নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্নে সমুদ্র পারি দেওয়া ছেলেটি জেগে উঠে দেখে সে মাত্র বিছানার এপাশ ফিরে ওপাশে শুয়েছে মাত্র

অমিত বসুনিয়া

পৃথিবীর মৃত্যু ঘটুক শূধু তৃনলতাগুলো বেড়ে উঠুক , ছুয়ে দিক নীল আকাশের ভ্রান্ত সীমানা ।

অমিত বসুনিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্যারার পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ ( Life is full of pain)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২০

বেঘোরে ঘুমুচ্ছিলাম হঠাত দরজার কাছে কে জানি বোম্ব ফাটালো । ধরমর করে উঠে বসলাম বসতে গিয়ে খাটের ডাসার সাথে মাথার এক প্রকার অলিখিত যুদ্ধ হয়েগেলো । উঠে দেখি আম্মু ডাকছে আর দরজায় বেলন দিয়ে বাড়ি দিচ্ছে । সামান্য বেলন দিয়ে আঘাত করে কেউ এতো জোরে শব্দ কিভাবে করে এটা রহস্যময় ।
আআআআম্মম্মু কি হইছে ?
-তারাতারি উঠে আয় তোর আব্বু তোরে ডাকে ।
কালকে যে আমার পরীক্ষার রেজাল্ট হইছে এইটা আব্বু শুনলো নাকি আবার ! যা হোক মনে মনে এক গাদা মিথ্যা বলার প্রস্তুতি নিয়ে আব্বুর কাছে গেলাম । গিয়েদেখি আব্বু এক মনে খবরের কাগজ পড়তেছে । বেচারার সেই মুখখানি দেখে মিথ্যা বলার ইচ্ছা হলো না । কিন্তু কিছু করার নাই আমি অত বড় মহান কেউ হই নাই যে নিজের ফেল করার কথা অকপটে বলে দিবো । আর আমার আব্বু আমাকে বলবে বাবা ফেল করেছিস কোন ব্যাপার না পরের বার ভালো করে পরীক্ষা দিস , এই নে টাকা যা বাজারে গিয়া একটা রুই মাছ নিয়া আয় । যাহোক যা ভয় করেছিলাম সেটা হলো না । আব্বু সত্যিই আমার হাতে টাকা ধরায় দিয়া মাছ কিনতে পাঠাইলেন । খালি কই মাছের জায়গায় রুই হইলে ঘটনাটা মিল খাইতো । যা হোক বাজার করতে গেলাম । এদিকে বাজার করার সময় রাস্তার মধ্যে রিনি ফোন দিয়েছে ।
- তুমি কই ?
- বাজার যাচ্ছি
- আমাদের না আজকে দেখা করা কথা ।
- হুম মনে আছে তো ।
- আচ্ছা কোথায় আসবা ।
- উম্ম জানিনা । আমি পায়রা চত্ত্বরে থাকবো আমায় রিকশায় তুলে নিও তারপর ঠিক করবো কোথায় যাবো ।
- আচ্ছা রাখি বাই ।
- বাই । লাভ............।।
কথাটা পুরা না করতেই ওপাশ থেকে লাইন কেটে দিলো ।
এই মেয়েটিকে নিয়ে আমি আর পারি না । রিনির সম্পর্কে ৩ টি ভয়ঙ্কর কথা না বললেই নয় ।
১। মেয়েটি ভয়ঙ্কর জেদী ।
২। ভয়ঙ্কর ভালো ।
৩। মেয়েটি ভয়ঙ্কর সুন্দর !! আচ্ছা ভয়ঙ্কর সুন্দর কেমন করে হয় ? হলে হবে পরীর মত সুন্দর । এখানেও কনফিউশন । সুন্দর মেয়েদের সবসময় পরীর উপমা দেওয়া হয় কেন ? পরীরা কি সবসময় সুন্দর হয় । কেউ কি পরী কে দেখেছে ? অথচ আরেকটি অদৃশ্ব কাল্পনিক নারী বা নারী টাইপ কিছু হচ্ছে পেত্নী যাকে সবসময়কছে ?আমারো খুব শখ পেত্নীকে অথবা পরীকে দেখার । দেখতে চাই তারা আসলে কেমন । যা হোক বাজার করে ফেরার পথা বাসার গেটে এসেই দেখি বাড়িতে লঙ্কাকান্ড হচ্ছে । তখনো কিছু বুঝতে পারি নাই । বাসায় এসে কাজের বুয়ার কাছে যা শুনলাম তা মোটামুটি এরকম , আম্মু বিছানা করতে গিয়ে আমার রেজাল্ট শীট হাতে পেয়েছে এবং তাই নিয়েই এত চিৎকার । ইশশ কেন যে বালিশের নিচে রাখতে গেছিলাম । এখন নিজেই নিজেকে থাপ্পর মারতে ইচ্ছা করতেছে । বাজারের ব্যাগটা আমাদের বুয়ার হাতে দিয়ে চুপিচুপি নিজের রুমে গেলাম । ভাগ্যিস আমার রুম টা বাইরের দিকে ছিলো । অবশ্য বাইরের দিকের ঘরটা আমি নিজেই নিয়েছি যাতে রাত বিরাতে ফিরলেও কেউ টের না পায়। এই ঘরের এক দরজা ভেতরের দিকে আরেকটা বাইরের দিকে । আচ্ছা থাক রুমের ব্যাখ্যা দিয়ে গল্প বড় করতে চাই না । বল্লাম এই জন্য যে বাইরের দরজার কারনেই আজ এত্ত অড় ঝড় থেকে নিজেকে আড়াল করতে পারলাম । রুমে গিয়ে টি শার্ট টা চেঞ্জ করে ভালো করে পারফিউম মেরে গেলাম পায়রা চত্ত্বর । যদিও আমি শিওর ছিলাম রিনির আসতে আরো ঘন্টা খানেক লাগবে ।
( চলবে )

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০০

অমিত অমি বলেছেন: ভালো লাগলো।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

অমিত বসুনিয়া বলেছেন: আপনার এই সামান্য ভালোলাগাতেই আমার স্বার্থকতা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.