নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরকীয়ার কারণ ও প্রতিকার

১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৫



পরকীয়ার কারণ ও প্রতিকার

নিষিদ্ধ কোনকিছুর প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরন্তন। সেই আদম হাওয়ার যুগ থেকেই তা চলে আসছে। নতুন কোনকিছু জানার, আবিষ্কার বা উপভোগ করার বাসনা থেকেই মানুষ নতুন কোনকিছুর প্রতি ধাবিত হয়। হোক সে সুন্দর কিছু, কোন ভোগ্যপণ্য, খাবার, সম্পর্ক, মানুষ, দেশ, পরিবেশ জাতি,.... ইত্যাদি। অন্যকে জানার, নিজের মনের ভাব প্রকাশের বা নিজের শারীরিক চাহিদা থেকেই মূলত মানুষ কোন সম্পর্কে জড়ায়। কখনো সেটা বৈধ, কখনো অবৈধ। তেমনি এক অবৈধ সম্পর্কের নাম 'পরকীয়া'।

আমি পরকীয়াকে দেখি 'প্রেম' হিসেবেই। মানুষ প্রেমে পড়ে ভাললাগার কারণে। পরকীয়াও তাই। প্রথমে কাউকে আমাদের ভাল লাগে। তারপর আমরা তার চাকরী, সম্পদ, পরিবার, পছন্দ-অপছন্দ, ইত্যাদি অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করি যদি ভাললাগার মানুষটিকে আমরা বিয়ে করতে চাই বা তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে চাই। পরকীয়ার বেলায়ও তাই। কাউকে ভাললাগার পর আমরা তার সাথে সম্পর্কে জড়াবো কিনা, জড়ালে সম্পর্কের পরিণাম কি হবে, কি কি সমস্যা হতে পারে, এসব নিয়ে ভাবি। উভয় ক্ষেত্রেই আমরা নিজেদেরকে সরিয়ে আনতে পারিনা বলেই কারো প্রেমে পড়ি বা সম্পর্কে জড়াই। কখনো কখনো সে প্রেম বা সম্পর্ক বিয়েতে গড়ায়, কখনো কখনো গড়ায় না। প্রেমে পারিবারিক-সামাজিক বাধা কম থাকে, পরকীয়াতে বেশী। কারণ পরকীয়াতে নৈতিকতা, পরিবার, সন্তান, সম্পদ, বয়স, পেশা, দায়িত্ব...এ বিষয়গুলো জড়িত থাকে।

সাধারণ প্রেমিক প্রেমিকারা একে অন্যের প্রতি তীব্র ভালবাসার কারণে প্রয়োজনবোধে বড়জোর পরিবারকে ত্যাগ করে পছন্দের মানুষের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। কিন্তু পরকীয়ায় স্বামী বা স্র্রী ভালবাসার মানুষকে পাবার জন্য এতটাই মরীয়া যে স্বামী, স্ত্রী বা সন্তানকে খুন পর্যন্ত করে। তাই বলা যায়, পরকীয়ায় মনের টান অনেক বেশী। কেননা তীব্র টান না থাকলে খুন করা যায়না।

প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই পরকীয়া চলে আসছে। মানুষ স্বেচ্ছায়, এর পরিণাম জেনেশুনেই এ সম্পর্কে জড়ায়। এটি সমাজের নিয়মবিরুদ্ধ বলে লোকে এটিকে মানতে চায়না। তাই এ সম্পর্কের কারণে তীব্র মানসিক অশান্তি, কলহ, এমনকি হত্যা পর্যন্ত ঘটে থাকে।

বর্তমানে পরকীয়ার আধিক্যের কারণে সমাজে নানা বিশৃংখলা দেখা দিচ্ছে। সমস্ত মিডিয়ায় এখন পরকীয়ার ছড়াছড়ি। আসুন জানার চেষ্টা করি, পরকীয়ার কারণ কি? মানুষ কি শুধু মানসিক কারণে পরকীয়ায় জড়ায়? নাকি এর পেছনে শারীরিক কারণ ও দায়ী?

পরকীয়ার কারণঃ

১। শারীরিক কারণঃ

বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, যেসব পুরুষের মধ্যে ডিআরডিফোর জিনের উপস্থিতি বেশী, তারের মধ্যে একাধিক সম্পর্কে জড়ানোর, এমন কি বিয়ের পর পরকীয়ায় জড়ানোর প্রবণতা অন্যদের তুলনায় বেশী থাকে।

অনেক সময় বিয়ের অল্পদিন পরেই স্বামী বিদেশে চলে যায়। এসব স্বামী - স্ত্রীরা শারীরিক চাহিদা মেটানোর তাগিদ থেকে পরকীয়ায় জড়ায়। আবার চাকরী বা পেশা, বা অন্যকোন কারণে দীর্ঘ দিন স্বামী স্ত্রীর আলাদা বসবাস করার ফলে অপূর্ণ শারীরিক চাহিদা থেকে তারা পরকীয়ায় জড়ায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্ত্রীর গর্ভধারণের কারণে বা স্বামীস্ত্রীর দীর্ঘদিন অসুস্থতার কারণে স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্কে ছেদ পড়ার কারণে তারা পরকীয়ায় জড়ায়।

অনেক স্বামী বা স্ত্রীর যৌন সমস্যা থাকে, যার কারণে অপূর্ণ যৌন চাহিদা মেটানোর তাগিদ থেকে তারা পরকীয়ায় জড়ায়। সেক্স করার সময় স্বামী বা স্ত্রীর ভূমিকার কারণেও অনেক সময় তারা যৌন তৃপ্তি পায়না। এই অতৃপ্তিও পরকীয়ার কারণ।

অনেক পুরুষের মধ্যে ধর্ষকাম প্রবৃত্তি ( অন্যকে কষ্ট দিয়ে নিজে সুখলাভের চাহিদা) থাকে যার কারণে অনেক স্ত্রী স্বামীর সাথে সহজে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে চাননা। এসব স্বামীরা খুব সহজে পরকীয়ায় জড়ায়।

অনেক স্বামী বা স্ত্রীর যৌন চাহিদা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী থাকে যা অনেক সময় তার সঙ্গী মেটাতে পারেনা। ফলে তারা পরকীয়ায় জড়ায়।

মানুষ প্রকৃতিগতভাবে বহূগামী (যদিও ধর্মীয়-সামাজিক বাধা বা নৈতিকতাবোধ, উন্নয়ন ও মঙ্গল চিন্তা করে একগামী থাকার চেষ্টা করে)। সেজন্যই একাধিক প্রেম, শারীরিক সম্পর্কের পর প্রেমিক বা প্রেমিকার শরীরের প্রতি আগ্রহের অবসান হলে প্রেমে বিচ্ছেদ, পরকীয়া, বহূবিবাহ, পতিতালয়,.. এসবের জন্ম। তাই মানুষের বহুগামীতা স্বভাবও পরকীয়ার কারণ।

২।মানসিক কারণঃ

মানসিক সমস্যার কারণেও মানুষ বাড়তি সম্পর্কে জড়ায়। বাইপোলার মুড ডিজর্ডার রোগে আক্রান্ত রোগীরা কোনকিছুর মধ্যে স্থিরতা খুঁজে পায়না। এরোগে আক্রান্ত স্বামী বা স্ত্রীরা সহজেই একাধিক প্রেমে জড়ায়।

আমাদের দেশের অধিকাংশ ছেলেমেয়েদের কাছে মনের সৌন্দর্যের চেয়ে শারাীরিক সৌন্দর্য বেশী প্রিয়। তাই স্বামী বা স্ত্রী অসুন্দর বা মনের মত না হলে তারা তেমন কারো সাথে পরকীয়ায় জড়ায়। কেউ স্লিম বৌ পছন্দ করে। বাচ্চা হবার পর মেয়েরা মুটিয়ে গেলে তা অনেক স্বামীর ভাল না লাগার কারণে তারা পরকীয়ায় জড়ায়।

পরকীয়ায় জড়ানোর আরেকটি কারণ হল, বিবাহিত নারী পুরুষদের সামাজিক লোকনিন্দার ভয় কম থাকে যেহেতু তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। আবার বিবাহিতরা কারো সাথে মিশলেও লোকে সহজে সেটাকে খারাপ বা সন্দেহের চোখে দেখেনা যেহেতু কোন এক পক্ষ বা উভয় পক্ষ বিবাহিত। এই "বিবাহিত" লেবাসটি অবাধ মেলামেশাকে প্রশ্রয় দেবার কারণে অবাধ মেলামেশার সুযোগে লোকে পরকীয়ায় জড়িয়ে যায়।

স্বামী -স্ত্রীর সম্পর্ক টা এমন, যে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই উভয় উভয়ের সম্পর্কে প্রায় সবকিছুই জেনে যায়। ফলে দু'জনের মধ্যে গোপন বা অজানা কিছু না থাকার কারণে সম্পর্কের উষ্ণতা, আকর্ষণ বা Thrill কমে যায় বা থাকেনা। একটি কথা প্রচলিত আছে, বিয়ের বয়স পাঁচ বছর হলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভাইবোনের মত হয়ে যায়। মনোবিজ্ঞানীরাও বলছেন, বিয়ের সাত/ আট বছর পেরোলে (কারো কারো ক্ষেত্রে সময়টা আরো কম) স্বামী বা স্ত্রীর একে অন্যের প্রতি স্বাভাবিক আকর্ষণ থাকেনা যা বিয়ের আগে প্রেম থাকাকালীন বা বিয়ের প্রথমদিকে ছিল। তখন দাম্পত্য জীবন দ্বায়িত্ব নির্ভর, একঘেঁয়ে হয়ে যায়। কেউ কেউ দাম্পত্য জীবনের এই একঘেঁয়েমী কাটাতে পরকীয়ায় জড়ায় বা পতিতাদের সাথে যৌন সম্পর্ক করে। ( মনোবিজ্ঞানীরা এই একঘেঁয়েমী কাটাতে নানা পরামর্শ দিয়েছেন)।

সাংসারিক বা পেশাগত ব্যস্ততার কারণে স্বামী বা স্ত্রীরা মনে করেন যে, তার সঙ্গী তার বিষয়ে উদাসীন, আগের মত প্রশংসা করেনা, তার কোনকিছুতে আর মুগ্ধ হয়না, আগের মত ভালবাসেনা, আদর করেনা, যত্ন নেয়না,.. ইত্যাদি। এই শূন্যতার সুযোগে অন্য কেউ তাদের প্রতি মনোযোগ দিলে তারাও তার প্রতি আকর্ষিত হয়ে পরকীয়ায় জড়ায়।

অনেক পুরুষ পরকীয়াকে অন্যায় মনে করেনা। তারা মনে করে, বিয়ে করেছে বলেই আর কোন মেয়েকে ভালবাসা যাবেনা বা শারীরিক - মানসিক সম্পর্ক রাখা যাবেনা, এটা ঠিক নয়। স্ত্রীকে তার জায়গায় রেখে অন্য কারো সাথে সম্পর্ক করা যেতেই পারে। এই মানসিকতাও পরকীয়ার জন্য দায়ী। যুগে যুগে ক্ষমতাবান মানুষরা এই যুক্তিতে পরকীয়া, যৌন ব্যাভিচার, বহুবিবাহ করেছে, করছে, করবে।

আবার কোন কোন পুরুষ একইসাথে একাধিক প্রেম, রেপ বা পরকীয়া করতে পারাকে 'যোগ্যতা' মনে করে। কৌতুহল মেটাতে, বিয়ে না করেই যৌনসুখ লাভ বা নিজের স্বক্ষমতা যাচাই করার জন্য ও অনেক ছেলে পরকীয়া করে বা বিবাহিতা মেয়েদের সাথে সম্পর্কে জড়ায়। অনেক পুরুষ ডিভোর্সের পর পুনরায় বিয়ে না করে দৈহিক-মানসিক চাহিদা মেটানোর জন্য পরকীয়া করে।

দাম্পত্য জীবনের নানা দ্বন্দ্ব, সমস্যা, মতের অমিল, কষ্ট ইত্যাদি কারো সাথে শেয়ার করতে গিয়ে একসময় তার প্রতি নির্ভরতা থেকে অনেকে পরকীয়ায় জড়ায়।

অবস্থার কারণেও অনেকে পরকীয়ায় জড়ায়। যেমন, আত্মীয়তা, বন্ধুত্ব, পেশা বা অন্য কোন প্রয়োজনে দীর্ঘ সময় একসাথে থাকা বা মেলামেশা করা থেকে তৈরী হয় আন্তরিকতা যা কখনও কখনও পরকীয়ায় গড়ায়।

কখনো কখনো প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকাকে ভুলতে না পারার কারণে বিয়ের পরে অনেকে প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে পরকীয়ায় জড়ায়।

৪। ধর্মীয় কারণঃ

সব ধর্মে বিবাহবিচ্ছেদ ও বহুবিবাহ জায়েজ। এটিও পরকীয়ার কারণ। কেননা মানুষ চাইলেই স্বামী বা স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বা না দিয়ে আবার বিয়ে করতে পারে। ভারতের অনেক নামী নায়িকারা পরকীয়া করে বিয়ে করেছে বিবাহিত পুরুষদের। রাণী মুখার্জি দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে আদিত্য চোপরার আগের স্ত্রীর সাথে তালাকের পর আদিত্যকে বিয়ে করেছে।

৩। আর্থিক কারণঃ

কখনো কখনো আর্থিক লোভের কারণে লোকে পরকীয়ায় জড়ায়। যেমন ধরুন, কোন প্রবাসীর সুন্দরী বৌ এর সাথে অনেকের পরকীয়া করার কথা শোনা যায়। কারণ প্রবাসী স্বামীর পাঠানো টাকায় আরামে জীবন কাটানোর লোভ এর পিছনে দায়ী থাকে। কখনও কখনও মেয়েরাও বড়লোক কোন প্রেমিক পেলে গরীব স্বামী ছাড়তে দ্বিধা করেনা।

ডিভোর্স হলে বা বিধবা হলে মেয়েরা শারীরিক ও মানসিক কারণে পরকীয়ায় জড়ায়। আবার আর্থিক নিরাপত্তার কারণেও এসব মেয়েরা পরকীয়া করে। কখনও গরীব ঘরের সুন্দরী মেয়েরা আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের লোভে বিবাহিত ধনী পুরুষদের সাথে পরকীয়ায় জড়ায়।

৫। সামাজিক কারণঃ

যেসব সমাজে অবাধ যৌন সম্পর্ককে ( যেমন- ফ্রি সেক্স, লিভ টুগেদার, পতিতাবৃত্তি, ইত্যাদি) খারাপ চোখে দেখা হয়না, সেসব সমাজের লোকেরা বেশী পরকীয়ায় জড়ায়। ভারতে পরকীয়ার বিস্তার ব্যাপক। পরকীয়ার রাজ্য গুজরাটে যতগুলো পিতৃত্ব সম্পর্কিত মামলা হয়, তার ৯৮% মামলায় দেখা গেছে সন্তানের পিতা স্বামী নয়, অন্যকেউ।

৬। প্রযুক্তিগত কারণঃ

সোশাল মিডিয়া, প্রযুক্তির উন্নতি ও তা ব্যবহারের সহজলভ্যতার কারণে যোগাযোগের সুযোগ বেড়েছে। আবার মিডিয়াতে সবসময় পরকীয়া দেখতে দেখতে মানুষ এটাকে স্বাভাবিক বলে ধরে নিতে শুরু করেছ। এ'দুটি কারণও পরকীয়ায় জড়ানোর জন্য দায়ী।

পরকীয়ার প্রতিকার

প্রেম বা পরকীয়ার মূল কারণ হল অতৃপ্তি, অপ্রাপ্তি বা অপূর্ণতা। আমরা প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে গুণ বা বৈশিষ্ট্য আশা করি (মানসিক, আর্থিক, দৈহিক, যৌন বা অন্য যেকোন), সংগত কারণেই তার সবগুলো পাওয়া যায়না। সেই 'না পাওয়া' আমাদেরকে প্ররোচিত করে অন্য কারো মধ্যে সেগুলো খুঁজতে। এই খোঁজা থেকেই পরকীয়ার শুরু। দোষ বা গুণ যাই থাকুক, স্বামী বা স্ত্রীকে সেটা মন থেকে মেনে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করতে হবে।

আমি মনে করি পরকীয়ার সবচেয়ে বড় কারণ স্বামী-স্ত্রীর দূরত্ব। শারীরিক বা মানসিক যেকোন দূরত্ব। দুজনের মনের বা মতের মিল, ভালবাসা, শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা ইত্যাদি না থাকা মানেই মনের দূরত্ব। আর একজনের প্রতি আরেকজনের শারীরিক আকর্ষণ না থাকার কারণে তৈরী হয় শারীরিক দূরত্ব। এই দুই দূরত্ব যাতে তৈরী না হয় সেদিকে উভয়কে সতর্ক থাকতে হবে। বিয়ের সময় অভিভাবকদের ও পাত্র-পাত্রীদের উচিত, বিয়ের পরে স্বামী-স্ত্রী একসাথে থাকতে পারবে কিনা - এ বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার পর বিয়ে করা বা দেয়া।

অনেক স্বামী বা স্ত্রী সন্তান, সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদির কথা ভেবে স্বামী বা স্ত্রীকে তালাক দিতে না পেরে পরকীয়া করে। স্বামী বা স্ত্রী - কেউ পরকীয়ায় আসক্ত হলে, তা সে যে কারণেই হোক, তা সবচেয়ে বেশী ক্ষতি করে বাচ্চাদের। তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে, পরবর্তী জীবনে কাউকে বিশ্বাস করতে পারেনা, ভয়-দুশ্চিন্তা-হতাশায় ভোগা, ভালবাসা, যত্ন ছাড়া কলহ ও অবহেলার মধ্যে বেড়ে উঠলে এদের স্বাভাবিক মানসিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই স্বামী বা স্ত্রীকে স্থির করতে হবে, সে নতুন সম্পর্কে জড়াবে, নাকি পুরনো সম্পর্কই তার কাছে বেশী প্রয়োজনীয়। স্বামী-স্ত্রী উভয়ে আলোচনা করে খুব দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে।

পোস্টে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে, সেগুলো সচেতনভাবে পরিহার করলেই লোকে পরকীয়া থেকে সরে আসতে পারবে। লেখাটির উদ্দেশ্য ও তাই।

একটি কৌতুক দিয়ে লেখা শেষ করব। বিয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে এক ভদ্রলোককে প্রশ্ন করা হল, "আপনার মতে বিয়ে কি?" ভদ্রলোক বললেন, "বিয়ে আসলে চুইংগামের মত। প্রথম প্রথম কিছুক্ষণ মিষ্টি লাগে, তারপর শুধু চিবাতে থাকো, চিবাতে থাকো......"।

হিন্দু ভাইবোনদের অবস্থা আরো শোচনীয়। সাত জনম ধরে একই চুইংগাম....!!!!

খুব খুব ভাল থাকুন বন্ধুরা।







মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

খরতাপ বলেছেন: আপনার জানায় ভুল আছে। হিন্দু ধর্মে তালাক বা পুনঃবিবাহ জায়েয নেই। একবার যার সাথে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন, তাকে ত্যাগ করা মানে নিশ্চিত নরকের দিকে যাত্রা করা।

১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:০৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, আগে তাই ছিল। এখন ভারতে তালাকের আইন পাশ হয়েছে। আর বহুবিবাহ আগে থেকেই চালু ছিল। এখনও আছে।

২| ১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:০৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: প্রেম পবিত্র। ভালোবাসার সম্পর্ক বিশ্বাসের সাথে।

বাইরে যাওয়ার সময় সাজগুজ, ঘরে ফিরে মেস্কি!

আমি পারলাম না গো আমার মনরে বুঝাইতে...

যাক, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিশ্লেষণ করেছেন।
শুধু ৪। ধর্মীয় কারণঃ যথেষ্ট বিশ্লেষণ করেননি।

১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:১১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, করিনি। কারণ এটা সবাই জানে।

ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৩| ১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

খালিদ১২২ বলেছেন: HOPEFUL , GOOD WRITING

১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৪১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৪| ১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৫২

প্রামানিক বলেছেন: আপনার পোষ্টে উল্লেখিত কারণগুলি যথাযথ যুক্তিযুক্ত। ধন্যবাদ

১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:০৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। জেনে ভাল লাগলো। ভাল থাকুন।

৫| ২০ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:০৯

অাসাদুজ্জামান লিটন বলেছেন: অনেক চমৎকার করে বুঝিয়ে লিখেছেন ।

২০ শে মে, ২০১৭ সকাল ৭:৫২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। যাদের বোঝার, তারা বুঝলে হয়। আর যদি আপনি জেগে ঘুমান, তাহলে বুঝিয়ে লাভ হয়না। তবু বোঝাই। যদি কেউ বোঝে, এই আশায়।

ভাল থাকুন।

৬| ২০ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:১৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তারপরও যদি আমরা বুঝি!!

২০ শে মে, ২০১৭ সকাল ৭:৫৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। জ্বি, কথা সেটাই। ভাল থাকুন।

৭| ২০ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:২৭

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: বিয়ের সময় অভিভাবকদের ও পাত্র-পাত্রীদের উচিত, বিয়ের পরে স্বামী-স্ত্রী একসাথে থাকতে পারবে কিনা - এ বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার পর বিয়ে করা বা দেয়া।

এই বিষয়টাতে সবাই ভুল করছে যার জন্য পরকীয়া, ডিভোর্স বেড়ে যাচ্ছে। ছেলে সরকারি কর্মকর্তা শুনেই পাত্রী পক্ষ মেয়ে বিয়ে দেবার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাকে যে খাগড়াছড়ি বদলি হতে হবে সে বিষয়ে কারো খেয়াল থাকে না। ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেয়ে কিভাবে চাকরি সংসার দুটো সামলাবে তা নিয়ে পরিবারের কোন মাথা ব্যথাই নেই। খালি সরকারি চাকরিজীবীর কাছে গছিয়ে দিতে পারলেই হল। এব্যাপারে ছেলেপক্ষও কম না। ঢাকার অফিসগুলিতে নারী কর্মীদের সাথে ফ্লার্ট করা পুরুষদের অধিকাংশকেই দেখবেন বিবাহিত। আর এদের বউরা ঢাকার বাইরে চাকরি করে, মাসে দুএকবার ঢাকায় আসে। সামান্য উপরি আয়ের জন্য এরা বউদের দূরে পাঠিয়ে অন্যের বউয়ের দিকে ঝুঁকছে X((

২০ শে মে, ২০১৭ সকাল ৭:৫৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি। আমার এক বন্ধু বলে, একসাথে থাকতে পারবেনা জেনেও যেসব অভিভাবক ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেয়, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত!

সত্যি কষ্টকর ও অমানবিক। বিশেষ করে, বিয়ে করে যারা বৌ রেখে বিদেশে চলে যায়, তাতের অবস্থা আরো খারাপ।
যাইহোক, ভাল থাকুন।

৮| ২০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

জেন রসি বলেছেন: নির্মোহ বিশ্লেষণ। লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে এক ইন্টারভিউতে প্রশ্ন করা হয়েছিল এত বছর আপনাদের দাম্পত্য টিকে আছে কিভাবে? সুনীল উত্তর দিয়েছিলেন আমরা সংসারকে খুব একটা সিরিয়াসলি নেইনা। ফানও করি! আসলেই এই ফান পার্টটা না থাকলেই ঝামেলা শুরু হয়। অবশ্য এখানে আবার আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের ব্যাপার চলে আসে। যাইহোক, সে ভিন্ন আলাপ।

২০ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৩২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার বিশ্লেষণের জন্য।

৯| ৩০ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:২৬

পংঙ্কজ অধিকারী বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট

৩০ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

আবু তালেব শেখ বলেছেন: পরকিয়া থেকে বাচার একমাত্র উপায় ধর্মীয় অনুশাষন মেনে চলা। এর স্বাদ এতো সুস্বাদু যে একবার খায় আর ভুলতে পারে না।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধর্মের উৎপত্তিই হয়েছে মানুষকে অনাচার থেকে দূরে রাখার জন্য। সব ধর্মই তাই। তবে মানুষের মধ্যে ভালো, মন্দ উভয় প্রবৃত্তিই বিদ্যমান। তবে আমি ধর্মের চেয়ে মানুষের বিবেককে বেশী গুরুত্ব দেই। ধন্যবাদ।

১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

আবু তালেব শেখ বলেছেন: পুরুষ নির্যাতন, ,,,,,, এই পোস্ট খুজে পেলাম না। লিংকটা দিলে খুশি হব আপু

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: লিংক দিলাম। তবে লেখাটা আমি এডিট করছি। আবার পোস্ট দেব। ধন্যবাদ।
http://www.somewhereinblog.net/blog/alponatalukder/30199491

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.