নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিথ্যে বলা কি পাপ???

২৭ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮



মিথ্যে বলা কি পাপ???


শিয়ালের আঙ্গুরফল টকের গল্প আমরা সবাই জানি। আঙ্গুর পাড়তে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করার পরিবর্তে শিয়াল আঙ্গুরের দোষ ধরে বা মিথ্যে কথা বলে। আবার "ভাঁড়ার ঘরে কেরে? আমি কলা খাইনা" - তেও চুরি করে নিজের কলা খাওয়ার অপরাধ অস্বীকার করতে বা নিজের দোষ অন্য কারো ঘাড়ে চাপানোর জন্য মিথ্যে বলা হয় ।

সাধারণভাবে আমরা জানি, মানুষ বিপদে পড়লে মিথ্যে কথা বলে। তবে সবসময় শুধু বিপদে পড়লেই মানুষ মিথ্যে কথা বলে - এমনটা কিন্তু নয়। আঙ্গুর পাড়তে পারেনি, একথা স্বীকার করলে শিয়ালের এমন কোন বিপদ হবেনা। কারণ পৃথিবীর কোন শিয়ালই গাছে উঠে আঙ্গুর পাড়তে পারেনা। বা "আমি কলা খাচ্ছি" - বললে কেউ আপনাকে শাস্তি দেবেনা। এরকম অনেক পরিস্থিতিতে আমরা মিথ্যে বলি বা সত্য বিকৃত করি।

সব ধর্মেই মিথ্যে বলা মহাপাপ। কারণ মিথ্যে বলে মানুষ অনেক সময় অপরাধ গোপন করে, অন্যের ক্ষতি করে এবং ব্যাক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে নানা অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য কোন কিছুকে স্বীকৃতি দেয় যা কাঙ্খিত নয়। তবে ধর্ম একথাও বলেছে যে, খুব বেশী বিপদে পড়লে মিথ্যে বলা যেতে পারে, তবে পারতপক্ষে না বলাই ভাল। আসুন জানি, মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে মানুষের মিথ্যে বলার কারণ কি, মিথ্যে বলা খারাপ কিনা বা মিথ্যে বলার প্রয়োজনীয়তা কি?

প্রথমে জানি, মানুষ কেন মিথ্যে বলে?

সুন্দরভাবে বাঁচার জন্য মানুষকে নানা প্রতিকূল পরিবেশের (সমস্যা, অসুবিধা, জটিলতা ইত্যাদির) সাথে খাপ খাইয়ে চলতে হয়। যেকোন
সমস্যামূলক পরিস্থিতিতে পড়লে মানুষের মনের উপর চাপ বা পীড়নের (Stress) সৃষ্টি হয়। এই চাপকে মোকাবেলা করতে না পারলে মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেনা, মানসিক ভারসাম্য হারায়, নানা মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। জীবনের নানা চাপমূলক পরিস্থিতিতে মানুষ সাধারণতঃ দুইভাবে প্রতিক্রিয়া করে থাকে। যথা -

১। কৃত্যমুখী প্রতিক্রিয়া ও

২। প্রতিরক্ষামুখী প্রতিক্রিয়া।

কৃত্যমুখী প্রতিক্রিয়া হল সমস্যামূলক পরিস্থিতিতে কাজ করে চাপ দূর করার বাস্তবমুখী প্রচেষ্টা। কৃত্যমুখী প্রতিক্রিয়া করতে পারলে মিথ্যে বলার দরকার পড়েনা। ব্যাক্তি এ প্রতিক্রিয়া তিনভাবে করে থাকে। যথা - সরাসরি মোকাবেলা ( সমস্যা চিহ্নিত ও পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে নিজ দক্ষতা, ক্ষমতা ও শক্তি প্রয়োগ করে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ), পশ্চাদপসরণ করা ( সমাধান অসাধ্য মনে করলে সমস্যা বা পরিস্থিতি থেকে সরে আসা) ও সমঝোতা করা (সমস্যার আংশিক সমাধান করে নিজেকে সান্ত্বনা দেয়া বা চাপ কমানো )।

একটি উদাহরণ দিয়ে এই তিন পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করা যায়। ধরা যাক, একজন স্ত্রী তার স্বামীর আয় থেকে তার শ্বশুরবাড়ীতে টাকা দেয়া পছন্দ করেন না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ হয়। এ পরিস্থিতিতে কলহ মেটাতে সরাসরি মোকাবেলায় স্বামী স্ত্রীর সাথে আলোচনা করে স্ত্রীকে পরিস্থিতি বুঝিয়ে টাকা দিতে রাজী করাতে পারেন। পশ্চাদপসরণে স্বামী স্ত্রীর কথামত টাকা দেয়া বন্ধ করতে পারেন বা স্ত্রীকে না জানিয়ে টাকা দিতে পারেন। সমঝোতাতে স্বামী বাবামার শুধু খুব জরুরী প্রয়োজনে, যেমন - শুধু চিকিৎসা খরচের টাকা দিতে স্ত্রীকে রাজী করাতে পারেন। বাকীটা তার অজান্তে করতে পারেন।

আমার এক ডাক্তার বন্ধু প্রেম করে বিয়ে করেছে। কিন্তু তার স্ত্রী তার বাড়ীর লোকেদের সাথে কথা বলেনা, ভাল আচরণ করেনা। তার কারণ আমার বন্ধুর পরিবার তার স্ত্রীর সাথে বিয়েকে মেনে নিতে চায়নি বলে। এ কারণে আমার ডাক্তার বন্ধু তার ছোট বোনকে তার বাসায় রেখে পড়াতে চেয়ে পারেনি। কারণ আমার ডাক্তার বন্ধুর বউ তার বোনের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। তাই আমার বন্ধু আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে বাবামাকে এনে বোনসহ রেখে বোনকে পড়াচ্ছে। ছুটির দিনে বন্ধু তার ছেলেদের নিয়ে বাবামার কাছে যায়, বাজার করে বা টাকা দিয়ে আসে। বউ কখনোই যায়না। সে যেতে বলেওনা। ফলে বোনকে নিয়ে কোন অশান্তিও নেই। এখানে আমার বন্ধু দ্বিতীয় উপায় বা পশ্চাদপসরণ করে সমস্যা সমাধান করেছে।

আর প্রতিরক্ষামুখী প্রতিক্রিয়া (ডিফেন্স মেকানিজম) হল, যখন মানুষ কোন সমস্যার সমাধান করতে পারেনা বা সমস্যা বা সত্যের মোকাবেলা করা বা সত্য স্বীকার করা ব্যাক্তির জন্য অসুবিধাজনক, অসম্মানজনক ও বিব্রতকর হয়, তখন ব্যাক্তি মিথ্যে বলে ( সত্য বিকৃত করে, আংশিক সত্য বলে, সত্য ও মিথ্যা মিলিয়ে কিছু বলে)। এভাবে নানা আত্মরক্ষামূলক কৌশল অবলম্বন করে চাপ মোকাবেলা বা অভিযোজন করাকে প্রতিরক্ষামুখী প্রতিক্রিয়া বা ডিফেন্স মেকানিজম বলে। যেমন - কেউ নকল করে ধরা পড়লে সবার কাছে অপমানিত হওয়া থেকে বাঁচার জন্য বলে - "আমি নকল করিনি, পাশের জন করেছে। স্যার আমাকে ধরেছে।" বিমানবন্দরে চোরাকারবারীরা ধরা পড়ার পর বলে, "ঐ লাগেজ আমার না। একজন আমাকে পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেছে।"

আমরা কিভাবে মিথ্যে কথা বলি?

প্রতিরক্ষামুখী প্রতিক্রিয়া করতে গিয়ে কখনও কখনও আমরা বিভিন্ন প্রতিরক্ষা কৌশল / ডিফেন্স মেকানিজম ব্যবহার করি বা মিথ্যে বলে মানসিক চাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করি। নীচে কয়েকটি ডিফেন্স মেকানিজমের উদাহরণ দেয়া হলো।

১। যুক্তিসিদ্ধকরণ : এর অর্থ নিজের অক্ষমতা বা দোষ ঢাকার জন্য মিথ্যে যুক্তি বা কারণ তুলে ধরা। শিয়ালের আংগুর ফল টক যুক্তিসিদ্ধকরণের উদাহরণ। তেমনি একজন ঘুষখোর নিজের ঘুষ খাবার অপরাধবোধ ঢাকে একথা বলে যে, "সবাই ঘুষ খায়। তাই ঘুষ খাওয়া অপরাধ নয় ( যদিও সে জানে তা অপরাধ এবং সবাই ঘুষ খায়না)"। ছোটভাইকে মেরে বড়ভায়ের অনুশোচনা হলে বড়ভাই নিজেকে এই বলে সান্ত্বনা দেয় যে, "মারাই ঠিক হয়েছে। সে দুষ্টামী করেছে (যদিও সে জানে, তেমন কোন অন্যায় সে করেনি যারজন্য মারতে হবে)।" স্ত্রীর সাথে রাগারাগি করে মন খারাপ হলে স্বামী নিজেকে মিথ্যে বলে, " আমাকে রাগিয়ে না দিলে আমি এমন করতাম না (যদিও সে জানে স্ত্রী রাগিয়ে দেবার মত কিছু বলেনি)। স্বামী বা স্ত্রী নিজের পরকীয়ার অপরাধ জায়েজ করার জন্য মিথ্যে বলে, "আমার স্বামী বা স্ত্রীও পরকীয়া করে বা আমার প্রতি যথাযথ কর্তব্য করেনা"।

২। পশ্চাদগমণ: বর্তমান সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়ে মানুষ বার বার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। যেমন - শ্বশুরবাড়ীতে মন বসেনা বলে ঘন ঘন বাপের বাড়ী গিয়ে কোন বউ শ্বশুরবাড়ীর মিথ্যে বদনাম করতে পারে। অফিসের পরিবেশে খাপ খাওয়াতে না পেরে শরীর খারাপের মিথ্যে বাহানায় ঘন ঘন ছুটি নিতে পারে। সংসার জীবনের নানা দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ কেউ মিথ্যে বলতে পারে, "ছাত্র অবস্থায়ই বা বিয়ের আগেই বেশী ভাল ছিলাম।"

৩। প্রক্ষেপণ: প্রক্ষেপণ বলতে বোঝায় নিজের আবেগ, ক্ষমতা, প্রবণতা বাইরের কিছুর উপর বা অন্য কারো উপর প্রতিবিম্বিত করা। যেমন - ফেল করা ছাত্র নিজের অক্ষমতা ঢাকার জন্য মিথ্যে বলতে পারে, "শিক্ষক ইচ্ছে করে ফেল করিয়েছে( নিজের দোষ শিক্ষকের উপর চাপানো)"। কোন ঘুষখোর নিজের ঘুষ খাওয়ার অপরাধের জন্য অনুশোচনা ঢাকার জন্য মিথ্যে বলতে পারে "অন্য লোকেরা আমার চেয়ে অনেক অনেক বেশী ঘুষ খায়। যদিও সে খুব ভাল করেই জানে যে, তার কথা ঠিক নয়। অনেক লোক কোন ঘুষই খায়না। একারণে দূর্নীতিবাজ লোক দূর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে সবচেয়ে বেশী।

৪। প্রত্যাহার : এটি হল হতাশা বা বিফলতা এড়ানোর জন্য ঝু্ঁকিপূর্ণ বা ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া। যেমন - পরাজিত হবার ভয়ে বা লজ্জা এড়ানোর জন্য কোন ছাত্র দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ না নিয়ে মিথ্যে বলতে পারে, "অংশ নিলে অবশ্যই বিজয়ী হতাম (যদিও সে জানে সে তা হতনা)। আমিও সবসময় বলি, চেষ্টা করলে বড় লেখক, গবেষক, ভিসি বা নিদেনপক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতাম নির্ঘাত।

৫। ফ্যান্টাসী: এটি হল বাস্তবে যা ঘটেনি বা ঘটা সম্ভব নয়, এমন কিছু কল্পনায় ঘটানো। যেমন - পড়া না পারার কারণে স্যারের বকা খেয়ে লজ্জিত কোন ছাত্র কল্পনায় প্রথম হয়ে স্যারকে চমকে দেয়। মার খেয়ে অপমানিত কেউ কল্পনায় যে মেরেছে তাকে মেরে তার নাক-মুখ ফাটিয়ে দিয়ে নিজেকে সন্তুষ্ট করে, যদিও সে জানে যে সেটা তার পক্ষে সম্ভব নয়।

মিথ্যে বলার প্রয়োজনীয়তা কি?

প্রতিরক্ষামুখী প্রতিক্রিয়া মূলত আত্মপ্রতারণা, আত্মপ্রবোধ যা ব্যাক্তি সচেতন বা অবচেতনে করে মনের উপর নানা চাপ কমায়, পরিবেশের সাথে অভিযোজন করে। বাস্তবের কোন দিককে বিকৃত করে নিজেকে ধোকা দিয়ে নিজের ব্যর্থতা, অক্ষমতা ঢেকে নিজের আত্মসম্মানবোধ বা ইগোকে অক্ষুন্ন রাখে, নিজে সান্ত্বনা বা প্রবোধ লাভ করে। ফলে ব্যাক্তির মানসিক স্বাস্থ্য অক্ষুন্ন থাকে, জীবন অব্যাহত থাকে, মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়না। তাই কখনও কখনও মিথ্যে বলা জরুরী। পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো ৫ টি শর্তের উপর নির্ভর করে।

১। পরিবেশগত চাহিদাগুলোর মান ও সংখ্যা
২। ব্যাক্তির আভ্যন্তরীন চাহিদাগুলোর মান ও সংখ্যা
৩। পরিবেশগত পরিবর্তনের সম্ভাবনা
৪। খাপ খাওয়ানোর জন্য ব্যাক্তির দক্ষতা
৫। কার্যকরী অন্য উপাদানসমূহ।

এই শর্তগুলো ব্যাক্তির পক্ষে যত অনুকূল হয়, তত তার উপযোজন, সমস্যা সমাধান সহজ হয়, নানা ডিফেন্স মেকানিজম ব্যবহার করা বা মিথ্য বলার প্রয়োজনীয়তা কম হয়।


মিথ্যে বলার অপকারীতাঃ

সবার মানসিক শক্তি, ক্ষমতা, খাপ খাওয়ানোর যোগ্যতা সমান নয়। তাই অনেকে প্রতিরক্ষা কৌশল প্রয়োগ করে নিজেকে সান্তনা দেয়, সত্যকে অস্বীকার করে, সত্য গোপন করে বা সত্য বিকৃত করে। মিথ্যে খারাপ হলে বিপদের সময়ও ধর্ম মানুষকে মিথ্যে বলার অনুমতি দিতনা। আমি কাউকে মিথ্যে বলতে উৎসাহিত করছি না। শুধু এটুকু বলছি, নিজেকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখার জন্য নিজের আত্মশ্রদ্ধা অক্ষত থাকা জরুরী, কখনো কখনো তা সত্যকে বিকৃত করে হলেও। আমরা প্রতিনিয়ত তা করি নানা ডিফেন্স মেকানিজম ব্যাবহার করে। তবে এই ডিফেন্স মেকানিজম কেউ খুব বেশী ব্যবহার করলে তা তীব্র মানসিক বৈকল্যের লক্ষণ বলে ধরা হয়। তাই সমস্যামূলক পরিস্থিতিতে কৃত্যমুখী প্রতিক্রিয়া করা বেশী ভাল।

বাবামা, শিক্ষক বেশী কঠোর হলে শিশুরা মিথ্যে বলে মারা বা বকা বা অন্য শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য। পরিবারের বড়রা খুব বেশী আক্রমণাত্বক, প্রতিশোধপরায়ন ও অপমানকারী হলে শিশুরা মিথ্যে বলে। তাই বাবামার উচিত বাচ্চাদের প্রতি খুব কঠোর না হওয়া। ছোটবেলা থেকে মিথ্যে বলে অভ্যস্ত হলে বড় হলেও মিথ্যে বলবে। বাবামা অসৎ হলে বা তাদেরকে মিথ্যে বলতে দেখলে শিশুরাও বলবে। তাই বাবামার মিথ্যে, অন্যায় পরিহার করা উচিত।

মূলকথা: বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকে কৃত্যমুখী প্রতিক্রিয়া করতে শেখালে তারা ডিফেন্স মেকানিজম বা মিথ্যে বলে আত্মরক্ষা করতে শিখবে না। বাচ্চার দূর্বলতা শোধরানো, দোষ স্বীকার করার ও অন্যায়ের শাস্তি মাথা পেতে নেবার মানসিকতা তৈরী করে দিতে হবে। নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানো, অন্যায়কে ফালতু যুক্তি দিয়ে জায়েজ করতে, সমস্যা থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করতে শিখবেনা। সর্বোপরি তারা নীতি-নৈতিকতা শিখবে।

খুব খুব ভাল থাকবেন বন্ধুরা।


পুনশ্চ: আমাব বিয়ের পর আমার ছোটভাই আমার আম্মাকে বলেছিল, "ওর ঘরে কাউকে থাকতে দিওনা। দু'দিন পর পর বরের সাথে ঝগড়া করে চলে আসবে। তখন থাকবে কোথায়?" আমি কিন্তু ঝগড়াটে নই। এটা মিথ্যে বলিনি।




মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, সাথে ঈদ মুবারক ।

২৭ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকেও ঈদ মোবারক।

২| ২৭ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

সামছুল মালয়েশিয়া প্রবাসী বলেছেন: অসাধার, সাথে ইদ মোবারক।

২৭ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকেও ঈদ মোবারক। ভাল থাকুন।

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৪

বিজন রয় বলেছেন: কোন মিথ্যা বললে যদি কারো জীবন বেঁচে যায়, কিংবা বৃহৎ কোন গোষ্ঠীর ক্ষতি না হয়ে উপকার হয়, তো স মিথ্যো বলা পাপ নয়।

আপনার এটি কি গবেষণা??

২৭ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি দাদা, ঠিক। বিশেষ প্রয়োজনে মিথ্যে বলা যাবে। তখন সেটাকে পাপ ধরা হয়না।

আমার সব লেখাতেই কোন না কোন গবেষণার ফলাফল থাকে। কখনও আমার নিজের, কখনও অন্য কারো গবেষণা থেকে নেয়া। তবে সব লেখাতেই আমার অভিজ্ঞতা ও পড়াশোনার বিষয় থাকে। কেন দাদা?

৪| ২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:০৯

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: উপকৃত হলাম।

ধন্যবাদ

২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৩২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তাই? জেনে খুশী হলাম। ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

মক্ষীরাজা বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!!

বাহ!!!!!!!!

মুগ্ধ মুগ্ধ মুগ্ধ!!!!!!!!

ঠিক পরীর দেশের রাজণ্যদের লেখা !!!!!!!!

উলে জাদুরে। উম্মা :>

২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তাই? ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.