নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তসলিমা নাসরিনের এই কথাগুলোর কোন যুক্তি কি কারো জানা আছে ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২৫



আমাদের বাংলাদেশে যা ঘটছে ভারতেও তাই ঘটছে । এমনতাই বলছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন । বাংলাদেশে যুক্তিবাদী আর মুক্তচিন্তকদের ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হচ্ছে । ভারতেও তাই হচ্ছে । নরেন্দ্র দাভোলকার গোবিন্দ পানেসার, আর দুইদিন আগে খুন হলেন এম এম কালবুরগি । দাভোলকার, পানেসার, আর কালবুরগি ছিলেন যুক্তিবাদী, মুক্তমনা বুদ্ধিজীবী । তারা এক এক করে খুন হলেন । তসলিমা আরো লেখেছেন লক্ষ করছি হিন্দুদের মধ্যে একটি দল অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে দিন দিন । হাতে ওরা ত্রিশূল না নিলে কপালে চন্দন না লাগালে, গায়ে গেরুয়া পোশাক না পরলে বোঝার উপায় নেই তারা ভারতের হিন্দু সন্ত্রাসী নাকি তারা বাংলাদেশের মুসলিম সন্ত্রাসী । সন্ত্রাসী সে যে ধর্মেরই হোক যে বিশ্বাসের হোক তারা নিজের ছাড়া অন্যের মতপ্রকাশের অধিকারে বিশ্বাস করে না, মূলত তারা কোনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না ।
গত রোববার সকালে কর্ণাটকের ধারবাদে কালবুরগির বাড়ির দরজায় একটি ছেলে বেল বাজিয়েছে । ছেলেটি একা আসেনি সঙ্গে একজন ছিল । সে ছিল বাড়ির সামনে মোটরসাইকেলে বসা । বেল শুনে কালবুরগির স্ত্রী বেরিয়ে এলেন । ছেলেটি বললো সে কালবুরগি স্যারের ছাত্র স্যারের সঙ্গে দেখা করতে চায় । তাকে ভেতরে ঢুকিয়ে কালবুরগিকে ডেকে দিলেন স্ত্রী । নিজে চলে গেলেন কিচেনে । কিচেনে দাড়িয়েই শুনতে পেলেন গুলির শব্দ । দৌড়ে এসে দেখতে পান মরে পড়ে আছেন কালবুরগি । কালবুরগি স্যারের কপালে আর বুকে গুলি করেই অপেক্ষারত মোটরসাইকেলে চড়ে পালিয়ে যায় খুনি । কে বা কারা মেরেছে কালবুরগিকে তা আমরা অনুমান করতে পারি । ধর্মীয় সন্ত্রাসীরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল আগেই । দিয়েছিল কারণ গত বছর কোনও এক সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন মূর্তিপূজা টুজা নেহাতই অর্থহীন । কট্টরপন্থি হিন্দুরা রেগে আগুন হয়েছে তার ওপর । কালবুরগি সাহিত্য একাডেমির পুরস্কার পাওয়া লেখক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিন্দু ধর্ম নিয়ে কটাক্ষই শুধু করেননি এর দুঃসহ জাতপাতের বিরুদ্ধেও অবিরাম প্রতিবাদ করেছেন । নরেন্দ্র দাভোলকারকে প্রায় একইভাবে খুন করা হয়েছে ২০১৩ সালে । থাকতেন মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে । প্রতিদিনকার মতো সকালে হাটতে বেরিয়েছিলেন তখনই মোটরসাইকেল থেকে নেমে এসে একজন তাকে গুলি করে চলে যান । এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে গোবিন্দ পানেসারকেও একই পদ্ধতিতে খুন করা হন । কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে খুনিদের গ্রেফতার করার জন্য । বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের এখানেই তফাত ।

কালবুরগি ছিলেন একজন সৎ ও সাহসী । তিনি যুক্তিবাদী গবেষক এবং প্রাচীন কন্নড় সাহিত্যের শিক্ষক ছিলেন । হামপি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরও তিনি ছিলেন । পেরুমাল মুরুগান নামের এক তামিল লেখক হিন্দুত্ববাদীদের হুমকি পেয়ে তার ফেসবুক পেইজে লিখেছিলেন পেরুমাল মুরুগান মরে গেছে । পেরুমাল প্রতিজ্ঞা করেছেন লেখালেখি ছেড়ে দেবেন । হুমকি এসেছে কিন্তু শেষ অবধি পেরুমাল মরেননি । মরেছেন কালবুরগি । কালবুরগির বয়স ছিল ৭৭ । জীবনে বেশ কয়েকবার মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন । কোনও হুমকিকে অবশ্য সিরিয়াসলি নেননি । সরকার তার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করেছিল কিন্তু দেড় বছর পর কী মনে করে পুলিশ উঠিয়ে নিয়েছে । কালবুরগি অনন্তমূর্তিকে সমর্থন করতেন যে অনন্তমূর্তি লিখেছিলেন ছোটবেলায় তিনি দেব দেবীর মূর্তির ওপর পেচ্ছাব করতেন । এই ঘটনা ডানপন্থিদের প্রচণ্ড ক্ষেপিয়েছিল । কালবুরগি কর্ণাটকের লিঙ্গায়ত গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন । লিঙ্গায়ত গোষ্ঠীতে তারাই ছিলেন যারা বহুঈশ্বরবাদে নন বরং একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী । শিবকে মানেন । কিন্তু বেদ মানেন না জাতপাত মানেন না । কুসংস্কার মানেন না । লিঙ্গায়ত গোষ্ঠী সম্ভবত অনেকটা বাংলার ব্রাহ্মসমাজের মতো । এই গোষ্ঠীকে কালবুরগি হিন্দু বলে স্বীকার করেন না । এটিও একটি কারণ হিন্দুদের রাগ করার । কী হচ্ছে এই উপমহাদেশে ? মুসলিম মৌলবাদ যেমন বাড়ছে হিন্দু মৌলবাদও বাড়ছে । অসহিষ্ণুতা বাড়ছে । ঘৃণা বাড়ছে । ধর্মীয় সন্ত্রাস বাড়ছে । বাংলাদেশের মুক্তচিন্তকদের মাথায় কোপ পড়ে ভারতের মুক্তচিন্তকদের মাথা লক্ষ করে গুলি ছোঁড়া হয় । আমি এ দেশের মুক্তচিন্তকদের সমর্থন করবো, কিন্তু ও দেশের মুক্তচিন্তকদের সমর্থন করবো না এরকম অনেকেই করে জানি, কিন্তু আমার পক্ষে সম্ভব নয় এসব । আমি সব দেশের সব মুক্তচিন্তকের পাশে দাড়াই এবং সব দেশের সব সন্ত্রাসীর বিপক্ষে লড়াই করি তারা যে ধর্মেরই হোক না কেন ।

বুদ্ধিজীবী হত্যা করে সমাজের কোনও উপকার হয় না । বরং এভাবে চলতে থাকলে সমাজ একসময় বুদ্ধিহীন হয়ে উঠবে । মানুষ অন্ধকারে পড়ে থাকবে সেখান থেকে তাদের বাঁচাবার, অন্ধকারে বাতি জ্বালাবার, কেউ আর থাকবে না । এ দেশে অভিজিৎ, অনন্ত, ওয়াশিকুর, নীলকে ইসলামী সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে মেরেছে । ও দেশে দাভোলকার, পানেসার, কালবুরগিকে হিন্দু সন্ত্রাসীরা গুলি করে মেরেছে । কুসংস্কারের বিরুদ্ধে অভিজিৎরা, দাভোলকাররা সরব ছিলেন । যুক্তিবাদীরা তো কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়েন । কুসংস্কারে, অন্ধত্বে, অজ্ঞতায় যাদের বিশ্বাস তারা আলোকিত মানুষকে বড় ভয় পায় । তাই তাদের যে করে হোক সরিয়ে দিয়ে পৃথিবীটার দখল নিতে চায় নিজেরা । মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলতে ঠিক কী বোঝায় তা এই উপমহাদেশের বেশির ভাগ মানুষ জানে না । জানে না যে এ আমি নিশ্চিত । হিন্দু মুসলিম দু গোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষের মুখেই একটা কথা শুনি যে, বাকস্বাধীনতার মানে এই নয় যে তুমি ধর্ম নিয়ে কথা বলবে বা অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেবে । অধিকাংশ লোক মানুক বা না-মানুক, আসলে বাকস্বাধীনতা মানে কিন্তু ওটিই । আঘাত দেওয়ার অধিকারটিই । আঘাত না দিলে 'বাকস্বাধীনতা' বলতে কোনও কিছুর কোনও প্রয়োজনও পড়তো না ।

সমাজ যারা বদলাতে চান, তাঁরা চিরকালই নিন্দিত হয়েছেন রক্ষণশীল সমাজের উগ্রপন্থি রক্ষণশীল দ্বারা । যুগে যুগে স্বপ্নবান সেইসব মানুষ স্বপ্ন রচনা করে গেছেন নিজের জীবনকে বিপন্ন করে । তাঁরা কারাভোগ করেছেন, নির্বাসিত হয়েছেন, ফাঁসিতে ঝুলেছেন, তাঁদের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে । সেই পুরোনো অজ্ঞতা আর অন্ধকারের যুগের এখনও অবসান হয়নি । আমরা হয়তো মঙ্গলগ্রহে যাওয়ার জন্য বাক্স-পেটরা গোছাচ্ছি, আমরা হয়তো আমাদেরই তৈরি দূরবীণে আমাদের গ্যালাক্সি বাইরে অন্য গ্যালাক্সি ভেতরে অন্য গ্রহ দেখতে পাওয়ার মতো জ্ঞানী হয়ে উঠেছি, এখনও আমরা ধর্মের নামে মানুষ খুন করি । ভারত, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান নয় । ভারতের গণতন্ত্র এখনও বাংলাদেশ বা পাকিস্তান থেকে মজবুত । ভারত এখনও প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বেশি ধর্মনিরপেক্ষ । তারপরও ভারতে কিন্তু এখন দাভোলকার আর পানেসারের খুনিদের গ্রেফতার করা হয়নি । এখনও কোনও বিচার হয়নি । এই একটি জায়গায় হয়তো বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কোনও পার্থক্য নেই । ধর্মীয় সন্ত্রাসীরা ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশেও গোপনে গোপনে বেড়ে উঠছে । এবং এই সন্ত্রাসীরা যখন বুদ্ধিজীবী খুন করে পালিয়ে যায়, এত বড় দেশটির এত বড় গোয়েন্দা বাহিনী তাদের খুঁজে পায় না । এই ব্যাপারেও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অদ্ভুত মিল দেখতে পাচ্ছি । চোখ বুজে খুনি খুঁজলে কি খুনির খোঁজ পাওয়া যায়? তবে কাল ভুবিথ শেঠি বলে বজরং দলের এক হিন্দু কট্টরপন্থিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যে কালবুরগির মৃত্যুতে খুশি হয়ে টুইট করেছিলো, হিন্দু ধর্ম নিয়ে বিদ্রূপ করো তো কুকুরের মতো মরতে হবে এবং কে এস ভাগওয়ান নামের কাউকে হুমকি দিয়েছিল এই বলে যে, এরপর তোমাকেও মরতে হবে । জানি না ভুবিথ শেঠিকে কতদিন জেলে রাখা হবে । তবে ভুবিথ শেঠি খুব সম্ভবত খুন করেনি । খুনিদের না গ্রেফতার করে এদিক ওদিক থেকে লোক ধরে এনে দেশের মানুষকে বোকা বানাবার চেষ্টা করতে দু'দেশই পারদর্শী । যতদূর জানি অপকর্ম করে পালিয়ে যাওয়া প্রচুর হিন্দু সন্ত্রাসীকে এখনও ধরি ধরি করেও ধরা হচ্ছে না । ২০০৬ আর ২০০৮-এর মালেগাঁও বিস্ফোরণ যারা করেছিল, তারা আজও ধরা পড়েনি । ২০০৭ সালে ভারত-পাকিস্তানের সমঝোতা এক্সপ্রেসে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল যারা, তাদের আজও ধরা হয়নি । একই বছর মক্কা মসজিদে যারা বোমা ছুড়েছিল, তাদেরও ধরা হয়নি । এসব বোমা বিস্ফোরণের পেছনে, গোয়েন্দাদের রিপোর্টে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ আর বজরং দলের ভূমিকা আছে ।

অনেক হয়েছে, আশা করছি ভারত আর চুপচাপ বসে থাকবে না, সন্ত্রাসীরা যে গর্তেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, সেই গর্ত থেকে তাদের তুলে এনে শাস্তির ব্যবস্থা করবে । মুক্তমনা বুদ্ধিজীবীদের খুনের বিচার ভারত করবে । এই আশা আমাদের করতেই হবে । এ ছাড়া উপায় নেই । আজ ভারতে ধর্মীয় সন্ত্রাসীরা পার পেয়ে গেলে প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এই ট্রেন্ড চলে আসবে । তখন হয়তো নবারুণ ভট্টাচার্যের মতো করে আমরা বলতে বাধ্য হব, 'এই মৃত্যু উপত্যকা আমার উপমহাদেশ নয় ।

তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন ।
লেখক : নির্বাসিত লেখিকা ।
তার এই লেখা থেকে আমি দুই তিনটি পয়েন্ট তুলে ধরলাম । তার কথায় ভারতের যে কজন মরছে তারা কেওই হিন্দুদের ধর্ম বিশ্বাস করতেন না । তাই তাদের মেরে ফেলা হয়েছে । তার মানে ভারতের রাষ্ট্র ধর্ম হিন্দু । আর নরেন্দ্র মোদিও কিন্তু একজন ভলো হিন্দু ধর্ম পন্থী লোক ।
নাম্বার সে বলেছে বাংলাদেশের যারা মরেছেন তারাও নাকি এসব কুসংস্কার মানতেন না ।
আচ্ছা এখানে এই ব্লগে আমি আশা করি সকল ধর্মের লোকই আছেন । তাদের কাছে একটু জানতে চাই প্লীজ একটু বলবেন কি আপনি যে ধর্মেরই হন না কেন আপনার ধর্মটা কি বা তাকে পালন করা কি একটি কুসংস্কার ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

বিজন শররমা বলেছেন: পচে যাওয়া এই মেয়ে মানুষটা এখন সাধারন মানুষের মনোযোগ আক্রর্ষনকারী যে কোন কিছু লিখে টিকে থাকতে চায় । এটা এখন যে কোন আলোচনার অযোগ্য ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:১৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভাই আসল কথা হলো সে পচেগেছে তার দোষেই তার পচার পেছনে আমি বা আপনি আমরা কেওই দোষি নই । সে এখন যা লেখে অন্তত আমি তার লেখার কোন অর্থ খুজে পাইনা ।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

বিজন শররমা বলেছেন: আগামী দিনে আমরা বলবো, তেমন গুন না থাকা স্বত্তেও তসলিমা নামের একটা মেয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য কত কিছুই না করেছে, কত আইচাল বাইচাল লিখেছে ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৩২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভাই আমরা সকলেই একটা কথা বলি কিন্ত আর টা হল ভালো মানুষের ভাত নাই কিন্ত আমি এ কথায় একমত না ।
কেননা এখনকার মানুষেরা মানে আমরা এই যুগের ছেলেপুলেরা কিন্ত আগের কালের মানুষের মত সহজ সরল নয় ।
আমাদের প্রতিটি কথার ভেতরে প্যাচগুছ সূতারাং আমার মনে হয় আমরা অন্তত নিজেদের ভালো মন্দটা বুঝি । আর সেই
লক্ষেই বলছি আসলে তসলিমাদের মত লেখকদের কোন লেখাই দেশের মানুষের অমঙ্গল ছাড়া মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না ।
ধন্যবাদ ।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কিছুটা অপ্রসাঙ্গিক মনে হলেও একটা প্রশ্ন করতে চাই, তসলিমা নাসরিনের কথা কেন আমাদেরকে আলোচনা করতে হবে?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৫৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: কিছু মনে করবেন না ভাইয়া ব্লগ জগৎতে আমি নতুন । আমি কোন দলীয় লেখয় বিশ্বাস নয় বা কোন দলাদলিদের দলেও নয় । শুধু এ দেশের সাধারন নাগরীক বা একজন সচেতন মানুষ হিসেবে যেটা আপনার কাছে হয়ত সঠিক মনে হতে পারে হয়ত আমার কাছে নাও হতে পারে । আর আমার কাছে সঠিক যা মনে হয় না বা কেও ভুল করছে সেই বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করি । বিশেষ করে কাউকে আঘাত করার জন্য নয় । নিজে ভালো করে বুঝার জন্য । তাই আপনার কোন সূত্রে এ প্রশ্ন রাখলেন আমি তা বুঝতে পারলাম না । এখানে অথবা এই পোস্টে কোথাও কিন্ত লেখা নাই ''যে চলুন আমরা তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে আলোচনা করি''
এখানে সে যে দুই দেশের ব্লগার হত্যা নিয়ে কিছু কথা বলেছে সেগুলোর বিষয় তুলে ধরেছি । যেমন আমাদের দেশে কোন ব্লগার মরলে আমরা বেশির ভাগই দোষ চাপাই সরকার বিরোধী দলকে নয়ত জামাত ইসলামকে সোজা এক কথায় ইসলাম পন্থীদের ।
আর ভারতে যারা মরছে তারাও নাকি হিন্দু ধর্মের লোক হয়েও হিন্দু ধর্ম বিশ্বাসী ছিলেন না এবং সে জন্যই তারা হত্যা হয়েছে
এই কথাগুলো তসলিমা নাসরিনের ওই পোস্টে লেখা । তাহলে কথা হলো ভারতে বর্তমান মোদি ক্ষমতায় আছেন এবং আমরা সবাই কম আর বেশি জানি যে মোদি একজন ভালো হিন্দু পন্থী লোক । তাহলে সেই কি ভারতের লেখকদের হত্যা করিয়েছেন ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:০৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: একজন মুক্ত চিন্তা কারি যদি বলে পৃথিবীতে আল্লহ বা ভগবাণ অথবা ঈশ্বর বলে কেও নেই ।
তাহলে সবাইকে তার কথাই মানতে হবে । আবার সে কি ভাবে অথাৎ একজন মুক্ত চিন্তাবিদ ধর্ম নিয়ে এসব কথা বলার পরে কি ভাবে সে বুদ্ধিজীবি হয় তা আমার জানা নাই ভাই ।
এবার আপনার বিবেচনা থেকে বলুন ভুল আমার নাকি বাংলাদেশ প্রতিদিনের মত একটি জাতিয় সংবাদ পত্র ভুল করছে এই লেখাটি
ছাপিয়ে । ধন্যবাদ এভাবে আলোচনা করলেও আমরা নতুনেরাও কাওকে প্রশ্ন করার কৌশল বা অনেক অজানা বিষয়গুলো জানতে
পারবো ।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: না, আমি দোষ গুন নিয়ে কোন কথা বলছি না, আমি শুরুতেই বলেছিলাম যে একটি অপ্রসাঙ্গিক প্রশ্ন করছি। আমি প্রশ্নটা এই কারনে করেছি, এই দেশের মানুষের কাছে তসলিমা নাসরিনের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে। যতদুর জানি, এই গ্রহনযোগ্যতার ব্যাপারটি বেশ প্রশ্নবিদ্ধ। এই ব্যাপারে আপনি কি ভাবছেন তা জানতে চাই।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভাই লোক মুখে তসলিমা নাসরিনের কিছু লেখার কথা শুনে তার লেখা পড়ার কোন আগ্রহ পাইনি । তাই তার লেখার প্রতি বা তার প্রতি অতটুক আগ্রহ নিয়ে কখন দেখা হয়নি । তবে তার এই লেখাটা পরে যা বুঝলাম একজন লেখকের সব লেখাই যে খারাপ তাও না । খারাপের ভেতরেও অনেক সময় কিছু ভালোও বেড়িয়ে আছে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । এর বেশি আমার আর কিছুই
বলার নাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.