নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বউদের বেতন কত হওয়া উচিত?

১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬



বউদের বেতন কত হওয়া উচিত?

বাঙ্গালী নারীদের সুনাম সারা দুনিয়ায়। বধূ-মাতা-ভগ্নি-কন্যা ইত্যাদি সব রূপেই সে সমান দীপ্যমান। কিন্তু এদেশের ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে তারা কতটা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত, তার প্রমাণ আমরা প্রতিনিয়ত পাই নানা গণমাধ্যমে ও গবেষণায়। এদেশে আগে ৬৪%, বর্তমানে ৮০% নারী নিজ ঘরে অতি আপন জন দ্বারা নির্যাতিত। ঘরে বাইরে নারীর প্রতি নানা সহিংসতা প্রমাণ করে তারা সমাজে কতটা অনিরাপদ। আমি আজ লিখছি নারীর আর্থিক স্বাধীনতা নিয়ে।

আমরা জানি আর্থিক স্বাবলম্বিতা নারীকে পরনির্ভরশীলতা থেকে বাঁচায়। নারী আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হলে পরিবারে-সমাজে সে নিজেকে অনেকটাই নিরাপদ করতে পারে। শারীরিক-মানসিক নির্যাতন থেকে বাঁচাতে পারে। কারণ বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নারীরা তাদের প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন মেনে নেয় তাদের আর্থ-সামাজিক, মূলত আর্থিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে।

নারীকে বেশীরভাগ পুরুষ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে দেননা। প্রায় সব পরিবারে অর্থ নিয়ন্ত্রণ করেন পুরুষরা। তাই মেয়েরা সারাজীবন পরনির্ভরশীল থেকে যায়। তারা বিয়ের আগে বাবার, বিয়ের পর স্বামীর এবং স্বামীর অবর্তমানে ছেলের উপর নির্ভরশীল। মেয়েদেরকে সবসময় আর্থিক দিক থেকে বঞ্চিত করা হয়। বাবার সম্পত্তিতে অংশ বা বিধবা হলে স্বামীর সম্পত্তি ঠিকমত দেয়া হয়না। স্ত্রীধন, তালকের পর খোরপোষ - বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেয়া হ্য়না। এমনকি বাবার দেয়া যৌতুক বা সম্পদের উপরেও স্ত্রীর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। দেনমোহরটাও বেশীরভাগ সময় স্বামীরা দেননা। কেউ কেউ মোহরানা দেন। কিন্তু সেটা কোন না কোন বিনিয়োগে খাটানো হয় যা স্বামী নিয়ন্ত্রণ করেন।

স্ত্রী উপার্জন করলেও নিজের ইচ্ছামত স্বামী তা স্ত্রীকে খরচ করতে দেননা।
বেশীরভাগ স্বামীরা স্ত্রীর সম্পদ বা আয় নিজের মনে করেন এবং জোর করে নিজের করায়ত্তে রাখেন । স্ত্রীর উপার্জনে স্বামীর কোন হক নেই এবং স্ত্রী স্বেচ্ছায় না দিলে সেটা স্বামী নিতে পারেননা, এটা তাঁরা মানেননা। ফলে উপার্জনক্ষম নারীরাও নিজের আয় ইচ্ছামত ব্যয় করতে পারেন না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর নীলুফার সুলতানার এক গবেষণায় পাওয়া গেছে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, তাঁর বেতন তিনি নিজে তুলতে পারেন না। চেক সই করে দেন, তাঁর স্বামী টাকা তোলেন। তাঁর একাউন্টে কত টাকা আছে তা তিনি জানেন না। টাকা দিতে না চাইলে...। এবার নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমরা কোথায় আছি?

নিম্নবিত্ত ঘরের মেয়েদের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। বেশীরভাগ নিম্নবিত্ত পরিবারে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা নানাভাবে স্ত্রীদের নির্যাতন করে যৌতুকের জন্য। এসব স্বামীরা স্ত্রীর হাতে টাকা তো দেয়ইনা, উপরন্তু স্ত্রীর বাপের দেয়া অর্থ-সম্পদও কেড়ে নেয়।

সব নারী আয় করেননা। আবার বাংলাদেশের বেশীরভাগ পরিবার স্বচ্ছলও নয়। বাবা আয় করেন বলে তিনি তাঁর যেকোন প্রয়োজন সহজেই মেটাতে পারেন। ছেলেমেয়েদের প্রয়োজন মেটানো হয় সবার আগে। বাদ পড়ে থাকেন শুধু মা। তাঁর প্রয়োজনটা সেভাবে গুরুত্ব পায়না। ভাত-কাপড় বা বাজার খরচের টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়েই শেষ। তাঁর আর কোন প্রয়োজনকে আমলে নেয়া হয়না।

অথচ সব মানুষের নিজস্ব কিছু প্রয়োজন থাকে, নারীরও। কেউ দান করতে ভালবাসে, কেউ প্রিয়জনকে বিপদে সাহায্য করতে চায়, কেউ নানা উৎসব- অনুষ্ঠানে পছন্দের মানুষকে উপহার দিতে চায়। কেউ বা চায় প্রতিমাসে ভাইবোনের পড়াশোনা বা মাবাবার অষুধ কেনার টাকা পাঠাতে। কখনও চিকিৎসাখরচ, বিয়ে, মৃত বাবামার জন্য দান-খয়রাত বা এরকম কোন দরকারে টাকার খুব দরকার হয়। সবসময় বেকার নারীরা স্বামীর কাছে এসব প্রয়োজনে টাকা চাইতে পারেননা। চাইলেও দেবার মানসিকতা সব স্বামীর থাকেনা।

অনেক শিক্ষিত-স্বচ্ছল পরিবারে বেকার স্ত্রীদের কোন হাতখরচ দেয়া হয়না, দেয়ার প্রয়োজনও বোধ করা হয়না (অস্বচ্ছন্দ পরিবারের কথা বাদ দিলাম)। ফলে তারা সংসার খরচের টাকা থেকে চুরি করেন বা করতে বাধ্য হন। বেশীরভাগ সময়ে স্বামীকে মিথ্যে কথা বলে সঞ্চয় করেন বা মিথ্যে হিসাব দেন। এভাবে টাকা বাঁচিয়ে নিজের প্রয়োজন মেটান বা জমান। আমার এক ভাবীকে দেখতাম, বাজার খরচের টাকা হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই কিছু টাকা সরিয়ে রাখতো প্রতি মাসে। আবার দেখতাম, দু'হাজার টাকার শাড়ী কিনে এনে বলতো, সাতাশ শ'। জিজ্ঞেস করলে বলতো, "এভাবে না জমালে টাকা পাব কৈ?" চুরি করে হলেও নারীরা সঞ্চয় করেন। কারণ তাঁরা জানেন, স্বামীর অবর্তমানে আর্থিক সঙ্গতি না থাকলে তাঁদের অবস্থা কতটা নাজুক হয়।

কিছু মহান স্বামী স্ত্রীদের হাতে টাকা দেন বটে। তবে তার পাই-পয়সা হিসাব নেন। ফলে বউদের কোন লাভ হয়না। মেয়েদের এমন কিছু প্রয়োজন থাকে যার জন্য স্বামীর কাছে টাকা চাওয়াটা মোটেই সম্মানজনক নয়। যেমন, কোন অভাবগ্রস্ত নিকটাত্মীয়কে অর্থ সাহায্য করা। নিঃসন্দেহে স্বামীরা সংসার চালানোর জন্য পরিশ্রম করে টাকা আয় করেন। বউরাও সংসারের জন্য রোজ কম কষ্ট করেন না। সংসারে একজন স্ত্রী ( বেকার বা সকার) রোজ যে কাজগুলো করেন, তা অর্থের বিনিময়ে করাতে হলে স্বামীরা বুঝতে পারতেন, স্ত্রীর বেতন কত হওয়া উচিত বা প্রতি মাসে স্ত্রীকে কত টাকা হাতখরচ দেয়া ন্যায্য।

এর বিপরীত চিত্রও আছে। অনেক রাজনীতিবিদ, ঘুষখোর অফিসার-কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ, ব্যবসায়ীরা নানা কারণে স্ত্রীদের নামে টাকা, সম্পদ দেন। অনেক অসাধারণ স্বামী আছেন যাঁরা বাড়ী, গাড়ী, টাকা স্ত্রীর নামে রাখেন। তবে বেশীরভাগ পুরুষ স্ত্রীর টাকা বা সম্পদকে নিজের মনে করে করায়ত্ব করতে চান। স্ত্রীকে তার সম্পদ-অর্থ স্বামীর হাতে তুলে দিতে বাধ্য করেন।ফলে টাকা থাকলেও অনেক মেয়ে সারাজীবন পরনির্ভরশীল থাকতে বাধ্য হন। পরহস্তে ধন যে কোন কাজে লাগেনা, তা আমরা সবাই জানি। অর্থ না থাকলে কেমন লাগে, তা মাসের শেষদিকে সব পুরুষই টের পান। তবু বেশীরভাগ স্বামীরা স্ত্রীদের হাতে টাকা দেয়ার প্রয়োজন বোধ করেননা, অপচয় মনে করেন।

তাই স্বামীদের বলছি, আপনারা স্ত্রীদের প্রয়োজন ও অসুবিধা অনুভব করুন। আপনার সাধ্য অনুযায়ী কিছু টাকা প্রতিমাসে আপনার স্ত্রীকে দিন এবং এ টাকার হিসেব কখনও চাইবেননা। স্ত্রী আয় করলে তার টাকা জোর করে কেড়ে নেবেন না। তাকে বিশ্বাস করুন, ভালবাসুন। সংসারের প্রতি আপনার চেয়ে তার টান কোন অংশে কম নয়। সে নিশ্চয় নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে বাকী টাকা আপনার সংসারের জন্যই ব্যয় করবে।

আর উপার্জনকারী নারীদের বলছি, আল্লাহ আপনাকে সামর্থ্য দিয়েছেন, যাতে আপনি আপনার আয় থেকে অভাবী কাউকে সাহায্য করতে পারেন। কিছুটা সঞ্চয়ও করুন, কিছুটা সংসারের জন্যও খরচ করুন। তবে কোনমতেই আপনার কষ্টার্জিত সব টাকা স্বামীকে দেবেন না। কারণ স্ত্রীর আয়ে স্বামীর কোন হক নেই এবং আপনি জানেন না ভবিষ্যতে আপনার অবস্থা কি হবে।

আর ভাগ্যবতী মেয়েদের (যাদের স্বামীরা আপনার আয় নেননা বা বেকার স্ত্রীদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত টাকা দেন) বলছি -  আপনারাও দান করার ও প্রয়োজন মেটানোর পর কিছু টাকা সঞ্চয় করুন। কারণ কে বলতে পারে, হয়ত ভবিষ্যতে আপনার সঞ্চয়ই আপনার ও আপনার স্বামীর বা সন্তানের কাজে লাগতে পারে। কিছুদিন আগে ফেসবুকে পড়লাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক এখন বৃদ্ধাশ্রমে। হায়রে জীবন!!!

বন্ধুরা, রোজার মাসে বেশী বেশী দান করুন। ভাল থাকুন। আপনার প্রিয়জন ও আশপাশের মানুষগুলোকেও সাধ্যমত ভাল রাখুন। সবাইকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা।






মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন:

 
বিয়ের পর সংসারের চাপে মেয়েরা নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেয়া ছেড়ে দেয়, দিতে বাধ্য হয়। ফলে তারা মুটিয়ে যায়, নিজের দিকে তাকাতে ভুলে যায়, নিজের শখ, বন্ধু-বান্ধব, সৃজনশীলতা, লেখা, গান-নাচ-আঁকা,... সব ছাড়ে পরিবার, বাচ্চা এদের জন্য। মেয়েদের নিজের কোন অস্তিত্ব থাকেনা। সে বাঁচে অন্যের জন্য। মোনালিসাও মেয়ে। তাই তারও এমন দশা হবার কথা।

২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: বাংলাদেশের মেয়েরা পৃথিবীতে অন্যতম নির্যাতীতা । এদেশের পুরুষরা ৬০% অশিক্ষিত নারী নির্যাতনে দক্ষ, আর নীতিনির্ধারকরা ৯৯% পুরুষ ফলে মেয়েরা কখনোই বিচার পায়না!

১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, ঠিক। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদের পুরুষদের মনমানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। আপনাকেও আগাম ঈদের শুভেচ্ছা।

১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ..........

ভালবাসার সমান!

++++

১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

মুহা মামুনুর রশীদ সনেট বলেছেন: লেখাটি একপেসে হয়ে গেলো না??? আমরা শুধু নারি নিরজাতনের কথা বলি! কই পুরুস নিরযাতনের কথা কেও বলেনাহ। আমরা সকল নিরযাতনের বিপখখে ।

১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: "পুরুষ নির্যাতন" শিরোনামে আমার একটি লেখা আছে আমার ফেবু দেয়ালে। ইচ্ছে হলে দেখে নিতে পারেন। অথবা অপেক্ষা করুন- আমার নেক্সট পোস্ট ওটাই। ধন্যবাদ।

৬| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সবারই কোন না কোন দিন ছুটি আছে... নারীর নেই.....!!!!!!!! সপ্তাহ. মাস, বছর সারা জীবন!!!!!!!!!!!!!!


+++++

১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি জনাব, অতি সত্য কথা বলিয়াছেন। আপনার কথার প্রসঙ্গে আমার আরোকটি লেখার কিছু অংশ তুলে দিলাম -

"আমাদের সমাজের নিয়ম অনুসারে কিছু কাজ ছেলেদের, কিছু কাজ মেয়েদের। তুলনামূলকভাবে মেয়েদের কাজগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় এবং সেগুলো বিরক্তিকর। রান্না, কাচা, সংসারের আরো কাজ, বাচ্চা সামলানো, পরিবারের সবার দেখাশোনা.. ইত্যাদি সব কাজ করতে গিয়ে মায়েরা অবসর পায়না। দিনরাত ব্যস্ত। পুরুষরা কাজ বা চাকরী শেষে বাড়ী ফিরে আরাম করে, বৌ-মেয়ে-বোন-মা তার সেবা করে, কারণ সে সংসার চালানোর জন্য টাকা আনে। (বাবা আয় করে, তাই বাকী আর কিছু সে করবেনা। তার কাছে কেউ কিছু আশাও করেনা। সন্তান লালন-পালন, পড়াশোনা, সব দায় একা মায়ের।) অথচ মায়ের কোন ছুটি নেই। তার কোন বিনোদনেরও প্রয়োজন নেই। কারণ সে সারাদিন বাড়ীতে বসে বসে আরাম করা ছাড়া আর তো কিছু করেইনা! চাকরী বা কাজ করলেও তার রোজকার সংসারের কাজে আর কেউ তাকে সাহায্য করেনা। মেয়েরা বড় হলে বা কাজের লোক থাকলে কিছুটা সাহায্য হয়। তবে কিছু কাজ (যেমন রান্না...) আর কেউ করবেনা। যেমন আমার বাড়ীতে কাজের লোকের রান্না কেউ খেতে চায়না।

মেয়েরা সংসার, বাচ্চা সামলিয়ে সময় পায়না। ফলে তার সৃজনশীলতা থাকলেও প্রকাশ পায়না। ধীরে ধীরে সে পুরুষের তুলনায় পিছিয়ে পড়ে। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেনা, সারাজীবন পরনির্ভরশীল থেকে যায়।
এজন্য মেয়েদের আত্মবিশ্বাস তৈরী হয়না তার উপরে ভরসা করা হয়না বলে। বাবাদের একমাত্র চিন্তা হল, কোন রকমে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিতে পারলেই তার দায় শেষ! কি মজা!! ছুটি!!! গরম গরম রুটি!!!!

আসলে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মানসিকতা। মেয়েরাও মানুষ, তাদেরও ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ভাললাগা-মন্দলাগা আছে, তারও বিনোদন দরকার, তারও কাজ করার বা নিজের সৃজনীশক্তি প্রকাশ করার অধিকার আছে.... এগুলোকে আমাদের সমাজ স্বীকৃতি দেয়না। ঘরের সব কাজ মেয়েদের ঘাড়ে চাপিয়ে বাসায় বসিয়ে রাখার মানসিকতা আমাদের সমাজের মজ্জাগত।"

ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৭| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

বিজন রয় বলেছেন: ছবিটি দারুন।

দেবী দূর্গার অসীম ক্ষমতা।

১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। জ্বি, একথা বলে তাদের ঘাড়ে সব দায় চাপিয়ে আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। বুদ্ধি খারাপ না।

৮| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১১

আহলান বলেছেন: কিছু মহান স্বামী স্ত্রীদের হাতে টাকা দেন বটে। তবে তার পাই-পয়সা হিসাব নেন। ফলে বউদের কোন লাভ হয়না।

এই লাইনটা পড়ে শুধু হাসতেছি ... বউরা লাভের আসায় বিয়ে করে সংসার করে, ব্যাক্তিগত আর্থিক লাভ ... আপনার লেখা নারীকে মর্যাদা দেয়ার চেয়ে অমর্যাদাই করলো বেশী!

বাবা মা ভাই বোন স্বামী স্ত্রী এই সম্পর্কগুলো Love এর সম্পর্ক, লাভের না ....

১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনার বোঝায় ভুল আছে।

লাভ বলতে আমি সে লাভকে বোঝাইনি। বলতে চেয়েছি, টাকা দিয়ে তার হিসাব নেয়ার ফলে নারী তার যে প্রয়োজনগুলো স্বামীকে বলা সম্মানজনক নয়, সেগুলো মেটাতে পারেনা। সব মেয়েদেরই কিছু প্রাইভেসি ও প্রয়োজন আছে। আমার লেখার উদ্দেশ্য ছিল, পুরুষরা নারীর কষ্টের স্বীকৃতি দিক ও নারীর প্রয়োজনকে সম্মান দেখিয়ে তার হাতখরচের জন্য স্বামীর সাধ্যমত প্রতিমাসে কিছু টাকা দিক এবং সে টাকার হিসাব না নিক। যাতে নারীকে তার স্বামীকে কৈফিয়ত দিতে না হয় এবং নারী তার প্রয়োজনও মেটাতে পারে।

ধন্যবাদ।

৯| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এমনকি বাবার দেয়া যৌতুক বা সম্পদের উপরেও স্ত্রীর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। দেনমোহরটাও বেশীরভাগ সময় স্বামীরা দেননা। কেউ কেউ মোহরানা দেন। কিন্তু সেটা কোন না কোন বিনিয়োগে খাটানো হয় যা স্বামী নিয়ন্ত্রণ করেন।
সব কথাই ঠিক আছে, কিন্তু বাবার দেয়া যৌতুক! যৌতুক কেন দিবে, যৌতুকের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

সব মানুষের মনমানসিকতা এক নয়, কেউ চায় নারীর উপর কর্তৃত্ব খাটাতে, এটা তাদের মানসিক সমস্যা আছে বিধায় করে। অনেক সময় আবার নারীরাই কর্তৃত্ব করে তবে কম ক্ষেত্রে।


কিছু মহান স্বামী স্ত্রীদের হাতে টাকা দেন বটে। তবে তার পাই-পয়সা হিসাব নেন।
হিসাব নেয়া উচিত, তবে বেশি হিসাব নেয়াটা ঠিক নয়, স্বাধীনতা অবশ্যই দেয়া উচিত।


তাই স্বামীদের বলছি, আপনারা স্ত্রীদের প্রয়োজন ও অসুবিধা অনুভব করুন।
এটা স্বামীদের অবশ্যই করা উচিত।

আমি মনে করি, একজন স্ত্রীর প্রতি স্বামীর সবসময় লক্ষ্য রাখা উচিত, সন্তানেরও উচিত মা বৃদ্ধ হয়ে গেলে সম্পূর্ণ দায়িত্বের সাথে সকল দায়িত্ব পালন করা।
অবশ্য সবাইতো আর সব কিছুর মূল্য বুঝে না, কিছু মানুষ দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পরিশেষে তাদেরও একই অবস্থা হয়।

১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: যৌতুক কেন দিবে - এই বিতর্কে এখন যাবনা। হিসাব নেয়া উচিত বাজার খরচের। তবে হাতখরচ হিসেবে যে টাকাটা দেবেন, সেটির হিসাব কখনও চাইবেননা। কারণ স্ত্রী আপনার অর্ধাঙ্গিনী, আপনার অধীনস্ত কর্মচারী নয়। কিছুটা স্বাধীনতা ও প্রাইভেসি তারও দরকার।

ধন্যবাদ।

১০| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

আল ইফরান বলেছেন: খুবই কমন একটা বিষয়।
নারীর ক্ষমতায়নের জায়গাতে কথা বলেছেন, কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে পুরুষের ক্ষমতায়নেরও একটা গুরুত্বপুর্ণ মানদন্ড হচ্ছে অর্থ। তবে স্ত্রীকে তার নিজের অথবা স্বামীর নিজের অর্থ-ব্যবস্থাপনা থেকে দূরে রাখা বৈষম্যের অনুভূতিকে প্রবল করে ভাঙ্গনের সুর ধরায় অনেক সময়ই।
আমার অভিমত হচ্ছে পুরুষদের অংশীদারিত্বের চেতনাকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সুষমভাবে স্ত্রীর জন্য জাগ্রত রাখা।

১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন:

ভাই সহজ কথা। আপনার মত আপনার স্ত্রীও আয় করলে তার অর্থও তাকেই আপনার মতই স্বাধীনভাবে ব্যবস্থাপনা করতে দিন। এটা তার অধিকার। আর আয় না করলে তার প্রয়োজনকে সম্মান দেখান। প্রতিমাসে তাকে আপনার সাধ্যমত কিছু টাকা হাতখরচ দিন যেটা সে তার ইচ্ছামত খরচ করবে।

জ্বি, পুরনো কথা। তবু হাজার বার বললেও কোন পুরুষ বউদের হাতখরচ দেননা, এই লেখার পরেও হয়তো দেবেননা। আফসোসটা এখানেই।

ধন্যবাদ।

১১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

শোভ বলেছেন: কারণ স্ত্রীর আয়ে স্বামীর কোন হক নেই এবং আপনি জানেন না ভবিষ্যতে আপনার অবস্থা কি হবে........ আপনার এই কথাটা কেমন যেন খটকা লাগল , ভবিষ্যতের কথা স্ত্রীর জানা নেই স্বামীরটা কি জানা আছে ? বৌদের বেতন দিলে তাদের ছোট করা হবে আমার মতে বৌকে গভীর ভালোবাসা দেয়া । বৌকে যদি বেতন দেই তাহলে বৌ আর বৌ থাকবে না কাজের বুয়া হয়ে যাবে ।

১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন:
চাইলেও বউদের বেতন আপনারা দিতে পারবেন না। কারণ বউরা যে আন্তরিকতাসহ আপনার সংসার, বাচ্চা, আত্নীয়, আপনার দেখাশোনা করেন (পৃথিবীর কোন বুয়া সেটা কোনদিন করবেনা), কোন বেতনেই তার দাম দিতে পারবেন না। আমি শুধু বলেছি, যাঁদের বউরা আয় করেন না, তাঁরা বউদের প্রয়োজন ও প্রাইভেসিকে সম্মান দেখান। প্রতিমাসে তাঁকে আপনার সাধ্যমত কিছু টাকা হাতখরচ দিন যেটা তিনি তাঁর ইচ্ছামত খরচ করবেন বা জমাবেন বা যা খুশী।

আর স্বামীরা যেহেতু আয় করেন, তাই তাঁরা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে  সঞ্চয়ও করতে পারেন, করেনও। বেশীরভাগ বউরা যেহেতু আয় করেন না, তাই তাদের কোন সঞ্চয়ও থাকেনা। তাই ভবিষ্যতে স্বামীর অবর্তমানে বা বিপদে আপদে তাঁরা বেশী বিপদে পড়বেন।

ধন্যবাদ।

১২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নারীরা সত্যই বঞ্চিত। এসব বাদেও
সুধু কন্যা সন্তান রেখে স্বামী মারা গেলে, চরম বিপদ। একেত উপার্জনখম মানুষটি হারিয়ে দিশাহারা,
তার উপর স্বামির কষ্টার্জিত রেখে যাওয়া সঞ্চয়পত্র ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের বড় একটি অংশ, বাড়ীর একটি অংশ আইন অনুযায়ী হাতছাড়া হবে। নমেনি করা থাকলেও কাজ হবে না।
দেবর ননদ ভাতিজাদের মধ্যে ভাগ হবে।
বা কঠিন দির্ঘ বাটোয়ারা মামলা।

১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, ঠিক। "মেয়ের বাবামা হওয়া কি অপরাধ? " - এই শিরোনামে আমার ফেবু দেয়ালে আমার একটি লেখা আছে, যাতে আমি এ বিষয়গুলো লিখেছি।

অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১৩| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: আল্পনা তালুকদার আপা আপনাকে বলছি, হ্যা আপনি একজন নারী হয়ে নারী নির্যাতন নিয়ে লিখবেন এটাই স্বাভাবিক। আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ।
কিন্তু খুব ভাল হয় পোস্টের প্রতীকি ছবিটা দ্রুত পরিবর্তন করলে। এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবী দূর্গাকে ঝাড়ু খুন্তি হাতুরী হাতে চরমভাবে অপমান করা হয়েছে। আমার মন বলছে এটি আপনার অনিচ্ছাকৃত ভুল।

১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনি নিজেই বুঝেছেন যে ছবিটা প্রতীকি। তাই কোন সমস্যা নেই। সবাই বুঝবেন, দেবীর অপমান হবেনা। তাছাড়া নারীকে দেবীর প্রতিরূপ হিসেবেই মানা হয়।

ধন্যবাদ।

১৪| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমি তো সুরভিকে পর্যাপ্ত টাকা দেই। এই ব্যাপারে তার কোনো অভিযোগ নেই।

১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: গুড! শুনে বড়ই আনন্দিত হইলাম!!!! সুরভির মত ভাগ্য বাংলার সব নারীর হোক, এই কামনা সবসময়।

ধন্যবাদ।

১৫| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

কানিজ রিনা বলেছেন: নারী নির্যাতন কোর্টের পাশে আলাদা করে
পুরুষ নির্যাতন কোর্ট বসানো উচিৎ অবশ্যই
জরুরী। তাতে দেখা যাবে মাসে কয়টা কেচ
নারীর ও পুরুষের। আমার মনে দৃঢ় বিশ্বাস
পুরুষ নির্যাতন কোর্টের আইন জীবিরা মাছি
মারা ছারা আর কোন কেচ পাবেনা।
কারন পেপার পত্রিকা খুললে প্রতিদিন
দুই চারটা নারীর নির্যাতনের খবর পাওয়া
যায় সেবেলায় কয়টা পুরুষ নারীর দ্বারা
নির্যাতন হওয়ার খবব পেপারে আসে?
দেহিক ক্ষমতায় পুরুষরা নারীর থেকে বেশী।
কোনও যুদ্ধ ক্ষেত্রে নারী ও শিশুরাই বেশী
মারা যায় কারন নারীরা মারামারী যুদ্ধ
জানেনা। খুব সত্য কথা লিখার জন্য
ধন্যবাদ।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ভালো বলেছেন আপা। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১৬| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: স্ত্রী উপার্জন করলেও নিজের ইচ্ছামত স্বামী তা স্ত্রীকে খরচ করতে দেননা। হীনমন্যতা কাকে বলে!

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি জনাব। পৃথিবীতে যে কত রকম মানসিকতার মানুষ আছে!! ভাবতে অবাক লাগে! ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১৭| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপু মনে হয় আমার মন্তব্যের কথা গুলো বুঝতে পারেন নাই।

যাই হোক, অনেক ধন্যবাদ।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হতে পারে।

১৮| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:০৪

কানিজ রিনা বলেছেন: এই আমি আমার সংশারে কতৃ ছিলাম।
আবার সুইপার থেকে শুরু করে বাবুর্চিগীরি
ধোপা গীরি আবার সন্তানদের শিক্ষীকা হয়েও
সংশারে জানপ্রান দিয়ে আকরে রেখেছি।

কর্তা ব্যক্তি চাকুরি করে সম্মানের সাথেই
বেতনটা আমার হাতে এনে দিয়েছে। সব খরচ
করেও অল্প কিছু জামানত রেখেছি। সন্তানের
ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
এখন ধরেন আমি সুইপার বাবুর্চি ধোপা শিক্ষক হিসাবে বেতন ধার্য করি হতে পারে
মাসে ১০ হাজার টাকা। এখন বিশ বছরের
বেতন আসে কত?
আমরা নারীরা মমতা দিয়ে স্বামী সংশার
সন্তান আকরে থাকি। যখন জামানতের টাকাটা স্বামীর হাতেই তুলে দিতে হয়।
তখনও চিন্তা করিনা স্বামী ব্যক্তি আমাকে
অবমুল্যায়ন করবে। আর বলবে টাকাটা তারই
পরিশ্রমের টাকা। তখন আমার পারিশ্রমিক
কোথায়।
আমার স্বামী ছিল আমার প্রেমিক কিন্তু বিয়ের
কিছুদিন পরেই তিনি আমার স্বামী হয়ে উঠল
স্বামী হিসাবে সে আমার প্রেমিক হয়ে উঠেনাই
সে ছিল এক বিভিশিখার মাতাল বুহুগামী।
যা আমি আগে ঘুনাক্ষরেও বুঝি নাই যখন
বুজতে পারি তখন আর ফিরে যাওয়ার পথ
ছিলনা আমার দুটি সন্তান।
আমি স্বামীর দারা নির্যাতিত নিপিরীত
অপমানিত লাঞ্চিত বঞ্চিত সাথে সাথে ছেলে
মেয়ে। ওড়া বড় হতে বুঝে ফেলে ওদের
বাবা বহুগামী। প্রতিবাদ করতে শিখে তখন
ওদের বাবা ওদের বঞ্চিত করে আলাদা
থাকতে শুরু করে নিজের স্বাধীন চরিত্রকে
চরিতার্থ করার জন্য।
আমি তার সবকিছু লুকিয়ে রেখেছিলাম ছেলে
মেয়ে বড় হলে হয়ত ভাল হবে লজ্জা পাবে
তার ছেলে মেয়ে অত্যান্ত সুশিক্ষীত তারা
এখন লজ্জায় বাবার পরিচয় লুকায়।
পরিচিত মানুষের সামনে মুখ লুকায়।
আলপনা তোমার লেখার শিরোনামে বউদের
বেতন কত হওয়া উচিৎ তাই নিজের বেতন
চাই নাই। তিল করে জামানতের টাকাটাও
নিয়ে নিয়েছিল। তোমাকে বলে ফেললাম।
আবারও ধন্যবাদ।

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:৪৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে এজন্য যে আপনার আস্থাভাজন হতে পেরেছি। সেজন্যই আপনার কষ্টের অভিজ্ঞতা আমার সাথে শেয়ার করেছেন। অশেষ কৃতজ্ঞতা। আর শুধু আপনি না, প্রায় প্রতিটা বাংগালী নারীই কোন না কোন দিক দিয়ে তার স্বামী বা তার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দ্বারা নির্যাতিত। যেন এটা তাদের নিয়তি। আমার লেখালেখি মূলত এসবের বিরুদ্ধেই। হয়ত একদিন পরিস্থিতি বদলাবে। আপনার জন্য সমবেদনা। ভাল থাকুন ছেলেমেয়ে নিয়ে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.