নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৌশলি বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি এবং যা বুঝি তাই নিশ্বঙ্ক চিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি যা বুঝি তা নিশ্বঙ্কচিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মীয় সংঘাত: আসুন দেখি ইতিহাস কি বলে (পর্ব-১)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

শশুর বাড়ি বেরাতে গিয়েছিলাম কয়েকদিন আগে। আমার স্ত্রি বাংলায় অনার্স পরছে। তাই তার কাছে আছে বাংলা সাহিত্যের এক বিশাল ভান্ডার। একে তো এগুলো তার পাঠ্য বই তার উপরে সে নিজেও বই পরতে ভালোবাসে। তাই তার বই এর কালেকশন বেশ মোটাসোটা। আমি ভাবলাম এই অবসরের কয়েকদিন বই পরি।

পরতে পরতে একটা বই চোখে পরলো বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস। লেখক সম্ভবত মাহবুবুল ইসলাম। বইটা পরতে পরতে একটা অধ্যায়ে আসলাম যেটার ভুমিকা ছিলো বাংলাসহিত্যের অন্ধকার যুগ। আমি প্রচন্ড আগ্রহি হলাম বিষয়টা পরতে। আসলে ঠিক কি ছিলো বাংলাসাহিত্যের অন্ধকার যুগ।

বলে রাখি লেখক যেহেতু মুসলমান ছিলেন তাই তিনি এই যুগকে অন্ধকার বলতে পুরোপুরি নারাজ। মুলত এই যুগটা শুরু হয় যখন বখতিয়ার খলজি লক্ষন সেন কে তারিয়ে বাংলার মসনদে আরোহন করেন। তার পর থেকে শুরু করে প্রায় ১৫০ বছর যাবৎ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তেমন কোন বিখ্যাত সাহিত্য রচিত হয়নি। বেশিরভাগ হিন্দু সাহিত্যিক এই সময়টাকে বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ হিসাবে বর্ননা করেন। আমি যে বই পরেছি সেই লেখক বললেন ভিন্ন কথা। তার মতে এই সময়েই মুলত বাংলা সাহিত্যের একটা মোড় ঘুরেছে। মুলত এই সময়টা ছিলো বাংলা সাহিত্যের জন্য একটা বয়সন্ধিকালের মতন। বড় কোন কিছুর প্রস্তুতি কাল।

আমি বিষয়টাতে অন্যকিছুর গন্ধ পেয়েছিলাম। তাই আমি আরো গভিরে গেলাম বিষয়টা নিয়ে। আমি ওই সব হিন্দু সাহিত্যিকরা এবং ইতিহাস বেত্তারা ঠিক কেন এই সময়টাকে অন্ধকার যুগ হিসাবে বর্ননা করেছেন সেটার বিশ্লেষন খুজলাম। যেটা পেলাম তা আমাকে স্তম্ভিত করেছে।

মুলত বখতিয়ার খলজি তুরস্কের লোক ছিলেন এবং কট্টর মুসলমান ছিলেন। তার মুল টার্গেট ছিলো এই অঞ্চলে মুসলিম আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা। খলজি যখন নদিয়াতে আক্রমন করছিলেন তখন লক্ষন সেন নারী আর মদে ডুবে ছিলেন। অত্যাচার আর অনাচারে ভরপুর ছিলো পুরো বাংলা এবং বিহার। হিন্দু ধর্মে প্রচুর জাতি ভাগ ছিলো যেমন, ব্রাম্মন, ক্ষৈত্রিয়, শুদ্র ইত্যাদি। সবচেয়ে বেশি নির্যতিত ছিলো নিচু জাতের লোকগুলো এবং এদের সংখ্যাধিক্য ছিলো বেশি। পুরো বিষয়টা আরো জটিল হয়ে উঠে লক্ষনসেন কর্তৃক নিম্নবর্নের হিন্দুদের বিরুদ্ধে কিছু অত্যাচারি আইনের ফলে। তাই বাংলা এবং বিহারের মানুষ মুক্তি চাচ্ছিল। বলা হয়ে থাকে যে বখতিয়ার খলজি যখন আক্রমন করেন তখন তার সাথে মাত্র ১৮ জন সৈন্য ছিলো। প্রশ্ন হচ্ছে মাত্র ১৮ জন সৈন্য নিয়ে একা বখতিয়ার খলজি কিভাবে বিনা বাধায় আস্ত একটা প্রাসান পুরো একটা সেনাবাহিনি সামনে দখল করে নিলেন??

মুলত লক্ষন সেনের পুরো সেনাবাহিনি এবং জনগন বখতিয়ার খলজির পক্ষে ছিলো। তারা পরিবর্তন চাচ্ছিল। বখতিয়ার খলজি তাদের কাঙ্খিত সেই পরিবর্তন এনেছিলেন বললে ভুল হবে তবে না পারলেও অন্তত শুরু করে দিয়েছিলেন। তিনি মুলত এই বাংলায় হিন্দুদের জন্য ধর্মান্তিরত হওয়াটা সুবিধের করে দেন। ফলে দলিত এবং নিচু শ্রেনির এই বিশাল জনগোষ্ঠি ভালো কিছুর আশায় ধর্মান্তিরত হওয়া শুরু করে। এই ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টা এতটা সহজতর ছিলো না। ব্রাম্মন এবং উচু জাতের পক্ষ থেকে বিশাল একটা বাধা আসে। একটা বিশাল ধর্মিয় সংঘাত শুরু হয়। সেটা দমন করতে গিয়ে বখতিয়ার খিলজি বা তার পরে আসা সকল শাষকদের খরগ হস্ত হতে হয়েছে হিন্দুদের উপরে । ফলে এইসময়টা সাহিত্য তেমন ভাবে চর্চিত হয়নি। কারন তৎকালিন সাহিত্যগুলো বেশিরভাগই ছিলো ধর্মভিত্তিক। ধর্মই যেখানে আক্রান্ত সেখানে সাহিত্য আসে কিভাবে।

এখন আপনি যদি ভেবে থাকেন যে এই বাংলায় ধর্মিয় সংঘাত এখান থেকেই শুরু হয়েছে তবে আপনি এখনো সেই অন্ধকার যুগেই আছেন। কারন এই সংঘাত এর গোড়া খুজতে হলে আপনাকে যেতে হবে আরো অনেক অনেক পুর্বে। এই সংঘাত শুরু হয় যখন গৌতম বুদ্ধ তার অহিংস ধর্ম প্রচার করা শুরু করেন। বুদ্ধ প্রচার করেন জীব হত্যা মহাপাপ। আর হিন্দু ধর্মে দেবির পায়ে যথাযথ ভাবে যথেস্ট তাজা রক্ত না দিতে পারলে অনাচার হয়ে যেত। প্রতি মাসে বিভিন্ন পুজোতে প্রত্যেকটা মন্দিরে প্রায় শতাধিক পশু বলি দেয়া হত। এই বলিদেয়ার পেছনে ছিলো শাষক গোষ্ঠি, ব্রাম্মন এবং উচ্চবর্নের হিন্দুদের ছিলো বিশাল লাভ। ফলে তাদের সাথে বুদ্ধের ধর্মের লেগে গিয়েছিলো ভয়ানক সংঘাত। অশোক মুলত এই সংঘাতের একটা দফারফা করেছিলেন। সে অন্য গল্প। তবে হিন্দু এবং বৌদ্ধ সংঘাত এর এক পর্যায়ে বাংলায় পাল বংশ ক্ষমতায় আসে যারা ধর্মে বৌদ্ধ ছিলো। মুলত এখান থেকেই শুরু হয় বাংলায় ধর্মিয় সংঘাত।

বাংলায় মুসলমি শাষন আসার পর হতে এই সংঘাত নতুন করে আবার শুরু হয়। এই সংঘাতে ঘি ঢালেন হযরত শাহজালাল র: এর মতন অসংখ্য ধর্মপ্রচারক। এরা মুলত বাংলায় আসেন ধর্ম প্রচারের লক্ষে এবং এখানে এক একটা এলাকাতে স্থায়িভাবে বসবাস শুরু করেন। এইসব ধর্মপ্রচারকদের আন্তরিকতা আর আধ্যাতিকতায় মুগ্ধ হয়ে হিন্দু , বৌদ্ধ সব লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহন করা শুরু করে। তখনই দুইটা পক্ষ হয়ে যায়। এক পক্ষ এদেরকে তারাতে উদ্যত হয় আর এক পক্ষ এদেরকে বাচাতে উদ্যত হয়। এদের ভাগ্য ভালো ছিলো যে সরকার তখন তাদের পক্ষে ছিলো। তারপরও স্থানিয়দের প্রচন্ড বাধা উপেক্ষকরে এক রকম যুদ্ধকরেই এদেরকে আস্তানা করতে হয়েছে এখানে।

মুঘলদের শাষনামলে বাংলা মুলত ধর্মনিরপেক্ষ ছিলো। এসময় মুলত মুলত বাংলায় ধর্মিয় সংঘাতএকোবের নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো। মুঘলরা যথেস্ট জনদরদি ছিলো এবং ধর্মসহিঞ্চু ছিলেন তাই এটা হতে পারেনি। কিন্তু সেটা ধংস্ব হয় যখন ব্রিটিশরা ক্ষমতায় আসে। এই পর্যায়ে মুসলমানরা মার খাওয়া শুরু করে। হিন্দুরা স্বাধিনতার বদলে ব্রিটিশদের গোলামি এবং দাসত্বকেই বেছে নেয় কারন এ ছারা তাদের কোন উপায় ছিলোনা। ব্রিটিশদের দেওয়া শিক্ষা এবং সংস্কৃতি হিন্দুরা সাদরে গ্রহন করে কিন্তু মুসলমানরা তাদের গোড়াটা ধরে বসে থাকে। ফলে হিন্দুরা সবদিকদিয়ে এগিয়ে যায়। মুসলমানরা কখনোই ব্রিটিশদের ভালোভাবে গ্রহন করতে পারেনি। ইতিহাস ঘাটলে দেখবেন যতগুলো বড় বিদ্রোহ হয়েছিলো ব্রিটিশ আমলে সবগুলো মুসলমানদের দিয়েই হয়েছিলো আর ব্রিটিশরা এগুলো দমনও করেছে হিন্দু মুসলমানদের এই ধর্মিয় সংঘাতকে উস্কে দিয়েই।

ব্রিটিশরা এই বিষয়টা খুব ভালো করেই জানতো যে ভারত বর্ষ শাষন করতে হলে এই একটা বিষয়কেই গুরুত্ব দিতে হবে তা হচ্ছে ধর্মিয় সংঘাত। তারা সেটাই করেছে। দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা যখন ভারতের স্বাধিনতার বিষয়ে আলোচনা করতে আসে তখন এই বিষয়টাই সামনে আসে। হিন্দু এবং মুসলমানরা তাদের সেই ধর্মিয় সংঘাত সামনে নিয়ে আসে। ব্রিটিশরা বুঝতে পারে যে তারাই এই বিশবাস্প দির্ঘদিন যাবত তৈরি করে এসেছে। অথচ এই ভারত বর্ষে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ হওয়ার কথা ছিলোনা। একটাই মাত্র দেশ থাকার কথা ছিলো। এই কথা হিন্দুরাই বলে কিন্তু তারা এটা বলেনা যে ধর্মিয় সংঘাতের ফলে যে ক্ষত তারা এবং মুসলমানেরা সুস্টি করেছে সেটাই এর মুল কারন ছিলো।

পাকিস্তান রাস্ট্রটার সৃস্টিই হয়েছিলো শুধু মাত্র ধর্মিয় সংঘাত এর মাধ্যমে। ৪৭ এ নোয়াখালিতে যে ভায়াবহ দাঙ্গা হয়েছিলো সেটাও একটা জলন্ত স্বাক্ষি হয়ে আছে আজও পর্যন্ত বাংলার ইতিহাসে। পাকিস্তান কখনোই এজন্য পরিপুর্ন ভাবে শান্তিপুর্ন ভাবে থাকতে পারেনি। আজও পারছে না। শাষনযন্ত্রের মধ্যে যে ভুত তাদের ঢুকেছিলো সেই সৃস্টির সময় তা আজও চলছে। অথচ খেয়াল করুন এই বিভক্তিটা কোনভাবেই জাতিগত হয়নি। আমরা বাংলাদেশিরা শুধুমাত্র জাতিগত ভাবে এই অঞ্চলে স্বাধিন হয়েছি। অন্যথায় সবাই ধর্মভিত্তিক ভাবে বিভক্ত। ভারত যতই আধুনিকতার কথা বলছে কিন্তু তাদের মধ্যে সহিংসতা, দাঙ্গা আর সমস্যা থাকছেই। বার বার এগুতে গিয়েও পিছিয়ে পরছে তারা।

লিখছিলাম ধর্মিয় সংঘাত নিয়ে। বাংলাদেশ এর মুক্তিযুদ্ধ যে একটা ধর্মিয় সংঘাত ছিলো এটা কি কখনো ভেবে দেখেছেন?? পাকিস্তানিরা কিন্তু হিন্দু এবং ভারতের দালাল তারাতে বাংলাদেশে এসেছিলো। তারা দীর্ঘ ৯ মাস সেটাই করেছে। বাংলাদেশের জামাতেইসলামি এবং ছাত্রসংঘ এই একই কাজটা করেছে তখন। তারা বিষয়টাকে ধর্মিয় ভাবে নিয়েছিলো। পাকিস্তানি বাহিনি যত ধর্ষন করেছে তার ৯৫ ভাগ করেছে হিন্দু মেয়েদের। যত গ্রাম জালিয়ে দিয়েছে তার বেশিরভাগই ছিলো হিন্দুদের গ্রাম। কিন্তু আমরা বাঙ্গালিরা বরাবরই ধর্মনিরপেক্ষ ছিলাম তাই আমরা ধর্মের চেয়ে দেশকে বেছে নিয়েছিলাম। ফলে পাকিস্তানিরা টিকতে পারে নাই। ভারত যদিও শেষ দিকে সহযোগিতা করেছে তবে সেটা তাদের নিজেদের জন্যই করেছে। যদিও তারা এখন সেই ক্রেডিট নিজেরাই নিয়ে নিচ্ছে আমরা দেয়ার আগেই।

যদি মনে করে থাকেন মুক্তিযুদ্ধের পরেই ধর্মের এই সংঘাত বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাবে ভুল করবেন। এখনো সেই সংঘাত চলছে। তবে সেটা এখন আর হিন্দু আর মুসলমানের মধ্যে নেই। মুসলমানরাই এখন নিজেদের নিজস্ব ধর্ম তৈরি করে নিয়েছে ইসলামকে ব্যাবহার করে। এখন তারাই নিজেরা নিজেদের প্রতিপক্ষ এবং সেই সংঘাতই বর্তমানে চলছে। আজকে জঙ্গি সমস্যা দেখানো হচ্ছে, আইএস সমস্যা, জামাত সমস্যা। এগুলো মুল হচ্ছে সেই আদি কাল থেকে চলে আসা ধর্মিয় সংঘাত। শুধু দিক বদলেছে কিন্তু ধারা বদলায়নি। আইএস খেলাফত চাচ্ছে কিন্তু নিজেরাই জানেনা ঠিক কেমন খেলাফত চাচ্ছে, জামাত ক্ষমতা চাচ্ছে কিন্তু নিজেরাই জানে না ক্ষমতায় গেলে তারা কি করবে। আর জঙ্গিদের কথা বলে লাভ নাই। এর মধ্যে তো আবার সিন্নি পার্টি, মাজার ব্যাবসায়ি আর শ খানে ভন্ডপীর তো আছেই। এখন আবার জাকির নায়েক মাঝখান থেকে একটা বিশাল জনগোষ্ঠি তৈরি করেছেন যারা সম্ভবত সামনের দিকে এই সংঘাতের নেতৃর্ত দিবেন।

এই বিষয়টা মারাত্মক। সংঘাতের নেতৃত্ব যত শক্ত হয় সংঘাতও ততটা মারাত্মক পর্যায়ের হয়। ইতিহাস সেটাই বলে। আমাদের দেশের সামনের দিনে যে সংঘাতটা হবে সেটা নিশ্চিত ভাবে্ ধর্মিয় সংঘাত হবে এবং সেটার নেতৃত্ব দেবে জাকির নায়েকের তৈরি এই অত্যাধুনিক ধার্মিক প্রজন্ম। জাকির নায়েক মুলত গোড়াতে আঘাত হেনেছেন। বর্তমান মুসলমানদের দুর্বল ভিত্তিটাকে মজবুক করে দিয়েছেন। এটাতে ধর্ম ব্যাবসায়ি আর বিভিন্ন দল আর উপদলদের বিপক্ষে একটা মৌলিক দল দারিয়ে গিয়েছে। সংঘাতটা মুলত এখানেই সৃস্টি হয়েছে। এই সংঘাতে সাধারনত মৌলিকতার জয় হয় কিন্তু সেটা মারাত্মক রক্তক্ষরনের মাধ্যমে হয়।

বর্তমান সরকার টিকে আছে এই সংঘাতকে উপজিব্য করেই। নিয়মিত জঙ্গিদের সঙ্গে সরকার যে আনন্দদায়ক লুকোচুরি খেলার আয়োজন করে এতে উনাদের বিরাট উপকার হয়। আমি এটাই ভেবে ভয় পাই যে কোন দিন এই লুকোচুরি খেলার ছলে বাঘ চলে আসে। তখন কেউ থকবে না আমাদের বাচানোর জন্য। হয়ত সেই বাঘ এখনই প্রস্তুতি নিচ্ছে বের হওয়ার জন্য। ধর্মিয় সংঘাত এর ভবিষ্যৎ ঠিক কি হতে পারে সে সম্পর্কে আমি সঠিক কোন ভবিষ্যৎ বাকি করতে পারছি না। তবে এতটুকুন বলতে পারি ভারত তার অবস্থান টিকিয়ে রাখতে পারবে না। অসম্ভব ভয়ানক একটা যুদ্ধ ভারতের জন্য আসন্ন আর সেই যুদ্ধ হবে হিন্দু মুসলিম সংঘাত। আর বাংলাদেশে হবে সেই সংঘাতের উল্টোটা মানে আন্তধর্ম সংঘাত। আমি শুধু এটাই চাই যে আমরা এই জিনিষটাকে অনুধাবন করতে সচেস্ট হই আরো বেশি বেশি করে। ধর্মিয় সংঘাতকে একটু একটু করে আতুর ঘরেই মেরে ফেলি।


(এটা এই সিরিজের প্রথম পর্ব যেখানে আমাদের ভারবর্ষের বিষয়টা নিয়ে লিখেছি। পরের পর্বে মধ্যপ্রাচ্যের এবং পুরো বিশ্বের বিষয়টা নিয়ে লিখবো। লেখাটা আমি যেভাবে চেয়েছি সেভাবে শেষ করতে পারিনি। অবশ্য সেটা একটা বিষেশ একটা কারনে করিনি। আমি এখানে ইতিহাসকে আমার মতন করে ব্যাখ্যা করেছি মাত্র বিকৃতি না। আর আমি শক্তভাবে চেস্টা করেছি পক্ষাবরোম্বন না করার জন্য। তার পরও কিভাবে জানি হয়ে গিয়েছে তাই অন্য ধর্মের সবার প্রতি ক্ষমাপ্রর্থি)

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২০

ম্যাড ম্যান আকাশ বলেছেন: দারুন লিখেছেন ভাই।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পাকিস্তানি বাহিনি যত ধর্ষন করেছে তার ৯৫ ভাগ করেছে হিন্দু মেয়েদের। যত গ্রাম জালিয়ে দিয়েছে তার বেশিরভাগই ছিলো হিন্দুদের গ্রাম।

- এই তথ্য আপনি কোথায় পেয়েছেন??

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমি আমার মতন করে ইতিহাসকে ব্যাখ্যা করেছি মাত্র। আমি আমার নিজের মতন করে কিছু সমিক্ষা চালিয়েছিলাম যে ঠিক কোথায় কোথায় ধর্ষন এবং গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়ার মতন ঘটনা গুলো ঘটেছে। আমি হিন্দুদের গ্রাম ছারা আর কিছুই পাইনি। তবে এটা সত্যি নাও হতে পারে।

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কা_ভা'র প্রশ্ন আমারও,
তাছাড়া আপনি বিষয়টা আপনার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে করেছেন। ৭১'র সংঘাতের মূলে রয়েছে জাতিগত বৈষম্য ও শোষণ।

হেডলাইনটা হবে- ধর্মীয় সংঘাত: আসুন দেখি ইতিহাস কি বলে (পর্ব-১)

পোস্টটি নিঃসন্দেহে মানসম্পন্ন। এজন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল।

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১১

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: হেডলাইনে সাথে লেখাটা একটু অন্যরকম হয়ে গেল। পরের লেখার অপেক্ষায় :)

৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৮

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পাকিস্তানি বাহিনি যত ধর্ষন করেছে তার ৯৫ ভাগ করেছে হিন্দু মেয়েদের। যত গ্রাম জালিয়ে দিয়েছে তার বেশিরভাগই ছিলো হিন্দুদের গ্রাম।

- এই তথ্য আপনি কোথায় পেয়েছেন?

ভাইজানের উপর কী ওহী নাযিল হইছে নাকি? দশটা সত্যের সাথে একটা মিথ্যা মিশিয়ে দাও মিথ্যাটাকে সত্য মনে হবে।

৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
আমার মনে হয়, ইতিহাস সংক্তান্ত তথ্য আমরা নিজেদের মন পছন্দ বা আদর্শ অনুযায়ী দিতে পারি না। এতে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটে। আপনি যদি ব্যক্তিগতভাবে কোন সমীক্ষা চালান, তাহলে সেটার প্রক্রিয়া কি ছিল, তথ্য কিভাবে সংগ্রহ করেছেন, যাচাই কিভাবে করেছেন সেটা উল্লেখ্য করা ছিল প্রয়োজনীয় ব্যাপার।

দেশের অনেক হিন্দু প্রধান অঞ্চল আছে, যেখানে খোঁজ নিলে মুক্তিযুদ্ধের সময় শুধু হিন্দুদের হত্যার খবর পাবেন। তাহলে কি যেখানে হিন্দু ছিলো না, সেখানে কি তাদেরকে হত্যা করা হয় নি? দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে হাজারো বধ্যভুমি, অনেক গ্রাম যা হিন্দু প্রধান অঞ্চল নয়। আপনার পোস্ট পড়লে মনে হতে পারে যে এই অঞ্চলগুলোতে তেমন উল্লেখযোগ্য হত্যাকান্ড হয় নি।

এটা অবশ্যই সত্য যে, ধর্মীয় বিভেদ টেনে, ধর্মের উদ্দেশ্যপূর্ন অপব্যাখ্যা করে হিন্দুদের উপর নির্যাতন করেছে পাকিস্তানী বাহিনী আর একই আদর্শে বলীয়ান হয়ে তাদেরকে সহায়তা করেছিল এই দেশের কলংক জামাতে ইসলাম নামক দলটি। তারা হিন্দু পুরুষ পেলে তাৎক্ষনিক হত্যা করত আর নারীদের ধর্ষন। এটা বাস্তব। কিন্তু তাই বলে সেটা মোট হত্যাকান্ডের বা নির্যাতনের ৯৫ ভাগ নয়।

পাকিস্তানী হানাদাররা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করতে চেয়েছে। ধর্ম ছিল একটা বিভাজনের কৌশল, এই ভয়াবহ হত্যাকান্ড বৈধ করার বর্ম।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: যাই হোক আমি হয়ত ৯৫ ভাগ কথাটা ভুল লিখেছি কিন্তু আসলে আপনিও শিকার করলেন পাকিস্তানি আর জামাইত্যারা হিন্দুদের উপরে বেশি অত্যাচার করেছে এবং সেটা ধর্মিয় কারনে।

৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বাংলাদেশ এর মুক্তিযুদ্ধ যে একটা ধর্মিয় সংঘাত ছিলো এটা কি কখনো ভেবে দেখেছেন?? - আমার মতে আপনি এই তথ্যটিও সঠিক দেন নি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কখনও ধর্মীয় সংঘাত ছিলো না।

মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যই ছিল রাজনৈতিক। রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করা হয়েছে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: কথাতো সেই একটই হলো তাই না। ধর্মই ব্যাবহৃত হয়েছে এবং পাকিস্তানিরা এটাকে ধর্মিয় সংঘাত হিসাবে চালিয়ে দিয়ে জায়েজ বানিয়েছে। তারা এটা এখনো করছে। যেটা এখনো জামাত করতেছে।

৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাকিস্তানি বাহিনি যত ধর্ষন করেছে তার ৯৫ ভাগ করেছে হিন্দু মেয়েদের। যত গ্রাম জালিয়ে দিয়েছে তার বেশিরভাগই ছিলো হিন্দুদের গ্রাম।

এরকম তথ্য আমি আর কোথাও পাই নাই। বীরাঙ্গনাদের তালিকায় তো বেশিরভাগ মুসলমান মেয়েকেই দেখি।

আর মুক্তিযুদ্ধ শুধুমাত্র ধর্মীয় সংঘাত ছিলো না। ছয় দফা পড়ে দেখেছেন? কত শোষণ, বঞ্চনা আর মিলিটারি স্বৈরশাসনের ফলে স্বাধিকার আন্দোলন, এবং ফলশ্রূতিতে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো এসব আপনার তো না জানার কথা না।
ইতিহাস লিখতে গিয়ে আরো বেশি সাবধানী হওয়া উচিত।

৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

এহসান সাবির বলেছেন: ইংরেজী নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

জেন রসি বলেছেন: ধর্ম কিংবা ধর্মীয় চেতনাকে আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকেই ব্যাখ্যা করা যৌক্তিক হবে। আমি যা বুঝেছি তা হচ্ছে ধর্ম সবসময় শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতা দখল কিংবা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার একটা কৌশলগত চেতনা হিসাবেই ব্যবরিত হয়ে এসেছে। সেটা সেই আদিম সময় থেকে শুরু করে আধুনিক সভ্যতাতেও ঘটে চলেছে। শুধু সময়ের সাথে কৌশলগুলো পরিবর্তিত হয়েছে।

তবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ধর্মীয় সংঘাত ভাবাটা ভুল হবে। পাকি শাসকগোষ্ঠী সেখানে ধর্মকে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু জাতীয় মুক্তির চেতনাকে পাকিদের সেই মধ্যযুগীয় চেতনা কোন ভাবেই বিভ্রান্ত করতে পারেনি। তাই এদেশের হিন্দু মুসলমান আর্থ-সামাজিক মুক্তির মাধ্যমে নতুন সমাজ সৃষ্টির জন্যই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিল।

কিন্তু আবার একথাও সত্য স্বাধীন বাংলাদেশের সব শাসকগোষ্ঠী মুখে অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বললেও খুব নগ্ন ভাবেই সাম্প্রদায়িকতার চর্চা করেছে।

বিষয়টি নিয়ে লিখে চলুন। শুভকামনা রইলো।

১১| ২৫ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫১

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আমার না বলা কথা গুলো আপনি লিখেছেন।

আবারো ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.