নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বাস ও অন্ধবিশ্বাস

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৫



ধর্ম হল বিশ্বাস। তাই কোন ধার্মিক নির্দিধায়, কোন প্রশ্ন না করেই তার ধর্মের সবকিছু বিশ্বাস করে। এটা ধার্মিকের জন্য জরুরী। আর অন্ধবিশ্বাস হল জলজ্যান্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকার পরেও কোন ভুল জিনিস বা বিশ্বাসকে আঁকড়ে থাকা।

অন্ধবিশ্বাস খুবই ভয়াবহ জিনিস। ভারতে  এই অন্ধবিশ্বাস মানুষের স্বাভাবিক যুক্তিবোধকে পরাজিত করে বারবার। ফলে মানুষ অস্বাভাবিক কোনকিছুকেও স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েও নরেন্দ্র মোদী মাথা নোয়ান এক ন্যাংটা গুরুর সামনে, যে কিনা একজন মানুষ! জনসম্মুখে উলংগ একজন মানুষ কিনা গুরু! নরবলি দিলে মনের আশা পূরণ হয়, গুরুর এমন কথায় বিশ্বাস করে নিজের শিশুসন্তানকে বলি দেবার ঘটনাও ঘটে ভারতে। গুরু নারীর পিঠের উপর দিয়ে হেঁটে গেলে সে নারী গর্ভবতী হয়, এমন অযৌক্তিক অন্ধবিশ্বাসের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে অল্পকিছুদিন আগে। মৃত মানুষের মাথার খুলিতে বিশেষ পানীয় পান করলে আয়ু বাড়ে, গুরুর এমন কথায় অন্ধবিশ্বাস করে কবর খুঁড়ে মাথার খুলি জোগাড় করে ধরা পরে এক লোক ভারতেই। ধর্ম গুরুদের প্রতি নানা  অন্ধবিশ্বাসে ভরা ভারতীয়দের মন। এই তথাকথিত ধর্মগুরুদের দ্বারা নারীদের রেপ হওয়া খুবই কমন একটি বিষয়। নানা কুটকৌশলে সহজ-সরল নিরীহ মানুষের ধন-সম্পদ লুটে নেবার ঘটনাও ঘটে হরহামেশাই।



ভারতীয়দের কাছে গরু খুব পবিত্র প্রাণী। তাই গরুর গোবর ও মূত্রও তারা ব্যবহার করে অপবিত্র কোন কিছুকে পবিত্র করতে। কিছুদিন আগে পড়েছিলাম, গোমূত্র যেহেতু পবিত্র, তাই হাসপাতাল পরিষ্কার রাখতে ব্যবহৃত হবে গোমূত্র এবং ডাক্তাররা তাতে আপত্তি করেননি। কতটা অন্ধবিশ্বাস!!!

ভারতীয় হিন্দী ছবি 'পিকে' - তে হিন্দুদের নানা ধর্মান্ধতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সর্বশেষ ধর্মগুরু রাম রহিম সিং - এর ধর্ষণের শাস্তির পরিপ্রেক্ষিতে তার ভক্তদের তাণ্ডবে এ পর্যন্ত ৩১ জন নিহত, ২৫০ জন আহত ও অনেক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা আর একবার তাদের ধর্মান্ধতার প্রমাণ দিল। মূলত অশিক্ষা ও কুশিক্ষার কারণে নিম্নবিত্ত হিন্দুরা এসব অন্ধবিশ্বাসে বেশী আক্রান্ত।




বাংলাদেশেও এমন অনেক কুসংস্কার প্রচলিত। মাজার পূজা, ঝাড়ফুঁক, পীরের মুরিদ,... এমন অনেক কুপ্রথা আমাদের দেশেও প্রচলিত। আপনি যতই বলুন এগুলো পাপ, কিছু লোকের ভন্ডামী ও লোক ঠকিয়ে পয়সা হাতানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়, তারা কিছুতেই বিশ্বাস করবেনা। এদের গুরু বা পীরের প্রতি অসীম ভক্তি এদেরকে অন্ধ করে দেয়।

আমি এসব গুরুদের মানুষকে সম্মোহিত করার ক্ষমতা দেখে অবাক হই। অল্প কিছু মানুষের এমন ক্ষমতা থাকে যাঁরা অগণিত মানুষকে তাঁর কথা মানাতে বাধ্য করতে পারেন। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার কথা মনে আছে? নেতাজি সুভাস বসু, মহাত্মা গান্ধী, বঙ্গবন্ধু,....। সারা বিশ্বে এমন মানুষরা তাঁদের ক্যারিশ্ম্যাটিক পার্সোনালিটি দিয়ে পাল্টে দিয়েছেন নিজ নিজ  দেশের চেহারা। ভাবুন তো, এই ধর্মগুরুরা যদি তাদের সম্মোহনী শক্তি ব্যবহার করে মানুষকে ভাল কাজে উদ্বুদ্ধ করতেন, তাহলে কত ভাল হতো!!!

মন্তব্য ১০৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (১০৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

মিঃ আতিক বলেছেন: ৮০ কোটি মূর্খের দেশ ভারত।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, ঠিক। ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: হ্যামেলিনের বাশিঁওয়ালা একটা রুপকথা নয়কি?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, সেখানে একজন অলৌকিক সম্মোহনকারী বাঁশিওয়ালার গল্প আছে যার বাঁশির সুরে দলে দলে ইঁদুর এবং পরে বাবামা ফেলে একটি দেশের সব শিশু তার পিছে পিছে ছুটে গিয়ে নদীতে ডুবে মারা যায়।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫৭

কালো আগন্তুক বলেছেন: বিশ্বাস আর অন্ধবিশ্বাস গুলিয়ে খেয়ে ফেলা বোধ হয় বাঙ্গালিদের ট্রেড মার্ক। দুই পাড়েই চলছে...

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন। ঠিক। আমি বোঝাতে চেয়েছি, অন্ধবিশ্বাস হল প্রতিষ্ঠিত প্রমাণের বিপরীত কিছু। যেমন সন্তানের জন্ম কিভাবে হয় এবং গোমূত্র জীবাণুমুক্ত করতে পারবে কিনা তা সারা পৃথিবীর মানুষ জানে। সেখানে....। এটা অন্ধবিশ্বাস। তেমনি আমরাও এমন অনেক অন্ধবিশ্বাসে আক্রান্ত।ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০০

ফয়েজ উল্লাহ রবি (পারিজাত) বলেছেন:
:|
যদিও হ্যামেলিনের বাশিঁওয়ালা রূপকথা কিন্তু হ্যামেলিয়ন শ হ রে বাস্তবতার কিছু নি র্দশ ন দেখা যায় তা থেকে অনুমান করা যায় এটা শুধু গল্প নয় বাস্তব হতেও পারে। @ আবু তালেব শেখ।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল বলেছেন। ভাল থাকুন।

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০৪

ফয়েজ উল্লাহ রবি (পারিজাত) বলেছেন: B:-/
সত্য বলেছেন।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০৭

Al Rajbari বলেছেন: চালিয়ে যান-!! :-B :-B

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৯

রানা সাহেব বলেছেন: ৩০ কোটি সভ্য বাকি ১০০ কোটিই অসভ্য

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তাই? ধন্যবাদ।

৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩০

আহা রুবন বলেছেন: কিছুদিন আগে পড়েছিলাম, গোমূত্র যেহেতু পবিত্র, তাই হাসপাতাল পরিষ্কার রাখতে ব্যবহৃত হবে গোমূত্র এবং ডাক্তাররা তাতে আপত্তি করেননি। কতটা অন্ধবিশ্বাস!!! ডাক্তারা বলতে কী বোঝালেন? ভারতের সব ডাক্তার? ডাঃ জাকির নায়েকসহ?
ধর্ম গুরুদের প্রতি নানা অন্ধবিশ্বাসে ভরা ভারতীয়দের মন। এখানেও সেই একই কথা--সকল ভারতীয়দের মনই অন্ধবিশ্বাসে ভরা?

আমরা এতটুকু অন্ধবিশ্বাসী না হয়ে কী আবিষ্কার করতে পেরেছি? ওরা তো গোবর খেয়ে বিজ্ঞানে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে।


২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৫৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: গরুকে দেবতা মানে হিন্দুরা। ডাঃ জাকির নায়েক কি হিন্দু? প্রায় সকল। একজন হিন্দুও খুঁজে পাওয়া মুশকিল ( মুসলিম ও নাস্তিক বাদে) যে কোন না কোন গুরুর ভক্ত নয়। গোবর খেয়ে বিজ্ঞানে এগিয়ে কারণ ওদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের চেয়ে অনেক উন্নত। ধন্যবাদ।

৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০১

আহা রুবন বলেছেন: ডাঃ জাকির নায়েক কি হিন্দু? আমার প্রশ্নটাই ছিল তাই। বেশিরভাগ হিন্দু বা অধিকাংশ ভারতীয় বললে প্রশ্রটি করতাম না। আপনি ঢালওভাবে অভিযোগ টেনেছেন।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ভারতে গুরুপূজা মুসলিমদের মধ্যে নেই। সুতরাং ভারতীয় বললেও ভারতীয় মুসলিমদের বোঝাবে না। মুসলিমরা সাধারণত পীরের ভক্ত। একজন মুসলিমও পাওয়া মুশকিল (ভারতে বা বাংলাদেশে) যে গুরুপূজা করে। ধনবাদ।

১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৪

পলাতক মুর্গ বলেছেন: জাতি হিসাবে ভারতীয়দের মত এত কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনে হয় শুধু আফ্রিকার মানুষখেকোরাই আছে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:০৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

১১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৩১

কূকরা বলেছেন:

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:০৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আসলেই অবিশ্বাস্য!!! ধন্যবাদ।

১২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৩২

কূকরা বলেছেন:

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:০৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হা হা হা!!! আর গোবর???? ধন্যবাদ।

১৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:০৭

আবদুল মমিন বলেছেন: শত কোটি মানুষের নেতৃত্ত দেয়ার পর ও অন্ধত্ত ত্যাগ করা সম্ভব হয়নি । হায়রে অন্ধত্ত এতো ক্ষমতা তোমার ?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:২২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সত্যিই তাই! এরা হিংসুটেও। সীমান্তে ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ বাংলাদেশীকে গুলি করে খুন করেছে ভারত। অথচ চীনা একজন মানুষও মারেনি। সীমান্তে কেউ অপরাধ করলে তার বিচার করা উচিত। গুলি করে খুন করবে কেন? তারপরেও আমরা ভারতকে সমীহ করি, বন্ধু ভাবি। প্রায়ই শুনবেন ভারতীয় ট্রলার বাংলাদেশী জলসীমায় ঢুকে মাছ লুটে নিচ্ছে। আরো কত রকমের আগ্রাসন! আমরা জাতি হিসেবে কেমন, এবার ভাবুন। ধন্যবাদ।

১৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:২০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ম্যাম যে ন্যাংটা গুরু ছবি দিয়েছেন আমার কেন যেন মনে হচ্ছে এরা দিগম্বর জৈনধর্মের সন্ন্যাসী। এর বেশী কিছু বলতে পারবো না, কারণ এর সম্বন্ধে কিছুই জানি না।

view this link

view this link

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:২৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। ধন্যবাদ।

১৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:৪৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: আমার দেখা মতে মুসলিমরা তো পীর বলে নয়, বিভিন্ন সাধুর কাছেও যায়! এক্ষেত্রে ধর্ম টর্ম চিন্তা মনে হয় করা হয় না। কাজ সফল হওয়াটাই চিন্তা করে সবাই। আবার হিন্দুরাও মুসলিমদের পানি পড়া পান করে থাকে! অদ্ভুত ব্যাপারটা। চিন্তা করছি হাক মওলা ডাক দিয়ে বসে যাব... :-B

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:০৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হা হা হা!!! তথাস্তু!!! বৎস, তোমার মনের ইচ্ছা পূর্ণ হউক!!!!

১৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:০৩

কলাবাগান১ বলেছেন: দুই ছাত্রী (ভারতীয়) .।একজন ধর্ম মানে .।সকালে দুধ দিয়ে গনেশ পুজা দিয়ে তারপর ল্যাবে আসে ,,,,,আরেক জন ফ্রি মাইন্ডের.. ধর্মের ধারে কাছে নাই....একদিন ধার্মিক ছাত্রী আন্ডার গ্রাজুয়েট ক্লাশের ল্যাব ক্লাশ নিচ্ছিল আর তার কোন এক্সপেরিমেন্টই কাজ করছিল না...বাইরে এসে ফ্রি মাইন্ডের ভারতীয় ছাত্রী এর কাছে কমপ্লেইন করছিল ..তখন ফ্রি মাইন্ডের ছাত্রী বলে উঠল

" তোর এক্সপেরিমেন্ট কিভাবে কাজ করবে,,,,,আজকে যে তুই গনেশ পুজা দিয়েছিস,,,,,সেখানে তুই স্কীম মিল্ক ইউজ করেছিস..ফুল ক্রীম মিল্ক ইউজ করস নাই। তাই গনেশ ক্ষেপেছে।"

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হা হা হা! ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।

পাবনা এনায়েতপুর মেডিকেলে আমার আম্মা ভর্তি ছিলেন। সাথে ছিলাম আমি। আমাদের পাশের কেবিনে একটি মেয়ে ভর্তি হল। খুব সুন্দর দেখতে। ফর্সা, লম্বা। কথা বলছে হিন্দী আর ইংরেজীতে। আমি মেয়েটিকে দেখতে গেলাম। দেখলাম তার রুমে আরো ২০/২৫ জন ছেলেমেয়ে আছে। আলাপ করে জানলাম, তারা সবাই এই মেডিকেলেই পড়ে, সবাই কাশ্মীরি। এখানে পড়ার খরচ কম। পাস করে গিয়ে একটা ইকুইভ্যালেন্ট পরীক্ষা পাস করে ওদের দেশে ডাক্তারী করবে বা বিদেশে চলে যাবে। ওরা সংখ্যায় প্রায় একশ' জন। আমাদের ছেলেমেয়েদের সীটে ভারতীয়রা পড়ে যাচ্ছে আমাদেরই ডাক্তারদের কাছে। পরে আমরা রোগী নিয়ে ভারতে যাব এদের কাছেই চিকিৎসা নিতে যাদেরকে আমরাই ডাক্তার বানালাম!! সেলুকাস!!!!

১৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:২৮

রক বেনন বলেছেন: ম্যাডাম, আপনার প্রথম কমেন্টের উত্তর দ্বারা আপনিও কি স্বীকার করে নিলেন যে ভারত মূর্খের দেশ?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, করে নিলাম। ভারতের কিছু সিরিয়াল আছে। যেমন - সাবধান ইন্ডিয়া, ক্রাইম পেট্রল ইত্যাদি। এখানে যে সত্যি ঘটনাগুলো দেখানো হয়, সেগুলো অবিশ্বাস্য। জ্ঞান-বিজ্ঞানে, শিক্ষায় ভারত যত উন্নতিই করুক, অধিকাংশ ভারতীয়রা শুধু মুর্খই নয়, বর্বর, হিংস্র এবং অমানুষ (এই কথাগুলো আমার নয়। ওসব অনুষ্ঠানের উপস্থাপকদের।) পারলে অনুষ্ঠানগুলোর যেকোন একটা পর্ব দেখুন। আর পিকে ছবিটাও। সেখানে প্রচুর ভারতীয় শিক্ষিত মূর্খের দেখা পাবেন। ধন্যবাদ।

১৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫১

স্বতু সাঁই বলেছেন: ধর্ম হল বিশ্বাস। তাই কোন ধার্মিক নির্দিধায়, কোন প্রশ্ন না করেই তার ধর্মের সবকিছু বিশ্বাস করে। এটা ধার্মিকের জন্য জরুরী। আর অন্ধবিশ্বাস হল জলজ্যান্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকার পরেও কোন ভুল জিনিস বা বিশ্বাসকে আঁকড়ে থাকা।

বিশ্বাস ও অন্ধবিশ্বাসের সংজ্ঞা ঠিক হলো না। সংজ্ঞাটা ঠিক করে নিন।

ভারতে এই অন্ধবিশ্বাস মানুষের স্বাভাবিক যুক্তিবোধকে পরাজিত করে বারবার।

ভারতেই শুধু অন্ধবিশ্বাসী আর কোথাও নেই এ তথ্য পেলেন কোথায়?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েও নরেন্দ্র মোদী মাথা নোয়ান এক ন্যাংটা গুরুর সামনে, যে কিনা একজন মানুষ! জনসম্মুখে উলংগ একজন মানুষ কিনা গুরু!

গুরুর সংজ্ঞায় কোথাও বলা আছে যে গুরুকে পোষাক পরিচ্ছদ পরতে হবে? আপনি যে বিষয়ে আপনার শিক্ষক বা গুরুর কাছে পড়াশুনা করেছেন তিনি কি মানুষ ছিলেন না? নাকি কোন জানোয়ারের কাছে আপনি শিক্ষা লাভ করেছিলেন?

আপনি যতই বলুন এগুলো পাপ, কিছু লোকের ভন্ডামী ও লোক ঠকিয়ে পয়সা হাতানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়, তারা কিছুতেই বিশ্বাস করবেনা।

শিক্ষকরা যে ক্লাশে পাঠদান না করে, কোচিং সেন্টার খুলে ছাত্রদের সাথে প্রতারণা করছে, এটাকে কি সাধুবাদ জানাবেন?

আমি এসব গুরুদের মানুষকে সম্মোহিত করার ক্ষমতা দেখে অবাক হই।

অবাক হওয়ার কি আছে? বলুন আপনি পারেন নি বলে সেটা অপনার ব্যর্থতা।

উপদেশ: লিখার আগে আপনার ভাবনা ও উপস্থাপিত বক্তব্যগুলোকে আগেগুছিয়ে নিবেন এবং লিখার পরে বার বার পড়বেন। পড়ে লিখার অভ্যন্তরে কোন দ্বন্দ্ব আছে কি না তা ধরার চেষ্টা করবেন। যদি দ্বন্দ্ব খুঁজে পান সেগুলো সংশোধন করে নেবেন। তারপর পোস্ট দিবেন। এতে আপনার লেখনী পড়ে মানুষ উপকৃত হবে। নচেৎ আপনার লেখনীটি হাস্যকর বলে বিবেচিত হলে তাতে মানুষের কোন উপকারে আসবে না। আপনার লিখা পড়ে স্পষ্ট বুঝতে পারি, আপনি পোস্ট দেবার জন্য খুব তাড়াহুড়া করেন। এতো দ্বন্দ্বযুক্ত লেখনী দিয়ে এতো বেশী বেশী পোস্ট দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। গঠনমূলক একটি পোস্টই মানুষের শিক্ষাদানের জন্য অনেক উপকারে আসতে পারে।

ধন্যবাদ, লিখে যান। তবে লেখনীতে দ্বন্দ্বকে এড়িয়ে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: "যুক্তিহীন বা ভিত্তিহীন বিশ্বাসেই হ'ল অন্ধবিশ্বাস"। আর বিশ্বাস হলো -
"to have confidence in the truth, the existence, or the reliability of something".  কোন কিছুকে ভুল বললে সঠিকটা লেখার দায়িত্ব তারই।

বাংলাদেশেও অন্ধবিশ্বাসী আছে যা পরে লিখেছি। পড়ে দেখেন।

গুরু বা শিক্ষকের কাছে আমরা নূনতম সভ্যতা আশা করি, উলংগতা যার খেলাফ। আমি কোন উলংগ, আদিম মানুষের কাছ থেকে শিক্ষা নিইনি। সেই আদিম যুগ আনরা বহু পিছনে ফেলে এসেছি।

কোচিং ব্যবসা সরকার বন্ধ করে দিলেই কেউ সেটা করতে পারবেনা। এটা পুরোপুরি শিক্ষকদের দোষ নয়।

অবাক হই, এরা সত্যিই পারেন বলে যা আমি পারিনা। আমি এ বিষয়ে তাদের প্রশংসাই করেছি।

আমি তাড়াহুড়া করে ভুলভালই লিখব। কারণ আপনার উপদেশ মেনে অতকিছু করার আমার সময় নেই। পাঠক পড়লে পড়ুক, শিখুক, নাহলে নাই। খুব অযৌক্তিক কিছু লিখলে তার জন্য মডুরা আছেন। আর আমার লেখা হাস্যকর হলে আপনার সমস্যা কোথায়?

১৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তুত প্রেত দেও দানা নিয়ে গবেষণা করে বেশি। এখানে ধর্মগুরুদের ব্যাপারটি যেহেতু তুলে ধরা হয়েছে সে ব্যাপারে একটু এড করি তারা নদীতে নাঙা হয়ে স্নান করে । মূর্তির উপাসনা করে। করুক। গোমূত্র পান করে। গোমূত্র দিয়ে পবিত্রতা আনয়ন করে। গোমূত্র পান আবার আমাদের ধর্মে হারাম। কোন খাবারে একফোটা গোমূত্র থাকলেও সেটি ভক্ষণ করা হারাম হয়ে যাবে। ভারত আবার জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক এগিয়ে। তবে যারা বিজ্ঞানে এগিয়ে নেয়ার লোক তারা কিন্তু নরেন্দ্র মোদী নন। এ পি জে আব্দুল কালাম সাবেক রাষ্ট্রপতি, ভারত সরকার কিন্তু গোরা হিন্দু নন। বিপরীতে তিমি মুসলিম।নেতাজি সুভাস বসু, মহাত্মা গান্ধী, বঙ্গবন্ধু,.... উদাহারণ দিলেন। আমি বলবো মাহাথির মোহাম্মদ, নেলসন মেন্ডেলা. .আব্রাহাম লিংকন প্রমুখের কথা। সবাই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। একজন নেতা তথা রাজনীতিবিদের অনেক কিছু করা থাকে।তাদের সীমাটা অনেক বড় ।ধর্মগুরুর তা নেই। তার চিন্তা সীমাবদ্ধ।
তারা লোভী হয়ে ওঠলেই বিপত্তি ঘটে।লোভ নারী দেহের হোক আর ধনসম্পদ। মানুষদের ব্লাকমেইল করে তাদের কাম ও বিলাসিতা হাছেল করা ধান্দায় ব্যস্ত থাকে। সবচেয়ে বাজে কাজ যেটি করে সেটি হলো....উগ্রসাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করা।



২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। খুব ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।

২০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

লেখোয়াড়. বলেছেন: আমি যদি বলি মুসলিমদের কাছেও গরু পবিত্র, এবং তারাও গরুর পূজা করে, এটা কি আপনি অস্বীকার করবেন?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: করব। কারণ আমরা গরুকে ব্যবহার করি (জবাই করে মাংস খাই, হাল চাষ করি, গাড়ী টানাই, দুধ খাই, চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে পরি), ফুল দূর্বা দিয়ে পূজা করিনা, গোবর, গোমূর্খ দিয়ে কোন কিছু পবিত্র করিনা। গরুর গোমূত্র আমাদের জন্য হারাম। এসব শরীরে বা কাপড়ে লাগলে নামাজ হয়না। ধন্যবাদ।

২১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: সবচেয়ে বড় কুসংষ্কারের দেশ হচ্ছে ভারত।
ভারতেই হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস নিয়ে অধিকাংশ মত বিরোধ আছে।আবার এক এক ধর্ম গুরু তার নিজস্ব ধ্যান ধারনায় ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

২২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

রক বেনন বলেছেন: জ্বি, করে নিলাম। ভারতের কিছু সিরিয়াল আছে। যেমন - সাবধান ইন্ডিয়া, ক্রাইম পেট্রল ইত্যাদি। এখানে যে সত্যি ঘটনাগুলো দেখানো হয়, সেগুলো অবিশ্বাস্য। পারলে অনুষ্ঠানগুলোর যেকোন একটা পর্ব দেখুন - হ্যাঁ, আমিও দেখেছি, তবে প্রতিদিন দেখি না কারণ নিজ দেশের সংবাদপত্রের দিকে তাকালেই অন্য দেশ নয়, নিজ দেশের চিত্রটাই আগে ফুটে উঠে।

অধিকাংশ ভারতীয়রা শুধু মুর্খই নয়, বর্বর, হিংস্র এবং অমানুষ - এই ব্যাপারে শুধু একটা কথাই বলার আছে, তারা যা ই হোক না কেন, আমাদের ব্যাপারে তো তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। কিন্তু আমাদের বেশিরভাগ মানুষ ই দেখি শুধু তাদের নিয়ে কথা বলতে? কেন? বলতে পারেন? প্রায় ২,৪৬,০৩৭ বর্গ কিলোমিটারে কত শত সমস্যা লুকিয়ে আছে আপনি জানেন? ভণ্ড পীরের কথা বলছেন? আমাদের নিজ দেশে কি কম আছে? তাদের নিয়ে লিখুন!! বাংলাদেশে ল্যাংটা বাবার মাজার নেই?

ধর্ষণের উপর আলোকপাত করছেন? বলুন তো, কোন ধরনের ধর্ষণ কেবল ভারত বা আমেরিকায় হয় কিন্তু বাংলাদেশে হয় না? বলুন তো, কোন ধরনের ক্রাইম শুধু ভারত বা আমেরিকায় হয়, কিন্তু বাংলাদেশে হয় না? উত্তরে আপনি হয়ত বলবেন, আপনি নিজ দেশের ব্যাপারেও লিখেন। ম্যাম, অন্যর গায়ে গন্ধ বলার আগে নিজ গা শুকে দেখতে হয়।

ভারত মহান একটি দেশ আমি একথা বলছিনা। এই কথাগুলো শুধু এই কারনে বলা যে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ ই দেখেছি ভারত আর আমেরিকা কে পারলে দিনে দুই তিনবার গুষ্টি উদ্ধার করে। অথচ এই দেশের মানুষ ই আবার চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে তাদের অর্থনীতিকে ফুলে ফাঁপিয়ে তুলছে। কেন? এই ব্যাপারে লিখুন। আপনি তো একজন শিক্ষক। লিখুন কেন এই দেশে ভারতীয় শিক্ষা মেলা হয় কিন্তু ভারতে বাংলাদেশি শিক্ষা মেলা হয় না। লিখুন কেন ভারতীয়রা এত মূর্খ। লিখুন কেন তারা এত হিংস্র হওয়া সত্ত্বেও আমরা নিজেদের জীবন রক্ষা করতে তাদের হাসপাতালে পড়ে থাকি। লিখুন কেন তারা কালো টাকা প্রতিরোধে হাজার হাজার কোটি টাকা নিমেষেই মূল্যহীন সাদা কাগজে পরিণত করতে পারে অথচ আমরা পারিনা। লিখুন কেন তারা ট্রেনের ভাড়া সামান্য ৫০ পয়সা বৃদ্ধির কারণে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে পারে অথচ আমরা দিনের পর দিন অযাচিত মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে টু শব্দটি করতে পারি না। লিখুন কেন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দিন দিন নিচে নামছে যেখানে তাদের শুধু উন্নতি হচ্ছে। সর্বোপরি লিখুন, কেন ১৫০ কোটি মানুষের সাথে ১৫ কোটি মানুষের তুলনা করা যায়।

ভারতীয় হিন্দী ছবি 'পিকে' - তে হিন্দুদের নানা ধর্মান্ধতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কোন ধর্মে ধর্মান্ধতা নেই বলতে পারবেন? আর বলতে পারবেন এমন কারা রয়েছে যারা নিজ দেশে সংখ্যা গরিষ্ঠ ধর্মের ধর্মান্ধতার ব্যাপারে কথা বলতে পেরেছে বা এমন একটা ছবি বানাতে পেরেছে?

প্রায়ই দেখি আপনি সাবধান ইন্ডিয়া, ক্রাইম পেট্রল ইত্যাদির উদাহরণ উল্লেখ করেন। কিন্তু আপনাকে কখনও দেখেনি একুশের চোখ বা তালাশ নিয়ে উদাহরণ দিতে!! কেন বলতে পারেন?

ম্যাম প্লিজ সাম্প্রদায়িক দোষে দুস্ট মানুষের সংখ্যা আর বাড়াবেন না। সবাইকে যার যার ধর্ম, আচার, সংস্কৃতি, মুল্যবোধ ইত্যাদি নিয়ে থাকতে দিন। ভারতের সমস্যা ভারতেরই থাক। আমাদের সমস্যাগুলো কিভাবে কমিয়ে আনা যায় সেই ব্যাপারে লিখুন, কাজে আসতে পারে অনেকের। ভারত, আমেরিকা, চীন নয়, লিখুন কিভাবে আমাদের কচি কচি শিশুদের কাঁধের বইয়ের বোঝাটা কমিয়ে আনা যায়। যে গোমূত্র জেনে না জেনে খাচ্ছে, খাক। তার খাওয়াতে আমার আপনার বাড়া ভাতে ছাই পড়বে না। কিন্তু যারা আমাদের ভাতের থালাই কেড়ে নিতে চাচ্ছে তাদের ব্যাপারে লিখুন। রাম রহিম যদু মধু পাশের দেশ থেকে বেড়া ডিঙ্গিয়ে আমার দেশে ধর্ম প্রচার করতে আসবে না বা আমার দেশের মেয়েদের ভোগ করতে আসবে না। কিন্তু পিয়ারীর মত মানুষ আশে পাশে লুকিয়ে আছে কিনা সেই ব্যাপারেই সতর্ক থাকুন। কাজে লাগবে। আমেরিকার র‍্যাটল স্নেকের লেজের শব্দ আর মারাত্মক বিষে কি এসে যায়, যেখানে নিজ দেশে রান্নাঘর খুঁড়লেই ঝাঁকে ঝাঁকে গোখরা বেরিয়ে আসে।

ভালো থাকবেন।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি যে প্রসঙ্গগুলো বলেছেন, তার প্রায় সবগুলো বিষয়েই আমার লেখা বা বক্তব্য আছে কোন না কোন পোস্টে। আপনি আমার সবগুলো লেখা পড়লে ( সব পড়া সম্ভব না) এমন বলতেন না। আর ভারতের বিষয়টা সাম্প্রতিক বলেই ওটা নিয়ে লেখা। আর আমার লেখায় শুধু ভারতের প্রসঙ্গই নেই, একই সমস্যা বাংলাদেশেও আছে, আমি তাও লিখেছি। ভাল থাকুন।

২৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: ম্যাডাম পোস্টি লিখতে একটু তাড়াহুড়ো করেছেন বলে মনে হয়।
আপনার কিছু কিছু প্রতিউত্তর ভাললাগেনি।

কোন কুসংস্কার পছন্দ করি না। আর যে কুসংস্কার অন্যের ক্ষতি করে সেটা তো কখনোই কাম্য নয়।
তবে একটা শ্রেণী আছে যারা নিজেরটা দেখতে পায় না, কিন্তু অন্যেরটা ঠিকই দেখে।

আপনার এই পোস্টে অনেককেই দেখছি সেরকম।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হয়তো। আমি ব্যাস্ত থাকি, আপনি জানেন। আর যারা শুধু অন্যের দোষ দেখে, আমি তাদের দলে পড়িনা। এই পোস্টেও আমি ভারত, বাংলাদেশ উভয় দেশের ধর্মান্ধতা নিয়েই লিখেছি। ভাল থাকুন দাদা। প্রতিউত্তর ভাল না লাগার জন্য সরি। ধন্যবাদ।

২৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

একে৪৭ বলেছেন: @রক বেনন
হোয়াই সো সিরিয়াস ম্যান!!!
সব ধর্মেরই কম-বেশী মুর্খ অনুসারি আছে। সব জাতি গোষ্ঠিতেই উল্যেখিত অন্ধ আছে। ইউরোপ আমেরিকাতেও ফকির আছে, আছে ময়লার ভাগার। নিউইয়র্কেও অন্ধকার জায়গা আছে, আছে বড় বড় নোংরা ইদুর। মক্কাতেও চোর-ডাকাত ধর্ষক পাবেন।

আপনি লেখিকার তুলে ধরা বিষয়ে ওরকম অপ্রয়োজনিয় যুক্তি কেন দেখাতে যাচ্ছেন?
ওনার কথা অনুযায়ি ভারতে এসবের সংখ্যা তুলনামূলকভাবেব অনেক অনেক বেশি।
ওসব এক্ট এর মাত্রাটা অনেক অনেক বেশি। যেখানে একজন প্রধানমন্ত্রীও নেংটা বাবার পা ছোয়!

পুরো ভারতের সবাই অন্ধ নন, তবে অন্ধের সংখ্যা সেখানে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক অনেক গুন বেশি, লেখিকা কিংবা প্রথম কমেন্টেটর তাই বুঝিয়েছেন।

মনে হয় কেবল আপনিই এই সহজ ব্যপারটা জটিল করে ভাবছেন।
কিংবা ভারতীয়দের ব্যপারে নেগেটিভ কিছু শুনতে ঠিক পছন্দ করেন না। :-p

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

২৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

সেয়ানা পাগল বলেছেন: muslim people drinking camel urine

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ মুসলিমদের আরেকটি ধর্মীয় গোঁড়ামি তুলে ধরার জন্য।

২৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

সেয়ানা পাগল বলেছেন:

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: অবশ্যই এটিও মন্দ কাজ।

২৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

সেয়ানা পাগল বলেছেন: arab muslim drinks camel urine

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আরবদের আরো নানা অপকর্ম গোটা বিশ্বে পরিচিত যা সমর্থনযোগ্য নয়।

২৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

সেয়ানা পাগল বলেছেন: https://youtu.be/vtWuFsUutH0

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: দেখলাম। বিপদে পড়লে বা একান্ত বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচানোর জন্য এসব খাবার অনুমতি আছে যা স্বাভাবিক অবস্থায় নেই।

২৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

সেয়ানা পাগল বলেছেন: এটা বোঝাতে চাইছি যে সব ধর্মে এমন কিছু অ্যাবসার্ড রীতি নীতি থাকে। হিন্দু ধর্মেও আছে কিন্তু বেশিরবাগ হিন্দু রা যুগের নিয়মে সেগুলো বাতিল করে দিয়ে নিজেদের আধুনিক করে নিয়েছে । কিন্তু শুধু একটি ধর্ম মানুষকে ১৪০০ বছর পিছনে নিয়ে যেতে চাইছে । এই বলে যে আপনি যদি ১৪০০ বৎসর আগের নিয়মগুলো যদি না মানে তাহলে আপনি মুসলিম না, আপনি মুরতাদ এবং আপনাকে হত্যা করা জায়েজ

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: কিছু মানুষ এমন বললেও বেশীরভাগ মুসলিম দেশ (সৌদি আরবসহ) আধুনিক নতুন নতুন আইন বানিয়ে নিচ্ছে যা কোরআানের খেলাফ। আমার আগের পোস্টেই তেমন কিছু উদাগরণ আছে। ধন্যবাদ।

৩০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

সেয়ানা পাগল বলেছেন: এটা ভাবুন হিন্দুরা কোটা আধুনিক মনস্ক হলে আমির খান মুসলিম হয়ে ও পিকে সিনেমাতে হিন্দুদের ধর্ম নিয়ে মজা করে ৫০০ কোটি টাকা কামাতে পারে। এটা যদি বাংলাদেশ এ ইসলাম নিয়ে করতো পরেদিনই ওই সিনেমার সমস্ত কুশীলব দের কল্লা কাটা যেত।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: পিকে ছবির বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছিল যাতে সেন্সর বোর্ড ছবিটি আটকে দেয়। শেষ পর্যন্ত পারেনি। আর ভারতের মানুষ ভীষণ হিসেবী। ওরা জানে ছবি তাদের অর্থনীতিতে কতটা ভূমিকা রাখে। তাই ছবির বিষয়ে অতটা কট্টর হয়না। বাংলাদেশের ছবির ওরকম বাজার থাকলে আমরাও মেনে নিতাম। সৌদিআরব সম্প্রতি আইন পাস করেছে, বীচে বিকিনি পরা যাবে, মদ-মেয়ে নিয়ে ফুর্তি করা যাবে। তবে ওরা যে উদার নয়, তার প্রমাণ ভারতজুড়ে গরুর মাংস খাবার অপরাধে মুসলিমদের উপর নানা নির্যাতন। ধন্যবাদ।

৩১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে বিশ্বাস এক অতিব গুরুত্বপূর্ন এবং পবিত্র একটি বিষয়। কিন্তু বিশ্বাস বলতে আসলে কি বোঝায়?
কোন ধারনা সত্যমিথ্যা যাচাই না করেই কেবল অনেক আগে থেকে চলে আসছে বলেই সেটাকে বিশ্বাস বলা হয়? নাকি যাকিছু সত্য সেটাই বিশ্বাসের ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়? ইংরেজিতে – Belief= বিশ্বাস= An acceptance that a statement is true or that something exists. অর্থাৎ যাকিছুর বাস্তবিক পক্ষে অস্তিত্ব আছে অথবা যাকিছু বাস্তবিক পক্ষে সত্য সেটাই বিশ্বাস। বিশ্বাস আসে সত্যতা বা যৌক্তিকতা থেকেই। বিশ্বাস মানে হতে পারে আস্থা (faith) , ভরসা (trust) । বিশ্বাসের দৃঢ়তা (বিশ্বাস যত বেশি সন্দেহ তত কম) যা খুব বেশি হলে তাকে বলা যায ভক্তি বা অন্ধবিশ্বাস ।
সত্য মিথ্যা নির্নয় না করেই কোনকিছুকে সত্য বলে মেনে নেওয়াই হল অন্ধবিশ্বাস। যেখানে সত্যতা থাকার সম্ভাবনা ৫০%, মিথ্যা থাকার সম্ভাবনা ৫০% !! এটা গানিতিক ভাবেই প্রমানিত। তাহলে অন্ধবিশ্বাস=অর্ধসত্য=মিথ্যার ই আরেক নাম !! যাচাই বাছাই করে নিলেই সেটা না থাকল অন্ধবিশ্বাস- না থাকল অর্ধসত্য!
বিশ্বাস, অবিশ্বাস ও অন্ধবিশ্বাস কখনও আমাদের শুভ ফল দেয় আবার কখনও আমাদের ফেলতে পারে বিপদে। সকল মানুষেরই তাদের জীবনে এর কমবেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ঠিক কখন আমাদের কাউকে বিশ্বাস করা উচিৎ আর কখন আমাদের তা করা উচিৎ নয়, তা আমরা প্রায় সময়ই বুঝে উঠতে পারি না। ফলে অনেক সময়ই আমদেরকে তার চরম মূল্য দিতে হয়।
সুতরাং সত্য, মিথ্যা যথাযথভাবে পরীক্ষা করে তবেই বিশ্বাস করুন।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু মুশকিল হল, সবসময় যথাযথভাবে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়না। ভাল থাকুন।

৩২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

রাতু০১ বলেছেন: যেখানে আমার দেশের বেশিরভাগ লোকই কুসংস্কার নিয়ে আছে, সেখানে আমাদের দরকার একটি ঝকঝকে নতুন বিজ্ঞান-প্রজন্ম । সংস্কারে মসৃণ হওয়ার দরকার নেই, যুক্তিতে রুঢ় হলেই হলো । নিজেদের চরকায় ভালমত ঘি দেয়া দরকার আপু, তেল না। আপনার অনেক লেখাই ভাল লাগে। শুভকামনা।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৩৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

সেয়ানা পাগল বলেছেন: @ আলপনা তালুকদার

http://www.somewhereinblog.net/blog/seyanapagol/30207692
আপনার মূল্যবান মতামত আশা করছি।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: অবসরে চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।

৩৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এই ধর্মগুরুরা যদি তাদের সম্মোহনী শক্তি ব্যবহার করে মানুষকে ভাল কাজে উদ্বুদ্ধ করতেন, তাহলে কত ভাল হতো!!! সহমত।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৩৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫২

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: +++++

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৩৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধর্ম আর বিজ্ঞান সম্পূর্ণ দুটি ভিন্ন জিনিস। প্রথমটিতে আছে কেবলই অন্ধ বিশ্বাস। আর দ্বিতীয়টি কেবল বিশ্বাসের উপর নয়। বিজ্ঞান হলো- পরীক্ষা –নিরীক্ষা আর না ধরনের যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে সত্যকে আবিষ্কার করা। বিজ্ঞানে অন্ধ বিশ্বাসের কোন জায়গা নেই। গবেষণাগারে প্রমাণ করতে না পারলে তা মিথ্যা বলে প্রতীয়মান হবে।

ধর্ম মানুষ পায় জন্ম সূত্রে। অর্থাৎ কেউ হিন্দুর ঘরে জ্ম গ্রহণ করলেই সে হিন্দু হয়ে যা্বে। এবং তাকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতেই হবে তার ধর্মের সব কিছু । নইলে তার খবর আছে।

অন্ধ বিশ্বাসের একটি বড় অসুবিধা হলো তা মানুষকে উগ্র করে তুলতে পারে। কেননা, সে তার অন্ধ বিশ্বাসকে অন্যের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে চায়। সেটা না পারলে সে ক্রোধ জাগ্রত করে। অন্যকে আঘাত করে। বিজ্ঞান এটা করবে না।

অন্ধ বিশ্বাসের একটি বড় সুবিধাও আছে। এটা আপনার চিন্তার জগৎকে সীমাবদ্ধ করে রাখে । ফলে আপনার টেনশন কম হবে। যে যত বেশী জানতে চাইবে তার টেনশনও তত বেশী হবে। তাই অন্ধ বিশ্বাসী লোকেরা এক কথায় সুখেই আছে। ভবিষ্যতে বিরাট কিছু পাবার আশায় তারা জান দিতেও প্রস্তুত। এটা তো ভালোই। খারাপ না।


বিশাল জনসংখ্যার দেশ ভারত। তার অর্ধেকও যদি অন্ধারে থাকে তা কিন্তু বিশালই।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৩৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: এই ধর্মগুরুরা যদি তাদের সম্মোহনী শক্তি ব্যবহার করে মানুষকে ভাল কাজে উদ্বুদ্ধ করতেন, তাহলে কত ভাল হতো!!

-এটা তারা করবে না। চোরের যেমন লক্ষ্য থাকে গেরস্থের ঘরের মূলবান সামগ্রীর দিকে, তেমন এসব ভণ্ডদের দৃষ্টি থাকে ভক্তের পকেটের দিকে। যে যত বেশি মানত করবে তার আশা তত দ্রুত পূরণ হবে। এগুলো ব্যবসা। সমাজের ভালো করতে গেলে তাদের ব্যবসা টিকবে না।

একবার মদনপুর বা তার কাছাকাছি দেওয়ানবাগীর ভক্তদের সঙ্গে আরেক কথিত পিরের ভক্তদের মারামারি, ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। সেসব ভক্তদের মাঝে দেশের অনেক হোমরা-চোমড়া সরকারী আমলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও নাকি আছেন।

এখানে বিশ্বাস (অন্ধ বা যুক্তিপূর্ণ) এর পেছনে আছে ব্যক্তি স্বার্থ। কাজেই যতদিন লোকজন স্বার্থ হাসিলে সক্ষম হবে, ওসব ব্যাপারীদের ব্যবসাও টিকে থাকবে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।

৩৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: আপনি নিজেও ঠিক জানেন কি বিশ্বাস আর অন্ধ বিশ্বাস ফারাক ? আমার তো মনে হয় আপনার জ্ঞানের চোখ এখনো আধখোলা অবস্থায় আছে । না হলে কি করে এক বাক্যে মেনে নেন ভারত মুর্খের দেশ! দু একজন ভন্ড বাবা ,মা ,স্বামীজি নিয়ে ভারত নয় । আপনি যেটা বিশ্বাস করেন সেটাই দেখেন নতুন কিছু দেখার চেষ্টা করেন না । ভারতীয় পরম্পরা খারাপ বা ভালো যাই হোক সেই বংশধারার উত্তরাধিকারী আপনিও ।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: যে দেশের প্রধানমন্ত্রী ন্যাংটা গুরুর সামনে মাথা নোয়ায়, সেদেশ মূর্খদের নয়? কে যেন ফেসবুকে লিখেছে, গুরু ন্যাংটা হলে সব শিস্যদেরও উচিত ন্যাংটা থাকা। বুঝুন অবস্থাটা! আমি কিন্তু বাংলাদেশের মানুষদের ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাসের কথাও লিখেছি, সেটা ভুলে যাবেন না। ধন্যবাদ।

৩৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: পৃথিবী গোল বা কমলা লেবুর মতো আপনি বা আমি জানি বিশ্বাস করি । কিন্তু এবার বলুন তো আপনি অব আমি কি করে জানলাম পৃথিবী গোলাকার ! কখনো পৃথিবীর বাইরে থেকে বা চাঁদে বসে কি পৃথিবীর দিকে তাকিয়েচি ? নাকি শুধু বইয়ে লেখা আছে বা অন্যরা বলে তাই বিশ্বাস করছি । বিশ্বাস আর অবিশ্বাস এর ফাঁক এরকমই সুক্ষ । মানুষ এই ফাঁক টুকুই বোঝে না তাই ঠকে ।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০১

চুলবুল পান্ডে বলেছেন: ওপাড়ের রামদের তড়পানি দেখে সত্যি অবাক হলুম। বেহায়াছাগল আবার ইসলাম ধর্ম নিয়ে চরম কটূক্তি করছে। তার নিজের দেশে কোন মুসলিম তার ধর্মকে কটাক্ষ করলে গোরাক্ষসদের মত পিটিয়েই ভবলীলা সাঙ্গ করে দিত।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তা দিত। দিচ্ছেও তো। ধন্যবাদ।

৪১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

শিখণ্ডী বলেছেন: গুরু নারীর পিঠের উপর দিয়ে হেঁটে গেলে সে নারী গর্ভবতী হয়, এমন অযৌক্তিক অন্ধবিশ্বাসের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে অল্পকিছুদিন আগে। মৃত মানুষের মাথার খুলিতে বিশেষ পানীয় পান করলে আয়ু বাড়ে, গুরুর এমন কথায় অন্ধবিশ্বাস করে কবর খুঁড়ে মাথার খুলি জোগাড় করে ধরা পরে এক লোক ভারতেই। ধর্ম গুরুদের প্রতি নানা অন্ধবিশ্বাসে ভরা ভারতীয়দের মন।
১। বিজ্ঞানের বদৌলতে আমরা জানি কেন এক শিশু হিজড়া হয়। ইসলাম মতে মানুষ আর জ্বীনের সহবাসে শিশু হিজড়া হয়। বলুন এটি কুসংস্কার?
২।পৃথিবী সমতল--এটা ধর্ম বলে। আমরা পৃথিবীর আকার কেমন জানি। এ বিষয়ে কী বলবেন?
৩। বৃষ্টি কেন হয় আমরা সবাই জানি। তবে মিকাইলের কাজ কী? বলেন, বলেন.......
৪। ফেরেসতারা কাঁধ বদল করলে পৃথিবীতে ভূমিকম্প হয়। বলুন এটি অন্ধবিশ্বাস?
৫। সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। ধর্মের বাইরে যাবেন?
বিপদে পড়লে বা একান্ত বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচানোর জন্য এসব খাবার অনুমতি আছে যা স্বাভাবিক অবস্থায় নেই।

নিজ ধর্মের বিধান হলেই উহা শিরোধার্য, উহা অন্ধবিশ্বাস নহে! উহা পৃথিবীর সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য হউবেক!!!!! চমৎকার!!
নিজে অন্ধবিশ্বাসে ডুব দিয়ে অন্যের অন্ধবিশ্বাস খোঁজেন?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

আলপনা তালুকদার বলেছেন:
ধর্ম মানেই বিশ্বাস। সব ধর্মেরই আলাদা কিছু বিষয় আছে যার সাথে বিজ্ঞান বা যুক্তির মিল থাকতেও পারে, নাও পারে। এগুলো প্রমাণ করা যায়না, শুধুই বিশ্বাস করতে হয়। ধর্মগ্রন্থগুলো তাই। আর অন্ধবিশ্বাস হচ্ছে, কোন কিছু ভুল প্রমাণিত হবার পরেও তাকে আঁকড়ে থাকা। যেমন গুরু ভাল লোক - এটা বিশ্বাস। আর আপনার মেয়েকে রেপ করার পরেও যখন আপনি বিশ্বাস করেন যে গুরু ভাল লোক, মেয়ে মিথ্যে বলছে, এটা অন্ধবিশ্বাস। কোন মুসলিম পীর বা হুজুরও যদি গুরুর মত কোন পাপ করে এবং তা বিশ্বাস করা না হয়, তাহলে সেটাও অন্ধবিশ্বাস। আর সেই অন্ধবিশ্বাসের কারণে যখন জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়, তখন সেটা খুবই নিন্দনীয়, সেটা যে ধর্মেরই হোক। আমি বলিনি যে শুধু হিন্দুধর্মের লোকেরা অন্ধবিশ্বাসী, মুসলিমরা নয়। আমার লেখাটি আর একবার পড়ে দেখুন। আমি সেখানে ভারত, বাংলাদেশ, দুদেশের লোকেদেরই ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাসের কথা বলেছি।

পিঠে হাঁটলে সন্তান হয়, মৃত মাথার খুলিতে পানীয় খেলে আয়ূ বাড়ে, সন্তান বলি দিলে ধনলাভ হয় - এগুলো হিন্দু ধর্মগ্রন্থে থাকার কথা নয়। এগুলো ভণ্ডগুরুদের বাণী যা ধর্মগ্রন্থের কথা ভেবে লোকে গুরুর কথা অন্ধের মত বিশ্বাস করে, পালন করে।

হাদিস কোরাণে বলা আছে জীবন বাঁচানো ফরজ। তাই শুধুমাত্র জীবন বাঁচাতে হারাম খাবার (ঘোড়া বা শুকরের মাংস বা এরকম কিছু) খাওয়া যাবে, অন্যকারণে নয়। এটি ইসলামের কথা। এটি ইসলামে আছে বলেই বলেছি। না থাকলে বলতাম না। কোন ধর্মের কোন কিছুই সবার জন্য গ্রহণযোগ্য হবেনা। আমি এরকম কিছু বলিনি। ধন্যবাদ।

৪২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫২

সেয়ানা পাগল বলেছেন: @ চুলবুল পাণ্ডে

আকবর উদ্দিন ওআসি হাইদ্রাবাদের All India Majlis-e-Ittehadul Muslimeen দলের নেতা প্রকাশ্য সম্মেলনে বলেছেন " যদি ৩ দিনের জন্য পুলিশ প্রশাসন হটিয়ে নেওয়া হয় তাহলে ৩০ কোটি মুসলিম বাকি ১০০ কোটি হিন্দুকে কেটে ফেলব ।" এই বক্তব্য এর পড়েও এখনো সে বেঁচে আছে এবং রাজনীতি করে খাচ্ছে, এটাই প্রমাণ করে যে ভারতবর্ষ এখনো বাকস্বাধীনতা ও পর ধর্মমতসহিষ্ণুতে বিশ্বাস করে।
আর ইসলাম নিয়ে কটূক্তি কোথায় করলাম যদি ধরিয়ে দেন তাহলে উপকার হয়।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: উনি কিন্তু পোস্টে কোন নাম উল্লেখ করেননি। তাই উনি আপনাকেই ঈঙ্গিত করেছেন, এমন কথা আপনি বলতে পারেন না।

আর "ভারতবর্ষ এখনো বাকস্বাধীনতা ও পর ধর্মমতসহিষ্ণুতে বিশ্বাস করে" একথা প্রমাণের জন্য আপনি যে রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে ধরেছেন, তা ধোপে টিকবেনা। জনসভায় অমন হাজার কথা বলাই যায়। আর ৩০ কোটি যে ১০০ কোটিকে কাটতে পারেনা, এটা দুধের শিশুও বোঝে। তবে সবচেয়ে ভয়ংকর যে সত্যি, সেটা হলো, ধর্মকে কটাক্ষ তো দূরে থাক, নিজের ধর্ম অনুমোদিত খাবার (গরুর মাংস) নিজের পয়সায় খাবার অপরাধে যখন প্রকাশ্যে শত শত লোকের সামনে কোন মানুষকে হিন্দুরা নির্মমভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলে, তখন ভারতবর্ষে আর যাই থাকুক, পরধর্মত সহিষ্ণুতা থাকেনা। ধন্যবাদ।

৪৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১২

সেয়ানা পাগল বলেছেন: @ আলপনা তালুকদার

বাংলাদেশ এ ৮ টি ডিভিসন আছে। সবার ভাষা ও রীতিনীতি এক।
ভারতবর্ষে ২৯টি রাজ্য ও ৭টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল আছে। শুধুমাত্র ওয়েস্ট বেঙ্গলেই আছে ২৩টি জেলা।
প্রত্যেক রাজ্যের ভাষা ও রীতিনীতি অন্য রাজ্যের থেকে আলাদা। প্রত্যেক রাজ্যের আইন ও শৃঙ্খলা রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন আমেরিকা র প্রত্যেক রাজ্যের আইন আলাদা।
হিন্দু জাতীয়তা বাদী দল বিজেপি ক্ষমতায় আছে ৪-৫ টি রাজ্যে যেখানে গরু র মাংস খাওয়া বারন এবং খাওয়ার জন্য মুসলিম কে পিটিয়ে মারার অত অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে কিন্তু দোষী তা শাস্তি পেয়েছে। বাকি ২৪টি রাজ্যে যেমন তামিলনাডু, ওয়েস্ট বেঙ্গল, কেরালা, নর্থ- ইস্ট সকল রাজ্যএ গরু কাটা ও খাওয়া বেআইনি নয়।
আশা করি বোঝাতে পারলাম।
তাই বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষ বৈচিত্র্য ও বিশালতার দিক দিয়ে তুলনাtতেই আসে না। বড়জোর পশ্চিম বঙ্গ এর সাথে তুলনা হতে পারে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হা হা হা!! আজব যুক্তি দিলেন! একমণ দুধে একফোটা লেবু দিলেই পুরো দুধই নষ্ট হয়ে যায়। একজনও নিরপরাধ মানুষ খুন হলে, একজন মানুষও তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে তা পুরো দেশোর ব্যর্থতা, সেখানে ৪/৫ টা রাজ্য!!! একটা গ্রামেও এমন হওয়া অন্যায়। আপনি তা পারেন না। আর কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে তুলনা চলে, সে প্রসঙ্গে গেলাম না।

৪৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২৯

সেয়ানা পাগল বলেছেন: ১) পশ্চিমবঙ্গ হিন্দু পুরোহিত দের বাদ দিয়ে শুধু মসজিদের ইমাম দের মাসিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বেনারজ্জি সরকার থেকে ।
২) আসন্ন দুর্গাপূজা তে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১লা অক্টোবর অব্দি প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ রাখার হুকুম হয়েছে মুসলিম দের মহরম শোভাযাত্রা উপলক্ষে ।

এটা বাংলাদেশ এ আশা করা আকাশ কুসুম কল্পনা করার মতো । তাই দয়া করে ভারতবর্ষের সাথে তুলনা করতে যাবেন না।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: বাংলাদেশের সবগুলো সরকারী প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে হিন্দুরা অধিষ্ঠিত। ভারতে গোটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন মুসলিম শিক্ষক খুঁজে পাওয়া মুশকিল, সেখানে বাংলাদেশে..। ভারতীয় সবগুলো চ্যানেল বাংলাদেশে চলে। বাংলাদেশী একটা চ্যানেলও চলেনা। থাক। অযথা বিতর্ক না করি। আমি ভারতের সাথে বাংলাদেশের তুলনা করিনি। শুধু বলেছি, দুই দেশেই কিছু ধর্মান্ধ মানুষ আছে যারা মানবতার শত্রু। ধন্যবাদ।

৪৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ................ আপনি আর ক্যাঁচাল পোস্ট দিয়েন না ম্যাডাম।

তারচেয়ে কবিতা পোস্ট করেন।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ক্যাচাল পোস্ট দেব - এরকম মনে করে তো কোন পোস্ট দেইনা দাদা। ন্যায্য কথা বলি। যাদের পছন্দ হয়না, তারা ক্যাচাল করে। করতেই পারে। ক্যাচাল করতে পারাও মানুষের মৌলিক অধিকার, নয় কি?

আর কবিতা কি আপনার মত সবাই লিখতে পারে? যারা পারেনা অথচ নিজেদেরকে কবি বলে দাবী করে, তারা নিজেদের মধ্যে লাইক, কমেন্ট বিনিময় করে কবিতাকে হিট বানায়। আমি তাদের দলে নই। ব্লগে অনেক ভাল কবিতাতে লাইক পড়েনা। আফসোস!

আমার কবিতা আমার নিজেরই পছন্দ হয়না। তাও মাঝে মাঝে লিখি। আরো আফসোস!!!!!

৪৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: ক্যাচাল করতে পারাও মানুষের মৌলিক অধিকার, নয় কি?

হা হা হা ..........
তাহলে তো পৃথিবী ১০০% অসুন্দরে ভরে উঠবে।
এখনো যা একটু সুন্দর আছে তা ওই ১% অক্যাঁচাল মানুষদের জন্য।
জানেন তো আমাদের দেশের মানুষ ৯৯% ক্যাঁচালবাজ। তাদের সুযোগ দেওয়ার দরকার নেই।

আর কবিতা কি আপনার মত সবাই লিখতে পারে?

যদিও আমি নিজেকে কবিদের দলে চিন্তা করি না।
আপনি কি আমার কবিতা পড়েন? কই কখনো মন্তব্য পাইনি যে!
অথবা আমার ব্লগে ভিজিটর লিস্টে আপনাকে তো দেখি না!!

হয়তো অফ লাইনে পড়তে পারেন।

রাজশাহী শহরের বড় বাজারে চিলিস নামে একটি হোটেল আছে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ক্যাচাল মানে কথা বলা (বাকস্বাধীনতা), সে ভাল কথা বা মন্দ কথা (ক্যাচাল) যাইহোক।

কমেন্ট আমি খুব কম করি, সময়ের অভাবে, তবে পড়ি। আর আপনার যেকোন কবিতা পোস্ট হওয়ার পর চোখে পড়লেই পড়ি। সত্যি কথা বলতে কি, ব্লগে জয়েন করে আপনার কবিতা পড়ে ভাল লেগেছিল বলেই ব্লগে থেকে গেছি। নাহলে চলে যেতাম। তখন আপনার পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম, মনে আছে।

হ্যাঁ, চিলিস আছে। ওটা কি আপনার? তাহলে আপনি মরেছেন! বাঙ্গালী ফ্রি পেলে আলকাতরা খায়, আর....!!!

৪৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

বিজন রয় বলেছেন: তবে মন্দ কথা যত কম বলা যায় তাই ভাল নয় কি?

হা হা হা ..............
না না........ চিলিস আমার নয়...........
আমি ওখানে কয়েকবার খেয়েছি.......... সেই ২০১৩, ২০১২, ২০১১ সালের দিকে।

হ্যাঁ আমার মনে আছে তখন আপনি আমার ওখানে কথা বলেছিলেন।
আর ব্লগে বানান নিয়েও কয়েকটি কথা বলে ছিলেন। তো ওগুলো অনেক আগের কথা।

আমার এখনকার কবিতাগুলো পড়ে কিছু বলুন, আপনি শিক্ষক, আপনার মতামত অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

সত্যি কথা বলতে কি, ব্লগে জয়েন করে আপনার কবিতা পড়ে ভাল লেগেছিল বলেই ব্লগে থেকে গেছি। নাহলে চলে যেতাম।
................ আপনাকে টুপি খোলা সালাম ম্যাডাম..........
এভাবে মানুষের হৃদয়ে স্থান পাওয়া আমার পর সৌভাগ্যের।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: যাহ! খাই দাই মিস্!!! জ্বি, করব, নিশ্চয় করব। ভাল থাকুন।

৪৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৭

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: যে দেশের প্রধানমন্ত্রী ন্যাংটা গুরুর সামনে মাথা নোয়ায়, সেদেশ মূর্খদের নয়? । ধন্যবাদ প্রতি উত্তরের জন্য । আপনার কথায় অবাক হইনি । এটা স্বাভাবিক ভাবনা ন্যাংটা মানেই অসভ্য । আমেরিকায় মেয়েরা ছোট ছোট জামা কাপড় পরে রাস্তায় বেরয়, ছেলেরা এসবে দেখে অভ্যস্ত তাই তারা তাকায় না । বাংলাদেশে শাড়ি বা সেলওয়ার কামিজ। ছেলেরা সাধারণত তাকায় না । যদি কোনো মেয়ে আমেরিকান সেই পোষাক পরে বেরয় ছেলেরা হা হয়ে তাকিয়ে থাকে । সমাজ বলবে কি অসভ্য মেয়েরে বাবা ! আরব দেশ গুলোতে মেয়েরা শরীর ঢেকে রাস্তায় বেরয় । সেখানে যদি কোনো মেয়ে শাড়ি পরে বেরয় তো সেখানকার সমাজ বলবে কি অসভ্য মেয়েরে বাবা ! তাহলে কি বাংলাদেশী বা আমেরিকান মেয়েরা অসভ্য! নিশ্চয় নয় । সবই দৃষ্টি আর ভাবনার ব্যাপার । যদিও আমি ন্যাংটা সাধুদের ভাবি অসামাজিক । কারণ তারা আমাদের এই সভ্য সমাজের মানসিকতার যোগ্য নয়। তবে পোষাক বেশী পরা মানেই যদি সামাজিক বা সভ্যতা হয় তো আপনি যে ভন্ড বাবা কে নিয়ে লিখেছেন সে আমার আপনার থেকেও বেশী সভ্য কারণ সে সারা গায়ে আপনার আমার থেকে বেশী পোষাক পরে । তার পরও সে বেটা ধর্ষক । শরীর নয় অন্তরে তাকান । দেখবেন ওই অসামাজিক ন্যাংটা সাধুর থেকেও বেশী ন্যাংটা আমরা ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনি দুটো জিনিসকে গুলিয়ে ফেলেছেন। পোশাক থাকা (একেবারেই স্বল্পতম বা বেশী) আর একদম না থাকা দুটো এক জিনিস নয়। পোশাক থাকাটাই সভ্যতা, স্থান কাল পাত্রভেদে স্বল্পতম হলেও। না থাকাটা অসভ্যতা। আর অপরাধ অপরাধই, তা সে ভদ্র পোশাক পরা গুরু বা স্বল্প পোশাক পরা যেকেউ করুক না কেন। পোশাক দিয়ে অপরাধীর বিচার হয়না। ধন্যবাদ।

৪৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

প্রণব দেবনাথ বলেছেন: আমি গুলায়নি আপনার বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে । আমার কথার মুল কথা অন্য অপরিচিত আচরণ মানেই সেটা বাজে হয়ে যায়না । ধন্যবাদ ।।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: "অপরিচিত আচরণ মানেই সেটা বাজে হয়ে যায়না ।" আমি কি তা বলেছি? বলিনি। আমি বলেছি ধর্মের নামে কিছু মানুষ এমন কিছু আচরণ করে যার সাথে প্রকৃতপক্ষে ধর্মের কোন সম্পর্কই নেই। তাই তা পরিহার্য, হোক সে যেকোন ধর্মের মানুষ। ধন্যবাদ ।।

৫০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১০

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:

সাঈদীকে নিয়ে তার সমর্থকেরা যখন এই নাটকটি করেছিল আর সেটি যখন লক্ষ লক্ষ অন্ধ সমর্থক বিশ্বাসও করেছিল সেটা কি অন্ধবিশ্বাস ছিলো না? ভারতের দোষ দিয়ে লাভ নেই। অন্ধবিশ্বাসী বাংলাদেশেও কম নেই। পার্থক্য এই, সেখানে অন্ধবিশ্বাসীদের গুরুরা টুপি পরে না, এখানে পড়ে।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: অবশ্যই ছিল। আমি তো সেটা অস্বীকার করিনি। আপনারা বার বার একই ভুল করছেন। আমি কোথাও বলিনি যে শুধু ভারতের লোক অন্ধবিশ্বাসী। কিছু লেখার আগে ভাল করে পড়ুন। আমি ঐ পোস্টেই লিখেছি, বাংলাদেশেও অন্ধবিশ্বাসী আছে। আবার পড়ে দেখুন।

৫১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৪১

রক বেনন বলেছেন: ম্যাম, নির্ভয়ার ধর্ষকরা শাস্তি পেয়ে গিয়েছে। ধর্ষক রাম রহিম ও শাস্তি পেয়ে গিয়েছে। নেংটা গুরুর সামনে মাথা নোয়ানো মোদীর সরকার এদের শাস্তি নিশ্চিত করেছে। আর তনু, পূজা, সাইদী ........ থাক, আর না ই বা বললাম। যে বুঝে তার জন্য ইশারাই যথেষ্ট!!

ভালো থাকুন!!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: কোনগুলোর বিচার হয়েছে কি হয়নি, প্রশ্নটা সেখানে নয়। প্রশ্নটা হচ্ছে এই আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের যুগেও ধর্মের বিষয়ে অন্ধবিশ্বাসী কিছু মানুষ আছে। আছে কিছু অসাধু ধর্মব্যবসায়ী যাদের কারণে নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছে, খুন হচ্ছে সরল বিশ্বাসী নিরপরাধ সাধারণ মানুষ। এগুলো থাকা অনুচিত। ধন্যবাদ।

৫২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫২

সোহানী বলেছেন: পলাতক মুর্গ বলেছেন: জাতি হিসাবে ভারতীয়দের মত এত কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনে হয় শুধু আফ্রিকার মানুষখেকোরাই আছে।......

পোস্টের কমেন্টগুলো ইউনিক। বোঝায় যাচ্ছে প্রতিবেশী (পড়তে হবে পতিবেশী) দের আঁতে ঘা লেঘেছে...... ওকে দাদারা নিজেদেরকে আগে নিরপেক্ষ হিসেবে একটা প্রমান দেন, কোন বক্তৃতার হুমকি নয়... তারপর বক্তৃতা দিতে আইসেন।

যে দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে দাঙ্গার রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি তাদের মুখে আমাদের দেশ নিয়ে কথা বলা মানায় না। বিশ্বের একমাত্র রাস্ট্র যেখানে সংখ্যালঘুরাই ক্ষমতাবান...... চারপাশে তাকান আর ডাটা নেন, বুঝতে পারবেন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৫৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




পপুলার হবার জন্য মকিংবার্ডদের ধর্মের ব্যবহার ক্রমেই বেড়ে চলছে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.