নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যেয়

আনিসুর রহমান এরশাদ

আমি আমার দেশকে অত্যন্ত ভালবাসি ।

আনিসুর রহমান এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধ

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মুক্তিযুদ্ধ আমাদেরকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছে, আমাদেরকে সাহিত্য জগতে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনে বিশেষ গৌরব ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন । আমাদের সাহিত্যের উৎকর্ষে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রাখে মুক্তিযুদ্ধ। তৈরি হয় মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলী নিয়ে নানা ধরনের সাহিত্যসৃষ্টির প্রবণতা। আর এই প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন পর্যন্ত সাহিত্যসৃষ্টিতে অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রামশীলতা, দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ, বীর্যবত্তা ইত্যাদি গুণের পরিচয় বিধৃত হয়ে সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা ক্রমেই স্বমহিমায় অবয়ব লাভ করেছে। তাই বাংলাদেশের সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এক অনন্য বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নবজন্ম লাভ করার পরে বাংলাদেশের সাহিত্যে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য কোন কোন ক্ষেত্রে স্পষ্টতর হয়ে উঠেছে।



মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস:

জাহানারা ইমামের-একাত্তরের দিনগুলি, রশীদ হায়দারের-খাঁচায়, মাহবুবুল হকের-জীবন আমার বোন, রিজিয়া রহমানের-বং থেকে বাংলা, রাবেয়া খাতুনের মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, ফেরারী সূর্য, শাহিদা খাতুনের-যুদ্ধে যুদ্ধে নয় মাস, জোবাইদা গুলশান আরার-সুবাস ফেরেনি, হাসনাত আব্দুল হাইয়ের-নিখোঁজ, রফিকুন্নবীর-পিস্তল, মঈনুল আহসান সাবেরের-সতের বছর পর, রশীদ হায়দারের-নদী ও বাতাসের খেলা, অন্ধ কথামালা, খাচায়, এবং ইমদাদুল হক মিলনের-কালো ঘোড়া; ঘেরাও, সালাম সালেহ উদ্দীনের-ছায়াশরীর সহ বহু উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। শওকত ওসমানের মুক্তিযুদ্ধে ও পরবর্তী কালে বাঙালির সংগ্রাম সাধনার পরিচয় তুলে ধরে তিনি কতিপয় গ্রন্থ রচনা করেন। যেমন: জাহান্নাম হতে বিদায়, দুই সৈনিক, নেকড়ে অরণ্য, জলাঙ্গী, রাজা উপখ্যান’ শহীদ আনোয়ার পাশার রাইফেল রোটি আওরাত উপন্যাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মর্মান্তিক বাস্তব অভিজ্ঞতা ও চিত্র অঙ্কিত হয়েছে।



রীতা চক্রবর্তীর শরণার্থিনী, সরদার জয়েন উদ্দীনের বিধ্বস্ত রোদের ঢেউ। তাঁর অনেক সূর্যের আশা’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমিকায় বিস্তৃত পরিসরে এ উপন্যাস খানি রচিত। শওকত আলীর যাত্রা, উত্তর খেপ, হুমায়ূন আহমদের জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প, শ্যামল ছায়া, নির্বাসন, সৌরভ, ১৯৭১, আগুনের পরশমণি, অহমদ ছফার ওঙ্কার, অলাতচক্র, সেলিনা হোসেনের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপস্যাস হাঙর নদী গ্রেনেড, নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি, কাটা তারের প্রজাপতি, সৈয়দ শামসুল হকের নীল দংশন, নিষিদ্ধ লোবান, আবু জাফর শামসুদ্দীনের দেয়াল, আমজাদ হোসেনের অবেলায় অসময়, মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস সমগ্র, খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াসের কত ছবি কত গান বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম উপন্যাস।



আবু রুশদের দেশ বিভাগের পটভূমিকায় রচিত তাঁর নোঙর উপন্যাস। মেসবাহুল হক রচনা করেছেন পূর্বদেশ নামক সুবৃহৎ উপন্যাস। আহমদ ছফার উপন্যাস ওঙ্কার, আল মাহমুদের উপমহাদেশ, শামসুর রাহমানের অদ্ভুত আঁধার এক,মাহমুদুল হকের উপন্যাস খেলাঘর,আবুবকর সিদ্দিকের উপন্যাস একাত্তরের হৃদয়ভস্ম।রফিকুর রশীদের উপন্যাস দাঁড়াবার সময়,ছায়ার পুতুল। হারুন হাবীবের প্রিয়যোদ্ধা’,বরেন চক্রবর্তীর ক্রান্তিকাল, মুক্তি উপাখ্যান, তামস।সোনালী ইসলামের চৈত্র থেকে পৌষ, মুহম্মদ আনোয়ার আলির একাত্তরের দুঃখগাঁথা উল্লেখযোগ্য।



মাহমুদুল হকের জীবন আমার বোন, সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের জীবনতরু, , মিরজা আবদুল হাইয়ের ফিরে চলো প্রভৃতি মুক্তিযুদ্ধের উপকরণনির্ভর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। রশীদ করিমের আমার যত গ্লানি এবং মাহবুব তালুকদারের অবতার মুক্তিযুদ্ধকালীন মধ্যবিত্তের জীবনযন্ত্রণারই শিল্পরূপ।ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থের বন্দি দিন বন্দি রাত্রির চেতনা ও বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধের মৌল আবেগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আন্দালিব রুশদীর সুসময় এবং ইমদাদুল হক মিলন লিখেছেন কালো ঘোড়া,পরাধীনতা যা উল্লেখযোগ্য। বাংলা উপন্যাসের এই বিশেষ ধারাটি মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ ফলশ্রুতি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৮৬ খ্রি. পর্যন্ত বাংলাদেশের উপন্যাসে যে ধারা প্রবহমান তা নবদিগন্তে সৃষ্টিশীলতায় উৎসারিত।



মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কবিতা:

জসীমউদ্দীনের-দগ্ধগ্রাম,সুফিয়া কামালের-আজকের বাংলাদেশ ও শামসুর রাহমানের-স্বাধীনতা তুমি,নির্মলেন্দু গুণের-স্বাধীনতা,এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো,রফিক আজাদের-একজন মুক্তিযোদ্ধার আত্মসমর্পণ,সানাউল হক খানের-সাতই মার্চ একাত্তর,হাসান হাফিজুর রহমানের-কবিতা সংকলন যখন উদ্যত সঙ্গীত,ড. মনিরুজ্জামানের-শহীদ স্মরণে,অসীম সাহার-পৃথিবীর সবচেয়ে মর্মঘাতী রক্তপাত,আবুল হাসানের-উচ্চারণগুলি শোকের, হুমায়ুন কবিরের-বাংলার কারবালা,আসাদ চৌধুরীর-রিপোর্ট ১৯৭১,হেলাল হাফিজের-নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়,রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর-বাতাসে লাশের গন্ধ,মহাদেব সাহার-ফারুকের মুখ,হেলাল হাফিজের-নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়,মিনার মনসুরের-কী জবাব দেব,আবিদ আজাদের-এখন যে কবিতাটি লিখব আমি,দাউদ হায়দারের-বাংলাদেশ,আবিদ আনোয়ারের-আমার মায়ের নামে তোপধ্বনি চাই সহ অসংখ্য কবিতায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ।



মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে প্রথম ভাবগম্ভীর অনবদ্য কবিতা কবির আমার প্রতিদিনের শব্দ একক সন্ধ্যায় বসন্ত,কাব্যগ্রন্থে সৈয়দ আলী আহসান তাঁর বিখ্যাত কবিতা ত্রয়ী, আমার পূর্ববাংলা প্রকাশ করেন। শহীদ কাদরী, রফিক আজাদ, হাবীবুল্লাহ সিরাজী প্রমুখ মুক্তিযুদ্ধের শোণিত সিক্ত মুহূর্ত, জীবনের হতাশা ও নতুন স্বপ্নসাধনা নিয়ে অনেকগুলো কবিতা সংকলন প্রকাশ করেছেন। আবুল হাসানের রাজা যায় রাজা আসে, কাব্যগ্রন্থে তার স্বদেশ প্রেমের গুঞ্জরণ আছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত সত্তরের বাংলা কবিতায় মুক্তিযুদ্ধ,স্বাধীনতা ও যুদ্ধজনিত নানা মানবিক বিপর্যয় বিশেষভাবে স্থান লাভ করে। তোমাকে পাওয়ার জন্যে,হে স্বাধীনতা: শামসুর রাহমান,সন্ত্রাসবন্দী বুলেটবিদ্ধ দিন-রাত্রি: শামসুর রাহমান,স্বাধীনতা: দিলওয়ার,অন্তর্গত: সৈয়দ শামসুল হক,সৌন্দর্য-সৈনিকের শপথ প্যারেড: রফিক আজাদ, আমার ভাই: হুমায়ুন কবির, স্বাধীনতার প্রতি: মহাদেব সাহা।কবিতাচর্চায় সক্রিয় আহসান হাবীব,আবুল হোসেন,সৈয়দ আলী আহসান এবং সানাউল হকের কবিতায় মুক্তিযুদ্ধ নতুন বোধের উৎসমুখ হয়ে উঠেছে।



শামসুর রাহমান, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, হাসান হাফিজুর রহমান, আজীজুল হক,আলাউদ্দিন আল আজাদ,সৈয়দ শামসুল হক,আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, সাইয়িদ আতীকুল্লাহ, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আল মাহমুদ,আবু হেনা মোস্তফা কামাল,ফজল শাহাবুদ্দীন, জিয়া হায়দার, আবুবকর সিদ্দিক, শহীদ কাদরী প্রমুখ যুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর জীবনসমগ্রতার অঙ্গীকারকে বিচিত্রভাবে প্রকাশ করেছেন। মার্কিন কবি অ্যালেন গ্রিন্সবার্গের যশোর রোডে সেপ্টেম্বর’ কবিতা এবং জর্জ হ্যারিসনের ও বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ, গানের কথা বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। এ দুটি রচনায় মুক্তিযুদ্ধে জনদুর্ভোগের প্রকৃত চিত্র এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের মৃত্যুঞ্জয়ী আত্মত্যাগ ও মহিমা ফুটে উঠেছে সর্বতোভাবে।



মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক:

১৯৭১ সালের পর তরুণ সমাজের প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখে অভিনয়যোগ্য বহু নাটক বাংলাদেশে রচিত হয়েছে। ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নাট্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়,তারপর থেকেই বেশ কয়েকখানি সাহিত্যগুণান্বিত এবং অভিনয়গুণবিশিষ্ট নাটক রচিত হয়েছে। সৈয়দ শামসুল হকের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়,নামক নাটকটি মুক্তি যুদ্ধের উপর রচিত। আসকার ইবনে শাইখের তিতুমীর,নাটকের নাট্যবস্তু স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় অধ্যায় থেকে আহৃত হয়েছে। সিকান্দার আবু জাফরের শকুন্ত উপখ্যান,স্মরণাতীত কালের ময়ূর ও রাজহংসের অধিকারভুক্ত দুটি দেশের মর্মান্তিক যুদ্ধ কাহিনী হলো শকুন্ত উপখ্যান।



নাটক সাহিত্যের অন্যতম একটি মাধ্যম। দৃশ্যকাব্য নামে পরিচিত এই মাধ্যমটিতেও উঠে এসেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। মমতাজউদদীন আহমদ রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটকগুলো হচ্ছে-স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা, এবারের সংগ্রাম,স্বাধীনতার সংগ্রাম,বর্ণচোর,বকুলপুরের স্বাধীনতা,বিবাহ,কি চাহ শচিল,জিয়া হায়দারের সাদা গোলাপে আগুন, নীলিমা ইব্রাহিমের যে অরণ্যে আলো নেই,আলাউদ্দিন আল আজাদের নিঃশব্দ যাত্রা,নরকে লাল গোলাপ,রণেশ দাশগুপ্তের ফেরী আসছে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ধারায় হুমায়ূন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন লিখেছেন টেলিভিশন নাটক।



আলাউদ্দিন আল আজাদের নিঃশব্দ যাত্রা ও নরকে লাল গোলাপ,জিয়া হায়দারের সাদা গোলাপে আগুন ও পঙ্কজ বিভাস,নীলিমা ইব্রাহিমের যে অরণ্যে আলো নেই প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ‍মুক্তিযুদ্ধ-অবলম্বী মঞ্চসফল কাব্যনাট্য সৈয়দ শামসুল হকের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধের সংরক্ত চেতনাবাহী কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নাটক হচ্ছে-কল্যাণ মিত্রের জল্লাদের দরবার,সাঈদ আহমদের প্রতিদিন একদিন, আল মনসুরের হে জনতা আরেকবার, রণেশ দাশগুপ্তের ফেরী আসছে প্রভৃতি। আনিস চৌধুরী, মমতাজ হোসেন,আব্দুল্লাহ আল মামুন,ফজলুল করিম,মামুনুর রশীদ প্রমুখ নাট্যকারগণ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রাণস্পর্শী সব নাটক রচনা করেছেন।



মুক্তিযুদ্ধ অবলম্বনে রচিত প্রবন্ধ ও স্মৃতিকথা জাতীয় গ্রন্থ:

সেলিনা হোসেনের একাত্তরের ঢাকা, এমএসএ ভূঁইয়ার মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস,মেজর রফিকুল ইসলামের একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে,জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনগুলি, রফিকুল ইসলামের(বীরউত্তম) লক্ষ প্রাণের বিনিমিয়ে, কাজী জাকির হাসানের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি, আসাদ চৌধুরীর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, হেদায়েত হোসেন মোরশেদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ঢাকায় গেরিলা অপরাশেন, রশীদ হায়দার সম্পাদিত ১৯৭১:ভয়াবহ অভিজ্ঞতা,শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ।



পান্না কায়সার সম্পাদিত হৃদয়ে একাত্তর।এম আর আখতার মুকুলের আমি বিজয় দেখেছি,শামসুল হুদা চৌধুরীর একাত্তরের রণাঙ্গণ,এম, এস, এ ভূঁইয়ার মুক্তিযুদ্ধের নয়মাস,মেজর রফিকুল ইসলামের একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে,কাজী জাকির হাসানের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি, ছদরুদ্দীনের মুক্তিযুদ্ধঃ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে,আতিয়ার রহমানের মুক্তিযুদ্ধের অপ্রকাশিত কথা,মনজুর আহমদের একাত্তর কথা বলে,হেদায়েত হোসাইন মোরশেদের স্বাধীনতা সংগ্রাম,ঢাকায় গেরিলা অপারেশন;মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত মননশীল ও গবেষণামূলক প্রবন্ধ রচনা করেছেন অনেকে। বদরুদ্দীন ওমর রচনা করেছেন যুদ্ধপূর্ব বাংলাদেশ,যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ। ড.রফিকুল ইসলাম রচনা করেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম,আমাদের মুক্তিযুদ্ধ,ভাষা আন্দেলন ও মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য,বাংলাদেশের সাহিত্যে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ।



ব্যক্তিগত স্মৃতিকথার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও বহুল প্রচারিত একটি হচ্ছে জাহানারা ইমামের জার্নাল আকারে প্রকাশিত একাত্তরের দিনগুলি। বাসন্তী গুহ ঠাকুরতার একাত্তরের স্মৃতি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অধ্যাপক আনিসুর রহমানের স্মৃতি চারণে সেনা অভিযানের অভিজ্ঞতা ও তার দেয়া প্রাথমিক বর্ণনা যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের দৃষ্টিভঙ্গি বা প্রেক্ষাপট বিবেচনায় একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হচ্ছে রশিদ হায়দার সম্পাদিত তের খন্ডের স্মৃতি ১৯৭১, যা এক বিশাল সংগ্রহ।



মুক্তিযুদ্ধের কোষগ্রন্থ:

ইতিহাসবিদ লেখক মুনতাসীর মামুন লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধের কোষগ্রন্থ। একটি দুটি নয়,১২ খন্ডে এটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে ২৮৮টি ঘটনা ও ব্যক্তির বর্ণনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৯৬। দ্বিতীয় খণ্ডের বিষয় গণহত্যা গণকবর বধ্যভূমি ও নির্যাতনকেন্দ্র। ৬০০ পৃষ্ঠায় ৮৭৬টি ভুক্তির মাধ্যমে এই খণ্ডে তুলে ধরা হয়েছে পাক বাহিনীর নির্মমতার চিত্র। তিনটি খণ্ডে পাওয়া যাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী, রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের ভূমিকা। এ অংশটি লেখা হয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী, শিরোনামে। ২৩৩৯ পৃষ্ঠায় বিধৃত হয়েছে ৮৭৭৪ জন স্বাধীনতা বিরোধীর পরিচয় ও কুকীর্তি। অপর তিন খন্ডে এসেছে রক্তক্ষয়ী বিভিন্ন যুদ্ধের বর্ণনা। ১৭৫২ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে ১৪২৮টি যুদ্ধের ইতিহাস। কোষগ্রন্থের চারটি খ-বর্ণিত হয়েছে ৯০২৫ জন শহীদের আত্মদানের ইতিহাস। এর পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৬৪৮। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের আগে পরের অসামান্য দলিল উপস্থাপন করা হয়েছে কোষগ্রন্থটিতে।





মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছোটগল্প:

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্পগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের রেইনকোট, অপঘাত, জ্যোতিপ্রকাশ দত্তর দিন ফুরানোর খেলা, আমৃত্যু আজীবন,মুক্তিযোদ্ধারা,আবু রুশদের খালাস,আলাউদ্দিন আজ আজাদের স্মৃতি তোকে ভুলবো না,আবু ইসহাকের ময়না কেন কয় না কথা,আবদুশ শাকুরের ইশু,আবু জাফর শামসুদ্দীনের কালিমদ্দি দফাদার, আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিনের অল্পরী, আমজাদ হোসেনের কারবালার পানি, আবদুল মান্নান সৈয়দের ব্ল্যাক আউট, আবুবকর সিদ্দিকের ফজরালি হেঁটে যায়, ইমাদাদুল হক মিলনের লোকটি রাজাকার ছিল, ইমতিয়ার শামীমের মৃত্তিকা প্রাক-পুরাতান, জাহানার ইমামের রায়বাগিনী,জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের আমৃত্যু, আজীবন, জুলফিকার মতিনের খোঁজা, নাসরীন জাহানের বিশ্বাস খুনি, পূরবী বসুর দুঃসময়ের অ্যালবাম, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের মাধবপুরে, পৌষের আকাশে,বশীল আল হেলালের প্রথম কৃষ্ণচূড়া,বুলবুল চৌধুরীর নদী জানে,মাহমুদুল হকের বেওয়ারিশ লাশ,মোহাম্মদ রফিকের গল্প কিন্তু সত্য নয় ইত্যাদি।



মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছোটগল্প সংকলনের সংখ্যাও কম নয়।যেমন বশীর আল হেলালের প্রথম কৃষ্ণচূড়া, হাসান আজিজুল হকের নামহীন গোত্রহীন, শওকত ওসমানের জন্ম যদি তব বঙ্গে, আবু জাফর শামসুদ্দীনের রাজেন ঠাকুরের তীর্থযাত্রা, আবুবকর সিদ্দিকের মরে বাঁচার স্বাধীনতা, সাদেকা সফিউল্লাহর যুদ্ধ অবশেষে, খালেদা সালাহউদ্দিনের যখন রুদ্ধশ্বাস, এহসান চৌধুরীর একাত্তরের গল্প,সৈয়দ ইকবালের একদিন বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য গল্প,সৈয়দ শামসুল হকের জলেশ্বরীর গল্পগুলো, বিপ্রদাস বড়ুয়ার যুদ্ধ জয়ের গল্প,সাদা কফিন ও মুক্তিযোদ্ধারা, কাজী জাকির হাসানের যুদ্ধের গল্প।সেলিনা হোসেনের পরজন্ম, মুক্তিযুদ্ধকালীন জীবন ও তৎসংলগ্ন চেতনার বিচিত্রমাত্রিক অনুভবের শব্দরূপ।



এছাড়াও সৈয়দ শামসুল হকের প্রাচীন বংশে নিঃস্ব সন্তান, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের মু হীন মহারাজ, শওকত আলীর লেলিহান সাধ,রাবেয়া খাতুনের মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, রশিদ হায়দারের তখন, হারুন হাবীবের বিদ্রোহী ও আপন পদাবলী প্রভৃতি গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধ-আশ্রয়ী গল্প অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।আবুল হাসনাত-সম্পাদিত মুক্তিযুদ্ধের গল্প, হারুন হাবীব-সম্পাদিত মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত গল্প এবং মুক্তিযোদ্ধার গল্প গ্রন্থের প্রবীণ ও নবীন গল্পকারদের মুক্তিযুদ্ধ-আশ্রয়ী জীবন-চেতনার বিন্যাস ঘটেছে।



মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছোট গল্পের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের আগুনের পরশমণি, রাবেয়া খাতুনের বাবার হাত, বিপ্রদাশ বড়ুয়ার মুক্তিযুদ্ধের গল্পসমগ্র, আবুল খায়ের মোসলেহ উদ্দিনের রক্তের রং লাল, মোসত্মবা আহমেদ মোরশেদের মুক্তিযুদ্ধের ঘাসফুল ও রাইফেল, মেজর কামরুল হাসান ভুঁইয়ার বিজয়ী হয়ে ফিরব নইলে ফিরবই না, এহসান চৌধুরীর একাত্তরের গল্প, কাজী ফজলুর রহমানের ষোলই ডিসেম্বর, মুক্তিযুদ্ধের গল্প, ভবেশ রায়ের গল্প জয়তু বাংলাদেশ, হারুন হাবিব সম্পাদিত মুক্তিযুদ্ধ-নির্বাচিত গল্প, মোহাম্মদ আলী নকী ও মোহাম্মদ ইমামউদ্দীন সম্পাদিত আমাদের সংগ্রাম চলবেই, বিপ্রদাশ বড়ুয়ার সাদা কফিন উল্লেখযোগ্য।



মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গল্প:

মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে বশীর আল হেলালের প্রথম কৃষ্ণচূড়া, রণকৌশল,সৈয়দ শামসুল হকের জলেশ্বরীর গল্পগুলো, শওকত ওসমানের জন্ম যদি তবে বঙ্গে, আবু জাফর শামসুদ্দীনের রাজেন ঠাকুরের তীর্থযাত্রা, আবুবকর সিদ্দিকের মরে বাঁচার স্বাধীনতা, সৈয়দ ইকবালের একদিন বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য গল্প, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের অপঘাত, রাহাত খানের মধ্যিখানের চর, সেলিনা হোসেনের আমিনা ও মদিনার গল্প, হুমায়ূন আহমেদের শীত, উনিশ শ একাত্তর, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর কেয়া, আমি এবং জারমান মেজর, মইনুল আহসান সাবেরের কবেজ লেঠেল, ভুলবিকাশ, রশীদ হায়দারের কল্যাণপুর, এ কোন ঠিকানা।



কায়েস আহমেদের আসন্ন, মাহমুদুল হকের কালো মাফলার, জহির রায়হানের সময়ের প্রয়োজনে, মামুন হুসাইনের মৃত খড় ও বাঙাল একজন, শামসুদ্দীন আবুল কালামের পুঁই ডালিমের কাব্য, আমজাদ হোসেনের উজানে ফেরা, সত্যেন সেনের পরিবানুর কাহিনী, মঞ্জু সরকারের শান্তি বর্ষিত হোক, শওকত আলীর সোজা রাস্তা, আকাল দর্শন, কায়েস আহমেদের আসন্ন, হুমায়ুন আজাদের যাদুকরের মৃত্যু, সুচরিত চৌধুরীর নিঃসঙ্গ নিরাশ্রিত, রিজিয়া রহমানের ইজ্জত ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।



মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক শিশুসাহিত্য:

শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা হয় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক, উপন্যাস, গল্প, ছড়া। ছড়া আমাদের শিশুসাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ছড়ার মধ্য দিয়েই আমাদের সাহিত্যে জীবনের সূত্রপাত। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস উঠে এসেছে ছড়া সাহিত্যেও। এক্ষেত্রে অগ্রণী ছড়াকারদের মধ্যে রয়েছেন সুকুমার বড়ুয়া, আমীরুল ইসলাম, লুৎফুর রহমান রিটন প্রমুখ।মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিশু-কিশোরদের জন্য লিখেছেন- শাহরিয়ার কবির, হুমায়ূন আহমেদ, মাহমুদুল হক, আবু কায়সার প্রমুখ।



মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সংকলন:

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী-সম্পাদিত বাংলাদেশ কথা কয় (১৯৭১) সংকলন।বাংলাদেশ কথা কয় গ্রন্থে সন্নিবেশিত বাংলাদেশের কয়েকজন তরুণ ও প্রবীণ কথাশিল্পীর লেখা গল্পগুলো তাই নিছক যুদ্ধ-সাহিত্য নয়; বরং বাঙালি জাতীয় মানসের বর্তমান বিপ্লবী প্রতিরোধ চেতনার কয়েকটি রূপরেখা।গল্পগুলোর তালিকা নিম্নরূপ : সাদা কফিন (বিপ্রদাশ বড়ুয়া), শেষ যাত্রা নয় (নির্মলেন্দু গুণ), লাল পল্টন (আবদুল হাফিজ), বুলি তোমাকে লিখছি’ (সুব্রত বড়ুয়া), চরিত্র’ (ফজলুল হক), রক্ত প্রজন্ম (আসফ-উজ-জামান), সোলেমান ভাই (বুলবন ওসমান), নীল নকশা (কামাল মাহবুব), শব্দতাড়িত (অনু ইসলাম), কমলা রঙের রোদ’ (আসাদ চৌধুরী), পরীবানুর কাহিনী (সত্যেন সেন), অন্যের ডায়েরি থেকে (ইলিয়াস আহমদ), সময়ের প্রয়োজনে (জহির রায়হান), ‘শেষ বাজি’ (কায়েস আহমেদ), ‘আলোক-অন্বেষা’ (শওকত ওসমান) এবং ‘রোদের অন্ধকারে বৃষ্টি’ (আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী)।



উপসংহার:

মুক্তিযুদ্ধ বাঙালী জাতির একটি ঐতিহাসিক অধ্যায়। যুদ্ধে আমাদের ক্ষতি হয়েছে অনেক, হারিয়েছি ত্রিশ লাখ তাজা গোলাপ। তবে যুদ্ধের অনেক ক্ষতির সঙ্গে আমাদের চেতনাও হয়েছে ক্ষুরধার। আমাদের সাহিত্যের গতি হয়েছে পরিবর্তিত। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের লক্ষ্য নিরূপণে সহায়তা করেছে। দিয়েছে সঠিক উদ্দেশ্যের সন্ধান। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে আমাদের সাহিত্যে ছিল আধারের ঘনঘটা, পরাধীনতার নিগড়ে বাঁধা। সাহিত্যের সত্তা ছিল ধ্বংসের বিপন্ন তিমিরে। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মতো সাহিত্যের গন্ডি ছিল পশ্চিমাদের নজরবন্দী। তবে সেই সব বাধার প্রাচীর ডিঙিয়ে অনেক লেখক, কবি, সাহিত্যিক বেরিয়ে আসেনি এমন নয়, তবে তার জন্য অনেক মূল্যও দিতে হয়েছে।



আমাদের স্বাধীনতার স্বপক্ষে লেখার অপরাধে কারারুদ্ধ করা হয় কবি ফয়েজ চৌধুরীকে। স্বাধীনতাকে নস্যাতের পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশাসহ অনেক বুদ্ধিজীবিকে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে যেমন এ দেশের স্বাধীনতাকামী আপামর ছাত্রজনতা, সৈনিক, শ্রমিক-কৃষক, শিক্ষক, লেখক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে, তেমনিভাবে এ দেশের কবি-সাহিত্যিকরাও মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা ও পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে কলমকে শাণিত রেখেছেন। রচনা করেছেন গান, কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস ও নাটক। এসব সাহিত্যকর্ম একদিকে যেমন যুদ্ধরত বাঙালিকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে অন্যদিকে বাংলা সাহিত্য ভান্ডারকেও করেছে সমৃদ্ধ।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৯

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: দারুন পোষ্ট ভাইজান এবং কষ্টসাধ্য কাজ। কোন কথা নাই সরাসরি প্রিয়তে। এই পোষ্ট কেন ষ্টিকি হলোনা কেন বুঝলামনা। ধন্যবাদ ভাই।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

আনিসুর রহমান এরশাদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৫০

খেলাঘর বলেছেন:

মুক্টিযুষ্ষহকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেননি এখনো কোন সাহিত্যিক।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

আনিসুর রহমান এরশাদ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে নতুন প্রজন্মের একজন হিসাবে আপনি সাধ্যানুযায়ী ভুমিকা রাখুন।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

আনিসুর রহমান এরশাদ বলেছেন: মামুন রশিদ ভাইকে ধন্যবাদ ।

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: অত্যন্ত দরকারি পোস্ট দিয়েছেন। ধন্যবাদ। সংগ্রহে রেখে দিলাম।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

আনিসুর রহমান এরশাদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:৩৬

নিয়েল হিমু বলেছেন: ইচ্ছা হচ্ছে সব গুলো গ্রন্থ এক সাথে কালেক্ট করে ফেলি তারপর পড়তে বসে যাই ।

ভাল লেগেছে পোষ্ট । তবে একটু কারেকশন দিবেন প্লিজ । হুমায়ূন আহমেদের নন্দিত নরকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক না :)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯

আনিসুর রহমান এরশাদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। কারেকশন দিয়েছি।

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: পোস্টে অনেক ভালোলাগা। +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.