নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যেয়

আনিসুর রহমান এরশাদ

আমি আমার দেশকে অত্যন্ত ভালবাসি ।

আনিসুর রহমান এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাটছেনা ধোঁয়াশা: কারা খাবেন সেই গম?

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৫

একদিকে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ২ লাখ টন গম নিতে কাউকে বাধ্য না করতে হাইকোর্টের নির্দেশ অন্যদিকে খাদ্যমন্ত্রীকে গম কেলেংকারির হোতা উল্লেখ করে পচা গম আমদানির দায়ে পদত্যাগের দাবি বিএনপির। গম আমদানি থেকে গম কেলেংকারির প্রসঙ্গ উত্থাপন। গম মানুষের খাওয়ার উপযোগী বলে দেয়া খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের পর হাইকোটের এই নির্দেশ অনেকটা আগুনে ঘি ঢালার মতো। পচা গমের আড়ালে ভাল কিছু কি আর আশা করা যায়?

আদালত বলেছে, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের মধ্যে যা বিতরণ হয়ে গেছে, কেউ তা ফেরত দিতে চাইলে সরকারকে তা ফেরত নিতে হবে। আর কেউ ওই গম নিতে না চাইলে তাকে তা জোর করে দেওয়া যাবে না। তাহলে এই গমের ভবিষ্যত ও গম কেলেংকারির হোতাদের আগামীর পরিণতি নিয়ে যেন ধোঁয়াশা কাটছেই না। এটা ঠিক যে পঁচা গমকে ভাল বললেও তা ভাল হয়ে যাবে না আর ভাল গমকে পঁচা বললেও তা খারাপ হয়ে যাবে না। সরকারের দেয়া ঐ গম প্রথমে পুলিশ ও পরে বিভিন্ন সংস্থা থেকে লিখিতভাবে গ্রহণে অসম্মতি জানানো হয়েছে। অনেকে ফেরতও দিয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে সেই গম খাবে কে?

গরীব মানুষকে দিলে প্রশ্ন উঠবে এ সরকার কি ধনীদের সরকার? উৎকৃষ্ট মানের কিছু দেশী হলেও নেয়ার চাহিদা থাকে তবে নিকৃষ্ট মানের কিছু বিদেশী হলেও তা কেউ নিতে চায় না। তাই আমদানির দায় কার- এ প্রশ্নটি বারবার সামনে আসছে। বেশি দামে আনা পোকায় খাওয়া ক্ষুদ্রাকৃতির গম খাওয়ার যোগ্য কি-না তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী খাদ্য সচিবকে ডেকে পোকায় খাওয়া গম দেখিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এই গম নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘সরকার বিদেশ থেকে পচা গম আমদানি করছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ কেউ এই গম নিতে চায় না। এই গম কাদের খাওয়াবেন? আওয়ামী লীগের লোকদের খাওয়ান। তাদের স্বাস্থ্য এমনিতেই ভাল। আরও ভাল হবে।’

বিরোধী দলের নেতানেত্রী শুধু নয় খাদ্যমন্ত্রী স্বয়ং যখন সংসদে বলেন, ব্রাজিল থেকে আর পচা গম আমদানি করা হবে না।তখন পরোক্ষভাবে তিনি স্বীকারই করে নেন যে গম ভাল নয়। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ, বিডিআর, সেনাবাহিনী, কোস্ট গার্ডসহ যেসব সংস্থার সদস্যদের মধ্যে রেশন হিসেবে গম দেয়া হয়, সেসব সংস্থায় ব্রাজিলের গম দিচ্ছি না। তাদের দেশী গম দিচ্ছি। তবে টিআর ও কাবিখা কর্মসূচিতে এ গম দিচ্ছি। ব্রাজিলের গম নেয়ার জন্য কোনো চাপ দেয়া হচ্ছে না। তিন লাখ ১৪ হাজার টন গম মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ব্রাজিলের গম বাদ দিলেও এক লাখ ৪২ হাজার টন দেশী গম রয়েছে।’

গম লুটের মহোৎসবে প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে, দেশে গমের উৎপাদন ভালো হওয়া সত্ত্বেও বিপুল পরিমাণ নিকৃষ্ট গম আমদানি কার স্বার্থে? আন্তর্জাতিক দরপত্র ও তার সরবরাহ গ্রহণের ক্ষেত্রে খাদ্য অধিদফতরের তৎকালীন মহাপরিচালক (জিডি) সারোয়ার খানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠায় ইতোমধ্যে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই) ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা (ডিজিএফআই) তাদের রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে প্রায় সোয়া ৪শ’ কোটি টাকার গম আমদানিতে কমিশন বাণিজ্য কত হয়েছে, কারা কত নিয়েছেন এবং কোন ধরনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে খাবার অনুপযোগী পোকায় খাওয়া এ পচা গম নিতে বাধ্য করা হয় তার চিত্র। এর মধ্যে খাদ্য অধিদফতরের দুই কর্মকর্তা ৩৭ কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য করেছেন বলেও তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। ব্রাজিলের গমের এই চালান যে নিম্নমানের তা চট্টগ্রামস্থ আঞ্চলিক খাদ্য অধিদফতর ডিজির নজরে আনলেও ডিজি তা উপেক্ষা করেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: বিশ্বাস করুন কিছুই হবেনা। সব গম এই বাঙ্গালীদের পেটে যাবে বা যাওয়া শুরু করেছে। ওনাকে ঘাটাবে কার সাহস? ওনার বসেরও নেই! আদালতের রায় কি হলো না হলো তাতে এদের কিছু আসে যায় না। গম নিতে বাধ্য করা লাগবেনা, কে নিল কে খেল কেউ জানবেনা, কি করবেন? কউ এখন ফেরৎ দিতে আসল বলবে' রেখে যান কয়েক বছর পরে টাকার জন্য দেখা কইরেন! খেল খতম। জলে বাস করে কুমিরের সাথে মারামারি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.