নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অরূপ স্বরূপ

আমি মুক্ত, অবরুদ্ধ ,আমি কঠোর আবার কিছুই না ..

অরূপ স্বরূপ

হারিয়ে যাই মাঝে সাঝে অচিনরে চেনার খোঁজে...

অরূপ স্বরূপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কল্পনার দৌড়

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

জাগতিক দুনিয়ার ঝড় ঝঞ্ঝা বিশ্রাম পায় কল্পনায় আবার কল্পনার কালিতে লিখা যায় কঠিন সব জাগতিক বাস্তবতা। অনেকটা আমি তোমার তুমি আমার! আইন্সটাইন তো আর এমনি এমনি বলে যাননি যে, 'Imagination is more important than knowledge'. কিন্তু আমাদের কল্পনা কি এমন কোন রঙ নিয়ে খেলতে পারে যা আমরা অনুভব করিনি? উত্তর হচ্ছে-না। আমাদের কল্পনা আমাদের ঔরসজাত বলেই এর আবেগ, অনুভূতি জাগতিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি না হোক অন্তত কিছু একটা হয়েই ঘুরাফেরা করে। লেখকরা লেখায় কল্পনার দ্যুতি ছড়ায়, গবেষকরা কাল্পনিক সম্ভাব্যতার উপর নির্ভর করে গবেষণা এগিয়ে নেয়, ব্যবসায়ীরা ভবিতব্য বাজার অবস্থা বিবেচনা করে কাল্পনিক বানিজ্যনীতি তৈরি করে, রাজনীতিবিদরা মেধা আর জনসমর্থন নিয়ে মাঝেমধ্যে কাল্পনিক জুয়ার চাল মারেন। প্রেমিকারা পঙ্খিরাজ ঘোড়ায় চেপে আসা রাজপুত্রের ছবি কল্পনা করে, প্রেমিকরা কল্পনা করে অপরূপ সিগ্ধা রূপসীর। পেশা, অবস্থান ও সময় ভেদে আমাদের কল্পনাগুলো তাই ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু এর মৌলিক ব্যাপার ও বৈশিষ্ট্যগুলো কিন্তু এক। আবার একজন রাজনীতিবিদের কল্পনা একজন লেখকের কল্পনা থেকে প্রখর ও গাঢ় হতেই পারে। বঙ্গবন্ধুর কল্পনা জিন্নাহর কল্পনা থেকে গাঢ় ছিল। নষ্ট ভ্রষ্ট কল্পনা মার খায় শ্রেয়তর কল্পনার কাছে। কল্পনা ও কল্পনা সংশ্লিষ্ট এতোসব কথা বেড়িয়ে আসার মুলে এক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নির্ভর সিনেমা! 'স্টার ওয়ার্স- দ্যা ফোর্স এওয়াকেন্স' । বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া সিনেমা ফ্রাঞ্চাইজ এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমা হবার পথে চলতে থাকা এই সিনেমাটি নিয়ে আপাতঅর্থে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। আমি হচ্ছি উপমহাদেশীয় ধুম ধারাক্কা গানবাজনার সিনেমা দেখা লোক। হলিউডের সাইফাই মুভিগুলোর প্রতি আমার বরাবরের ভয়! আমি কোনভাবেই এই সিনেমাগুলোর সাথে নিজের সংযোগ ঘটাতে পারি না। হয়ত এটাই হলিউডের সফলতা- নিজেকে দূরে রাখা, একদম ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে একটি বিষয় ছিল সিনেমাটি দেখার আগে - সেটা হল কৌতূহল। আবারো আইনস্টাইনের কথা চলে আসে- 'কৌতূহলের পিছনে ছোটো'। এই কৌতূহলের পিছনেই ছুটতে ছুটতে একটি কঠিন সত্য উপলব্ধি হল। এই লেখার প্রথমদিকে বলা কথাটির মতোই- আমাদের কল্পনা আমাদের আবেগ অনুভূতির বাইরে গিয়ে এখনো খেলতে পারেনি। হলিউডের এইসব সাইফাই মুভিগুলো হাতিঘোড়া কিছু নয়। সেই একই সুত্র – ভালো শক্তি আর মন্দ শক্তির যুদ্ধ। তারমধ্যে দুই ছটাক কাহিনী, তিন ছটাক প্রযুক্তি, পাঁচ ছটাক কল্পনা আর আমার আম্রিকা জিন্দাবাদ! কাল্পনিক এক গ্যালাক্সিতে সেই দুইপক্ষের (আসলে আম্রিকা আর রাশিয়া) লড়াই। ঐ যে যা বরাবরই বলি, পৃথিবীর বাজার ধরতে হলে আগে ক্ষমতা আর টাকায় পরিপূর্ণ করো নিজেকে। তারপর দুনিয়া তোমার। কল্পনাও তোমার!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: লুতুপুতু প্রেমকথার চেয়ে হলিউডের সাইফাই হাজারগুন ভাল| ওদের ছবিতে তাও পাঁচ ছটাক কল্পনা আছে, বাকিগুলোতে তো তাও নেই| বলিউড তো হায় চুইংগাম, হায় প্যানপ্যানানি

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

অরূপ স্বরূপ বলেছেন: ধন্যবাদ নিজ মন্তব্য জানানোর জন্য :-) যদিও আপনি আমার লেখার মর্মার্থ ধরতে পারেন নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.