নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড্ডা ঢাকা

আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে স্বাগতম

বাড্ডা ঢাকা

বেশি কথা কইয়েননা আমি রাজনীতি করি না আপনার সমস্যা কি । রাজাকারের বিচার একদিন না একদিন ঠিকই শেষ হবে ।

বাড্ডা ঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন জেনে নেই এ পযন্ত হওয়া বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিজড়ের আংশিক কিছু কথা ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

ঘূর্ণিঝড় আইলায় ক্ষতির পরিমানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছেঃ
ভারতে আয়লার প্রকোপে অন্তত ১৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল । এদের মধ্যে দুইজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এবং বাকি শতাধিক ব্যক্তি অতিবৃষ্টিজনিত বন্যায় আক্রান্ত হয়ে নিহত হয়েছিলেন । প্রবল ঝড়ে সমস্ত অঞ্চল জুড়ে গাছ উপড়ে পড়ায় রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল । আটটি গ্রামের ১৫ ০০০ এরও বেশি মানুষ প্রবল বন্যায় ত্রাণ সরবরাহ প্রকল্প থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন । ঝড়ের দাপটে কলকাতা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় । পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, কলকাতা এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় । সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে আয়লার প্রভাবে এক লক্ষেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হন । অন্তত ১০০টি নদীবাঁধ ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয় । সারা দেশে ঘরছাড়া মানুষের সংখ্যা ১,৫০,০০০-এর কাছাকাছি দাঁড়ায় । উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এ প্রবল বর্ষণে পাহাড়ে ধস নামায় ৬ জন নিখোঁজ এবং ২২ জন নিহত হন । ওই অঞ্চলে অন্তত ৫০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় । ন্যূনতম ৫০,০০০ হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতির শিকার হয়, যার নির্ধারিত মূল্য ১২৫ কোটি টাকা ২৬.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার । সারা রাজ্যে মোট ৪০,০০০ বাড়ি ধ্বংস হয় এবং এছাড়া ১,৩২,০০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্তত ৩,৫০,০০০ মানুষ আয়লার দাপটে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হন । পরবর্তীকালে প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে ১,৭৫,০০০ বাড়ি ধ্বংস হওয়ার ফলে ও ২,৭০,০০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে ২৩,০০,০০০ এরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হন ।

ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের কারনে ক্ষয়ক্ষতি যে প্রভাব পড়েছিলঃ
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বৃষ্টিপাত ঘটায় শ্রীলঙ্কায় বন্যা হয়েছিল । রত্নাপুরায় ১৪৬.৩ মিলিমিটার এবং কুরুনেগালায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল । দ্বীপটির নদীগুলোয় ১০৬ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি প্রবাহিত হয়েছিল । জলবিদ্যুৎ বাঁধগুলোয় পানির প্রবাহকে নিয়ন্ত্রিত রাখতে নিম্নাঞ্চলে পানি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল । তারপরও পানির সাহায্যে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৬১.৫ গিগাওয়াট ঘন্টা থেকে ৭৯৪.৪ গিগাওয়াট ঘন্টা যা ৫২.৬ থেকে ৬৩.১ শতাংশে রূপান্তরিত হয়েছিল । এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৭ ব্যক্তি নিহত ও ২ ব্যক্তির নিখোঁজের সংবাদ পাওয়া গেছিল । এছাড়াও প্রায় ২,৮০০ ব্যক্তি গৃহহীন হয়েছিল ।
ভারতের পশ্চিমাংশের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে বেশ কয়েকটি ঝড়ে ৮ ব্যক্তি নিহত ও ৪ ব্যক্তির গুরুতরভাবে আহত হবার সংবাদ পাওয়া গেছিল । অবশ্য সবগুলোই ঘটেছিল বজ্রপাতজনিত কারণে । প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে ৭৩৯ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয় ও ২৩টি গবাদিপশু ডুবে যায় । ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ পূর্বাংশের চেন্নাইয়ে ৩৯.৬০ সেলসিয়াসের মতো উচ্চ তাপমাত্রা লক্ষ্য করা যায় । ১৩ মে উড়িষ্যার উপকূলীয় জেলাগুলোয় প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়ায় আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা প্রেরণ করা হয় । মিজোরামের বিদ্যালয়গুলো ১৬ মে অর্ধ দিবস এবং এর পরদিন বন্ধ রেখেছিল ।
মহাসাগরের বৃহদাকৃতির ঢেউ এবং উচ্চগতিসম্পন্ন বায়ুপ্রবাহের কারণে থাইল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল । নাখোন সয়ান প্রদেশের এক ব্যক্তির মৃত্রু, তিনটি বাড়ী ধ্বংসসহ অন্যান্য বিশটি বাড়ির ক্ষতিসাধন হয় ।
ঘূর্ণিঝড় হাইয়ান ছিল ২০১৩ সালের সব চেয়ে শক্তিশালী ।
স্মরণকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলে পরিগণিত ঘূর্ণিঝড় হাইয়ান প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নভেম্বর ২০১৩ সালে সংগঠিত প্রবল ঝড় । এটি ফিলিপাইন অতিক্রম করে ২০১৩ সালের নভেম্বরের ১০ তারিখে ভিয়েতনাম এর দিকে ধেয়ে যায় ।
১৯৯১ সালের ঘূর্নিঝড়ে নিহতের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক বেশি । স্মরনকালের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়গুলির মধ্যে এটি ছিল অন্যতম একটি । এটি ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিল বাংলাদেশে দক্ষিণপূর্ব চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ২৫০কিমি ঘন্টা বেগে আঘাত হানে । এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ৬মিটার ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত করে এবং এর ফলে প্রায় ১,৩৮,০০০ মানুষ নিহত হয় এবং প্রায় ১ কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারায় ।
ঘূর্ণিঝড় হুদহুদদের ক্ষয়ক্ষতি পরিমানঃ
ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসের ৬ তারিখে বঙ্গোপসাগরে আন্দামানের নিকটে এক গভীর নিম্নচাপ থেকে উদ্ভূত হয়ে এই ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়টি ৮ তারিখ একটি প্রবল সাইক্লোনে রূপ নিয়েছিল । ৯ তারিখ তা অতি প্রবল হয়ে উঠে উত্তরপশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে ১২ তারিখ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়েছিল । ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়বার সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটার । অক্টোবরের ১১ তারিখ বিকেলে হুদহুদের অবস্থান ছিল উড়িষ্যা অন্ধ্র রাজ্য থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে । পরবর্তীতে ঝড়টি এই দুটি প্রদেশেরই উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল আঘাত করেছিল । এরপর এই ঝড় উত্তরপ্রদেশ এবং নেপালের দিকে অগ্রসর হয়েছিল । এর ফলে এই দুই অঞ্চলেও প্রবল বৃষ্টিপাত এং তুষারপাত হয়েছিল । হুদহুদের জেরে অন্ধ্রপ্রদেশে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল । বিশেষ করে শ্রীকাকুলাম ও বিজয়নগরম অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল সর্বাধিক বেশি ।
হুদহুদের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়েছিল । পশ্চিমবঙ্গেও এর প্রভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ঘটেছিল । বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছিল । এই ঝড়ের ফলে মোট ১২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ২১ হাজার ৯১৮ কোটি টাকার ভারতীয় সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল । ঘূর্ণিঝড়টি ১৪ অক্টোবরের পর নাগাদ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছিল ।
ঘূর্ণিঝড় নিলুফার উত্তর ভারত মহাসাগর থেকে উত্‍পন্ন শক্তিশালী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় নিলুফার পরবর্তীতে আরব সাগর দিকে অগ্রসর হয়ে আঘাত করেছিল । ঘূর্ণিঝড় নিলুফার ২০১৪ সালে উত্তর ভারত মহাসাগরে সংঘটিত হয় । এটি ছিল ২০১০ সালের পর আরব সাগরের সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড় । ঘূর্ণিঝড়টি আরব সাগরের নিম্ন চাপ বিশিষ্ট অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয় এবং পরে ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবরে তা তীব্র হয়ে উঠেছিল । পরের দিন এটি ঝড়ের সৃষ্টি হয়েছিল । পরবর্তি কয়েকদিনে ঝড়টির তীব্রতা বেড়েছিল । আর তা অক্টোবরের ২৮ তারিখে তীব্রতা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায় ।


আল্লাহু শুনেছি আজ আবার নাকি ঘূর্ণিঝড় আসছে । আল্লাহু তুমি আমাদের ওপরে রহমত দেও ।
তুমি ছাড়া আমাদের দেখপাল ও হেফাজত করার আর কেও নেই ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: আপনাকেও পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

আমি মিন্টু বলেছেন: হুম বহু কিছু জানলাম ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.