নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলতে চাই কিছু লিখেত চাই

মনুআউয়াল

মনুআউয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্ট্রেলিয়াতে ওয়ার্ক ভিসার স্পনসর নিয়ে বানিজ্য, সর্বশান্ত অনেকে

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪


বাংলাদেশ সহ উন্নয়নশীল অনেক দেশের নাগরিকদের জন্য স্বপ্নের দেশ অস্ট্রেলিয়া। একবার স্বপ্নের বসতি খুঁজে পেতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আগ্রহ এখন এ দেশকে ঘিরে। তবে অভিবাসনের এ প্রক্রিয়ায় এক শ্রেনীর প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন অনেকে। এতে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন তারা ।

যে ভিসা গুলোকে কেন্দ্র করে জন্য স্পনসর বানিজ্যের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে সে গুলো সাব-ক্লাস ৪৫৭ ভিসা প্রোগ্রাম , এছাড়া আছে সাব-ক্লাস ১৮৬ যেটি এমপ্লয়ার নমিনেটেড পারমানেন্ট রেসিডেন্স ভিসা এবং সাব-ক্লাস ৪০২ যেটি হচ্ছে ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ ভিসা নামে পরিচিত । আবেদনকারীর শিক্ষা ও কাংঙ্খিত আইইএলটিএস ওপর নির্ভর করে সাব-ক্লাস ভিসাগুলোর অধীনে আবেদন করতে পারে। অনেকই এই ভিসায় স্বল্প সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় পরিবারসহ বসবাস ও কাজ করার অনুমতি পেয়ে থাকেন।


অস্ট্রেলিয়া পড়াশুনা শেষ করে কাংঙ্খিত আইইএলটিএস-স্কোর তুলতে পারলে হয়ত সহজে স্থায়ী হওয়া যায় কিন্তু অনেকই এই স্কোর তুলতে ব্যর্থ হয়ে স্পনসর ভিসা বা অস্থায়ী জব ভিসায় আবেদনের দিকে পা বাড়ায়।

এই ভিসাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিসা হচ্ছে ৪৫৭ ভিসা কারন এটিতে অপেক্ষাকৃত কম আইইএলটিএস-স্কোর আবেদন করা যায় কিন্তু এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে আবশ্যিকভাবে অস্ট্রেলিয়ায় অনুমোদিত ব্যবসার নিয়োগকর্তার কাছ থেকে স্পনসর সংগ্রহ করতে হয়। এটি ছাড়া ৪৫৭ ভিসা , সাব-ক্লাস ১৮৬ ভিসা আবেদন করা যায় না। অনেক তাদের নিজ নিজ যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা দিয়ে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে সহজে স্পনসর সংগ্রহ করতে সক্ষম হন এবং সুনিদির্ষ্ট সময় পর্যন্ত চাকুরী করার পর অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী ভিসার জন্য।আবেদন করতে পারেন।

কিন্তু যাদের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা অভাব রয়েছে বা নিয়োগকর্তা স্পনসর করতে আগ্রহী হন না তারা হাটেন এক ভিন্ন পথে।এই পথে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে স্পনসর মেলে। তবে অর্থের বিনিময়ে চাইলেই স্পনসর মিলবে না এর জন্য প্রার্থীকে মাধ্যম ধরতে হবে। বিশস্ত মাধ্যম ছাড়া স্পনসর বিকিকিনি হয় না। আর এই পথে স্পনসর জোগাড় করে দেওয়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান, এরা কখনো মাইগ্রেশন সার্ভিস, কখনো স্টুডেন্ট কনসালটেন্সি, কখনো জব রিক্রুটিং এজেন্সির ব্যানারে এই ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে।

সম্প্রতি আমাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এই সকল চক্র ও বিভিন্ন ব্যাক্তি বিশেষের কাছ থেকে স্পনসর জন্য মোটা অংঙ্কের টাকা নিয়ে স্পনসরের ব্যবস্হা না করে পুরোটাই আত্মসাত করে আবার কেউ কেউ এমন নিয়োগ কর্তার কাছ স্পনসরের ব্যবস্হা করে যে ভিসা হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে ব্যবসা বিক্রি করে পালিয়ে যায় ।

এক্ষেত্রে নতুন মালিক পুরানো মালিকের কর্মীদের কোন দায় নেয় না । আবার নিলে ও তার বিনিময় সে ও মোটা অঙ্কের অর্থ দাবী করে বসে। এক্ষেত্রে স্থায়ী ভিসার জন্য আবেদন করতে তাকে ঐ টাকা পরিশোধ করতে হয়।তবে এক্ষেত্রে প্রার্থী বেশি বিপদে পড়ে যদি নতুন মালিক পুরানো মালিকের কর্মীদের কোন দায় না নেই।
সম্প্রতি নাম ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দম্পত্তি জানান প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে আজ প্রায় পাঁচ বছর ধরে তারা দূর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। প্রথম নিয়োগ কর্তা ব্যবসা বিক্রি করে পালিয়ে যাওয়ায় তারা নির্দিষ্ট সময়ে স্থায়ী ভিসার জন্য আবেদন করতে ব্যর্থ হন এরপর নতুন একজন নিয়োগ কর্তার অধীনে নির্দিষ্ট সময় কাজ শেষে স্থায়ী ভিসার জন্য আবেদন করলে ও মালিকের খামখেয়ালীপানা ও অসহযোগিতার কারনে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ও স্থায়ী ভিসার জন্য আবেদনের কোন সাড়া মিলছে না। আরেকজন যে ওর্য়াক এন্ড হলিডে ভিসায় অস্ট্রেলিয়ার আসার পর ৪৫৭ ভিসা স্পনসরের জন্য একটি এজেন্সির দারস্হ হয়। বলা নির্দিষ্ট অংঙ্কের সার্ভিস চার্জ দিলে মিলবে স্পনসর।কয়েক হাজার ডলার সার্ভিস চার্জ নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই এজেন্সি দেখা আর মেলে না।

এদের মত কমিউনিটিতে আরো অনেক ভুক্তভোগী রয়েছে, কিন্তু তারা কেউ মুখ খোলে না বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনির কাছে অভিযোগ করে না কারন অস্ট্রেলিয়াতে ভিসা স্পনসরের জন্য কোনরূপ আর্থিক লেনদেন গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া রয়েছে ভিসা বাতিল সহ অস্ট্রেলিয়া থেকে বহিস্কারের বিধান। আর প্রতারক বা দালাল চক্রগুলো সাধারন মানুষের এই দূর্বলতা পুঁজিকরে তাদের প্রতারনা চালিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু , ভিসা স্পনসরের ক্ষেত্র কোন প্রতারনা বা আর্থিক লেনদেন আশ্রয় নিলে আবেদনকারী থেকে নিয়োগ কর্তা বা সুবিধাভোগী তৃতীয় পক্ষের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। গত কয়েকবছর অস্ট্রেলিয়ান ইমিগ্রেশন ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে এই ধরনের অপরাধে বিচারের মুখোমুখি করেছে।

তাই প্রতারনা স্বীকার হলে আইনজীবির পরামর্শ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো যেতে পারে। সর্বপোরী প্রতারনা রক্ষা পাওয়ার জন্য যে কোন অবস্থায় এই ধরনের অবৈধ লেনদেন না করা, প্রয়োজনে অভিজ্ঞ আইনজীবির পরামর্শ গ্রহন করে তার পরামর্শ মোতাবেক স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা কোন না কোনভাবে বাংলাদেশ থেকে পালাতে চাচ্ছে

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: অনেক গুরুতপূন্য বিষয় তুলে ধরেছেন। এইসব বিষয় ব্লগে আসা দরকার। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.