীর পিছনে গোয়েন্দাগিরি করে, ফোন চেক করে, আড়ি পেতে কথা শোনে... যা অশান্তির আরেকটি কারণ।

স্ত্রীকে তার আত্মীয়পরিজন ছেড়ে আসতে হয়। দূরত্ব বাড়ে বান্ধবীদের সাথেও। আর ছেলে বন্ধু থাকা তো একেবারেই নিষিদ্ধ।

বিয়ের পর স্বামীরা ধরেই নেয়, স্ত্রী তার সারাজীবনের সম্পত্তি। সে যাই করুক, স্ত্রী তাকে ছেড়ে যেতে পারবে না। কোথায় যাবে? তার যাবার জায়গা কই? স্বামী নির্যাতন করলেও পরিবার চায়না মেয়েরা ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়ী আসুক। তার আর্থিক দায় বাবা বা ভাইরা নিতে চায়না। মেয়েরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হলেও ডিভোর্সি মেয়ের দায় পরিবার নিতে চায়না সামাজিকভাবে হেয় হবার ভয়ে। তার জ্বলন্ত উদাহরণ আমাদের সদ্যপ্রয়াত ম্যাডাম আকতার জাহান। তিনি স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে অনেকবার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চেয়ে পারেননি পরিবারের সম্মতি না পাওয়ার কারণে। দিনের পর দিন সীমাহীন মানসিক যণ্ত্রণা সহ্য করেছেন।.....

কি করে শ্বশুরবাড়ীর লোকেদের মন জয় করে সবাইকে সুখী করা যায়?

এ দায় মেয়েদের বেশী। কারণ মেয়েরাই পরিবারকে আগলে রাখতে পারে তার মমতা, উদারতা, বিচক্ষণতা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে।

মেয়েরা যদি একটু উদার হয়ে শ্বশুরবাড়ীর লোকদের আপন করে নিতে পারে, স্বামী বলার আগেই তাদের প্রতি কর্তব্য করতে পারে, যদি মেনে নেয় যে স্বামীর রোজগারে তাদেরও হক আছে, যেহেতু তারা তাকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছে - তাহলে স্বামী ও স্বামীর পরিজন তাদের মাথায় করে রাখতে বাধ্য। তখন স্বামীও স্ত্রীর রিলেটিভদের দিকে খেয়াল করবে, স্ত্রীর মতের দাম দেবে, ভালবাসবে। অশান্তি কমে যাবে।

সম্পর্ক লালন করতে হয়। স্বামী স্ত্রীর উচিত, হাজার ব্যস্ততার মাঝেও একান্ত নিজেদের জন্য কিছুটা সময় কাটানো। একে অন্যের অনুভূতিগুলোর প্রতি মনোযোগী হওয়া।

অভিভাবকরা দয়া করে আপনার সন্তানকে তার মতের বিরুদ্ধে অপছন্দের কারো সাথে বিয়ে দিয়ে সারাজীবনের জন্য অসুখী করবেন না।

আর্থিক বিষয়ে স্বামীস্ত্রী উভয়ে আলোচনা করে একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিন। তাহলে মনোকষ্ট হবেনা।

পরিবার, সন্তানদের সময় দিন। যেকোন সমস্যা সমাধানে সবার মত নিন।
সাধ্যের মধ্যে পরিবারকে নিয়ে বেড়াতে যান। তাতে পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় হয়।

প্রাণ খুলে বাবা-মা, শ্বশুর-শ্বাশুড়ী, আত্মীয়দের সাথে কথা বলুন, খোঁজখবর নিন, দেখা করুন। সময় না পেলে বা দূরে থাকলে ফোনে কথা বলুন। ছেলের মুখের 'মা' ডাক বা বৌমার আন্তরিক ব্যবহার সব অশান্তি দূর করতে পারে।

ঈদে বা পূজায় রিলেটিভদের জন্যও সাধ্যমত উপহার কিনুন। বেড়াতে যান। স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের বাড়ীতে। অনোক স্ত্রী শ্বশুরবাড়ী যেতে বা ঈদ করতে পছন্দ করেননা। এটি পরিহার করতে হবে।

ঝগড়া বা মনোমালিন্য হলে স্বামী বা স্ত্রীকে কিছুটা সময় দিন। ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করুন। কিছু সময় পর সে নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারবে। নিজে দোষ করলে সাহসের সাথে স্বীকার করে সরি বলুন।

মাঝে মাঝে স্বামী, স্ত্রী, সন্তান বা পরিজনদের সারপ্রাইজ দিন। সাধ্যমত উপহার, কাছাকাছি কোথাও বেড়াতে বা খেতে যাওয়া, আত্মীয় বা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া, অসুস্হ রিলেটিভদের দেখতে যাওয়া ইত্যাদি। কোনমতেই বিশেষ দিনগুলো ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এতে আপনি তার কাছে গুরুত্বহীন হয়ে গেছেন, এমন বাজে অনুভূতি তৈরী হয়।

এ প্রসঙ্গে একটি সত্যি ঘটনা বলি। আমেরিকান এক মহিলা তাঁর স্বামী মারা যাবার পর তাঁর জন্মদিনে বিশাল এক লাল গোলাপের ঝুড়ি উপহার পেলেন যার কার্ডে লেখা: "প্রিয়তমা পত্নীর জন্য স্বামীর উপহার।" উপহার পেয়ে মহিলা ভীষণ অবাক হয়ে ফুলের দোকানে ফোন করে জানতে চাইলেন, উপহারটি কে পাঠিয়েছে? দোকানদার জানালো, মহিলার স্বামী বেঁচে থাকতেই বেশ কিছু টাকা তাকে দিয়েছেন যাতে প্রতি বছর জন্মদিনে তাঁর স্ত্রীকে গোলাপের ঝুড়ি উপহার হিসেবে পাঠানো হয়।

খুব খুব ভাল থাকবেন বন্ধুরা...

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪১

নাজমুন আহমেদ বলেছেন: ভাল লিখেচেন

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

২| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৫১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বিফলে মূল্য যখন ফেরৎ তবে সবারি ফল না হওয়ারি কথা। আপনার কাছ থেকে মূল্য ফেরৎ নেওয়াই হবে যাদের কাজ তারা আদো কি ফলভোগে বিশ্বাসী! অনেক সুন্দর পরামর্শ মূলক লিখনীটি। পাঠক এর দাবী পূরণ হউক সেই প্রত্যাশায় আমিও একজন পাঠক।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ সুজন। পরামর্শ গুলো সত্যিই ফলদায়ক। তবে সেগুলো মন থেকে মেনে চলার মানসিকতা থাকতে হবে। যাই হোক, লোকে অন্তত জানুক। তাতেও উপকার আছে। মস্তিষ্ক বুদ্ধি করে সেগুলো মেমোরীতে সেভ করে রাখবে। দরকারের সময় মনে করিয়ে দেবে। ফলে কখনো কখনো মনের অজান্তেই কিছু কিছু পরামর্শ লোকে মানবে। আমীন!!!!!!

৩| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভালোই বলেছেন। ধন্যবাদ।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৪| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:০১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পৃথিবীটা কত সুন্দর !! খালি ভালোবাসা আর মমতায় ভরা !!
তাই বলতে পারতাম যদি আপনার পরামর্শ মতো সবাই চলতে পারতো/চলতো !

আপনার লেখার উদ্দেশ্য সফল হোক প্রত্যাশায়

১৮ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৫০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রত্যাশার জন্য। ভাল থাকুন।

৫| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:১৩

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: সেটল ম্যারেজে প্রত্যাশা কম থাকে। ফলে মনের মত অল্প কিছু পেলেই মনে হয়, "এটুকুও নাও পেতে পারতাম শুকুরআলহামদুলিল্লাহ!!"

একেবারে বাস্তব কথা। বিয়ে করে ঘরে বউ আনলাম। ওমা, মেয়ে দেখি ভালো রাঁধতে জানে! তিনবেলা খাবার জুটছে এতেই খুশি =p~

১৮ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৫২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হা হা হা! গুড! সত্যি ভাল রাঁধে কিনা সেটা আমাদেরকেও একদিন বুঝতে দিন। বলেন, কবে যাব???

৬| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৪৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবচেয়ে কঠিন দায়িত্ব হলো বউ আর শাশুড়ির। কারণ এরা দুইজন ঠিক মানে তো সংসার ঠিক...

১৮ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৫৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি জনাব, ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.