নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asadali.ht

মোহাম্মদ আসাদ আলী

সাংবাদিক

মোহাম্মদ আসাদ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী মূলত দুইটি কারণে সমালোচিত হবার যোগ্য

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর বক্তব্য ও কৈফিয়ত- দুটো ভিডিও দেখার পর আমার কাছে মনে হয়েছে, মূলত দু'টি কারণে তিনি সমালোচিত হবার যোগ্য। এক- তিনি যা বলতে চান তা পরিষ্কার করে বলেন নি বা বলতে পারেন নি। এটা তার বলার অদক্ষতাও হতে পারে। অনেক বিখ্যাত লেখক রয়েছেন যারা লেখায় অতুলনীয় হলেও বলতে গিয়ে থতমত খেয়ে যান। তিনি এই ধরনের লেখক হতে পারেন। যাই হোক, তিনি যা বলতে চেয়েছেন গুছিয়ে বলতে পারেন নি, এটার দায়ভার তাকেই নিতে হবে।
দুই- তার বক্তব্যের মধ্যে কিছুটা হলেও অজ্ঞতার ছাপ আছে। অন্য কেউ হলে ভিন্ন কথা, তার মতো একজন পণ্ডিত ব্যক্তির কাছ থেকে এই ধরনের অজ্ঞতা আশা করা যায় না। তিনি সরাসরি বলে দিলেন- আল্লাহর ৯৯ নাম আসলে দেবদেবিদের নাম ছিল। সেখান থেকেই বর্তমানের নামগুলো নেয়া হয়েছে। আসল ঘটনা তা নয়। আল্লাহর ৯৯ নাম সবযুগেই ছিল। আরবরা নিজেদেরকে ইবরাহীম (আ.) এর অনুসারী দাবি করত এবং ইবরাহীম (আ.) এর নির্দেশিত আচার-প্রথা তাদের ইতিহাসে পাওয়া যায়। যেমন হজ্ব করা, নামাজ পড়া, কোর'বানী করা ইত্যাদি। সুতরাং ইবরাহীম (আ.) এর মাধ্যমে তারা আল্লাহর ৯৯ নাম অনেক আগেই জেনেছিল। অতঃপর যখন তারা মূর্তিপূজা আরম্ভ করে, আল্লাহকে ছেড়ে বিভিন্ন দেব-দেবী তৈরি করে তার পূজা আরম্ভ করে তখন তারা দেব-দেবীদের নামকরণের ক্ষেত্রে আল্লাহর ওই ৯৯ নামকেই বেছে নেয়, যা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
অর্থাৎ আল্লাহর ৯৯ নাম দেব-দেবীর নাম থেকে নেয়া হয় নি, দেব-দেবীর নামগুলোর মধ্যেই অনেক নাম আল্লাহর ৯৯ নাম থেকে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়টিই বলতে গিয়ে অজ্ঞতাবশত গুলিয়ে ফেলেছেন জনাব চৌধুরী সাহেব।
আব্দুল গাফফার চৌধুরীর বক্তব্য শুনে আমি এটুকু নিশ্চিত হয়েছি যে, তিনি ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলেন নি, তার উদ্দেশ্য আমার দৃষ্টিতে সৎ হিসেবেই প্রতিভাত হয়েছে, কিন্তু উদ্দশ্য সৎ হলেও কথা বলার অদক্ষতা ও সামান্য অজ্ঞতার কারণে তার সমালোচনা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে একটি শ্রেণি তো সর্বদা বসেই থাকে এসব বেফাস কথাবার্তাকে কাজে লাগিয়ে এবং জনসাধারণের ধর্মবিশ্বাসকে ব্যবহার করে নিজেদের অভিসন্ধি পূরণ করতে। কাজেই গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল বক্তব্য আশা করি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

রামন বলেছেন: এই জীবনে কতকিছু যে জানার আছে!!!! বিশাল গিয়ানগর্ব পুস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০২

নাসীমুল বারী বলেছেন: আবদুল গাফফার চৌধুরী সবসময় তাঁর লেখায় মৃত ব্যক্তির উদাহরণ টানেন। এর কারণ মৃত ব্যক্তি তো প্রতিবাদ করতে পারেন না, তাই তাঁর উপর দিয়ে মিথ্যা বললেও কেউ প্রতিবাদ করার নেই। যেমন এম আর আকতার মুকুল মারা যাওযার পরের সপ্তায় ঢাকার একটি দৈনিকে তিনি লিখেছিলেন, (কথাটির সারমর্ম এই, পুরো কথাটি এখন মনে নেই) একবার নাকি তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বাসায় গেছেন, তখন এম আর আকতার মুকুল বঙ্গবন্ধুর পা টিপছিলেন. . . ! জানি না কেন গাফফার চৌধুরী এম আর আকতার মুকুল জীবিত থাকতে এমন কথা লিখলেন না। আবার প্রখ্যাত সাংবাদিক এবিএম মূসা মারা যাওয়ার পরও তিনি একটি দৈনিকে লিখেছিলেন, (কথাটির সারমর্ম এই, পুরো কথাটি এখন মনে নেই) মাননীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে একটি চমৎকার পরামর্শ দিয়েছিলেন জনাব মূসা এবং সে পরামর্শটা শুধু আবদুল গাফফার চৌধুরীর কাছেই বলেছেন। এবারও আশ্চর্যের বিষয় আবদুল গাফফার চৌধুরী কিন্তু জনাব মূসা জীবিত থাকতে সে কথা বলেন নি। আসলে এমন মিথ্যার বেসাতি গেয়েই কি তিনি পাণ্ডিত্য অর্জন করেছেন? আর আপনি বলছেন 'তিনি ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলেন নি' একথা সত্যি ভাবি কিভাবে?
ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

তাজ - সৈয়দাবাদী । বলেছেন: Thank you @ Asad Ali Bhai...........................................

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.