নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমাপ্রেমী । ট্র্যাভেলার । বইপোকা । রন্ধনশিল্পী

আলভী রহমান শোভন

খাই, দাই, ব্লগ লিখি ।

আলভী রহমান শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছেলে শিশুর উপর যৌন হয়রানি এবং সমকামিতা

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৪২


সাধারণ ভাবে যৌন হয়রানি বলতে শিশুর সাথে শারীরিকভাবে মিলিত হওয়া, স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে হাত দেয়া, হস্তমৈথুন করা বা মোবাইলে অথবা ইন্টারনেটে তাকে যৌন কার্যকলাপের ছবি দেখানোকে বোঝায়।

বাংলাদেশে প্রতি ৪ জন মেয়ে শিশুর মধ্যে ১ জন এবং প্রতি ৬ জন ছেলে শিশুর মধ্যে ১ জন যৌন হয়রানির শিকার হয় যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। তবে দুঃখের ব্যাপার হল শিশুর ওপর যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে মেয়ে শিশুদের নিয়েই সচেতনতা সৃষ্টি করতে দেখা যায় বাংলাদেশে। এই সচেতনতার বৈষম্য শুধু মিডিয়া আর এনজিও গুলোতেই নয়, বৈষম্যের সূচনা হয় পরিবার থেকেই। একটা পরিবারে মেয়ে এবং ছেলে সন্তানের ভেতর দেখা যায় মেয়ে শিশুর নিরাপত্তার ব্যাপারে বেশী সচেতন থাকেন বাবা মায়েরা। কিন্তু একটি ছেলে শিশুও যে যৌন হয়রানির শিকার হতে পারে সে ব্যাপারে অনেক পরিবারের বিন্দু মাত্র ধারণাও থাকে না।

গবেষণায় বলা হয় যৌন হয়রানির শতকরা ৭৫ ভাগই ঘটে থাকে শিশুর নিকট আত্মীয় দ্বারা। এই তালিকায় রয়েছে শিশুর কাজিন, গৃহ শিক্ষক, ড্রাইভার, বাবা মায়ের দূর সম্পর্কের আত্মীয়, বড় ভাইবোনের বন্ধু বান্ধব, প্রতিবেশী ইত্যাদি। শিশুরা মূলত পুরুষ দ্বারাই যৌন হয়রানির শিকার হয়। নারীদের দ্বারা হয়রানির শিকার হওয়ার মাত্রা খুব কম কিংবা তেমন নেই বললেই চলে। ছেলে শিশুরাও যে হয়রানির শিকার হয় তা মূলত পুরুষদের দ্বারাই ঘটে থাকে।

যৌন হয়রানির শিকার ছেলে শিশুটি লজ্জায় এবং ভয়ে বিষয়টি বলতে পারে না পরিবারকে। আবার পরিবারকে বিষয়টা কোন ভাবে অবহিত করা হলেও বাবা মায়েরা বিষয়টা সেইভাবে আমলে নেয় না। ছোট বলে আদর করে এই যুক্তি গেলানো হয় শিশুটিকে।

এখন আসি ছেলে শিশুর ওপর যৌন হয়রানির ফলে ছেলেটির মনে কি রূপ প্রভাব ফেলে। ছোটবেলায় নিজের অজান্তে যে হয়রানির ঘটনা ঘটে থাকে একটি শিশুর সাথে সে সেটাকে এক সময় ইতিবাচক হিসেবে নেয়। পরবর্তীতে ছেলেটি নারীর বদলে পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়। ফলে সে সমকামি হয়ে ওঠে। হয়ত অনেকের ধারণা সমকামিতার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ হরমোনজনিত কারণে কিংবা জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। তবে ছেলে শিশুর ওপর যৌন হয়রানিও যে এর অন্যতম কারণ তা অনেকের অগোচরে রয়ে গেছে। হয়রানির শিকার ছেলেটি হয়ত পরবর্তীতে নারীদের সংস্পর্শে এসে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে কিন্তু অনেক সময় সমকামিতার অভ্যাস ছাড়তে পারে না, পরিণামে নিজেকে উভকামি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

শেষ কথা হল, একজন মানুষের সেক্স চয়েজ কি হবে তা অনেকাংশে তার নিজের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু সেই যৌন চাহিদা মেটাতে যেন কোন শিশুকে ব্যবহার না করা হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। আর পারিবারিক ভাবেও যৌন হয়রানির ব্যাপারে সন্তানদের অবগত করতে হবে। পরিবারের একটা কন্যা সন্তানের জন্য বাবা মায়েরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকেন ঠিক তেমনি একটি ছেলে সন্তানের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। মিডিয়াও এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারে। আমাদের পাশের দেশগুলোও ছেলে শিশুদের ওপর যৌন হয়রানি নিয়ে নানা ধরণের সচেতনতামূলক সিনেমা, নাটিকা ইত্যাদি নির্মাণ করেছে। নানা ধরণের ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশেও দরকার আছে এগুলোর। সেই সাথে প্রয়োজন সরকারের সুদৃষ্টি।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩০

কালনী নদী বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ ভালো একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য। আমার মনে হয় শিশু যৌন আইন কঠোর করা হোক প্রয়োজনে এসব কুকর্মের সাথে জড়িতদের ফাসিতে ঝুলানো হোক। আশা করি সম্পাদক মহোদয়ের শোভ দৃষ্টিতে পোস্টটি স্টিকি করা হবে।
এসব কাজে দরা পড়লে কাউকেই ছাড় দিবেন না। প্রয়োজনে দুইএকটার যৌনাঙ্গ কেটে শাস্তি দেওয়া হোক। মন্তব্যে কিছুটা কুৎসিত শব্দ ব্যবহারে অনুতপ্ত তবে এছাড়া ভাবাবেগ প্রকাশের অন্যকোন পথ খোজে পাই নি।
অসংখ্য ধন্যবাদ লেখক। শোভেচ্ছা রইল। ভালো থাকেন!

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩৫

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা নিবেন।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:১৪

সাগর মাঝি বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। সবাই মিলে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৪

জাগরিত নিদ্রা বলেছেন: আপনি যা লিখেছেন তার বিপরীতও ঘটে থাকে। ছয় বছরের মেয়ে বাইশ বছরের ছেলের বুকে শুয়ে সেই রকম আচরন করে এবং আরও করতে চায় যে রকম প্রতি রাতে তার মা তার বাবার সাথে করেছে এবং সে দেখেছে।সে ক্ষেত্রে দোষটা ছেলের না, শিশুর মা বাবার।

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট।
++++

২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন:
নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত সন্তানের জন্যে। সেখানে ছেলে বা মেয়ে বিবেচ্য নয়।
সচেতনতা গড়ে উঠুক সবার মাঝে।
সচেতনতা বাড়ানো পোস্টে ভালো লাগা রইল।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ধর্মীয় অনুশাসন মানুন, নিরাপদ থাকুন ।

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

ইসমাইলহোসেন০০৭ বলেছেন: এই তালিকায় রয়েছে শিশুর কাজিন, গৃহ শিক্ষক, ড্রাইভার, বাবা মায়ের দূর সম্পর্কের আত্মীয়, বড় ভাইবোনের বন্ধু বান্ধব, প্রতিবেশী ইত্যাদি।

আমরা উপরের তালিকার মানুষদের বিশ্বাস করি। কিন্তু এদের দ্বারা যদি যৌন হয়রানির শিকার হয়- তা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেনা।

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ধর্মীয় অনুশাসন মানুন, নিরাপদ থাকুন ।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

বিপরীত বাক বলেছেন: বাংলাদেশে সমকামিতার বিস্তার ঘটেছে ভালভাবেই।
ছেলে মেয়ে দের মেলামেশায় অতিরিক্ত কড়াকড়ি ও তার একটা কারণ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: হতে পারে।

৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এসব হয়রানি কমাতে পরিবারের সচেতনতা জরুরী। সন্তানের সাথে এসব বিষয়ে কথা বলে মা-বাবা বা পরিবারের অন্য সদস্যরা সাবধান করতে পারেন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই শোনা যায় বা পত্রিকায়,ব্লগে পড়েছি "বাবা"ই যখন সন্তানের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে ওঠেন সেক্ষেত্রে কি করার আছে? ইসলামিক অনুশাসনই সব না। বিবেক বলেও একটা বস্তু থাকে। কল্পনাতেও আসে না একজন বাবা বা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কীভাবে একজন শিশুকে হয়রানি করতে পারে!!! বাবা মায়ের অসেচেতনমূলক যৌন মিলন দেখেও অনেক শিশু সেটা আরেক শিশুর উপরেও প্রয়োগ করে! এগুলোর ভয়াবহতা ভেবে দেখবার মতো।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণধর্মী মতামত।

১০| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আশেপাশে সেক্স পার্ভারটেড মানুষের (এদের আসলে মানুষ হিসেবে গণ্য করা যায় না) অভাব নেই।পরিবারের অভিভাবককে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।এমন সামান্য উদাসীনতার ফলে একটা শিশুর জীবন তছনছ হতে পারে।সুন্দর সচেতনতামূলক পোস্ট।সচেতনতা বাড়তে থাকুক...

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৫

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪২

আমিই মিসির আলী বলেছেন: পুরুষ মানুষ তো হিজড়াদের কাছে যৌন হয়রানির শিকার হয় বেশি :P

খুবই সুন্দর একটা অসঙ্গতি তুলে ধরেছেন।
ভালোই লাগলো।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৬

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৯

উল্টা দূরবীন বলেছেন: বার সচেতনতাই কাম্য। লেখায় প্লাস।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৮

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: সেই একটা টপিক । অনেক ধন্যবাদ এটা নিয়ে লিখার জন্য।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৯

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

১৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৫

দায়ী বলেছেন: উপকারী পোষ্ট

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২০

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

বেলাল উদ্দীন বলেছেন: এ কাজ গুলো আবাসিক স্কুল, মাদ্রাসা, গির্জা, মন্দিরে বেশি হয়। আর যারা সমকামিতার বেশি বিরুধী তারা মুলত এ কাজ বেশি করে। যেমন বলতে হচ্ছে না

২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন কথা বললেন। কেউ যদি হরমোনজনিত বা জেনেটিক কারণে অনুভব করে থাকে যে সে সমকামি, তবে সেক্ষেত্রে কিছু বলার থাকে না। কিন্তু একটি শিশু যদি তার শৈশবে যৌন হয়রানির শিকার হয় এবং এর প্রভাবে যদি সে সমকামি হয়ে ওঠে তবে সেক্ষেত্রে সে সোচ্চার হয়, সে চায় তার মত এই নেতিবাচক অভিজ্ঞতা যেন পরবর্তীতে আর কোন শিশুর সাথে না ঘটে।

১৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: মিডিয়াও এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারে। আর প্রয়োজন সরকারের সুদৃষ্টি।
গুরুত্বপুর্ণ লেখা।

২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২২

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.