নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত ব্যক্তিরা কিভাবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে?

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪




মৃত ব্যক্তিরা কিভাবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে?

মৃত্যুর পরেও মৃত ব্যাক্তি দুনিয়ায় তাঁর আত্মীয়স্বজনদের দেখতে পান। কে কেমন আছে, কে কি করছে, সব বুঝতেও পারেন। শুধু কথা বলতে পারেন না। কখনও কখনও স্বপ্নে দেখা দিয়ে তাঁদের অবস্থা জানিয়ে যান বা তাঁদের মতামত দিয়ে যান। আমি কিছু সত্যি ঘটনা উল্লেখ করব যা আমার খুব কাছের মানুষের সাথে ঘটেছে। আমি ঘটনাগুলো জানি। কোন কোন ঘটনার আমি প্রত্যক্ষ সাক্ষী। তবে এগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবনা। সঙ্গত কারণেই আমি এসব মৃত ব্যাক্তির নাম-পরিচয় গোপন রাখছি। তবে ঘটনাগুলো আপনাদের জানাতে চাই। হয়ত এসব শুনে আপনাদের ভাবনায় কিছু পরিবর্তন হবে, হয়তো আপনাদেরও এমন ঘটনা জানা থাকাবে। হয়তো কেউ বিশ্বাস করবেন, কেউ করবেন না। কেউ হয়তো এসব ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।

১। একজন মানুষ তাঁর দুজন খুব নিকটাত্মীয় দ্বারা খুন হন। তিনি একা কোথাও যাচ্ছিলেন। আত্মীয় দুজন তাঁকে অনুসরণ করে। তিনি সেটা বুঝতে পারেননি। সন্ধ্যাবেলা তিনি যখন ফাঁকা মাঠের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তথন তাঁকে গলা কেটে খুন করে মাঠে ফেলে রেখে খুনীরা বাড়ী ফিরে আসে। রাতে মৃতব্যাক্তি তাঁর দশ বছরের ছেলেকে স্বপ্নে এসে সব কথা বলে যান। ছেলে ঘুম ভেঙ্গে যাবার সাথে সাথে সে খুনীদের গিয়ে প্রশ্ন করে, "তোমরা কেন আমার বাবাকে খুন করে শাপলার বিলের মাঠে ফেলে রেখে এলে?" পরে শাপলার বিলের মাঠেই মৃতের লাশ পাওয়া যায়।

২। এক লোক মারা গেছেন দশ বছরের বেশী সময় আগে। সেবার বন্যায় পুরো কবরস্থান ডুবে গেল। কোথায় কার কবর, বোঝার কোন উপায় নাই। সব কবর হাঁটু পানির নীচে। রাতে সেই মৃতব্যাক্তি স্বপ্নে এসে তাঁর জামাইকে বললেন, "আমি বেপর্দা হয়ে যাচ্ছি। আমাকে ঢাকো।" জামাই ফজরের নামাজ পড়ে কবরস্থানের দিকে গেলেন। কিন্তু কিছু দেখতে পেলেন না। তিনি দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন। কিভাবে শ্বশুরের কবর খুঁজে তাঁর লাশ চিনবেন? হঠাৎ তাঁর ঠিক সামনে শ্বশুরের লাশ ভেসে উঠলো। অক্ষত। যেন একটু আগেই মারা গেছেন। কিন্তু গায়ে কোন কাফন নেই। জামাইয়ের মাথায় বড় পাগড়ী ছিল। তাড়াতাড়ি সেটা দিয়ে লাশের শরীর জড়িয়ে ঢেকে নিয়ে পানি থেকে তুলে এনে ঘরে রেখে দরজা বন্ধ করে দিলেন। তারপর কাফনের কাপড় আনিয়ে আবার লাশকে গোসল করিয়ে কাফন পরিয়ে উঁচু মাটিতে আবার কবর দিলেন।

৩। একজন লোক মারা যাবার পরের দিন এক ছেলের বৌকে স্বপ্নে এসে বললেন, "আমার পাঁজরের বাম দিকে মাটি কম পড়েছে। ছেলেকে বলো যেন মাটি দিয়ে যায়"। ছেলে কোদাল হাতে কবরের পাড়ে গিয়ে দেখে, সত্যি সত্যি মাটি কম আছে। শেয়াল হয়তো মাটি খুঁড়ে থাকবে। ছেলে সযত্নে মাটি দিয়ে কবর ঢেকে দিয়ে ফিরে এলো।

৪। এক উচ্চশিক্ষিত ছেলে তাদের জমিতে বানানো একটি মসজিদের মোতাল্লি। সেই মসজিদের বেশ কিছু জমি ( ছেলের পরিবারের দেয়া ও অনেকের দান করা) কাদের তত্ত্বাবধানে থাকবে, এই নিয়ে গোলমাল বাধলো দুই পাড়ার লোকেদের মধ্যে। সেই ছেলের মৃত বাবা রাতে স্বপ্নে এসে বললেন, "ওরা দুষ্টু লোক। তুমি কি ওদের সাথে পারবে?" একথা শুনে ছেলে মসজিদের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চাইলো। পরে পাড়ার মুরুব্বীদের হুকুমে সে তা পারেনি। তবে স্বপ্নের আদেশ শুনে মুরুব্বীরা বিষটি মীমাংসা করে দেন।

৫। এক মেয়ের দাদী খুব নামাজী ছিলেন। পরিবারের সবাই খুব পরহেজগার। সে বাড়ীর মেয়েটি একটি প্রতিবেশী ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়ায় যার সাথে মেয়েটি লুকিয়ে অন্ধকারে কখনও কখনও দেখা করতো। মেয়ের মাকে রাতে মেয়েটির দাদী স্বপ্নে দেখা দিলেন। ভীষণ রেগে বললেন, "তোমার মেয়ের সর্বনাশ হবে! ওকে সাবধান কর!" এর মাসখানেক পরেই ছেলেটি মেয়েটিকে বিনাদোষে ত্যাগ করে।

৬। একটি বাচ্চা মেয়ে মারা গেছে। এগারো বছর বয়সে। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই। খুবই ভাল মেয়ে। বাবা মা মেয়ের শোকে পাগল প্রায়। দিনরাত কাঁদেন। এতে হয়তো মেয়েটির কষ্ট হয়ে থাকবে। একদিন সে স্বপ্নে তার খালাকে এসে বলে, "আম্মুকে বল। আম্মু খালি কাঁদে!"

৭। বাবা মারা যাবার অল্প কিছুদিন পরেই ছেলের সুন্নত করাতে মা ছেলেকে নিয়ে শহরে আত্মীয়দের বাসায় গেছেন। ছেলে সারলে ফিরে আসবেন। রাতে ছেলের দাদীকে বাবা স্বপ্নে দেখা দিলেন। হাতে লাল ছোট গামছায় বাঁধা নানারকম ফল। বাবা বললেন, "আমার ছেলে সুন্নত করতে গেছে। এখন ওর ফলমুল খাওয়া দরকার। এগুলো ওকে দিও।" মৃত্যুর পরেও বাবা ছেলের জন্য চিন্তিত। তাই মনে করিয়ে দিয়ে গেলেন, ছেলেকে যেন ফলমুল খাওয়ানো হয়। ধন্য পিতৃস্নেহ!

৮। এক বৃদ্ধা মারা গেছেন অনেক বছর আগে। তখন তাদের বাড়ী ছিল নদীর ধারে। বৃদ্ধার কবরও দেয়া হয় নদীর ধারেই। পরে নদী ভাঙ্গনের কারণে বৃদ্ধার ছেলেরা নদীর পাড় থেকে উঠে এসে গ্রামের ভিতরে বাড়ী করে। সেবার বর্ষার সময় নদীর পাড় আরো ভাঙ্গতে থাকে। এক রাতে বৃদ্ধা তাঁর তিন ছেলেকেই স্বপ্নে একই কথা বললেন, "আমার লাশ নদীতে পড়ে যাচ্ছে। তোমারা আমাকে তুলে এনে আবার কবর দাও।" ভোরে তিন ছেলে একসাথে নদীর পাড়ে গিয়ে দেখে কাফনসহ অক্ষত লাশ বেরিয়ে আছে। আর অল্প হলেই নদীতে পড়ে যাবে। তিন ছেলে লাশ কাঁধে নিয়ে বাড়ীতে এলো। গোটা গ্রামের মানুষ এলো লাশ দেখতে। তাড়াতাড়ি আবার বাড়ীর একপাশে লাশ কবর দেয়া হল।

৯। এক বৃদ্ধা মারা গেছেন পঁচিশ বছর আগে। কবরস্থানে আছে আম আর খেজুর গাছ। বৃদ্ধার নাতনীর মেয়ে ( বয়স সাত বছর। সে মৃত বৃদ্ধাকে কখনও দেখেনি। তাঁর কোন ছবিও নেই।) আরো দুতিনটা বাচ্চার সাথে খেজুর কুড়াতে গিয়ে কবরে পা দেয়। রাতে স্বপ্নে শিশুটিকে বৃদ্ধা ধমক দেন, "এই মেয়ে, কবর খোচ কেন?" মেয়েটি তার মাকে স্বপ্নের কথা বললে মা বৃদ্ধা দেখতে কেমন ছিল, জানতে চান। মেয়েটি বলে, "তিনি খুব ফর্সা, মাথার সব চুল সাদা। দাঁত নেই। চামড়া কুঁচকানো, লাঠি হাতে কুঁজো হয়ে হাঁটেন।" এমন নিখুঁত বর্ণনা শুনে মা অবাক হয়ে যান। পরে পুরো কবরস্হান ঘিরে দেয়া হয়।

১০। এক বৃদ্ধা মারা যাবার সাতদিন পর মেয়েদের স্বপ্নে এসে বলেন, "আমি সওয়াল-জবাব দিতে পারছি না। আমার আযাব হচ্ছে। তোমরা অমুককে (একজন ভাল লোকের নাম বলেন। তিনি একটি মসজিদের ইমাম) বল। আমার কবর জিয়ারত করে সওয়াল জবাব বলে দিয়ে যেতে।" এস্বপ্ন যেদিন দেখান, সেদিন ছিল শুক্রবার। সেদিনই সকালবেলা সেই হুজুর শহর থেকে তাঁর গ্রামের বাড়ী এসেছেন। তাঁকে বিষয়টি বলা হলো। তিনি বাদ জুম্মা কবর জিয়ারত করে দোয়া করে আসেন। তারপর ঐ মৃত বৃদ্ধা আর কোন অসুবিধার কথা বলেননি।

১১। এক বৃদ্ধা মারা গেছেন মঙ্গলবারে। দাফন করার পর রাতে তিনি ছেলেকে স্বপ্নে বলেন, "অমুক তান্ত্রিক তাঁর লাশের গলা কেটে নিয়ে গেছে!" সকালে ছেলেরা কবরের পাড়ে গিয়ে দেখলো, সত্যিই কবর খুঁড়ে গলা কেটে নিয়ে গেছে। দেহটা পড়ে আছে।

কিছু অবাস্তব, আধিভৌতিক ঘটনাও দেখেছি, জানি। বাস্তবতা কখনও কখনও কল্পনার চেয়েও অদ্ভুত। যেমন -

১। এক লোক মারা গেছেন। তাঁর কবর দিতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। গ্রামের লোকেরা কবর দিয়ে কবরের পাশে থেকে অল্প দূরে আসার সাথে সাথেই দেখতে পায়, কবরের পাশে অনেকগুলো বড় বড় শেয়াল। তাদের চোখ জ্বল জ্বল করে জ্বলছে। ওরা এত লোক দেখেও ভয় পাচ্ছে না। কবরের পাড় থেকে চলেও যাচ্ছে না। গ্রামের লোক ভয় পেয়ে আলো হাতে সবাই দাঁড়িয়ে রইলো। শেয়ালগুলোও দাঁড়িয়ে থাকলো। কেউ কেউ তাড়া করতে চাইলো। এতে শেয়ালগুলো আরো হিংস্র চোখে তাকাতে লাগলো। গ্রামের লোক এক পরহেজগার লোকের কাছে গিয়ে ঘটনা জানালো। সব শুনে তিনি বললেন, "ওদেরকে মেরোনা বা ধাওয়া করো না। অনুরোধ কর। ওরা চলে যাবে।" গ্রামের লোক তাই করলো। একটু পর শেয়ালগুলো উধাও হয়ে গেল।

২। দশ বছরের এক ছেলে গ্রামে এক কৃষকের বাড়ীতে কাজ করে। গ্রামের এক লোকের সাথে ছেলেটির মায়ের অবৈধ সম্পর্ক আছে। তা নিয়ে গ্রামের লোক আজেবাজে কথা বলে। সেদিন কৃষকের বউও রাগ করে ছেলেটিকে গালি দেয়, তার মায়ের সম্পর্কেও আপত্তিকর কথা বলে। তাই শুনে অভিমানে ছেলেটি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। ছেলেটিকে দাফনের পরের দিন গ্রামের লোক দেখে, লাশটি কে বা কারা কবরের উপরে উঠিয়ে রেখেছে। গ্রামের লোক আবার লাশটি দাফন করে। পরের দিনও একই অবস্থা। আবার লাশ দাফন করা হয়। তৃতীয় দিনও লাশ কবরের উপরে দেখে গ্রামের লোক আর লাশ দাফন করেনি। লাশ পচে দূর্গন্ধ ছড়ালে লাশটি গ্রামের বাইরে বিলে ফেলে দেয়া হয়। শেয়াল, কুকুর, শকুন লাশটি খেয়ে ফেলে।

৩। শ্মশানের পাশে ছিল বিশাল এক বাঁশ ঝাড়। একদিন সন্ধ্যাবেলা গ্রামের লোক দেখলো, শ্মশান থেকে অনেকগুলো বড় বড় আগুনের গোলা লাফাতে লাফাতে বাঁশঝাড়ের মাথায় যাচ্ছে। আবার বাঁশঝাড় থেকে শ্মশানে যাচ্ছে। পুরো এলাকা সেই আগুনের আলোতে আলোকিত হয়ে গেল। ভয়ে গ্রামের মানুষ বাড়ীর ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল।


৪। একটি মেয়েকে জ্বীনে ধরেছে। সে উল্টাপাল্টা আচরণ করছে। কখনও হাসছে, কখনও কাঁদছে। বাড়ী ভর্তি লোক মেয়েটিকে দেখতে এসেছে। মেয়েটির বয়স ১০/১২ বছর। তার খেলার সাথী, তার বান্ধবীরাও এসেছে তাকে দেখতে। মেয়েটি তার এক বান্ধবীর নাম ধরে ডেকে বলল, "দ্যাখ, আমি মিষ্টি খাব।" বলেই মেয়েটি আকাশের দিকে তাকিয়ে হাঁ করল। তারমুখের ভিতরে সাদা মিষ্টি। সে চিবিয়ে খাচ্ছে। তার ঠোঁট বেয়ে মিষ্টির রস গড়িয়ে পড়ছে। তাতে মাছি উড়ে এসে বসছে।

৫। এক লোক মহিষের গাড়ীতে করে আখ নিয়ে গেছেন চিনিকলে দিতে। তারপর বাজার করে রাতে তার ফেরার কথা। কিন্তু অনেক রাতেও লোকটা বাড়ী ফিরে না আসাতে তার বাড়ীর লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়ল। তারা হারিকেন নিয়ে খুঁজতে বের হল। বাড়ী থেকে বেশ খানিকটা দূরে তার গাড়ী দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। লোকের সাড়া পেয়ে লোকটা গাড়ী নিয়ে ফিরে আসে। আসার পর দেরীর কারণ জিগ্যেস করলে সে জানালো, রাস্তার সামনে সাদা শাড়ী পরা একটি মেয়েকে দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে দেখে মহিষদুটো ভয় পেয়ে যায়। কিছুতেই তারা আর সামনে যাচ্ছিল না। আবার পিছনে গাড়ী ঘোরানোও সম্ভব হয়নি। ফলে তিনি দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছিলেন। লোকজনের সাড়া পেয়ে মহিলা চলে গেলে উনি গাড়ী নিয়ে বাড়ী ফিরেছেন।

৬। কবরস্থানের অল্প দূরে একটি গরু বাঁধা ছিল। কবরস্থানে একজন লোককে দাফন করে গ্রামের সব লোক চলে গেছে। কিছুক্ষণ পর গরুটা ভয়ে চিৎকার করতে লাগলো। প্রাণভয়ে ছুটে পালাতে চাইলো। কিন্তু দড়ি ছিঁড়তে না পেরে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে লাগলো। তাই দেখে একজন লোক এসে গরুটার দড়ি খুলে দিতেই গরুটা তার মালিকের বাড়ীর দিকে দৌড়ে গেল। তাই দেখে লোকজনও গরুটার পিছে পিছে গিয়ে দেখলো গরুটা গোয়ালে ঢুকে হাঁপাচ্ছে।

৭। এক মহিলা মৃত্যুশয্যায়। এক মাস তিনি কিছুই খান না। পানিও না। মহিলার এক চাচাতো ভাই ( যার সাথে মহিলার খুব আন্তরিকতা) তাঁকে প্রশ্ন করলেন, "না খেয়ে বেঁচে আছিস কিভাবে? তোর ক্ষুধা পায়না?" মহিলা চুপি চুপি জানালেন, রাতে কারা যেন এসে তাঁকে খাইয়ে রেখে যায়। তাই তাঁর ক্ষুধা পায়না। এর দুদিন পর মহিলা মারা যান। মরার আগ পর্যন্ত তিনি কিছুই খাননি

৮। খুব নামাজী ও শিক্ষিত এক লোক ( আমি ওনার হাতে প্রথম ইংরেজী কোরান শরীফ দেখেছিলাম) খুব অসুস্থ। তিনিও বিশ দিন কিছুই খাননা। পানিও না। তাঁর মেয়েরা এটা সেটা খাবার জন্য সাধেন, কি খেতে ইচ্ছা করে জিগ্যেস করেন। শুনে তিনি ভীষণ রাগ করেন, বিরক্ত হন। খাওয়ার কথা বললেই রেগে গিয়ে বলেন, "আমাকে বিরক্ত করোনা। আমি খাবনা। আমি ভাল আছি, খুব ভাল আছি। আমার রিজিক শেষ হয়ে গেছে।" এর কয়েকদিন পর কিছু না খেয়েই উনি মারা যান।

৯। এক পর্দানশীন মহিলা দীর্ঘ দিন অসুস্থ। প্যারালাইজড। একদিন সকালবেলা মেয়েদের ডেকে বললেন, "বাড়ীতে এত পুরুষমানুষ কেন? তোমরা এঁদেরকে বসতে দিচ্ছনা কেন? এঁরা কেন এসেছেন? একসাথে এত লোক কেন? এঁরা কারা?" মেয়ে বলল, "কই লোক? কেউ নেই। আপনি ভুল দেখছেন।" মহিলা বললেন, "আমার গা ভাল করে ঢেকে দাও। মাথায় ভাল করে কাপড় দিয়ে দাও। ওনাদের বসতে দাও।" তার কিছু সময় পর ঐদিনই মহিলা মারা যান।

১০। এক দানশীলা মহিলা দীর্ঘ দিন অসুস্থ। মৃত্যুর দিন সকালবেলা তিনি ছেলের বৌকে ডেকে বললেন, "এত শিশু! এত সুন্দর সুন্দর বাচ্চা!! এরা কারা? কোন বাড়ীর বাচ্চা? বাড়ীতে এত ফুল কেন? কে এনেছে? তুমি এনেছ বৌমা?" এর কিছুক্ষণ পর উনি মারা যান। সাথে সাথে ফুলের সুগন্ধে বাড়ী ভরে যায়।

১১। এক বাড়ীতে এক শিশু মারা গেছে। বাড়ীতে শোকের ছায়া। শিশুটি যে ঘরে থাকতো, সেই ঘরে শিশুটির বাবা-মা সহ কয়েকজন বসে আছে। হঠাৎ করে গোটা ঘর মিষ্টি একটা আতরের গন্ধে ভরে গেল। শিশুটির মা ভাবলো, সে একাই বোধহয় গন্ধটা পাচ্ছে। ঘরের সবাই জানালার বাইরে কেউ আছে কিনা দেখলো। কেউ নেই। ঘরে উপস্থিত এক বৃদ্ধা জানালেন, "আসবে, চল্লিশ দিন পর্যন্ত আসবে। মায়া!!!"

১২।। এক বাড়ীতে মিসকিন খাওয়ানো হয়েছে মৃত এক শিশুর জন্য। শোবার ঘরের জানালার সোজাসুজি বাইরে চৌকি রাখা আছে যার উপরে খাবার রাখা ছিল। সেদিন সারারাত বাড়ীর আশেপাশে পোলাওয়ের গন্ধ ম ম করতে লাগলো। শোবার ঘর থেকে সবাই সারারাত সে গন্ধ পেল। অথচ পোলাও রান্না হয়নি। ভাত, ডাল, মাংস, সব্জি, মাছ এসব খাওয়ানো হয়েছে। যে হুজুর শিশুটির জানাজা পড়িয়েছিলেন, তিনি সব শুনে শিশুটির মাকে প্রশ্ন করলেন, "আপনার মেয়ে কি পোলাও খুব পছন্দ করতো?" শিশুটির মা জানালো, "হ্যাঁ, খুব করতো।"

১৩। এক লোক মারা গেছেন বেশ কিছুদিন আগে। অনেকদিন পর তাঁর কবর ভেঙ্গে মাটি দেবে গেছে, বাঁশ পচে গেছে। কবর ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু আরেকজনকে কবর দিতে গিয়ে গ্রামের লোকজন দেখলো, ভেতরে সাদা কাফন দেখা যাচ্ছে। ধবধবে সাদা। একটুও পচেনি, নষ্ট হয়নি। ভেতরে লাশটাও অক্ষত দেখা যাচ্ছে। গ্রামের লোকেরা মাটি দিয়ে কবর ঢেকে দিলেন।

১৪। এক অল্পবয়সী সদ্যবিধবা নাকফুল পরে আছে। তার শ্বাশুড়ী চাচ্ছেন বৌ তার নাকফুলটা খুলে ফেলুক। কিন্তু বৌয়ের শোকাতুর অবস্থা দেখে কেউ তাকে সেকথা বলতে পারছে না। বিকেলে বৌ বলল, "আমার নাকফুলটা নাকে নেই। কোথাও পড়ে গেছে। আল্লাহর কি ইশারা! ভাল হয়েছে। ওটার আর দরকার নেই।" দেখে শ্বাশুড়ী খুশী হলেন।

১৫। এক মসজিদের ইমাম, খুব ভাল লোক। তাঁকে ভীষণ চিন্তিত, মর্মাহত দেখা গেল। ইমামতিও করেন না। নামাজের সময় হলে অজু করে জায়নামাজে বসে কাঁদেন, বিড়বিড় করে কি যেন বলেন। কিন্তু নামাজ পড়েন না। অথচ উনি কখনও নামাজ কাযা করেন না। তাঁর অবস্থা দেখে তাঁর স্ত্রী খুব চিন্তিত হলেন। প্রশ্ন করেও এমন করার কারণ জানতে পারলেন না। কিছুদিন পর তিনি জানালেন, "সকালে নামাজ পড়তে বসে দেখি আমি সব সুরা ভুলে গেছি। কিছুই মনে নাই। তখন আমার হুজুর আমাকে সবসময় একটি দোয়া পড়তে বললেন। টানা পনেরো দিন রাতদিন সেই দোয়া পড়ার পর আবার আমার সব মনে পড়েছে।"

১৬। একটি মাদ্রাসার নাইট গার্ড মাদ্রাসার একটি ঘরে রাতে থাকেন। বাকী সব ঘর তালা দেয়া থাকে। তিনি রাতে নানারকম শব্দ শুনতে পান। মাঝে মাঝে বারান্দায় বিশাল সাপ, ছোট বাচ্চা দেখেন। আবার একটু পরেই দেখেন কিছু নেই। একদিন রাতে উনি একটি ঘরে খুব বেশী শব্দ শুনে ভয় পেলেন। একটু পর গায়েবী কথা শোনা গেল। "কাল ক্লাস এইটের ছেলেরা এঘরে সিগারেট খেয়েছে। গন্ধে আমরা থাকতে পারছিনা। আপনি প্রিন্সিপালকে বলবেন।" পরের দিন প্রিন্সিপাল এইটের ছেলেদের জিগ্যেস করলে দুজন ছাত্র সিগারেট খাবার কথা স্বীকার করলো।

১৭। এক পরহেজগার লোক মারা গেছেন। তাঁকে গোসল করিয়ে কাফন পরিয়ে জানাজার জন্য নিয়ে যাবার জন্য খাটিয়া তুলতে গিয়ে দেখা গেল, লাশটা নড়ছে। তাড়াতাড়ি কাফনের কাপড় খুলতেই লোকটা উঠে বসলো। সবার দিকে তাকালো। তারপর বলল, "আমাকে এক থালা পান্তা ভাত আর পুঁটি মাছের তরকারী এনে দাও। আমি খাব।" গ্রামের লোক তা এনে দিল। তিনি খেলেন। তারপর হাত ধুলেন। তারপর আবার শুয়ে পড়লেন। যেন এখন তিনি ঘুমাবেন। উনি চোখ বন্ধ করলেন। কিছুক্ষণ পর দেখা গেল ওনার শ্বাস চলছে না। উনি মারা গেছেন। জানাজা পড়িয়ে তাঁকে দাফন করা হলো।

১৮। আরেক মৃত লোকও গোসল করানোর সময় নাকে মুখে পানি দেবার পর বেঁচে ওঠেন। তিনি এখনও বেঁচে আছেন। গ্রামের লোক তার মান দিয়েছে "জ্যাতা মালেক"।

১৯। ফেসবুকে বেশ কিছুদিন আগে দেখেছিলাম। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ভেবে এক হিন্দু লোককে ঢাকার একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। নিহতের ভাই এসে নিহতের চোখ দেখে বলেন, "মরেনি। বেঁচে আছে। জ্ঞান নেই।" পরে চিকিৎসার পর সে লোক বেঁচে ওঠে। সাংবাদিক, লোকজন তাকে দেখতে ভীড় করে। তিনি বার বার অনুরোধ করছিলেন সবাইকে চলে যেতে।

আগেই বলেছি, এসব ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবনা। কেউ চাইলে বিশ্বাস করবেন। না চাইলে ভাববেন আমি মিথ্যে বলেছি। তবে দয়া করে কেউ কুটতর্ক করবেন না প্লিজ। আর এরকম অভিজ্ঞতা যদি আপনাদেরও থাকে, তাহলে কমেন্টে লিখে জানাতে অনুরোধ করছি।

খুব খুব ভাল থাকবেন বন্ধুরা..



http://www.onurag.com/2013/11/blog-post_29.html



https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1865802093673615&id=100007315272396










মন্তব্য ১১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শূন্যনীড় বলেছেন: সত্যিকার চিন্তার বিষয়!!!!! ভালো লিখেছেন।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি ভুডু- বিজ্ঞানের গবেষক?

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনার তাই মনে হয়?

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার ধারণা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদ্রাসার লেভেলে নামিয়ে আনা হয়েছে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনি উঠিয়ে দেবেন। সমস্যা কি?

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


সমাজ ও শিক্ষাকে অকারণ বিভ্রান্তিতে ফেলছেন নিজের অপরিপক্ক ভাবনাকে চারিদিকে ছড়ায়ে

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমি কাউকে কিছু ভাবতে বা বিশ্বাস করতে বাধ্য করছি না। কেউ চাইলে অবিশ্বাস ও করতে পারেন।

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুপার ন্যাচারাল অনেক কিছুই আজও ব্যাখ্যাতীত। হয়তো ভবিষ্রত তার ব্যাখ্যা দিতে পারবে।

যা বলেছেন তা অবিশ্বাসের কারণ নেই।

আমার পিতা মৃত্যুর পর এমনই আমার কাছে স্বপ্নে দেখা দিয়েছন -অনেক বিষয়ে অনেক ভাবে!
সবচে অবাক হয়েছিলাম..
একিদন দেখি আিম কবরের গায়ে হেলান দিয়ে বসে। আব্বা চেয়ারে বসে পেপার পড়ছেন।
আমি বিস্মিত হয়ে বল্লাম - পেপার পড়েন মানে????
উনি বল্লেন- হ্যা, আমরা তোমাদের সব খবরাখবর পাই!
একটু পর পেপার ভাজ করতে করতে বল্লেন- যাও যাও আমরা নামাজ পড়ব!
আমি ততোধিক বিস্ময়ে বল্লাম- মানে?????
তিনি বল্লেন - হ্যা, আমরা জামাতের সাথে নামাজ পড়ি!!!!

ঘূমটা ভেঙ্গে গেল! তাড়াতাড়ি অজু করে আমিও নামাজে দাড়িয়ে গেলাম!

আসলে আমাদের প্রচলিত শোনা কথার বাইরের সত্যে আমরা সবসময়ই চমকে উঠি। মানতে বুঝতে কষ্ট হয়। কিন্তু তাতে সত্যতো আর বদলায় না।

+++++

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। হুমায়ূন আহমেদের অনেক লেখায়ও এরকম অবিশ্বাস্য অনেক ঘটনার উল্লেখ আছে। ভাল থাকুন। আপনার আব্বার জন্য দোয়া।

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সব ছেলেরা বয়োসন্ধির পর থেকে স্বপ্নে দেখেন ভালোবাসার খেলা খেলছেন; উহা কি গোপনে থাকা উর্বসী বধুয়ার কাম?

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তার সাথে মৃত ব্যাক্তির সম্পর্ক কি???

৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৬

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: খুবই সম্ভব, আমি নিজেও এই ধরনের অনেক ঘটনার স্বাক্ষী

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: দু'একটা লিখলে উপকৃত হতাম। আমি ভাবি, আর কারো বোধহয় আমার মত এমন অভিজ্ঞতা নেই।

৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মৃত কিশোরীরা হয়তো যুক্ত এতে।

স্বপ্ন হলো, মানুষের মস্তিস্কের অবিন্যস্ত দুর্বল সময়ের( ঘুমের কারণে) চিন্তার চলমান ভাবনা-প্রবাহ

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমি মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী। আপনার ঐ ব্যাখ্যা আমার জানা। ধন্যবাদ।

৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: There are more things in heaven and earth...

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " আমি মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী। আপনার ঐ ব্যাখ্যা আমার জানা। ধন্যবাদ।"

-শুধু মনোবিজ্ঞানের নয়, সাথে মৃত-বিজ্ঞানেরও ছাত্রী, মনে হচ্ছে

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: যা খুশী ভাবতে পারেন। কোন সমস্যা নেই। আমি মানুষের ইচ্ছার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আবারো ধন্যবাদ।

১১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৫

মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: ক্লাস ৬/৭ পর্যন্ত আমি কোন গল্পের বই বা কবিতার বই পড়িনি শুধুমাত্র স্কুলের গুলো ছাড়া। আমার চাচাত বোনের কাছ থেকে প্রথম শরৎচন্দ্র পড়তে শুরু করি। তাও ক্লাস ৮/৯ উঠে। সেখানে শ্বশানের গল্প আছে। মরার গল্প আছে, মানুষের মাথার খুলির মধ্যে ইঁদুরের গল্প আছে। আমি তখন ঢাকাতে কলেজে পড়ি। ৮৮/৮৯ সাল। বাড়িতে গিয়েছি। জ্যোৎস্না রাত। প্রকৃতির ডাক মাঝ রাতে। আমাদের টয়লেট একটু দূরে। পুকুরের পাশে। পুকুরের পাশে হিজল গাছ। নইচে পড়া শুঁকনো পাতার খচ খচ শব্দ। ভয় পেয়ে গেলাম। দৌড় দেব কিনা ভাবছি। শরৎ বাবুকে মনে পড়ল। এগিয়ে গেলাম। একটি ইঁদুর পাতার মধ্য থেকে ভয়ে পালিয়ে গেল আমার উপস্থিতি টের পেয়ে।

জ্যোৎস্না রাত। আরেকদিনের কথা। লম্বা সরু দড়ির মত পথের উপর বিচ্ছানো। সন্দেহ হলো। দূর থেকে লাঠি দিয়ে এক্টটু নাড়া দিতেই ছোট্ট সাপটা ভয়ে পালিয়ে গেল।

গভীর রাত। হিসি পেয়েছে। বাড়িতে গিয়েছি ইউনিভার্সিটি বন্ধ্যে। বাগানের মধ্যে দেখি বিশাল সাদা পোশাকের এক ঠাকুর দাঁড়িয়ে। ভাল্ভাবে খেয়াল করতেই বুঝলাম গাছের ফাঁকা দিয়ে দেখা যাচ্ছে মানুষের আকৃতি নিয়ে সাদা আকাশ।

---------------------এই আপনার কি খেয়ে দেয়ে কাজ নেই মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন???

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: উল্টোটাও হতে পারে। মানুষ আমার কথা কিছুই বিশ্বাস না করে সাহসী হয়ে গেল!

১২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: পোস্টের ঘটনাগুলো অবিশ্বাসের কোন কারণ নেই। এরসম হাজারো রহস্যসম ঘটনা ঘটে চলছে আমাদের পৃথিবীতে। কেউ অবিশ্বাস করলে সেটা তার ব্যাপার।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক তাই। ধন্যবাদ।

১৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩১

আবদুল মমিন বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: আমার ধারণা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদ্রাসার লেভেলে নামিয়ে আনা হয়েছে।[/sb

মাদ্রাসার লেভেলে নামিয়ে আনা ? নাকি উঠিয়ে দেয়া ? তাতো টেলিভিশনের টক শো গুলা দেখলেই বুজা যায় , একটা মাওলানাকে ৩ জনে যখন যুক্তি দিয়ে হারাতে পারনা তখন ত তোমাদের হেডমের তাপমাত্রা জাতি পুরাই দেখতে পায় । আর তাইত মাওলানাদের কে কেন টক শো তে আনেন বলে চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায় ।


০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমি মানুষের ইচ্ছার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। যার যা খুশী ভাবতে পারে, বলতে পারে। ধন্যবাদ।

১৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: জ্বিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাসে পড়েছিলাম এক প্রকার দুষ্টু জ্বিন পরিচিতদের রূপ ধরে এসে মানুষকে ধোকা দেয়।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি। সবটাই বিশ্বাস। কেউ চাইলে বিশ্বাস করতে পারে, নাও পারে। ধন্যবাদ।

১৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এ তো ভারি বিপদ! মরেও কি মানুষের মুক্তি নেই?

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আছে। আপনি যদি মনে করেন, দুনিয়ার কারো খবর নেবেন না, তাহলে সেটাও সম্ভব। টেনশন নিয়েন না বস্! নো চিন্তা ডু ফুর্তি!!!

১৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২৯

বালাম সিটিকে বলেছেন: আসলে অতিপ্রাকৃত সবকিছুকে আমরা একবাক্যে উড়িয়ে দিতে পারি না। একটু বলি--
একবার ফজরের নামাজ আদায় করতে আমার দাদা যখন মসজিদে যান, তখন হঠাৎ একটু দুর থেকে নজরে পড়ে - পুকুর ঘাটে একজন মুসল্রি অনেক লম্বা হাত প্রসারিত করে বরই গাছের মগডাল হতে বরই পারছেন - । সে লম্বা হাতটি অন্তত আট দশখানা হাতের সমান লম্বা হবে। এরপর সেই মুসল্লি জামাতের সাথে নামাজ আদায়ও করলেন, কিন্তু নামাজ শেষে হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলেন-
----ভাবনার বিষয় নয় কি?
ধন্যবাদ

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, অনেককিছু ঘটছে। সবকিছুর ব্যাখ্যা দেয়া যায়না। ধন্যবাদ।

১৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪১

কল্লোল পথিক বলেছেন:
মারাত্মক ব্যাপার!

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1865802093673615&id=100007315272396

১৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: ১। প্রথমটায় এমনও হতে পারে যে ছেলেটা খুনের ঘটনা দেখে প্রচণ্ড ট্রমায় বাস্তবকে গুলিয়ে ফেলেছিল । তার দেখা সত্যটাই হয়ত স্বপ্ন হয়ে এসেছে ।

২। দ্বিতীয়টায় বন্যার পানির কারণে সদ্য দেয়া কবরের মাটি আলগা হবে এটাই হয়ত জামাইয়ের অবচেতন মনে এসেছিল । যা হয়ত স্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছিল ।

যাইহোক কঙ্ক্রিট প্রুফ না থাকলে আমি আধিভৌতিক বিশ্বাস করতে রাজি নই,

নিজের কথা বলি । বাংলাদেশের অন্যতম শীত পড়ে এমন এক জায়গায় বেশ অনেক দিন ছিলাম যেখানে আমার বাসা (আমি একাকি) থেকে আশেপাশের বাসা হাটা পথে সাত/আট মিনিট দূরে। বুঝুন কিরকম নীরব । কখনো ভূতের ভয় পাইনি বা আধিভৌতিক কিছু দেখিনি। তখন ইয়াং ছিলাম । এখন এভাবে একা থাকতে পারব কীনা জানি না ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

১। ছেলেটি স্বপ্ন দেখার ৬ ঘণ্টা পর লাশ পাওয়া যায়। ২। শ্বশুর মারা গেছেন দশ বছর আগে। আপনি যা খুশী ভাবতে পারেন। পৃথিবীতে অনেক ঘটনা ঘটছে। সবকিছুর ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারেনা।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1865802093673615&id=100007315272396

১৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ভুতপ্রেত ভাল জিনিস। মজা পাওয়া যায়।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সেটাই বা কম কিসে? ধন্যবাদ।

২০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



@বালাম সিটি,

দাদা সামান্য মিথ্যা বলেছেন, মনে হয়!

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ?

২১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৪

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: আমার এক ড্রাইভার ছিল যে কিনা স্বপ্নে তার নিকটাত্মীয়দের কবরের আজাব দেখতে পেত । মাঝে মধ্যে গভীর রাতে গাড়ি চালানোর পর সে বাসায় ফেরার সময় কিছু রহস্যময় বিষয়ও নাকি সে দেখেছে । গোদের ওপর বিষফোড়া, থুককু শেমাইয়ের ওপর ছানার মত সে ভবিষ্যত বাণীও নাকি করতে পারত । সে যে জায়গায় আগে যায় নাই সেটা নাকি স্বপ্নে তার কাছে আগেই ধরা দিত ।

তো আমি তাকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম এমন কোন ভবিষ্যতবাণী সে কাগজে লিখে রাখুক আর আমার গাড়িতে যাওয়া কলিগরা সেই কাগজের উলটা পাশে স্বাক্ষর করবে প্রমাণ হিসেবে। সে বছর দেড়েক ছিল, কিন্তু এর মধ্যে তার কোন ভবিষ্যতবাণীর কেরামতি সে কাগজে লিখে দেখাতে পারে নাই ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: Click This Link

২২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১০

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: ওকে , আমার ২ নং এ "সদ্য" কথাটা উঠিয়ে নিলেও দশ বছর পরে ভয়াবহ বন্যায় কবর ডুবে গিয়ে থাকলে মাটি আল্গা হবার বিষয়টা অবচেতন মনের চিন্তায় আসতেই পারে।

বিশ্বাস করলে করেন না করলে নাই - বিষয়টা এমন সরলীকরণ করছেন কেন ?
আপনি মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী এটা উল্লেখ করেছেন তারপর এইসব বিশ্বাস করেন বলেই তো ব্লগে লিখেছেন (এটা উল্লেখ না করলেও ইমপ্লাইড নয় কি)। সুতরাং এটা কি বেশির ভাগকে প্রভাবিত করার জন্য যথেস্ট নয় ?

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: না। কারণ পোস্টের শুরুতে আমি আমার মত পরিস্কার করেছি -

"এগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবনা। সঙ্গত কারণেই আমি এসব মৃত ব্যাক্তির নাম-পরিচয় গোপন রাখছি। তবে ঘটনাগুলো আপনাদের জানাতে চাই। হয়ত এসব শুনে আপনাদের ভাবনায় কিছু পরিবর্তন হবে, হয়তো আপনাদেরও এমন ঘটনা জানা থাকবে। হয়তো কেউ বিশ্বাস করবেন, কেউ করবেন না। "

২৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



@মনিরুল ইসলাম বাবু ,

বাংলাদেশের মানসিক রোগীদের এইজন্যই কলিকাতায় ও ভারতের অন্য এলাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: মন্দ কি?

২৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৬

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: @মনিরুল ইসলাম বাবু ,

বাংলাদেশের মানসিক রোগীদের এইজন্যই কলিকাতায় ও ভারতের অন্য এলাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়

=p~ =p~

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হা হা হা!!!

২৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

লেখক বলেছেন, " মন্দ কি?"

-পুরোটাই মন্দ। আপনারা মাস্টার্স, পিএইচডি করে ব্লগে ভুতের/পরীর গল্প করেন; আর আমাদের রোগীরা ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করায়, পুরোটাই মন্দ

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ভারত আমাদের প্রতিবেশী, বন্ধু। তাদের ডাক্তাররা আমাদের কারণে দু'পয়সা আয় করলে মন্দ কি? আর সবাই আমার কথা বিশ্বাস করবে, এমন তো নয়। যেমন আপনি করছেন না। তেমনি আমার ধারণা - আপনার মত কেউই করবে না। আমি করতে বললেও করবে না, যদিও আমি করতে বলিনি। ব্লগে কেউ তো শিশু নয় যে আমি যা বলব, অন্ধের মত তাই বিশ্বাস করবে!

২৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০১

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: ৯ এবং ১০ নাম্বার ঘটনার ক্ষেত্রে ধরে নেব, হয়ত মৃত্যুর আগে ব্যক্তির মস্তিস্ক মায়ার খেলা দেখিয়েছিল । কারণ এটা সুনিশ্চিতভাবে বলা যাবে না , মৃত্যুর আগে উনাদের মস্তিস্ক সঠিকভাবে ফাংশন করছিল ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ভাই সহজ কথা। আপনি যা খুশী ভাবতে পারেন আপনার ইচ্ছামত। কোন অসুবিধা নেই।

২৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

মূর্ক্ষের পিতা হস্তী মূর্ক্ষ বলেছেন: Rubbish

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি মনবিজ্ঞানের ছাত্রি কিন্তু আপনি যে কাহিনি গুল বর্ণনা করেছেন সম্পূর্ণ লজিকের বাহিরে, একজন মনবিজ্ঞানের ছাত্রি এই ত্রুটি গুল মেনে নিবে না, কিন্তু আপনি নিচ্ছেন, কিছু কাহিনি বলছেন আপনি নিজে দেখেছেন কিছু কাহিনি শুনেছে, এটাই হতাশার বিষয়।

আমি জানি আপনি বলবেন পৃথিবীর অনেক কাহিনি আছে যা লজিক মেনে চলে না, আমি বলব ভুল পৃথিবীর সকল কিছু একটি অলিখিত সুত্র মেনে চলে এর বাহিরে কিছুই না।

আর একটা কথা জিন কিন্তু মিস্টি খায় না , হাদিসে উল্ল্যেখ আছে জিন তাদের খাদ্য হাড় এবং গোবর থেকে সংগ্রহ করে, এই জন্যই নবি করিম (সঃ) ঝুঠা হাড় পানিতে ফেলতে মানা করেছেন।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমি বলিনি ঘটনাগুলো সব যুক্তিসিদ্ধ। এগুলোর সাথে মনোবিজ্ঞানের কোন সম্পর্কও আমি দেখাইনি।

"এগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবনা। হয়ত এসব শুনে আপনাদের ভাবনায় কিছু পরিবর্তন হবে, হয়তো আপনাদেরও এমন ঘটনা জানা থাকবে। হয়তো কেউ বিশ্বাস করবেন, কেউ করবেন না।"
জ্বিন মিষ্টি খায়, একথাও আমি বলিনি। মিষ্টি খেয়েছিল জ্বিনে ধরা মেয়েটি।

"৪। একটি মেয়েকে জ্বীনে ধরেছে। সে উল্টাপাল্টা আচরণ করছে। কখনও হাসছে, কখনও কাঁদছে। বাড়ী ভর্তি লোক মেয়েটিকে দেখতে এসেছে। মেয়েটির বয়স ১০/১২ বছর। তার খেলার সাথী, তার বান্ধবীরাও এসেছে তাকে দেখতে। মেয়েটি তার এক বান্ধবীর নাম ধরে ডেকে বলল, "দ্যাখ, আমি মিষ্টি খাব।" বলেই মেয়েটি আকাশের দিকে তাকিয়ে হাঁ করল। তারমুখের ভিতরে সাদা মিষ্টি। সে চিবিয়ে খাচ্ছে। তার ঠোঁট বেয়ে মিষ্টির রস গড়িয়ে পড়ছে। তাতে মাছি উড়ে এসে বসছে।"

ধন্যবাদ।

২৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

রানার ব্লগ বলেছেন: জিনদের প্রধান খাদ্য হলো হাড়, গোবর, কয়লা ইত্যাদি।

এ ব্যাপারে একটি হাদীস এসেছে। হাদীসটি হল :
قدم وفد الجن على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالوا يا محمد انه أمتك أن يستنجوا بعظم أو روثة أو حممة فإن الله تعالى جعل لنا فيها رزقا قال : فنهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن ذلك.

জিনদের একটি প্রতিনিধ দল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসল। তারা বলল, হে মুহাম্মাদ! আপনার উম্মত হাড্ডি, গোবর ও কয়লা দ্বারা ইসতেন্জা করে থাকে। অথচ আল্লাহ তাআলা এ গুলোকে আমাদের জন্য খাদ্য হিসাবে নির্ধারণ করেছেন।

হাদীসের বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে এ সকল বস্তু দিয়ে ইসতেন্জা করতে নিষেধ করেছেন। (বর্ণনায় : আবু দাউদ)

জিনদের সম্পর্কে কাজী আবু ইয়ালা (রহ.) বলেছেন, জিন মানুষের ন্যায় খাওয়া-দাওয়া করে থাকে; এরাও চিবিয়ে এবং গিলে খায়।

ইয়াবিদ বিন জাবির বলেছেন, মুসলমান জিন মানুষরা বাড়িতে যে খাবার রাখে, আর সেই বাড়ির চালে কিংবা ছাদে বসবাসরত ওই জিনরা নেমে এসে সে খাবার খেয়ে থাকে। অনেক সময় মানুষের সঙ্গে বসেও খায়; অথচ মানুষের স্থূলত্বের কারণে অতসব খেয়াল করতে পারে না। আর এসব জিন মানুষদের বালা-মুসিবত ও মন্দ জিন থেকে রক্ষা করে থাকে।

এদিকে খারাপ জিনরা সাধারণত নাপাক বা নোংরা জায়গায় থাকে। যেমন- ময়লার গাদা, আঁস্তাকঁড়ে, নর্দমা, গাছের ঝাড়, গোসলখানা, পায়খানায়। মূলত জিনের প্রধান খাদ্য হলো হাড়, গোবর, কয়লা ইত্যাদি। তিরমিজি হাদিসে উল্লেখ আছে, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা দুটি জিনিস অর্থাৎ হাড় ও গোবর দিয়ে ইন্তিঞ্জা করো না; কেননা ওগুলো হলো তোমাদের জিন ভাইদের খাদ্য।

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আবার বলছি, জ্বিন মিষ্টি খায়, একথা আমি বলিনি। মিষ্টি খেয়েছিল জ্বিনে ধরা মেয়েটি।

৩০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: 'লজিক' বলে একটা কথা আছে।
আবার 'কাকতালীয়' বলেও একটা কথা আছে।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আবার অসম্ভব ঘটনাও আছে। যেমন- কেয়ামত পর্যন্ত ফেরাউনের লাশ অক্ষত, অবিকল থাকবে। কোন মানুষের লাশ এতদিন অক্ষত থাকা স্বাভাবিক ঘটনা নয়।

৩১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

নতুন বলেছেন: ২। এক লোক মারা গেছেন দশ বছরের বেশী সময় আগে। সেবার বন্যায় পুরো কবরস্থান ডুবে গেল। কোথায় কার কবর, বোঝার কোন উপায় নাই। সব কবর হাঁটু পানির নীচে।

দশ বছরের কোন মানুষের লাশ পচে নাই সেটা কি আদও সম্ভব? এই রকমের ঘটনা আমাদের দেশের অনেক খানেই শোনা যায়। মানুষ খুবই ধামি`ক ছিলো এমনটা বোঝাতেই এই সব গল্পের সৃস্টি। কোন প্রমান কিন্তু আপনি পাবেন না।

মানুষ অনেক ভাবনা তার মনে করে থাকে.... সেটা মনবিজ্ঞানের ছাত্রী হিসেবে ভালোই জানেন... এবং অবচেতন মনের খেলা যে মানুষ সত্যি বলে বিশ্বাস করে সেটা জানেন।

মানুষের মতন কথা যদি আপনি শোনেন তবে সেটা কোন মানুষের কন্ঠশ্বরই হতে হবে। নতুবা অবচেতন মনের চিন্তা হতে হবে। তার বাইরে গাইবি ভাবে মানুষের মতন কথা বলা সম্ভবনা।

ফিজিক্সের নিয়ম গুলি ভেঙ্গে কিন্তু কিছুই সম্ভবনা। শব্দ তৌরি হতে হলে কম্পন হতে হবে... তার মানে মানুষের স্বরযন্ত্রই শুধু মানুষের মতন কথা বলবে বা রেকডি`ং বাজাবে বা মানুষ তার কল্পনাতে শুনবে।

মৃত মানুষের ফিরে আসা কে মেডিক্যালের Lazarus syndrome বলে যেখানে আপাত মৃত মানুষ আবার জীবিত হয়েছে।
এটা একটি বিষয় যেটা এখনো পুরোপুরি বোঝাযায়নি।

এমন ঘটনা মেডিক্যাল লেখায় ৮২ বার এসেছে.... যেটা হাসপাতালে্ এম্বুলেন্সে বা ডাক্তারের জানাশুনার মাঝেই হয়েছে। এটা কোন একটা কারনে আবার হৃদযন্ত্রের কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু কারনটা বোঝা যায়নি।

এমন ঘটনা কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশেই হয়েছে.... তার মানে এটা মানুষের মাঝে একটা ঘটনা... এতে কেরামতি/অলৌকিকতা নেই।
https://en.wikipedia.org/wiki/Lazarus_syndrome

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: কেয়ামত পর্যন্ত ফেরাউনের লাশ অক্ষত, অবিকল থাকবে, আছে। অতএব লাশ নাও পচতে পারে। পচেওনি। পচলে আবার মাটি দেয়া সম্ভব হতনা।

"এমন ঘটনা মেডিক্যাল লেখায় ৮২ বার এসেছে.... যেটা হাসপাতালে্ এম্বুলেন্সে বা ডাক্তারের জানাশুনার মাঝেই হয়েছে। এটা কোন একটা কারনে আবার হৃদযন্ত্রের কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু কারনটা বোঝা যায়নি।"

যেটা ডাক্তারের সামনে ঘটতে পারে, সেটা সাধারণ মানুষের সামনে ঘটতে পারে না? কারণটা বোঝা যায়নি। তার মানে মানুষের বোঝার অতীত এখনও অনেক কিছুই আছে। ধন্যবাদ।


৩২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৬

কেমিক্যাল রিয়াদ বলেছেন: খুন হওয়া মানুষরা বিচারকের স্বপ্নে এসে খুনির নাম বলে গেলে মামলাজট কমতো

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: বিচারকরা খুন হওয়া মানুষের আপনজন নন। মৃতরা শুধু আপনজনদের কাছে আসেন।

৩৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:২০

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কেয়ামত পর্যন্ত ফেরাউনের লাশ অক্ষত, অবিকল থাকবে, আছে। অতএব লাশ নাও পচতে পারে। পচেওনি। পচলে আবার মাটি দেয়া সম্ভব হতনা।

ফেরাউনের লাশ মমি করা, মমি করা হলে যতদিন সংরক্ষন করা হবে ততদিনই থাকবে।
https://en.wikipedia.org/wiki/Ramesses_II

আপনার গল্পের লাশ ১০ বছর মাটির নিচেই ছিলো.... সেই রকমের কোন ঘটনা এখনো প্রমান নেই।

যেটা ডাক্তারের সামনে ঘটতে পারে, সেটা সাধারণ মানুষের সামনে ঘটতে পারে না? কারণটা বোঝা যায়নি। তার মানে মানুষের বোঝার অতীত এখনও অনেক কিছুই আছে। ধন্যবাদ।


আমি বলিনি বোঝার অতীত কিছু নেই.... অবশ্যই এটার কোন ব্যক্ষা এখনো দিতে পারেনাই। কিন্তু এটা অলৌকিক না। আমাদের দেশের এই সব কাহিনি ধমী`য় অলৌকিকতা বা কোন বিষয়ে গুরুত্ব বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:১৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: "আগেই বলেছি, এসব ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবনা। কেউ চাইলে বিশ্বাস করবেন। না চাইলে ভাববেন আমি মিথ্যে বলেছি।"

প্রমাণ আছে। ফেসবুকে দেখেছি, সম্প্রতি সৌদি আরবে অক্ষত লাশ পাওয়া গেছে। তবে আমার সে রিলেটিভের লাশের ছবি তুলে রাখা হয়নি। যদিও তাঁকে আবার কবর দেয়া হয়েছে।

আমি বলিনি ঘটনাগুলো অলৌকিক। আপনি চাইলে এগুলোকে গল্পও ভাবতে পারেন।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: Click This Link

৩৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:৫০

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ছোট বেলায় ঠাকুরমার ঝুলি খুব প্রিয় ছিলো অনেক বছর বাদে আবার তার স্বাদ পেলাম। গল্প গুলো বেশ আনন্দ দিলো।

লেখার ধরন বেশ ভালো ।
অনেক ধন্যবাদ ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:১৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ আপা। ভাল থাকুন।

৩৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি যা লিখেছেন, এ ধরণের কথা আমরা অনেকেই শুনে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত; আমরা কমনসেন্স ব্যবহার করে ওগুলোকে ফিল্টার করে ফেলি; কিন্তু আপনার ফিল্টার ক্ষমতা নেই, আছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কমনসেন্স।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:১৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: "আগেই বলেছি, এসব ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবনা। কেউ চাইলে বিশ্বাস করবেন। না চাইলে ভাববেন আমি মিথ্যে বলেছি।"

আমি কোন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছি না।

৩৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:০১

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সকল শিক্ষকেরা মনোবিজ্ঞান পড়িয়েছেন, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত । Disgraceful ...

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:২০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: "আগেই বলেছি, এসব ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবনা। কেউ চাইলে বিশ্বাস করবেন। না চাইলে ভাববেন আমি মিথ্যে বলেছি।"

আমি কোথাও বলিনি এগুলো মনোবিজ্ঞান পড়ে আমি জেনেছি। আমার লেখার সাথে মনোবিজ্ঞান পড়ার বা আমাকে পড়ানোর সম্পর্ক আছে, এমন দাবী আমি করিনি।

৩৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬

সিস্টেম অ্যাডমিন বলেছেন: Life Beyond Death, স্বামী অভেদানন্দের লেখা এই বইটা একবার পড়ে দেখতে পারেন ,
আমার কাছে বইটির বাংলা অনুবাদ আছে , "মরণের পারে " নামে যেটি পরে প্রকাশিত হয়, আসা করি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যেতে পাড়েন ।
বইটির লঙ্ক ]Life Beyond Death by Swami Abhedananda

স্বামী অভেদানন্দ পরিচিতি view this link

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

সিস্টেম অ্যাডমিন বলেছেন: [link|www.spiritualbee.com/media/life-beyond-death-swami-abhedananda.pdf|view this link
লিঙ্ক সংশোধন

বাংলা অনুবাদ
http://www.exoticindiaart.com/book/details/maraner-pare-bengali-NZH991/
ধন্যবাদ

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১২

তানুন ইসলাম বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি,আমার দাদী আমাকে স্বপ্নে একবার বললো আমি খুব কষ্টে আছি ,তুই আমার জন্য কোরআন শরিফ পড়ে দোয়া করিস ,এরকম স্বপ্ন আমি দুই রাত দেখলাম ,বিষয়টা আমি বাবার সাথে শেয়ার করলাম ,তারপর বাবা বললো তুমি পড়ে দোয়া করে দাও ,আমি পড়ে দোয়া করে দিলাম ,এরপর আর কখনো উনাকে স্বপ্নে দেখেনি

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। ভাল থাকুন।

৪০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫

কায়সান বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন আমি কোন কিছু সৃষ্টি করতে গেলে শুধু হয়ে যাও বললেই তা হয়ে যায়, এটা বিজ্ঞানের সাথে যায়না কিন্তু এটাই সত্য, সুতরাং সব কিছু বিজ্ঞান দিয়ে বিচাার করা যায়না, যদিও সেই বিজ্ঞান নিজেও মহাশূন্য সৃষ্টির যেই তথ্য দিয়েছেন সেটাও সেই আল্লাহর কথার সাথেই মিলে, শূন্য থেকে এত বিশালের সৃষ্টি।

যারা খুব বেশি বৈজ্ঞানিক ভাবে আছেন তাদের এত ভাব দেখানোর কিছু নেই, আবার যারা খুব বেশি আধ্যাতিক নিয়ে আছেন বিষয়টা তাদের জন্যও না, এসব কি সেটা নিয়ে আমার ধ্যন ধারণা নিচে জানাবো।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ওকে। ধন্যবাদ।

৪১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

মোজাহিদুর রহমান ব বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেব একাই ১০০

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আর আপনি??

৪২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

এল শেরা বলেছেন: ধন্যবাদ লেখিকাকে । অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি । এ ধরনের বেশ কিছু ঘটনা আমারও জানা আছে । আমিও দু এক কলম সায়েন্স পড়েছি, তবে মূর্খ কিংবা একগুয়েমি লোক নই .....।

আমি কবিরাজীসহ জ্বীনদের নিয়েও কিছু বাস্তব নলেজ অর্জন করতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ.....।

তবে কিছু, পাগল দু-এক কলম বিদ্যার দৌড়ে নিজেদেরকে এমন বিজ্ঞানী মনে করেন যেন তারা এই মহাবিশ্বের সব রহস্যই ভেদ করতে পেরেছেন । তারা কোন কিছুই বিশ্বাস করতে চান না, মানতে চান না। আসলে তাদের মাথায় সমস্যা আছে। তারা এক গুয়েমি আর এক রোখা রোগেও ভোগেন এবং কিছুটা অহংকার রোগেও । ............. আসলে ঐসব জ্ঞানের দাবিদার মূর্খরা কিছুই জানে না। তারা যে জানে না সেটাও তারা জানে না।

লেখিকাকে আবারো ধন্যবাদ। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক জ্ঞান দান করুন, কেবল তার পথেই কবুল করুন- আমিন।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আসলে বিষয়টা বিশ্বাসের। কারো কোন মত আমার পছন্দ না হলে বা একমত না হলে আমি সেটা বলব। কিন্তু কখনোই যে বলেছে তার মতকে ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করব না। বা কাউকে আমার মত বিশ্বাস করতে প্রলুব্ধও করবনা। কেউ বিশ্বাস করলেও যেমন বিশাল কিছু লাভ হবেনা, তেমনি না করলেও কোন ক্ষতি নেই। যার যার মত তার তার কাছে। আমি শুধু ঘটনাগুলো তুলে ধরেছি যার সঠিক ব্যাখ্যা আমি জানিনা, এই স্বীকারোক্তি সহ।

যাইহোক, ভাল থাকুন।

৪৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৪

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: ফেসবুকে বেশ কিছুদিন আগে দেখেছিলাম। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ভেবে এক হিন্দু লোককে ঢাকার একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। নিহতের ভাই এসে নিহতের চোখ দেখে বলেন, "মরেনি। বেঁচে আছে। জ্ঞান নেই।"
এটা খুব একটা অতি আজব ঘটনা নয়। মাঝেমাঝে কিছু মানুষের হৃদস্পন্দন দুই-তিনদিন ব্ন্ধ (ঠিক বন্ধ নয়, অতি মাত্রায় কম) হয়ে আবার বেঁচে ওঠে। রবীন্দ্রনাথের "কাদম্বীনি" চরিত্রটি ঠিক কাল্পনিক নয়। আবার ঈসা(আ) এর মৃত জীবিতকরণ গল্পগুলোও এমনই ঘটনা। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটার গালভারী নাম আছে একটা, তবে সেটা আমার জানা নেই।
লেখাটা যথেষ্ট কল্পনার উদ্দীপনা জাগায়। ধন্যবাদ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: মৃত মানুষের ফিরে আসা কে মেডিক্যালের ভাষায় Lazarus syndrome বলে। অনেক সময়ই মানুষ কোমা থেকে বেঁচে ফিরে আসে। এলিয়ন, ফ্লাইং সসার, ভিন্ন গ্রহ নিয়ে মানুষের কৌতুহল ও গবেষণার শেষ নেই। রোমিও জুলিয়েটের কাহিনীও তাই। চাঁদের দ্বিখণ্ডিত হবার কথা কোরআানে আছে যার সত্যতা বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন। বিশাল মহাকাশের কতটুকু আমরা জানি? আসলে বিষয়টা বিশ্বাসের। যার যার বিশ্বাস তার তার কাছে।

আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৪৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: আর লাশ বছরের পর বছর মাটিতে থেকেও না পচার কারণ ফরমালিন অথবা ভারী ধাতুর বিষক্রিয়ায় হতে পারে। নেপোলিয়নের লাশ এখনো পচেনি।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, ঠিক। ধন্যবাদ।

৪৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:১৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সত্যিই কি অলৌকিকতা বলে কিছু নেই! নাকি আমরা অলৌকিকতার বিষয় উপলদ্ধি করতে পারি না বলেই বিষয়টি অস্বীকার করি।

অনেক পূর্বে ভারতীয় লেখক প্রণব মুর্খাজী’র লেখা বই পড়েছিলাম “অলৌকিক”। বই টি পড়ে বেশ অবাক হয়েছিলাম। আসলে বইটিতে শুধু মাত্র অলৌকিকতা নেই বলেই লেখক প্রমান করাই চেষ্টা। তার লেখার মধ্য দিয়েই অনেক ক্ষেত্রে জোর করে অলৌকিকতার বিরুদ্ধে লিখেই গেছেন। বৈজ্ঞানিক বলেই সকল কিছু প্রমান করার চেষ্টা করেছেন অলৌকিক নই তাকে লৌকিক বলেই প্রচার করার চেষ্টা করেছেন।

আমার মনে হয় এমন কোন লেখকের দরকার ছিলো যিনি এই সকল অলৌকিক বিষয় গুলো ধারাবাহিকভাবে লিখবে। এভিডেন্স রেফারেন্সন সহ দিন তারিখ উল্লেখ করবে। যে সকল ঘটনাগুলোর কোন লৌকিক ব্যাক্ষা নেই তুলে ধরতে হবে। বোঝাতে হবে এখন এখন অনেক ঘটনা আছে যার কোন লৌকিক ব্যাক্ষা নেই।

এরকম লেখক একজন দরকার। বিশেষ করে প্রবীর ঘোষের বিপরীতে প্রকৃত সত্য তুলে ধরবার জন্য অন্তত একজন লেখক দরকার। দেখুন না’ ম্যাডাম আপনি লিখতে পারেন কিনা? প্রকৃত সত্য মানুষের সামনে তুলে ধরবার এখনই সময়। নাস্তিক্যবাদের বিরুদ্ধে চরম জ্ঞান যুদ্ধ প্রয়োজন।

“এই লোকদের সামনে সে অবস্থা এসে গেছে, যাতে খোদাদ্রোহিতা হতে বিরত রাখার বহু শিক্ষাপ্রদ উপকরণই নিহিত রয়েছে এবং এমন পূর্ণতাপ্রাপ্ত বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিও (বৈজ্ঞানিক আবিস্কার) রয়েছে যা উপদেশ দানের পূর্ণমাত্রায় পূরণ করে।” (৫৪:৪-৫ ‘আল-কোরআন)

http://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30159345

http://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30160745

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমি ধর্ম প্রচারক নই। ধর্মের অত জ্ঞান ও আমার নেই। আমি অলৌকিক কিছু প্রমাণ করার চেষ্টাও করিনি। আমি শুধু খুব কাছ থেকে আমার পরিচিতদের ও আমার নিজের দেখা কিছু সত্যি ঘটনা তুলে ধরেছি মাত্র। এগুলোর সঠিক ব্যাখ্যাও আমার জানা নেই। এই ঘটনাগুলো ছাড়াও পৃথিবীতে আরো অনেক ঘটনা ঘটেছে, ঘটছে, এমন অনেক অজানা বিষয় আছে যার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এখনও দেয়া সম্ভব হয়নি। আমি ঘটনাগুলো লিখেছি মানুষকে ভাবনার কিছু খোরাক দেবার জন্য। অন্ধভাবে বিশ্বাস করতেও বলছি না। চিন্তা করবে, বোঝার ও ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করবে যার যার মত করে।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৪৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ম্যাম একটি সত্যি ঘটনা, আমার দাদী মারা যান ১৯৯৭ সালে তখন আমি এস এস সি পরিক্ষার্থী, দাদী মারা যাবার দুই দিন পর একদিন সন্ধ্যা রাতে বাজার থেকে বন্ধুদের সাথে আড্ডা করে বাড়ি যাচ্ছি , হাই ওয়ে রোড একটু পর পর গাড়ি আসছে যাচ্ছে। হঠাৎ দেখলাম অন্ধকারে চারদিক ছেয়ে যাচ্ছে অনেক ক্ষন থেকে কোন গাড়ির আসা যাওয়া নেই। সামন দিক থেকে দেখছি চার জন লোক একটি লাস নিয়ে ধ্বনি করি করে আসছে। আমিতো জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যাই। যেই জ্ঞান ফিরে পাই এক দৌড়ে পাশ্বের একটি বাড়িতে গিয়ে উঠে পরিচিত একটি ছেলেকে নিয়ে তার একটি সাইকেল নিয়ে বের হই ঠিক সেই রাস্তায়। অনেকক্ষন গেলে পরে প্রায় এক দেঢ় কিলোমিটার গিয়ে দেখতে পাই এক ঠেলা ভেন ওয়ালা আর ২ জনে মিলে একটি গাছের মোটা টুকরা ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। নিজের চোখে আগে দেখলাম লাস বহন করছে এখন দেখচি গাছ নিয়ে যাচ্ছে। তারপর বাসায় যেতেই আমার জ্বর হয়ে যায়। আমি নশ্চিত এইটা আমার চোকের ভ্রম কিন্তু তার ইফেক্ট আমার জ্বর হলো কেন?

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তীব্র ভয়ে জ্বর হতে পারে। মানসিক ভারসাম্য হারাতে পারে। মানুষ মারাও যেতে পারে। আমি এমন ঘটনা দেখেছি। তবে তুমি লাশ আনতে দেখে ভয় পেলে কেন? এটা তো স্বাভাবিক ঘটনা। নির্জন রাস্তা বা অন্ধকারের কারণে হতে পারে। যাইহোক। আছ কেমন?



৪৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

কেমিক্যাল রিয়াদ বলেছেন: খুন হওয়া মানুষের আপনজনদের জুরির সদস্য নির্বাচনের আইন হোক

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হা হা হা! ভাল প্রস্তাব। ধন্যবাদ।

৪৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: "আগেই বলেছি, এসব ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবনা। কেউ চাইলে বিশ্বাস করবেন। না চাইলে ভাববেন আমি মিথ্যে বলেছি।"

প্রমাণ আছে। ফেসবুকে দেখেছি, সম্প্রতি সৌদি আরবে অক্ষত লাশ পাওয়া গেছে। তবে আমার সে রিলেটিভের লাশের ছবি তুলে রাখা হয়নি। যদিও তাঁকে আবার কবর দেয়া হয়েছে।
আমি বলিনি ঘটনাগুলো অলৌকিক। আপনি চাইলে এগুলোকে গল্পও ভাবতে পারেন।


আপনি মিথ্যা বলছেন না সেটা আমি বিশ্বাস করি... ( আপনার আগের লেখাগুলি পড়ে সেই ধারনা আমার হয়েছে)
কিন্তু আপনি ফেসবুকের ছবি দেখে যদি বলেন যে লাশ অনেক বছর পরে অক্ষত থাকে সেটা প্রমান আছে তবে সেটা কিছুটা সাধারন মানুষের মতন ভাবনা হয়ে যায়।

প্রমান/সত্যি এটা খুবই শক্ত একটা বিষয়। (চাদ দ্বিখন্ডিত হয়েছে তার কোন বৈজ্ঞানিক প্রমান নেই... ( আপনি উপরে উল্লেখ করেছেন যে আছে)

ফেসবুকে প্রকাশিত ৯৯.৯৯% জিনিসই ভুয়া.... বিশ্বাস করবেন না। :)

আপনার পারিবারিক বিষয়গুলি নিয়ে ভাবনাগুলি খুবই ভাল,.... সেইগুলি নিয়ে লিখেন... সেই ভাবনাগুলি আপনি আমাদের সমাজের মানুষের দরকার।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনি চাইলে ৪৪ নং মন্তব্যটি দেখে নিতে পারেন।

"আপনার পারিবারিক বিষয়গুলি নিয়ে ভাবনাগুলি খুবই ভাল,.... সেইগুলি নিয়ে লিখেন... সেই ভাবনাগুলি আপনি আমাদের সমাজের মানুষের দরকার।" - ধন্যবাদ।

৪৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

গড়াই নদীর তীরে বলেছেন: শেষ পর্যন্ত কি প্রমাণিত হল?

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনিই বলুন।

৫০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: দ্যা ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দেন ফিকশন । আগে আমার ও বিশ্বাস ছিল না , খুব কাছের একজন মারা যাওয়াতে এবং তার পরের কিছু ঘটনা বিশ্বাস টা নড়বড়ে করে দিয়েছে ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমি বার বার এটাই বলার চেষ্টা করছি - যার যার বিশ্বাস তার তার কাছে। ধন্যবাদ।

৫১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

বিজন রয় বলেছেন: অদ্ভূত বিশ্বাসের পৃথিবী।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি দাদা। কেউ করে, কেউ করেনা। যার যার ভাবনার স্বাধীনতা। ভাবতেই পারে। আস্তিক, নাস্তিক, যার যা ভাবতে ইচ্ছা করে, ভাবুক। যে যার মত যুক্তি দিতে পারে। আমি কোন যুক্তিই দিচ্ছি না। পাঠক ইচ্ছামত ভেবে নিক। ধন্যবাদ।

৫২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: এই পোস্ট টি পড়ে চাঁদগাজীর মাথাটা মনে হয় পুরাপুরি সিস্টেম আউট হয়ে গেছে, হে....হে....হে। মজা ও পা্যলাম খুব। :#) :#) :#)

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: গাজী ভাই বুদ্ধিমান লোক। এত সামান্যতে মাথা আউট হবার কথা না। কে কি বলল তাই নিয়ে...

৫৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বেশির ভাগ অতিরঞ্জিত। হয়তো আপনি করেন নি, আপনার কাছে আসা পর্যন্ত অনেক ডালপালা মেলেছে।
দীর্ঘ লাশ অক্ষত থাকার বিষয়টি আমিও জেনেছি। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে।
এ ধরনের পোস্ট দেয়ারও লোক আছে, তবে আপনাদের অবস্থান থেকে এ ধরনের পোস্ট আসা অস্বস্তিকর।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: মৃত মানুষ জীবিত হবার ব্যাখ্যাও তো আছে। বিজ্ঞানীরাও অনেক অমীমাংসিত রহস্যের কথা বলেন। হুমায়ূন আহমেদ ও লিখেছেন।

লিখলে অসুবিধা কি? আমি তো বিশ্বাস করতে বাধ্য করছি না। আপনি গল্পও ভাবতে পারেন।

৫৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: উপরে দীর্ঘ দিন হবে।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: বুঝেছি।

৫৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


@ইমরান আশফাক ,

কোন অবস্হানে থেকে কি লেখা উচিত, ভাবার প্রয়োজন আছে।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সবাই কি আপনার মত বুদ্ধিমান?

আমি মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য কিছু লিখিনি। আজ অবাস্তব মনে হলেও একদিন নিশ্চয় বিজ্ঞান এ বিষয়গুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দেবে।

সবাইকে ধন্যবাদ। এ বিষয়টি নিয়ে আর কথা বাড়াতে চাচ্ছি না। শুরু থেকেই বলেছি, আপনারা এগুলোকে মিথ্যে বা গল্পও ভাবতে পারেন। একই কথা আবার বলছি। ভাল থাকুন।

৫৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: প্রায় ছোট্টবেলা থেকেই আমি অলৌকিকতায় বিশ্বাস করতে পারতাম না। আমি তখন কলেজে পড়ি। গ্রামের বাজারের পাশে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে আড্ডা দিয়ে রাত্র ২টা ৩৬ মিনিটে বাড়ির পথে ঢুকতেই দেখি সাদা কাপড় পরা উচু এক মহীলা বাড়ির রাস্তায় দাড়িয়ে। আমি অবাক হয়ে বললাম আপনি কে-কথা বলেন-আমি আপনার সাথে কথা বলতে চায়। মহীলা কোন উত্তর দিলনা। ভাল করে খেয়াল করে দেখি একটা কুকুর আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমি পাশ দিয়ে দাড়ালাম। কুকুরটা কাছাকাছি এসে আবার চলে গেল মহীলার দিকে। ভয়ে গায়ের পশম খাড়া দিয়ে উঠছে। বন্ধুর বাড়ি যদি মেইন রোড দিয়ে ফিরে যায় তাহলে কোন অসুভিদা হবেনা। গল্প করেও অবাক করা যাবে সকলকে। কিন্তু অলৌকিক ঘটনাটা নিজের কাছে সত্যি হবে ভেবে-বিষয়টা উৎঘাটনের দরকার বলে মনে করলাম। দেখি কুকুরটা মহীলার ওখান থেকে আবার আবার আমার দিকে আসছে। আমি দ্রুত রাস্তার পাশ থেকে ৩টা ইটের টুকরা হাতে নিয়ে,কুকুরটা ঠিক আমার দুহাত সামনে এলেই তার মাথা বরাবর মেরে দিলাম। তারপর কুকুরটিকে আর দেখা যাচ্ছেনা। ভেবে দেখি সেদিন অমাবষ্যার রাত। গাড় অন্ধকারে তাকালে বিভিন্ন রকম দেখা যেতেই পারে। আমি মহীলাকে আবারও বললাম-আমি আপনার সাথে কথা বলতে চায়। তার উত্তর না পেয়ে আমি তার পাশ দিয়ে বুক ফুলিয়ে হেটে বাড়িতে গিয়ে টর্চ লাইট ও লাঠি নিয়ে পূর্বের স্থানে আবার এসে টর্চ বন্ধ করতেই দেখি একই দৃশ্য। টর্চ জ্বালিয়ে সেখানে গিয়ে দেখলাম-দুরের একটি বাড়ির বাতরুমের বাল্ব এর আলো এমন ভাবে গাছপালার ভেতর দিয়ে রাস্তার ধারের কলাগাছের শুকনা ভাঙ্গা পাতাটার উপর পড়ছে,পূর্বের স্থানে গিয়ে দাড়ালে ঠিক মহীলার সাদা কাপড় পরার মত মনে হচ্ছে। এবং বাতাসে মহীলা (কলাপাতা)নড়াচড়া করছে।
অতএব আমি যদি সেদিনের ঘটনাটা বিশ্লেষন না করতাম তাহলে আপনার গল্পগুলো বিশ্বাসও করতাম আবার রাত্রে বিভিন্ন অলৌকিক স্বপ্ন দেখতাম এবং দিনে দিনে আমি ভূলের ভেতরে চলে গিয়ে চরম ক্ষতি ভোগ করে মারা যেতাম।
এরকম বহু ঘটনা ছোট্টবেলা থেকে শুনে এসেছি। বিশ্বাসই করতামনা। ভাবতাম নিশ্চই লৌকিক কোন যুক্তি নিশ্চই আছে এবং বাস্তবে নিজেই এই ঘটনাটা দেখলাম ও বুঝলাম। ধন্যবাদ

১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপনার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে আমি এই পোস্টের কন্টেন্ট মেলাতে পারছি না..............।খুবই আশ্চর্য হলাম আপনার এই বিষয়ক চিন্তা ভাবনা দেখে.........

১২ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০০

আলপনা তালুকদার বলেছেন:
"ইপিএস হল এক ধরনের বিশেষ ক্ষমতা যা ইন্দ্রিয়ের সাহায্য ছাড়া আরেকজনের অনুভূতি বা মনকে দ্রুত বুঝে নেবার ক্ষমতাকে বুঝায়। ইপিএস (এক্সটা সেনসরি পারসেপশন) বেশ জনপ্রিয় বিজ্ঞান মহলে বিশেষ করে প্যারা-সাইকোলজি নিয়ে যারা গবেষণা করেন তাদের কাছে।এই ধারনাগুলো নিয়ে অনেক সাইন্স-ফিকশন,গল্প-উপন্যাস এবং মুভিও তৈরি হয়েছে অনেক। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সাইন্স-ফিকশন বিশেষ করে সুপার হিরো ভিত্তিক সিনেমা এক্স-ম্যান সিরিজে টেলিপ্যাথি বা ইপিএস ক্ষমতাসম্পূর্ণ চরিত্রগুলো বেশ জনপ্রিয়। তবে এখানে একটা কথা বলে নেয়া যাক ইপিএস বা টেলিপ্যাথির কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বিজ্ঞানীরা এখনও খুঁজে পায়নি।"

তাই আশ্চর্য হবেন না। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.