নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবার বিয়ে এবং একটি জঘণ্য অপরাধ

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৬




বাবার বিয়ে এবং একটি জঘণ্য অপরাধ

আমার পরিচিত একজন ক্ষমতাবান মানুষ দু'বছর আগে বড় বড় ছেলেমেয়ে, বৌ রেখে গোপনে এক সুন্দরী মেয়েকে ( ধরা যাক, তার নাম লিমা) বিয়ে করেছে। সে ক্ষমতাবান বলেই বিষয়টি দু'বছর গোপন রাখতে পেরেছে। তবে যতবড় ক্ষমতাবানই হোক, সত্য বেশীদিন চাপা থাকেনা। থাকেওনি। তার এহেন আচরণে বৌ-বাচ্চারা দিশেহারা। লজ্জা, অপমান, প্রতারণাা, বিশ্বাসঘাতকতা, সামাজিকভাবে হেয় হওয়া..... ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে তারা চরম মানসিক যণ্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েটি পাগলপ্রায়। তার বোবা চোখ, এক সমুদ্র হতাশা আর বুকফাটা কষ্ট আমার আজকের লেখার অনুপ্রেরণা।

আগেকার দিনে পুরুষরা একাধিক বিয়ে করত ধর্ম প্রচারের জন্য। সম্পদ-সংসারের দেখভাল, সন্তান লাভ, পুত্রান্তান লাভ, বা ক্ষমতাবান রাজা বা ধনী পুরুষদের সুন্দরী মেয়েদের প্রতি লালসা থেকে বহুবিবাহের প্রচলন। সব ধর্মে এসব কারণেই বহুবিবাহ জায়েজ।

যৌক্তিক কারণে নারী বা পুরুষের একাধিক বিয়ের বিধান থাকা জরুরী ছিল। যেমন -কারো স্বামী বা স্ত্রী মারা গেলে সে আবার বিয়ে করতে পারে এর ফলে। ইসলাম বৈধ কারণে (যেমন - স্ত্রীর অসুস্থতা, সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা, সাংসারিক কাজে অপারগতা, ইত্যাদি) স্বামীর একাধিক বিয়ের অনুমতি দিয়েছে, তবে তা অবশ্যই সব স্ত্রীর সাথে সমান আচরণ করতে পারার শর্তে, যা অসম্ভব।

আবার ডিভোর্সের পর কোন পুরুষ বা নারী আবার নতুন করে অন্য কাউকে বিয়ে করলে সেটা বৈধ। যদিও অনেক সন্তান বাবা বা মা মারা যাবার পরেও বাবা বা মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেন না। যেমন, এক ছেলে তার মা মারা যাবার পর বাবা বৃদ্ধ বয়সে আবার বিয়ে করেছেন। সেই অপরাধে ছেলে বাবার সাথে সম্পর্ক ছেদ করে বিদেশে চলে গেছে। ভেবে দেখুন, মায়ের মৃত্যুর পরেও যেখানে সন্তানরা বাবার বিয়ে মেনে নিতে পারেনা, সেখানে মা বেঁচে থাকা অবস্থায় বা মাকে ডিভোর্স না দিয়ে বাবা আবার বিয়ে করলে সন্তানরা সেটা মেনে নেবে কিভাবে? আর মা???

বহুবিবাহের বিধান থাকার সবচেয়ে খারাপ দিক হল, স্ত্রীর জন্য এটি একটি ভয়াবহ মানসিক নির্যাতন, সন্তানদের জন্য তো বটেই। আমার মনে হয় পৃথিবীতে মেয়েদের প্রতি যত বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়, তারমধ্যে মানসিক দিক থেকে সবচেয়ে নির্মম হল স্ত্রীর উপস্থিতিতে স্বামীর একাধিক বিয়ে। দ্বিতীয় বিয়ে করামাত্র প্রথম স্ত্রী যে ভয়াবহ মানসিক কষৃট পায়, তাতে "সব স্ত্রীর সাথে সমান আচরণ করার" শর্ত ভেঙ্গে যায়। তাহলে কি দ্বিতীয় বিয়ের বৈধতা থাকে?

এখনও আমাদের সমাজে কোন কারণ ছাড়াই অনেক পুরুষরা দ্বিতীয়, তৃতীয়,... বিয়ে করে। সুন্দরী স্ত্রী, পুত্র, কন্যা সব আছে। তবু ক্ষমতা বা টাকার দাপটে স্রেফ যৌন লালসা মেটানোর জন্য কেউ গোপনে, কেউ প্রকাশ্যে বিয়ে করে। এরা একবারও ভাবেনা, তার আগের পরিবারের লোকগুলার কি দশা হবে? তারা কতটা মানসিক কষ্ট পাবে?

আবার হরহামেশাই দেখা যায়, বিবাহিত নারী বা পুরুষ পরকীয়ায় জড়ান। তখন তাদের সামনে ৩ টি বিকল্প থাকে। যথা -

১. তখন অনেকে সাহস করে বর্তমান সঙ্গীকে তালাক নিয়ে পছন্দের মানুষকে পুনরায় বিয়ে করেন।

২. আবার বেশীরভাগ মানুষ সমাজ, পরিবার সন্তানের কথা ভেবে নিজেকে সংযত করেন।

৩. কেউ কেউ এ দু'টোর কোনটাই না করে গোপনে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যায় এবং তারা বৌ-বাচ্চার সাথে প্রতারণা করে।

যখন কোন স্বামী বা স্ত্রী বুঝতে পারেন যে, তার সঙ্গী অন্য কারো প্রতি আসক্ত, (তখন তাদের মধ্যে সুস্হ ও স্বাভাবিক সম্পর্ক থাকেনা। এ অবস্থা কারো জন্যই ভাল নয়।) তখন তার করণীয় কি? সমাজ-সন্তান-নিরাপত্তার কথা ভেবে তীব্র মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করে ভালবাসাহীন বিবাহিত জীবন চালিয়ে যাওয়া? নাকি বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সঙ্গীকে পরিত্যাগ করা?

আসুন জানি, এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞান কি বলে?

একটা শিশুর দেহ ও মনের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য সুস্থ ও স্বাভাবিক পারিবারিক পরিবেশ খুবই জরুরী। মায়ের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা (গর্ভকালীন ও জন্ম পরবর্তী সময়ে) শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশকে চরমভাবে প্রভাবিত করে।

মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে প্রমাণ করেছেন যে, শিশুদের সুষ্ঠু মানসিক বিকাশের জন্য ভগ্নগৃহ বা ব্রোকেন হোমের (পরিবারে মৃত্যু, বিবাহবিচ্ছেদ, সেপারেশন বা ডিজারশনের কারণে স্বামী বা স্ত্রী যে কোন একজনের অনুপস্থিতি) চেয়ে কলহপূর্ণ পরিবার ( যে পরিবারে বাবা-মা অধিকাংশ সময়ে কলহে লিপ্ত) অনেক বেশী ক্ষতিকর।

বাবা-মার ঘন ঘন কলহ শিশুর মনে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। কেননা তার নিরাপত্তা বিধান ও স্বার্থ রক্ষারর একান্ত আশ্রয়স্থল (বাবা-মা) সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে পড়ে। বাবা-মার দ্বন্দ্ব শিশুর আত্মদ্বন্দ্বে পরিণত হয়, যার মীমাংসা সে করতে পারেনা। পরিণামে শিশুর চরম মানসিক বিপর্যয় ঘটে।

বাবার দৈহিক ও মানসিক নির্যাতনে মা যখন কষ্টে থাকে, তখন সে সন্তানদের দিকে প্রয়োজনীয় মনোযোগ দিতে পারোনা। ফলে শিশুরা হতাশা, ভয়, নিরাপত্তাহীনতা, অপরাধবোধ, স্নেহবঞ্চনা, দুশ্চিন্তা... এসবে ভোগে।

বাবা-মার মধ্যে কলহপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে বড় হলে শিশুদের নানারকম মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রচণ্ড মানসিক চাপ থেকে নানা মানসিক সমস্যা ও রোগ যেমন- দূর্বল ব্যক্তিত্ব, পরনির্ভরশীল, নানা পরিবেশ ও মানুষের সাথে সঙ্গতিবিধানের অক্ষমতা, কাউকে বিশ্বাস করতে বা ভালবাসতে না পারা, ট্রমা, এংজাইটি, ক্রনিক ডিপ্রেশন, ফোবিয়া, অবসেসিভ এন্ড কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, পোস্ট ট্রমেটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার... ইত্যাদি হতে পারে।

পিতা-মাতার প্রত্যাখ্যান ( Parental Rejection) শিশুর জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। পরকীয়া বা দ্বিতীয় বিয়ে বা অন্য কোন কারণে সন্তান বাবামার কাছে অবাঞ্ছিত হলে তারা সন্তানের প্রতি অতিরিক্ত ঔদাসীন্য ও অনীহা প্রদর্শন করে। একে নিষ্ক্রিয় প্রত্যাখ্যান ( Passive Rejection) বলে। আবার কখনও বাবামা সন্তানের প্রতি রূঢ় ও উৎপীড়নমূলক আচরণ করতে পারে। একে সক্রিয় প্রত্যাখ্যান ( Active Rejection) বলে। এ উভয় প্রত্যাখ্যানই শিশুর উপর অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। তারা সমস্ত জগত সংসারকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর স্থান মনে করে। এরূপ পীড়নমূলক অবস্থায় নিজেকে সম্পূর্ণ অসহায় বোধ করে, তার সামাজিক অভিযোজন প্রক্রিয়া বিপর্যস্ত হয়। পরিণামে বিভিন্ন মানসিক গোলযোগে আক্রান্ত হয়।

কৃত্রিম পরিবেশ ( যেখানে সামাজিক কারণে বাবা-মা সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেন, প্রকৃতপক্ষে তাদের মধ্যে কোন সুসম্পর্ক থাকেনা) ও শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

হুমায়ূন আহমেদের ছেলে নুহাশের লেখা আমি পড়েছি। এত আপন যে বাবা, দ্বিতীয় বিয়ে করার পর কিভাবে একটু একটু করে সেই বাবাই পর হয়ে যায়, তার কষ্টকর অভিজ্ঞতার বর্ণনা আছে তার লেখায়।

পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে নর-নারী প্রেম করে, উভয়ের সম্মতিতে সেক্স করে, লিভ টুগেদার করে, বিয়েও করে। কিন্তু যখন বুঝতে পারে দু'জনের মধ্যে আর ভালবাসা নেই, ওরা উভয়ের সম্মতিতে ডিভোর্স নেয় বা ব্রেকআপ করে। আমাদের মত দিনের পর দিন ভালবাসার, ভালথাকার অভিনয় করেনা। ওরা ভীষণ সৎ। একটি সম্পর্কে থাকাকালীন অন্য্ সম্পর্কে জড়ায়না। মানে, একই সাথে একাধিক প্রেম বা পরকীয়া করেনা। আমরা করি।

মূল কথা হল, আমাদের সমাজে মানুষের ইচ্ছার স্বাধীনতা কম। সেজন্যই পরিবার ছেলে বা মেয়েকে জোর করে অপছন্দের কারো সাথে বিয়ে দেয়। ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামীর নির্যাতন, পরকীয়া, বহুবিবাহ.. সহ্য করে আমরা সংসার করি। তালাক দেইনা। ছেলেরা অবশ্য বৌ পছন্দ না হলে তালাক দেয়, দিতে পারে।

হুমায়ূন আহমেদ গুলতেকিনকে তালাক দিয়ে শাওনকে বিয়ে করার পর দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছিল এ কারণে যে, হুমায়ূন আহমেদের মত বিচক্ষণ, বয়স্ক ও শ্রদ্ধেয় মানুষ বৌ-বাচ্চা রেখে মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করেছেন। আমাদের সমাজ বিবাহবিচ্ছেদকে মেনে নিতে চায়না, বিশেষ করে নারী বা পুরুষের বয়স বেশী হলে বা সন্তান থাকলে। অর্থাৎ হুমায়ূন আহমেদ বিয়ে না করে শাওনের সাথে পরকীয়া চালিয়ে গেলে কারো তেমন আপত্তি হতনা, যেমন গোপনে বিবাহিত পুরুষরা পতিতালয়ে গেলে, কাজের মেয়ের সাথে সেক্স করলে বা পরকীয়া করলে কারো কিছু বলার থাকেনা। সবাই শাওনকে দুষতে ভালবাসে, সব দোষ শাওনের, কারণ সে মেয়ে। সবাই মনে করে, শাওনের বিয়ে করতে রাজী হওয়া ঠিক হয়নি। পুরুষতো চাইবেই। শাওন জেনেশুনে অমন লোককে বিয়ে করতে রাজী হবে কেন? তার কি আর বর জুটছিল না?

গুলতেকিন অনেক আগেই টের পেয়েছিলেন, হুমায়ূন আর তাকে ভালবাসেন না। এরকম পরিস্থিতিতে আমরা সামাজিক কারণে বিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করি। এটি শিশুদের জন্য বেশী ক্ষতিকর।

ভারতীয় অভিনেতা আমীর খান যখন কিরণের সাথে সম্পর্কে জড়ান, তখন তিনি তাঁর দুই ছেলে ও প্রথম স্ত্রী রীণার সাথে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। পরে সবার সম্মতিতে মিউচুয়াল ডিভোর্স হবার পর আমীর কিরণকে বিয়ে করেন।

আমীর খান গোপণে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারতেন। তাতে সমাজ খুশী হত, রীণা বা আমীর (হুমায়ূন ও গুলতেকিন) সুখী হতেন না। বৈবাহিক সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি ভালবাসা না থাকলে শুধু দায়িত্ববোধের কারণে একসাথে বাস করলে সেটা কারো জন্যই ভাল নয়।

আমার ভাবনার বিষয়টি হল, আমাদের সামাজিক ব্যবস্থায় আমরা জেনেশুনে পুরুষের এই যৌন লালসাকে প্রশ্রয় দেই আর্থ-সামাজিক কারণে। যেমন - লিমার পরিবার সব জেনেশুনে বিয়ে দিয়েছে। লিমাও বিবাহিত, বয়স্ক এবং তিন সন্তানের জনককে বিয়ে করতে আপত্তি করেনি টাকার লোভে। অসহায় কোন মেয়ে বাধ্য হয়ে এরকম বিয়েতে রাজী হলে তাকে দোষ দেয়া যায়না। কিন্তু লিমা অনায়াসে কোন অবিবাহিত ছেলেকে বিয়ে করতে পারতো, যেহেতু ঐ লোকের সাথে তার তেমন কোন সম্পর্ক ছিলনা। তার কোন দায় ছিলনা এমন লোককে বিয়ে করার। লিমা আপত্তি করলে ঐ পরিবারটার এমন দূর্গতি হতনা।

আবার ঐ ক্ষমতাবান লোকের প্রতি কোন অভিযোগ থাকতো না যদি সে আমীর খানের মত করতো। তাহলে তার পরিবার এতটা কষ্ট পেতনা। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হল, সব জানার পরেও তার প্রথম স্ত্রী তাকে ছাড়েনি। এটিই মূল কারণ যার ফলে পুরুষরা এমন অন্যায় করে, করতে পারে, ভবিষ্যতেও করবে। তারা খুব ভাল করে জানে, তারা যাই করুক, স্ত্রীদের পক্ষে স্বামীকে ছাড়া কতটা কঠিণ!!!

আমার ভীষণ খারাপ লেগেছে যে, অনেক চেষ্টা করেও আমি ঐ নির্দয় বাবার মেয়েটিকে বিন্দুমাত্র সান্ত্বনা দিতে পারিনি। আমার কোন কথাই তাকে লেশমাত্র স্পর্শ করেনি। করার কথাওনা। এতবড় শোক এত সহজে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।

এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলল, "দোস্ত শোন। তোকে একটা গল্প বলি। এক ভদ্রলোকের দুই বৌ ছিল..."। বন্ধুকে থামিয়ে দিয়ে অপর বন্ধু বলল,"দূর! ভদ্রলোকের আবার দুই বৌ হয় নাকি?"

খুব খুব ভাল থাকবেন বন্ধুরা। আর ঐ মেয়েটির জন্য দোয়া করুন। সে যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে তাড়াতাড়ি।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সহজ সরল ভাবে মতামত দেয়াটা কঠিন। আপনার লেখাতেই দুই পক্ষেরই যুক্তি তুলে ধরেছেন। মানে, গোপনে পরকীয়াও খারাপ আবার বৈধভাবে বিয়ে করাও ভালো চোখে দেখছে না সমাজ। ইসলামে ৪ বিয়ের অপব্যবহার করছে অনেকে। আপনার লেখাতেই বলেছেন, লোকটা ক্ষমতাবান। তাহলে বুঝে নিতে হবে প্রথম স্ত্রীর সাথে শারীরিক বা মানসিক সমস্যা ছিল। ক্ষমতাবানরা সাধারণত উদার হন না ( এক স্ত্রীর জন্য জীবন পার!)। যেমন পারেননি হুমায়ুন আহমেদ। যাদের ক্ষমতা কম তারা শুধু মাত্র সন্তানদের কথা ভেবে সম্পর্ক ভাঙে না। তবে আগামী ১০/১৫ বছর (হয়তো বা এখনও সামান্য পরিমাণে) পর হয়তো সন্তানরা বাবা মার মধ্যে ঝগড়া বা দাম্পত্য কলহ থাকলে বাবা বা মাকে বিচ্ছেদের পথে যেতে উৎসাহিত করবে। মিডিয়াতে তো এখন তারকারা সন্তানদের কথাও বলেন। যেমন - বিজরী যখন দিনারকে বিয়ে করবে তখন নাকি তার মেয়ের সাথে পরামর্শ করেছিল...

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। তবে সবচেয়ে ভাল হয় আলোচনা করে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া, তাতে আকষ্মিক আঘাতের পরিমাণটা কম হয়। ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: মন খারাপ হয়ে যাওয়া লিখা। এখানে পরাজিত হয়েছেন বাবা। তিনি সন্তানদের বিশ্বাস হারিয়েছেন। ভবিষ্যতে এর ফল তিনি পাবেন। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু হয়েছে নাকি চেয়ার থেকে পড়ে। অপারেশনের পরে যখন উনার সেবা প্রয়োজন ছিল, তখন রীতিমত পার্টি দিয়ে মানুষ ডাকা হয়। এইসব নিয়ে একসময় বেশ লেখালেখি হয়েছে। স্ত্রী পরিবার রেখে দ্বিতীয় বিয়ে মানুষের জীবনে সুখনীয় কিছু বয়ে আনে না।

সন্তানদের করনীয় একটিই। নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করা। মানুষের মত মানুষ হিসেবে সমাজে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা। তখনই দ্বিতীয় সংসারের মোহাবিষ্ট বাবা বুঝতে পারবেন সন্তানদের অবহেলা করার মত জঘন্য বিষয় আর নেই।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সবাই কিন্তু বোঝেনা। যাইহোক। আমরা তাই আশা করি। ভাল বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আরেকটি কথা। আপনি ইসলাম সহ অন্যান্য ধর্মের কথা লিখলেন একাধিক বিয়ের বিষয়ে। বাস্তবতার কথা বিবেচনা করে একাধিক বিয়ের বিষয়টির অনুমতি রয়েছে। কারন অনেক নারীই তালাক নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন না বা করতে চান না।

ইসলামে সমতা ছাড়াও আরেকটি বিষয় রয়েছে দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে। তা হল বিত্ত। বিত্তবানরা একাধিক স্ত্রী রাখতে পারেন। বিত্তহীন পুরুষরা একাধিক বিয়ে করতে চাইলে আইন তাতে বাধা দিতে পারে যদিও তারা সমতা রক্ষা করতে সক্ষম। বিত্তবান পুরুষের পরবর্তী বিয়ে প্রথম স্ত্রীর জন্য কষ্টদায়ক কিন্তু ইসলাম তা অনুমোদিত। বিচ্ছেদও তেমনি একতরফা হতে পারে যদিও তা অন্যপক্ষের কাছে হৃদয়বিদারক।

বিচার মানি তালগাছ আমারের মত আমারো মনে হচ্ছে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি সম্পূর্ন সুখী ছিলেন না। সন্তানের মুখ চেয়ে জীবনের অপূর্নতাকে মেনে নেয়ার মানসিকতা সাধারনভাবে পুরুষদের কিছুটা কম। এজন্য আমরা নারীরাও কিছুটা দায়ী। ছেলে সন্তানদের এমনভাবে বড় করি যেন তাদের জন্য গোটা দুনিয়া বরাদ্দ করে দেই।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক আপা। এটাই দায়ী। পুরুষরা একারণেই নিজেদের ক্ষমতাবান ভেবে যা খুশী করে। আবারো ধন্যবাদ।

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৯

কানিজ রিনা বলেছেন: মানুষ নাকি বানরের জাত বানরের বিবর্তনে
মানুষের আকৃতি হয়েছে। তাই কিছু পুরুষ
বানরের মত অনেক সঙ্গি পছন্দ করে।
যদিও আমি ডারউইনের বিবর্তন বিশ্বাস
করিনা তথাপি তোমার লেখায় বানরের
আচরন মানুষগুলকে না বলে পারলাম না।

একদিন আমার এক বান্ধবী স্কুলের হেড
ম্যাডাম আমাকে বলল বেশির ভাগ পুরুষরাই
এক নারীতে খুশিনা। তখন আমি বললাম
তাহলে বানর থেকে বিবর্তন মানুষ সত্য।
বান্ধবী হেসে বলল। আদমের বংশ থেকে
মানুষ গুল ভাল। আর বানর থেকে বিবর্তন
হয়ে যে মানুষ গুল হয়েছে তারা ভাল
মানুষের সাথে যোগ দিয়ে সমাজ নষ্ঠে
লিপ্ত। কারন বাবা মা একসাথে সুচ্ছৃংখল
জীবনে সন্তান পালন না করলে সন্তানরা
কখনও সুচ্ছৃংখল হয়না।
কুকুরও বাবা হয় কিন্তু বাবার পরিচয় বহন
করেনা ঠিক পতিতা লয়ে যাদের আসা
যাওয়া তারা পতিতার সন্তানের কুকুর পিতা।
স্টেশনে রাস্তাঘাটে যেসব পথশিশুর বেনামী
বাবা হয়ত আছে তারাও কুকুর পিতা হয়ত
আছে অন্য কোথাও অন্য নারীর পতি হয়ে।
তবে পুরুষের জাতভাই কখনও জানেনা
তাদের সতীত্ব আছে। আর থাকলেও সাত
ঘর মারলেও তা এটো হয়না। ঘরে পরিবারে
নিরদিধায় তারা দুধে ধোয়া।

আর তো কথায় আছে পুরুষ স্বামী যত
দাজ্জাল হোক পায়ের তলে স্বগ্গ। এই সেই
দেশ ভারত উপমহাদেশ প্রাচীন দেশ আজও
অশিক্ষীতরা বিশ্বাস করে স্বামীর পায়ের তলে
স্বগ্গ।

বলতে বলতে অনেক কথা উঠল আসলে
আমাদের সমাজের পরোকীয়ার পচন কোন
দিন ভাল হবে আশা করাই হতাশা। আমার
স্বামী পরোকীয়া করতে করতে লাস্টে এসে
কাজের চাকরানী নিকাহ্ করিয়াছে হা হা হি
তাই ভাবি আমার মেয়েটার কপাল কেমন
হবে। মেয়েটা একদিন বলল আমার বাবার
মত যদি হয় প্রমান পাওয়ার সাথে সাথে
ডিভোর্স নামা লিখে দিবো। কারন আমি
সক্ষম। খুব বিশ্লেশন মুখি লেখা এক কথা
দারুন। অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সত্যি কথা আপা। খুবই দুঃখজনক। ওদের মানসিকতা বদলায়না।

ধন্যবাদ আপা। ভাল থাকুন।

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


যুক্তিও কম, কথাও বেশী নেই, টেনেটুনে অনেক লম্বা করে ফেলেছেন।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:৩০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সরি। ভাল হত আপনাকে দিয়ে এডিট করাতে পারলে।

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:১০

মিঃ আতিক বলেছেন: যেখানে সামাজিক বন্ধন গুলোকে পরোয়া করার প্রয়োজন পড়েনা সেখানকার মানুষ খুব ভালো আছে এটা বলা যায় না। আমাদের দেশে একজন ৫০ বছর বয়সী লোকের স্ত্রীর বয়স হয় ৪০-৪২, যদি সামাজিক বাধা না থাকে এই বয়সী একটা মহিলাকে ছেড়ে দিয়ে নতুন কারো সাথে প্লেজারের সুযোগ থাকলে সেটা অনেকেই নিতে চাইবেন। ঘুরে ফিরে একটা কথাতে আসতে হচ্ছে ধর্মীয় প্রয়োজন ছাড়া বাকি একাধিক বিয়ে গুলোকে বিতর্কের উরধে রাখাটা সময় কাল পাত্রের উপর নির্ভর করবে।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:৩২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। ধন্যবাদ।

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: জবাবে ব্লগার আল্পনা তালুকদারের "বাবার বিয়ে এবং একটি জঘণ্য অপরাধ"


২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ?

৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

স্বতু সাঁই বলেছেন: ধর্মের বিবাহ প্রথাকে মানি, কিন্তু ধর্মের দেওয়া বহু বিবাহ মানি না। বিষয়টা দ্বান্দ্বিক নয় কি? বিবাহ প্রথাকে মানি, কারণ নারীর ভরণ-পোষণের নিশ্চয়তা দিয়েছে। কিন্তু বহু বিবাহ মানি না, কারণ এক ছত্র রাজত্ব থাকবে না বলে। বিচার মানি, তবে তালগাছ আমার। নারীদের স্বভাবটা মনে হয় এমন তাই না? অবশ্য আপনার লিখার বর্ণনার উপর ভিত্তি করে বলছি।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: বৈধ কারণ (যেমন - স্ত্রীর অসুস্থতা, সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা, সাংসারিক কাজে অপারগতা, ইত্যাদি) স্বামীর একাধিক বিয়ের অনুমতি দিয়েছে, তবে তা অবশ্যই সব স্ত্রীর সাথে সমান আচরণ করতে পারার শর্তে, যা অসম্ভব।

এটা ধর্মেরই বিধান। আমরা মেয়েরা বানাইনি। প্রথম স্ত্রীর কাছে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে কতটা অমানবিক ও কষ্টকর তা স্বামীরা বুঝতেন যদি বউরা এমন করতেন। মাঝরাতে বউয়ের মোবাইল বেজে উঠলেই যেখানে স্বামীদের শরীরের সবকটা লোম খাড়া হয়ে যায়, সেখানে....

ধন্যবাদ। ভাল থাকুন। এমন কোন কষ্ট আল্লাহ আপনাকে না দিক, সেই দোয়া করি।

৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: পড়েন নি বুঝি ?

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: পড়েছি। হা হা হা!! ধন্যবাদ।

১০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১০

স্বতু সাঁই বলেছেন: তিব্বত কামরুক্ষায়, এক নারী বহু পতি ধরে। এটাই সেখানকার বিধান। এক নারী বহু পতি ধরায় পুরুষ পতিদের কোন সমস্যার কথা শুনি নি। কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে সেটা হয় কেন?

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনিই বলেছেন,। "এটাই সেখানকার বিধান।" মানুষ ছোটবেলা থেকে যে নিয়ম দেখে, সেটা মানতে তার কোন আপত্তি হয়না। আমরা না মানলেও গারোদের সম্পদ থাকে মেয়েদের নামে। এমন হাজার নিয়মের কথা বলা যাবে। ধন্যবাদ।

১১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

স্বতু সাঁই বলেছেন: মানুষ ছোটবেলা থেকে যে নিয়ম দেখে, সেটা মানতে তার কোন আপত্তি হয়না।

তাহলে তো মুসলিম নারীদের আপত্তি থাকার কথা না। এটাই তারা ছোটবেলা থেকে দেখে আসছে, পুরুষরা বহুবিবাহ করতে পারে।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: মেনেছে তো। ইসলাম প্রচারের শুরুতে ছিল এমন নিয়ম। এখনও অনেক মুসলিম দেশে মানে। সেজন্যই তো আপনি জুয়ায় পাঁচ বউ হারতে পারেন। আমাদের পূর্ব পুরুষরাও তো তাই করতেন। তখন কি মানেনি? এখন মানেনা। কারণ এখন নানা আইন হয়েছে। আমরা আর ওসব দেখে অভ্যস্ত নই। তাই কষ্ট লাগে।

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:১১

স্বতু সাঁই বলেছেন: চার বিয়ের সামর্থ থাকলে তো আইনেও কোন বাঁধা নেই। আপনি বাঁধাটা কোথায় দেখছেন? আমার পরিচিত একজন ক্ষমতাবান মানুষ দু'বছর আগে বড় বড় ছেলেমেয়ে, বৌ রেখে গোপনে এক সুন্দরী মেয়েকে ( ধরা যাক, তার নাম লিমা) বিয়ে করেছে।

যিনি ক্ষমতাবান, তাঁর চার বিয়ে করার সামর্থ নিশ্চয় রয়েছে। অতএব তার বউ ওকণ্যার আপত্তি থাকার কথা নয়। তাই এই বিষয় নিয়ে হৈ হৈ রৈ রৈ এর কিছুই দেখি না। আসলে মেয়েরা মেধাহীন, তাই তাদের প্রতিভা চেনার ক্ষমতা নাই তাই পুরুষের উপার্জিত অর্থে বসে বসে অন্ন ধ্বংস করা ছাড়া এরা কিছুই বোঝে না। একটুতেই নাকে কান্না ছাড়া এরা অন্য কিছু জানে না। আরে বাবা যে লোকটা এতো খাটা খাটনি করে অর্থ উপার্জন করে, তারও তো মনে খায়েশ আছে। করলো না হয় তিন চারটে বিয়ে তাতে বউদের ছেলে মেয়েদের আপত্তি কেন। কারণ বউরা তো কামাই করে খাওয়াবে না। যে মজা মারবে সে ঝালে বুঝবে, কামাই তাকেই করতে হবে, ভরণ-পোষণ তাকেই দিতে হবে।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: শুধু সম্পদ থাকলেই হবেনা, "সমান আচরণ" করতে হবে, যা অসম্ভব। মেয়েরা চায়না কারণ ২য় বিয়ে করলেই আর সম আচরণ থাকবেনা। মেয়েরা এ আইন বানায়নি, আল্লাহ বানিয়েছেন। আল্লাহ একাধিক বিয়ের শর্ত এত কঠিণ করেছেন, যেন লোকে তা করতে না পারে। আবার ২য় বিয়ের সুযোোগও রেখেছেন কারণ কেউ মারা গেলে, তালাক হলে বা স্ত্রী যৌন সম্পর্ক চালিয়ে যেতে অক্ষম হলে যাতে মানুষ ২য় বিয়ে করতে পারে।

ইসলাম শান্তির ধর্ম। তাই কারো মনে কষ্ট দেওয়াকে অনুচিত মনে করে। তবে নাস্তিকেরা বলে যে, কোথাও কোথাও নারীর প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। যেমন, সামর্থ্য থাকলেই যদি পুরুষ একাধিক বিয়ে করতে পারে, তাহলে, সামর্থবান মেয়েদের সে অধিকার দেয়া হয়নি কেন? বেহেশ্তী পুরুষ ৭০ হুর পেলে নারী কেন নয়?

যাইহোক, ধন্যবাদ।

১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

স্বতু সাঁই বলেছেন: সামর্থবান মেয়েদের সে অধিকার দেয়া হয়নি কেন? বেহেশ্তী পুরুষ ৭০ হুর পেলে নারী কেন নয়?

তাহলে তো সকল নারীরা আল্লাহর কাছে জোর দাবী জানাতে হবে, হে আল্লাহ তুমি জলদি জলদি আর একটা নবীকে ওহি দিয়ে পাঠাও যেন নারীরাও বহু পতি ধরতে পারে এবং বেহেস্তে হুরার মত পুরুষ সেবেদাস ৭০টা করে যেন পায় সে ব্যবস্থা করে দেও। তবে সে গুড়ে বালি। কারণ আল্লাহ কোন নবী পাঠাবে না বলে ঘোষনা দিয়ে দিয়েছেন। এখন যদি মুসলমান কোন নারী বহুবিবাহ করে তবে সে ব্যভিচারী বলে বিবেচিত হবে। যদি নারী আইন মানে তবে নারীকে এই আইনও মানতে হবে। পুরুষকে মৌজমাস্তি করার সৌভাগ্য দান করেছেন আল্লাহ। তাহলে আইন করে কি তা রোধ করা সম্ভব। তাহলে তো মুরতাদ নাকি মুরদাদ কি জানি বলে তা হতে হবে।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনি আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করছেন। আমি বলিনি মেয়েরা বহুবিবাহ করতে চায় বা ৭০ হুর পেতে চায়।
"পুরুষকে মৌজমাস্তি করার সৌভাগ্য দান করেছেন আল্লাহ" - আপনার এ কথাটিও ঠিক নয়। পুরুষ ২য়, ৩য় বিয়ে করে যদি বউদের সাথে সম আচরণ করতে না পারে, জুয়ায় বন্ধক রেখে হেরে যায়, আগের বউ, বাচ্চাদের মনে কষ্ট দেয়,... তাহলে কেয়ামতের দিন মৌজমাস্তি কারে কয় হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দেবেন। ধন্যবাদ।

১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: কারণ ২য় বিয়ে করলেই আর সম আচরণ থাকবেনা।

গাছে কাঁঠাল দেখে আগেই গোঁফে তেল লাগিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না। কাঁঠালটা পাকার সময় তো দিতে হবে।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আকালমান্দ কে লিয়ে ঈশারাহি কাফি হোতা হ্যায়। ধন্যবাদ।

১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: পুরুষ সকল ভার বহন করবার সামর্থ রাখতে পারবে বলেই তিনি বুঝে শুনেই পুরুষকে সে সৌভাগ্য দিয়েছে। আল্লাহকে আণ্ডার এস্টিমেট করাটা ঠিক না। যদি কেউ আল্লাহর বরখেলাপ করে সে তো সাস্তি পাবে সেটা আল্লাহ বলেছেন। তাই বলছি আল্লাহ যেহেতু পুরুষকে সৌভাগ্যবান করে গড়েছে সেহেতু পুরুষকে ভোগ করতে দিন না। তাতে বাঁধা দিলে আল্লাহ বলবে, দেখো দেখো ও ঈর্ষায় ভুগছে।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনি আপনার নিজের বক্তব্যকেই কনট্রাডিক্ট করছেন। আপনি বলেছেন,

"পুরুষ সকল ভার বহন করবার সামর্থ রাখতে পারবে বলেই তিনি বুঝে শুনেই পুরুষকে সে সৌভাগ্য দিয়েছে।" তারমানে বহুবিবাহ করার সামর্থ্য শুধু পুরুষের আছে।

আবার আপনিই বলেছেন, "তিব্বত কামরুক্ষায়, এক নারী বহু পতি ধরে। এটাই সেখানকার বিধান।" তার মানে মেয়েরাও বহুপতি রাখতে পারে।

আল্লাহকে আন্ডারএস্টিমেট আপনি করছেন। তাঁর কাছে নারীর সম্মান ও ক্ষমতা দুটোই বেশী।

১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

স্বতু সাঁই বলেছেন: এতো কম বুঝলে তো চলবে না। তিব্বত ও কামরুক্ষার লোকজন তো মুসলমান না যে তাদের ঈশ্বর আল্লাহ। আমি যা বলেছি তা তো আল্লাহ বিধান, মুসলমানের জন্য। আগে পড়ে ভালো করে বুঝুন, তারপরে উত্তর দিন।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন:

আমি বুঝেই বলেছি। আপনি বলেছপন, "তাই বলছি আল্লাহ যেহেতু পুরুষকে সৌভাগ্যবান করে গড়েছে সেহেতু পুরুষকে ভোগ করতে দিন না।" তারমানে আপনি বলছেন, মেয়েদেরকে আল্লাহ সেভাবে গড়েননি। আমি আপনার তিব্বতের উধৃতি দিয়েছিলাম কারণ মেয়েদের সেভাবে না গড়লে পৃথিবীর কোন মেয়েরই ( সে যে ধর্মেরই হোক না কেন) বহুপতি রাখতে পারার কথা না।

তিব্বতের মেয়েরা (বা আরো কোথাকার) যেহেতু পারছে, তারমানে আপনার যুক্তি ঠিক না।

১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১

স্বতু সাঁই বলেছেন: যাক, তালগাছটা দিয়ে গেলাম। ধন্যবাদ, শুভকামনা রইলো।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার জন্যও শুভকামনা। ভাল থাকুন।

১৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "ধর্মের বিবাহ প্রথাকে মানি, কিন্তু ধর্মের দেওয়া বহু বিবাহ মানি না। "

@স্বতু সাঁই, বহু বিবাহ পতিতাবৃত্তি রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে বলে তা ধর্মীয় দৃষ্টিতে গ্রহনযোগ্য। কিন্তু একাধিক বিয়ে একটি বালির বাধের মত, যেখানে সম্পর্কটা শুধু দেনা পাওনার। সেইখানে ধর্মের করনীয় অংশ তেমন একটা নেই। আরব দেশ বা পশ্চিমা দেশে যেখানে বহুবিবাহ প্রচলিত সেখানে নারীরাও যথেষ্ঠ বহুগামী। পার্থক্য শুধু এই যে আরব বা সেরকম বহুগামী পরিবেশের নারীরা একসাথে একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারে না। কিন্তু বিচ্ছেদ এবং নূতন করে সম্পর্ক করার বিষয়টি খুবই সাধারন।

আপনি তিব্বত এলাকার নারীদের কথা টেনেছেন। কিন্তু সেটা ব্যতিক্রম।

প্রকৃত সত্য হল সেক্স ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়োজিত যৌন কর্মীরা সাধারন ভাবে নারী। পুরুষদের সে পেশায় দেখা যায় শুধু দালালের ভূমিকায়।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনার সাথে সহমত। অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি তুলে ধরার জন্য। তবে একটু যোগ করি। এখন দেশে দেশে পুরুষ যৌনকর্মী ও প্রচুর। আমাদের পাশের দেশ ভারতের কথা বলি। কিছুদিন আগে একটি টিভি রিপোর্টে দেখলাম, ভারতের উচ্চবিত্ত ঘরের মেয়েরা পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া করছে আশংকাজনক হারে। ইউরোপের সমকামী ক্লাবগুলোতে পুরুষ যৌনকর্মী ও সমকামী পুরুষরা কাজ করে। আবার আমাদের দেশ সহ অনেক দেশে এখন হিজড়ারাও যৌনকর্মী।

১৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ নিজের দ্বিতীয় বিয়ের পর কোন এক সময় তার মেয়ে শীলা কে বলেছিল "পৃথিবীতে খারাপ মানুষ অনেক আছে, কিন্তু একজনও খারাপ বাবা নেই".........নিশ্চয়ই তিনি তখন তার ভুল বঝতে পেরেছিলেন।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ ২য় বিয়ের পর তাঁর অনেক লেখাতেই ওনার কষ্টের কথা লিখেছেন। শাওনকে বিয়ে করার কারণে তাঁর আগের চার সন্তানের সাথে সম্পর্ক খারাপ হবার কষ্ট। যাদের সঙ্গত কারণে ডিভোর্স হয়, তারাও সন্তানোর সাথে তাদের সম্পর্কের অবনতির কারণে কষ্ট পান, তেমনি পায় সন্তানরাও। কখনও কখনও আগের স্বামী বা স্ত্রীর জন্য কষ্ট হয়না। বরং অসুখী জীবন যাপনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে আনন্দিত হন।

যাইহোক। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

২০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

রওশন_মনি বলেছেন: উল্লেখিত মনোবিজ্ঞানের কথাগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আপা। ভাল থাকুন।

২১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৪

স্বতু সাঁই বলেছেন: ধর্মের বিবাহ প্রথাকে মানি, কিন্তু ধর্মের দেওয়া বহু বিবাহ মানি না।

@উম্মু আব্দুল্লাহ

ভেবেছিলাম এই ব্লগ পোস্টে আর কোন মন্তব্য করবো না, কারণ স্বেচ্ছায় আমি তালগাছটা আল্পনাকে দিয়ে চলে গিয়ে ছিলাম। আমি বলি না, মেয়েদেরকে আল্লাহ নাকি মাটি-কাদা দিয়ে আদমের মত করে বানান নি। তিনি একটু বাই পাস করে বিনেছিলেন যা আদমের পাঁজরের হাড় দিয়ে। এটা আমার কথা নয় ধর্মের কথা। এটা নিয়ে সাহাবিদের মধ্যে আলাপ আলোচনা চলছিলো। তখন গুণী মুহাম্মদ ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, পাঁজরের হার খুব শক্ত এবং বাঁকা। ফলে এধরনের হাড়কে সহজে সোজা করা যায় না। যাদি জোর খাটানো হয় তাহলে সোজা তো হবেই না বরং মড়মড় করে ভেঙ্গে যাবে। এর অর্থ এই হলো, নারীকে যতই যুক্তি দিয়ে বোঝাও না কেন, তারা বুঝবে না। তারা যেটা বলবে সেটাই ঠিক। যদি তাদেরকে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চাও তাহলো হাওমাও করে কান্নাকাটি করে সারা পাড়া জানি একাকার করে দেবে। এসব আমার কথা নয় স্বয়ং গুণি মুহাম্মদের কথা।

এখন আসি উপরোক্ত আমার বক্তব্যের বিষয়ে। আমার বক্তব্যে স্পষ্ট করেই উল্লেখ করেছি যে ধর্মের বিধান মত বিবাহ একটা প্রথা। সেখানে পুরুষ নারীকে বিবাহ করবে এবং নারী সকল প্রকার ভরণ-পোষণের নিশ্চয়তা দেবে সাথে নারীকে তার মান সম্মান মর্যদা সংরক্ষনের সকল দায়িত্ব বোধ গ্রহণ করে। এই শর্ত যদি কোন পুরুষ বহন না করতে পারে সেক্ষেত্রে পুরুষের বিবাহ করা নিষিদ্ধ করে দিয়ে বিধান দিয়েছে যতদিন বিবাহ করবার সামর্থ অর্জন না করতে পারবে ততদিন ঐ পুরুষ একদিন পর পর রোজা রাখবে। বিবাহ করা পুরুষের জন্য কতো কঠিন বিধান করে রেখেছেন আল্লাহয়। আর নারী বিবাহে বসে শুধু পুরুষের আন্ন ধ্বংস করবে। তাহলে বুঝুন ধর্ম মতে এই আকালের যুগে পুরুষের বিবাহ করা কতো কঠিন সাধনার কাজ। ধর্মমতে নারীরা বিবাহে বসতে তাদের কোন আপত্তি নেই। কারণ বিবাহের কাবিন নামায় নারী নিরাপত্তার সব বিধান আছে সে কারণে। তাই আমি বলেছি ধর্মের বিবাহ প্রথা মানি। কিন্তু ধর্মে বহুবিবাহের ক্ষেত্রে বলেছে যদি সামর্থ থাকে তাহলে একজন পুরুষ সর্বাধিক চারটি বিবাহ করতে পারবে। ধর্মে কোথাও বলা নাই, হে পুরুষ তোমরা পতিতালয়ে যেও না। পতিতালয়ে না যাওয়ার জন্য তোমাদিগকে চারটি করে বিবাহ করবার অনুমতি প্রদান করলাম। তাহলে বুঝুন আপনি ধর্মের কতো বড় অপব্যাখ্যা দিয়েছেন? এটার দেওয়ার কারণই হলো সামর্থ থাকলেও পুরুষ বহুবিবাহ করতে পারবে না একথাটিকে প্রতিষ্ঠিত করবার শেষ চেষ্টা করেছে। এজন্য আমি নারী সৃষ্টির উদাহরণটা প্রথমেই দিয়েছি, যা ধর্মেই বলেছে। এখানে আমি একটাও নিজের কোন বক্তব্য দেই নি। ব্লগ পোস্টের বিষয়বস্তু ধর্মভিত্তিক বক্তব্য বলেই আমি ধর্মীয় দৃষ্টি কোনেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আল্পনা যখন মানতে রাজি না তাই তাকে তালগাছটা দিয়ে বিদায় নিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আমার আমার বক্তব্য কোট করাতে। শুভকামনা রইলো।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: "ধর্মে বহুবিবাহের ক্ষেত্রে বলেছে যদি সামর্থ থাকে তাহলে একজন পুরুষ সর্বাধিক চারটি বিবাহ করতে পারবে। ধর্মে কোথাও বলা নাই, হে পুরুষ তোমরা পতিতালয়ে যেও না। পতিতালয়ে না যাওয়ার জন্য তোমাদিগকে চারটি করে বিবাহ করবার অনুমতি প্রদান করলাম। তাহলে বুঝুন আপনি ধর্মের কতো বড় অপব্যাখ্যা দিয়েছেন?" আমি কি কোথাও বলেছি যে,"পতিতালয়ে না যাওয়ার জন্য তোমাদিগকে চারটি করে বিবাহ করবার অনুমতি প্রদান করলাম"??? আমি এমন কথা বলিনি। ধন্যবাদ।

২২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪

এ আর ১৫ বলেছেন: চার বিয়ে হালাল! কোরানে কোথাও সাধারণ নারীদের ব্যাপারে এই কথা বলা হয়নি, শুধু এতীম মেয়েদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে আর সাথে কোরানে 'যদি' শব্দটি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ যদি এরুপ আশঙ্কা দেখা দেয় যে এতীম মেয়েদেরকে নিরাপদে রাখা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না তাহলেই শুধু তাদের বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ চার পর্যন্ত। কিন্তু নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতে পারলে বিয়ের অনুমতি নেই! সাধারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে তো আরও নেই
কোরাণ একে শর্ত-সাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে মাত্র একটা জায়গায়, সুরা নিসা’র ৩ নম্বর আয়াতে − “এতিমদের তাদের সম্পদ বুঝাইয়া দাও। খারাপ মালামালের সাথে ভালো মালামালের অদল-বদল করিও না। আর তাহাদের ধনসম্পদ নিজেদের ধনসম্পদের সাথে সংমিশ্রিত করিয়া তাহা গ্রাস করিও না। নিশ্চয় ইহা বড়ই মন্দ কর্ম।

আর যদি তোমরা ভয় কর যে এতিম মেয়েদের হক যথাযথভাবে পূরণ করিতে পারিবে না, তাহা হইলে সেই সব মেয়েদের মধ্য হইতে যাহাদিগকে ভাল লাগে তাহাদিগকে বিবাহ করিয়া নাও দুই, তিন বা চারিটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে তাহাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত আচরণ বজায় রাখিতে পারিবে না তবে একটিই”।

সুরা নিসার আয়াত ১২৯ − “তোমরা কখনও নারীদিগকে সমান রাখিতে পারিবে না যদিও ইহা চাও” -এর ভিত্তিতে কিছু মওলানা চিরকাল দৃঢ়ভাবে দাবি করেছেন যে, কোরাণ বহুবিবাহ বাতিল করে এক স্ত্রী বহাল রেখেছে। কারণ “ন্যায়সঙ্গত” অর্থাৎ “আদ্ল”-এর মধ্যে পেম্র -ভালবাসাও অন্তর্ভুক্ত যা সমান ভাগে ভাগ করা যায় না। তাঁরা বলেন বিত্তশালী স্বামী চার বৌকে ওজনদরে সমান বাড়ি-গাড়ি দিয়ে রাখলেই বা কি ? সেখানে কি ভালবাসার তাজমহল গড়ে ওঠা সম্ভব ? ভালবাসা কি ভাগাভাগি করার জিনিস ? প্রেমে ভাগীদার গজালে তো মানুষ খুন পর্যন্ত করে ফেলে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ভীষণ খুশী হলাম। আপনি চমৎকারভাবে বিষয়টি ব্যখ্যা করেছেন। কিছু মানুষ ইচ্ছে করে কোরআান-হাদিসের ব্যাখ্যা নিজেদের পক্ষে করে নেয় এবং সে অনুযায়ী তর্ক করে। আমি অনেকভাবে বলেও তাদেরকে বোঝাতে পারিনি। তারা আমি যা বলিনি, তাও বলেছি বলে দাবী করে। যাইহোক, আমি নিশ্চিত আপনার এ ব্যাখ্যাও তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে হয়না। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকুন। আপনাকে সামুদীয় শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.