নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু ছবি কিছু কথা.......। একটি ভ্রমণ ব্লগ!!!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৮

কানাডায় সাধারনত সবাই অপেক্ষা করে সামারের জন্য। ঘুরাঘুরি ছুটাছুটির জন্য সামারই বেস্ট। যার কারনে হোটেল কটেজ সামারে খালি পাওয়া খুবই কঠিন কাজ। এবং রেটও অনেক বেশী থাকে। তাই সবাই চেস্টা করে ট্যাুরের প্লানটা আগেই করতে যাতে হোটেল বুকিং পাওয়া যেমন সহজ হয় তেমনি দামেও সাশ্রয় হয়। এছাড়াও সামারে এ বুকিং পাওয়াটা আরো কঠিন হয়ে পড়ে যদি লং উইকএন্ড থাকে। মানে শনি রবিবারের সাথে বাড়তি একটা সরকারী ছুটি যোগ হয়ে তিন দিনের ছুটি। এতো কিছুর পরেও সব অসাধ্য সাধন করেছে এ্যালিসা। মাত্র ১০ মিনিটে চমৎকার কটেজ বুকিং করেছে। বিশেষকরে আমার মেয়ের সুু্ইমিংপুল পছন্দের বিষয়টা ও সবসময়ই বিবেচনায় রাখে।



আমার বাসা থেকে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টা লাগে Gananoque তে পৈাছাতে। সিটিতে পৈাছেই ঢুকলাম বাচ্চাদের প্রিয় ম্যাকে। সেখানে থেকে লাঞ্চ সেরে বের হতেই দেখি রাস্তায় ফল-সব্জী নিয়ে বসেছে একজন। এখানে বলে রাখি কানাডায় কেউ রাস্তায় ফল-সব্জী নিয়ে বসা মানে সে নিজের ক্ষেত থেকেই এনে বিক্রির জন্য বসে। তাই সেখানে যেয়ে এক ঝুড়ি আপেল কিনলাম কোন কারন ছাড়াই।



কটেজে চেক ইন করেই বেড়িযে পড়লাম শহর দেখতে। গুগল সার্চ করে দেখেছিলাম স্থানীয় পার্ক ও বীচ কি কি আছে। তা ধরেই প্রথমেই গেলাম Joel Stone Heritage Park। নদীর পাড় ঘেষে চমৎকার এ পার্ক। ইতিহাসের সব সাক্ষী থরে থরে সাজানো আছে।



(ছবিটা কম করে ১২ বার রিসাইজ ঘুরায়ে প্যাচায়ে ভুয়ামফিজ ভাইয়ের ভুয়া সাজেশান অনুযায়ী এড করেছি কিন্তু ইহার ল্যাজ কোনভাবেই সোজা করিতে পারি নাই)

পার্কে ঘুরে পাশের বীচ দেখে আর কিছু স্যুভেনির কিনতেই দেখি ৭ টা বাজে। ডিনারের বাচ্চাদের প্রেফারেন্স ফার্স্ট কিন্তু আমার শর্ত ছিল নো ম্যাক, হ্যাভি ডিনার হবে। খাওয়া দাওয়া নিয়ে এ্যালিসার কোন মাথা ব্যাথা কখনই থাকে না। যা পায় তাই খায়। তাই ও বললো চলো যেকোন একটাতে ঢুকি। কিন্তু আমি রাজি হলাম না কারন এখানে প্রায় সব রেস্টুরেন্টে বার আছে। এটা আমি এভোয়েড করতে ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট খুঁজলাম। বেশী দূর যেতে হলো না, গুগল ম্যাপে" ১০০০ কারি ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট" খুঁজে পেলাম ৫ মিনিট ড্রাইভিং এ। সেখানে পৈাছে গাড়ি পার্ক করতে যেয়ে খুব মজা পেলাম। ও বলে রাখি কানাডায় প্রায় সব রাস্তায় গাড়ি পার্ক করা যায় এবং এর পাশেই থাকে অটো পেমেন্ট অপশান। কিন্তু এখানে সেই পুরোনো মডেলের কয়েন ঢুকিয়ে পার্ক করতে হয়ে কোন টিকেট নাই।



খাবারের মান বেশ ভালোই। চিকেন, বিফ, শ্রিম্প, ভেজি.... সব আইটেমই ট্রাই করলাম। এবং বেশ ভালোই লাগলো। সিজন বলে এতো ভীড় যে ওয়েটাদের মাথা খারাপ অবস্থা। আর ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টতো পারলে একজনরে দিয়া চারজনের কাম করায় ;) । বেচারারা......

রাতে ফিরেই মেয়ের মাথা খারাপ সুইমিং পুলেই গোসল করবে। সুইমিং পুল আর জাপানী জ্যাকজিতে (গরম হট টাব) গোসল নিয়ে দারুন একটা ঘুম দিলাম। কারন সকালেই আগে থেকে বুকিং দেয়া থাউজেন্ড আইল্যান্ড ক্রুজ। (যেহেতু আগেই এ নিয়ে পোস্ট দিয়েছি তাই নতুন কিছু এড করলাম না।)



সকালেই রওনা দিলাম থাউজেন্ড আইল্যান্ড ক্রুজ অফিসে। সেখানে চেক ইন করেই উঠলাম চমৎকার একটি শিপ এ।


এটা বোল্ট আইল্যান্ড। কিন্তু এটি ইউএস এর মালিকানা। তাই পার্সপোর্ট দেখিয়ে ঢুকতে হয়। কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য পেন্ডামিকের কারনে সেখানে এন্ট্রি ছিল না।

আমেরিকান মিলিয়নিয়ার জর্জ বোল্ট এটি তার স্ত্রী Louise কে উপহার হিসেবে তৈরী শুরু করেছিলেন ১৯০০ খৃস্টাব্দে। কিন্তু ১৯০৪ এ তার স্ত্রী হটাৎ মারা যাবার কারনে মাঝপথে এ ১২০ রুমের ক্যাসেলটির কাজ বন্ধ করে দেয় সে।

বোল্ট ক্যাসেলের ইতিহাস শেয়ার করলাম সবার সাথে:
১৮৫১ জার্মানে জন্ম নেয়া জর্জ বোল্ট ভাগ্য ফেরাতে আমেরিকায় আসে মাত্র ১৩ বছর বয়সে। কর্পদশূণ্য জর্জ সম্পূর্ণ নিজের চেস্টায় খুব অল্প বয়সেই হোটেল ব্যবসা শুরু করে। প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়ে ১৬ বছরের লুইসের। জর্জ তখন ২৫, এর পরের বছরই বিয়ে করেন তারা। সে সময়ে জর্জ কাজ করতো একটি হোটেলের কিচেনে। কিন্তু দু'জনের প্রচেস্টাতেই হোটেল ব্যবসায় সফলতা আসে তাদের। থাইজেন্ড আইল্যান্ডে লুইস সময় কাটাতে খুব পছন্দ করতো সামারে। প্রতি বছরেই আসতো পুরো পরিবার কিছুদিন সময় কাটাতে সেখানে। স্ত্রীর পছন্দকে সন্মান জানাতে ও সারপ্রাইজ দিবে বলে ১৮৯৫ তে এ দ্বীপটি কিনে নেয় জর্জ। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৮৯৯ সালে কাজ শুরু করে সে। জর্জের পরিকল্পনা ছিল ৫ বছরে প্রাসাদ বানানোর কাজ শেষ হবে। স্ত্রী জন্মদিন যা ভ্যালেন্টাইন ডে সেদিন উপহার দিবে এ দ্বীপটি। তাই পুরো প্রাসাদে হার্ট সেপের ছড়াছড়ি। এছাড়াও ও আইল্যান্ডটিকে হার্ট সেইপ করারও পরিক্লপনা ছিল। তারিখ নির্ধারিত হয় ১৯০৪ এ ১৪ ই ফেব্রুয়ারী। কিন্তু সব কল্পনাকে ছাড়িয়ে লুইস মৃত্যু বরন করেন ১৯০৪ এর জানুয়ারীতে। স্ত্রী মারা যাবার সাথে সাথে এক টেলিগ্রাফ বার্তায় শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। কিন্তু সে কাজ আর কখনোই শুরু করেননি বা ফিরেও আসেনি সে দ্বীপে ১৯১৬ সালের নিজের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।


(ছবিতে বোল্ট পরিবারের। ছবির সূত্র: https://www.boldtcastle.com/visitorinfo/about)


ছবিতে খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন ছোট্ট ব্রিজটির একদিকে আমেরিকার পতাকা অন্যদিকে কানাডার। এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ইর্ন্টান্যাশানাল ব্রিজ।

প্রায় ৩ ঘন্টায় পুরো আইল্যান্ড দেখা শেষ। কানাডা থেকে ইউএস বর্ডার ঘুরে ঘুরে সাথে শিপরেকের উপরে নিয়ে যায়। শত শত বছর ধরে এ সেন্ট লরেন্স নদীকে ঘিরে চলে যুদ্ধ ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, আমেরিকার। তাই পানির নীচে আছে অসংখ্য শিপরেক। আমি আশা করেছিলাম শিপরেক দেখতে পাবো। কিন্তু এটা নাকি অনেক গভীরে তাই ভিডিও দেখা ছাড়া কোন উপায় নেই।


(ছবি গুগুল)

অবশ্য ডাইভিং এর ব্যাবস্থা আছে কিন্তু সেখানে ভাইভিং দেয়ার মতো সাহস হয় নাই।

ক্রজ শেষ করতেই দেখি সারে বারোটা বাজে। এদিকে ক্ষিদেয় পেটে চো চো। কোন রকমে ম্যাকে ঢুকে খেতে খেতেই দেখি ২ টা বাজে। হায় হায় তিনটায় টাওয়ারের বুকিং দেয়া। সেটা প্রায় ত্রিশ মিনিট ড্রাইভিং শহর থেকে। কোনরকমে ছুটলাম সেখানে।



ইউএস বর্ডার ছুয়ে রাস্তা ও ব্রিজ দিয়েই যেতে হয় সেখানে। দারুন প্রাকৃতিক দৃশ্য আর ব্রিজ মিলিয়ে অসাধারন কিছু। কিন্তু বাদ সাধলো এ্যালিসাকে নিয়ে। ব্রিজে উঠতেই টোল দিতে হয় ৫ ডলার। এ্যালিসাতো রীতিমত জেরা, কেন আমি টোল দিবো? এটা সরকারী রাস্তা ও আমি ট্যাক্স দেই। আমার অধিকার আছে এটা দিয়ে হাটার। সেখানে কেন আমি পে করবো....।

আমার মাথায় হাত ওর অগ্নিমূর্তি দেখে। জীবনভর পদ্মাুসেতু, যমুনা সেতু, বুড়িগঙ্গায় টোল দিতে অভ্যস্থ আমার কোন গায়েই লাগেনি। কিন্তু সে নাছোড়বান্দা, কোনভাবেই টোল দিতে দিবে না। উপায় না দেখে আমি বল্লাম বাচ্চারা এখানে আছে, তুমি ঝামেলা করো না। বাচ্চাদের কথা শুনে ও রণে ক্ষ্যামা দিলো। (উপরেই সেই ব্রিজের ছবি।)





1000 Islands Tower বর্ডার ঘেষে প্রায় ১৩০ মিটার উঁচু ওয়াচ টাওয়ার। এক নজরে পুরো আইল্যান্ড দেখার জন্য দারুন জায়গা। উপরের ছবির নীচেরটি ইউএস বর্ডারের দৃশ্য। লিফটে করে ৩০ সেকেন্ডে নিয়ে গেল আমাদের শেষ তিন ফ্লোরের আগেই। বাকিটুকু হেটেই উপরে গেলাম। অসম্ভব সুন্দর চারপাশ। এখানে না আসলে মিস হতো বিশেষ কিছু। টাওয়ার ঘুরে নীচের স্যুভেনিরের দোকান। দাম যা দেখলাম হার্টফেল করার অবস্থা। তাই না কিনেই ভাগলাম।


কটেজে ফিরতে ফিরতে প্রায় ৭টা। মেয়ের ধাক্কাতে আবার সুইমিং পুল ও জ্যাকজিতে শাওয়ার!! এবার কোথায় খাবো বলতেই এ্যালিসা ঘ্যান ঘ্যান শুরু করলো সুসি খাবো চলো। সে জানে আমার ছেলে ও আমি সুসি অসম্ভব পছন্দ করি। কিন্তু শহরের একটি মাত্র সুসির দোকান ও তারা ডাইন ইন করে না। প্যান্ডমিকের কারনে অনেক রেস্টুরেন্ট শুধু টেক-আইট সার্ভিস দেয়। বাট আমার এ্যালিসা কোনভাবেই টেক-আইট সার্ভিসে বিশ্বাসী না। তার কথা সুসি হলো আরাম করে খাওয়ার জিনিস। একটা একটা করে অর্ডার দিতেই থাকবো আর খেতেই থাকবো সেটাতেই বেশী মজা। শেষ পর্যন্ত অনেক খুজেঁ প্রায় দেড় ঘন্টা ড্রাইভে আরেক সিটি কিংস্টোনে সুসি রেস্টুরেন্ট খুঁজে পেল সে। অতপর: চল্লাম সেখানে।

বুফে সিস্টেমের এ জাপানীজ সুসিবারে ৩৩০টি আইটেম আছে। একবারেই পে করে যত খুশি খাওয়া যায়। আমি ৩/৪ টা, আমার মেয়ে ১টাই আর ছেলে ৫/৬ টা আইটেম নেবার পর আমাদের আর পেটে জায়গা নেই। কিন্তু ততক্ষনে এ্যালিসার ২২ তম অর্ডার চলছে। এবং সে খেয়েই চলছে, খেয়েই চলছে , খেয়েই চলছে .......। আমি ও আমার ছেলে খাওয়া বন্ধ করে হা করে তাকিয়ে আছি। আজ এতো বছরের পরিচয়ে এতো খেতে কখনোই ওকে দেখি নাই। আমাদের হা করে তাকিয়ে থাকা দেখে একটা ধমক দিলো, তোমরাও খাবা না আবার আমাকেও খেতে দিবা না!! B-))


ক্ষমা চাচ্ছি খাবারের ছবি পোস্ট করাতে্ এটা আমি পছন্দ করি না।

পরদিন নির্দিষ্ট কোন প্লান ছিল না তাই শহর দেখতে বের হলাম।

Gananoque সিটি ফ্রান্স কলোনির গুড়ুত্বপূর্ন সিটি। তাই সারা শহর জুড়ে ঐতির্য্যের চিহ্ন। চার্চ, পানির ফোয়ারা, পুরোনো দালান সবই আগের মতই রেখেছে।




তারপর গেলাম ছেলের পছন্দের মিউজিয়াম দেখতে। কোন টিকেট সিস্টেম নেই সেখানে তবে একটা দান বাক্স আছে ঢোকার মুখে। যে যা পারে তাই ডোনেশান দিয়ে মিউজিয়ামে ঢুকে। ছেলেকে ওর যা খুশি দিতে বল্লাম তাই পার্সটা এগিয়ে দিলাম। কৃপন ছেলে আমার পাঁচ ডলারের নোট নিলো। আমি হাসতে হাসতে বল্লাম এন্ট্রি ফি এতো কম ডোনেশান ঠিক না ;)

ছোট হলে চমৎকার একটি মিউজিয়াম। Gananoque সিটির ইতিহাস জানতে এ মিউজিয়ামটা খুবই ভালো একটি মাধ্যম।





হেটে হেটে শহর ঘুর ক্লান্ত হয়ে বাচ্চারা আর কোথাও যেতে চায়নি খেতে। তাই ম্যাকই ভরসা।

পরদিন চেক আউট করে সকাল এগারোটায় বের হই। পথে ঘন্টাখানের ড্রাইভ করার পর এ্যালিসা বলে উঠলো এ্যাপল ফেস্টিভাল শুরু হয়েছে গতকাল থেকে বিগ এ্যাপল এ। সাথে আছে হ্যান্ড ফিডিং জু, চলো যাই! হ্যান্ড ফিডিং জু শুনেই বাচ্চা চেঁচামেঁচি করে উঠলো যাবো যাবো বলে। তখন কি আর ও আমার কথা শুনে সে!!! সোজা গাড়ি ঘুরায়ে সেখানে রওনা। ঘন্টা দেড়েক ড্রাইভ করে সেখানে দেখি যথেস্ট ভীড়।

এক ডলার দিয়ে ছোট ছোট বক্স থেকে পশুদের খাবার কিনে সব বাচ্চারা চেস্টা করছে পশুগুলোকে খাওয়াতে। এরা খেতে খেতে মনে এতো বিরক্ত যে কাউকে আর পাত্তা দিচ্ছে না। আমার মেয়ে অতি উৎসাহে ভেড়া/ময়ুর/খরগোশ/মুরগীর খাবার কিনেছে কিন্তু একমাত্র ছাগল ছাড়া কেউই কোন আগ্রহই দেখায় নাই। বেচারারা.......



জু ঘুরে এ্যাপল বাগান দেখে তারপর তাদের বেকারী থেকে চমৎকার এ্যাপল পাই কিনে খেতে খেতে রওনা দিলাম।




ছোট কিন্তু চমৎকার একটা ট্যুর শেষ করলাম। আজ এখানেই শেষ।

সবাই ভালো থাকেন।

আগের পর্ব দেখতে চাইলে: এইটা ছবি ব্লগ প্রতিযোগিতা না। Thousand islands ঘুরাঘুরির ছবি........

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার কথা ও ছবিতে ভালোলাগা রইলো।++

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ব্রাদার।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪২

মিরোরডডল বলেছেন:




সোহানীপু,

আজ একটি বিশেষ দিন । সামু ব্লগের ইতিহাসে স্মরণীয় ।
কেনো ?
এই প্রথম সোহানীপুর ছবি ব্লগে ছবিগুলো সোজা হয়েছে (একটা ছাড়া) :)
ওটা কাউন্ট করলাম না । ধরে নিচ্ছি ওটাই তোমার সিগনেচার । :P

ভ্রমন/ছবি ব্লগ বরাবরই ভালো লাগে । তোমারটাও পড়তে ভালো লেগেছে ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫২

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা............ তুমি আমারে ডুবাইবা দেখতাছি। সামু ব্লগের উল্টা ছবি দেয়া আমার সিগনেচার!!!!!!! হায় খোদা আর কোন বিশেষনে বিশেষিত হইতে পারলাম না :P:P:P:P:P:P:P:P:P:P:P:P:P

ছবি সোজা কিংবা উল্টা কোনভাবেই আমার গুন না কিন্তু। আমি আপলোড দেই আর ছবি নিজের মতোই সিদ্ধান্ত নেয় উল্টাবে নাকি সোজা থাকবে.............হাহাহা

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:




নো ওয়্যারীজ আপু ।
কে বললো ক্রেডিট নেই !
উল্টা/বাঁকা ছবির কারনে যে মজার মজার কমেন্ট আসে সেটা খুবই এন্টারটেইনিং ।
লাস্ট পোষ্টে সবার কমেন্ট পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ ।
এ আনন্দ কজন দিতে পারে । :)
ভালো থেকো আপু ।


১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সোহানী বলেছেন: হায় মোর খোদা!!! উল্টা ছবির ক্রেডিট!!!!!!!!

আসলে যা বুঝলাম, একটা একটা ছবি দিলে এ ঝামেলা হয় না। আমি এতো কষ্ট করি না সাধারনত, সবগুলো একসাথে করি। এবারের পোস্টটা সময় নিয়ে করেছি তাই মনে হয় কম বাঁকা হয়েছে।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২১

অপু তানভীর বলেছেন: একটা ফটু এখনও ঠিক হয় নাই ।
ঐটা ওমনই থাকুক । এটা বলা চলে আপনার ছবি ব্লগের ঐতিহ্য ।

এমন পোস্ট দেখলেই মনে হয় আবারও কোথাও ঘুরতে চলে যাই । কিন্তু হায় পকেটে টেকাটুকা নাই !

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা......... মিরো বলছে এইটা আমার সিগনেচার ওঐতিহ্য!!! তোমরা কেউই এর দখল নিতে পারলা না :P

লাগে টাকা দিবে গৈারি সেন!!.......... টাকা-পয়সার চিন্তা করলে জীবনে কিছুই করা হবে না। এই আমি মাত্র ৩/৪ ঘন্টার ড্রাইভিং এ সেখানে গেলাম অথচ বছরের পর বছর ধরে থাকা আমার বাঙ্গালী কানাডিয়ান তেমন কাউরে পাই নাই যে সেখানে গেছে। টাকা থেকেইও ইচ্ছেটাই আসল। আমার বাবা ছিলেন ঘুরাঘুরির মানুষ। সুযোগ পেলেই আমাদেরকে নিয়ে সারা দেশ ঘুরে বেড়াতো। তেমন টাকা পয়সা উনারও ছিল না আবার আমারো নাই।........... মরাল-নো চিন্তা ধুম করে নেড়িয়ে পর!!

৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৪

রানার ব্লগ বলেছেন: ছবির সাথে গল্প বেশ লেগেছে। ধন্যবাদ, এও গরমে একটু শিতল অনুভূতি দেয়ার জন্য।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪

সোহানী বলেছেন: দেশে এখন গরম কিন্তু আমাদের হাল্কা পাতলা ঠান্ডা শুরু হয়েছে। তাই ঘুরতে ভালো লাগে। ৪০ ডিগ্রিতে ঘুরতে গেলে মাথা খারাপ হতে হয়!!

৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কইতে চান, আমার টোটকা ছাড়াই আপনে এতোগুলি ছবি সোজা দিতে পারছেন? কেউ বিশ্বাস করবো আপনের কথা? নো চান্স। একটা পারেন নাই, সেইটা সোজা কইরা দিলাম। আপনে আসলে কোন কামের না। যেইটা আমি পারি, কয়া দেওনের পরেও আপনে পারেন না। হুদাই আমারে দোষ দ্যান!!! গরীবের প্রতি এহেন অবিচার উপরওয়ালা সহ্য করবো না। :(


ছাগলদের সব কিছুতেই আগ্রহ বেশী.........এ আর নতুন কি? =p~

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১১

সোহানী বলেছেন: সব শিক্ষকেরই কিছু ব্যার্থ ছাত্র থাকে :P । এতে শিক্ষকের মন খারাপ হবার কিছু নাই।

তবে বুঝলাম ধীরে ধীরে একটা একটা ছবি পোস্ট করলাম এবার তাই তেমন ঝামেলা হয় নাই। এর আগে একবারেই আপলোড দিতাম। তাই মনে হয় ছবিগুলা এরকম পাগলা আচরন করতো!!

হাহাহা......... ভালো কইছেন!!! ছাগলদের সব কিছুতেই আগ্রহ বেশী..................

একটা বাচ্চারে দেখলাম গাজর নিয়া একটা নাদুস নুদুস খরগোসের পিছনে দৈাড়াইতেছে আর দৈাড়াইতেছে। খরগোসও খাইবো আর বাচ্চাটাও তারে ছাড়বো না............. =p~

আমার ছেলে মেয়ে দু'একবার ট্রাই দেয়ার পর আমার ধমকে ক্ষ্যামা দিসে।

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০০

শায়মা বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!!

ঐ ক্যাসেলটা দেখে তো আমি মুগ্ধ!!!

আমি যাবো!!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

সোহানী বলেছেন: ক্যাসেলটা বাইরে থেকে দেখেছি আপুরে, ভীতরে যেতে পারি নাই। এই দুক্ষে আছি।

আমি তার চেয়েও অবাক তাজমহল থেকেও মি:বোল্ট কম ভালোবাসে নাই তার স্ত্রীকে!! আগে সে ভেকেশানে আসতো দ্বীপে প্রতি বছর। কিন্তু স্ত্রী মারা যাবার পর কখনই আসে নাই সে দ্বীপে। এবং স্পট কাজ বন্ধ করে দেয়। মিলিয়ন ডলার রাতারাতি পানিতে ফেলে দিল। ১০০ বছর ধরে এমন করেই পড়েছিল। পরে সরকারীভাবে সেটাকে কিনে নেয়।

এখানে আরেকটা ক্যাসেল আছে নাম ক্যাসালোমা। আমি এখনো যাইনি তবে তোমার আগ্রহে এবার যেয়ে ছবি তুলবো তোমার জন্য। ক্যাসেল আমার কাছে অপচয় মনে হয়, গরীবকে শোষন মনে হয়। তাই আগ্রহ নেই।

৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাহ চমৎকার আয়োজন ছিলো।

যাক আশস্ত হলাম বিদেশেও টুলের ব্যবস্থা আছে। আর আমাদের দেশে তো আজীবন ধইরা টুল নেয়। সে টুল নেয়া আর বন্ধ হয় না।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১

সোহানী বলেছেন: হাহাহা............. আমি এবারই প্রথম পেলাম। তবে আমাদের হাইওয়েতে দুইটা রাস্তা। একটা টুল সহ আরেকটা টুল ছাড়া। টুলওয়ালাতে তাড়াতাড়ি যাওয় যায়....।

৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বোল্ট আইল্যান্ড এর ছবিটা আগেও দেখেছি মনে হচ্ছে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

সোহানী বলেছেন: হা আগের পোস্টে আছে।

বোল্ট নিয়ে মুভিও হয়েছে মনে হয়।

১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: এত এত ড্রাইভ......সুসি তো বেশি লাগবেই.....। :D

চমৎকার ছবি ও ভ্রমণ ব্লগ সোহানীপা।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোহানী বলেছেন: আমিও খুব অবাক হয়েছিলাম তার খাওয়া দেখে। হুমায়ুন আহমেদের নাটকের সে গরু খাদক বজলুর কথা মনে পড়ে গেল!!!

আসলে সে প্রচন্ড ডায়েট মেইনটেইন করে তাই সবসময়ই কম খায়। তাই তার খাওয়া দেখে অবাক হয়েছি। আর আমি কোনভাবেই খেতে পছন্দ করি না। তাই হয়তো আরো বেশী অবাক হয়েছিলাম।

আমার শশুড় সবসময়ে বলেন উনি একা একটা ছাগল খেতে পারেন। যদিও আমি কখনই তেমনভাবে উনাকে খেতে দেখিনি। আসলে আমার চারপাশের মানুষগুলো খুব কম খাওয়া পাবলিক। শুধুমাত্র আমার মামার বংশ খাদক বংশ :P

১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



চমৎকার ভ্রমন বিবরণ সাথে সুন্দর সুন্দর ছবি ।
সামারে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখকর ভ্রমনের
বিবরণ আমাদের পাঠককুলেও শিহরন জাগায় ।
ঘুরতে মন চায় সে সকল জায়গায় সদলবলে ।
Gananoque এর ঐতিহ্যমন্ডিত স্থাপনা ও
পেনরমিক ছবিসম্ভার দেখে মুগ্ধ ।

Boldt Castle এর কথা শুনে মনে হলো
এটাতো আরেক তাজমহল হতে চলছিল ।
তবে এর বিশেষত্ব হলো এর নির্মান চলছিল
লুইসের জীবিতকালে , মৃত্যুতে এর কাজ বন্ধ
হয়ে গেল , মনে হল লুইসের সাথে বোল্টেরো
জীবন প্রদীপ মুলত নিভেই গিয়েছিল , তার
ভালবাসা তাজমহলের স্রষ্টা শাহজাহানকেও
ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে হয় , কারণ শাহজাহান
পুরা হুসেই ছিল । যাহোক এর অসমাপ্ত নির্মান
কাজ নিয়ে দীর্ঘ সময় জল, বাতাস , বরফ ,
তুষার আর ঝড় জঞ্জা সয়ে এখন সেখানকার কতৃপক্ষের
প্রচেষ্টায় পর্যটন আকর্ষন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে দেখে
ভাল লাগল ।

পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম , সুযোগ পেলে একবার
দেখে আসার ইচ্ছা রাখি ।

শুভেচ্ছা রইল

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩০

সোহানী বলেছেন: ঠিক এটাই আমি বলতে চেয়েছি!! স্ত্রী ভালোবাসার দিক থেকে মি: বোল্ট সম্রাট শাহজাহানকেও ছাড়িয়ে গেছে বলেই আমি মনে করি। স্ত্রী এ দ্বীপে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন বলে এতো বড় একটা উদ্যোগ তিনি নিয়েছিলেন। তখনকার যুগে এভাবে বিল্ডিং ম্যাটিরিয়ালস ক্যারি করা অনেক কঠিন একটা কাজ ছিল। তা জেনেও তিনি এ উদ্যোগ নেন। আবার স্ত্রীর মৃত্যুর সাথে সাথে সে কাজ বন্ধ করে দেন। যতটুকু পড়েছি উনি একদিনের মাঝেই সব লেবারকে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। আর বিল্ডিং ম্যাটিরিয়ালস ওভাবেই পড়েছিল। কখনই আর ফিরে আসেননি। এতো বড় স্যাক্রিফাইসতো সম্রাট শাহজাহান কখনই করেন নাই। যতটুকু পড়েছি সম্রাট শাহজাহান এর অসংখ্য পত্নীর মাঝে মমতাজ একজন মাত্র। ভোগ বিলাসেই মত্ত ছিলেন জীবনভর।

এতো আধুনিকতার মাঝেও Gananoque সিটি এখনো পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। শহরজুড়ে সে পুরোনো স্থাপত্যের ছোয়া। আধুনিক কোন দালান নেই সেখানে বলতে গেলে। কিছু হোটেল নদীর পারে আছে বাট সংখ্যায় খুব কম। বরং কটেজের সংখ্যাই বেশী।

অসংখ্য ধন্যবাদ আমার এ অখাদ্য পোস্টটি প্রিয়তে নেবার জন্য। অনেকদিন আপনার লিখা দেখছি না। আবার কি বিজি হয়ে পড়েছেন?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৭

সোহানী বলেছেন: অবশ্যই দেখা উচিত। আপনার এতো কাছে এমন চমৎকার জায়গাটি না দেখাটা অন্যায়......। ইউএস সাইড থেকে আপনি ইজিলি বোল্ট ক্যাসেলে যেতে পারবেন যা আমরা পারিনি। করোনার কারনে আমাদের সে ফ্যাসিলিটি এখনো বন্ধ রেখেছে কিন্তু আপনারা পারবেন দেখতে। আগামী বছরের মাঝেই সব ওপেন হবে বলেই মনে করি।

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪১

জুন বলেছেন: সোহানী সব কিছু মিলিয়ে প্রকৃতিটা কেমন যেন স্বপ্নের মত লাগলো । সবচেয়ে ছোট্ট ব্রীজের পাশের কুটিরে একদিনের জন্য হলেও থাকতে চাই :)
অসম্ভব সুন্দর ছবি আর বর্ননা সব কিছু মিলিয়ে বড্ড মায়াময় ।
+

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৫

সোহানী বলেছেন: আপু চলে আসেন। তবে আপনিতো আমেরিকা যাবেন, সেখান থেকেই বরং ভালো সুবিধা। অনেক ব্যাবস্থা আছে থাকার। বরং কানাডায় তারচেয়ে কম সুবিধা। মেক্সিমামই প্রাইভেট দ্বীপ।

আপনি যেমন স্থাপনা দেখতে পছন্দ করেন, আপনার জন্য Gananoque সিটি দেখার জন্য ভালো জায়গা। নিরিবিলি বেশ, একা ঘুরে বেড়াতে অবশ্যই ভালো লাগবে।

১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৮

হাবিব বলেছেন: দৃষ্টিনন্দন

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৫

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ হাবিব।

১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ছবির সাথে বর্ণনা পড়ে ভালই লাগল।সুসি খাওয়ার জন্য? ভাল তো।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:৫৭

সোহানী বলেছেন: সুসি আমার খুবই প্রিয়। কিন্তু দাম মারাত্বক। আমার ছেলে মাঝে মাঝে তৈরী করে কিন্তু রেস্টুরেন্টের মতোতো হয়না। তারপরও তার প্রচেস্টাকে আমি উৎসাহ দেই। তাই প্রতিবারেই সুসির সব ম্যাটেরিয়াল কিনে আনি।

১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: দুর্দান্ত!! চমৎকার!!! সেইরকম!!!! ... আর কি কইতাম


আমাদের ঘরে বন্দী করে রেখে আপনি মনের সুখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন- ইটস নট ফেয়ার :(

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:০১

সোহানী বলেছেন: এ কারনেইতো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। যাতে আপনারাও ভার্চুয়ালি ঘুরে বেড়াতে পারেন।

আসলে এখানে সামার মানে দারুন ঘুরাঘুরি। কিন্তু করোনার কারনে গত বছর থেকে ঘরে বসা। দূরে কোথাও তেমন যাওয়া হয়নি। তবে আশে পাশের বীচ, পার্ক, ফরেস্টে ঘুরেছি। সেগুলোর ছবি দেই না কারন নতুন কিছু মনে হয় না।

এই পোস্ট নিজের জন্য লিখে রাখলাম। কারন আমার মেয়েকে বাংলা শিখাচ্ছি। ওকে বলেছি ও বড় হবার পর আমার পোস্টগুলো পড়বে ও ওর বাচ্চাদের পড়াবে। তাই স্মৃতি ধরে রাখলাম।

১৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




একটা কথা আছে - " লেজ দেখে যায় চেনা।"
ব্লগের ছবি দেখলেই বোঝা যায় সোহানী হাজির! :P ২ নম্বরে মিররডডলের মন্তব্যে ++++।
ঘাড় বাঁকা আর আপনাকে ছেড়ে গেলোনা... চু....চু...চু...। টাইগার বাম মাজতে হবে মনে হয় ! #:-S

যাকগে! ছবিরা "কিছু" কথা নয়, অনেক কথাই বলে গেছে। ছবি, বর্ণনা সবটা মিলিয়ে যে ঠসটসে আপেলের মতো (শেষের ছবি) সতেজ পোস্ট দিয়েছেন সেটা খামতিটাকে পুষিয়ে দিয়েছে।

আর যে ভাবে বললেন তাতে বোল্ট সাহেবকে পাশ্চাত্যের সম্রাট শাহজাহান বলাই যায়।
শুভেচ্ছান্তে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৩৫

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা.......... আমার সিগনেচার পোস্ট :P:P:P:P। মিরো, অপু, ভুয়া....... আমারে ডুবাইলো! সাথে আপনিও যোগ দিলেন!!

আসলে সম্রাট শাহজাহানকে আমি সত্যিকারের প্রেমিক খেতাব দিতে ততটা রাজি নই যতটা বোল্ট সাহেবকে দিতে রাজি। আমি জানতামই না থাউজেন্ড আইল্যান্ডস যাবার আগে বোল্ট সাহেবের ইতিহাস। বোল্ট ক্যাসেলেন নাম শুনেছিলাম কিন্তু তার পিছনের ইতিহাস জানতাম না। তাই সত্যিই অবাক হয়েছিলাম যে এমন একজন এর কথা জেনে।

চলে আসেন, নিউইয়র্ক থেকে সহজ হবে আসা। সাথে বোল্ট ক্যাসেল ও সিঙ্গার ক্যাসেল এ ঢুকতে পারবেন ইজিলি। চমৎকার এ প্রাকৃতিক সৈান্দর্য্য অব্যশই দেখা উচিত। করোনা চলে যাক, নেক্সট্ যখন আম্রিকা আসবেন তখন একটা ট্যুর প্লান করেই ফেলেন।

১৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট দিয়েছেন।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৩৬

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৩

কামাল১৮ বলেছেন: করোনা ও ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার জন্য দুরে কোথাও যাওয়া হয় নাই।বাসা থেকে দুই ঘন্টা ড্রাইভের মধ্যেই এবারের সামার কাটিয়ে দিলাম।ভ্রমন কাহিনী ও ছবি উপভোগ করলাম।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৩৮

সোহানী বলেছেন: শহরের আর কোন স্পট বাকি নেই এ দুই সিজনে। কারন করোনার কারনে সব বন্ধ থাকায় আশপাশের গুলোই ছিল ভরসা। কিন্তু আমার নাছোড়বান্দা সঙ্গী-সাথীরাই আমাকে বাধ্য করে বের হতে।

১৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: শেষবার গিয়েছিলাম তাও প্রায় পাঁচ বছর হয়ে গেলো। কথায় কথায় প্রতি সামারে একটু একটু করে দেখা আমার পছন্দ। ইউর টু ডিসকভার বিষয়টা ফলো করি।
পোষ্টের সাথে নতুন করে আবার বেড়ালাম।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৪২

সোহানী বলেছেন: ইয়ে আপু, ইউর টু ডিসকভার বিষয়টা আমিও ফলো করি। আর সে কারনেই কোন প্যাকেজ ট্যুরে যাই না। যেখানেই গেছি নিজের মতো করেই ঘুরে বেড়িয়েছি।

ধন্যবাদ আপু

২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:০১

মিরোরডডল বলেছেন:




শায়মাপুর মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে সোহানীপু তুমি এটা কি বললে B:-)

আমি তার চেয়েও অবাক তাজমহল থেকেও মি:বোল্ট কম ভালোবাসে নাই তার স্ত্রীকে!! আগে সে ভেকেশানে আসতো দ্বীপে প্রতি বছর। কিন্তু স্ত্রী মারা যাবার পর কখনই আসে নাই সে দ্বীপে। এবং স্পট কাজ বন্ধ করে দেয়। মিলিয়ন ডলার রাতারাতি পানিতে ফেলে দিল।

তুমি এখানে ভালোবাসা কোথায় পেলে ?
স্ত্রী মারা যাবার পর কখনই আসে নাই সে দ্বীপে। এবং স্পট কাজ বন্ধ করে দেয় ।
কারনটা খুবই সিম্পল । তখন এই দ্বীপে এসে সে কি করবে ? পাখি উড়াল দিয়েছে ।

তখন সে নতুন পাখি নিয়ে অন্য দ্বীপে রোমান্স করবে ।
এটা অলরেডি লস প্রজেক্ট , এখানে সে কেনো আর ইনভেস্ট করবে ?
মিলিয়ন ডলার সে পানিতে ফেলেনি বরং মিলিয়ন ডলার সেভ করেছে বাকি কাজ কমপ্লিট না করে ।
Its all about business mate :)

লুক, সরকার সেটা কিনে নিয়ে মেইনটেইন করছে ।
তোমরা ভিজিটও করছো আবার মি. বোল্টকে বাহবা দিচ্ছ কত মহান .
এটাই তার প্রাপ্তি । সাপও মড়লো, লাঠিও ভাঙলো না । :)
হি ইজ জিনিয়াস এন্ড আই লাইক ইট ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৩

সোহানী বলেছেন: ১৮৫১ জার্মানে জন্ম নেয়া জর্জ বোল্ট ভাগ্য ফেরাতে আমেরিকায় আসে মাত্র ১৩ বছর বয়সে। কর্পদশূণ্য জর্জ সম্পূর্ণ নিজের চেস্টায় খুব অল্প বয়সেই হোটেল ব্যবসা শুরু করে। প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়ে লুইসের। ২৫ বছর বয়সে তারা বিয়ে করে। তারপর দু'জনের চেস্টাতেই তাদের ব্যবসায় সফলতা আসে। থাইজেন্ড আইল্যান্ডে লুইস সময় কাটাতে খুব পছন্দ করতো সামারে। প্রতি বছরেই আসতো পুরো পরিবার কিছুদিন সময় কাটাতে। স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দিবে বলে ১৮৯৫ তে বোল্ট এ দ্বীপটি কিনে নেয়। সে অনুযায়ী ১৮৯৯ সালে কাজ শুরু। তার পরিকল্পনা ছিল ৫ বছরে প্রাসাদ বানাবে ও আইল্যান্ডটিকে হার্ট সেইপ দিয়ে স্ত্রী জন্মদিনে উপহার দিবে ১৯০৪ এ। কিন্তু ১৯০৪ ই স্ত্রী মারা যায় ও সে কাজ বন্ধ রাখে। আর কখনো ফিরে আসেনি সে দ্বীপে বা কাজ ও করেনি।

স্ত্রীর স্মরণেই বাকি জীবন কাটিয়েছে জর্জ বোল্ট। .........

আর আমাগো মিলিয়নরা বৈধ স্ত্রী রাখে চারখান। অবৈধ রাখে ৪০০ খান। ক্যাসেলতো দূরে থাক সকাল বিকাল ঝাড়ুর বাড়ি দেয় পুরান বউদের। নতুন নতুন কিছু খুঁজে। :P

আমার চোখে সে সত্যিকারের হিরো সে। ভালোবেসে তাজমহল গড়তে চেয়েছিল...........!!!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:০২

সোহানী বলেছেন: ইতিহাসের এ অংশটুকু এড করে দিলাম লিখায়!!!

২১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারণ ছবি ব্লগ তথা ভ্রমণ পোস্ট! ছবিগুলো দৃষ্টিনন্দন, ছুটোছুটির ধারা বর্ণনাও চমৎকার! ৬ নং মন্তব্যের ঘরে বাঁকা ছবিটাকে সোজা করে দেয়ার জন্য ভুয়া মফিজ কে ধন্যবাদ।

পৃথিবীর "সবচেয়ে ছোট ইন্টারন্যাশনাল ব্রীজ" টা সত্যিই দেখার মত, কিন্তু দুই পাড়ে দুই পতাকা দুটোকে তো খুঁজে পেলাম না।

আগামী বছরে কানাডা যাবার ইচ্ছে আছে, ইন শা আল্লাহ। তখন আপনার এ পোস্ট দুটো খুব কাজে দেবে।

আমিও আপনার মত বোল্ট সাহেবকে সম্রাট শাহজাহানের ঊর্ধ্বে স্থান দিলাম। বোল্ট সাহেবের পারিবারিক ছবিটাও খুব সুন্দর। পরিবারের সবাইকে ভালবাসা ও মায়া মমতায় আবদ্ধ বলে ছবি দেখে মনে হয়।

পোস্টে প্লাস। + +

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৪

সোহানী বলেছেন: তাহলে নেক্সট্ ইয়ারে আপনার সাথে দেখা হচ্ছে... ;) । অবশ্যই আগে থেকে বুকিং দিবেন আর শিপক্রুজ টা সকালের দিকে নেয়ার চেস্টা করবেন। তাহলে ভীড় কম হবে ও শান্তিমত ছবি তুলতে পারবেন।

বোল্ট সাহেব অবশ্যই সম্রাট শাহজাহানের ঊর্ধ্বে স্থান পেতেই পারেন কারন উনার কাছে পরিবারই ছিল প্রধান। উপনার প্রেম ছিল স্ত্রীকেই ঘিরে এবং এর বাইরে আর কেউই ছিল না। শাহজাহান সাহবেরা শুধু ভোগেই মত্ত্ ছিলেন জীবনভর।



আমিও চেস্টা করলাম ঝুম করে দেখার জন্য কিন্তু পেলাম না। তবে আছে আমি সামনাসামনিই দেখেছি। হয়তো ছবি ঠিকভাবে তুলতে পারিনি। বিশেষ বিশেষ দ্বীপের স্থানগুলোর খুব কাছেই শিপ যায়। তাই দেখা যায়।

মফিজ ভাই ধন্যবাদ পেতেই পারেন........

২২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫২

নীল-দর্পণ বলেছেন: কী সুন্দর ছবি! ভ্রমন ব্লগ সব সময়ই ভালো লাগার শীর্ষে। এই পোস্টটা ১২ তারিখ দেওয়া, সেদিন ই আল্লাহ আমার দুই কন্যাকে আমার কোলে পাঠান। ওদের জন্যে দোয়া করবেন আপু। :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৭

সোহানী বলেছেন: ও মাই গড!! এত বড় খবর! আল-হামদুলিল্লাহ্ । অনেক অনেক বড় হোক তোমার কন্যারা। একদিন এ ব্লগেই তাদের দেখা পাবো নিশ্চিত। কন্যা সন্তান ভীষনভাবে আশীর্বাদ। সেটা সময় সময়ে বুঝতে পারবে, একটুও বাড়িয়ে বলছি না। নিজের বোনদেরকে দেখছি, নিজের মেয়েকে দেখছি, নিজের মাকে দেখেছি।

২৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩২

হাবিব বলেছেন: মন ভালো নেই, আপনার ব্লগে আসছিলাম নতুন পোস্টের খোঁজে। দেখলাম নতুন কিছু লেখননি। পোস্টের মন্তব্যগুলো পড়ে গেলাম।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:৫৩

সোহানী বলেছেন: মনের আবার কি হইলো!!! বই, মুভি, ট্যুর .... এই তিন জিনিস তোমার মনকে ডাইভার্ট করবে ইজিলি।

হাতে সময় আছে তাই ড্রাফট এর লিখা নিয়া বসছিলাম যে কোন একটা ফাইনাল করবো। কিন্তু প্রায় ৭৩ ড্রাফট........... কোনটা ছেড়ে কোনটা ধরবো তাই কোনটাই শেষ করতে পারছি না।

২৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দুর্দান্ত আপু !!
পারফেক্ট ট্যুর যাকে বলে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৬

সোহানী বলেছেন: তুমি কই ছিলা এ ক'দিন।

চলে আসো আবার যাবো .........

২৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৭

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: দুর্দান্ত

২২ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৬

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.