নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গায়ে এখনও দেশী মাটির গন্ধ...কানাডাতে আসার সাথে এই ব্লগে লেখালিখি জড়িয়ে আছে। ২০০৭ এ আসি। সে সময় থেকেই লিখি। এখন ফেবুতে বেশি এক্টিভ। ফেবু: fb.com/bdidol9x/ পেজ: fb.com/bdidol5x

বিডি আইডল

ফেবু: facebook.com/bdidol3x ফেবু পেজ: facebook.com/bdidolx

বিডি আইডল › বিস্তারিত পোস্টঃ

তসলিমা নাসরিনের আলোচিত ও বিতর্কিত বাণী সমাবেশ

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৬

ফেক ফেমিনিস্ট তসলিমা নাসরিনের বির্তকিত উক্তিগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।



মেয়ে/নারী নিয়ে উক্তি

নারী এবং মেয়ে স্বত্বা নিয়ে লিখেননি এমন সাহিত্যিক খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য কাজ। মেয়ে এবং নারী নিয়ে তসলিমা নাসরিনের উক্তি গুলো অন্য ধারার সৃষ্টি করেছে।

“পৃথিবীর ইতিহাসে, কোনও অন্ধকার সমাজে যখনই কোনও নারী পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে উঠেছে, নিজের স্বাধীনতার কথা বলেছে, ভাঙতে চেয়েছে পরাধীনতার শেকল, তাকেই গালি দেওয়া হয়েছে পতিতা বলে।”

“নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে সামান্য সচেতন হলে মেয়েরা নিশ্চয়ই বুঝত যে জগতে যত নির্যাতন আছে মেয়েদের বিরুদ্ধে, সবচেয়ে বড় নির্যাতন হল- মেয়েদের সুন্দরী হওয়ার জন্য লেলিয়ে দেওয়া”।

“ ও মেয়ে, শুনছ !
বাইরে খানিক মেলে দাও তো এসব
দুঃখ তোমার একদম গেছে ভিজে…
হাওয়ার একটি গুণ চমৎকার
কিছু দুঃখ উড়িয়ে নেয় নিজে।”

“ ও কী গুণছ !
দিন!
দিন তো যাবেই ! দুঃখপোষা মেয়ে !
শুকোতে দাও স্যাঁতস্যাঁতে এ জীবন
রোদের পিঠে, আলোর বিষম বন্যা
হচ্ছে দেখ, নাচছে ঘন বন…
সঙ্গে সুখী হরিণ। ”

“তুমি মেয়ে,
তুমি খুব ভাল করে মনে রেখো
তুমি যখন ঘরের চৌকাঠ ডিঙোবে
লোকে তোমাকে আড়চোখে দেখবে।
তুমি যখন গলি ধরে হাঁটতে থাকবে
লোকে তোমার পিছু নেবে, শিস দেবে।
তুমি যখন গলি পেরিয়ে বড় রাস্তায় উঠবে
লোকে তোমাকে চরিত্রহীন বলে গাল দেবে।
যদি তুমি অপদার্থ হও
তুমি পিছু ফিরবে
আর তা না হলে
যেভাবে যাচ্ছ, যাবে।”

“যে সমাজে শিক্ষিত, স্বনির্ভর, সচেতন মেয়ের সংখ্যা বেশি, সেই সমাজে বিচ্ছেদের সংখ্যাটা বেশি, বিয়ের সংখ্যাটা কম।”

বিতর্কিত উক্তি


কোনো কিছু লিখলেই আলোচিত এবং বিতর্কের কারণ হওয়া খুব কম লেখকের মধ্যে তসলিমা নাসরিন একজন। তাঁর বিতর্কিত উক্তি এবং বাণী সমূহ একদিকে যেমন গায়ে কাঁটা দিবে, অন্যদিকে বাস্তব কিছু চরিত্রকের তুলে ধরবে। পাশাপাশি দেখা মিলবে প্রচলিত সমাজের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

“পুরুষরা যেমন গরম লাগলে খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় নারীরাও তেমনি খালিগায়ে ঘুরে বেড়াবে, তাদের স্তন সবাই দেখবে”।

“হে নারী, কেউ যদি তোমাকে ধর্ষণ করতে আসে, তুমিও তাকে ধর্ষণ করে দাও। পুরুষদের দেখিয়ে দাও, ধর্ষণ শুধু তারা নয়, তোমরাও পারো।”

“যৌন উত্তেজনা বেড়েছে তোমার, সে তোমার সমস্যা, আমার নয়। তোমার সেটি বাড়ে বলে আমার নাক চোখ মুখ সব বন্ধ করে দেবে, এ হতে পারে না। আমি তোমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নই যে তুমি আমাকে আদেশ দেবে আমি কি পরবো, কীভাবে পরবো, কোথায় যাবো, কতদূর যাবো। তোমার সমস্যার সমাধান তুমি করো। আমাকে তার দায় নিতে হবে কেন! যৌন উত্তেজনা আমারও আছে, সে কারণে তোমার নাক চোখ মুখ ঢেকে রাখার দাবি আমি করিনি”।

“আমার সংজ্ঞায় চরিত্রহীনতার সঙ্গে যৌনতার কোনও সম্পর্ক নেই, সম্পর্ক আছে শঠতা, নীচতা, অসততা, মিথ্যে, প্রতারণা, ছলনা, চাতুরীর সঙ্গে”।

“বাংলাদেশ আর ভারতকে ভাগ করলে চলবে? ভাগ করতে হবে খারাপ লোক আর ভালো লোক। ভারতের সকলে যেমন ভালো নয়, বাংলাদেশের সকলেও তেমন ভালো নয়।”

“মানুষের চরিত্রই এমন
বসলে বলবে না, বসো না
দাঁড়ালে, কি ব্যাপার হাঁটো
আর হাঁটলে, ছি: বসো।
শুয়ে পড়লে ও তাড়া – নাও উঠো,
না শুলে ও স্বষ্তি নেই, একটু তো শুবে!”

প্রেম ও ভালোবাসা নিয়ে উক্তি


প্রত্যেক মানব জীবনেই প্রেম আসে। তাঁর বহিপ্রকাশ এক একজন এক এক ভাবে করে থাকেন। সবাই যে বহিঃপ্রকাশ করতে পারেন, এমনও নয়। তসলিমা নাসরিনের প্রেম ভালোবাসার উক্তি যেকোনো প্রেমিক হৃদয়কে রাঙ্গাবে, কাঁদাবে এবং ভাসাবে।

“যদি ভুলে যাবার হয়, ভুলে যাও।
দূরে বসে বসে মোবাইলে, ইমেইলে হঠাৎ হঠাৎ জ্বালিয়ো না,
দূরে বসে বসে নীরবতার বরফ ছুড়ে ছুড়ে এভাবে বিরক্তও করো না।”

“ভুলে যেতে হলে ভুলে যাও, বাঁচি।
যত মনে রাখবে, যত চাইবে আমাকে, যত কাছে আসবে,
যত বলবে ভালোবাসো, তত আমি বন্দি হতে থাকবো তোমার হৃদয়ে, তোমার জালে,
তোমার পায়ের তলায়, তোমার হাতের মুঠোয়, তোমার দশনখে”।

“ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত, তবু
এখনো কেমন যেন হৃদয় টাটায়
প্রতারক পুরুষেরা এখনো আঙুল ছুঁলে
পাথর শরীর বয়ে ঝরনার জল ঝরে”।

“এখনো কেমন যেন কল কল শব্দ শুনি
নির্জন বৈশাখে, মাঘচৈত্রে
ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত, তবু
বিশ্বাসের রোদে পুড়ে নিজেকে অঙ্গার করি”।

“প্রতারক পুরুষেরা একবার ডাকলেই
ভুলে যাই পেছনের সজল ভৈরবী
ভুলে যাই মেঘলা আকাশ, নাফুরানো দীর্ঘ রাত।
একবার ডাকলেই
সব ভুলে পা বাড়াই নতুন ভুলের দিকে
একবার ভালোবাসলেই
সব ভুলে কেঁদে উঠি অমল বালিকা।

“ভুল প্রেমে তিরিশ বছর গেল
সহস্র বছর যাবে আরো,
তবু বোধ হবে না নির্বোধ বালিকার।”

“ইচ্ছে ছিল বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ব্রহ্মপুত্রের জলে, কেউ জানবে না,
ভাসিয়ে দেব একদিন
কচুরিপানার মতো, খড়কুটোর মতো, মরা সাপের মতো ভাসতে ভাসতে দুঃখরা
চলে যাবে কুচবিহারের দিকে…”

“কাছে যতটুকু পেরেছি আসতে, জেনো
দূরে যেতে আমি তারো চেয়ে বেশী পারি।
ভালোবাসা আমি যতটা নিয়েছি লুফে
তারো চেয়ে পারি গোগ্রাসে নিতে ভালোবাসা হীনতাও।
জন্মের দায়, প্রতিভার পাপ নিয়ে
নিত্য নিয়ত পাথর সরিয়ে হাঁটি।
অতল নিষেধে ডুবতে ডুবতে ভাসি,
আমার কে আছে একা আমি ছাড়া আর?”

“ঠকতেই হবে ভালবেসে যদি গোপনে কিছুর করো
প্রত্যাশা কোনও, এমনকি ভালবাসাও পাবার আশা।”

“আজকাল তো ব্যস্ততাও বেড়েছে খুব।
সেদিন দেখলাম সেই ভালবাসাগুলো
কাকে যেন দিতে খুব ব্যস্ত তুমি,
যেগুলো তোমাকে আমি দিয়েছিলাম।”

“সে তোমার বাবা, আসলে সে তোমার কেউ নয়
সে তোমার ভাই, আসলে সে তোমার কেউ নয়
সে তোমার বোন, আসলে সে তোমার কেউ নয়
সে তোমার মা, আসলে সে তোমার কেউ নয় ।
তুমি একা।”

“যে তোমাকে বন্ধু বলে, সেও তোমার কেউ নয় ।
তুমি একা।
তুমি যখন কাঁদো, তোমার আঙুল
তোমার চোখের জল মুছে দেয়, সেই আঙুলই তোমার আত্মীয়।”

“তুমি ছাড়া তোমার কেউ নেই
কোন প্রানী বা উদ্ভিদ নেই।
তবু এত যে বলো তুমি তোমার,
তুমিও কি আসলে তোমার ?”

“শোনো শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, সীতাকুণ্ড- পাহাড়-আমি ফিরব।
যদি মানুষ হয়ে না পারি, পাখি হয়েও ফিরব একদিন।”

“আমি তাকে ভালোবেসে,ঘৃণা করে, তাকে সসম্মানে, গোপনে,
তাকে হৃৎপিণ্ডে, রক্তচলাচলে বহন করি, বাঁচাই।
আমার সময়। আমার আততায়ী, আমি জন্মে তাকে জন্ম দিই।”

“কতটুকু ভালোবাসা দিলে,
ক তোড়া গোলাপ দিলে,
কতটুকু সময়, কতটা সমুদ্র দিলে,
কটি নির্ঘুম রাত দিলে, কফোঁটা জল দিলে চোখের –
সব যেদিন ভীষণ আবেগে শোনাচ্ছেলে আমাকে,
বোঝাতে চাইছিলে আমাকে খুব ভালোবাসো;”

“আমি বুঝে নিলাম-
তুমি আমাকে এখন আর একটুও ভালোবাসোনা।
ভালোবাসা ফুরোলেই মানুষ হিসেব কষতে বসে, তুমিও বসেছো।
ভালোবাসা ততদিনই ভালোবাসা
যতদিন এটি অন্ধ থাকে, বধির থাকে,
যতদিন এটি বেহিসেবি থাকে।”

“তুমি মেয়ে,
তুমি খুব ভাল করে মনে রেখো
তুমি যখন ঘরের চৌকাঠ ডিঙোবে
লোকে তোমাকে আড়চোখে দেখবে।
তুমি যখন গলি ধরে হাঁটতে থাকবে
লোকে তোমার পিছু নেবে, শিস দেবে।
তুমি যখন গলি পেরিয়ে বড় রাস্তায় উঠবে
লোকে তোমাকে চরিত্রহীন বলে গাল দেবে।
যদি তুমি অপদার্থ হও
তুমি পিছু ফিরবে
আর তা না হলে
যেভাবে যাচ্ছ, যাবে।

মোঃ ওয়ালীউল্লাহ অলির লেখা থেকে সংকলিত

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এই মহিলার পিছনে পড়ছে কেন সবাই !!
পর পর ২টি লেখা, গতকালও ছিলো একটি

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৯

আকন বিডি বলেছেন: নূর দাদা মহিলা যে, তাই তার পিছে পরে থাকায় মজা।

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



সমস্যা কি তসলিমা, নাকি আপনার ভাবনাশক্তির অভাব?

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: একজন তসলিমা ভক্ত পাওয়া গেল।

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: সমস্যা কি তসলিমা, নাকি আপনার ভাবনাশক্তির অভাব?

সহমত।

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:২০

অনল চৌধুরী বলেছেন: এভাবেই আবর্জনাদের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়া হয়।

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৫০

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আমার মনে হয় এর চাইতে আরো গুরুত্বপূর্ন বিষয় আছে আলোচনা করার।

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:০২

বলেছেন: প্রেম
---তসলিমা নাসরিন

যদি আমাকে কাজল পড়তে হয়
তোমার জন্য ,
চুলে মুখে রং মাখতে হয়,
গায়ে সুগন্ধী ছিটোতে হয়,
সবচেয়ে ভালো শাড়িটা যদি পড়তে হয়,
শুধু
তুমি দেখবে বলে মালাটা চুড়িটা পড়ে সাজতে হয়,
যদি তলপেটের মেদ,
যদি গলার বা চোখের কিনারের
ভাঁজ কায়দা করে লুকোতে হয়,
তবে তোমার সঙ্গে অন্য কিছু, প্রেম
নয় আমার।

প্রেম হলে আমার যা কিছু
এলোমেলো,
যা কিছু খুঁত,যা কিছুই ভুলভাল অসুন্দর
থাক, সামনে দাঁড়াবো,
তুমি ভালবাসবে।
কে বলেছে প্রেম খুব সহজ, চাইলেই
হয়!
এত যে পুরুষ চারিদিকে, কই, প্রেমিক
তো দেখি না—-


কবিতাটি কেমন ???

৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৮

অক্পটে বলেছেন: এটা বাঙ্গালীর সমাজ, এটা ধর্মীয় এজেন্টদের সমাজ, এটা রাষ্ট্রের অযোগ্য সব রাষ্ট্র নায়িকাদের সমাজ যারা ধর্মকে শুধুমাত্র ফায়দা লুটার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। শুধুমাত্র এদের কারণেই তসলিমা নাসরিন এই সমাজে বিতর্কিত এবং দেশান্তরিত। অপকর্মে সয়লাব এই দেশের একমাত্র পাপী কন্যা বোধ হয় তসলিমা নাসরিনই।

১০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৯

রানার ব্লগ বলেছেন: তসলিমা নাসরিনের কবিতা ভালো লাগে।

কি হচ্ছে আমার এইসব

১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:১৮

সাসুম বলেছেন: কবি হিসেবে তস্লিমা অনবদ্য। তবে ফেম সীকার, হাইলাইটে থাকার জন্য এক ওকে জড়িয়ে মিথ্যে বলা, ইন্ডিয়ার হয়ে ক্রমাগত অরগাজম করে যাওয়া, বিজেপির একনিষ্ট ভক্তি, ছ্যাঁচড়া আর খচ্চর মনে হয়েছে।

তাকে আমার ফেমিনিস্ট মনে হয়নি কখনোই বরং নেড়িবাদী বলেই জেনে এসেছি তার ডাবল, ট্রিপল স্টান্ডার্ড এর জন্য। নিজের সুবিধার জন্য সে ফেমিনিজম কে ইউজ করছে বরং সে একটা ১ম শ্রেণীর খচ্চর। বাংলাদেশে ফেমিনিজম এর সংজ্ঞাই পালটে দিয়েছেন এই এক মহিলা।

মনুষ্য হিসেবে একটা আবর্জনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.