নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলতে চাই কিছু লিখেত চাই

মনুআউয়াল

মনুআউয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়ার্ক ভিসা ও নাগরিকত্ব আইনের পরিবর্তনে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীদের মধ্যে উৎকন্ঠা ও উদ্বেগ

১২ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬


অস্ট্রেলিয়ানদের বেশি করে কাজের সুযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের কোয়ালিশন সরকার বাতিল করল জনপ্রিয় ৪৫৭ ভিসা। এই সিদ্বান্তের ফলে ঐ ভিসায় চাকুরী করা প্রায় ৯৫,০০০ বিদেশি গভীর অনিশ্চয়তায় পড়ল। ।দেশজুড়ে বেকারত্ব সামাল দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যালকম বলেছেন, অভিবাসীদের নিয়েই তৈরি অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয় নাগরিকদের অগ্রাধিকার অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই যে ৪৫৭ ভিসা নিয়ে বিদেশিরা এখানে অস্থায়ীভাবে কাজ করতে আসেন, সেটি বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছি। শুধুমাত্র দক্ষ কর্মীরাই কাজের সুযোগ পাবেন। বিদেশিদের ৪৫৭ ভিসা দিয়ে দেশের মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নেবে না সরকার। কর্মক্ষেত্রে তাঁদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

অন্য দেশের মত কয়েক শতাধিক বাংলাদেশিও সরকারে এই আকস্মিক সিদ্বান্তে গভীর অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। ভবিষ্যতের কথা চিন্তায় তারা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। তেমনি একজন বেলাল হোসেন প্রতিবেদকে জানান " বর্তমান স্কিল সিলেক্ট লিস্ট পরিবর্তন হয়ে গেছে তাই নির্ধারিত সময় পর আমি স্থায়ী ভিসায় আবেদন করতে পারব কিনা , তা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে” ।

অন্যদিকে যাদের ৪৫৭ ভিসার আবেদন এখনো প্রক্রিয়াধীন তারা ও এই বাতিল সিদ্বান্তে হতাশ হয়ে পড়েছেন কারন সরকারের সিদ্বান্ত অনুযায়ী আবেদনকৃত পেশাটি মধ্যমেয়াদী স্কিল সিলেক্ট লিস্টে না থাকলে মাত্র দুই বছরের ভিসা পাওয়া যাবে এবং পরবর্তিতে আর দুই বছর বাড়ানো যাবে কিন্তু স্থায়ী ভিসায় আবেদন করা যাবে না। এমন একজন আবেদনকারী যুবায়ের, তিনি বলেন " এই ধরনের পরিবর্তনের কথা আগে জানলে এত অর্থ খরচ করে আবেদন করতাম না" ।

অন্য দিকে ৪৫৭ ভিসা বাতিল ঘোষনার দুই দিন পর গত ২০ এপ্রিল নাগরিকত্ব প্রক্রিয়া ঢেলে সাজানোর ঘোষনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল । প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল বলেন- নাগরিকত্ব পেতে আগ্রহীদের আরো বেশি ইংরেজিতে পারদর্শিতা এবং অস্ট্রেলিয়ার মূল্যবোধের প্রতি আনুগত্য দেখাতে হবে। জাতীয় স্বার্থেই এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়েছে।সিনেট থেকে পাস হওয়ার আগেই তা গত ২০ এপ্রিল থেকে কার্যকর করার ঘোষান ও দেন তিনি


প্রস্তাবিত আইনে আবেদনকারীকে অন্তত স্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে অস্ট্রেলিয়ায় ৪ বছর বসবাস করতে হবে।এর আগে স্থায়ীভাবে এক বছর বসবাস করলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যেতো।এছাড়া নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ইংরেজিতে উচ্চতর দক্ষতার প্রমাণ দিতে এবং আবেদনকারী অস্ট্রেলীয় মূল্যবোধ ধারণ করে সমাজে মিশে যেতে হবে ও সে-সংক্রান্ত একটি নাগরিকত্ব পরীক্ষায় পাস করতে হবে।

এই ঘোষনার পর পরই অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত স্থায়ী ভিসাধারীদের অভিবাসীদের মধ্য ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই পরিবর্তন পূনর্বিবেচনার আহবান জানাতে থাকেন । ইতিমধ্যে এই পরিবর্তন পূনর্বিবেচনা বা বাতিলের জন্য একাধিক পিটিশন আহবান করা হয়েছে এবং সেই আবেদন গুলোতে কয়েক হাজার স্থায়ী ভিসাধারী স্বাক্ষর করেছেন।

এই পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশি স্থায়ী ভিসাধারীদের মধ্য তৈরি হয়েছে গভীর হতাশা ও উদ্বেগ। একাধিক বাংলাদেশি জানান অপেক্ষাকৃত উদার অভিবাসন নীতির কারনে তারা অস্ট্রেলিয়াতে মাইগ্রেশন করেছেন কিন্তু বর্তমানে সব কিছুতে যেভাবে অভিবাসীদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা হচ্ছে তাতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।

এই রকম একজন বাংলাদেশি জেরিন ঐশী। যিনি পার্টনার ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন, তিনি বলেন " বর্তমান আইনের কারনে আমাকে সিটিজেন আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৭ বছর অপেক্ষা করতে হবে, যেটি অনেক লম্বা সময়"।

আরেক বাংলাদেশি মন্জুর খান যিনি কয়েক মাস আগেই আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন করেন কিন্তু সময়ের অভাবে আবেদন করতে পারেনি, এখন নতুন প্রস্তাবিত আইন কারনে তাকে ৩ বছরের অধিক সময় করতে হবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন " কোন রকম পূর্বঘোষনা ছাড়াই রাতারাতি আইন পরিবর্তন কতটা যুক্তিসঙ্গত তা আমার বোধগোম্য নয়। তিনি বর্তমানে আইন সিনেটে পাস না হওয়া পর্যন্ত পুরানো আইনে নাগরিকত্ব প্রদানের দাবী জানান।

বাংলাদেশি স্থায়ী ভিসাধারীদের এই উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা নিয়ে এসিটি লেজিসলেটিভ এসেম্বলির নির্বাচনে অস্ট্রেলিয়ার লিবারেল পার্টির মনোনয়ন নিয়ে জিনেন্ডারা নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দিতাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইগ্নেশিয়াস রোজারিও যোগাযোগ করা হলে তিনি এই পরিবর্তন নিয়ে কোন মন্তব্য করতে অপরগতা প্রকাশ করেন তবে বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ যদি এই উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা নিয় ফেডারেল সরকারের সাথে যোগাযোগ করতে চান সেক্ষেত্রে তিনি সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন ।

এই ব্যাপারে নিয়ে কমিউনিটির অন্যতম বৃহৎ সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব নিউসাউথ ওয়েলস ইনক-এর সভাপতি একে এম ফজলুল হক শফিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এখনো পর্যন্ত এই সমস্যাটি নিয়ে কেউ তাদের সাথে যোগাযোগ করিনি, ফলে তারা এই বিষয়টি নিয়ে কোন কাজ করছেন না। তবে বাংলাদেশিরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কোন পিটিশন দাখিল করতে চাই সেক্ষেত্রে পূর্ন সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

দোহার বলেছেন: পার্টনার ভিসা ৩০৯ এ আবেদন করেছি ভাই। বাংলাদেশ থেকে কি কি দক্ষতা অর্জন করে গেলে ব্রিসবেনে চাকুরি পেতে সুবিধা হবে জানাবেন কি ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.