নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘাস ফুল

মানুষের বিচার্য হোক মনুষ্যত্ব ও মানবতা; কোন ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ কিংবা লিঙ্গ নয়

বিদ্রোহী বাঙালি

লেখালেখির ক্ষেত্রে আমার অলসতা প্রবাদতুল্য।

বিদ্রোহী বাঙালি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালের প্রতিবিম্বঃ বই পড়ার গুরুত্ব এবং নবীন ও ভার্চুয়াল লেখকদের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

বই পড়ার গুরুত্বঃ



সৈয়দ মুজতবার আলীর বই প্রীতির কথা আমরা সবাই জানি। তাইতো সহজেই তিনি বলতে পেড়েছেন, ‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না।‘ বই পড়ার গূঢ়ার্থ অনুধাবন করার নিমিত্তে তিনি তাঁর ‘বইকেনা’ গল্পে একজন রাজা ও হেকিমের গল্প বলেছিলেন।

“এক রাজা তাঁর হেকিমের একখানা বই কিছুতেই বাগাতে না পেরে তাঁকে খুন করেন। বই হস্তগত হল। রাজা বাহ্যজ্ঞান হারিয়ে বইখানা পড়ছেন। কিন্তু পাতায় পাতায় এমনি জুড়ে গিয়েছে যে, রাজা বার বার আঙুল দিয়ে মুখ থেকে থুথু নিয়ে জোড়া ছাড়িয়ে পাতা উল্টোচ্ছেন। এদিকে হেকিম আপন মৃত্যুর জন্য তৈরি ছিলেন বলে প্রতিশোধের ব্যবস্থাও করে গিয়েছিলেন। তিনি পাতায় পাতায় কোণের দিকে মাখিয়ে রেখেছিলেন মারাত্মক বিষ। রাজার আঙুল সেই বিষ মেখে নিয়ে যাচ্ছে মুখে।

রাজাকে এই প্রতিহিংসার খবরটিও হেকিম রেখে গিয়েছিলেন কেতাবের শেষ পাতায়। সেইটে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজা বিষবাণের ঘায়ে ঢলে পড়লেন।“



পৃথিবীর অন্যতম বহুভাষাবিদ জ্ঞানতাপস ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর একটি ঘটনা পড়লেই বুঝা যাবে বই পড়া আমাদের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রতিদিন কমপক্ষে ১৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন। কারণ তিনি জানতেন বই পড়া ছাড়া কোনভাবেই জ্ঞান লাভ করা সম্ভব নয়। বই ছিল তার একমাত্র বন্ধু। বই ছিল তার নিত্যসঙ্গী। শহীদুল্লাহ একদিন পাঠাগারের এক কোনায় বসে বই পড়ছেন পড়ছেন তো পড়ছেনই, বইয়ের মাঝে ডুবে একাকার হয়ে আছেন। তিনি পাঠাগারের এক কোনায় বসে পড়তে থাকায় পাঠাগার কর্তৃপক্ষ পাঠাগার বন্ধ করার সময় হলে তাকে লক্ষ্য না করে পাঠাগার বন্ধ করে চলে গেলেন। কিন্তু শহীদুল্লাহ বিরামহীনভাবে পড়ছেন, কোন সময় পাঠাগার বন্ধ করা হলো তা তিনি টেরই পেলেন না।

যত বড়ই বই হোক না কেন, শহীদুল্লাহ একবারে শেষ না করে কোনোভাবেই উঠতেন না। যা হোক পরদিন রীতিমত পাঠাগার খোলা হলো। খোলামাত্র পাঠাগার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে তিনি পড়লেন। কর্তৃপক্ষ তাকে দেখে তো হতবাক। শহীদুল্লাহকে তিনি প্রশ্ন করলেন, আপনি পুরো রাতদিন পাঠাগারে বন্দি ছিলেন? তখন শহীদুল্লাহর বই পড়ার ধ্যান ভেঙে গেল এবং মুখ খুলে বললেন—অবচেতন মনে—‘না তো, আমি বই পড়ছিলাম।‘



পল্লী কবি জসীমউদ্দিন বলেছেন, ‘বই জ্ঞানের প্রতীক, বই আনন্দের প্রতীক।‘ জ্ঞান আর আনন্দ ছাড়া মানব জীবন নিশ্চল হয়ে পড়ে। জীবনকে সুন্দর ভাবে বিকশিত করতে হলে, সুবাসিত করতে হলে জ্ঞানার্জন করতে হবে। আর জ্ঞানার্জন করতে হলে বই পড়ার কোন বিকল্প নাই। পৃথিবীর যাবতীয় জ্ঞানের কথা যেন বইয়ের মাঝে লুকিয়ে আছে। তাই জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করতে হলে বই পড়তেই হবে। নিজেকে জানতে হলে, পৃথিবীকে জানতে হলে বই পড়তে হবে। তাই হয়তো অ্যামেরিকান বিখ্যাত অভিনেতা Will Rogers বলেছেন, ‘A man only learns in two ways, one by reading and the other by association with smarter people.’



একটা সভ্যতাকে, একটা শতাব্দীকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য মহা কোন পরিকল্পনা করার দরকার নেই। ঐ সভ্যতার সবগুলো বইও পুড়ে গেলার কোন প্রয়োজন নাই। শুধু মানুষকে বই পড়া থেকে বিরত রাখতে পারলেই তা হয়ে যাবে। তাইতো অ্যামেরিকান লেখক Ray Bradbury বলেছেন, ‘You don’t have to burn books to destroy a culture. Just get people to stop reading them.’ এ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, বই পড়া কত গুরুত্বপূর্ণ। তাই চলুন সবাই আমরা বই কিনি, বই পড়ি আর প্রিয়জনকে বই উপহার দেই।



বই পড়া যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা নিচে তুলে ধরা বিভিন্ন মনীষীদের উক্তিগুলো পড়লে আরও বেশী অনুধাবন করা যায়।



১. ভালো খাদ্য বস্তু পেট ভরে কিন্ত ভাল বই মানুষের আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে। - স্পিনোজা

২. ভালো বই পড়া মানে গত শতাব্দীর সেরা মানুষদের সাথে কথা বলা। - দেকার্তে

৩. অন্তত ষাট হাজার বই সঙ্গে না থাকলে জীবন অচল। - নেপোলিয়ান

৪. প্রচুর বই নিয়ে গরীব হয়ে চিলোকোঠায় বসবাস করব তবু এমন রাজা হতে চাই না যে বই পড়তে ভালবাসে না. - জন মেকলে

৫. আমি চাই যে বই পাঠরত অবস্থায় যেন আমার মৃত্যু হয়। - নর্মান মেলর

৬. একটি ভালো বইয়ের কখনোই শেষ বলতে কিছু থাকে না। - আর ডি কামিং

৭. একটি বই পড়া মানে হলো একটি সবুজ বাগানকে পকেটে নিয়ে ঘোরা। - চীনা প্রবাদ

৮. একজন মানুষ ভবিষ্যতে কী হবেন সেটি অন্য কিছু দিয়ে বোঝা না গেলেও তার পড়া বইয়ের ধরন দেখে তা অনেকাংশেই বোঝা যায়। - অস্কার ওয়াইল্ড

৯. বই হলো এমন এক মৌমাছি যা অন্যদের সুন্দর মন থেকে মধু সংগ্রহ করে পাঠকের জন্য নিয়ে আসে। - জেমস রাসেল

১০. আমাদের আত্মার মাঝে যে জমাট বাধা সমুদ্র সেই সমুদ্রের বরফ ভাঙার কুঠার হলো বই। - ফ্রাঞ্জ কাফকা

১১. পড়, পড় এবং পড়। - মাও সেতুং

১২. জীবনে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন- বই, বই এবং বই। - ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

১৩. বই হচ্ছে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে বেঁধে দেয়া সাঁকো। - রবীন্দ্রনাথ





নবীন ও ভার্চুয়াল লেখকদের মূল্যায়নঃ



একুশকে ঘিরে বইমেলা। তাই একুশ পার হয়ে যাওয়ার পরই বইমেলায় এক ধরণের ভাঙ্গনের সুর বেজে উঠে, যা অনুরণিত হতে থাকে মেলার শেষ দিন পর্যন্ত। এই অনুরণন মূলধারার লেখকদের মনে যতটা না আঘাত হানে, তার চেয়ে বেশী আঘাত হানে বিভিন্ন ভার্চুয়াল জগতের লেখকদের বা নবীন লেখকদের মনে। এর বহুবিদ কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ হল ভার্চুয়াল জগতের লেখকদের কিংবা নবীন লেখকদের বই মূলত বিক্রি হয় বইমেলায়। বছরের বাকী সময়টায় টুকটাক বিক্রি হলেও সেটা ধর্তব্যের মধ্যে আসে না। কিন্তু যারা ইতিমধ্যেই বিখ্যাত বা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন, তাদের লেখা হয়তো বছর জুড়েই কিছু না কিছু বিক্রি হয়। তাই তারা ভাঙনের সুরটা ভার্চুয়াল জগতের লেখকদের মতো অতো প্রকট অনুভব করেন না। তাছাড়া সাধারণত মূল ধারার লেখকদের কিংবা জনপ্রিয় লেখকদের বই ছাপাতে কোন পয়সা খরচ করতে হয় না। প্রকাশকরা নিজেদের পয়সায়ই সব করে দেন। কিন্তু ভার্চুয়াল জগতের লেখকদের বা নবীন লেখকদের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। তারপরও ভার্চুয়াল জগতের লেখকরা বা নবীন লেখকরা অবহেলিত থেকে যান। তাদের বইগুলো অনেক পাঠকের বুক শেলফেই শোভা পায়। বালিশের ওপর, বিছানার ওপর, চেয়ারের ওপর কিংবা ডাইনিং টেবিল অথবা টি-টেবিলের ওপর বিখ্যাত বা জনপ্রিয় লেখকদের বই-ই পড়ে থাকতে দেখা যায়, যা হয়তো কিছু অংশ পড়া শেষে বাকী অংশ পড়ার অপেক্ষায় পড়ে আছে।



মূলধারার লেখকদের একটা সাধারণ প্রবণতা, তারা মনে করেন ভার্চুয়াল জগতের লেখকদের বইয়ের মান তেমন ভালো না। কিন্তু বাস্তবতা হল, না পড়েই তাদের মধ্যে অনেকের এই ধারণা হয়েছে। অনেক জনপ্রিয় প্রকাশকও এমনটি মনে করেন। এটা আসলে অন্যায়। এভাবে ভার্চুয়াল জগতের লেখকদের কিংবা নবীন লেখকদের অবমূল্যায়ন করা ঠিক না। জনপ্রিয় লেখকদের, মূলধারার লেখকদের এবং বিভিন্ন প্রকাশনার উচিৎ ভার্চুয়াল জগতের লেখকদের কিংবা নবীন লেখকদের বই বেশী বেশী পড়া। পড়া শেষে পারলে তাদের বই নিয়ে মূল্যায়ন করা, যদি সেগুলোতে কোন ভুলত্রুটি থাকে, তা গঠনমূলক সমালচনার মাধ্যমে প্রকাশ করা। তাতে ভার্চুয়াল জগতের লেখকরা কিংবা নবীন লেখকরা নিজেদের ভুলত্রুটিগুলো শুধরে নেয়ার অবকাশ পাবে, তারা উৎসাহ পেয়ে নতুন নতুন লেখায় নিজেদের মনোনিবেশ করবে। অনেক পাঠক এতে করে উৎসাহিত হবে ঐ সব লেখকদের বই কিনে নিয়ে পড়ার জন্য। তাতে বরং আমাদের বাংলা সাহিত্য আরও বেশী সমৃদ্ধ হবে।



সাধারণ পাঠক যারা ভার্চুয়াল জগতের লেখকদের কিংবা নবীন লেখকদের বই কিনেন, তাদেরও একটা দায়িত্ব বোধ থাকা উচিৎ। তাদের উচিৎ বইগুলোকে শেলফে সাজিয়ে না রেখে সময় করে পড়ে নেয়া। সময় সুযোগ হলে এই সব বই থেকে পড়ে যেগুলো ভালো লেগেছে সেগুলো সম্বন্ধে ভার্চুয়াল জগতেই অল্প বিস্তর যে যেমন পারে আলোচনা বা সমালোচনা করা। এটাও ভার্চুয়াল জগতের লেখকদের কিংবা নবীন লেখকদের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে। আর আমরা যদি এভাবে এগিয়ে যেতে থাকি, তখন অনেক প্রকাশকই ভার্চুয়াল জগতের লেখকদের বা নবীন লেখকদের লেখা ছাপানোর জন্য এগিয়ে আসবে। তখন আমরা অনেক ভালো ভালো লেখক পেতে শুরু করবো।

মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৯

আবু শাকিল বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
+

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আবু শাকিল। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সৈয়দ মুজতবার আলী কে ছিলেন?

আজকাল বই ছাপাতে পকেটের পয়সা দিয়ে অনেকই দেউলিয়া হচ্ছেন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: সৈয়দ মুজতবা আলী কে ছিলেন বলতে হবে নাকি? :P
আজকাল বই ছাপাতে পকেটের পয়সা দিয়ে অনেকেই নিজ থেকেই দেউলিয়া হচ্ছেন। কেউ তাদের দেউলিয়া করছেন না। নিজে নিজেকে দেউলিয়া করতে চাইলে কে ঠেকিয়ে রাখবে বলুন? ধন্যবাদ চাঁদগাজী।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

নিলু বলেছেন: পড় আর পড় , ভালো , লিখে যান

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: লিখে যাচ্ছি নিলু। আপনিও লিখে যান। ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩১

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: আমাদের কত বিশাল বাংলা সাহিত্য জগত

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: হুম! ঠিকই বলেছেন আমাদের বাংলা সাহিত্য আসলেই বিশাল। ধন্যবাদ নাজমুল। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনি মন্তব্যেও করতে জানেন নাকি? মন্তব্য করতে দেখি না বলেই এমনটা বললাম। ভালো থাকবেন রাজীব। ধন্যবাদ।

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: আমি ঠিক অতোটা জানাশোনা মানুষ না তাই আন্দাজে বলছি, কাগজের বইয়ের ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার? এনসাইক্লোপেডিয়ার ছাপানো বন্ধ হয়ে গেছে প্রযুক্তির তথা ইন্টারনেটের কারণে।অনেক সময় ভাবি আর লিখে টিখে কি হবে, সবতো নেটেই পাওয়া যায়!
আপনার লেখাটি খুব ভাল হয়েছে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বেছে বেছে আমার মতো নিরীহ একটা মানুষকেই প্রশ্নটা করলেন? :(

কাগজের বইয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার কিনা, এটা নিয়ে এই মুহূর্তে মন্তব্য করা বেশ কষ্টকর। তবে কাগজের বইয়ের প্রকাশনার ব্যাপারে পরিবর্তন হয়তো আসবে অনেক। সহসা আসবে না। কিন্তু আজ থেকে দেড় যুগ পর হয়তো দেখা যাবে সবাই নিজের বই নিজেই ছাপাচ্ছে এবং বাজারজাত করছে নিজের উদ্যোগে। আবার নাও হতে পারে। কিংবা আরও বেশী সময় নিতে পারে।
এখন অনলাইনের যুগ চলছে। ব্লগকেন্দ্রিক সাহিত্য চর্চাও বাড়ছে দিন দিন। তাই হয়তো ভবিষ্যতে দেখা যেতে পারে লেখকরা অনলাইনেই বই প্রকাশ করছে। যদি কাগজের বই উঠে যায় কোন দিন তখন দেখা যাবে অনলাইনে ছাপানো বইয়ের ব্যাপারে অন্য কোন ধরণের নীতিমালা চলে আসবে। কারণ সাহিত্যের উপর নোবেলসহ অনেক পুরস্কার দেয়া হয়। আর এই সব পুরস্কারের দিকে সব লেখকেরই একটা দৃষ্টি থাকে। সুতরাং বই প্রকাশের কোন নীতিমালা না থাকলে এই সব পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না। আরও বহু দিক বিবেচনায় নেয়ার মতো রয়ে গেছে। তাই কাগজের বইয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার কিনা সেটা ভাবার মতোও সময় হয় নাই এখনো। কিন্তু এটা নিশ্চিত মনে হচ্ছে, প্রকাশকদের দৌরাত্ব্য কমে আসতে পারে। এনসাইক্লোপেডিয়ার অভাবটা উইকিপিডিয়াসহ আর কিছু অনলাইন ভিত্তিক সাইট এবং বিভিন্ন ব্যক্তিগত সাইটের কারণে কেউ অনুভব করছে না।
লিখে কী হবে ভাবা মনে হয় ঠিক না। কারণ এভাবে সবাই যদি লিখা বন্ধ করে দেয়, তখন কিন্তু অনলাইনেও অনেক কিছু পাওয়া যাবে না। আর পাওয়া গেলেও সবই হবে পুরনো ভার্সন। আপডেট কিছুই থাকবে না।
লেখা পছন্দ হওয়ায় এবং কিছু বলার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী। ভালো থাকবেন। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভালো লাগল পুরো লেখাটা।

বই মেধাকে শানিত করে। কিছু বললার আগে যেমন শোনা প্রয়োজন তেমনি কিছু লেখার আগে প্রচুর পড়াটাও প্রয়োজন।

ভালো থাকবেন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বই মেধাকে শানিত করে। কিছু বললার আগে যেমন শোনা প্রয়োজন তেমনি কিছু লেখার আগে প্রচুর পড়াটাও প্রয়োজন।
যথার্থ বলেছেন রাজপুত্র। পড়ার কোন বিকল্প নাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৫

সানজিদা আয়েশা সিফা বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন , আসলে সব ভাল কিছুর মূলই বই এটা আমাদের কে বুঝতে হবে ।

বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে আমাদের সবাইকে ।

শুভকামনা রইল আপনার জন্য :)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আসলে সব ভাল কিছুর মূলই বই এটা আমাদের কে বুঝতে হবে। বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে আমাদের সবাইকে।
খুব ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো। বেশ মূল্যবান কথা। আমার ব্লগে মনে হয় প্রথম আপনার পদার্পণ ঘটেছে। স্বাগতম। অনেক ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো সানজিদা।

৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৫

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণমূলক সময় উপযোগি পোস্ট।

শুরুর দিকের তথ্যগুলো ভাল শেয়ার।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার মন্তব্যে বেশ উৎসাহ পেলাম সুমন। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সতত।

১০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৭

অক্টোপাস পল বলেছেন: চালিয়ে যান :)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৩

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: কী চালিয়ে যাবো? :P ভালো গল্প লিখেন অথচ মন্তব্যের ব্যাপারে দায়িত্বহীন মনে হল। :(
তবুও ভালো আমার পোষ্টে আপনার দেখা পেলাম। ধন্যবাদ অক্টোপাস।

১১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০৪

জাফরুল মবীন বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণমূলক পোস্ট এবং সময়োপযোগীও বটে।

আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।

অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন। :)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ফেবুতে শেয়ার দেয়ার জন্য এবং আন্তরিকভাবে উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

১২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০৫

রামন বলেছেন:
বই পড়ার গুরত্ব তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। ভাবছিএখন থেকে অবসর সময়ের সবটুকু ভার্চুয়াল জগতে ব্যায় না করে কিছুটা সময় বই পড়ায় মনোনিবেশ করব৷ শুভেচ্ছা নিরন্তর।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ভাবছিএখন থেকে অবসর সময়ের সবটুকু ভার্চুয়াল জগতে ব্যায় না করে কিছুটা সময় বই পড়ায় মনোনিবেশ করব৷
আপনার সঠিক সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানাচ্ছি রামন। আসলে এমনি হওয়া উচিৎ। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমার সামান্য একটা পোস্ট আপনাকে অনুপ্রাণিত করেছে দেখে আনন্দিত হলাম। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।

১৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২২

ইউনুস আহমেদ কোমল বলেছেন: পড়, পড় এবং পড়। অসাধারণ লেখা।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমার ব্লগবাড়িতে আপনাকে স্বাগতম ইউনুস। আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪২

সুফিয়া বলেছেন: অনেক সুন্দর এবং সময়োপযুগী একটা লেখা শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

সত্যিকার অর্থে জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। তা সত্ত্বেও আমরা বই বিমুখ জাতি। অথচ আমরা নিজকে জ্ঞানী ভাবি। এটাই পরিতাপের বিষয়।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: সত্যিকার অর্থে জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। তা সত্ত্বেও আমরা বই বিমুখ জাতি। অথচ আমরা নিজকে জ্ঞানী ভাবি। এটাই পরিতাপের বিষয়।
যথার্থ বলেছেন সুফিয়া। বই পড়লে আমরা অন্তত আত্ম অহংকারে বা আত্মতৃপ্তিতে ভুগবো না। তখন আমাদের বিবেকের দরজাও খুলে যাবে। আমরা হয়ে উঠবো মানবিক আর নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন মানুষ। অনেক ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন সুফিয়া।

১৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

বই পড়া নিয়ে চমৎকার বিশ্লেষনমূলক লেখা।+++

আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ রইল।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: যখনই পোস্ট দেই, তখনই আপনার হৃদ্যতাপূর্ণ উপস্থিতি আমাকে সাহস সঞ্চার করে। এটা আমার জন্য বিরাট পাওয়া। অনেক ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়। ভালো থাকবেন।

১৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

নীল লোহীত বলেছেন: অসাধারণ একটা পোস্ট।

আমার মত নবীনদের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

শুভকামনা রইল ভাই।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ইদানীং একটু কম দেখছি আপনাকে নীল। ঠিক আছেনতো? নবীনদের দূরে ঠেলে না দিয়ে বুকে জড়িয়ে নেয়া দরকার। তখন আমাদের বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে বলে আমার ধারণা। অনেক ধন্যবাদ নীল লোহীত। ভালো থাকবেন সতত।

১৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়না !! ভালো লাগা জানবেন ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনাকেতো ইদানীং দেখিই না। না আপনার লেখা, না আপনার উপস্থিতি। আপনি ভালো আছেনতো অভি? পোষ্টে আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগলো। বই হোক সবার নিত্যসঙ্গী ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বই হোক সবার নিত্যসঙ্গী
ঠিক তাই। ভালো লাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ তাহসিনুল। আপনার বইয়ের জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইলো।

১৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৬

মো.জাকারিয়া হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে একটি তথ্য সমৃদ্ধ লেখা উপহার দেয়ার জন্য , বই হচ্ছে আমার জীবনের প্রথম এবং শেষ প্রেম ; জানি না বই এর মত কাউকে জীবনে আপন করে নিতে পারব কি না । তবে সময়ের বিবর্তনে বই এর পিছনে আর সময় দেয়া হয় না ।
আপনার জন্য রইল আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভ কামনা ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বই হচ্ছে আমার জীবনের প্রথম এবং শেষ প্রেম ; জানি না বই এর মত কাউকে জীবনে আপন করে নিতে পারব কি না ।
যারা বইয়ের প্রেমে মজেছে, তাদের অন্য প্রেমে জড়ানো আসলেই কষ্টকর। যথার্থই বলেছেন জাকারিয়া। সময় করে বইয়ের পিছনে সময় দেয়ার চেষ্টা করলে বরং ভালোই হবে।
আমার ব্লগবাড়িতে আপনাকে স্বাগতম। আপনার কাছ থেকে ভালো ভালো লেখা পাবো আশা করছি। অনুসরণে নেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জাকারিয়া। ভালো থাকবেন সতত।

২০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩১

কলমের কালি শেষ বলেছেন: লেখাটি বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করলো । কিন্তু আমাকে দিয়ে কি বই পড়া হবে ! বড়ই আলসে মাংসপিন্ড !.. :( :(

অসাধারণ আগ্রহ জাগানীয় লেখায় অসংখ্য পিলাচ ।

ভালো থাকবেন । :)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: জীবনের ডায়েরিতেও কী অসম্পাদিত লিখে রেখেছেন কালি? :P
আমিও কিন্তু অলস। অন্তত লেখালেখির ক্ষেত্রে। আমার প্রোফাইলে তা স্বীকার করে নিয়েছি। মিলে গেলো আপনার সাথে। অসংখ্য পিলাচের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ কালি। কম দেখি কেন? ইজি কাজে বিজি নাকি?

২১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বই পড়ার মজা নাকি সবার জন্য না। উঁচু দরের লোকজনের জন্য। তাও আগের চেয়ে বই পড়ার মানুষের সংখ্যা দিনকেদিন কমছেই। খারাপ লাগে ভাবতে। বই নেই মানে তো জ্ঞানের প্রবাহও নেই। এখন পর্যন্ত বইয়ের তুলনা বই ই । অনলাইনে লেখা পড়া যায় কিন্তু স্বাদ নেয়া যায় না।

আপনার লেখাটা খুব ভালো লাগলো, সময়োপযোগী লেখা। ধন্যবাদ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বই পড়ার মজা সবার জন্য না বলে মনে হয় বলা ভালো বই পড়ার মজা সবাই পায় না। তবে যারা পায়, তারা বই পড়া আর ছাড়ে না। বই পড়া মানুষের সংখ্যা কমছে এটা সত্যি। এই সংখ্যা যত কমবে, জ্ঞানের প্রবাহ তত কমবে এবং তত সমাজে অশান্তি দেখা দেবে। কারণ যারা বই পড়ে মজা পায় কিংবা নিয়মিত বই পড়ে, তারা সহজে খারাপ কাজ করতে পারে না। হাতে নিয়ে বই পড়ার মজাই আলাদা। তাই আপনি ঠিকই বলেছেন, অনলাইনে লেখা পড়া যায় কিন্তু স্বাদ নেয়া যায় না।'
আপনার চমৎকার মন্তব্য খুব সুন্দর কিছু কথা বলেছেন তনিমা। খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৭

লিট্রিমিসটিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:০১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনাকে মনে হয় আমার ব্লগবাড়িতে প্রথম পেলাম। স্বাগতম।
পাঠকের ভালো লাগায় সব সময়ই তৃপ্তি দেয়। অনেক ধন্যবাদ লিট্রিমিসটক। ভালো থাকবেন সতত।

২৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: না তো আমি বই পড়ছিলাম.....

অনলাইনে সব পাওয়া জায় কিন্তু পুরাতন বই এর গন্ধ পাওয়া জায় না।
লেখার অনেক মাধ্যম তৈরী হয়েছে, কিন্তু তারপর ও সব লেখকই ছাপার অক্ষরে নিজের নাম দেখতে চান।

অনেক রিচ একটা লেখা
লেখায় ভাল লাগা :)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অনলাইনে সব পাওয়া জায় কিন্তু পুরাতন বই এর গন্ধ পাওয়া জায় না।
লেখার অনেক মাধ্যম তৈরী হয়েছে, কিন্তু তারপর ও সব লেখকই ছাপার অক্ষরে নিজের নাম দেখতে চান।


আপনার উপরের কথাগুলো আমিও বিশ্বাস করি। তাছাড়া বই হাতে নিয়ে পড়ায় যে মজা পাওয়া যায়, সেটা অনলাইনে পাওয়া যায় না।
আপনার ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মনিরা। ভালো থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ।

২৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: কই আছি তো ! তবে একটু সময় কমে গেছে। ইজি কাজে বিজি আর কি ! ;) :P

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: হ্যাঁ, আমিও তাই বলি, ইজি কাজে বিজি আছেন। তাই সময় কমে গেছে। কম সময়ের মধ্যেও আমার পোস্ট ঘুরে যাচ্ছেন দেখে ভালো লাগলো কালি। ভালো থাকবেন আর চেষ্টা করুন সময় বাড়ানো যায় কিনা। অনেক ধন্যবাদ।

২৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

মাটিরময়না বলেছেন: ফিনিশিং তো সুন্দর দিয়েছেন ভাইজান।

আসলে কাজটা করে কয়জন??? সেটাই প্রশ্ন। তবে সুন্দর ভবিষ্যত দূরে নয়। এর পরিবর্তন আসবে।

কথাটা কিন্তু আসলেই সত্যি-- বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়না। আমার মতো ফকিরা এখনো দেউলিয়া হয় নাই, তো কেউ দেউলিয়া হবেনা।

আমার খুব কাছের একজন মানুষ (একজন লেখক) একদিন জাফর ইকবাল স্যারকে প্রশ্ন করেছিলেন - স্যার কি করে ভালো লিখা লিখতে পারবো একটা উপায় বলে দেন- তিনি বলেছিলেন--

যে যত বড় পাঠক সে তত বড় লেখক।

বই পড়ার কোন বিকল্প নাই-

শুভেচ্ছা ভাইজান।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: তোমার মতো ফকিরই যখন দেউলিয়া হও নাই, সেখানে আমার মতো ধনীরা দেউলিয়া হয় ক্যাম্নে। :P
জাফর ইকবাল স্যার যা বলেছে, সেটা শুধু আমি কেন সবাই বিশ্বাস করে। কিন্তু সবাই মেনে চলে না। এখানেই হয়েছে সমস্যাটা।
মাও সেতুং এর কথাই উচ্চারণ করছি আবার। 'পড় পড় এবং পড়।'
তোমার 'ওয়ালেট' এর জন্য আবারও তোমাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইলো মাটিরময়না। ভালো থেকো। আশা করবো উমরা শেষ করে এবং বাংলাদেশ ঘুরে এসে নিয়মিত সময় দিবে সামুতে। ভালো থেকো। ভালো ভাবে যাও এবং ভালো ভাবে ফিরে এসে এটাই দোয়া করছি। আমীন। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।

২৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১২

শায়মা বলেছেন: বাহ ভাইয়া!!!


আমি মুগ্ধ!!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: তোমাকে মুগ্ধ করা চাট্টিখানি কথা নয়। আমিতো মনে হয় বিরাট কম্ম করে ফেলেচি। হা হা হা। তুমিও ভালো থেকো বোন। অনেক ধন্যবাদ।

২৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমিও ;)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনিও মুগ্ধ হয়েছেন দেখে খুশি হলাম। অনেক ভালো লাগলো সেলিম। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো। ধন্যবাদ।

২৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

শায়মা বলেছেন: আমি আমার বাসার সব বই পড়ি ভাইয়া। এমন কোনো বই নেই যে পড়িনি।

আমি অনেক ভালো তাইনা বলো!!!!!!!!:)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: তুমি ভালোর ভালো। লক্ষ্মী মেয়ে! সব বই পড়ে ফেলেছে। বইমেলা চলছে। আরও কিছু বই কিনে সেগুলোও পড়ে ফেলো এখন। তাহলেতো আরও বেশী ভালো হয়ে যাবে, তাই না? :)
ভালো থেকো তুমি। দ্বিতীয় পদচারণের জন্য বেশী বেশী ধন্যবাদ।

২৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

সোহানী বলেছেন: লিখায় ভালোলাগা....... আমি ও মানি ভার্চুয়াল লিখা নয়.... চোখের সামনে আস্ত বই সব ভালো লাগা..........++++++

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: হাতে নিয়ে বই পড়ার মজা আসলে অন্য রকম। কিন্তু যখন হাতের কাছে কোন বই থাকে না, তখন ভার্চুয়ালে নির্ভর করতে হয় বই পড়ার নেশাকে জিইয়ে রাখার জন্য। ভালো লাগার অন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সোহানী। ভালো থাকবেন সতত।

৩০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

জুন বলেছেন: আমাদের পরিবারে বুড়ো থেকে শিশু সবার বই এর প্রতি প্রচন্ড আসক্তি। আমাদের ফ্যামিলিতে একটি লাইব্রেরী নেই এমন খুব কমই আছে। আমার মনে আছে জন্মদিনে পড়তে শেখার আগেই বাবার কাছ থেকে বই উপহার পেয়েছিলাম, আর বই খেলনার চেয়েও প্রিয় ছিল আছে আর যতদিন বাঁচি থাকবে। আমার খাটের মাথার কাছে সাজানো বই এর সারি।
সুতরাং গুরুত্বটা বুঝি বিদ্রোহী বাঙ্গালী। । আমরা ভাইবোনরা টিফিনের পয়সা বাচিয়ে কত বই কিনেছি । এখনো আমি প্রচুর পছন্দমাফিক বই কিনি। এক বই এর জন্য ১৫ বছর সারা ঢাকা শহর চষে বেড়িয়েছি। পরে এক বোনের বাসায় পেয়ে পুরো তিন পর্বই কপি করে বাধিয়ে এনেছি।
প্রিয় বিষয় হওয়ায় অনেক বক বক করলাম । ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন :)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার বক বক আমাদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে রইলো। বই পাগল এমন পরিবার ইদানীং খুব একটা দেখা যায় না। আপনার পরিবারের বই প্রীতির কথা জেনে ভীষণ খুশি হয়েছি। কোন বইটা ১৫ বছর সারা ঢাকা শহর খুঁজে বেড়িয়েছেন? শরতের 'শ্রীকান্ত' নয়তো আবার? বইটার কথা জানতে ইচ্ছে করছে।
গতকাল আপনার টাঙ্গুয়ার হাওড়ের উপর পোস্টটা পড়লাম এবং দেখলাম। চোখ ধাঁদিয়ে যাওয়ার মতো একটা পোস্ট। মন্তব্য করি নাই। শুধু পড়ে এসেছি এবং ছবিগুলো দেখে এসেছি। ভাবছি একদিন একটা মন্তব্যও করে আসবো।
ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলায় বরং হতাশ হলাম। এতো সুন্দর অনুকরণীয় একটা ব্যাপার আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন যে, উল্টো আমাকেই ক্ষমা চাইতে হচ্ছে আপনাকে যথার্থ সম্মান দেখাতে পারছি না বলে। অনেক ভালো থাকবেন জুন। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।

৩১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এক সোরাহি সূরা দিও,একটু রুটির ছিল্কে আর প্রিয়া সাকী,তাহার সাথে একখানি বই কবিতার, জীর্ণ আমার জীবন জুরে রইবে প্রিয়া আমার সাথ, এই যদি পাই চাইব নাকো তখৎ আমি শাহানশার! ওমর খৈয়াম

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ক সোরাহি সূরা দিও,একটু রুটির ছিল্কে আর প্রিয়া সাকী,তাহার সাথে একখানি বই কবিতার, জীর্ণ আমার জীবন জুরে রইবে প্রিয়া আমার সাথ, এই যদি পাই চাইব নাকো তখৎ আমি শাহানশার! ওমর খৈয়াম

আপনার মন্তব্যটা আমার পোস্টের জন্য একটা সংযুক্তি স্বরূপ। অনেক ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল ওমর খৈয়ামের উক্তিটা তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন সতত।

৩২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখাটা ছোটো, কিন্তু এতে খুব মূল্যবান তথ্য এবং তাৎপর্যপূর্ণ বিশ্লেষণ রয়েছে। ভালো লাগলো। অনেকগুলো দিক তুলে ধরেছেন বিশ্লেষণ অংশে। বাংলা টাইপিং নিয়ে সমস্যায় অাছি বলে বেশি কিছু বলতে পারছি না।

হাইয়ার স্টাডিজের জন্য এখন হার্ড কপি লাগে না। যারা দিনরাত অনলাইন থাকেন, তারাও হার্ড কপি পড়ার সময় পান বলে মনে হয় না। এদিক থেকে বই ছাপা হওয়া অাশংকার মধ্যে পড়ে। কিন্তু বইয়ের অাবেদন কোনোদিনই কমবে বলে অামি মনে করি না। ভবিষ্যৎ ভালো বা অন্ধকার যাই হোক না কেন, বই ছাপানো কোনোদিনই বন্ধ হবে না।


অামার বই কে পড়বে অার কে পড়বে না এটা অামি দাওয়াত দিয়ে নিশ্চিত করতে পারবো না। মূলধারার অনেক লেখকই এখনও পর্যন্ত ব্লগ সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন বলে মনে হয় না। ব্লগে এতো তাড়াতাড়ি পাঠকের সাড়া পাওয়া যায় এটা তারা যদি জানতেন তাহলে তারাও রাতদিন ব্লগেই পড়ে থাকতেন। কোন ধারার লেখক বেশি ভালো লেখেন এটা সাধারণ ভাবে বলা যায় যে মূলধারার লেখকরাই বেশি ম্যাচিউর, কারণ তারা বেশি অভিজ্ঞ। তবে ব্লগেও যে অনেক ম্যাচিউর লেখক রয়েছেন তা বলাই বাহুল্য, অার মূলধারার লেখকরা এখানে নেই বলেই এদের সম্বন্ধে তাদের ধারণা নেই। তবে অামার কথা হলো, লেখা ভালো হলে তা একদিন অালোর মুখ দেখবেই।

ভালো থাকুন।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমিও বিশ্বাস করি বইয়ের আবেদন কোনদিনই কমবে না। তবে প্রকাশকদের দৌরাত্ব্য কমতে পারে। কারণ এখনো প্রকাশকরা সহজে নবীন লেখকদের উপর ভরসা করেন না। কারণ তারা তাদের মুনাফা নিয়ে বেশী চিন্তিত থাকেন। অথচ প্রকাশকরা চাইলে অনেক নবীনদের টেনে তুলতে পারেন। কারণ অনেক নবীন লেখকই দারুণ লিখে যাচ্ছে। কিন্তু তারা প্রকাশকদের কোন সাহায্য পাচ্ছে না।
মূলধারার লেখকরা অবশ্যই বেশী ম্যাচিউরড। এটা আমিও স্বীকার করি। ব্লগ সম্বন্ধে এক সময় হয়তো তাদের কোন ধারণা ছিল না। কিন্তু এখন ধারণা হওয়ার কথা। কারণ গত কয়েকটা বইমেলায় ব্লগারদের প্রচুর বই প্রকাশ পেয়েছে। তাছাড়া অনেক মূলধারার লেখকই বিভিন্ন পত্রিকার সাথে জড়িত। আবার অনেক পত্রিকার সাথেই ব্লগ জড়িত। সুতরাং ব্লগ সম্বন্ধে তাদের অজানা নয়। তবে এটা ঠিক তারা এখনো ব্লগ কেন্দ্রিক লেখাগুলোর উপর ভরসা রাখতে পাড়ছেন না। এটা হয়েছে আগে থেকেই অপছন্দ করা আর নাক ছিটকানোর জন্য। তারা যদি নিয়মিত ব্লগারদের লেখা পড়েন, আশা করবো তাদের ভুল ভাঙতে বেশী সময় নিবে না। কারণ ব্লগ কেন্দ্রিক লেখকদের মধ্যে অনেক গুণী ব্লগার/লেখক আছেন।
আমি আশাবাদী আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মূলধারার লেখকদের মন মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন আসবে। কারণ তখন দেখা যাবে কিছু ব্লগ কেন্দ্রিক লেখক ইতিমধ্যেই নাম কুড়িয়ে ফেলবে। এটা আমার বিশ্বাস।
যেকোনো ভালো লেখার কোন মৃত্যু নাই। লেখক জীবিত না থাকলেও তাঁর লেখা থেকে যাবে। তাই আপনার কথাটা আমার কাছে যথার্থই মনে হয়েছে। আপনি যেমনটা বললেন, 'লেখা ভালো হলে তা একদিন অালোর মুখ দেখবেই।'
আপনাকে সহজে পাওয়া যায় না। আপনি নিজেও একজন গুণী লেখক। অন্তত আমি তাই মনে করি। দীর্ঘ সময় দিয়ে দীর্ঘ মন্তব্যে আমার পোষ্টে আপনার উপস্থিতিতে আমি সত্যিই ভীষণ খুশি হয়েছি। আপনার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যে আমার পোস্টের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন। সব সময় না হলেও মাঝে মাঝে এসে পাশে দাঁড়াবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

৩৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:১৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বই পড়ার আনন্দ শুধু যার এই নেশা আছে তারই।। যতই বিনোদনের আস্ফালন হোক না কেন, মাদকের নেশা থাকুক না কেন,এই নেশাকে আমি সবচেয়ে বড় বলে মনে করি।। যা স্ত্রী-সন্তানকেও ভুলিয়ে দেয়।। আমার বেলায় তো শত অভিযোগ!!
তবে গভীরতার দিক থেকে পুরানো লেখকদের তুলনায় নবীনরা অনেকটাই পিছিয়ে আছেন বলে মনে করছি।। অভিজ্ঞতাই হয়তো এই অভাবটা পুষিয়ে দেবে।।
তবে দুঃখ এই যে,প্রবাসে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে থাকার কারনে,এবং যান্ত্রিক জীবনের কারনে দেশে থাকা কালীন সময় ছড়া বই পড়া আমার হয় না।। একটু নষ্টালজিকের জন্য আপনাকে দায়ী করা ছাড়া পথ দেখছি না।।
ভাল থাকবেন।।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:০৪

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বই পড়ার নেশা আসলেই মারাত্মক। তবে এটা একটা গ্রহণযোগ্য নেশা। অন্তত সচেতন মানুষের কাছে অবশ্যই। আপনার মধ্যে এই নেশা আছে জেনে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ', নবীন অনেক লেখক অভিজ্ঞতার জন্যই শুধু পিছিয়ে আছে। যতই দিন গড়াবে, ততই তারা অভিজ্ঞ হবে এবং শাণিত হবে।
আপনার দুঃখের সাথে আমার দুঃখও মিলে গেছে। আমিও প্রবাসী। আপনি আছেন মধ্যপ্রাচ্যে আর আমি আছি আরও দূরে বিলাত। তাও বহুদিন হয়ে গেলো দেশে যাওয়া হচ্ছে না। ফলে নস্টালজিক হওয়ার জন্য আমাকে দোষ দিয়েও কোন লাভ হবে না ভাই। আমিও আজ বেশ অনেক বছর হল বইমেলা থেকে বঞ্চিত। :(
তবুও দোষটা আমার কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে আপনার সুখ কামনা করছি। ভালো থাকবেন সতত। আর সুন্দর মতামত দিয়ে আমাকে সুখ দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

৩৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৭

মিশু মিলন বলেছেন: বই, লেখক, পাঠক নিয়ে অনবদ্য পোস্ট! চমৎকার সব উদ্বৃতি!

জনসংখ্যার সংখ্যার দিক দিয়ে বলতে গেলে বলতে হবে বই পড়া কমে যাচ্ছে। চারপাশের জীবন-জীবিকার চাপও এর জন্য দায়ী। তবু ইচ্ছা থাকলে এর মধ্যেও বই পড়া সম্ভব।

বই পড়ুয়া আর লেখকদেরকে এখন কেউ কেউ ভাবে অলস। আমি গর্বিত এই অলসতা নিয়ে। সারাজীবন এমন অলস হয়েই থাকতে চাই।

নবীন এবং ভার্চুয়াল লেখকদের নিয়ে আপনার ভাবনা ছড়িয়ে পড়ুক সবার মধ্যে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠিত লেখক এবং তাদের নব্য চেলারা মনে করেন, ভার্চুয়াল লেখরা হলো নমঃশূদ্র গোত্রের লেখক। কিন্তু আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই, প্রতিষ্ঠিত অনেক লেখক-কবির চেয়ে ভার্চুয়াল বেশ কয়েকজন লেখক-কবি অনেক ভাল লিখছেন।


চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় বাঙালী। ভাল থাকুন। শুভকামনা নিরন্তর.........

অনেকগুলো পোস্ট দিয়েছেন দেখছি। আস্তে আস্তে পড়তে হবে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার গর্বের অলসতাকে যত্ন নিয়েন মিশু। এমন অলসতা আমারও খুব পছন্দ।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠিত লেখক এবং তাদের নব্য চেলারা মনে করেন, ভার্চুয়াল লেখরা হলো নমঃশূদ্র গোত্রের লেখক। কিন্তু আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই, প্রতিষ্ঠিত অনেক লেখক-কবির চেয়ে ভার্চুয়াল বেশ কয়েকজন লেখক-কবি অনেক ভাল লিখছেন।

এখানে দ্বিমত করার কোন অবকাশ নাই। প্রবীণ লেখক, পত্রিকা সম্পাদক এবং প্রকাশকরা আপনার উপরোক্ত কথাগুলো অনুধবান করুক এটাই আমার প্রত্যাশা। তাহলে নবীন এবং ভার্চুয়াল লেখকদের উপরের উঠার সিঁড়ি অনেক মসৃণ হয়ে যাবে। তখন বাংলা সাহিত্যই উপকৃত হবে।
আপনার চমৎকার মন্তব্যে আমার লেখার সারবস্তু উঠে এসেছে মিশু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

৩৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

রোদেলা বলেছেন: বেশ অনুপ্রানিত হলাম আপনার লেখাটা পড়ে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অনুপ্রাণিত হওয়ায় লেখাটা সার্থক হল রোদেলা। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সতত।

৩৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

অন্তরন্তর বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট। বই পড়ার বিকল্প কিছুই নেই। যতই প্রযুক্তি আধুনিকায়ন হউক বই পড়া
কমতে পারে না বলেই আমার বিশ্বাস। নতুন বইয়ের সেই মাতাল করা গন্ধ অনেকদিন
মিস করছি। শুভ কামনা।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৩

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বই পড়ার বিকল্প কিছুই নেই। যতই প্রযুক্তি আধুনিকায়ন হউক বই পড়া কমতে পারে না বলেই আমার বিশ্বাস।
এ বিশ্বাস আমারও। বই হাতে নিয়ে পড়ার যে আনন্দ অনলাইনে সে আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায় না। আর নতুন বইয়ের মাতাল করা যে গন্ধের কথা বললেন, সেটা অনেক দিন হল আমিও মিস করছি। আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ অন্তরন্তর। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

৩৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৪

মহামতি আইভান বলেছেন: লেখাটা অসাধারন লেগেছে ভাইয়া, বিশেষ করে আপনার লেখার শেষ অংশটুকু পড়ে মনের মধ্যে শংকা ঢুকে গেছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় সত্যিই যদি সবাই 'লিখে কি হবে' এই ভাবনা নিয়ে লেখা ছেড়ে দেয় তখন আমাদের মত পাঠকদের কি হবে?

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:০৩

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: যারা প্রকৃত অর্থেই লেখক, তারা কখনোই লেখালেখি ছাড়বে না। কারণ লেখালেখি তাদের কাছে নেশার মতো। সুতরাং উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নাই।
আপনাকে পোষ্টে পেয়ে ভালো লাগলো আইভান। অনেক দিন পর দেখলাম। ভালো ছিলেনতো? অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: তুমি ভালোর ভালো। লক্ষ্মী মেয়ে! সব বই পড়ে ফেলেছে। বইমেলা চলছে। আরও কিছু বই কিনে সেগুলোও পড়ে ফেলো এখন। তাহলেতো আরও বেশী ভালো হয়ে যাবে, তাই না? :)
ভালো থেকো তুমি। দ্বিতীয় পদচারণের জন্য বেশী বেশী ধন্যবাদ।



বই এর আলমারীগুলোতে ঠেলেঠুলে জায়গা করেছি ভাইয়া। :)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বই এর আলমারীগুলোতে ঠেলেঠুলে জায়গা করেছি ভাইয়া। :(

তারমানে কি শুধু আলমারিতে রাখার জন্য বই কেনা হয়? :(

ফেবু স্ট্যাটাস দেখলাম বইমেলায় যেতে পারো নাই। আর যাওয়া দরকার নাই। কারণ আলমারির শোভা বর্ধন করে লাভ কী? :P
ভালো থেকো কিন্তু। :)


৩৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৯

শায়মা বলেছেন: ঐ ভাইয়া!!!!!!!!! বইগুলো কি পড়ে পড়ে ফেলে দেবো!!!!!!!!!!!!!!!!!


তুমি দেখছি এক্কেবারেই বোকা!!!!!!!!!!:(

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৪

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বইগুলান পড়া শেষ করে যে আলমারির শোভা বর্ধন করবা এইডা কিন্তু কও নাই। :P
ওলটা পাল্টা বুঝনের দায় কি আমার? :(

৪০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শুধু এই ভাষার মাসে নয়, বই পড়া হোক সারা বছর, যেকোনো সময়, যেকোনো ক্ষণে। আর ভার্চুয়াল লেখকরা রিয়ালিটির লেখক হতে উঠতেও বেশি সময় নেন না কিন্তু :) চিন্তার কারণ নেই কোন।

শুভেচ্ছা রইল ভদ্রে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: শুধু এই ভাষার মাসে নয়, বই পড়া হোক সারা বছর, যেকোনো সময়, যেকোনো ক্ষণে।
সহমত। মৌসুমি পড়ুয়ারা আসল পড়ুয়া নয়। তাই তারা বই পড়ার জন্য ফাঁকফোকর খুঁজার নামে আদতে অজুহাত খোঁজে বেড়ায়।

আর ভার্চুয়াল লেখকরা রিয়ালিটির লেখক হতে উঠতেও বেশি সময় নেন না কিন্তু :) চিন্তার কারণ নেই কোন।
রিয়ালিটির লেখক হওয়াতে কোন আপত্তি নাই। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে লেখকস্বত্বাটা যেন যত্ন পায় সব সময়।
খুব সুন্দর মন্তব্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন প্রোফেসর। খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। নিরন্তর শুভ কামনার রইলো।

৪১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১২

আরজু পনি বলেছেন:

পোস্টটা নিতে এসেছি পাঠকদের জন্যে...

আমার কথা নাইবা বললাম...


শুভকামনা রইল...।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: পাঠকের জন্য আমার ব্লগবাড়ি থেক কিছু নিতে চাইলে আমার অনুমতির অপেক্ষা করার দরকার নাই। আপনার কথা আর না বললেও হবে। পড়ে নিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

বিদগ্ধ বলেছেন: বই পড়ার আহ্বানে দগ্ধ হলাম।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: দগ্ধ হলে আর পড়বেন কীভাবে? :(
আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম দগ্ধ। অনেক ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

৪৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:





//মূলধারার লেখকদের একটা সাধারণ প্রবণতা, তারা মনে করেন ভার্চুয়াল জগতের লেখকদের বইয়ের মান তেমন ভালো না। কিন্তু বাস্তবতা হল, না পড়েই তাদের মধ্যে অনেকের এই ধারণা হয়েছে।//

-সেই সময় আসতেছে, যখন মূলধারা বলতে অনলাইন লেখকদেরই বুঝানো হবে।


চমৎকার একটি লেখা, যদিও বাঙালি বই পড়ে না (দেখে!)। আমি ভেবেছিলাম, আপনি বুঝি ‌'ব্লগ পড়ার গুরুত্ব' নিয়ে লেখবেন B-) ;)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: -সেই সময় আসতেছে, যখন মূলধারা বলতে অনলাইন লেখকদেরই বুঝানো হবে।
সহমত।

কোন বাঙালি বই পড়ে না? ভুল বাঙালি না শুদ্ধ বাঙালি? :P
ব্লগ পড়ার গুরুত্ব নিয়ে লেখার জন্যতো আপনিই আছেন। :)

অনেক ধন্যবাদ ভাইজান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.