নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asrafulalam

ব্যোমকেশ বাবু

ব্যোমকেশ বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাকার মৃত্যুর জন্য আপনি দায়ী

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:৩৮



" সুন্দরবন বাঁচাও স্লোগান দিয়ে , দুই টাকার চা , পাঁচ টাকায় গিলে , দোকানদার থেকে এক টাকার পরিবর্তে একটা চকলেট নিয়ে , চুষতে চুষতে ভাবতে পারি, " অনেক ডিজিটাল হলাম" কিন্তু চকলেট দিয়ে ট্রানসাকশান করে আপনি যে আদিম যুগে ফিরে গেলেন একবারও আপনার মাথায় আসলো না ? " ...।

টাকা পয়সা নিয়ে ভাবেন না এমন মানুষ কমই আছেন । কিন্তু এই ভাবনা কতুটুকু পর্যন্ত । হয়তো টাকা ইনকাম করা আর খরচ করা পর্যন্ত । কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন, এই টাকা কোথা থেকে প্রিন্ট হয় আর কেনই বা প্রিন্ট হয় ? হয়তো এতটুকু জানেন, টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রিন্ট হয় আর মাসের শেষে আপনার মানি ব্যাগ এ ঢুকে যায় । এর মাজে আপনার জীবন কেটে যায় । হয়তো এই জন্যই সকাল এ উঠে অফিস এ যেতে মন চায় বা অসম্ভব কষ্টের মাঝেও বেশ বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে আপনার । আসুন আজকে এমন কিছু সত্য জানি যা আপনি আগে কখনো কল্পনাও করতে পারেন নি । যে টাকা আপনার মানি ব্যাগ এ, সেটা কে আপনার কাছে বিক্রি করলো আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না ।

আমরা যে টাকা বা পয়সা বাংলাদেশ এ বেবহার করি তা প্রিন্ট হয় "বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্ট কোম্পানি" নাম এর একটা সরকারি প্রতিষ্ঠানে । অনেক আগে এই প্রতিষ্ঠান এর জন্ম হলেও পাঁচ পয়সা , দশ পয়সা আর এক টাকা, দুই টাকার নোট ছাড়া কিছুই প্রিন্ট করতো না বা করতে পারতো না এই প্রতিষ্ঠান । ১৯৯২ সাল এর পর থেকে এরা সমানে সব কটি টাকার নোট ছাপতে শুরু করে । মানে আপনি ৫০০ বা ১০০০ টাকার যে নোট দেখেন তার সব কটি এখন আমাদের দেশ এ প্রিন্ট হয় । অবশ্যই এই কাজটি করে সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক । প্রচন্ড অবৈধ এই কাজটি যখন সরকার নিজে করে তখন এটি প্রচন্ড বৈধতা পায় ।এখন প্রশ্ন হচ্ছে , চাইলেই কি সরকার কারী কারী টাকা প্রিন্ট করতে পারে ? অবস্যই পারে এবং সরকারকে এর জন্য কাওকে কৈফিয়ত দিতে হয় না ।

তাহলে কিভাবে বা কিসের উপর নির্ভর করে সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক এই টাকা গুলো প্রিন্ট করে ? এই জায়গাটা খুবই মনোযোগ দিয়ে বুজে নিন , কারণ আপনার পকেট এর টাকা কিভাবে আসে তাই যদি আপনি না জানেন তাহলে তো বৃথা শ্রম । প্রথম দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক, টাকার নোট গুলো প্রিন্ট করতো দেশ এর বাইরে থেকে এবং ওই সময় এই টাকার পরিমান এর জন্য স্বর্ণ ( ধাতু ) জমা রাখতে হতো নিজেদের কাছে বা বাইরে কোনো ব্যাংক এর কাছে । মানে কোন দেশের কাছে কি পরিমান স্বর্ণ জমা আছে তার উপর নির্ভর করতো টাকার মান । নিতান্তই একটা দুঃখ জনক ঘটনার ফলে এই মান দন্ডটি আর থাকে না ।

এর কারণ, ফ্রান্স এর জমা রাখা কিছু স্বর্ণ আমেরিকা আর ফেরত দেয় না ।এর পর থেকে প্রায় সব কোটি দেশ নিজের মতো করে টাকা ছাপানো শুরু করে । একে বলা হয় FIAT CURRENCY SYSTEM. কিন্তু বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল অনেক দিন , এর কারণ দেশে টাকা প্রিন্ট করার জন্য আধুনিক মেশিন ছিল না । ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ টাকা বানানোর ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করে । প্লাস্টিক এর নোট , কাগজ এর নোট বা কথায় কথায় টাকার ডিজাইনে চেঞ্জ করা , সবই সম্ভব হচ্ছিলো শুধু টাকার মেশিন এর জন্য । এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকারকে অন্য দেশের সাথে কোনো ধরণের মান দণ্ড নিয়ে জামেলায় যেতে হয়নি । কারণ আপনার দেশে আপনি যাই খুশি প্রিন্ট করতে পারেন এতে অন্য দেশ এর কোনো সমস্যা হবার কথা না । শুধু অন্য দেশে পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে ওই দেশের টাকা বা ডলার বা ইউরো তে পেমেন্ট করতে হবে ।

অর্থ মন্ত্রী মহোদয় অত্যন্ত খুশি হলেন । করি করি টাকা বানাবেন আর বেচবেন । কিন্তু এই টাকা কিনবে কে ? সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক এই টাকা বিক্রি এই বা করবে কেন ? এটাকে কঠিন ভাষায় বলে Seigniorage. এর মানে সরকার যে টাকা নোট আকারে ছাপাবে তা বিক্রি করবে প্রাইভেট বা অন্য সরকারি ব্যাংক গুলোর কাছে আর এই বিক্রির ফলে যা লাভ হবে তা সরকারের । এখনো হয়তো আপনি পুরোপুরি বুজতে পারছেন না কি হচ্ছে । আমি যতটা সম্ভব সহজ করে বলার চেষ্টা করছি , কারণ এতো সহজ না বেপারটা ।

ধরুন একটা ৫০০ টাকার নোট প্রিন্ট করলো বাংলাদেশ ব্যাংক এর পর এই টাকা প্রাইভেট ব্যাংক গুলো কে বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক । মানে আপনি যেই টাকা প্রতিদিন ATM মেশিন থেকে তুলছেন তা আসলে বাংলাদেশ ব্যাংক এর একটা প্রোডাক্ট এবং এই প্রোডাক্টটি বিক্রি করা হয়েছে আপনার প্রাইভেট ব্যাংকটির কাছে তাও আবার অবাক করা মূল্যে । ৫০০ টাকার একটা নোট বানাতে বাংলাদেশ ব্যাংক এর সর্বোচ্চ খরচ হয় ২৫ টাকার মতো আর তা বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাইভেট ব্যাংক বা অন্য সরকারি ব্যাংক গুলির কাছে বিক্রি করে ঠিক ৫০০ টাকায় এবং আপনিও তা কিনে নেন ঠিক ৫০০ টাকায় ।

মানে দাঁড়ালো ২৫ টাকার জিনিস বিক্রি হলো ৫০০টাকায় । পুরো 450 টাকাই লাভ । ভাবছেন প্রলাপ তাই না ?খুব সহজে বললাম বলে হয়তো তাই ভাবছেন, কিন্তু এটা শুধু আমার আপনার সরকার করে না , পৃথিবীর সব দেশের সরকার ঠিক এই একই কাজটি করে থাকে । বাংলাদেশে ১৯৯২ সাল এর পর থেকে গড়ে উঠা প্রাইভেট ব্যাংক গুলো শুধু মাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক এর ডিলার হিসাবে কাজ করার জন্য তৈরী করা হয়েছে । কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার কাগজ এর নোট প্রিন্ট করতে পারলেও , আপনার পকেট এ সরাসরি এই নোট বিক্রি করে না । টাকার এই নোট এর ডিস্ট্রিবিউশনশিপ দেয়া আছে প্রাইভেট ব্যাংক এবং অন্য সরকারি বা আধা সরকারি ব্যাংক গুলোকে ।

বলতে পারেন সমস্যা কোথায় , এটাই যদি নিয়ম হয় আর পৃথিবীর সব দেশ যদি করে আমার দেশ করলে সমস্যা কোথায় ?

এবার আসুন সমস্যার কথা বলি । অর্থ মন্ত্রীর দায়িত্ব টাকা বানানো আর বিক্রি করা , লাভ এর অংশ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া । অনেকটা হীরক রাজার দেশ এর কোষাগার এর মত । এক্ষেত্রে যত বড়ো মানের নোট হবে তত লাভ বেশি । মানে ১ টাকা ২ টাকা বা খুচরা পয়সা এই সব বানাতে যেই প্রোডাকশন কস্ট, ৫০০ টাকা বা ১০০০ টাকা বানাতেও একই প্রোডাকশন কস্ট । আর ১০০০ টাকা্য় অর্থ মন্ত্রীর লাভটা যে বেশি ।

তাও বলতে পারেন , সমস্যা কোথায় ? আপনি যখন এক টাকার ভাংতি চান দোকানদার আপনাকে একটা চকলেট দেয় ১ টাকার পরিবর্তে , কারণ ১ টাকা বাজারে নেই । সহজ সরলীকরণ , সরকার আর ১ টাকা প্রিন্ট করছে না । কারণ বেশি লাভ এর জন্য এই ছোট খাটো নোট গুলো আর পয়সা বানানোর কোনো যুক্তি খুঁজে পান না অর্থ মন্ত্রী ।আপনি যদি আজ ইংল্যান্ড এ যান দেখবেন ১ পয়সা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫০ পাউনড এর নোট আছে , তাও ৫০পাউন্ড খুব একটা সহজে দেখা যায় না , আমেরিকাতে আসেন ১ সেন্ট থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০০ ডলার আর জিম্বাবুয়ে যান দেখবেন ১০০০০০ জিম্বাবুয়েন ডলার এ একটা সিঙ্গারা কিনতে পারবেন ।সমস্যা হচ্ছে আপনাকে সরকার যত বড়ো নোট দিবে , পেছনে ছোট নোট গুলো সরকার আস্তে আস্তে তুলে দিবে আর আপনাকে দোকানদার একটা চকলেট দিয়ে ১ টাকার মান নিয়ন্ত্রণ করবে । এতে করে সরকারি কোষাগার সাময়িক ভাবে ফুলে ফেঁপে উঠছে এবং অর্থ মন্ত্রী প্রলাপ বকেও এখন বহাল তবিয়তে মন্ত্রিত্ব ধরে রেখেছেন ।কারণ কোষাগার তো ভরা ।

ভয়াবহ দিকে যাচ্ছে দেশ । কেন ? দেখুন কি হচ্ছে আপনার সাথে ...

সরকারের কাছে এখন এই পরিমান টাকা আছে যা দিয়ে সরকার অনায়াসে দেশ এর ভিতর অনেক কিছুই করে ফেলতে পারে । কারণ টাকার মেশিন যে আছে । আর আছে টাকার ডিলার ব্যাংক গুলো ।সরকারি কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুন হয়, নতুন ভাবে পুলিশ সহ হাজার হাজার সরকারি কর্মচারী নিয়োগ হয় , এই সবই সরকারি কোষাগার এর ফুলে ফেঁপে উঠের ফল ।কিন্তু শুভাঙ্কের ফাঁকিটা হচ্ছে , আপনার ১০০ টাকার বাজার এখন ১০০০ টাকায়ও হচ্ছে না । এটা মোটেও আপনার ভাগ্য না । এটা সরকার আর বাংলাদেশ ব্যাংক এর অধিক লাভ এ টাকা বিক্রির ফল ।

দেশ এর ভিতরে সরকার কিভাবে ধনী হলো তা তো জানলেন , এবার শুনে অবাক হবেন , কিভাবে সরকার ডলার আর ইউরো এর সাথে মান রেখে চলছে , কারণ ডলার আর ইউরো এর সাথে মান না রাখলে আপনার ২০০০ টাকার ইলিশ মাছ , নিউ ইয়র্ক এ ২৫ ডলারে কিনতে হবে , এবং এটা কখনোই হবার না ।তাই সরকার আরেক যুগান্তকারী প্রদক্ষেপ নেয় ২০১৩ সালে ।

বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সাল এ ১০ টন স্বর্ণ ( ধাতু ) কিনে IMF (INTERNATIONAL MONETARY FUND) থেকে , বুজলেন ১০ TON । কেন বলুন তো ? খুবই সোজা বেপার , টাকার মান ইউরো আর ডলার এর সাথে ধরে রাখতে হলে মান দণ্ড তো লাগবে, আর IMF যেহেতু স্বর্ণ বেচলো, ওরা ঠিকই সব ম্যানেজ করে নিবে । হয়েছেও তাই । কিন্তু বাধ বাধলো World Bank এই ব্যাংকটিও স্বর্ণ কেনা বেচা করে , বাংলাদেশ সরকার যখন 10 টন স্বর্ণ IMF থেকে কিনলো , খেপে গেলো WORLD BANK আর এরই ফল হলো পদ্মা সেতু সহ সব বড়ো প্রজেক্ট থেকে অর্থায়ন তুলে নেয়া । যাক ওই দিকে বা নাই গেলাম । দেশ এর ভেতরে থাকি ।

তাহলে এইবার কিছুটা বুজলেন আপনার মানি ব্যাগ এ বড়ো নোট খানার কাহিনী । এই নোট এর আকার যত বড়ো হবে আপনি তাত্ত্বিক ভাবে ততো গরিব হবেন । আপনার আমার জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া ১ পয়সা বা ১ টাকা যে কত বড়ো ক্ষতি করলো , আপনি যদি এখনো না বুজেন , তাহলে খুব বেশি দেরি নেই যখন ৫০০ টাকায় একটা সিঙ্গারা খাবেন আর ভাববেন অনেক বড়োলোক আপনি । সরকারের দায়িত্ব , যে কোনো ধরণের ভাংতি টাকা খুচরা পয়সা বাজারে সব সময় যোগান দেয়া ।কিন্তু প্রোডাকশন কস্ট কমাবার জন্য আর বেশি লাভ এর আশায় সরকার যদি বাজারে ছোট নোট সাপ্লাই না দেয় , চেচা মেচি করার দায়িত্ব আপনার । কারণ আপনার অবুজ অর্থমন্ত্রী ডুবলে আপনাকে নিয়েই ডুববে । ব্যাংক বা কোনো প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হলে সরকার এগিয়ে আসে । একবার কি ভেবেছেন সরকারের এতো টাকা কোত্থেকে আসে যে একটা ব্যাংক এর দেউলিয়া হবে পরও সরকার সবাইকে সেটল করে দেয় । কারণ কাগজ এর এই টাকা আপনার কাছে যতটা মূল্যবান , সরকারের কাছে ঠিক ততটাই ছেলেখেলা ।

শেষ এর এই অংশটা আরো মারাত্মক এবং ভয়াবহ ।ডিজিটাল মানি বা অনলাইন মানি , যা কিনা কাগজ এর টাকাকেও হার মানায়। ডিজিটাল মানি ট্রানসাকশান এর ক্ষেত্রে, আপনি আর আপনার পরিচত কাগজ এর টাকার চেহারা দেখবেন না । হয়তো আপনি খুব খুশি হচ্ছেন এই ভেবে , আমারা উন্নত দেশ এর সাথে তাল মিলিয়ে চলছি । অনেকটা তাই , এই বুদ্ধি গুলো উন্নত দেশ এর আবিষ্কার করা যার ফলাফল আপনি ভোগ করছেন । বর্তমানে সরকারকে কাগজ এর টাকা প্রিন্ট করতে হচ্ছে , ডিজিটাল মানি আসলে . সরকার এর প্রোডাকশন কস্ট আরো কমে যাবে বা একেবারেই থাকবে না ।এর মানে কাগজ এর নোট প্রিন্ট করা থেকে সরকার রেহাই পাবে ।

এখন কি হচ্ছে , ধরুন আপনি একটা ফ্লাট কিনলেন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ।ব্যাংক আপনার একাউন্ট এ লোন এর এমাউন্ট জমা দিলো আর আপনি নিজে ওই টাকা তুলে নিয়ে ফ্লাট এর মালিক কে দিলেন ।

ডিজিটাল মানি এর ক্ষেত্রে ব্যাংক আপনার একাউন্ট এ কোনো টাকা দেবে না, বরং ব্যাংক আপনার হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কে বলবে আপনার ফ্লাট এর মালিক এর একাউন্ট এ লোন এর টাকা ট্রান্সফার দিতে । পুরো বেপারটাই হবে ডিজিটাল ফরমেটে কম্পিউটারে , এখানে কাগজ এর টাকার কোনো লেনদেন হবে না । মানে বর্তমানে সরকারকে প্রতি দিন এর ডিলার, মানে ব্যাংক গুলোকে যে পরিমান প্রিন্টেড টাকা দিতে হয় তা অনেকাংশে কমে যাবে ।

সরকার আরো লাভ করবে আর আপনি ৫ টাকার নোটটা চিরদিন এর জন্য ভুলে যাবেন । এই পন্থার আবিষ্কারক জাপান । আপনি আমি শুধু বিশ্বায়ন এর শিকার । কি করতে পারি আমরা ? সুন্দরবন বাঁচাও স্লোগান দিয়ে , দুই টাকার চা , পাঁচ টাকায় গিলে , দোকানদার থেকে এক টাকার পরিবর্তে একটা চকলেট নিয়ে , চুষতে চুষতে ভাবতে পারি, " অনেক ডিজিটাল হলাম" কিন্তু চকলেট দিয়ে ট্রানসাকশান করে আপনি যে আদিম যুগে ফিরে গেলেন একবারও আপনার মাথায় আসলো না ।

সুন্দরবন এর বাঘ বা সুন্দরবন্ সবই বাঁচবে , কারণ প্রকৃতি তার নিজের জন্য বাঁচাবে / কিন্তু আপনার মনি ব্যাগ টাকে কে বাঁচাবে ? ৯৫ টা ব্যাংক , বীমা শেয়ার মার্কেট এই সব যে আপনাকে খেয়ে ফেললো ।যেই অর্থ মন্ত্রীকে আবাল বলেন , উনি সবচেয়ে বুদ্ধিমানের মতো কাজ করছে । আপনার আমার জীবন থেকে ছোট ছোট মুদ্রা গুলো তুলে দিচ্ছে ।

এই টাকার মৃত্যুর জন্য আপনি দায়ী //

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.