নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘাস ফুল

মানুষের বিচার্য হোক মনুষ্যত্ব ও মানবতা; কোন ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ কিংবা লিঙ্গ নয়

বিদ্রোহী বাঙালি

লেখালেখির ক্ষেত্রে আমার অলসতা প্রবাদতুল্য।

বিদ্রোহী বাঙালি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালের প্রতিবিম্বঃ নৈতিক আচরণ

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

ইংরেজ দুঃশাসনের দু’শো বছর এখনো ইতিহাসের পাতায় দগ দগে ঘা হয়ে আমাদের যন্ত্রণা দেয়। উপনিবেশিক শোষণের জাল তারা ছড়িয়ে দিয়েছিল বিশ্বময়। তখন বলা হত, ‘ব্রিটিশ সাম্রাজে কখনো সূর্য অস্ত যায় না’। যদিও তাদের উপনিবেশিকতার যুগ শেষ হয়েছে বহু আগেই তবুও তাদের আভিজাত্য এতটুকু কমে নাই। তারপরও তারা বিশ্বে ভদ্র জাতি হিসাবেই পরিচিত। শুধু কথায় কথায় ‘ধন্যবাদ’ আর ‘স্বাগতম’ বললেই মানুষ ভদ্র হয়ে যায় না। ভদ্র হওয়ার জন্য কিছু মানবিক গুণাবলীও থাকা চাই। ইংরেজদের মতো শোষকদেরও যে কিছু মানবিক গুণাবলী আছে, তা স্বচক্ষে না দেখলে হয়তো বিশ্বাসই করতাম না।



লন্ডন জীবনের দ্বিতীয় দিনেই পৃথিবী বিখ্যাত পাতাল রেলে চড়ার লোভ সংবরণ করতে পাড়লাম না। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ চলছিল তখন। প্রচণ্ড শীত। এর মধ্যেই বেড়িয়ে পড়লাম। বাসা থেকে আধা কিলোমিটার দূরেই একটা পাতাল রেল ষ্টেশন ছিল। হেঁটেই চলে এলাম। সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামতে হবে। কারণ এই ষ্টেশনে এস্ক্যালেটার নাই। সিঁড়ি ভেঙে যখন নিচে নামছি তখন দেখলাম একজন ভদ্র মহিলা পুশ চেয়ার নিয়ে সিঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। সম্ভব নামতে পারছেন না। সেদিকে ভ্রূক্ষেপ না করে আমি সামনে আগালাম। মাত্র কয়েকটা সিঁড়ি ভেঙেছি, এমন সময় শুনতে পেলাম কে যেন বলছে, ‘আমি কি আপনাকে সাহায্য করতে পারি?’ পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি একটি টিনেজার ছেলে ভদ্র মহিলাকে সাহায্য করছে সিঁড়ি ভাঙার জন্য। আমার কী দায় পড়েছে আরেকজনের বোঝা টেনে বেড়ানোর, এই ভেবে মনে মনে একটা ভাব নিলাম। ষ্টেশনের নামার মিনিট খানেকের মধ্যেই ট্রেন চলে আসলো। ষ্টেশনে ভীর কম থাকলেও ট্রেনের ভিতর যথেষ্ট ভীর ছিল। কোন সিট খালি ছিল না। অনেকের মতো আমিও দাঁড়িয়ে আছি। এক মিনিটের মধ্যেই পরবর্তী ষ্টেশনে চলে এলাম। একজন যাত্রী সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো নামার জন্য। আমি আগে থেকেই বাজের চোখ নিয়ে এদিক সেদিক তাকাচ্ছিলাম কে নামে দেখার জন্য। তাই মুহূর্ত দেড়ি না করে লম্বা পা ফেলে সিটটাতে বসে পড়লাম। চোখে মুখে আমার রাজ্য জয়ের ঝিলিক। মনে মনে বলছি, তোরা এই সব ব্যাপারে আমাদের সাথে পারবি না কোন দিন। আমাদের দেশের লোকাল বাসে চলাচল করার অভ্যাস থাকলে তোরাও পারতি।



দেশে থাকতে রোজ এয়ারপোর্ট থেকে বাস ধরে অফিসে যেতে হত। সেখান থেকেই আমি এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। একদিনের কথা মনে হল, আজও মনে মনে হাসি। সকাল সাড়ে আটটায় ছোটখাটো একটা যুদ্ধ জয় করে মালিবাগের বাসে উঠেছি। শরীরটাকে গলিয়ে একটু ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়েছি। তাতেই বাকী কাজটা হয়ে গেলো। কিছুক্ষণ পর নিজেকে আবিষ্কার করলাম মোটামুটি বাসের পিছনের দিকে। আবুল হোটেলের কাছে নামতে যেয়েও আবার যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হল। বীরের মতো দুটো যুদ্ধ জয় করে অফিসে এসেই সরাসরি ওয়াশ রুমে চলে গেলাম ফ্রেস হওয়ার জন্য। চোখে মুখে পানি দেয়ার আগে চশমাটা খুলে নেয়া উচিৎ। কিন্তু চশমা খুলতে যেয়ে দেখি চশমা নাই। আমি শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম সকালে বের হওয়ার সময় চশমা পড়েই বের হয়েছি। তারপরও বাসায় ফোন দিলাম কনফার্ম হওয়ার জন্য। বাসায় চশমা নাই। বুক পকেটে হাতিয়ে দেখি তাতেও নাই। তারমানে বাসে ভীরের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি করতে যেয়ে কোন এক ফাঁকে চোখ থেকে চশমাটা পড়ে গিয়েছে। অথচ টেরই পাইনি। তো যা বলছিলাম। সিটের কাছেই একজন দাঁড়িয়ে ছিল। ইচ্ছা করলেই সুড়ুত করে বসে পড়তে পারতো। কিন্তু সে বসে নাই। সে বসে নাই, তাতে আমার কী। ট্রেন ছাড়ার আবার মিনিট দুয়েকের মধ্যে অন্য আরেকটি ষ্টেশনে চলে এলাম। এবার আমার সামনের সিটের যাত্রী নেমে পড়লো। তখনো কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে। ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে, তবু কারো কোন তাড়াহুড়ো নাই সিটটিতে বসার জন্য। মিনিট খানেক হয়ে গেলো সিটটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সিটটার পাশেই দাঁড়ানো একজন তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অন্যজনকে বলছে, ‘আপনি সিটটাতে বসতে পারেন’। তখন অন্যজন ‘ধন্যবাদ’ দিয়ে বসে পড়লো।



ইংল্যান্ডে বাস এবং ট্রেনে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আলাদা সিট সংরক্ষিত আছে। তবে সিট খালি থাকলে অন্যরাও বসতে পারে। একদিন বাসে উঠলাম। একটা সংরক্ষিত সিট খালি পেয়ে বসেও পড়লাম। কয়েক স্টপেজ পর একজন বয়স্ক যাত্রী উঠলো। কিন্তু আমি একটু অন্য মনস্ক হয়ে মোবাইলে কথা বলছিলাম বলে তাকে দেখি নাই। সিটে বসেই আছি। যাত্রী উঠা শেষ কিন্তু বাস ছাড়ছে না। আমি তখনও মোবাইলে কথা বলছি। তাই কারো কথাও আমার কানে ঠিক মতো আসছিল না। হঠাৎ আমার পাশের সিটের জন বললো, ‘ড্রাইভার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে’। ড্রাইভারের দিকে তাকানোর আগে বয়স্ক লোকটার দিকে চোখ পড়লো। সাথে সাথে উঠে দাঁড়িয়ে লোকটাকে বসতে অনুরোধ করলাম আর ‘দুঃখিত’ বললাম। ‘ঠিক আছে, ধন্যবাদ আপনাকে’ বলে লোকটা বসে পড়লো। সাথে সাথে বাসও ছাড়লো। ড্রাইভার তখনো কী যেন বির বির করে বলছে। আমি বোকা বনে গেলাম।



এই সব ঘটনাগুলোকে প্রথম প্রথম অস্বাভাবিক বলে মনে হত। কিন্তু দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতায় দেখলাম এগুলোই স্বাভাবিক। বরং উল্টোটাই অস্বাভাবিক। আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে বেশীরভাগ সময়ই দেখি ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু এই দেশে সাথে সাথে গাড়ি থামিয়ে প্রথমে এম্বুল্যান্স এবং তারপর পুলিশ ডাকবে। রাস্তায় কাউকে অসুস্থ দেখলে যতটা পারি আমরা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। আর এই দেশে রাস্তায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে যে দেখবে সে-ই এম্বুল্যান্স ডাকবে এবং এম্বুল্যান্স না আসা পর্যন্ত রোগীর সাথেই থাকবে। আমি বলবো না যে এই সব আমাদের দেশে হয় না। অবশ্যই হয়। তবে সংখ্যায় এতোই কম যে, সেটা আমাদের কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়। তাইতো পরের দিন পত্রিকায় উঠে আসে ওইসব ঘটনা।



স্কুল জীবনেই ইংরেজ ছেলেমেয়েরা এই ধরণের শিক্ষা পেয়ে থাকে। পাশাপাশি পরিবারের অন্য সবার কাছ থেকেও এই শিক্ষা পাচ্ছে। তাই এই সব মানবিক গুণাবলী তাদের রক্তে ঢুকে পড়েছে। তবে এর ব্যতিক্রম যে নেই, তা কিন্তু বলছি না। তবে তা সংখ্যায় খুবই কম। আমাদের দেশেও যদি স্কুল জীবনে এই ধরণের মানবিক গুণাবলীর ব্যাপারে শিক্ষা দেয়া হত এবং পারিবারিকভাবেও যদি এর চর্চা হতো, তবে আমরা ইংরেজদের চাইতে আরও বেশী ভদ্র জাতিতে পরিণত হতে পারবো। কারণ এগুলোর সাথে যোগ হবে বাঙালীর স্বভাবজাত বিনয়ী আচরণ, ধর্মপরায়ণতা, অতিথিপরায়ণতাসহ আরও বেশ কিছু গুণ, যা ইংরেজদের মধ্যে নেই বললেই চলে। জার্মান কবি Johann Wolfgang von Goethe এর একটা উক্তি দিয়ে লেখাটা শেষ করছি। তিনি বলেছেন, ‘A man’s manners are a mirror in which he shows his portrait.’



(ধারাবাহিক হলেও প্রতিটা পর্ব স্বতন্ত্র)

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: শতভাগ শিক্ষিত জাতী ছাড়া এমন সভ্য হওয়া সম্ভব না, আমাদের সম্ভবত আরো চার পাচটা প্রজন্ম লেগে যাবে .... ভালো লাগলো আপনার অভিজ্ঞতা

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অবশ্যই এখানে শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। তবে সবাইকে শিক্ষিত করে তোলার জন্য যদি অপেক্ষা করা হয়, তখন কয়েক প্রজন্ম পরেও সম্ভব নয়। বরং শিক্ষা এবং এটাকে পাশাপাশি এগিয়ে নিতে হবে। যদি আমাদের পরিবারে এসববের প্রচলন শুরু হয়, তখন দ্রুতই এটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে আমার বিশ্বাস। কারণ বাচ্চার শিখে মা বাবার কাছে। অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর অভিমতের জন্য স্বপ্নবাজ অভি।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: আম্রা ইংরেজদের অধীনে ছিলাম এটা একদিক দিয়ে ভালো হইছে, ফ্রেঞ্চ অথবা ডাচরা ওদের কলোনির জন্য তেমন কিছুই করেনাই। কেবল চুষেই গেছে। প্রতিটা জাতির নিজের কিছু ব্যাপার থাকে। এলাকা ভেদেও অনেক পার্থক্য দেখা যায়। ঢাকাইয়ারা যেমন অতিরিক্ত দিলখোলা মেহমানদারীতে দেশের অন্য জেলার মানুষের চেয়ে। শেখার অথবা নিজের করে নেওয়ার মত জিনিসগুলো মানুষের নিজের ব্যাপার। নিজের ভালো মন্দ বোঝার বোধ অনেক বড় একটা ব্যপার। জেনেটিক, ভোউগোলিক ইথবা আর্থিক দিকগুলো মানুষের মানবিক গুনাবলীর কোর্স ডিটারমাইন করে দিতে ভুমিকা রাখে। আফটার অল আমরা মানুষতো ...

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনি বেশ কিছু চমৎকার কথা বলেছেন। ফ্রেঞ্চ এবং ডাচদের ব্যাপারে আপনার মূল্যায়ন সঠিক। ইংরেজরা আমাদের শোষণ করলেও যখন তারা চলে যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাটসহ অনেক কিছুই রেখে গেছে।
প্রতিটা জাতির অবশ্যই কিছু নিজস্বতা থাকে। তবে ভালো কিছু যেকোনো জাতির কাছ থেকেই অনুকরণ বা অনুসরণ করার পক্ষপাতি আমি। জেনেটিক, ভৌগলিক অথবা আর্থিক দিকগুলো মানুষের গুণাবলীর কোর্স ডিটারমাইন করতে ভুমিকা রাখলেও আমাদের মধ্যে যদি স্বদিচ্ছা থাকা আর ভালো মন্দ বুঝার মতো বোধ থাকে, তবে অবশ্যই এগুলোর বাহিরে গিয়েও আমরা আমাদের মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটাতে পারি। কারণটা আপনিও বলেছেন, 'আফটার অল আমরা মানুষতো'!
দারুণ মন্তব্যে পোস্টের বক্তব্যকে আরও অর্থবহ করে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ আমি অথবা অন্য কেউ। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

ডি মুন বলেছেন:
অসাধারণ
+++++++

বাংলায় একটা কথা আছে না , ব্যবহারে বংশের পরিচয়।
আসলে একটা জাতি ভদ্র এবং শিক্ষিত কিনা এটা তার দৈনন্দিন ব্যবহারেই ফুটে ওঠে। আর এজন্যে শৈশব থেকেই একটি ছেলে/মেয়েকে ভালো আচরণ শিক্ষা দেয়া জরুরী। কারণ শৈশবের শিক্ষায় স্থায়ী হয়।

আমাদের দেশে যখন কারো সততার খবর পত্রিকায় পড়ি তখন ভীষণ খারাপ লাগে, মনে হয় এটা পত্রিকায় আসার মানে কি !! এটা কি কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা ? সততা কি এতটাই দুষ্প্রাপ্য এখন !!! অথচ সবাই সৎ হবে, মানবিক হবে এমনটাই তো হওয়া উচিত ছিল।

যাহোক একদিন হয়তো আমরাও...


খুব চমৎকার একটি লেখা। শেয়ার দিলাম।
আর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৩

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার দারুণ বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যের প্রতিটি বক্তব্যের সাথে আমি সহমত পোষণ করছি। শৈশবের শিক্ষা আসলেই স্থায়িত্ব পায়। তাই সততার শিক্ষাগুলো যদি আমাদের সন্তানদের শৈশব থেকেই রপ্ত করা শেখাই, তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের মধ্যে মানবিক গুণাবলীও প্রস্ফুটিত হবে।
আমাদের দেশে যে সততার অনেক অভাব, সেটা উপলব্ধি করতে আমাদের বেগ পেতে হয় না, যখন সততার ঘটনাকে পত্রিকা ফলাও করে প্রচার করে। আপনি যথার্থই বলেছেন, "সবাই সৎ হবে, মানবিক হবে এমনটাই তো হওয়া উচিত ছিল। "

আপনার সাথে আমিও আশাবাদী একদিন হয়তো আমরাও.......
শেয়ার করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ ডি মুন। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অসাধারন লেখনী , পোস্টে ধন্যবাদ ++++++++++++++

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: সামান্য লেখাকে অসাধারণ বলে লজ্জা দিলেন পরিবেশ বন্ধু। পাশে পেয়েছি, তাতেই ভীষণ খুশি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৩

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হাসতাসি আর হাসতাসি তোমার লেখা পইড়া
বেশ গুছায়ে লিখেছো,

এখানেও এমন দেখছি

ভাল থেকো

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: হুম! তোমার ওখানেও এমনি হওয়ার কথা। তুমিও ভালো থেকো। মাহির সোনাকে আদর দিও।

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আমাদের মন আছে ঠিকই কিন্তু তার মানবিক দিকটা বিকল হয়ে আছে।
প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক শিহ্মাই পারে মানুষকে ভালবাসা শেখাতে।
আর ভালোবাসলে একজন আরেকজনের কষ্টটাও বুঝতে পারবে।
তখন মনে হয় আহত লোকদের রাস্তায় ফেলে কেউ অফিসের জন্য হন্তদন্ত হয়ে ছুটবে না।

লেখায় ভালো লাগা।
+++

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৪২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমাদের মন আছে ঠিকই কিন্তু তার মানবিক দিকটা বিকল হয়ে আছে।
প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক শিহ্মাই পারে মানুষকে ভালবাসা শেখাতে।
আর ভালোবাসলে একজন আরেকজনের কষ্টটাও বুঝতে পারবে।
তখন মনে হয় আহত লোকদের রাস্তায় ফেলে কেউ অফিসের জন্য হন্তদন্ত হয়ে ছুটবে না।

কথাগুলো যথার্থ বলেছেন রাজপুত্র। ভালোবাসা অনেক কিছুর সমাধান করে দিতে পারে। অথচ সেটা আমাদের মধ্যে থাকলেও স্বার্থপরতায় ভরপুর। আপনার কথাগুলো পোস্টের জন্য সংযুক্তি স্বরূপ। অনেক ধন্যবাদ রাজপুত্র।

৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আসলে সব কিছুই আইনের শাসনের উপর নির্ভর করে। আইন ভঙ্গ করলে শাস্তি হবে এটা নিশ্চিত করা গেলে আমাদের দেশেও এরকম হবে। আরবদের বর্বর জাতি বলা হয়। কিন্তু এখানে আমি দেখছি ওরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ওদের শিক্ষার হার অনেক কম কিন্তু আইন ঠিকই মেনে চলে।

আমার এখানে বাস সার্ভিসে মহিলা ও শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট আসন বরাদ্দ করা আছে। সিট খালি থাকলেও সেখানে কারো বসার অনুমতি নেই। মহিলা একজনও না থাকলেও কেউ সেখানে বসবে না।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:০৪

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আইন মেনে চললে অনেক কিছুরই সমাধান হয়ে গেলেও সব কিছুর সমাধান হয় না। মহিলা, শিশু কিংবা অন্তঃসত্ত্বা মহিলা হয়তো আইন মেনে চলার জন্য তাদের নির্ধারিত সিট ফিরে পাবে কিন্তু অন্য কোন সিট খালি হওয়ার পর আমাদের মধ্যে বসা নিয়ে যে হুড়োহুড়ি হয় বা প্রতিযোগিতা হয়, তা কিন্তু আইন এসে সমাধান করে দিতে পারবে না। কিংবা কেউ একজন ওজন নিয়ে সিঁড়ি ভাঙতে পাড়ছেন না, তাকে স্বপ্রণোদিত হয়ে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে যাওয়ার মন মানসিকতাও কিন্তু আইন দ্বারা সম্ভব নয়। এগুলোর জন্য দরকার সুস্থ মন মানসিকতা ও মানবতা বোধ। আমি মূলত এই ব্যাপারটাকেই ইংগিত করতে চেয়েছি, যা আমাদের মধ্যে গড়ে উঠলে বিশ্বের বুকে আমরা একটা গর্ব করার মতো জাতিতে পরিণত হব। এখনো করি, কিন্তু তখন সবাই করবে। তবে এগুলো একদিনে সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আর তার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি পারিবারিক শিক্ষাটাও বিশেষ জরুরী। অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৪

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন:

It was a setback
As it put a brake
On the steady progress
Of unmasking the prevarication!

I didn’t mince words,
I was not supposed to,
Following the old adage
Waited for the right time?
NO. Created the right time!

All the intransigence
Became friendly, all
That was insurmountable
Could be reached, all that
Was opaque allowed
The light to pass through.

But,
All that was permanent
And worthy rendered
Impermanent and worthless!

In spite of that
I was nonchalant,

Because,
I am the master of my fate
I am the creator of my destiny!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:১১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: যার মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে, সেই কেবল আপনার মতো দৃঢ় উচ্চারণে বলতে পারে,
I am the master of my fate
I am the creator of my destiny!

ইংরেজি কবিতাটি মূল্যায়নে যাবো না, কারণ ততোটা জ্ঞান আমার মধ্যে নাই। ব্লগ ছেড়ে দেয়ার সাথে এই কবিতার কোথায় যেন একটা যোগসূত্র আছে। উদাসীনের মতোই কিছু অব্যক্ত কথা কৌশলে কবিতায় আশ্রয় রোপণ করেছেন। এখানেও আবার বলছি, ব্লগিংটা উপভোগ করুন। গড়ে উঠা সম্পর্কগুলোকে সম্মান করুন।

৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৪৯

নীল আতঙ্ক বলেছেন: চমৎকার লেখা।
অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম।
সময় পাচ্ছি না একদম, আপনার ব্লগে এসেছিলাম অনুগল্প খুজতে পেয়ে গেলাম রত্ন গল্প।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আসলেই কয়েকদিন আপনাকে দেখি নাই। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মনে হয়। অণুগল্প লেখা আছে কিন্তু পোস্ট করা হচ্ছে না। কয়েক দিন পর করবো। খুঁজে গেছেন জেনে খুশি হলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন নীল আতঙ্ক। আপনিও ভালো থাকবেন।

১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

আরমিন বলেছেন: Nice write up! Hope to get more about your experience!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অভিজ্ঞতার যদিও অভাব নাই, তবুও সব অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে ইচ্ছা হয় না। শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতাটুকু শেয়ার করার চেষ্টা করবো মাঝে মাঝে পোস্ট দিয়ে। ভালো লাগায় উৎসাহ পেলাম। ধন্যবাদ আরমিন২৯। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

তুষার কাব্য বলেছেন: চমত্কার লিখেছেন ভাই ।আসলে আমাদের চেতনা,বোধ,নৈতিকতা,সহনশীলতা,সহমর্মীতা এসব শব্দ গুলো আমাদের ডিকসনারিতে নেই অথবা হারিয়ে গেছে ।

এসব পুনরিজ্জীবিত করতে হলে আমাদের মানসিক ভাবে শিক্ষিত হওয়া খুব জরুরি ।
ভালো থাকুক মানুষ,ভালো থাকুক পৃথিবী......

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আসলে আমাদের চেতনা,বোধ,নৈতিকতা,সহনশীলতা,সহমর্মীতা এসব শব্দ গুলো আমাদের ডিকসনারিতে নেই অথবা হারিয়ে গেছে ।

যেহেতু এগুলোর অভাব বোধ করি, তাই হারিয়ে গেছে বলে আপনি অত্যুক্তি করেন নাই।
তবে আশার কথা হল, হারিয়ে যাওয়া অনেক জিনিস ফেরত পাওয়া না গেলেও এগুলোকে ফেরত পাওয়া বা পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের পারিবারিক শিক্ষা এবং মানসিক ভাবে শিক্ষিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে অবশ্যই চেতনা,বোধ,নৈতিকতা,সহনশীলতা,সহমর্মীতা ইত্যাদি মানবিক গুণাবলীকে পুনরুজ্জীবিত করা যেতে পারে।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ তুষার কাব্য। ভালো থাকবেন।

১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

নেক্সাস বলেছেন: আমাদের সভ্য হওয়া এখনো অনেক দুরের আশা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমাদের সভ্য হওয়া এখনো অনেক দূরের আশা হলেও আশা যে এখনো আছে সেটাই কিন্তু ইতিবাচক দিক। আমাদের আশা পূরণের জন্য চেষ্টা করে যেতে হবে নেক্সাস। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:






ব্লগে এরকম লেখাগুলো খুব মিস্ করছি। বিস্তর শিক্ষার মধ্যেও ম্যানার/এটিকেট আমাদের মধ্যে দারুণভাবে মিসিং!

অনেক সাহসী সংস্কারের পরও আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় বিশাল বড় একটি মিসিং আছে। সেটি হলো নৈতিক শিক্ষা, এটিকেট, ম্যানার, পরিচ্ছন্নতাবোধ ইত্যাদি....

আপনার লেখাটি পড়ে সেটিই বারবার মনে পড়লো।






গতকাল ছুটি অনেক চেষ্টা করলাম একটি পুরাতন লেখাকে পরিমার্জন করে সামুতে প্রকাশ করতে। দেশের ইন্টারনেটে যে কি হলো, গতকাল প্রবেশই করতে পারি নি।

শুভেচ্ছা জানবেন, বিদ্রোহী বাঙালী।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অনেক সাহসী সংস্কারের পরও আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় বিশাল বড় একটি মিসিং আছে। সেটি হলো নৈতিক শিক্ষা, এটিকেট, ম্যানার, পরিচ্ছন্নতাবোধ ইত্যাদি....
সহমত। আমার শিক্ষা জীবনের অভিজ্ঞতাও তাই বলে। স্কুল জীবনে কখনো এই সব ব্যাপারে আলাদা করে আমাদের কোন শিক্ষা দেয়া হয়েছে বলে মনে পড়ে না। অথচ আমি যেখানে আছি সেখানে এই সব ব্যাপারকে অনেকটা হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া হয়। পরিবারগুলো পাশাপাশি সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
ব্লগে নৈতিক শিক্ষা, এটিকেট, ম্যানার, পরিচ্ছন্নতাবোধ ইত্যাদি নিয়ে আসলেই পোস্ট কম। জানি না কেন এমনটা হচ্ছে। এই সব ব্যাপারে পিছিয়ে পড়ার জন্য আমাদের এই ধরণের উদাসীনতাও কাজ করছে।
দেশে ইন্টারনেট এর আবার কী হল? আজ কেন ট্রাই করে দেখছেন না? আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন?
যেকোনো পোষ্টে আপনার অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে পোস্ট দাতাকে আনন্দ দেয়, কিছু সংযুক্তি পাওয়া যায়, বিশ্লেষণে পোস্ট আরও বেশী তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠে। আমার এই পোস্টেও তার ব্যতিক্রম হয় নাই। অনেক ভালো লাগলো মইনুল ভাই। আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা নিবেন।

১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২১

নীল লোহীত বলেছেন: ভদ্রতা আর মানবতারর হাতেখড়ি পরিবার থেকেই শুরু হয়।

কিন্তু যে পরিবারের সদস্যদের নিজেদেরই ভদ্রতার বালাই নাই তারা সন্তানদের কি শিক্ষা দিবেন।

আসলে শুধু পরিবারের দোষ দিয়েও লাভ নেই আমাদের সমাজের গঠনতন্ত্রটাই এমন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: পরিবার নিয়েই সমাজ, আর সমাজ নিয়েই রাষ্ট্র। সুতরাং পরিবারকে মনে হয় আমাদের নির্দোষ বলা ঠিক হবে না। কোন না কোন পরিবারের সদস্যরাই কিন্তু আমাদের সমাজের তথা দেশের অধিকর্তা। তাই পরিবার এবং সমাজ দুটোই দায়ী।
আপনি যেমনটা বললেন, "ভদ্রতা আর মানবতারর হাতেখড়ি পরিবার থেকেই শুরু হয়।" আসলেই তাই। এই হাতেখড়ি ব্যাপারগুলোই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠে যখন এগুলো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমাদের শিক্ষা দেয়া হয় এবং পরিবারে চর্চা অব্যাহত রাখা হয়।
অনেক ধন্যবাদ নীল লোহীত।

১৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লেখা। হ্যাঁ শিক্ষা, পরিবারিক শিক্ষা সরকারী মিক্ষা সব দরকার হবে। তবে কয়েক যুগের অভিজ্ঞতা তেকে বলা যায়, এর থেকে উত্তরণের চান্স খুব কম। ঢাকার রাস্তা দিয়ে হাটছি কটা ছেলে সিগারেট খাচ্ছিল, ১৮-২২ বয়স। ওটা খাওয়া ঠিকনা বলতে গিয়ে ঝাড়ি খেতে হলো, ' চাচা রাস্তা নাপেন নাইলে আপনেরেই খাওইয়া দিমু'! এটা বলা যায় নাহিদের কল্যানে ওরা গোল্ডেন পাঁচ পেয়েছে!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: নাহিদ আর কিছু দিতে না পারলেও গোল্ডেন পাঁচ দিচ্ছে ভূরি ভূরি। কিন্তু আফসোসের কথা হল, এর মধ্যে বেশীর ভাগই নকল গোল্ড। এটাও প্রমাণ করে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা নাজুক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যেখানে গোল্ডেন পাঁচ পাওয়াই মুখ্য সেখানে নৈতিকতা, মানবিকতা, সহমর্মিতা, ভদ্রতা ইত্যাদি শিক্ষা অনেকটা বাহুল্য হয়ে পড়েছে।
আপনার ছোট্ট অভিজ্ঞতাও তারই প্রমাণ বহন করে। তারপরও যদি আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাই, আমি মনে করি এখনো সম্ভব। হয়তো সময় লাগবে। তবুও অপেক্ষা করতে রাজি থাকা দরকার। পাশাপাশি পরিবারগুলোকেও সচেতন হয়ে উঠতে হবে।
বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে প্রাসঙ্গিক সুন্দর কিছু কথা বলেছেন ঢাকাবাসী। আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো। ভালো থাকবেন সতত।

১৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

দিশেহারা আমি বলেছেন: হুম,পড়লাম।
অনেকেই - প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক শিক্ষা, কে দোষারোপ করেছেন। আসলে ব্যাপারটা কিন্তু এরকম না।জীবনে চলার পথে দেখে দেখে কিছু শিখার ব্যাপার ও আছে।তা নাহলে,ভিড় ঠেলে বাসে উঠতে গিয়ে চশমা হারিয়ে ফেলা ছেলেটি ,নিজের সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়াত না।
আপনিও দেখেছেন, শিখেছেন।
আমরাও পারবো।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: দেখে শেখার ব্যাপারটা অস্বীকার করার জো নেই। কিন্তু যাদেরটা দেখে শিখবো, তারা কোত্থেকে শিক্ষা নিচ্ছে সেটা ঘেঁটে দেখলে প্রাতিষ্ঠানিক এবং পারিবারিক শিক্ষাই চলে আসার কথা, তাই না? অনেক ধন্যবাদ দিশেহারা।

১৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

তাশমিন নূর বলেছেন: Good post. Agreed to your last words.

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আজও কী মোবাইল থেকে? :)
সহমত প্রদর্শনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ তাশমিন নূর। ভালো থাকবেন।

১৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: বাঙ্গালীর সাথে অন্য কোন জাতির কি তুলোনা চলে ঘাস ভাই ??

বাঙ্গালী তো বাঙ্গালী !!!!!

সারা জীবন লাঠির গুতা খাইয়া বড় হল সবাই। আর এখন তো কেবল নতুন জীবন পাইল সবাই। এই সব শিখতে আর ও অনেক দেরি।

এখন ও একটু সচেতন মানুষ কে এই দেশে নির্বোধ বলেই মনে করা হয়। :P

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:০৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: যেখানে ভেজালের ছড়াছড়ি সেখানে আসলকেও কেউ যদি ভেজাল মনে করে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সচেতন মানুষকে তাই কেউ নির্বোধ ভাবতেই পারে। কারণ আমরা সংখ্যায় বেশী সচেতন নই।
বাঙালীর ইতিহাস অনেক গৌরবের। তাই আমি এখনো আশাবাদী একদিন হয়তো আমাদের মধ্যেও মানবিক গুণাবলী ইংরেজদের মতো বিকশিত হবে।
পথিক দেখা যায় বাঙ্গালীদের নিয়ে অনেক নিরাশ। কিন্তু নিরাশ হলে কি চলবে? পথ যে রুদ্ধ হয়ে যাবে। অনেক ধন্যবাদ অর্বাচীন পথিক। আপনাকে কিন্তু আমি নির্বোধ ভাবী নাই। :P

১৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:০০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: বিদ্রোহী ভাই, আমাদের সব কিছুই এক্সট্রিম লেভেলের। আমরা যখন সেলফ সেন্টারড হই এক্সট্রিম লেভেলের হই, তখন কোন ভব্যতাই আমাদের থাকে না। আবার যখন আমরা মানবিক হই তখনও এক্সট্রিম লেভেলের। মানুষকে সাহায্য করার জন্য ধ্বংস হয়ে যাওয়া কোন ভবনে ঢুকে পরি নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে। আবার কখনো একটি বাচ্চাকে বাঁচানোর জন্য পাইপের মধ্যে নামতেও দ্বিধা বোধ করি না। আমাদের সব কিছু নিয়মের বাইরে গিয়ে করা তাই আসলে সেভাবে চোখে পড়ে না।

পারিবারিক শিক্ষা এই বিষয়ে অত্যন্ত জরুরী। ছোট বেলা থেকেই একটি শিশু এই বিষয়ে যদি পরিবার থেকে শিক্ষা পায় তাহলে সেই দিন দূরে নয় যখন আমরাও গর্ব করে বলতে পারব আমরা সভ্য একটি জাতি।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমাদের সব কিছুই এক্সট্রিম লেভেলের। আমরা যখন সেলফ সেন্টারড হই এক্সট্রিম লেভেলের হই, তখন কোন ভব্যতাই আমাদের থাকে না। আবার যখন আমরা মানবিক হই তখনও এক্সট্রিম লেভেলের। মানুষকে সাহায্য করার জন্য ধ্বংস হয়ে যাওয়া কোন ভবনে ঢুকে পরি নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে। আবার কখনো একটি বাচ্চাকে বাঁচানোর জন্য পাইপের মধ্যে নামতেও দ্বিধা বোধ করি না। আমাদের সব কিছু নিয়মের বাইরে গিয়ে করা তাই আসলে সেভাবে চোখে পড়ে না।
আপনার এই বক্তব্যের সাথে আমার সামান্যতম দ্বিমত নাই। যদি মানবিক গুণাবলী আমাদের মধ্যে সাধারণ ভাবে পরিলক্ষিত হতো, তবে হয়তো এক্সট্রিম লেভের এই ধরণের মানবিকতা আমাদের কাছে স্বাভাবিকই মনে হতো।
পারিবারিক শিক্ষা সন্তানের উপর যতটা প্রভাব বিস্তার করতে সমর্থ হয়, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কিন্তু ততোটা হয় না। বরং অনেক সময় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পারিবারিক শিক্ষা দ্বারা প্রভাবিত হয়। আমরা যদি এই সুবিধাটা কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আসলেই সেই দিন আর দূরে নয় যখন আমরাও গর্ব করে বলতে পারবো আমরা সভ্য একটি জাতি।
দ্বিতীয় মন্তব্যে আরও কিছু চমৎকার সংযুক্তি দিয়ে পোস্টের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রবাসী পাঠক। অনেক ভালো লাগলো ভাই। ভালো থাকবেন সতত।

২০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: "আপনাকে কিন্তু আমি নির্বোধ ভাবী নাই। :P "

আপনার এই কথা শুনে আমার তো দিলখুশ হইয়া গেল ঘাস ভাই :)

তবে আমি আমার দেশের নির্বোধ মানুষ হিসেবেই পরিচিত :P

কারন শুধু এই একটা "সচেতন মানুষ" যে তাই। বাসে বয়স্ক মানুষ দেখলে বসতে দেওয়া, দৃষ্টি প্রতিবন্ধদের রাস্তা পার করতে সাহায্য করলে আমার কাছের মানুষ , বন্ধুদের বলতে শুনি

"বেশি বুঝ না ????? "

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বন্দুরা কী বলল সেটা কানে তুলবেন না। আপনি যা করছেন করে যান। সচেতন হয়ে নির্বোধ থাকাই ভালো। ভালো লাগলো আপনার কথা জেনে। খুব ভালো থাকবেন অর্বাচীন পথিক।

২১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ওরা একসময় আমাদের দেশ শাসন করেছে শোষন করেছে । ওদের দ্বারা এইদেশ নির্যাতিত হয়েছে অনেক, এরপর পাকিস্তান দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে । তাই এইদেশ নির্যাতনে বিশ্বাসী হয়ে গিয়েছিল । এবং তার রেশ এখন পর্যন্ত রয়ে গেছে । পুরোপুরি যেতে আরও কয়েক যুগ অপেক্ষা করতে হবে । বিশ্বে প্রভাবশালী দেশগুলো এইপর্যায়ে আসার পেঁছনে শতশত বছর লুকিয়ে আছে । আমরাতো মাত্র ৪৩ বছর পার করেছি । হয়তো আমরা থাকবো না তবে দেশ হবে সত্যিকার সোনার বাংলাদেশ । সুনিশ্চিত। :)

আপনার লেখা বেশ লেগেছে ।++++

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমিও আপনার মতো আশাবাদী মানুষ। আমিও আশা করছি একদিন আমাদের দেশ আসলেই সোনার বাংলাদেশ হবে। কিন্তু তারপরও বলতে হয়, মানবকি গুণাবলীর জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার কোন যৌক্তিক কারণ আছে কি? যেখানে আমরা এখনো পারিবারিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে শুরু করতে পারি নাই, সেখানে কীভাবে আশা করি যে একদিন আমাদের মধ্যেও ইংরেজদের মতো মানবিক দিকগুলো প্রস্ফুটিত হবে? তাই আমি আশা করবো আমরা অন্তত পারিবারিক ভাবে এটা শুরু করতে পারি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এইসব ব্যাপারে তাদের উদ্যোগী হতে বলতে পারি, যাতে তারা স্কুলগুলোতে এই সব বিষয়ে আলাদা করে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করে কিংবা ছাত্রছাত্রীদের বুঝানোর চেষ্টা করে।
অনেক ধন্যবাদ কালি। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

২২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:১৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আমরা সবাই নিজের দেশকে ভালবাসি কিন্তু বিদেশের ভাল কিছু থাকলে সেটাও অবশ্যই স্বীকার করা উচিত । ভাল লেগেছে আপনার লেখা। আসলেই অন্যের কাছে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ভালো যেকোনো জিনিস যে কারো কাছ থেকে শেখার মন মানসিকতা আমাদের মধ্যে থাকা উচিৎ, সোর্স দেশী না বিদেশী সেটা মুখ্য নয়।
আমরা আরও বেশী মানবিক হয়ে উঠি, এটাই কাম্য মহান অতন্দ্র। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:১৩

সানড্যান্স বলেছেন: A man’s manners are a mirror in which he shows his portrait.

এই কথাটাই বোঝাতে চেষ্টা করি সবাইকে!

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: এটা বোঝে সবাই কিন্তু অনুধাবন করা মানুষের সংখ্যা অনেক কম। দুঃখটা সেখানেই সানড্যান্স। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সতত।

২৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৯

ফকির মজুমদার বলেছেন: সত্য ঘটনা অবলম্বনে একটি ছোটগল্প পোষ্ট করেছি। গল্পটি পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। লিঙ্কঃ Click This Link

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার আমন্ত্রণ চোখে পড়ে নাই। তবে ইতিমধ্যেই আপনার গল্পটা পড়েছি। তারপরও ধন্যবাদ দিচ্ছি আমাকে লিংক দিয়েছেন এবং পড়ার জন্য আমন্ত্রণ করেছেন বলে।

২৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৩১

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: মুদ্রার অপর পিঠের মত এই ভদ্র মানুষ গুলোকেই দেখেছি কালো আফ্রিকানদের দেখে নাক সিটকাতে। উপনিবেশ যুগ শেষ হয়েছে তবে মানসিকতা বদলায়নি অনেকটাই। এই যুগে এসেও ওদের মুখে "কালারড" শব্দটি শুনতে হয়েছে আমার। বাঙ্গালী সেই তুলনায় অনেক সভ্য। বাঙ্গালীর মুখোশ নেই। সু-শিক্ষিত হলে আমরা ওদের চেয়ে বেশি বিনয়ী হব বলে আমার ধারণা।

ভাল লাগল আপনার লেখা। অসংখ্য ধন্যবাদ :)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:০৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: সু-শিক্ষিত হলে আমরা ওদের চেয়ে বেশি বিনয়ী হব বলে আমার ধারণা।

আপনার বক্তব্য যথার্থই হয়েছে, যাতে দ্বিমত করার কোন অবকাশ নাই। কিছু ব্যাপারে আমরা অবশ্যই ওদের চেয়ে অনেক বেশী সভ্য। তবে সব ব্যাপারে এখনও ওদের চেয়ে বেশী সভ্য হয়ে উঠতে পারি নাই। তবে হওয়া সম্ভব। কারণগুলো সংক্ষিপ্ত হলেও পোস্টের বক্তব্যে এসেছে।
ওদের বর্ণবাদী আচরণ এখনো লক্ষ্য করা যায়, যদিও কঠোর আইন আছে। তবে এই বর্ণবাদের মতো আমাদের দেশে কিন্তু এখনো সাম্প্রদায়িকতা রয়ে গেছে। যার প্রমাণ আমরা রামুতে দেখেছি, মালোপাড়ায় দেখেছি। এখনো আমাদের দেশে কালো মেয়েরা এবং প্রতিবন্ধীরা উপেক্ষিত হয়, এখনো শ্রেণী বৈষম্য আমাদের দেশে আছে। তবে ইংরেজদের মধ্যে যে এসব নেই সেটা আমি বলবো না। কিন্তু ওদের এই সব ব্যাপারগুলো এখন চোখে কম পড়ে। কিন্তু আমাদের দেশে এগুলো বেশ স্পষ্ট।
সুশিক্ষিত হওয়ার জন্য আমাদের শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উপর নির্ভর করলেই চলবে না, পরিবার হতে হবে এর প্রাথমিক ভিত্তি। যদি আমরা তাই করতে পারি, অবশ্যই ওদের চেয়ে বেশী বিনয়ী হব বলে আমিও বিশ্বাস করি।
আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ এই সব দিন রাত্রি।

২৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১২

সুফিয়া বলেছেন: খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন বিষয়টি। ভালো লাগল পড়ে। সাথে সাথে আমারও মনে পড়েগেল এ সম্পর্কিত অনেক ঘটনার কথা। ২০০৬ সালে আমি জাপানে গিয়ে দেড় মাস ছিলাম ছোট ভাইয়ের বাসায়। তখন নানা জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি আর এসব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি । একথা বলাার অপেক্ষা রাখেনা যে পৃথিবীতে জাপানীরা হচ্ছে সবচেয়ে সভ্য ও সুশৃঙ্খল জাতি। তাদের এই সভ্যতার সাথে ঘনিষ্টভাবে পরিচিত হবার সুযোগ হয়েছিল আমার তখন। আপনি যে ঘটনার কথা বললেন তার সবগুলোর মুখোমুখি আমি তখন হয়েছি। আরও একটা বিষয়, যেটা আপনি এখানে বলেননি সেটা একটু শেয়ার করতে চাই আপনাদের সাথে।

একদিন ট্রেন থেকে এক স্টেশনে নেমে আমাদের গন্তব্যস্থলের নির্দেশনা পাবার জন্য স্টেশন মাস্টারের সহযোগীতা চাইলাম আমরা। স্টেশেনের পেছন দিকের রাস্তা ধরে সামনে এগোলেই আমাদের গন্তব্য। স্ঠেশন মাস্টার এটুকু বলে দিলেই চলত। কিন্তু না ; ভদ্রলোক তার রুম থেকে বের হয়ে এসে আমাদেরকে সাথে করে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় উঠিয়ে দিয়ে আসলেন। এ ধরনের ভদ্রতা আমরা ক'জন দেখাতে পারি ?

ধন্যবাদ আপনাকে। 

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: জাপানীরা আসলেই সবচেয়ে সভ্য ও সুশৃঙ্খল। জাপানে আমার এক কাজিন পুরো পরিবার নিয়ে আজ প্রায় ২৭/২৮ বছর ধরে আছে। তাদের মুখেও জাপানীদের ভদ্রতা ও শৃঙ্খলতা সম্বন্ধে অনেক কিছু শুনেছি। ষ্টেশন মাস্টারের যে ঘটনাটি বললেন সেটা পড়ে তাই অবাক হইনি।
থাইল্যান্ডের অন্য জায়গায় কী হয় খুব একটা জানি না। তবে হাসপাতালগুলোতে ওদের ডাক্তার, নার্সসহ অন্যান্যদের রোগীর সাথে আচরণ দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের দেশে সেটা চিন্তারও অতীত।
আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা আমার পোস্টের জন্য একটা সংযুক্তি। দারুণ লাগলো সুফিয়া। এগুলো থেকে আমরা অবশ্যই শিক্ষা নিতে পারি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

জুন বলেছেন: স্কুল জীবনের শিক্ষার কথা আপনি ঠিকই বলেছেন সাথে পরিবার থেকে শিক্ষা, আদব/কায়দা খুব কমই পাওয়া হয় আমাদের। অত্যন্ত সুন্দর এবং প্রাঞ্জল ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন জাতিগত ভাবে আমাদের এই বিষয়ে দৈন্যতার কথা।
+

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমাদের ছোট খাটো মানবিক দৈন্যতাগুলো যদি আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি আমরাই হবো বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি। অবশ্যই এর জন্য আমাদের পারিবারিক শিক্ষা আরও বিস্তৃত এবং পরিপূর্ণ হওয়া উচিৎ। তখন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও পূর্ণ বিকশিত হবে। আপনাকে পোস্ট পেয়ে অনেক ভালো লাগলো জুন। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.