নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যেয়

আনিসুর রহমান এরশাদ

আমি আমার দেশকে অত্যন্ত ভালবাসি ।

আনিসুর রহমান এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈমানদার অমানুষ (এক)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

বেহেশতে যেয়ে খুরমা খাবার আশায় দুনিয়ায় না খেয়েও সন্তুষ্ট থাকার মানসিকতা কাউকে এগিয়ে দিতে পারবেনা। এটাও ঠিক যে আমাদের দেশে সমাজের অনগ্রসর মানুষকে এগিয়ে নিতে ধনাঢ্য ও স্বচ্ছলদের চেয়ে অস্বচ্ছলদেরই চিন্তা বেশি। যদিও বাস্তবে গরীব নি:স্বদের জন্যে কাজ করে এমন অনেকেরই কেবল নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন হতেই দেখা যায়। জুম্মার নামাজ উপলক্ষ্যে একত্রিত মুসলমানগণ স্রষ্টাকে স্মরণ শেষে মসজিদ হতে বের হবার সময় ভিক্ষুক দেখতে পান। ভেতরে হুজুর দানের টাকার পরিমাণ বেশি হলে যেমন জান্নাতের দরজায় পৌঁছায়ে দেন, তেমনি ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিতরাও ২/১ টাকার জন্যে আল্লাহ রাসুলের নামকেও ব্যবহার করতে ছাড়েন না। দানকারীর টাকা হালাল কিংবা হারাম সেই প্রশ্ন অবান্তর। এই নেয়ার মানসিকতা সংকীর্ণ মানসিকতা আবার যেই লোক এত সস্তায় জান্নাত ক্রয়ের আশায়ও পকেট থেকে ২টাকার বেশি বের করতে পারেন না তার মানসিকতাই বা কেমন? আসলে ভাববাদী মুসলমানের বস্তুবাদী খ্রিস্টান ইহুদিদের দয়া দাক্ষিণ্য পাবার লোভ দেখে শয়তানও আশ্চর্যত হয় কিনা তা অজানা। মুসলমান যখন ভিক্ষা নেয় আর খ্রিস্টান যখন ভিক্ষা দেয়- মুসলমান তার জাতির কপালে কলংক তিলক পরায় আর খ্রিস্টান তার জাতিকে মর্যাদার আসনে সমাসীন করে।



যে দান করে সে উপরের মানুষ, উচুঁদরের মানুষ আর যে নেয় তার স্তর নীচে। সে দাতাগোষ্ঠী/ দাতাসংস্থাই হোক আর ব্যক্তিই হোক। নবীর শিক্ষা করোনা ভিক্ষা মেহনত কর সবে- ভুলে মুসলমানরা দাতার আসন ছেড়ে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ধর্মের নামে ভিক্ষাকারী যেমন নির্লজ্জ তেমনি সমাজে এমন অবস্থা বিরাজ করলে সেটাও নির্লজ্জ সমাজ। যদি ছিন্ন বস্ত্র পরিধান কারী কেউ কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করে ভিক্ষা করে স্যুট টাই পরা বাবুদের কাছে হাত পাতে এটা যে মুসলমান জাতিরই অপমান, ধর্মের অপমান- এটা কয়জনে বুঝে? কেউ যদি বলেন মালয়েশিয়ার, সিঙ্গাপুরের এমন অবস্থায় আসতে ছোট এনজিও লাগলোনা আর আমরা বড় বড় এনজিও বানায়েও ভিক্ষুকমুক্ত দেশ বানাতে পারলাম না। আসলে সংকটটা দৃষ্টিভঙ্গির, কেননা সবার মনের মধ্যে ভিক্ষার লোভ, হাত পাতার বিকৃত আনন্দ। অন্যকে দিতে গেলে সক্ষমতা লাগে, সামর্থ্য লাগে, উদ্যোগ লাগে, পরিশ্রম লাগে, বুদ্ধি লাগে। কিন্তু নিতে গেলে দুটো হাত থাকলেই হয়; আর যদি চোখে পানি, রোগাক্রান্ত দুর্বল দেহ থাকে তবে তো তা প্লাস পয়েন্ট। কেউ মাজার বানিয়ে ভিক্ষা করে, কেউ ইসলামিক গান-ধর্মগ্রন্থ শুনায়ে ভিক্ষা করে, কেউ নবী রাসুল কাউকেই ভিক্ষা পাবার উদ্দেশ্য সফল করণে ব্যবহার করতে ছাড়েনা, কেউ নিজের দেশকে ছোট করে- জাতিকে ফকির মিসকীন হিসাবে প্রমাণ করে রেখা প্রজেক্ট প্রোপোজাল নিয়ে ভিক্ষা করে। যে কাজ করতে লজ্জা হওয়া উচিৎ তাই করে যদি কারো গর্ব অনুভূত হয় সে আর সত্যিকারের মানুষ থাকেনা।



অনেক সময় বিদেশীরা বাংলাদেশে কাজের লোক, মুচি-মেথর-নাপিত-শ্রমিক এদের কম মজুরী দেখে আশ্চর্য্ হয়ে যায়। বিদেশে একজন প্রফেসরও বাসায় কাজের ছেলে মেয়ে রাখতে পারেনা, তাকে নিজের প্রায় আয়ের সমপরিমাণ দিতে হবে বলে। বড় অফিসারও নিজের গাড়ি নিজে চালায় ড্রাইভার থাকে না, অফিসেও নিজের চা বানিয়ে খায়। তারা বড়লোক হয়েও গরিবী হালতে যিন্দেগী যাপন করেন আর এদেশে ছোটলোক হয়েও বড়লোকি জীবন পরিচালনা করে। ভিক্ষা করে ঘি খাওয়া আর ঘি বানিয়ে ঘি খাওয়া যে একই কথা নয় এটা যেন অনেকেই বেমালুম ভুলে যায়। ফলে গরীবের বন্ধু সুদের মাধ্যমে গরীবের রক্ত চোষেও নিজে আরাম আয়েশে থাকে, মেহনতী মানুষের প্রাণের স্পন্দনও নির্বাচিত হয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কেউ যদি ভোট ভিক্ষা করে গম চুরির আশায় সেতো ভিক্ষুকের চেয়েও নিৎকৃষ্ট।



(চলেব)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬

ঈস হাসান আনন্দ বলেছেন: ভাল লেখা..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.