নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিনরাত সাদা-কালো জীবনের মধ্যে এক্কাদোক্কা খেলতে খেলতে হারিয়ে যাই অচেনা দুপুরের কোলে। বাকি থেকে যায় কিছু মরচে পড়া নিঃশ্বাস, কয়েকটা পোড়া স্বপ্ন আর কিছু ব্যক্তিগত উন্নাসিকতা। রাত আসে, শহর ঘুমিয়ে পড়ে... আর মন পড়ে থাকে কোনও একলা ছাদের অন্ধকারে। এভাবেই চলছে জীবন... এভাবেই মাঝে মাঝে ভিড় করে আসে রাত জাগানো শব্দেরা। ইচ্ছে, কবিতা, প্রেম, রাস্তা, অন্ধকার... আমি।
আমার এক বন্ধু কিছু দিন আগে ফেসবুকে ছোট্ট একটা পোস্ট শেয়ার করেছিল। অবনী অনলাইনে আছো?
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা নিয়ে এই ধরনের রসিকতা প্রথমে আমার ভাল লাগেনি। পরে মনে হল, সত্যিই তো,...
এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে নিউ মার্কেটের দিকে হাঁটছি৷ রক্সি সিনেমা হলের গলিটা ধরেছি৷ এক প্রৌঢ় রাস্তার ধারে বসে আছেন৷ অদ্ভুত এক সুরে গেয়ে চলেছেন আল্লাহ, আল্লাহ৷ পেরিয়ে চলে...
রিক্সা করে ফিরছিলি তুই সন্ধ্যেবেলা
বললি ফোনে বই কিনেছিস; পড়তে দিবি
শহর জোড়া ক্যাকাফোনি সাক্ষী ছিল
চৈত্র সেলের রূপোর হারে স্বর্গ ছুঁবি।
রাত গভীরে আধখোলা বই টেবিল জুড়ে
পেপারওয়েট সাক্ষী ছিল অন্ধকারে
চাপা গলায় বকছি তখন...
সেটা নভেম্বর-টভেম্বর হবে, কলকাতার গা-লাগা সেই শহরটায় জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। লেপেরা বেরিয়ে পড়েছে তারও অনেক আগে। ভোর হয়েছে কি হয়নি, ঘুম শেষ হওয়ার তখনও অনেকটা বাকি, মা লেপে টান মেরে...
তোর ছাদে রাত নেমেছে নাকি?
আমার ছাদে সবে তো গোধূলি ওড়ে
সেখানেই কাটি মুখ বুজে চার বেলা আর
তোর ছাদে খুঁজি রোদ ভরা মেঘ ঝুলি।
তিন প্রহরের পারলৌকিক ব্যাথা
চার দেওয়ালে বেবাক প্রহসন
সব ঢেলে দিস...
অফিস থেকে ফিরতেই ডাবলি বাবাকে
জড়িয়ে ধরে কান্না জুড়ে দিল।
মেয়েকে কোলে নিয়ে জিজ্ঞেস
করলেন, কী হয়েছে মা? কাঁদছ কেন?
কোনও রকমে একটু শান্ত করে
ডাবলিকে কোল থেকে নামিয়ে মিস্টার
মজুমদার সোফায় বসতেই রান্নাঘর
থেকে হন্তদন্ত হয়ে...
প্রতিবারই এমনটা হয়। আমার ২৩ রোল
নম্বরের সঙ্গে গোল বাঁধিয়ে ফেলে
রোল নম্বর ৩৩। প্রথম সংখ্যার ওলট
পালোট আর কী! সে দিন যেমন
হেডমাস্টারমশাই, যিনি আমাদের ক্লাস
নাইনের অঙ্কের শিক্ষক, হেঁকে
উঠলেন রোল ২৩ বলে। আমি...
জন্ম: যত্রতত্র জন্মাবেন না। এ কোনও গোপন কথা নয়, যে, আমগাছে আমই হয়, শত চেষ্টায়ও আমেরিকান ফলে না। রাজার ছেলে প্রিন্স হয়, ডায়নার বর অরণ্যদেব। গাঁয়ের কলেজে ক্যাডার জন্মায়, প্রেসিডেন্সিতে...
নদীরে তুই এমন জোরে আপন বেগে
নামিস নারে
যার মনে তোর নাম লিখা নেই ,
তার বুকে তুই ভাসিস নারে ...
নদীরে তুই এমন জোরে
নাম ধরে আর ডাকিস নারে..
আকাশ রে তুই এমন ভাবে
ব্যাকুল হয়ে...
এক সময় পাড়ার ছেলে নামে একটা বস্তু ছিল। তারা যেমন ফিচলে, তেমন ওস্তাদ। এর জানলায় আড়ি পাতছে, ওর মেয়েকে চিঠি দিচ্ছে, চাঁদা তুলতে গিয়ে চোপা করছে।
শক্তিপদ ধাড়া জীবনবিমার উচ্চপদস্থ...
আলোটা নিভিয়ে দাও,
একটা কথাই বলা বাকি;
যতদুর আমি জেতার জন্য খেলি,
হারতে আসলে ভীষন ভালবাসি ৷৷
অন্ধকারটা একটু বাড়িয়ে দে ,
নিজেকেও যেন খুজে না পাই খুজে,
হারার আগে হেরেই বসে আছি ,
ঘেন্না দিয়ে জংধরা...
ঢালু জমি বেয়ে যে মানুষটা উঠে আসছে
নদীটির কাছে তার শেষ চাওয়া চেয়ে
সে এখন যেকোনো দিকেই যেতে পারে .......
কবিতার কাছে প্রলাপ নিয়ে,
অন্তত একটা চেনা মানুষের মুখ আঁকবে বলে
হারিয়ে ফেলা...
সিঁড়িভাঙা অঙ্কের মতো যখন নেমে আসে সন্ধ্যা
আমি সেই ভেজানো জ়ানালার
ফাঁক দিয়ে দেখি
কি নিবিড়ভাবে তুই
ভূগোলের পাহাড় নদী পার হয়ে
এসে পড়েছিস রুপ্সার ঘোলা জলে ...
তারপর এক সময় নূরজাহান হয়ে
নিজেই মিশে...
নদীর বুকে দেখেছিলাম তোকে,
হাঁসের সঙ্গে করছিলি জলকেলি
আমায় দেখে লজ্জা পেলি নাকি
পাথর ভাঙা লাল মাটির মেয়ে...
চাঁচর তো তোর রোজ রাতেই জ্বলে,
পোড়া আলু আর ফাগুন সেঁকা ধান
সেই আগুনেই পুড়লো রে চাঁদ
ইশারায় ডাকছে...
তুই তো আসবো বলেও আর এলি না,
হয়তো বা ইচ্ছেই নেই আসার;
আমি এখনও একই ভাবে দাঁড়িয়ে আছি
ঝরে পড়া বিকেলে
তোর বলে দেওয়া সেই গাছটার নীচে।
ট্রাফিকের ভীড় পেরিয়ে গেলেই
হয়তো দেখতে পেতাম তোকে
জেব্রা ক্রসিং...
©somewhere in net ltd.