নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

একেবারেই অন্যরকম অভিজ্ঞতা

২৮ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬



একেবারেই অন্যরকম অভিজ্ঞতা

আমি তখন নানার বাড়ীতে থেকে একটি ক্রিশ্চিয়ান মিশনারী স্কুলে ক্লাস থ্রিতে পড়ি। সেসময় আমি একবার ভিক্ষা করেছিলাম। আজ সেই অভিজ্ঞতার কথা বলি।

আমি আমার নানীর ( আমার নানার ছোটভায়ের বৌ) সাথে নানীর বাপের বাড়ী বেড়াতে গেছি। আমি এর আগে কখনও আম্মাকে ছাড়া অচেনা কোথাও বেড়াতে যাইনি। নানী তিনদিনের জন্য এসেছেন তাঁর চাচাতো ভায়ের বিয়ে উপলক্ষে। সাথে আমি। বাড়ী ভর্তি লোক। অনেক দূর দূর থেকে আত্মীয়রা এসেছেন, আসছেন বিয়েতে। বিয়ে বাড়ীতে নাচ-গান হচ্ছে। কিন্তু আমার ভাল লাগছিল না। আমি আম্মাকে মিস করতে লাগলাম। ফিরে যাবার জন্য ছটফট করতে লাগলাম। রাতে শুয়ে অন্ধকারে ফুঁপিয়ে কাঁদলামও। নানী পড়ে গেল বিপদে। বিয়ে শেষ না হলে সে ফিরবেনা, আবার কোন লোকও পাওয়া যাচ্ছিল না, যার সাথে আমাকে ফেরত পাঠাবে।

পরের দিন বিকেলবেলা ভিক্ষা করতে এলো নানার গ্রামের দুই হিন্দু বিধবা। এঁদের আমি 'দীদা' ডাকি। এরা ভিক্ষা করে। নানীর বাপের বাড়ীও এসেছে ভিক্ষা করতে। আমি দুই দীদাকে দেখে মহাখুশী হলাম। আমি নানীকে বললাম, "নানী আমি দীদাদের সাথে চলে যাই?" নানী আপত্তি করলেন না। এক দীদার বাড়ী নানার বাড়ীর তিনটা বাড়ী পর। সুতরাং সমস্যা নেই। আমি দীদাদের সাথে রওনা দিলাম হেঁটে। দু'টা গ্রাম পর আমার নানার গ্রাম। দীদারা ভিক্ষা করতে করতে ফিরছেন। আমি তাদের পিছ পিছ যাচ্ছি। যে বাড়ীতেই যাই, সেই বাড়ীর লোকজনই হাঁ করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। এত সুন্দর নাদুস নুদুস বাচ্চাটা ভিক্ষুক?!!! বলা বাহুল্য - ছোটবেলায়ও আমি দেখতে বেশ সুন্দর ছিলাম। খুবই মায়াবতী মুখ। সবাই দীদাকে একই প্রশ্ন করে, "আমি কে? কেন ভিক্ষা করছি?"

এক বাড়ীর ফর্সা গৃহিণী শুকানো কুমড়ো বড়ি পাতিলে তুলছিলেন। "কত্তা মা চারটে ভিক্কে পাই" - হাঁক শুনে ঘুরে তাকালেন। দীদারা তাঁর পরিচিত। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে দীদাদের প্রশ্ন করলেন, "বৈরাগীর বুড়ি, এ মেয়ে কে?" দীদা বললেন, "আমার গ্রামের পরধানের নাতনী"। আমার নানার পদবী প্রধান। আশপাশের কয়েক গ্রামে তিনি বেশ পরিচিত মানুষ। আমি কেন তাদের সাথে, দীদা সেই ফিরিস্তি দেবার পর ক'টা বড়ি চাইলেন। মহিলা দুই দীদাকেই চালসহ গোটা বিশেক বড়ি দিলেন।

এক বাড়ীতে সুন্দরী এক নতুন বৌ, মাথায় বড় ঘোমটা দেয়া, শুকনা বড়ই ঝাঁকাতে তুলছে। আমার বড়ই খুবই পছন্দ। তাও আবার শুকনো লাল লাল বড়ই। বৌটি আমার মনের কথা বুঝতে পেরে আমার দু'হাত ভরে বড়ই দিলেন জোর করে। আমি সেই বড়ই খেতে খেতে দীদাদের পিছে পিছে আবার হাঁটতে লাগলাম।

লাঠি হাতে এক বুড়ো দাদু আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, "এই মেয়ে, তুমি কোন ক্লাসে পড়?" আমি মিশন স্কুলে থ্রিতে পড়ি শুনে বললেন, " বল, রহিমেরা চার ভাই - এর ইংরেজী কি হবে?" আমার উত্তর শুনে উনি ভীষণ খুশী হলেন। উনি বোধহয় ভেবেছিলেন, আমি পারবনা। দাদু ওনার মেয়েকে ডেকে কি যেন বললেন। একটু পরে মেয়ে দু'টো বড় বড় মুড়ির মোয়া এনে আমার হাতে দিলেন।

এক বাড়ীর উঠান ভর্তি মরিচ শুকাতে দেয়া আছে। দীদা সেখান থেকে মরিচ চেয়ে নিলেন। আরেক বাড়ীর উঠান ভর্তি ক্ষেত থেকে তুলে আনা পটল আর বেগুনের ছড়াছড়ি। দীদা সেসবও চেয়ে নিলেন। এভাবে প্রায় সব বাড়ী থেকেই পেঁয়াজ, রসুন, আলু,... চেয়ে চেয়ে নিলেন ভিক্ষার চাল সহ। আমি দেখলাম, কেউ 'না' বলছে না, কেউ বিরক্ত হচ্ছেনা।

ঘটনাটা আমি মাঝে মাঝেই মনে করি। এই ঘটনাটি থেকে আমার মনে কিছু প্রশ্ন জাগে। যথা -

- আমাদের সময় গ্রামের সবাই ছিল আপন। একটা পরিবারের মত। ভিক্ষুককেও আমরা দীদা ডাকতাম। এখনো ডাকি। এখনকার ছেলেমেয়েরা কি ডাকে? গ্রামের মানুষের মধ্যে এমন ভাব কি এখনো আছে?

- গ্রামে ভিক্ষুকদেরও সম্মান ছিল। কেউ তাদের ফেরাতো না। খারাপ ব্যবহার করতো না। এখনও কি তেমন করে?

- আমাদের সময়ে গ্রামে হিন্দু- মুসলিম সবার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, যা সত্যি চমৎকার! সেই সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বিশ্বস্ততার সম্পর্ক কি এখনও আছে?

- শুধু চাল নয়, প্রায় সব জিনিসই ভিক্ষুকরা গ্রামের কৃষক পরিবারের লোকেদের কাছ থেকে পেত। এখনও কি পায়?

আমার নানাবাড়ী জয়পুরহাট জেলার দোগাছি ইউনিয়নের ঘাশুরিয়া গ্রামে (পোস্টঅফিস দরগাতলাহাট)। এ গ্রামের ৬/৭ ঘর মুসলিম আর বাকী পুরো গ্রামের বাসিন্দারা হিন্দু। কিছু সাঁওতাল ও আছে। আমার নানা ছিলেন এ গ্রামের প্রধান। সারাজীবন উনি গ্রাম্য নানা সালিশে বিচার করেছেন, গ্রামের মানুষের নানা প্রয়োজনে পাশে থেকেছেন। ছোটবেলা থেকে দেখেছি, যখন পুরো গ্রামে মোটে ২/৩ টা টিউবওয়েল ছিল তখন নানার বাড়ীর আশপাশের সবকটি হিন্দু বাড়ীর লোকজন নানার কলের পানি খেত, নানার পুকুরে গোসল করত (এখনো করে), ষষ্ঠী পূজার ফল নিয়ে যেত নানার বাগান থেকে।

সবচেয়ে বেশী অবাক হতাম, গ্রামের পূজা-কীর্তনের সময় ঢাকঢোল বাজিয়ে গ্রামের নারী-পুরুষ উৎসব করতো, কিন্তু নানার উঠানে কখনো আসতোনা। কি সুন্দর সহাবস্থান! গ্রামের প্রতিটা বিয়েতে নানার দাওয়াত থাকতো। নানা তাঁর পুকুরের বড় বড় কাতল মাছ তুলে দিতেন বিয়েতে রান্নার জন্য। নতুন বর-বৌ নিয়ে লোকজন আসতো নানার দোয়া নিতে। নানা নতুন বর-বৌকে দোয়া করতেন, নতুন বৌয়ের হাতে টাকা দিতেন।

নানার সবচেয়ে ভাল বন্ধু ছিলেন যতীন বৈরাগী দাদু। তিনি নানার সাথে বর্ষার দিনে একই ছাতার তলে আধাআধি ভিজতে ভিজতে হাসিমুখে গল্প করতে করতে হাট থেকে ফিরতেন। ছোটবেলায় দাদু আমাকে মাছ ধরার খুতি বানিয়ে দিতেন। আখের জমির ভিতর দিয়ে যে নালা বয়ে গেছে, সেইখানে খুতি ফেলে রাখলে রাতে তাতে মাগুর আর টাকি মাছ পড়ত। কিডনি রোগে ভুগে দাদু মারা যাবার পর গ্রামের হিন্দুদের সাথে আমিও কেঁদেছি।

এখনো নানার বাড়ী গেলে গ্রামের লোকেরা আমাকে দেখে খুব খুশী হন , একান্ত আপনজনকে দেখলে লোকে যেমন হয়। কুশল বিনিময় করে। আমি অনেকের বাড়ীতে যাই। আমার মনে আছে, আমার সন্তান হবে শুনে এক কাকীমা বলেছিলেন, "আশীর্বাদ করি তোমার ছেলে হোক মা।" আমি অবাক হয়েছিলাম। আমার ছেলে হলেও ওনার কিছু যায় আসেনা, মেয়ে হলেও না। ওনার মেয়ের জন্য তিনি যে দোয়া করতেন, আমার জন্যও তাইই করেছেন। এরই নাম মানবতা। এখনো নানা কাজে নানার গ্রামের হিন্দু লোকজন রাজশাহী এলে আমাদের বাসায় ওঠে। আম্মা পরম যত্নে তাদের দেখাশোনা করেন। দেখে আমার ভাল লাগে।

বাংলাদেশের গ্রামগুলো কি এখনও এমন আছে?



সম্ভব হলে আর একবার দীদাদের সাথে ভিক্ষা করতে বের হতাম। দেখে আসতাম, এখনকার মানুষের মানসিকতায় কি কি পরিবর্তন হয়েছে।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন অভিজ্ঞতা!!!

আপনার সব প্রশ্নের্ উত্তরই মনে হয় না সূচকই হবে!!

চেতনায় যখন অর্থের বিষ ঢুকে যায়! স্বার্থের বিষ ঢুকে যায়- ভালবাসা তখন পালিয়ে যায়...
গ্রাম সেই আগের মতোই আচৈ- মানুষ গুলো বদলে গ্যাছে।

বড়ই বেদনার!

পোষ্টে +

২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক তাই। মানুষ বদলে গেছে। ধন্যবাদ।

২| ২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আপনার বাড়ী কি রাজশাহী? আমার বাড়ীও রাজশাহী বিভাগে.... কোন এক জেলায়।।।

২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জয়পুরহাট।

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

কানিজ রিনা বলেছেন: খুব ভাল লাগল গ্রামগুল পরিবর্তনে ছোয়া
লেগেছে গ্রাম আসলে বদলায় নাই মানুষের
মানুষীকতা বদলে গেছে। আমাদের গ্রামটা
ছিল অর্ধেক হিন্দু অর্ধেক মুসলমান। এখন
আছে মাত্র দই ঘর হিন্দু। আমার অনেক
হিন্দু বান্ধবী ছিল দশম শ্রেনী পড়তে পড়তে
অনেকের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। কলেজ পর্যন্ত
সবই বিবাহীত।
মাঝে মাঝে মনে হয় হিন্দুরা কেন আমাদের
গ্রাম ছাড়ল। কোন দুঃখে কোনও হদিস খুজে
পাইনা অবশ্য মাঝে মাঝে গ্রামে বড় লোকদের
বাড়ি ডাকাত পরত সেটা হিন্দু মুসলমান
যে যত বড় লোক তাদের বাড়িতেই ডাকাতি
হোত।
আমার যত হিন্দু বান্ধবী ছিল দীপালী আরতী
সুমতী পূরবী দূর্গা আরও অনেক ওদের মুখে
শুনতাম যুদ্ধের সময় ওদের বাবা কাকারা
দেশ ছেরেছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার
পর আবার ফিরে এসেছিল। আমার দাদার
কাছে গ্রামের হিন্দুর সোনা দানা টাকা কড়ি
জমা রেখে যুদ্ধের সময় ওরা ভারতে গিয়েছিল
যার যার সোনা দানার তফিল দাদা নাম
রেখে দিয়েছিল। ওরা ফিরে আসলে সব
ফিরে পায়। দাদা ছিলেন কোটি পতি জমিদার
ওরা ফিরে আসলে অনেক সাহায্য সহযোগীতা
করেছেন শুনেছি। দাদার ছিল অনেক বড়
ব্যবসা সেসব দতারকী করতেন সব হিন্দুরা।

তখন হিন্দুরাই বেশী শিক্ষিত ছিল ও বিশ্বাসী।
আমাদের সেই গ্রামটা এখন প্রায় হিন্দু শুন্য।
কিন্তু কোনও কারন পাইনা ওরা কেন গেল।
ওরা বলত ভারতই হোল হিন্দুদের আসল দেশ
সেখানে মাড়াগেলে ওরা স্বর্গে যাবে।

হয়ত আরও কোনও কারনবশত ছিল। আমি
একবার কলকাতা যাওয়ার পর এক পরিচিত
বৌদীর সংগে দেখা হয়েছিল তাকে বললাম
এখানে কেমন আছেন। বৌদী বলল বাংলাদেশে অনেক সুখে ছিলাম। অনেক গল্পের মাঝখানে বলল যারা চলে এসেছে
তারা বেশীর ভাগ গরীব হয়েগেছে কিন্তু
ফিরে যাওয়ার পথ নাই। সে অনেক কথা
এখানে বললে অনেক লম্বা হবে।

দীপালী সেফালী অন্জলীরে কেন যে তোরা
হাড়ালিরে।
আমাদের গ্রামে আগের মত ভিখারী আসেনা
দুরান্ত থেকে অনেক ভিখারী আসতো আমরা
ছোট থাকতে। আমাদের আশেপাশের গ্রামগুল
যাদের বাড়ি খড়ের ছিল তাদের বাড়ি গুল
এখন পাকা ঘর। ভিখারী আছে হাতে গুনা
কয়েক জন। তবে এখন ভ্যান চালকের ছেলে
মেয়েরাও লেখাপড়া করে ওদের বাড়িও পাকা।

আমি দেশে গেলে আমাদের আশেপাশের
গ্রাম গুলতে বেশ ঘুরে বেড়াই কারন দাদার
জমিদারীর জমি এখনও অনেক দুরগ্রাম পর্যন্ত
বিস্তীর্ন ছিল। কিছু কিছু এখনও আছে।
সেগুল দেখার সুবাদে আমাকে প্রায় সবাই
চিনে। আসলে গ্রাম গুলর চেনা মানুষের
অনেক আদর পাই আর সেই আদরের জন্য
আরও বেশী যাওয়া হয়।
ভুলেই গেলাম মন্তব্য লিখছি লম্বা হয়ে গেল
আলপনা। শুভকামনা।

২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: বড় হলে সমস্যা নেই। ধন্যবাদ। ডাকাতি আমার নানার গ্রামে, নানার বাড়ীতেও অনেকবার হয়েছে। আমার দাদারা তালুকদার ছিলেন। এখন সে তালুকদারি নেই। গ্রামে আমিও যাই। যদিও কম। তবে ভাল লাগে খুব।

৪| ২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাল লাগল অভিজ্ঞতা

২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ আপা।

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

ছায়াপথের যাত্রী বলেছেন: ভালো লিখেছেন .।.।.।.।

ছোট বেলার কথা...প্রাইমারী স্কুল লেভেল ।
পাশের বাসায় থাকতো সন্দ্বীপ রায়, সামনের আরেক ঘরে খ্রীস্টান বন্ধু টা (নাম-ই ভুলে গেছি) ।
এক সাথে খেলতাম, ঘুরতাম, দুষ্টুমি করতাম ...
তখন খুব একটা বুঝতাম না মুসলমান - হিন্দু - খ্রীস্টান ভেদাভেদ !!
হাই স্কুলেও অনেক হিন্দু - খ্রীস্টান বন্ধু ছিল, লাইফের মধুর স্মৃতিময় একটা অংশ ঝড়িয়ে আছে তাদের সাথে ।

সমাজে কে বা কারা কখন কিভাবে মুসলমান - হিন্দু - খ্রীস্টান এই ভেদাভেদ তৈরি করলো বুঝতে পারি নি !!


২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: চাইলে কিন্তু আমরাই আবার সে ভেদাভেদ মুছে দিতে পারি। আমি চেষ্টা করছি। আমার মেয়েরা এ ভেদাভেদ করেনা। আমি করতে দেইনা। আমি যে ক্রিশ্চিয়ান মিশনারী স্কুলে পড়তাম, সেখানে সব ধর্মের বন্ধু ছিল। একটি মাড়োয়ারী ছেলেকে আমি খুব পছন্দ করতাম। কারণ ওর ছিল কোমর পর্যন্ত বেণী করা লম্বা চুল।

ধন্যবাদ।

৬| ২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

মক্ষীরাজা বলেছেন: আপুমণিতা!!!!!!!!!

বাহ!!!!!!!!

মুগ্ধ মুগ্ধ মুগ্ধ!!!!!!!!

ঠিক পরীর দেশের রাজণ্যদের লেখা !!!!!!!!

উলে জাদুরে। উম্মা :>

২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হা হা হা! ধন্যবাদ।

৭| ২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

এরশাদ বাদশা বলেছেন: সময়টাই এখন বড়ো কঠিন। আপনি যে ছবি তুলে ধরলেন...এখনকার নিরিখে সেটা অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছু্ই নয়। মানুষের ভেতর থেকে মনুষ্যত্ব লোপ তো পাচ্ছেই, সে জায়গা দখল করে নিচ্ছে পাশবিকতা।

ছবিতে কি আপনি?

২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, ঠিক। জ্বি, আমি। ধন্যবাদ।

৮| ২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

" যে বাড়ীতেই যাই, সেই বাড়ীর লোকজনই হাঁ করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। এত সুন্দর নাদুস নুদুস বাচ্চাটা ভিক্ষুক?!!! বলা বাহুল্য - ছোটবেলায়ও আমি দেখতে বেশ সুন্দর ছিলাম। "

-তা'হলে শুধু এখন নয়, ছোট থেকে সুন্দর ছিলেন!

২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হা হা হা! জ্বি জনাব। ছোটবেলা থেকেই লোকে মিথ্যে কথা বলে বলে আমার মাথার মধ্যে এরকম ধারণাই দিয়েছে!!!

৯| ২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সেসব সুন্দর দিন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।

২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, ঠিক। খুবই দুঃখজনক।

১০| ২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

রুবাইয়াত শোভন বলেছেন: এখনকার গ্রাম আর সেই গ্রাম নেই, আধুনিকতার তালে গ্রামগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। :((
আমি সেই পুরনো দিনের গ্রামগুলোকে খুবই অনুভব করি, আমাদের গ্রাম টাও আপনার বর্ণনার মত ছিল।

২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। গ্রাম নিয়ে আরো অনেক স্মৃতি আছে। আবার কখনও লিখব। ধন্যবাদ।

১১| ২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

নায়না নাসরিন বলেছেন: বাংলাদেশের গ্রামগুলো কি এখনও এমন আছে?
আমাদের বাড়িও গ্রামের কিনারে আপু। এখন আর এমন নাই।
ভালোলাগা রেখে গেলাম ++++++্

২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আহা আফসোস! গ্রামগুলো বদলে গেছে। আমি আরেকটা লেখা লিখেছি গ্রাম নিয়েই। পোস্ট দেব। পড়ার অনুরোধ রইলো। আমি আমার শৈশবের গ্রামীন জীবনটাকে খুব মিস করি।

লেখা ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১২| ২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

আমিই মিসির আলী বলেছেন: গ্রাম গুলো আগের মতোই আছে ।
তবে মানুষগুলো নেই..যারা আছে তাদের মন মানসিকতা বড্ড পাল্টেছে..।

২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমার গ্রাম অনেকটা বদলে গেছে আধুনিকতার ছোঁয়ায়। আমি গ্রামে গিয়েও এখন আর সেভাবে জোছনা উপভোগ করতে পারিনা। তবে মানুষগুলো পাল্টে গেছে ভীষণভাবে। দেখে মন খারাপ হয় খুব।

আপনার গ্রাম বদলায়নি জেনে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১৩| ২৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

এখওয়ানআখী বলেছেন: কি যে বলা উচিত বুঝতে পারছিনা। লেখকের জন্য শুভকামনা।

২৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হা হা হা! ধন্যবাদ।

১৪| ২৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

রাতু০১ বলেছেন: মানবিক বিচার বিবেচনা বোধটাই সামনে তুলে আনার একটা প্রচেষ্টা আপনার মধ্যে আছে ।
আপনার জন্য শুভকামনা।

২৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১৫| ২৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর লেখনী
ভাল লাগল পাঠে ।
শুভেচ্ছা রইল

২৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার। আপনাকেও জানাই শুভেচ্ছা। সাথে ঈদ মোবারক। ভাল থাকুন।

১৬| ২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ। মানবিক প্রশ্ন গুলো ভাবাচ্ছে!!!

২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। জ্বি, ভাবনার বিষয়। আমাদের গ্রামগুলো তার ঐতিহ্য হারাচ্ছে, মানুষ হারাচ্ছে মানবিক বোধ। এটা কোন জাতির জন্য ভাল কিছু নয়।

ভাল থাকুন। বাসি ঈদ মোবারক।

১৭| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:৪০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: লেখাটা পড়ে মনটা কেনো জানি ভাল হয়ে গেলো। আজ ২০ বছর হবে গ্রামে যাইই না বলতে গেলে, আমার ছোটবেলার গ্রাম এখন আর তেমন নেই, গেলে কষ্ট পাই তাই যাই না...........

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:৫৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জেনে খুশী হলাম। ধন্যবাদ। আমিও কম যাই গ্রামে। সময় পাইনা। যাইহোক। ভাল থাকুন।

১৮| ৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: হে হে হে ! শিক্ষকের পেশা গ্রহণের আগে ভিক্ষুকের পেশায় ছিলেন দেখিয়া ভালো লাগিল ! এমন বিচিত্র অভিজ্ঞতা আমার নাই দেখিয়া আফসোস হইলো ! চেষ্টা করিয়া দেখার লোভ জাগিতেছে ! গ্রামে এখন ভিক্ষুক কম ! তবে ভিক্ষুক যাহারা আছেন তাহারা ভিক্ষা তাহাদের অধিকার হিসেবে এখনো ভিক্ষা পাইয়া থাকে ! শহরে ভিক্ষা করার চাইতে গ্রামে ভিক্ষা করা রোমাঞ্চকর বলিয়া মনে হয় !

৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তাই? চেষ্টা করুন। আপনার সফলতার জন্য দোয়া রইলো। ভাল থাকুন।

১৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: আলপনা তালুকদার ,




স্মৃতি ভারাক্রান্ত লেখা । নষ্টালজিক হতেই হয় ।
তবে সেই রামও নেই, সেই অযোধ্যাও নেই । এখন বদলে গেছে সব , সম্প্রীতির ঠাঁই নেই কোথাও ।
খুব ভালো লাগলো আপনার শেষের সম্ভাবনার ইচ্ছেটুকু ।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ লেখা ভাল লাগার জন্য। জ্বি, বদলে গেছে গ্রাম।

আমার শেষের ইচ্ছেটা পূরণে বের হলে আপনিও আমার সঙ্গী হতে পারেন। দাওয়াত রইলো। ভাল থাকুন।

২০| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৭

অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: লিখাটা পড়ছিলাম আর আপনার শৈশবের কর্মকাণ্ড চোখের সামনে ভাসছিলো । বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক হুন্দুরা সব ছেড়ে চলে গেছে যাচ্ছে আর যাবেও বটে । তবে স্মৃতি ভারাক্রান্ত লেখা পড়ে বাংলাদেশের এক সময়ের এঁকে অপরের প্রতি গভীর ভালোবাসার কথা ভেসে উঠে ।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.