নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলতে চাই কিছু লিখেত চাই

মনুআউয়াল

মনুআউয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮



সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চ। একই সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ দমনে সরকারি উদ্যোগ আরও গতিশীল করা এবং এ কাজে প্রশাসনকে কার্যকর করে তোলাসহ সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে মঞ্চ।

মঞ্চের দ্বিতীয় জাতীয় কনভেনশনে এই আহ্বান ও দাবি জানানো হয়। গতকাল শুক্রবার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে দিনব্যাপী ওই কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারত ও পাকিস্তানের দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং দেশের প্রায় ৫০টি জেলার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

মঞ্চের পক্ষ থেকে আগামী নভেম্বরে ঢাকায় মহাসমাবেশ আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানানো হয়।

গতকাল সকাল ১০টায় আইইবি প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে কনভেনশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এরপর প্রবীণ রাজনীতিক অজয় রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনভেনশনের সাধারণ অধিবেশনে আনিসুজ্জামান বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের ঐক্য গড়ে তোলা দরকার।

প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধসহ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সংগ্রামের মূল চেতনাই ছিল গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক। কিন্তু আজকের বাস্তবতা ভিন্ন। দেশের সংবিধানে আজ অত্যন্ত বিসদৃশভাবে ধর্মরিপেক্ষতা ও রাষ্ট্রধর্মের অবস্থান।



আনিসুজ্জামান আরও বলেন, অতীতেও বহুবার দেশবাসীর অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু নাগরিক সমাজের প্রতিরোধ তা নস্যাত্ কর দিয়েছে। আজও নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি সরকারকে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিতে হবে।



কনভেনশনে আমন্ত্রিত অতিথি পাকিস্তানের আওয়ামী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফারুক তারিক বলেন, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক শক্তির আজকের সংগ্রাম অভিন্ন। বাংলাদেশের এই সংগ্রামে পাকিস্তানের সংগ্রামীদের সমর্থন আছে। তিনি জামায়াতে ইসলামীকে মোনাফেক (হিপোক্র্যাট) দল অভিহিত করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে দলটির অতীত-বর্তমান কলঙ্কিত কার্যক্রম তুলে ধরেন।



একাত্তরের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু করায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে ফারুক তারিক বলেন, তাঁর দেশের জনগণও ইচ্ছা পোষণ করে একাত্তরের পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার।



ভারত থেকে আমন্ত্রিত রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য পবিত্র সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই উপমহাদেশে হিন্দু-মুসলমান একাত্ম হয়ে বসবাস করেছে। ধর্মকে ব্যবহার করে প্রতাপশালী মোঘল সম্রাটেরাও এই একাত্মতা নষ্ট করেননি। কিন্তু যখন থেকে ধর্মের সঙ্গে রাষ্ট্রক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তারকে যুক্ত করা হয়েছে, তখন থেকেই সেই একাত্মতা নষ্ট হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতার জায়গা দখল করতে শুরু করেছে সাম্প্রদায়িকতা।



অনুষ্ঠানে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, আজ দেশবাসীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ভবিষ্যতে তাঁরা কোন বাংলাদেশ দেখতে চান—তালেবানি, না মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার ব্যাপারে নিরপেক্ষ অবস্থানের কোনো সুযোগ নেই। এরা মানুষের অধিকার হরণ করে।



মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারোয়ার আলী বলেন, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি এখনকার মতো এত বড় বিপর্যয়ের মুখে আগে কখনো পড়েনি।

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, সাংসদ রাশেদ খান মেনন ও মঈন উদ্দীন খান বাদল, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর, রানা দাশগুপ্ত, আবুল বারকাত, মঙ্গল কুমার চাকমা, তুরিন আফরোজ, বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, ইমরান এইচ সরকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

তথ্য সুত্রঃপ্রথম আলোর

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

িমতা নুর277 বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ,জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে হতে হবে

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

Sukur742 বলেছেন: সরকারকে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিতে হবে।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জঙ্গীবাদ-আওয়ামীলীগ-বাংলাদেশ!!!!! প্রোপাগান্ডা আর মিডিয়ার এই গোলক ধাধা সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া বড়ই দুরুহ বটে!!!!!

মানুষ স্তম্ভিত হয়। ভীত হয়। এ নিয়ে চলতে থাকে রাজনীতি। কথার চালাচালি। র্যাবের বীর অফিসার গুলজার যখন সফল ভাবে মূলকে গ্রেফতার করে- জাতি আরও স্থিম্ভিত হয়ে জানে- শায়খ আব্দুর রহমান, কঠিন কট্টর আওয়ামী ঘরানার লোক। আওয়ামী নীতিনির্ধারক মহলের বড় নেতার (িমর্জা আজেমর) দুলাভাই!
>>>>

আবার যখন আম্রিকার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে আসলেন- আওয়ামীলীগ তখন সরকারে।
যে কোন সরকার তার উপর আরোপিত অভিযোগ খন্ডন এবং মোচনের জন্য অন্দতপ্রান থাকে। কারন বিষয়টির সাথে শুধু সরকারের ভাবমূর্তি নয়- দেশ এবং জনগণের ভঅগ্যও জড়িত।
কিন্তু বিস্ময়কর ভাবে দেখা গেল সরকারী উদ্যোগে এই দেশ ভয়াবহ জঙ্গীর আস্তানা জাতীয় আত্মঘাতি তথ্য ক্লিনটনের কাছে দেয়া হলো! তাঁর সফরকে সরকারী উদ্যোগে বাতিল করা হলো!!!

জঙ্গীবাদ নিয়ে এইগুলান এবং বর্তমানেও যা চলছে...এসব কি জাতিগত আত্মঘাতি ঘটনা নয়!!!!বিশেষত বর্তমানের চরম সেনসেশনড বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে!!

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

তািনয়া898 বলেছেন: আজ দেশবাসীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ভবিষ্যতে তাঁরা কোন বাংলাদেশ দেখতে চান—তালেবানি, না মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ ?

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১

সুরাইয়াখান বলেছেন: জাগো বাংলাদেশ জাগো জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা কে রূখে দাড়াও

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

কল্পোবেস্ট বলেছেন: জাগো বাংলাদেশ জাগো জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা কে রূখে দাড়াও

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

রয়াজ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.