নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asadali.ht

মোহাম্মদ আসাদ আলী

সাংবাদিক

মোহাম্মদ আসাদ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

না, একটা দেশ পাশে না থাকলে বাংলাদেশ মরে যাবে না

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষবিন্দুতে পরিণত হয়েছে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিদের কিছু মন্তব্য। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল ও বাংলাদেশে দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা ড্যান মজিনা সম্পর্কে কটু মন্তব্য করে প্রথম আলোচনায় এসেছিলেন বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি নিশা দেশাইকে ‘দুই আনার মন্ত্রী’ ও ড্যান মজিনাকে ‘কাজের মেয়ে মর্জিনা’ বলে সম্বোধন করায় বিতর্কের সূত্রপাত হয়। অনেকে মত প্রকাশ করেন যে, সৈয়দ আশরাফের এহেন বক্তব্যের জেরে হয়তো বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও শিথিল হয়ে পড়বে। কিন্তু আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে এ যুক্তিকে পাত্তা দিতে চাচ্ছে না সরকার। সৈয়দ আশরাফের মন্তব্যকে ঘিরে সরকার কিছুটা বিব্রত হলেও, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে সরকারের মনোভাব যে যুক্তরাষ্ট্রের অনুকূল নয় তা প্রমাণিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেও। সার্ক সম্মেলন থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান দুনিয়ার পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের অতীত ও বর্তমান ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন। তার বক্তব্যের একটি পর্যায়ে তিনি বলেন,
‘একটা দেশ পাশে না থাকলে আমরা একেবারে শেষ হয়ে যাব? ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধেও যুক্তরাষ্ট্র বিরুদ্ধে ছিল। বাংলাদেশ শেষ হয়ে যায় নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় যদি আমরা লড়াই করে টিকে থাকতে পারি তাহলে স্বাধীন দেশ হিসেবে এখনও পারব। প্রত্যেকটি নাগরিককে বলব, এটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। সে মর্যাদা নিয়ে চলতে হবে। কেউ পাশে থাকলে বাঁচব, না থাকলে মরে যাব, এটা ঠিক না। ভালো থাকলে বন্ধুর অভাব হবে না। কাউকে ছাড়া বাংলাদেশ চলতে পারবে না- এমন চিন্তা না থাকাই ভালো।’
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে, উল্টিয়ে-পেঁচিয়ে, বিচার-বিশ্লেষণ করছে দেশের গণমাধ্যম ও সনামধন্য বিশ্লেষকরা। অনেকেই অনেক কিছুর আভাস পাচ্ছেন। কারও মতে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অনুণ্ঠ সমর্থন লাভের ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানোর পরও ব্যর্থ হবার কারণে সরকার এমনভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। আবার কারও মতে, নিশা দেশাই সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া বাংলাদেশ সফরে এসে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে আলোচনা করেছেন এবং বর্তমান সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের কাছে আগামী নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন- এটাকেই বড় অপরাধ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ সরকার। আবার এসব কারণকে উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের রাশিয়ামুখী অগ্রগতিকে আসল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পছন্দ করছেন একটি মহল।
আসল ঘটনা কী তা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারবে না। ওই চেষ্টা আমি করবও না। আমি একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে বিচার করার চেষ্টা করব। যদি বাংলাদেশ সরকারের মনোভাব সত্য সত্যই পশ্চিমা পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী হয় তাহলে ক্ষতির কোনো কারণ আছে কিনা- মূলত এটাই আমার আলোচনার বিষয়। অনেকেই বিষয়টিকে নিয়ে সরকারকে দায়ী করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং বাংলাদেশের ব্যাপারে দেশটি যে স্ট্যান্ড নিয়েছে তাতে ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য কি খুবই অযৌক্তিক?
১. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী ছিল তা সকলের জানা। আমরা যুদ্ধ করেছিলাম পশ্চিম পাকিস্তানের অন্যায়-অবিচার, অনাচার ও যুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে। যুদ্ধ আমাদের জন্য কোনো উচ্চাভিলাস ছিল না। নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য ও লাখ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম রক্ষা করার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি। আমাদের ওই সংগ্রাম বৈধ ছিল বলেই পৃথিবী আমাদেরকে সমর্থন দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বহু সাধারণ নাগরিকও আমাদের যুদ্ধে পরোক্ষভাবে সাহায্য-সহায়তা করেছে। কিন্তু কার্যত বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এর পেছনে কারণ ছিল শুধুই সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সুবিধা আদায়, এ উপমহাদেশে তার সাম্রাজ্যবাদের পথ প্রশস্ত রাখা। এই অর্থে আমাদের স্বাধীনতা লাভে কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত হতে হয়েছিল। সে পরাজয়কে দেশটি আজ পর্যন্ত ভুলতে পেরেছে বলে মনে হয় না।
২. আজ যখন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে তখনও তার বিরোধিতার কাতারে সম্মুখভাগে অবস্থান নিয়েছে পশ্চিমা শক্তি। ’৭১ এর লাখো মানুষের বীভৎস মৃতদেহ যাদের চিত্তকে বিচলিত করতে পেরেছিল না, তারা আজ অস্থির হয়ে উঠছেন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় শুনে। খোদ যুক্তরাষ্ট্র ও তার তাবেদার জাতিসংঘ থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ফোন ও চিঠি আসছে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর স্থগিত করার জন্য। বোঝা-ই যাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তি আজও সেই অবস্থানেই আছে যেখানে তারা ১৯৭১ সালে ছিল।
৩. পৃথিবীর দেশে দেশে কথিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে কথিত মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য কাজ করতে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রকে। এ কাজ করতে গিয়ে এরা কতটা আগ্রাসী রূপ ধারণ করতে পারে তার উদাহরণের অভাব নেই। সৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনকে হটিয়ে কথিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ইরাকের কত লাখ মানুষের জীবনহানি ঘটেছে, সভ্যতা-সংস্কৃতি ও আর্থ-সামাজিক বিচারে সুসভ্য একটি দেশকে কীভাবে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে এখন ভিখারীর দেশে পরিণত করা হয়েছে তা কি কারও অজানা রয়েছে? আজকের আফগানিস্তান, ইরাক ইত্যাদি দেশে গণতন্ত্রের নামে যা চলছে তাকে কি কোনোভাবে গণতন্ত্র বলা যায়? আসলে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের নাম করে সারা বিশ্বে এমনই মেরুদণ্ডহীন শাসনপদ্ধতি কায়েম করতে চায়। আমাদের দেশও তার বাইরে নয়।
৪. মধ্যপ্রাচ্যের যে সকল বাদশাহ ও আমীরতন্ত্র কায়েম হয়ে রয়েছে, দেখা যাচ্ছে তাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের গলায় গলায় সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট ভুলেও এসব দেশে মানবাধিকার ক্ষুণœ হচ্ছে, সৈরশাসন চলছে- এমন অভিযোগ উচ্চারণ করেন না। দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগ এসব রাজতন্ত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি বিবেচনা করেন না (বিশেষ বিশেষ দেশের জন্য যেমনটা করা হয়)। এসব দেশের জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে রাজপথে নামলে তাদের পক্ষে কোনো উচ্চবাচ্চ করেন না। পশ্চিমা মিডিয়া ওই রাজতান্ত্রিক দেশের গণতন্ত্রকামীদের চিৎকার-চেঁচামেচি প্রচার করে না। কারণ- ওসব দেশের সরকার এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রের পদলেহনে নিযুক্ত আছে। কাজেই সেখানে গণতন্ত্রের নামে নতুন কোনো মেরুদণ্ডহীন শাসক সৃষ্টি করার দরকার নেই।
আজকের মিশরের অবস্থা দেখুন। গত বছর দেশটির গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। আর এখন সাবেক স্বৈরশাসক হোসনে মোবারককে সকল মামলা হতে অব্যাহতি দেয়ার মাধ্যমে মৃত ওই গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকা হচ্ছে। কিন্তু এত কিছু হয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সাড়াশব্দ নেই। আমরা জানি মৌনতা সম্মতির লক্ষণ। তাহলে কোথায় গেল যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রপ্রেম? কোথায় তার মানবাধিকার? এসব কি নিছক স্বার্থ হাসিলের অজুহাত নয়?
৫. যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছিল পাকিস্তান। তার পরিণাম কী হয়েছিল তা অনেকেই জানেন। পাকিস্তানের প্রায় সব সরকার (গণতান্ত্রিক বা স্বৈরশাসক) যুক্তরাষ্ট্রের লেজুড়বৃত্তি করে এসেছে। আর এই সুযোগেই পাকিস্তানকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্টকে বহু সুবিধা আদায় করে নিতে দেখা গেছে। ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগান আক্রমণকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র এক বৈশ্বিক রাজনীতির দাবাখেলায় মেতে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা CIA ইসলামী সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করে আফগানিস্তানের সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধকে জেহাদে রূপ দেবার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিল, যা বাস্তবে সম্ভব হয়েছিল একমাত্র পাকিস্তানের CIA এর সহায়তা পেয়েই। পাকিস্তান হয়ে উঠেছিল ওসামা বিন লাদেন, ডা. আইমান আল জাওয়াহিরিসহ সোভিয়েত বিরোধী যোদ্ধাদের (আজ যারা সর্বত্র জঙ্গি নামে পরিচিত) পৈত্রিক গৃহসদৃশ, আর তাদের মুখে অন্ন ও হাতে অস্ত্র তুলে দিতো যুক্তরাষ্ট্র। তখন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বুঝতে পারে নি যে, আজকের মিত্র আমেরিকা কাল পাকিস্তানকে বিরূপ পরিস্থিতিতে ফেলে সটকে পড়বে।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাবার পর যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলল। ওদিকে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধ ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা নিয়ে পাকিস্তানের তখন লেজেগোবরে অবস্থা। পাকিস্তানের গ্রামে গঞ্জে, হাটে-বাজারে, বিমান বন্দরে সবখানে তখন আফগান যুদ্ধের অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি। সোভিয়েত সেনা পিছু হটার পর থেকে আফগানিস্তানে যে ভয়াবহ অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয় তার প্রভাব প্রায় এক দশকব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রহীন পাকিস্তান অনুভব করেছিল। এই দীর্ঘ সময় পাকিস্তান শুধু পরিণতি ভোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পদলেহন করা ও তার ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করার পরিণতি। আমরা বাংলাদেশকে সেই পাকিস্তান দেখতে চাই না। মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশেও ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট ব্যবহার করে কোনো অঘটন ঘটানো হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এটা তাদের জন্য কঠিন কোনো কাজ নয়। বিশেষ করে এ দেশে যখন ক্ষেত্র আগে থেকেই প্রস্তুত আছে তখন তো কথাই নেই। এর জন্য শুধু ষড়যন্ত্রকারীদের বড় ধরনের স্বার্থ দরকার।
এ গেল যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অতীত অভিজ্ঞতা যা পৃথিবী গত কয়েক দশক ধরে প্রত্যক্ষ করেছে এবং এখনও করছে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন দু’মুখি ও স্বার্থবাদী কর্মকাণ্ডের উদাহরণের শেষ নেই। এখানে আমি আমাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকেই শুধু পয়েন্ট করেছি। এখন কথা হচ্ছে- এমন একটি আগ্রাসী শক্তি, যাকে আধুনিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বললেও অত্যুক্তি হয় না, বাংলাদেশে তার সরূপ অনুভব করা বোধহয় প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আমি জানি না যে, প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তা তার সুচিন্তিত মতামত কি না, এটা বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ পররাষ্ট্রনীতির অংশ কিনা। যদি সেটা হয়ে থাকে তাহলে আমি সেখানে অশুভ কিছু দেখি না। আজ যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থেকে অন্য কোনো দল ক্ষমতায় থাকতো, আর তারা জাতীয় স্বার্থে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতো- তাহলেও আমার একই অনুভূতি হতো। বাঙালি কোনো কালেই ষড়যন্ত্রকে প্রশ্রয় দেয় নি, দেবেও না। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে এটা বলাই যায় যে, পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আর যাই হোক নিজেদের স্বার্থে যে কোনো কাজ করতে পারে। আমরা যাতে কোনোভাবেই তেমন কোনো ছকে পড়ে না যাই সে সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। আমরা সকলের সাথেই সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করতে চাই। কিন্তু কারও ক্রীড়নকে পরিণত হতে চাই না।
[email protected]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: যত গর্জে ততো বর্ষে না।
ফাঁকা কলসি বাজে বেশী।
ছাল নাই কুত্তার বাঘা বড়/নাম!
ঢাল নাই তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দার!


ইলেকশন আসলে তো ইউ এস এমব্যাসির সামনের রাস্তার পিচ সব তেনাদের জুতার তলায় আর গাড়ির চাকায় করে তুলে নিয়ে আসে!

তারচেয়েও বড় কথা, বাঙালী যে একটা অভদ্র জাতি, এটা প্রসাশনিকভাবে ও আনুষ্ঠানিকতার সাথে তেনারা আবার প্রমাণ করিলেন!

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: শেখ হাসিনা আমেরিকায় গেলে তো একটা এক আনার মন্ত্রীও তার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে আসেনা, তার মন্ত্রী আবার নিশা দেশাইয়ের দাম ধরে। আসলেই ছাল নাই কুত্তার বাঘা নাম

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫

জেকলেট বলেছেন: কুটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হতেই পারে. দুই দেশের দৃষ্ঠিগত পারথ্যক্ থাকতেই পারে। তাই বলে আরেকটা দেশের মন্ত্রি, কুটনৈতিক্‌কে নিয়ে এই মন্তব্য কি ঠিক?? এতে আমরা কি পেলাম আর কি হারালাম। চিন্তা করছেন কখন??

আর আপনার বাকী কথা?? পাশের দেশ ইন্ডিয়া, চায়নার দিকে তাকান?? ওরা এই গুলাকে পাশ কাটিয়ে কেমনে Smartly সম্পর্ক উননয়ন করে এগিয়ে জাচ্চে।

নরেদ্র মোদীকে ত আমেরিকা ১৪ বৎসর ভিসাই দেয়নাই আর আমাদের PM ত ঐ দিন ই জরুরী অবস্থায় আমেরিকা চলে গিয়েছিলেন.

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

এনামুল রেজা বলেছেন: অনুসরণে রাখলাম। সময় করে পড়ে যাবো। :)

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যদি বাংলাদেশ সরকারের মনোভাব সত্য সত্যই পশ্চিমা পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী হয় তাহলে ক্ষতির কোনো কারণ আছে কিনা- মূলত এটাই আমার আলোচনার বিষয়। অনেকেই বিষয়টিকে নিয়ে সরকারকে দায়ী করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং বাংলাদেশের ব্যাপারে দেশটি যে স্ট্যান্ড নিয়েছে তাতে ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য কি খুবই অযৌক্তিক?

আপনার এই বক্তব্য অসাঢ়!!!!!

টিকফা চুক্তি ৫ জানুয়ারী প্রহসনের নির্বাচনের পূর্বমুহর্তের এত তড়িঘড়ি সই করেছিল কেন????
যেই চুক্তি বিএনপি বিগত ২০ বছর ধরে রাজী হয়নি!!! করেনি-- স্রেফ ক্ষমতায় থাকার অজুহাতেই নয়কি???

সুতরাং! এখনকার বাহ্য প্রলাপ বাতুলতা মাত্র!

টাকার জন্য দেহ বিক্রি করে- সত্বীত্বের বড়াই করারর মতো হয়ে গেল না!

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৪

তিক্তভাষী বলেছেন: ৫ জানুয়ারীর ধাপ্পাবাজির ভোটের কথা য়েই জিজ্ঞেস করবে সেই আওয়ামীদের গালি খাবে। সহজ ব্যাপার!

এতো লম্বা ফিরিস্তি দিলেও আসল কারণ আড়াল করা যাবে না।

৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

এরশাদ বাদশা বলেছেন: এমন চমৎকার বিশ্লেষনধর্মী লেখায় একটা কম্টেও নেই!!!!!

এখনকার ব্লগে মনে হয় কারোরই পড়ার সময় নেই।

অসাধারন লিখেছেন। আপনার প্রতিটি কথার সাথে একমত।

৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩

এরশাদ বাদশা বলেছেন: আমার ব্রাউজারে ডিস্টার্ব দিচ্ছিলো, উপরের কমেন্টগুলা চোখে পড়েনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.