নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্নে সমুদ্র পারি দেওয়া ছেলেটি জেগে উঠে দেখে সে মাত্র বিছানার এপাশ ফিরে ওপাশে শুয়েছে মাত্র

অমিত বসুনিয়া

পৃথিবীর মৃত্যু ঘটুক শূধু তৃনলতাগুলো বেড়ে উঠুক , ছুয়ে দিক নীল আকাশের ভ্রান্ত সীমানা ।

অমিত বসুনিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসিবের ভালোবাসা

২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:২৮

কানের কাছে ভাইব্রেশন মোডে বাজা alarm টা যেন হাতুড়ি পেটাচ্ছে ।
অন্যদিন হলে হয়তো বন্ধ করে আবার ঘুমাতো । কিন্তু আজকে ব্যাপার টা আলাদা ।
আজকে তার বিভা নামের একজনের সাথে দেখা করার কথা । তাদের পরিচয় ফেসবুকে ।
মাঝে মাঝে হাসিব ফেসবুকে কিছু আবোল তাবোল লিখতো । কেন জানি সবার সেটাই ভালো লাগতো । একটা স্ট্যাটাসে একটা কমেন্টে হাসিবের চোখ আটকে গেলো । না কমেন্টে কি লিখেছে সেটা দেখে না বরং তার নামটা দেখে ।।
সে ছিলো বিভা ।
মানুষ স্বপ্ন দেখে কোন এক অপরূপ সুন্দরী মেয়ের সাথে প্রেম করবে । কিন্তু হাসিব স্বপ্ন দেখে বিভা নামে কোন এক মেয়ের । কেমন করে জানি নামটা তার মাথায় ঢুকে গেছিলো জানে না । কিন্তু এই নামটা তার হৃদয়ে এক অস্বাভাবিক স্পন্দন এনে দেয় ।
হাসিব চট করে মেয়েটার টাইমলাইন ঘুরে আসলো । এমনিতেই ভালো ছেলে কাউকে ডিস্টার্ব করে না । কিন্তু এই বিভা নামটার জন্য সে আর থাকতে পারলো না । একটা নক করলো ।
রিপ্লাই নাই ।
রাতে হঠাত ঐ মেয়েটাই নক করলো ।
এভাবে নিয়মিত চ্যাট । এরপর বন্ধুত্ব । এক পর্যায়ে ফোন নাম্বার শেয়ার । এবং ফাইনালি কিভাবে জানি তারা একে অপরের প্রেমে পরে গেলো ।
এর মধ্যে হাসিব কখনই বিভাকে দেখে নাই ।
বিভা বলেছিল এটা তাদের প্রথম দেখা হবার দিনের সারপ্রাইজ ।
আজকে সেই দিন ......
ঘুম থেকে উঠেই বিভা কে ফোন দিলো ......
সে বলল ১০ টায় আসতে ......
হাসিব ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দেয়ে রেডি হতে লাগলো ।।
এমনিতেই হাসিব বাইরে বেরোতে তেমন রাখঢাক করে না । কিন্তু আজকে দিনটা তার জন্য স্পেশাল ।
এপর্যন্ত তিনটা টি শার্ট চেঞ্জ করেছে । চুলটা বার বার আচড়েছে । এরপর হঠাত বিভার ফোন । তুমি কই ?
আমি বের হচ্ছি ।
আমিও বের হচ্ছি তারাতারি আস ।
এরপর হাসিব বের হয়ে গেল । এক পার্কে তাদের দেখা করার কথা ...
তাদের ঠিক করা জায়গায় গিয়ে দেখলো এক পরীর মত মেয়ে বসে আছে ......
হাসিব কখনো কল্পনাই করতে পারেনি বিভা এত সুন্দর হবে । সে ঠায় দ্বারিয়ে রইলো বিভার অপেক্ষায় ।
বিভাকে হাসিব না চিনলেও বিভা হাসিব কে চিনত ।
হঠাত করে একটা কন্ঠস্বর শুন্তে পেলো ।।
--এই হাসিব ।
হাসিব ঘুরে দেখে সেই মেয়েটি ...
--আমি বিভা ...
হাসিব এর চোখ দুইটাকে বিশ্বাস করাতে পারছে না ...
-তুমি !!!!!!
--কেন কি হয়েছে ?
-না কিছু নাহ ... আচ্ছা তুমি কি মেয়ে নাকি পরী ?
--পরী। আর তোমাকে নিয়ে পরীর দেশে উড়ে যাব । হিহি । এখন চল ...
- কোথায় ?
-- জানিনা কোথায় কিন্তু তোমার সাথে হাটতে চাই ।।
- আচ্ছা তাহলে চল একটু হাটি
-- কিন্তু এই পার্কে না । বাইরে চল ...
-আচ্ছা চল ।
দুজনে হাটছিলো আর কথা বলছিলো । হঠাত করে বিভা তার হাতটা দিয়ে হাসিবের বাহুটা জাপ্টে ধরলো । হাসিবের মনে হল তার হাতে যেন এক লাখ ছত্রিশ হাজার ভোল্টের ইলেক্ট্রিসিটি লেগে আছে ।। কিন্তু তার মধ্যেও কোথায় যেন একটা ভালো লাগা আছে । এই ভালো লাগাই হাসিব কে নির্বাক করে দিল ।। এভাবেই তারা হাটছে দুজন ... এ যেন অনন্ত কালের জন্য হাটা ।
হাসিব মনে হয় এভাবেই তার পুরো জীবন পার করে দিতে পারবে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.