নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‘মানুষ তার স্বপ্নের চাইতেও বড়’ https://www.amazon.com/author/hossaink

কাছের-মানুষ

মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে বদলায়, অকারণেও বদলায় । তবে আমি মনে হয় আগের মতই আছি , কখনও বদলাবওনা মনে হয় ! ! https://www.amazon.com/author/hossaink

কাছের-মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম রহস্য ইষ্টার দ্বিপের মূর্তি এবং রোনকের অস্থায়ী বাসিন্ধা

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১


ইষ্টার দ্বিপের মূর্তি
১৭২২ সালে বিশাল পাল যুক্ত জাহাজ যখন সর্ব প্রথম আসে ইষ্টার দ্বিপে তখন জাহাজের নাভিক আর স্কু সবাই খুবই ভয় পেয়েছিল দ্বিপটি দেখে।তারা দূর থেকে দেখতে পায়, সু-উচ্চ দ্বিপ থেকে দানবাকৃত অনেক মানুষ তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। সবাই ঘাবড়ে গিয়েছিল, দানবাকৃত মানুষগুলো কোথা থেকে এলো আর কেনই বা তাদের দিকে তাকিয়ে আছে? তারা লক্ষ্য করে দেখতে পায় দানবাকৃত মানুষগুলো নড়াচড়া করছে না! জাহাজের নাভিক নির্দেশ দিলেন আসতে আসতে জাহাজকে দ্বিপের কাছে নিয়ে যেতে। কাছে গিয়ে দেখতে পান, আসলে এগুলো আসলে দানবাকৃত মানুষ না, পাথরের মূর্তি!

ইষ্টার দ্বিপ হল প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট একটা দ্বিপ।দ্বিপটি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ২০০০ মাইল এর বেশী দুরুত্বে অবস্থিত। এটা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন একটা জায়গা।

সবচেয়ে বড় মূর্তি গুলোর উচ্চতা লম্বায় ৬০ ফুট যার ওজন ১০০টন এর বেশী। এছাড়া ছোট ছোট আরো ১০০টির মত মূর্তি রয়েছে যার উচ্চতা ১৫ ফুট। সবগুলো মূর্তিই পাথর দিয়ে তৈরি।আশ্চর্যের বিষয় হল, মূর্তিগুলোর মুখগুলো দেখতে খুবই ভাবগম্ভীর্যপূর্ন এবং চেহারায় কোন হাসি নেই।

অনেক আগে ইষ্টার দ্বিপের বাসিন্দারা ভলকানিক আগ্নেয়গিরির থেকে প্রাপ্ত পাথর দিয়ে মূর্তিগুলো তৈরি করেছিল বলে ধারনা করা হয়! পরবর্তীতে সেগুলো দ্বিপের সৈকতে নিয়ে রেখেছিল যা কিনা আগ্নেয়গিরি থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। প্রাপ্ত হিসেব মতে এই দূরত্ব ১০ মাইল এর বেশী।

কেউ জানে না, কিভাবে দ্বিপের বাসিন্দারা এই মূর্তিগুলো সৈকতে নিয়ে রেখেছিল। কিছু বিজ্ঞানীর মতে, দ্বিপে অনেক আগে তাল গাছ ছিল। দ্বিপের বাসিন্দারা সেগুলো কেটে মূর্তিগুলো তার উপর রেখেছিল। পরে ৭০ জন বা তার অধিক মানুষ সেগুলো ঠেলে ঠেলে সৈকতে নিয়ে গিয়েছিল! অন্য অন্য বিজ্ঞানীরা এই তত্বকে ভুল বলে উড়িয়ে দিয়েছেন কারন তাদের মতে সেখানে কখনই তাল গাছ ছিল না!

দ্বিপের বাসিন্দারা কিভাবে মূর্তিগুলো সেখানে নিয়ে গিয়েছিল আর তাদের উদ্দেশ্যই বা কি ছিল? তা আজও পৃথিবীর মানুষের কাছে রহস্য।

রোনকের অস্থায়ী বাসিন্ধা

ষোলশ শতকে উত্তর আমেরিকাতে অল্প কিছু ইউরোপিয়ান বাস করত । ১৫৮৭ সালে, ১০০ জন মানুষের একটা ছোট গ্রুপ সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণে যাওয়ার। তারা রোনক নামক ছোট একটা দ্বিপে গিয়ে উঠে যেটা পরবর্তীতে নর্থ কেরোলিনার প্রদেশ হয়।

দুঃখ্য জনক-ভাবে এটা সত্যি যে একটা দ্বিপে উঠার জন্য যেই পূর্ব প্রস্তুতি দরকার তা তাদের ছিল না। শীতের সময়ের জন্য পর্যাপ্ত খাবার এবং চাষাবাদের জন্য বীজ এর অভাব ছিল।এমতাবস্থায়, তাদের নেতা নাবিক হোয়াইট সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড এ ফিরে গিয়ে প্র্য়োজনীয় জিনিষ নিয়ে আসার। সেই সময় ইউরোপে যুদ্ধ চলছিল তাই নাভিক হোয়াইট ইংল্যান্ডে এসে আর দ্বিপে ফিরে যেতে পারেননি।

তার তিন বছর পর, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নাভিক হোয়াইট দ্বিপে যান। আশ্চর্যের ব্যাপার তিনি জাহাজ করে দ্বিপে গিয়ে কাউকেই দেখতে পেলেন না। সম্পূর্ন জনমানব শূন্য মরুভূমি ছারা আর কিছুই দেখতে পেলেন না তিনি।

কেউ জানে না, এতোগুলো মানুষ কোথায় হারিয়ে গেল! অনেকেই মনে করেন আমেরিকানরা তাদের হত্যা করেছে কিন্তু সেখানে হত্যার কোন নিশানা ছিল না! আবার অনেকে বলেন , না খেয়ে বা রোগে ভূগে মারা গেছে লোকগুলো কিন্তু তাহলে দেহ গুলো গেল কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারেনি।

এই ঘটনাও পৃথিবীর মানুষের কাছে আজও রহস্যময়।

মেরি চেলেস্ট জাহাজ এবং মোনাস প্রজাপ্রতি ভ্রমণ রহস্য

(পূর্ব-প্রকাশীত )

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

বিজন রয় বলেছেন: দুটি বিষয়ই রহস্যময়।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: এই ধরনের ঘটনাগুলো সত্যিই রহস্যজনক ! আবার এই ঘটনায় তখনকার জ্ঞান বিজ্ঞানেরও একটা ধারনা পাওয়া যায় ! যেমন ইষ্টার দ্বিপের মূর্তিগুলো সেই সময়ের মানুষের প্রযুক্তিগত জ্ঞানের ধারনা দেয় !

আপনাকে পোষ্টে পেয়ে ভাল লাগল । :)

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


পলিনেশীয়ান দ্বীপসমুহ হতে মানুষ ছোট নৌকায় ইস্টারে পৌঁচেছিল বিভিন্ন সময়ে; ১৫ হাজারের মতো মানুষ হয়েছিল ১৬০০ সালে; ১৭২০ সালের দিকে ২০০০ মানুষ বেঁচে ছিল; খাদ্যের অভাব, নিজেদের মাঝে মারামারি, মানুষ খাওয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার লোকেরা দ্বীপের ধরে নেয়ার ফলে সব ধ্বংস হয়; সাথে কাজ করেছে ইুরোপিয়ানদের রোগ সিফিলিস। শেষের দিকে ১৫০ জনের মতো মানুষ বেঁচেছিল

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: তথ্যগুলো জানা ছিল না , ভাল লাগল জেনে ।
নতুন তথ্য শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ ।


৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: :``>> রহস্য ত' বটে, অনেকটা সাঈদী আর দেওয়ানবাগী কে চাঁদে দেখারমত বিষয়!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনি যেই রহস্যের কথা বললেন সেটা মানব ইতিহাসের সেরা রহস্য ! :P

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৭

শিখণ্ডী বলেছেন: এইগুলার মাথায় গুপ্তধন থাকতে পারে। আইএসকে খবর দেওয়া যায়

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের তাৎপর্য বুঝলাম না ! :||

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হিস্টোরি চ্যানেলের গবেষণা অনুযায়ী ইস্টার আইল্যান্ড এর মূর্তি গুলো এলিয়েনদের তৈরি। কারণ, এত নিখুঁত কাজ, সাইজ, আর স্থানান্তর তখনকার সময়ে অসম্ভব ছিল। তবে রহস্যই বটে...

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: হিস্টোরি চ্যানেল আমার ভাল আগে তারা ভিন্ন কিছু দেখায় এবং তা ব্যাখ্যাও দিতে চেষ্টা করে গবেষনা করে ।
এই ধরনের ঘটনার ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা থাকে তবে এলিয়েনদের নিয়ে যেই ব্যাখ্যা দিয়েছে সেটা আমার জানা ছিল না !

ধন্যবাদ তথ্যের জন্য ।

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কাছের মানুষ বলে দিলাম।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪০

কাছের-মানুষ বলেছেন:

রান্না রেডি দাওয়াত রইল আপনাকে ভাই !

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩১

মাকার মাহিতা বলেছেন: চিলির নিকটবর্তী।
মূর্তি গুলো দেখে মনে হচ্ছে, যারা যারা নির্মাতা, খুব কষ্ঠের মধ্যে ছিল হয়তো...!
সারা দ্বীপের চারপাশে ছড়িয়ে আছে...মূর্তিগুলো।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: হুম হয়ত ঠিক বলেছেন !
আমার মনে হয় দ্বিপে অনেক ঝড় বা জলছ্বাস হত তাই দ্বীপ বাসি দ্বীপের চারিপাশে মূর্তিগুলো সাজিয়েছে , তাদের হয়ত বিশ্বাস ছিল এগুলো তাদের রক্ষা করবে ঝড় বা জলছ্বাস থেকে !

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩০

জুন বলেছেন: কাছের মানুষ,
আপনার লেখাটি মনে করিয়ে দিল চিত্তাকর্ষক আর রহস্যে ভরপুর এই ইষ্টার আইল্যান্ড নিয়ে আমার লেখাটির কথা । ২০১৩ লিখেছিলাম এই অমিমাংসীত রহস্য দ্বীপ নিয়ে । সময় থাকলে দেখতে পারেন :)
ইষ্টার আইল্যান্ড এক অমীমাংসীত রহস্যে ঘেরা দ্বীপ
ভালোলাগা রইলো লেখায়
+

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
আপনার লেখাটি পড়ে এলাম ভাল লাগল । :)

ইষ্টার আইল্যান্ড সত্যিই এক অদ্ভুদ দ্বিপ , ব্যাপারটা ভাবতে আমার অবাক লাগে তখনকার মানুষ কিভাবে এগুলো বানালো !


৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

মাকার মাহিতা বলেছেন: গুড...

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: :)

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট । ভাল লেগেছে ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

কাছের-মানুষ বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল ।
আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল ।
শুভেচ্ছা নিবেন অনেক ।

১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: একেবারেই অজানাকে জানলাম এই পোষ্টে। দুটি ঘটনাই রহস্যময় মনে হল।


ভালো লাগলো পোষ্ট পড়ে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম ।
ভাল থাকুন সবসময় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.