নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসাদুজ্জামান জুয়েল

আসাদুজ্জামান জুয়েল

রওশনারা বেগম ও আবদুর রশীদ খানের কনিষ্ঠ পুত্র আমি আসাদুজ্জামান জুয়েল। ১৯৭৮ সালের ০৫ জুন শরীয়তপুর জেলার পালং থানা পালং গ্রামের এক সাধারণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করি। শিক্ষা জীবন শুরু মায়ের হাতে। তুলাসার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এস.এস.সি; শরীয়তপুর সরকারী মহাবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচ.এস.সি; জাজিরা ডিগ্রী কলেজে থেকে বাণিজ্য বিভাগ হতে বি.কম পাস করার পর প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন অনুষদ হতে এলএল.বি ও এলএল.এম সম্পন্ন করি। প্রতিটি ক্যাম্পাসেই কেটেছে মধুর দিনগুলো। ২০০৯ সালের ০৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভূক্ত হয়ে ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ঢাকা বার এসোসিয়েশনে সদস্যভূক্ত হই। পরবর্তীতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০ শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যভূক্ত হয়ে আইন পেশার সাথে যুক্ত আছি। ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতি, শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতি ও শরীয়তপুর জেলা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশনের সদস্য হিসাবে আইন পেশায় নিয়োজিত আছি। সাংবাদিকতা ও লেখালিখি করি মনের টানে। একই সাথে আইন পেশা ও সাংবাদিকতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে নিরন্তন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কর্ম জীবন শুরু লেখালিখির মাধ্যমে। দৈনিক ভোরের কাগজ দিয়ে সাংবাদিকতার শুরু। এর পর দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক কালের কন্ঠ, দৈনিক গণমুক্তি সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কাজ করেছি। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৬টি। প্রবাসীদের সুখ-দুঃখ নিয়ে লেখা আমার প্রথম উপন্যাস ‘যেমন আছি লন্ডনে’ প্রকাশিত হয় ২০১২ সালের একুশে বই মেলায়। দীর্ঘ বিরতির পরে ২০১৯ এর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় ভ্রমণ কাহিনী ‘কলকাতা ভ্রমণঃ জীবনে প্রথম কিছু’; প্রবন্ধ সংকলন ‘সমকালীন ভাবনা’ ও প্রথম কাব্য গ্রন্থ ‘হৃদয়ের শব্দক্ষরণ’। ২০২০ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় প্রবন্ধ সংকল ‘সমকালীন ভাবনা-২’ ও দ্বিতীয় কাব্য গ্রন্থ ‘তুই থাকিস পরাণের গহীনে’। এছাড়াও বেশ কিছু বই প্রকাশের অপেক্ষায় আছি। লেখালিখি করি বিভিন্ন ব্লগে। আমার ওয়েবসাইটঃ www.asadjewel.com, নিজস্ব ব্লগঃ www.asadjewel.blogspot.com এছাড়া www.somewhereinblog.net এ নিয়মিত লেখালিখি করি। শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে তিনবার ও লাইব্রেরী সম্পাদক হিসাবে দু্ইবার দায়িত্ব পালন করেছি। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, শরীয়তপুর জেলা ইউনিটের জীবন সদস্য। প্রগতি লেখক সংঘ, শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি হিসাবে দ্বায়িত্বে আছি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড শরীয়তপুর, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক শরীয়তপুর এর আইন উপদেষ্টা হিসাবেও কর্মরত আছি। গরীব-দুঃখীদের মামলা পরিচালনার জন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা শরীয়তপুর জেলা শাখার প্যানেল আইনজীবী হিসাবে দুস্থ্যদের আইনগত সহায়তা প্রদান কাজে নিষ্ঠার সাথে জড়িত আছি। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), শরীয়তপুর জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষানিকেতন কর্ম কেন্দ্রীক পাঠাগার, শরীয়তপুরের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি দীর্ঘদিন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও অস্ট্রেলিয়ান বার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ইনটেনসিভ ট্রায়েল এডভোকেসী ওয়ার্কশপ, ২০১০ সালে এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার এর উদ্যোগে হিউম্যান রাইটস এন্ড রুল অফ ‘ল’, ২০০২ ও ২০১০ সালে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে শিশু ও নারী বিষয়ক রিপোর্টিং কর্মশালা, ১৯৯৯ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আয়োজিত কম্পিউটার ট্রেড প্রশিক্ষণ, ২০১০ সালে ইউএসএইড-প্রগতি-কালেরকন্ঠ আয়োজিত দুর্নীতি বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরী ও তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণসহ পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। লেখালিখি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে নিজেকে জড়িয়ে সমাজ সংস্কারে একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার অর্ধপ্রাণ কন্যা রওশন আসাদ প্রিয়ন্তী। সহধর্মীনি মুনমুন সুলতানা লুনা পেশায় শিক্ষিকা। দুই বোন রেহানা আক্তার রেখা এবং কহিনুর আক্তার শিখা এবং একমাত্র ভাই মোহাম্মদ রুহুল আমীন খান আজাদ একজন প্রবাসী। যোগাযোগের জন্য আমাকে মেইল করতে পারেনঃ [email protected]

আসাদুজ্জামান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বলে-বাড়িতে থাকো, শুনি-বাড়ি গিয়ে থাকো!

২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৩

চীন থেকে উৎপত্তি হয়ে তা আর চীনে নাই, সারা বিশ্বকে চিনে নিয়েছে করোনা। সংক্রামক এই রোকটি ইতোমধ্যে বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। বর্তমানে মহামারি রূপ ধারণ করে একের পর এক দেশ, শহর, গ্রামে ছড়িয়ে গেছে। দেশে দেশে সরকারই শুধু নয় সব সরকারদের সংগঠন জাতিসংঘের কপালেও চিন্তার ভাজ পড়েছে এবং সকলকে সতর্ক করছে। আমাদের সরকারও নানান পদক্ষেপ নিচ্ছে। যথা সময়ে নিয়েছে বা যথা সময়ে পদক্ষেপ নিতে পারেনি সেটা ভিন্ন বিতর্ক। এই বিতর্ক আছে এবং থাকবে যতদিন আমাদের মতের ভিন্নতা থাকবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। যার যার হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্যই এই ব্যবস্থা। সরকার বুঝাতে চেয়েছে এই সময় যার যার বাড়িতে সময় কাটাও, আর আমরা শুনলাম যার যার বাড়িতে (গ্রামের বাড়িতে) গিয়ে সময় কাটাও! যেমন কেউ বলেছিলো- ‘ঘুষ খাওয়া অন্যায় আর আমরা শুনি ঘুষ খাওয়া অন্য আয়!’ কী বিচিত্র আমাদের শ্রবণ শক্তি ও বুঝার ক্ষমতা!

করোনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করোনা, এমন কেউ বলেনি! তাই উইকিপিডিয়া থেকে কিছু জানার চেষ্টা করলাম। উইকিপিডিয়া জানালো-করোনাভাইরাস (চীনা: 冠状病毒, ইংরেজি: Coronavirus) হলো একই শ্রেণীভুক্ত ভাইরাস যারা স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখি আক্রান্ত করে। মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়। এই সংক্রমণের লক্ষণ মৃদু হতে পারে, অনেকসময় যা সাধারণ ঠাণ্ডাজ্বরের ন্যায় মনে হয় (এছাড়া অন্য কিছুও হতে পারে, যেমন রাইনোভাইরাস), কিছু ক্ষেত্রে তা অন্যান্য মারাত্মক ভাইরাসের জন্য হয়ে থাকে, যেমন সার্স, মার্স এবং কোভিড-১৯। অন্যান্য প্রজাতিতে এই লক্ষণের তারতম্য দেখা যায়। যেমন মুরগির মধ্যে এটা উর্ধ্ব শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়, আবার গরু ও শূকরে এটি ডায়রিয়া সৃষ্টি করে। মানবদেহে সৃষ্ট করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়ানোর মত কোনো ভ্যাক্সিন বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আজও আবিষ্কৃত হয়নি।

করোনাভাইরাস রাইবোভিরিয়া পর্বের নিদুভাইরাস বর্গের করোনাভিরিডি গোত্রের অর্থোকরোনাভিরিন্যা উপ-গোত্রের সদস্য। তারা পজিটিভ সেন্স একক সূত্রবিশিষ্ট আবরণীবদ্ধ বা এনভেলপড ভাইরাস। তাদের নিউক্লিওক্যাপসিড সর্পিলাকৃতির। এর জিনোমের আকার সাধারণত ২৭ থেকে ৩৪ কিলো বেস-পেয়ার (kilo base-pair) এর মধ্যে হয়ে থাকে যা এ ধরনের আরএনএ ভাইরাসের মধ্যে সর্ববৃহৎ। করোনাভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট। কারণ দ্বিমাত্রিক সঞ্চালন ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটির ক্লাব-আকৃতির প্রোটিন স্পাইকের কারণে একে দেখতে অনেকটা মুকুট বা সৌর করোনার মত। ভাইরাসের উপরিভাগ প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রমিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে। ভাইরাসটি ডাইমরফিজম রুপ প্রকাশ করে। ধারনা করা হয়, প্রাণীর দেহ থেকে এই ভাইরাস প্রথম মানবদেহে প্রবেশ করে।
করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯) মানুষের একটি সংক্রামক ব্যাধি যা গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস ২ (সার্স-কোভ-২) নামক এক ধরনের ভাইরাসের আক্রমণে হয়ে থাকে। এই ব্যাধিটি সর্বপ্রথম ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালের প্রারম্ভে ব্যাধিটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং বৈশ্বিক মহামারীর রূপ ধারণ করে।[৯][১০] ব্যাধিটির সাধারণ উপসর্গ হিসেবে জ্বর, সর্দি এবং শ্বাসকষ্ট দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে মাংসপেশীর ব্যথা, বারবার থুতু সৃষ্টি এবং গলায় ব্যথা দেখা যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপসর্গগুলো নমনীয় আকারে দেখা যায়, কিন্তু কিছু গুরুতর ক্ষেত্রে ফুসুফুস প্রদাহ (নিউমোনিয়া) এবং বিভিন্ন অঙ্গের বিকলতাও দেখা যায়। সংক্রমিত হবার পরে এই ব্যাধিতে মৃত্যুর হার গড়ে ৩.৪%, যেখানে ২০ বছরের নিচের রোগীদের মৃত্যুর হার ০.২% এবং ৮০ বছরের উর্ধ্বে রোগীদের প্রায় ১৫%। এই রোগ সাধারণত সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সৃষ্ট বায়ুকণা থেকে ছড়ায়। এছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির জীবাণু হাঁচি-কাশির কারণে বা জীবাণুযুক্ত হাত দিয়ে স্পর্শ করার কারণে পরিবেশের বিভিন্ন বস্তুর পৃষ্ঠতলে লেগে থাকলে এবং সেই ভাইরাসযুক্ত পৃষ্ঠতল অন্য কেউ হাত দিয়ে স্পর্শ করে নাকে-মুখে-চোখে হাত দিলে করোনাভাইরাস নাক-মুখ-চোখের শ্লেষ্মাঝিল্লী দিয়ে দেহে প্রবেশ করে। আক্রান্ত হওয়ার ২-১৪ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়; গড়ে ৫ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা যায়। সাধারণত নাক কিংবা গলার শ্লেষা পরীক্ষাগারে নিয়ে বিপরীত প্রতিলিপিকরণ পলিমার শৃঙ্খল বিক্রিয়ার (rRT-PCR) মাধ্যমে রোগনির্ণয় করা হয়। এছাড়াও স্বাস্থঝুঁকি, বক্ষের সিটি চিত্রগ্রহণের (সিটি স্ক্যানের) মাধ্যমে ফুসফুস প্রদাহের (নিউমোনিয়ার) উপস্থিতি এবং উপসর্গ থেকেও ব্যাধিটি নির্ণয় করা যায়।
যাহোক, করোনা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানলাম। আসলে আমার লেখার মূল বিষয় এটা নয়, আমার লেখার বিষয় আমাদের কর্মকান্ড নিয়ে। করোনা যেহেতু নিজে নিজে চলতে পারে না, বাহক মারফত এটা ছড়ায় তাই বাহক চেইন ভেঙ্গে দেয়ার জন্য আমাদের করনীয় হচ্ছে একটু বিচ্ছিন্ন থাকা। ভীর এড়িয়ে চলা, কোন কিছু ধরলে বা না ধরলেও বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, হাচি কাশি দিলে শিষ্টাচার মেনে দেয়া যাতে এটা একজন থেকে অন্য জনে না ছড়ায়। আমরা যদি অফিস আদালতে যাই সেক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে সংক্রমনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই সরকার চিন্তা করলো সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা দরকার। সরকার দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলো এবং বললো যার যার বাড়িতে থাকুন, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হবেন না। ছুটির ঘেষেণা পেয়ে সাধারণ-অসাধারণ মানুষ ছুটলো যার যার গ্রামের বাড়িতে। পরিস্থিতি এমন হলো যেন ঈদের ছুটি পেয়েছে। যে যা পেয়েছে তাই দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলো। মহামারি দেখা দিলে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকেও বলা হয়েছে যে আক্রান্ত হবে সে ঐ এলাকা থেকে বের হবে না এবং ঐ এলাকায় কেউ ঢুকবেও না। এটাই মহামারি আটকে দেয়ার মূল মন্ত্র। প্রয়োজনে আক্রান্ত এলাকার সবাই মরে শেষ হয়ে যাবে তাতে অন্তত অন্য এলাকাগুলো বেঁচে যাবে। কিন্তু আমরা ছুটি পেয়ে কী করলাম, সবাই যার যার ব্যাগ গুছিয়ে রওয়ানা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। এতে কেউ কেউ থাকতে পারেন ভাইরাসবাহী, কেউ যাত্রা পথে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবেন। বাড়িতে এসে সেই ব্যক্তি তাহার পরিবার, আত্মীয়, স্বজনকে আক্রান্ত করবেন। আবার কেউ আছেন ভালো কিন্তু বাড়িতে আক্রান্তদের কাছে এসে নিজেও আক্রান্ত হবেন।

এমন পরিস্থিতি ঈদের সময় হলে অভিযোগের অন্ত থাকতো না। কেউ বলতো গাড়ি নেই কেন, কেউ বলতো ফেরি নেই কেন, কেউ বলতো ভাড়া বেশি নেয় অথচ সরকার নজর দেয় না! কিন্তু এখন সেই অভিযোগ নেই। সরকার যার যার বাসায় থাকতে বলেছে, নিজ উদ্যোগে বাড়ি যাচ্ছে তাইতো কোন অভিযোগ নেই। ফেরি ঘাটে, ফেরিতে, রেল স্টেশনে, রেলে হাজার হাজার মানুষ দেখে মনে হলো তারা গ্রামের কোনায় কোনায় ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার দায়িত্বটা নিজ নিজ কাধে নিয়ে নিয়েছেন। স্বজনদের প্রতি আমার কোন বিদ্ব্যেষ নেই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাইরে বের হয়ে সে পথিমধ্যে আক্রান্ত হতে পারে, আক্রান্ত হলে বাড়ি এসে অন্যকে আক্রান্ত করতে পারে, বাড়িতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে নিজে আক্রান্ত হতে পারে। একারনেই তাদের প্রতি এতটা ক্ষোভ প্রকাশ করছি আর আক্ষেপ করছি, এদের খোদা কবে কান্ড জ্ঞান দিবে? এই আমরাই আবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মতো প্রধানমন্ত্রী চাই! আমাদের দরকার হিটলারের মতো রাষ্ট্রনায়ক।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: সুখবর বাংলাদেশ!
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আর কোনো করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি!

২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫২

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: পাওয়া না গেলেই ভালো।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: তবে বিজয় মানুষের হবেই। হতেই হবে। যাই করি। বেঁচে থাকতে চাই।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: তাই হোক। বিজয় যেন আমাদের হয়, মানবতার হয়। সবাই বেঁচে থাকুক এই কামনাই করি।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: রাজিব ভাইয়া প্রথম আলো অনলাইন দেখুন এখন। একজন মারা গিয়েছে।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: কিছুতো মারা যাবেই। তবে সংখ্যাটা যেন সীমিত থাকে। আল্লাহ আমাদের মাফ করুক।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১১

রাইডশেয়ার পার্টনার বলেছেন: আমি আশাবাদী এক মানুষ। হাজারো বৈপরিত্তের মাঝেও আলোকিত দিনের জন্য আমার অপেক্ষা চিরকালিক। আমি তেমন স্বপ্ন দেখিনা যার কাছে আমি পৌঁছাতে পারব না। তাই দারুনভাবে বিশ্বাস করি এইঘোর অমানিশা কাটবেই, হয়ত সেটা সময়সাপেক্ষ, কিন্তু আলো আসবেই। পৃথিবীর সকল মানুষের মঙ্গল হোক।।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৮

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আসলে আশা ও মানষিক শক্তিই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। আলো আসবেই। সকলের মঙ্গল হোক।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ চীন দেশরেও হার মানায়া দিসে। ২৪ ঘন্টায় কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায় নাই! অহন চলেন সবাই বনভোজনে যাই

২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪০

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: যখন মরা শুরু করবো তখন টের পাওয়া যাইবো রোগী আছে না নাই!!

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪০

একনিষ্ঠ অনুগত বলেছেন: আমার মনে হয় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার আগে গণ পরিবহন বন্ধ করে দিলে ভালো হত, এখন আমাদের সবারই উচিৎ সরকারকে সহযোগিতা করা।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০১

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: একদম ঠিক কথা। আগে গণ পরিবহন ও নৌ পরিবহন বন্ধ করে তার পর ছুটি ঘোষণা করলে এবং বলে দিলে যে ছুটিতে কেউ কোথাও যাবেন না, যার যার অবস্থানে থাকার জন্য এই ছুটি তাহলে ভালো হতো।

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

বাকপ্রবাস বলেছেন: শিরোনামটা দারুণ ছিল, মিথ্যাবাদী রাখাল এর মতো সরকারকে কেউ বিশ্বাস করতে পারছেনা তায় কোন কথা কানে না নিয়ে নিজেদের বিপদ বাড়াচ্ছে

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০২

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: হুম। আসলেই কেউ বিশ্বাস করছে না। আর বাস্তবে পরিসংখ্যান কেউ কোন সময়ই বিশ্বাস করে না। কারন পরিসংখ্যানে ভেজাল মেশানো থাকে।

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৬

নায়লা যোহরা বলেছেন: দেশ পুরোপুরি লকডাউন করে দিচ্ছে না কেন!!!!

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৩

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: দেশতো একধরণের লকডাউনই করা। আমরা না মানলে কি করার আছে? আমাদের চরিত্র এমন হয়েছে যে, লকডাউন কি তা দেখতেও মানুষ বাইরে বের হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.