নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘাস ফুল

মানুষের বিচার্য হোক মনুষ্যত্ব ও মানবতা; কোন ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ কিংবা লিঙ্গ নয়

বিদ্রোহী বাঙালি

লেখালেখির ক্ষেত্রে আমার অলসতা প্রবাদতুল্য।

বিদ্রোহী বাঙালি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুতোষ গল্পঃ ভালো কাজ

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

কাল শুক্রবার। স্কুল বন্ধ। মাস্টার মশাই সব ছাত্র ছাত্রীকে বললেন,

-আগামীকাল তোরা সবাই একটা একটা করে ভালো কাজ করবি। আর শনিবার দিন আমি ক্লাসে একে একে সবাইকে জিজ্ঞেস করবো তোরা কে কি করেছিস । মনে থাকবেতো?

সবাই সমস্বরে বলল,

-জি মাস্টার মশাই।

একটু পরে স্কুল ছুটি। প্রতিদিনের মতো ক্লাস শেষ হবার আগে ছাত্র ছাত্রীরা মাস্টার মশাইর সাথে রুটিন মাফিক সমস্বরে বলছে,

“সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি

সারাদিন আমি যেন ভালো ভাবে চলি।”



শিমুল বিকাল বেলা তার বন্ধু দোয়েলদের বাড়িতে এলো। দোয়েল কি ভালো কাজ করেছে খবর নেয়ার জন্য আর সে ফাঁকে কিছুক্ষণ খেলা করতে।

-কিরে দোয়েল তুই আজ কি ভালো কাজ করেছিস? কাল কিন্তু মাস্টার মশাইর ক্লাসে সবাইকে যার যার ভালো কাজের কথা বলতে হবে। তোর মনে আছেতো?

-আমি কিছু করতে পারি নাইরে।

দোয়েল, শিমুলকে বলল।

-এখনো পারিসনিতো কি হয়েছে। জলদী করে কিছু একটা করে ফেল। খেলবি না যখন আমি চলে গেলাম। সন্ধ্যা হয়ে আসছে। মা আবার চিন্তা করবে।

এই কথা বলে শিমুল বাড়ি ফিরে গেল।



মাস্টার মশাই ক্লাস নিচ্ছেন। আজ কোন পড়া নেই। সবাইকে একে একে জিজ্ঞেস করছেন কে কি ভালো কাজ করেছে শুক্রবারে।

-অর্জুন তুই বল, গতকাল তুই কি ভালো কাজ করেছিস?

মাস্টার মশাইয়ের কথা শুনে অর্জুন উঠে দাঁড়াল।

-বাবাকে বলেছিলাম বাজার থেকে আমার জন্য একটা কাঁঠাল গাছের চারা আনতে। বাবা কাঁঠাল গাছের চারা আনার পর আমি উঠাকে নিজ হাতে আমাদের বাড়ির কোনায় লাগিয়েছি। এখন থেকে আমি প্রতিদিন ওটার যত্ন নেব আর সকাল বিকাল ওটার গোরায় পানি দেব, যাতে সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

অর্জুন তার ভালো কাজের কথা এভাবে বললো।

এবার তুহিনের পালা।

- আগে আমি ঠিক মতো খেতে চাইতাম না। এর জন্য মা খুব মন খারাপ করতো। কিন্তু মাকে কথা দিয়েছি এখন থেকে প্রতিদিন আমি সময় মতো খাব। গতকাল মা আমাকে যখনই খাবার খেতে ডেকেছেন, আমি তখনই খুব সুন্দর করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে খেতে বসেছি। কোন দুষ্টুমি করি নাই। আর কখনো করবোও না।

তুহিনের ভালো কাজের কথা শুনা শেষ হলে মাস্টার মশাই পায়েল কে দাঁড়াতে বলে।

পায়েল বলল,

-আমি বাসায় ঠিক মতো পড়তে বসি না। শুধু কার্টুন দেখতে পছন্দ করি। আব্বু আম্মু অনেক বোকা দেয়। তারপরেও আমি কার্টুন দেখা বন্ধ করি নাই। আব্বু আম্মুকে বলেছি এখন থেকে আর বেশী কার্টুন দেখবো না। পড়ার সময় ঠিক মতো পড়তে বসবো। শুধু শুক্রবার স্কুল বন্ধের দিন জন্য কার্টুন দেখবো। যদিও গতকাল শুক্রবার ছিল, তারপরেও আমি কার্টুন না দেখে পড়তে বসেছিলাম।

-এবার তুই বল।

মাস্টার মশাই শিমুলের দিকে তাকিয়ে বললো।

-রোজ শুক্রবার আমাদের বাড়িতে একজন বয়স্ক ভিক্ষুক আসে। কিন্তু এই শুক্রবার যখন সে আসলো, তখন তার সাথে ছোট্ট একটা মেয়েও আসলো। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম, মেয়েটা তার নাতনী। তার গায়ে কোন কাপড় ছিল না। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে বলে, তার একটা মাত্র জামা। বেশী ময়লা হয়ে গেছে বলে ধুয়ে রোদে শুকাতে দিয়ে এসেছে। তখনো শুকায় নাই বলে খালি গায়েই চলে এসেছে। বাবা আমাকে গেলো জন্মদিনে নতুন একটা জামা কিনে দিয়েছিল। বাবা মাকে রাজি করিয়ে ঐ জামাটা আমি মেয়েটাকে দিয়ে দিয়েছি।



শিমুলের ভালো কাজের কথা বলা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই মাস্টার মশাই চোখের পানি লুকানোর চেষ্টা করলেন। কিছুক্ষণ তিনি আর কাউকে দাঁড়া করালেন না। তারপর আবার একে একে সবাইকে জিজ্ঞেস করলেন। এদের মধ্যে কেউ বলল, মিথ্যা কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে, আর মিথ্যা বলবে না। কেউ বলল, বাড়ির কাজের মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে, আর খারাপ ব্যবহার করবে না। কেউ বলল, কোন পশু পাখিকে অযথা মারবে না। একজন বলল, বেশী বেশী চকলেট খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ বেশী চকলেট খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়। আরেক জন আবার বলল, রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা শুরু করে দিয়েছে, যাতে দাঁতের ক্ষতি না হয়। শরীর নিতান্তই খারাপ না হলে আর কখনো স্কুল ফাঁকি দিবে না বলে কেউ কেউ ভালো কাজ হিসাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে গতকাল।



দোয়েল মাথা নিচু করে সবার ভালো কাজের কথা শুনছিল আর মনে মনে ভাবছিল তাকে যেন মাস্টার মশাই দাঁড়া না করান। কারণ সে কোন ভালো কাজ করার সময় পায় নাই। কিন্তু মাস্টার মশাই তাকে ঠিকই দাঁড় করালেন।

-দোয়েল এবার তুই বলতো, তুই কি ভালো কাজ করেছিস গতকাল?

দোয়েল উঠে দাঁড়াল ঠিকই কিন্তু মাথা নিচু করে চুপ করে রইলো। এবার মাস্টার মশাই গলার স্বর একটু উঁচিয়ে দোয়েলকে আবার জিজ্ঞেস করলো,

-কিরে তুই বলছিস না কেন? কি ভালো কাজ করলি গতকাল?

দোয়েল কিছুটা ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি বলে উঠল,

-আমি কোন ভালো কাজ করতে পারি নাই মাস্টার মশাই।

দোয়েল খুব ভালো ছাত্রী। বরাবরই ক্লাসে সে ফার্স্ট হয়। মাস্টার মশাই তাকে খুব ভালো করেই চিনেন। দোয়েলের বয়স যখন দুই বছর, তখন তার বাবা মারা যায়। তারপর থেকে তার মা বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালান। এবার মাস্টার মশাই দোয়েলের কাছে এসে তার মাথায় হাত রাখল।

-কি হয়েছিলরে তোর মা? সবাই একটা না একটা ভালো কাজ করলো, আর তুই ক্লাসের সব চাইতে ভালো ছাত্রী হয়ে একটাও ভালো কাজ করতে পারলি না? কেন পারিসনি আমাকে বলতো?

দোয়েলের চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছে। কিন্তু লজ্জায় জোড়ে কাঁদতে পারছে না। কাঁদো কাঁদো গলায় সে বলল,

-মাস্টার মশাই আমার মা গত দুইদিন ধরে অসুস্থ। গতকাল হঠাৎ করে মার গায়ের জ্বর প্রচণ্ড বেড়ে যায়। সারাদিন শুয়ে ছিলেন। কোন কাজ কর্মই করতে পারেন নাই। তাই আমি টুকটাক যা পেড়েছি করেছি। আর সারাক্ষণ পায়ের পাশে থেকে মায়ের সেবা যত্ন করেছি। মায়ের মাথায় পানি ঢেলেছি। হাত পা টিপে দিয়েছি। মাথায় জল পট্টি দিয়েছি কিছুক্ষণ পর পর। মাকে তুলে খাইয়ে দিয়েছি। যখন ওষুধ খাওয়ার সময় হয়েছে, তখন মাকে ওষুধ খাইয়েছি। আর এভাবেই আমার সারাদিন কেটে যায়। বিকালে শিমুল এসেছিল আমাদের বাড়িতে। তার সাথে খেলতেও পারিনি।

কথাগুলো বলে দোয়েল কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো। কিন্তু মাস্টার মশাই কিছুই বলছেন না। তাই আবার সে বলে উঠলো,

-মাস্টার মশাই, মা সুস্থ হয়ে উঠুক, তখন অবশ্যই আমি একটা না দুটা ভালো কাজ করে আপনাকে বলবো।

মাস্টার মশাই এবার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না।

-তুই আমার কাছে আয় মা। তোকে আর কোন ভালো কাজ করতে হবে না। তুই যা করেছিস তার চাইতে আর কোন ভালো কাজ এই পৃথিবীতে আছে কিনা আমার জানা নেই। যে তার মা বাবাকে সেবা যত্ন করার সুযোগ পায়, তার চেয়ে সৌভাগ্যবান কেউ এই পৃথিবীতে নাইরে মা। আমি তোকে প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করছি মা, তুই যেন অনেক বড় হতে পারিস। তখন দেখবি তোর আলোয় কতো মানুষ আলোকিত হবে।

মাস্টার মশাইর চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু তা লুকানোর চেষ্টা করলেন না। দোয়েলকে বুকে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। মিনিট দশেক পর ছুটির ঘণ্টা বেজে উঠলো।

~০~

(অসম্পাদিত এবং শিশুতোষ গল্প হিসাবে কিছুটা বড় হয়ে গেছে। সম্পাদনের সময় আরও কিছু শব্দ ছেঁটে ফেলে শিশুদের উপযোগী করে তোলার ইচ্ছা আছে।)

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ছোটদের জন্যে বেশ ভালো একটা গল্প হয়েছে

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: কতটা ভালো হয়েছে জানি না। তবে আন্তরিকতার অভাব ছিল না। আপনার মতো গল্পকারে চোখে ভালো লাগায় অনেক আনন্দ হল। ধন্যবাদ হাসান মাহবুব।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৫

সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: অনেক সুন্দর !!!!!! +

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুপ্ত। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৬

নিলু বলেছেন: ভালো শিক্ষার লিখা লিখেছেন , লিখে যান

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: চেষ্টা করছি লিখতে যেতে। এভাবে পাশে পেলে লিখার আরও আগ্রহ বাড়বে বৈকি। অনেক ধন্যবাদ নিলু।

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী বাঙালী ,




ভালো কাজ নিয়ে একটি ভালো গল্প হয়েছে ।
তবে শিমুলের ভালো কাজের কথা বলা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই মাস্টার মশাই যেন কিছু একটা লুকানোর চেষ্টা করলেন। এই রহস্যটি ভাঙেন নি এখানে । যে সম্পাদনার কথা বললেন শেষে হয়তো সেই সম্পাদিত গল্পে তা পাবো ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: শিশুতোষ গল্প হিসাবে রহস্যটা ভাঙার দাবী রাখে। কিন্তু সম্পাদনা করা হয় নাই বলে বিষয়টা আমার চোখ এড়িয়ে যায়। আপাতত ঐ লাইনটা সম্পাদন করে দিয়েছি। পরে হয়তো আবার ভেবে দেখতে পারি।
বিজ্ঞ পাঠকের চোখ এড়ানো কষ্টকর ব্যাপার। আপনার মনোযোগী পাঠে এবং গল্পটা ভালো লাগায় উৎসাহ পেলাম। অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস। ভালো থাকবেন।

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

তাশমিন নূর বলেছেন: ভালো লেগেছে। ভালো কাজ নেশার মতো। একবার করলে আরও করতে মন চায়।

শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ভালো কাজ নেশার মতো। একবার করলে আরও করতে মন চায়।

কথাটা যথার্থ বলেছেন তাশমিন। তাই একবার ভালো কাজে কেউ লিপ্ত হলে সহজে তাকে এর থেকে ফেরানো যায় না।
আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৫

পার্থ তালুকদার বলেছেন: সুন্দর গল্প। ভালো লাগল ভাই।

শুভকামনা।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: পাঠকের ভালো লাগা যেকোনো ব্লগার বা লেখকের জন্য বিরাট প্রাপ্তি। অনেক ধন্যবাদ পার্থ তালুকদা।

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৯

কলমের কালি শেষ বলেছেন: লাইন অফে থাকাকালীন পড়েছিলাম । শিশুতোষ গল্প হিসেবে চমৎকার হয়েছে । গল্পে গল্পে চমৎকার সব উপদেশমূলক শিক্ষা বর্ণনা করা হয়েছে । এখন শুধু গল্পের মত একজন শিক্ষকের অভাব ।

অসম্পাদিত বুদ্ধিটা দেখি আপনি কাজে লাগানো শুরু করে দিয়েছেন ! ;) :P :P

সম্পাদিত লেখাটির অপেক্ষায়....

শুভ কামনা। :)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অফলাইনেই পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি কালি।
গল্পের শিক্ষকের মতো শিক্ষকের অভাব সত্যিই আমরা আজ বড় বেশী অনুভব করি। তবুও খোঁজলে কিন্তু পাওয়া যাবে। তাইতো শিক্ষরা এখনো মর্যাদার আসনেই আসীন আছেন।
মাগ্না সুবিধা পাইলে কে ছাড়ে বলেন। তাই আমিও অসম্পাদিত লেখার সুবিধা নিয়ে নিলাম। আপনাকেও নিতে বলেছিলাম। ট্রাই মাইরা দেখতে পারেন। :P
অনেক ধন্যবাদ কালি। ভালো থাকবেন।

৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৯

জাফরুল মবীন বলেছেন: শিক্ষণীয় শিশুতোষ গল্পের আকালে এ গল্পটি নিশ্চয়ই উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।

অভিনন্দন আপনাকে। :)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার কথায় দারুণ অনুপ্রাণিত হলাম জাফরুল মবীন। আজ আপনি একটা দুর্দান্ত পোস্ট দিয়েছেন ভাই। অনেক ভালো লেগেছে পোস্টটা। ভালো থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৮

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: আম্মুর কাছে শুনেছি, বড়দের চারপাশে গোল হয়ে বসে গল্প শুনতেন তারা! কখনও উত্তেজনায় চোখ বড় হয়ে আসত; কখনও দুঃখী রাজকন্যের দুঃখে চোখ ভিজে উঠত!

এখন আর সেই দিন কই! ব্যস্ততা আমাদের শিশুদের বঞ্চিত করছে!

আল্লাহ সত্য বলেছেন, আমাদের বড়ই তাড়া;

গল্পে প্লাস! আরও লিখুন :)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৫৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার কথায় আমিও কিছুটা নস্টালজিক হয়ে পড়লাম। অভিজ্ঞতাটা আমার বেলায়ও হয়েছে। কত সুখের দিন ছিল সেগুলো। বাস্তবতা এর ব্যস্ততা আসলেই আমাদের শিশুদের বঞ্চিত করছে। ফলে তারাও বড় হয়ে একই কাজ করছে বা করবে। দিন দিন সম্পর্কগুলো কেমন জানি হালকা হয়ে যাচ্ছে। কোথায় গেলো ঠাকুরমার ঝুলি!
আপনার মন্তব্য স্পর্শ করে গেলো আমাকে রাত্রি। অনেক ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:২৭

হুবাইব বলেছেন: ভালো লাগলো

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৩৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম হুবাইব। ভালো লাগায় ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ।

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

এহসান সাবির বলেছেন: ছোট'দের জন্য আমাদের আরো বেশি বেশি লেখা দরকার।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: হুম! ঠিক বলেছেন।
কিন্তু এভাবে যদি পোস্টের বক্তব্যের উপর কোন মন্তব্য না করেন, তাহলে কি পোস্টদাতার আগ্রহ বোধ করবে? এখানে কিন্তু ছোটদের জন্য আরও বেশী লেখা উচিৎ না অনুচিত সেটা নিয়ে কোন কথা হচ্ছে না এহসান। যাহোক, ভালো থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ।

১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: ছোটদের জন্য গল্প হিসেবে খুব-ই ভাল হয়েছে ঘাস ভাই।

বিশেষ করে গাছ লাগানো, ভিক্ষুক খাওনো, জামা দেওয়া, ঘুমানোর আগে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করানো এই সব ব্যাপার গুলো।
ব্যাক্তি জীবনের সাথে মানবিক দিক সবটায় প্রয়োজন আছে জীবনে।

তবে দোয়েলের মায়ের কথা শুনে আমার খুব মন খারাপ হয়েছে। আমার বাবা-মা থাকে যশোরে। আমার বাবা-মা কে আমি খুব মিস করি।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আন্তরিক চেষ্টা ছিল গল্পটাতে ছোট ছোট কিছু বার্তা দিয়ে বাচ্চাদের ওগুলোর উপর আগ্রহী করে তোলা। তোমার চোখ এড়ায় নাই দেখলাম। তুমি ঠিকই বলেছ, ব্যক্তি জীবনের সাথে মানবিক দিক সবটাই প্রয়োজন আছে জীবনে।
তোমার মন খারাপ করে দিয়েতো ভারী অন্যায় করে ফেললাম। :(
তোমার আন্তরিক মন্তব্য এবং মনোযোগী পাঠ দুটোই আমাকে মুগ্ধ করেছে। যশোরে গিয়ে বাবা মাকে এক নজর দেখে এলেইতো পারো। উনাদের আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দিও। ভালো থেকো তুমি। অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

ঢাকাবাসী বলেছেন: গল্পটা একেবারে ছোটদের কিনা বলতে পারছিনা তবে ভাল হয়েছে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: গল্পটা শিশুতোষ হলেও গল্পের বার্তাগুলো বড়দের জন্যও অনুকরণীয়। তবুও যেহেতু কতগুলো শিশু চরিত্রকে কেন্দ্র করে কিছুটা শিশুসুলভ লেখনীতে লেখার চেষ্টা করেছিলাম, তাই ক্যাটাগরি হিসাবে শিশুতোষই রেখে দিয়েছি। আপনার ভালো লাগায় প্রেরণা পেলাম ঢাকাবাসী। অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

আরজু পনি বলেছেন:

আপনি অবশ্যই আর ছোট করবেন না। আমার কন্যা এর চেয়ে বড় লেখাও মহানন্দে পড়ে ফেলে ।

এভাবে নিয়মিত লিখবেন আশা করি।
ব্লগে শিশুতোষ লেখা বেশ কমই আসে।

কন্যাকে পড়াতে প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম ।

অনেক শুভকামনা রইল ।।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: প্রথমেই মামুনির জন্য অনেক আমার আদর ও ভালোবাসা রইলো। মাশাল্লাহ! জেনে খুশি হলাম যে মামুনি এর চেয়ে বড় লেখাও পড়তে পারে।
এখানে আমার দুঃখটা খুব বেশী। কারণ আমার ছেলে এখনো বাংলা পড়তে পারে না। তবে শেখানোর চেষ্টা করছি।
শিশুতোষ লেখা আমার খুব পছন্দের। কিন্তু সময় অভাবে এবং গুছিয়ে লিখতে পারি না বলে নিয়মিত লিখতে পারি না। কিন্তু আপনার কন্যার কথা বলায় বেশ আগ্রহ বোধ করছি। চেষ্টা করবো মাঝে মাঝে লেখার জন্য। মামুনির জন্য প্রিয়তে নিয়ে আমাকে ধন্য করলেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আরজুপনি। নিরন্তর শুভ কামনার রইলো।

১৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

ডি মুন বলেছেন:
খুব সুন্দর শিশুতোষ গল্প হয়েছে।
দারুণ +++++

শিশুদেরকে এমন সুন্দর শিক্ষামূলক গল্পই পাঠ করতে দেয়া উচিত। কিন্তু এখন মানসম্মত শিশুসাহিত্যের বেশ অভাব বলেই মনে হয়। অথবা শিশুরা কার্টুন এর দিকে বেশী ঝুকে পড়েছে বলেই এই শিশুতোষ সাহিত্যের আবেদন তাদের কাছে কমে এসেছে, এমনটাও হতে পারে।

যাহোক, সুন্দর গল্পের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকা হোক

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: শিশু সাহিত্য নিয়ে আপনার ছোট্ট আঙ্গিকের আলোচনাতে আমিও সহমত পোষণ করছি। মানসম্মত শিশুসাহিত্যে হয়তো কম বের হয়। কিন্তু তারপরও আশার কথা হল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। কার্টুন, গেমস ইত্যাদি মনে হয় শিশুদের বই বিমুখ করে ফেলছে। অভিভাবকদের এই নিয়ে আন্তরিক ভাবে ভাবা উচিৎ।
আপনার সুন্দর আলোচনা এবং ভালো লাগা দুটোই আমাকে মুগ্ধ করেছে। অনেক ধন্যবাদ ডি মুন। ভালো থাকবেন।

১৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

দীপংকর চন্দ বলেছেন: তোকে আর কোন ভালো কাজ করতে হবে না। তুই যা করেছিস তার চাইতে আর কোন ভালো কাজ এই পৃথিবীতে আছে কিনা আমার জানা নেই। যে তার মা বাবাকে সেবা যত্ন করার সুযোগ পায়, তার চেয়ে সৌভাগ্যবান কেউ এই পৃথিবীতে নাইরে মা।

ভীষণ আপ্লুত করলো শ্রদ্ধেয়।

এর চেয়ে ভালো কথা কোন লেখায় থাকতে পারে না বলে আমার বিশ্বাস। একই কথা ভিন্ন উপস্থাপনায়, ভিন্ন আঙ্গিকে থাকতে পারে। তবে প্রকৃত নির্যাসে অনন্য এ কথা তুলনা রহিত।

পরম সত্যের সাথে বসবাস হোক মানুষের।

অনিঃশেষ শুভকামনা।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: কোথায় ছিলেন এতোদিন দীপঙ্কর? আবার কি কোন কারণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন? মিস করেছি খুব কিন্তু কোথায় নক করে দেখতে ইচ্ছে করে নাই। কারণ ফেবুতে আপনি আমার মতো অনিয়মিত।

আপনার আন্তরিকতায় বরাবরই আমি সিক্ত হই। আজও তার ব্যতিক্রম করেন নাই। আমার এই সামান্য লেখাকেও আপনিও বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন।

পরম সত্যের সাথে বসবাস হোক মানুষের।
দারুণ একটা কথা বলেছেন।
আপনার পোস্ট দেখলাম। এখনো পড়ি নাই। রাতে পড়বো। ভালো থাকবেন দীপঙ্কর। অনেক ধন্যবাদ।

১৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১১

আরজু পনি বলেছেন:

আমার ক্লাস টুতে পড়ুয়া ছেলেও পড়ে ফেলেছে এই গল্প । :D
অবশ্য শেষের ছয়লাইন আর পারেনি । তাই সেখানে চিহ্ন দিয়ে রেখেছে ।
আশা করি নিয়মিত শিশুতোষ লেখা পাবো আপনার কাছ থেকে ।
আবারও শুভকামনা ।।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:০৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: মাশাল্লাহ। অল্প মাত্র দুই বছর বয়সেই পড়তে শিখে গেছে। ভাগ্নেকে আমার আদর ও ভালোবাসা দিবেন।
আমার ছেলে না পারার পেছনে অবশ্য কারণ আছে। সেও যে আমার সাথে বিলাতেই থাকে। :(
আপনার উৎসাহ আমাকে লেখার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। চেষ্টা করবো মাঝে মাঝে শিশুতোষ লেখা লেখতে। অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

ভাল কাজ নিয়ে শিক্ষনীয় গল্প।

গল্পটি মূলত ছোটদের জন্য হলেও বড়দের জন্য শিক্ষনীয়।

অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী বাঙালী ভাই।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: গল্পটি মূলত ছোটদের জন্য হলেও বড়দের জন্য শিক্ষনীয়।
আপনি ঠিকই বলেছেন। মেসেজটা বড়দের বেলায়ও প্রযোজ্য। কারণ ইদানীং যেভাবে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে করে মেসেজটা অনুধাবন আমাদের জন্য খুবই জরুরী হয়ে গেছে। অনেক ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়।

১৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

আরজু পনি বলেছেন:

ওর দুই বছর না ...
ও ক্লাস টুতে পড়ে... ৭ বছর+

ভালো থাকবেন।।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: হা হা হা
আমার মাথা মনে হয় আউলাইয়া গেছে। পোষ্টে আবারও আপনার পদচারণ উপভোগ করলাম। অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।

২০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:১৩

ন্যালা-খ্যাপা বলেছেন: শিক্ষণীয় একটা গল্প। শিশুতোষ হলেও বড়দেরও শেখার আছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: চেষ্টা করেছি শিক্ষণীয় একটা মেসেজ দিতে। কতটুকু পেড়েছি সেটার মূল্যায়ন করবে পাঠক। অনেক ধন্যবাদ।

২১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ। সুন্দর গল্প, বিদ্রোহী বাঙালী। শিশুতোষ গল্প পড়ে তোষামোদের রাজ্যে সন্তোষ হতে পারছি কোথায় ! মা-সন্তান একসাথে পুড়ছে, কিন্তু আমাদের হাতে জল কোথায় ?

ভালো কাজের কথা লিখাও একটি ভালো কাজ। সুতরাং ধন্যবাদ !

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: শিশুতোষ গল্প পড়ে তোষামোদের রাজ্যে সন্তোষ হতে পারছি কোথায় ! মা-সন্তান একসাথে পুড়ছে, কিন্তু আমাদের হাতে জল কোথায় ?

ঠিকই বলেছেন অন্ধবিন্দু। পোড়া দেহের ক্রন্দন আজ উপেক্ষিত কিন্তু একটা ঝরাপাতার ব্যথায় আমরা বিলাপ করছি। সত্যিই সেলুকাস!
আপনার আন্তরিক মন্তব্যে আপ্লুত হলাম অন্ধবিন্দু। অনেক ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

২২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

সুমন কর বলেছেন: ছোটদের জন্য চমৎকার গল্প। শেষের অংশটুকু দারুণ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: শেষের অংশটুকু লিখতে যেয়ে আমার নিজেরই কান্না চলে এসেছিল। ভীষণ উৎসাহ জাগানিয়া মন্তব্য। খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ সুমন। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।

২৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২১

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: বাহ! ভালো তো। সুন্দর কমেন্ট পারিনা। পারলে সুন্দর করে কিছু লিখতাম।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৩৪

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: পাঠকের উপস্থিতিই একটা সুন্দর নিঃশব্দ মন্তব্য। তাইবা কম কিসের। আপনার ব্লগবাড়ি ঘুরে এলাম। দেখলাম দীর্ঘ দিন লিখছেন না। আশা করবো আবারও লেখালেখি করবেন। অনেক ধন্যবাদ মায়াবী রূপকথা। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

২৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: গল্পে ভাল লাগা আর অনেকগুল +++++++

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৩৪

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অনেকগুলো প্লাস পেয়ে অনেকগুলো খুশি হয়েছি মনিরা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

২৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

বঙ্গমিত্র সিএইচটি বলেছেন: শুধু শিশুদের জন্য শিক্ষনিয় বল্লে ভুল হবে যাদের পিতা মাতা বেচে আছে তাদের সবার জন্য শিক্ষনিয়। ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: যদিও এটা শিশুতোষ একটা গল্প কিন্তু মেসেজটা বড় ছোট সবার জন্যই প্রযোজ্য। আপনি ঠিকই বলেছেন বঙ্গমিত্র।
আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম। অনেক ধন্যবাদ মিত্র। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

২৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

সোহানী বলেছেন: আজই আমার আইনেস্টাইন ছেলেকে এটা পড়াতে হবে.... সারাদিন বইয়ের মাঝে ঢুবে থাকে......

লিখায় অসম্ভব ভালোলাগা........ কারন শিশুদের নিয়ে কেউ চিন্তা করেনা দেশে... তারা শুধু প্লাকার্ড বহনের জন্য ওদেরকে খুজেঁ অন্য কিছুর জন্য নয়.....

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বাবজান আইনস্টাইন এই গল্প পড়া মানে আমার গল্প সার্থক হয়ে যাওয়া। বাবজানকে আমার আদর ও ভালোবাসা দিয়েন।
আমাদের দেশে শিশুরা যে অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত সেটা আপনার কথায়ই উঠে এসেছে। ইদানীং শিশু সাহিত্যের সংখ্যা কমে গেছে। আশা করবো যারা ভালো লিখেন, তারা মাঝে মাঝে শিশুদের জন্যও লিখবেন। আমি অতটা ভালো লিখতে পারি না। তবুও মাঝে মাঝে চেষ্টা করি। সেই চেষ্টারই ফল এটা। ভালো লাগায় কৃতজ্ঞ হলাম সোহানী। অনেক ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

২৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অসাধারন গল্প।প্রিয়তে নিলাম :)

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: প্রিয়তে নেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমি তুমি আমরা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা সতত।

২৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২৩

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন:

একটা ছবি আকার চেস্টায় আছি, অথচ নিদেন পক্ষে একটা মুখ, সেটাও পাচ্ছিনা। কারো কান আছে তো গলা নেই, গলা আছে তো মাথা নেই, কিংবা কেউ একেবারেই কাবন্ধ!!

এমন এক ছবি, যেটা যারা কাল্পনিক, তারা ভাববেন বাস্তব আর যারা তথাকথিত বাস্তববাদী তারা সামান্য একটু ভ্রু কুচকে ভাবেন, দেশটা একেবারে গোল্লায় গেছে!!!

ছবি চাই, ছবি; ছবির মত ছবি... একটা ছবি আকতে চাই, নিখুত একটা ছবি।

রং, তুলি, ইজেল সব আছে, শুধু একটা মুখ চাই। অত্যন্ত সাধারন একটা মুখ, যার সাধারনত্ব হবে একটি কবিতার মত; অর্থ চাইলে আছে, নাহলে নেই, কিন্তু অস্তিত্ব ভীষনভাবে অনস্বীকার্য্য...

তুলি, ক্যানভাস, রং সব আছে; শুধু একটা মুখ, অত্যন্ত সাধারন একটা মুখ চাই...



@@@@@@


এটা টাইপ করে প্রথম আপনার কথা মনে হয়েছিল। বলেন তো কি বুঝলেন...

একটু ঢু মেরে গেলাম। লেখা বাদ দেইনি। অন্য কোথাও অন্য নাম বেছে নিয়েছি মাত্র। শুভকামনা রইল।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:২৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: দেশের সমসাময়িক পরিস্থিতির কারণেই হয়তো নিখুঁত একটা মুখ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, আর তাই নিখুঁত একটা ছবিও আঁকা হচ্ছে না।
আমার কথা মনে হয়েছে কেন বুঝতে পারছি না। তবে এই অধমকে মনে করায় কৃতজ্ঞতা বোধ করছি।
ঢুঁ মেরে যাওয়া আমার প্রতি ভালোবাসারই নামান্তর। এর জন্যও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
লেখালেখি বন্ধ করেন নাই জেনে খুশি হলাম। যদি অসুবিধা না হয় তবে জানাতে পারেন কোথায় কী নামে লেখালেখি করছেন।
আপনাকে আবার পোষ্টে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি। তবে আপনাকে খুব মিস করি। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই কামনাই করি। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

২৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩১

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন:
পাখি তো মাইরাই ফেললেন দেখতেছি। প্রায় ঠিক। কিন্তু অন্য যেইখানে দিছি সবাই ভাবছে নারী মুখ। আমরা ছাচে বাধা চিন্তায় আটকে গেছি।

নারী মুখ নয়, নারী পুরুষ যেকোন মুখ। এমন একটা মুখ যাকে অনুসরন করা যায়। একেবারে মাটি থেকে উঠে আসা।

কান আছে তো গলা নেই, মানে অবিচারের কথা শুনেও মুখ বুজে থাকা দুর্বল। গলা আছে তো মাথা নেই এটাও এই লাইনেরই...

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, 'আমরা ছাঁচে বাঁধা চিন্তায় আটকে গেছি'। তাই আমাদের চিন্তা ভাবনায় ইদানিং গভীরতা কমে যাচ্ছে।
যেমন মুখ খোঁজে বেড়াচ্ছেন, তা এখন শুধু স্বপ্নেই কেবল মিলতে পারে। বাস্তবে যদিও কেউ থেকে থাকে, তবে তারা হাইবারনেশনে চলে গেছে। আবারও আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সতত।

৩০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ওপার বাংলা বেছে নিছি। মুক্তমঞ্চ। ওইটা দিয়াই আমার আলাপচারীতার শুরু, অনেক অনেক বছর আগে। কৈশোরও পার করিনাই তখনো। কিন্তু কয়দিন আগে গিয়ে দেখি এখনো কয়েকজন নাম মনে রাখছে। এইটাই তো স্বার্থকতা। আমি ব্লগিং করিনা, আমার আলাপ করতে ভাল্লাগে। পোস্ট দেয়া না দেয়া মুখ্য না।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার অন্য পরিচয় জেনে ভালো লাগলো। ভালো কিছু করেছেন বলেই হয়তো তারা এখনো আপনাকে মনে রেখেছে। এটা আসলেই একটা তৃপ্তিকর ব্যাপার। ওপার বাংলার অভিজ্ঞতার কথা একদিন জানালে খুশি হবো। ভালো থাকবেন।

৩১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৪০

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক। আপনাকে দেখে অনেক পুরোনো স্মৃতি ফিরে এল। ঝর্ণাকে তো পেয়েইছেন, স্প্যান মাঝে মাঝে আসেন। বাল্মিকি খুব কদাচিৎ "চমৎকার চমৎকার" এইটুকু বলে কেটে পড়েন। উজ্জ্বল, আজাদুর নামে লেখেন। হীরাও আসেন রেয়ারলি। আর আমি হলাম জাবালি । লেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। দীর্ঘ কয়েক বছর পরে পাসওয়ার্ড ইত্যাদি হারিয়ে ফিরে এসে দেখলাম "জাবালি" নামে লিখতে গেলে সফটওয়্যার বলছে --একজন জাবালি রয়েছে, অন্য নাম নাও-- ফলে রেঙ্গুন...ঃ-)

এইটা হইলো দীর্ঘ্য প্রায় আট বছর পর প্রথম পোস্ট দেয়ার পরে একজবের মন্তব্য যাকে স্যার ডাকা হইতো। এমনি এমনি আমরা সবাইকে চিনি। কেউ কিছু অন্য নামে লিখলে টাইপ করার ভঙ্গীতে বলে দিতে পারব্য কে লিখেছে। ওপারের মানুষ কৃপন এইটা আসলে ভুল। কলকাতায় সপ্তাহ খানেক ছিলাম। একেকদিন একেকজন ধরে নিয়ে গেছে। খাওয়া দাওয়াও পুরা ঢাকাইয়া স্টাইলেই চলছিল। হোটেলে উঠবার নামও আনতে পারিনাই মুখে। এইটা হইলো আমার ওইপারের অভিজ্ঞতা। আর এই পাড়ে সামুতে আমি আসলে ব্যান খাওয়া অবাঞ্চিত ব্লগার। তাই এই জায়গা আমাকে টানলেও সবসময় আনইজি একটা অনুভুতি দেয়। তাই পোস্টাই না।।

ভালো থাকেন...

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: তাহলে সেখানে আপনি রেঙ্গুন নামে লেখালেখি করছেন। সাইটের নাম কী?
ওপার বাংলা সম্বন্ধে দেখা যায় আপনার অভিজ্ঞতা বেশ সুখকর। এটা খুব ভালো লক্ষণ। কারণ তারা আপনাকে সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছে। নিশ্চয়ই আপনার মধ্যে কিছু আছে বলেই এমনটা হয়েছে। অনেক ভালো লাগলো জেনে। শুভ কামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.