নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড্রেসডেন ফ্রেউইনকিরিচে বা চার্চ অফ আওয়ার লেডি এর ইতিহাস

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৫


ড্রেসডেন ফ্রেউইনকিরিচে বা চার্চ অফ আওয়ার লেডি এটা হলো জার্মান রাষ্ট্র স্যাক্সোনির রাজধানী ড্রেসডেনের একটি লুথেরান গির্জা। পূর্ববর্তী গির্জার একটি ভবন ক্যাথলিক ছিল যতক্ষণ না এটি সংস্কারের সময় প্রোটেস্ট্যান্ট হয়ে যায়।১৮ শ শতাব্দীতে একটি বড় বারোক লুথেরান বিল্ডিং দ্বারা পুরানো চার্চটি প্রতিস্থাপন করা হয়। এটি ইউরোপের বৃহত্তম গম্বুজগুলির বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রোটেস্ট্যান্ট পবিত্র স্থাপত্যের এক অসামান্য উদাহরণ হিসাবে বিবেচিত হয়।

এটা শাসক ক্যাথলিক ধর্ম গ্রহণ করার পরে ড্রেসডেনের নাগরিকদের প্রোটেস্ট্যান্ট থাকার ইচ্ছার চিহ্ন হিসাবে নির্মান করা হয়েছিল।গবেষকদের মতে অনেক ক্ষেত্রে এটা এখন প্রাক্তন যুদ্ধরত শত্রুদের মধ্যে পুনর্মিলনের প্রতীক হিসাবেও কাজ করে।

তবে আঠারো শতকে নির্মিত চার্চটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ড্রেসডেনের বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে যায়। স্থানীয় পূর্ব জার্মান নেতাদের সিদ্ধান্তের পরে বাকী ধ্বংসাবশেষ ৫০ বছর ধরে যুদ্ধের স্মারক হিসাবে রেখেছিল। ১৯৯৪ সালে জার্মানি পুনরায় একত্রিত হওয়ার পর
এই চার্চটি আবারো নির্মাণ করা হয়। ২০০৪ সালে এর বাহ্যিক পুনর্গঠন সম্পন্ন হয় এবং ২০০৫ সালে অভ্যন্তরীণ অংশটি তৈরি হয়।
২০০৫ সালের ৩০শে অক্টোবর একটা বিশেষ দিবসের প্রোটেস্ট্যান্ট উদযাপনের মধ্য দিয়ে চার্চটিকে পুনরুদ্ধার করা হয় ৩১শে অক্টোবর। এর বহু মূল্যবান বারোক ভবন সহ আশেপাশের নিউমার্কেট বর্গক্ষেত্রটিও ২০০৪ সালে পুনর্গঠন করা হয়েছিল।ফ্রেউইনকির্কে প্রায়শই ক্যাথেড্রাল বলা হয় তবে এটি কোনও বিশপের আসন না স্যাক্সনির ইভানজেলিকাল-লুথেরান চার্চের ল্যান্ডেসবিশফের চার্চটি ক্রস চার্চ।এখানে মাসে একবার বার্লিনের সেন্ট জর্জের অ্যাঞ্জেলিকান চার্চের ধর্মযাজকরা ইংরেজিতে একটি অ্যাংলিকান ইভেন্টসং অনুষ্ঠান পালন করেন।

তবে এই চার্চটি একাদশ শতাব্দীতে প্রথম নির্মিত হয়েছিল শহরের প্রাচীরের বাইরে এবং এটা ছিল একটি কবরস্থান যা রোমানেস্ক স্টাইলে করা হয়েছিল।আর এই ফ্রেউইনকির্চে একটি প্রোটেস্ট্যান্ট গির্জার হয়ে ওঠার পরে সংস্কার হওয়া অবধি মাইসেন ডায়োসিসের একটি আর্কিপ্রেস্টের আসন হিসেবে ছিল। যা প্রথম ফ্রেয়েনকির্চে ১৭২৭ সালে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এবং পরে একটি নতুন ও বৃহত্তর গির্জা হিসেবে প্রতিস্থাপিত হয়। নাগরিক কর্তৃক ফ্রেউইনকিরচি পুনরায় লুথেরান বা প্রোটেস্ট্যান্ট প্যারিশ চার্চ হিসাবে নির্মিত হয়েছিল।

স্যাক্সনির যুবরাজ ফ্রেডরিক প্রথম ক্যাথলিক ধর্মে পোল্যান্ডের রাজা হিসাবে রূপান্তরিত হয়েছিলেন, তিনি এই নির্মাণকে সমর্থন করেছিলেন যা ড্রেসডেন শহরতলিকে কেবল একটি চিত্তাকর্ষক কপোলা দেয়নি, স্যাক্সোনীয়দেরও আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তাদের শাসক জোর করে চাপিয়ে দিবে না।তাদের নীতি উপর ধর্মীয় কোনো অনুভূতি আঘআত আনবেনা।

তবে এই আসল বারোক গির্জাটি ১৭২৬ সাল থেকে ১৭৪৩ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল এবং এটা ড্রেসডেনের নগর স্থপতি হয়েছিল।
গির্জার জন্য বোহের স্বতন্ত্র নকশা পুরো মণ্ডলীর দৃষ্টিতে বেদী, মিম্বার এবং ব্যাপটিসম ফন্টকে সরাসরি কেন্দ্র করে প্রোটেস্ট্যান্ট লারোগির নতুন চেতনাকে আকৃষ্ট করেছিল।আর এটা জর্জ বুহর ডিজাইন করেছিলেন,তবে দু;খের বিষয় হল তিনি তার সর্বকালের সবচেয়ে বড় এই কাজটা সম্পূন্য শেষ করে দেখে যেতে পারেননি।

এই গির্জাটির সবচেয়ে স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্যটি ছিল এর অপ্রচলিত উচ্চ গম্বুজ, ৯৬৯ মিটার বা ৩১৫ ফুট উঁচু । ডাই স্টেইনার্ন গ্লোক বা "স্টোন বেল" called রোমের সেন্ট পিটারের বাসিলিকার জন্য মিশেলঞ্জেলোর গম্বুজটির সাথে তুলনামূলক একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কীর্তি, ফ্রেউইনকির্চের আর ১২,০০০ টনের বেলেপাথরের গম্বুজটি আটটি সরু সমর্থনগুলিতে উচ্চ বিশ্রাম নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রাথমিক সন্দেহ সত্ত্বেও, গম্বুজটি অত্যন্ত স্থিতিশীল হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল। ১৭৬০ সালে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছিল যে সাত বছরের যুদ্ধের সময় ফ্রেডরিচের দ্বিতীয় নেতৃত্বে প্রুশিয়ান সেনাবাহিনী দ্বারা গুলি চালানো ১০০ টিরও বেশি কামান দ্বারা গম্বুজটি আঘাত পেয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যক্রমে গির্জাটি বেঁচে যায়।

তথ্যসূত্র ইন্টারনেট

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: এত সুন্দর করে লিখেছেন যে মনে হচ্ছে আপনি নিজে গিয়ে ঘুরে এসে লিখেছেন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই ।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সার্চম্যান হলেই কি বাঘের রুপ ধারন করতে হবে ???

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: এটা আপনি ঠিক বলেন নাই । প্রোফাইল পিক, অন্য মানুষের ছবি না দিয়ে হয়ত নিজের ছবি বা অন্য কোনো ছবি দেয়াতা খারাপ কিছু না। ধন্যবাদ ! ভালো থাকবেন ।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আরেক জন আছেন " শের শায়রী" উনি ও বাঘের রুপ নিয়েছেন
....................................................................................
তাহলে কি ব্লগে বাঘের আনাগোনা বেড়ে গেল ?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: শ্রদ্ধেয় শের শায়রী ভাইয়ের লেখাগুলোও কিন্তু দুর্দান্ত ।

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

শের শায়রী বলেছেন: বাহ আপনার লেখা তো বেশ প্রাঞ্জল। বর্ননাটা বেশ দিয়েছেন।

@স্বপ্নের শঙ্খচিল আমি তো সাত বছর আগে থেকেই আমার সন্তান কে নিয়ে ব্লগে ঘুরছি, নিশ্চয়ই খেয়াল করছেন, আমি একা বাঘ না আমার সাথে আমার পিচ্চি বাঘ টাও আছে ;) এছাড়া @ভুয়া মফিজ ভাই ও বাঘ যদিও সে ভুয়া বাঘ =p~

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আবারো ফিরতি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ শের শায়রী ভাই । আর সাথে আপনার সন্তান পিচ্চি বাঘটার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা
এবং শুভকামনা থাকল ।

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: দারুন তথ্যবহুল লেখা স্যার । পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম ,শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ স্যার ।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.