নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দেশ আমার সংস্কৃতি

আব্দুল্লাহ্‌ আল মামুন সুজন

সৃষ্টির আনন্দে ভাসতে চাই

আব্দুল্লাহ্‌ আল মামুন সুজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা-কেন্দুয়া (ধনবাড়ি, টাঙ্গাইল) সড়কে বিনিময় পরিবহন যেন অন্ধকারের কূপ !!! বিশ্বের নিকৃষ্টতম পরিবহন !!!!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

অব্যস্থাপনা আর যাত্রী দূর্ভোগের নাম বিনিময় পরিবহন। পরিবহনটিতে উঠলে আপনি অতি সহজেই বুঝতে পারবেন স্বেচ্চারিতা কাকে বলে? সড়ক পরিবহন মন্ত্রনালয় নামে কোন মন্ত্রনালয় আছে বলে আপনার মনেই হবে না।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫ টায় বিনিময় পরিবহন কাউন্টার। ঠিক ভোর ৫ টায় একটা গাড়ী ছেড়ে যায়। এক জন যাত্রী গাড়ীর সুপারভাইজারকে প্রশ্ন করলে উত্তর- পরেরটা ৫টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাবে। কাউন্টারে অতিরিক্ত যাত্রী দেখে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিয়ে ২০০ টাকার নির্ধারিত ভাড়ার স্থলে সেটা বাড়িয়ে ২৫০ করা হলো। যাত্রী সেটা মেনে নিল, সমস্যটা এখন অন্য যায়গায়। ৫ টা ২০ অতিক্রম কিন্তু গাড়ী ছাড়ছে না, কয়েক জন যাত্রী গাড়ী না ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে সুপারভাইজারের উত্তর গাড়ী ৬:৩০ এর আগে ছাড়বে না, মন চাইলে যান না চাইলে নাইমা যান। এক যাত্রীর সাথে তুমুল ঝগড়া, এক পর্যায়ে ড্রাইভার বলল মালিকরা টাকা দিয়া গাড়ী কিনছে কোন আইন বুঝি না, মালিক সমিতি যেভাবে মনে করব সেভাবেই গাড়ী চলব মন চাইলে যান না চাইলে নাইমা যান। ঠিক এই সময় মালিক সমিতির সেক্রেটারী কাজল সাহেব এসে যাত্রীদের বললেন এটা কি মঘের মল্লুক? (অর্থাৎ তাদের সিন্ধান্তই মেনে নিতে হবে, আইন বা নিয়ম বলে কোন কথা নেই তাদের কাছে ) অথচ গাড়ীর অধিকাংশ যাত্রী সকালের অফিস ধরবে। এই পয়রিবহনটি কোন উৎসব বা লম্বা ছুটি বা যাত্রীর চাপ বেড়ে গেলেই ঠিক একম রকম কায়দায় গাড়ীর কৃৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্য বৃদ্ধি করে। আবার সাধারণ সময় গাড়ী সিটিংয়ের পরিবর্তে দাড়িয়ে যাত্রী বহন করে, যা দূর পাল্লা আইনে দন্ডনীয়। তাদের উত্তর একটাই মালিক সমিতির সিন্ধান্ত।

টাঙ্গাইল-১ আসনের সংসদীয় এলাকা ধনবাড়ী-মধুপুর। একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম চাবি-কাঠি হচ্ছে যোগাযোগ ও বিদুৎ। অথচ এই দুটির অবস্থা এতই খারাপ তা বলার মত নয়। যদিও এখানে বিদুতের অবস্থা আগের চেয়ে একটু ভাল, তবে ব্যবসা বানিজ্যের প্রসারের ক্ষেত্রে এটাকে ভাল বলা যাবে না। পার্শ্ববর্তী জেলা জামালপুর অনেক এগিয়ে। এই অঞ্চলের ঢাকার সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সড়ক পরিবহন। আর প্রভাবশালীরা এটাকেই জিম্মি করে রেখেছে। আমাদের দেশে অনেক ভাল ভাল পরিবহন সংস্খা রয়েছে, কিন্তু এই সিন্ডিকেটের কারণে অন্য কোন পরিবহন এই রোডে প্রবেশ করতে পারে না এমনকি সরকারি পরিবহন সংস্থা বি. আর. টি. সি. ও পারে নাই। এই পরিবহনটির মালিক কারা? সহজ উত্তর স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা। জনগণের সেবকেরা। দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক এই মূর্হুতে এই অঞ্চলের নেতাদের এত অধপতন কেন? আমরা কি ১৯৭১ সালে এই জন্য স্বাধীন হয়েছিলাম? আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে কেন এত দূরে? মুজিব কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে, আর এই অঞ্চলের নেতারা!!! উল্লেখ্য নতুন করে ছাড়া হয়েছে বিনমিয় এসি যাহার ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা অথচ দূরত্ব মাত্র ১৪৪ কিমি (খাঁজা সূপার মার্কেট, কল্যানপূর থেকে -ধনবাড়ি, টাঙ্গাইল পর্যন্ত)।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমরা কি ১৯৭১ সালে এই জন্য স্বাধীন হয়েছিলাম?

না অবশ্যই না- আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২১

জাহিদ বেস্ট বলেছেন: আমরা জিমমি..

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

টিটু তরফদার বলেছেন: কি আর বলব ভাই দেশের ডিজিটালাইজেশন হইছে তো তাই এই অবস্থা | এদিকে কারও কোন নজর নাই | আপনি আর আমি যতই বলি প্রশাশনিক কর্মকর্তারা চোখে কালো চশমা পড়ে বসে থাকবে |

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০২

রানার ব্লগ বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা যারা সড়ক পরিবহনে যাত্রা করি তাদের সবার হাতে এক টা করে হান্টার নিয়ে চলাচল করা উচিৎ। উল্টা পালটা কিছু বললেই সাই করে একটা বারি। দেশের ৯০ ভাগ রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে বাস এর চালক ও বাকিরা যাত্রীদের সাথে জঘন্য আচারন করে। এদের জন্য হান্টার এক মাত্র প্রতীকার।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

অচল জ্ঞানী বলেছেন: ফয়সাল বিন ইসলাম ধনবাড়ী থেকে বলছিঃ বিনিময় সবসময়, সময় মেইনটেইন করে চলে। ধনবাড়ী~ঢাকা পথে সবথেকে ভালো গাড়ী বিনিময়। হয়ত মাঝে কিছুদিন খারাপ অবস্থা ছিলো কিন্তু বর্তমানের অবস্থা অনেক ভালো এবং ভালো সারবিচ(সার-বিষ) দিচ্ছে। একদিনের ঘটনা দিয়ে পূর্ণ বিচার করা মার্জিত লোকের পরিচয় নয়।

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৩

আব্দুল্লাহ্‌ আল মামুন সুজন বলেছেন: অচল জ্ঞানী বলেছেন: ফয়সাল বিন ইসলাম ধনবাড়ী থেকে বলছিঃ আপনার মস্তব্য দেখে কি উত্তর দিব বুঝতে পারতেছি না, ঘটনা তা ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬, আপনার কাছে এটা হয়ত বহু দিন আগের ঘটনা, আপনি এই পরবহনের মালিক কিনা জানি না , তবে আমি ২০০৩ সাল থেকে প্রতিমাসে ২/৩ বার ধনবাড়ী-ঢাকা যাতায়াত করি।ঠিক ৪ দিন আগে ঢাকা থেকে যখন ধনবাড়ী যাচ্ছিলাম একই কায়দায় ভাড়া বাড়ানো হয়েছে এবং দাড়িয়ে কপক্ষে ২০/২৫ জন যাত্রী ছিল। দূরপাল্লা আইন অনুযায়ী ইমার্জেন্সী র ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ জন যাত্রী দাড়িয়ে নিতে পারবে । দুই সিটের মধ্যবর্তী যে পরিমান ফাকা থাকা দরকার সেটা নেই।সরকার নির্ধারিত বাস বে এর বাইরে নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া অন্য জায়গা থেকে যাত্রী তুলতে বা নামা তে পারবে না। নিয়ম অনুযায়ী কেন্দুয়া থেকে গাড়ি ছেড়ে আসতে হবে এবং কেন্দুয়া পর্যন্ত যেতে হবে । ইত্যাদি। ...।
আপনি আরো বলেছেন এটি চেয়ে ভালো পরিবহন। ক্লাসে ১ জন ছাত্র থাকলে নিশ্চয় তার রোল যখন ২ হবে না !!!
আর ভাড়া মহাখালী থেকে ধনবাড়ি এর দুরত্ব ১৪৬ কিমি । (আধুনিক যুগ গুগল ম্যাপ এ দেখে নিয়েন ) ১৪৬* ১.৫২ = ২২১ টাকা । আশা রাখি বুঝতে পেরেছেন , আপনি সম্ভবত বাংলাদেশের অন্য কোনো রোড এ চলাচল করেননি

৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৩

শেখ রাহুল বলেছেন: আমার মন্তব্য হল,আমরা যেহেতু বিনিময় পরিবহন এর বেপারে সবাই কম বেশি জানি যে তারা কেমন সেবা দেয়।যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেখানে প্রায় সকল দুরপাল্লার রাস্তায়ই হানিফ,এনা,বিআরটিসির মত ভাল ভাল পরিবহন চালু আছে সেখানে আমাদের এই রাস্তায় কেন নাই?..এসব প্রশ্নের উত্তর আমাদের এলাকার বড় বড় নেতারা দিতে পারবে । আমরা সাধারন পাবলিক এর এসব চিন্তা করে কোন লাভ ই নাই। আমরা আবার ছাত্র ,আমাদের কথা কে শুনবে,তবু বলি আমার সুধু একটা চাওয়া যে অন্তত সিটিং গাড়িতে দাড়ানো যাত্রি যেন না নেয়।আরেক টা কথা বিনিময় এর থেকে গোপালপুরের দ্রতগামি অনেক ভাল সেবা দেয়।আমাদের উচিত বাড়ি থেকে ঢাকা আসার পথে না হোক ঢাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে অন্তত বিকল্প গাড়িতে যাওয়া তাহলে তাদের একটু হলেও শিক্ষা হবে।----------

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

আব্দুল্লাহ্‌ আল মামুন সুজন বলেছেন: ভালো পরিবহনগুলো কেন চলছে না আমরা সবাই জানি । কেন আমাদের এ সব চিন্তা করে লাভে নাই, আজ আমি এমন করে লিখেছি বলেই আপনারা মন্তব্য করেছেন, এভাবেই আমরা হয়তবা পৌছে যেতে পারি সড়ক পরিবহন মন্ত্রনালয়ের কাছে। সবার আগে আমাদের সচেতন হতে হবে।
ওরা এখন নিজের ফাদে নিজেরাই পড়েছে, বিনিময় এসি সার্ভিস কে মহাখালী থেকে অনুমতি দেয়া হয়নি যদিও আইন অনুযায়ী টাঙ্গাইল জেলার সকল দুরপাল্লার গাড়ি মহাখালী থেকে ছেড়ে জায়ার কথা কিন্তু বিনিময় এসি/ সোনিয়া পরিবহন কেন কল্যাণ পুর থেকে ছেড়ে যায় ? ভিতরের গল্প অনেকদুর । এনা এসি ঠিকই মহাখালী থেকে ছেড়ে যায় কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.