নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমাপ্রেমী । ট্র্যাভেলার । বইপোকা । রন্ধনশিল্পী

আলভী রহমান শোভন

খাই, দাই, ব্লগ লিখি ।

আলভী রহমান শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ নায়িকা

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৫


খুব শক্ত করে সায়েমকে জাপটে ধরে আছে সাবিহা। মনে হচ্ছে যেন সায়েমকে এভাবেই বাহুডোরে বেঁধে ধরে রাখবে সে সারা জীবন। আর ছেড়ে যেতে দিবে না। যেভাবে যা বলবে সায়েম সেভাবেই সব করবে সাবিহা।

‘কাট এন্ড প্যাক আপ।‘

পরিচালকের কথা শুনে মঈনকে ছাড়ে অরণি। চরিত্র থেকে বের হয়ে আসে। শেষ দৃশ্যের শুটিং এর সাথে সাথে শেষ হল নতুন চলচ্চিত্রের শুটিং। এক সপ্তাহ পর শুরু হবে ডাবিং। আপাতত আর কোন কাজ নেই। হাতের অন্যান্য ছবিগুলোর কাজও শুরু হতে বেশ দেরী। যাক, ভালোই হল অরণি আর মঈনের জন্য।

শুটিং শেষে অরণির গাড়ি ছুটলো ধানমন্ডির এক বেসরকারি হাসপাতালের দিকে। এর পাঁচ মিনিট পর মঈনও বের হল শুটিং স্পট থেকে; একই গন্তব্যে।

প্রায় পাঁচ বছর আগে চলচ্চিত্রে প্রায় একই সময় অভিষেক হয় অরণি আর মঈনের। পর পর এক সাথে বেশ কিছু ছবিতে কাজ করার সুবাদে দর্শকও লুফে নেয় এই জুটিকে। এক সাথে কাজ করতে করতেই এক সময় প্রেম হয় দুইজনের। গোপনে দুজন বিয়ে করে নিয়েছে প্রায় তিন বছর হতে চলল। আজ দ্বিতীয় বারের মত অ্যাবরশন করতে হাসপাতালে যাচ্ছে অরণি। গত এক বছর ধরে মঈনকে খুঁচিয়েই যাচ্ছে বিয়ের ব্যাপারটা সামনে আনার।

কিন্তু মঈনের এক কথা - ‘আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করো। সব কিছু মিলে আরেকটু গুছিয়ে নেই। তারপর না হয় ব্যাপারটা মিডিয়ার সামনে আনা যাবে।‘

অরণিও সেই দিনটা সামনে আসার অপেক্ষায়। মঈনের জন্য সব কিছু করতে সে রাজী। এমন কি পেটের অনাগত সন্তানকেও ছুঁড়ে ফেলে দিতে দ্বিধা নেই তার।

হাসপাতালের করিডরে হাঁটতে হাঁটতেই বুকের ভেতরটা কেমন যেন মোচড় দিয়ে উঠলো অরণির। মনে হচ্ছে কে যেন ‘মা মা’ বলে অস্থির করে তুলছে অরণিকে। করিডোরের এক কোণের সোফা সেটে বসে পড়ে অরণি। হাসপাতালে ভিড় একটু কম এটাই স্বস্তির ব্যাপার। এমনিও ভক্তদের সামনে পড়ার কোন সম্ভবনা নেই। বোরকা পরে হিজাবে মুখ ঢেকে এসেছে সে হাসপাতালে।

হাত পা ছড়িয়ে বসে থিতু হয় একটু অরণি। ‘কি হয় যদি এই বাচ্চাটা রাখে অরণি? এই বাচ্চা তো অবৈধ নয়, মঈনকে বিয়ে করেছে সে । তারই ঔরসজাত সন্তান অরণির পেটে। না, এই বাচ্চা অরণি ফেলতে পারবে না। কখনোই না। কিছুক্ষনের মধ্যে মঈন হাসপাতালে পৌঁছালে তাকে জানাবে যে বাচ্চাটা রাখতে চায় সে। দরকার হলে ফিল্মের ক্যারিয়ার সে ছেড়ে দিবে।‘

এলোমেলো ভাবনা ভাবতে ভাবতে মঈনের অপেক্ষা করে অরণি। বেলা পড়ে এলো প্রায়। শেষ বেলার কন্যাসুন্দর আলোর কিছু ছটা পাশের জানালা চুইয়ে অরণির মুখে এসে পড়েছে। অরণির সৌন্দর্য সাক্ষাৎ দেবী রূপে আবির্ভূত হয়েছে যেন। এই সৌন্দর্য মাতৃত্বের।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫১

বিটপি বলেছেন: প্রথম বাচ্চা এবোর্ট করালে পরবর্তীতে বাচ্চা নিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশের পুরুষদের কনডম ব্যবহারে এত অনীহা কেন? পুরা মজা নেবার জন্য একজন নারীর মাতৃত্ব আর স্বাস্থ্যকে রিস্কে ফেলতে লজ্জা হয়না?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৭

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: সহমত পোষণ করছি আপনার বক্তব্যের সাথে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.