নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asrafulalam

ব্যোমকেশ বাবু

ব্যোমকেশ বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবার গর্ভ ধারণ

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:৩৭



আপনি মৃতপ্রায় কারো সজ্জার পাশে দাঁড়িয়ে হয়তো সেলফি তুলতে না পারেন , কিন্তু এইমাত্র ভুমিষ্ট হওয়া আপনার সন্তানের সাথে একটা সেলফি তুল্লে আপনার কাছে বেপারটা কি খারাপ লাগবে ? যদি লাগে, তাহলে আপনি ভাবছেন, সন্তান প্রসব একটা অসুখ আর এই সময় এত আনন্দ কেন ? আর আমি ভাবছি এটা অতি স্বাভাবিক একটা আদিমতম প্রসেস যাকে আমরা অস্বাভাবিক করে তুলেছি ।

মাতৃত্বের যন্ত্রনা কি শুধু মায়েদের ? বাবার কোনো ভূমিকা নেই একটা শিশু সন্তান এর জন্ম পর্যন্ত সময়টুকুতে ? হয়তো খুব একটা বেশি নেই ।এমনটাই আমাদের রীতিনীতি । আমার দুই মেয়ে, এক মেয়ের জন্ম লন্ডন আর একমেয়ে নিউ ইয়র্কে । আপনি যখন লন্ডন আমেরিকা বা উন্নত বিশ্বের কোনো হসপিটালে আপনার সন্তান ডেলিভারি করবেন , তখন দেখবেন ডেলিভারির সময় মায়ের সাথে বাবাকেও ডেলিভারি রুমে থাকতে হয় । ইদানিং আমাদের দেশের কিছু হসপিটালে বাবাদের ডেলিভারি হবার পর সাথে সাথে ঢুকতে দেয়া হয় কিন্তু ডেলিভারির সময় ডাক্তার ছাড়া কাউকে ডেলিভারি রুমে থাকতে দেয়া হয় না । দীর্ঘ নয় থেকে দশ মাস ধরে একজন মা প্রাকৃতিক ভাবে নিজের গর্ভে ধারণ করে তার সন্তান । বেপারটি খুবই স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক । এই অত্যন্ত স্বাভাবিক বেপারটাকে আমরা কি নিদারুন ভাবে অস্বাভাবিক করে তুলি একবার ভাবুন ।

প্রথম যে দিন আপনি জানতে পারেন আপনার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা, আপনার মাজে একটা ভয় কাজ করেছিল , এরপর হয়তো আপনি খুশি হন বা হবার ভান করেন, অতঃপর নিয়তি মেনে নেন । ভয় পাওয়াটা অমূলক নয়, লন্ডন বা নিউ ইয়র্কে আফ্রিকান কালো বাবারা এই ধরণের খবর পাওয়ার সাথে সাথে পালিয়ে যায় । ঘর সংসার ছেড়ে মোটামুটি বছর খানেকের জন্য পালিয়ে বেড়ায় আবার সন্তান জন্ম নেবার পর বাসায় ফেরত আসে । এদের স্ত্রীরা পালিয়ে যাবার এই বেপারটা খুব সহজে নেয় , কারণ জানে আবার ফিরে আসবে । আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে যেহেতু আপনি পালাতে পারেন না তাই আপনি মেনে নেন । আসলে পুরো বেপারটাই নির্ভর করে অার্থ-সামাজিক পরিবেশের উপড় । কালো বাবারা যেমন করে অনাগত সন্তানের ভয়ে পালিয়ে যায়, ঠিক উল্টো ভাবে সাদারা এই বেপারটিকে রীতিমতো উদযাপন করে এবং বিশ্বাস করেন এরা এটা মন থেকেই করে ।

লন্ডনে প্রথম যখন আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে হসপিটালে যাই, ডাক্তার প্রথম যে কথাটি আমাদের বলে তা হচ্ছে , "সন্তান ধারণ একটা ন্যাচারাল প্রসেস , এটা কোনো অসুখ নয়" আমাদের সমাজে গর্ভ ধারণকে একটা অসুখ বলে বিবেচনা করা হয় , নইলে সন্তান সম্ভবা হবার সাথে সাথে একজন মায়ের চলা ফেরা, উঠা বসা খাওয়া দাওয়া সব কিছু ডাক্তারের পরামর্শে কেন হবে ? আজ থেকে কয়েক যুগ আগে আমাদের মা-দাদীদের সময় কি এমন ডাক্তারি ছিল ? মনে হয় না । তখন তো পুরো বেপারটাই ন্যাচারাল ভাবে হতো । অনেকের ভিন্ন মত থাকতে পারে , কিন্তু আমার ধারণা গর্ভ ধারণের পুরো বেপারটাই আমরা ভুল ভাবে জানি বা আমাদের ডাক্তাররা যা জানাতে চায় তাই আমরা জানি । আসুন দেখি লন্ডন আর নিউ ইয়র্কে কিভাবে মায়েরা সন্তান ধারণ করে আর স্বাভাবিক ভাবে ডেলিভারি করে ।

ইংল্যান্ডে স্বাস্থ সেবা সরকারি, অনেকটা আমাদের দেশ এর মতো, প্রাইভেট হাসপাতাল আছে কিন্তু চাইলেই কেও অপারেশন করে সন্তান ডেলিভারি করতে পারবে না । ডাক্তার যদি মনে করে , অপারেশন এর প্রয়োজন আছে তবেই তা সম্ভব । এক্ষেত্রে এরা আমাদের দেশের ধাত্রী বিদ্যা প্রয়োগ করে । কারণ এখানকার ডাক্তাররা সন্তান গর্ভে ধারণের প্রথম দিন থেকে আপনাকে গাইড করবে কিভাবে আপনি, কি করবেন ।যেহেতু সন্তান ধারণ এবং ডেলিভারি দুটোই আদিমতম প্রসেস, এক্ষেত্রে খুব বেশি ডাক্তারির প্রয়োজন নেই । বাবা, মায়েদের জন্য আলাদা ভাবে কিছু ক্লাস এর মাধ্যমে পুরো বেপারটি জানিয়ে দেয়া হয় । আর মায়েরা অন্য সবার মতো সব কিছু করতে পারে । কোনো ধরণের কোনো বাধা নেই । এই সব দেশে একজন মা, সাথ থেকে আট মাস গর্ভ ধারন অবস্থায় অফিস করে , বাজার করে , বাসে চড়ে, প্রায় সব কিছুই করে এবং কোনো ধরণের ঔষুধ ছাড়া ।এক্ষত্রে পুরো নয় মাস বা দশ মাসের একটা প্ল্যান করে দেয়া হয় বাবা মা দুইজনের জন্য । খুব একটা দুর্ঘটনা না ঘটলে আর এই প্ল্যান মতো চললে এই সব দেশে বেশির ভাগ ডেলিভারি নরমাল হয় ।আর যে কটা সিজারিয়ান বা অপারেশন হয় তার বেশির ভাগ হয় কালো বা এশিয়ান পরিবার এর । এর জন্য ডাক্তাররা এইসব পরিবারের লাইফ স্টাইলকে দোষারোপ করে থাকে ।

হয়ত প্ল্যান করে চলা সম্ভব না আমাদের জন্য, কারণ, কোন হাসব্যান্ড তার স্ত্রীর পা টিপে দিবে বা একবেলা রান্না করে খাওয়াবে অথবা শরীরটা মেসেজ করে দিবে ? চারিত্রীক দুর্বলতা আমাদের অসুস্থ করে দেয় এবং এরপর নরমাল ডেলিভারি অনেক টাকা খরচ করে অপারেশন করে ,আপনি ভাবেন আপনার স্ত্রীর যন্ত্রনা কমিয়ে দিলেন । কি প্রচন্ড বোকামি করি আমরা ।

সাময়িক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে অপারেশন ডেলিভারি করিয়ে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু করে দেন আপনার স্ত্রীকে । সে যাই হোক , আপনি বা আপনারা যেহেতু এটাকে অসুখ ভাবি, ডাক্তার আপনাদের লাগবেই । কাজেই খুব একটা কর্ণপাত যে আপনি করছেন না আমি বুজতে পারছি ।তবে এটুকু বলতে পারি , বেপারটা নিয়ে একটু ঘাটুন , বুজতে পারবেন আপনি কি করছেন । যন্ত্রণার কথা যখন আসলোই, এবার বলি এদের দেশে প্রসব ব্যথা কিভাবে কমায় ।আসলে প্রসব ব্যথা কমাবার কোনো চেষ্টাই করে না এদের ডাক্তাররা । প্রসব যন্ত্রণার এক মাত্র ওষুধ হাসব্যান্ডকে স্ত্রীর হাত ধরে বসে থাকতে হয় আর শান্তনা দিতে হয় । এ এক অদ্ভুত বেপার । আপনার স্ত্রী প্রচন্ড প্রসব যন্ত্রনায় চিল্লা চিল্লি করছে আর আপনি আপনার স্ত্রীর হাত ধরে বসে আছেন । প্রতিটা হাসব্যান্ড এর এই পরিবেশে যাওয়া দরকার , অন্তত এক বার হলেও ।আপনি বুজতে পারবেন মাতৃত্ব কি জিনিস । প্রসব বেদনা কি ? হাসব্যান্ড ওয়াইফ এর এই বেদনা নাশক কর্মকান্ড আসলেই অনেক কার্যকর ।

আরেক অদ্ভুত ডেলিভারি হয় পানির মধ্যে । মানে আপনি যদি চান, তবে আপনার সন্তানের ডেলিভার ছোট একটা বাথ ট্যাব এ করতে পারেন । এক্ষেত্রে আগে থেকে আপনাকে ডাক্তারদের বলে রাখতে হবে । ডেলিভারির সময় আপনাকে পানি মধ্যে বসিয়ে রাখা হবে যতক্ষণ না আপনার প্রসব হয় । এই সব কিছুই করা হয় প্রাকৃতিক ভাবে ব্যথা নিরসনের জন্য ।এদের ডাক্তাররা সব চেষ্টা করে স্বাভাবিক ভাবে একটা সন্তানের জন্ম দেবার জন্য ।

সন্তান জন্ম নেবার পর নাড়ি কাটার দায়িত্ব বাবার আর এরপর পরিষ্কার করা ছাড়াই আপনার সন্তানকে আপনি জড়িয়ে ধরে বসে থাকবেন । এটাকে বলে SKIN TOUCH . আমি জিজ্ঞেস করায় আমাকে বলেছিলো , এতে নাকি মায়ের প্রতি সন্তানের মায়া বাড়ে, আমার চোখে পানি এসেছিলো । পারবেন আপনি এই কাজটা করতে ।এরকম করলে হয়তো আজকে সমাজের এই অবস্থা হতো না ।

আপনি হয়তো ভাবছে আমি আদিম কোনো গল্প বলছি । এইটা বিংশ শতাব্দীর আধুনিক লন্ডনের হসপিটালের কথা । আমেরিকানরা আরো এক ডিগ্রী উপড়ে । আমার দ্বিতীয় সন্তান জন্মের সময় ডেলিভারি রুমে আমি ছাড়াও আমার প্রায় সব আত্মীয় স্বজনরা ছিল । ডাক্তার কিছুই বলেনি । সবার সামনেই ডেলিভারি হলো । কেও আমার বৌয়ের মাথায় সূরা পরে ফু দিচ্ছে , কেওবা মাথা টিপে দিচ্ছে , আমি হাত ধরে বসে আছি আর আমার স্ত্রী অসম্ভব যন্ত্রনায় চিৎকার করছে । এক সময় কি নিদারুন আনন্দে আমার মেয়ে ভুমিষ্ট হলো । এ যেন এক রূপকথা ।

সমাজ বদলের এতো আন্দোলন করি আমরা, ডেলিভারির সময় বাবাদের ডেলিভারি রুমে থাকার আন্দোলন করতে পারি না ? এতে যে সমাজ বদলাবে । যে বাবা জানে না, কি কষ্ট প্রসব বেদনায় , সে কিভাবে সম্মান দেখাবে তার স্ত্রীকে ? যে মা জন্মাবার পর সন্তানকে বুকে টেনে নেয় না , সেই মা কি করে আশা করে বড়ো হয়ে তার সন্তান তাকে বুকে টেনে নিবে ?

জীবনের শুরুতে এতো বড়ো গলদ রেখে জীবনের শেষে এসে যদি আপনি সন্তানের মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন , সন্তান আপনার মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারে । না জানা বোকামির পর্যায়ে পরে না , এটা ভুল । আর এই ভুলের মাশুল দিচ্ছি সবাই । আধুনিক হতে গিয়ে আমরা না জেনে ভুল পথের দিকে যাচ্ছি । ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন ।

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

জোনাইদ সাইম বলেছেন: অসাধারন...।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

ক্লে ডল বলেছেন: এহেন আন্দোলনে প্রতিটি ভবিষ্যৎ বাবাকে এগিয়ে আসতে হবে।

আপনি উৎকৃষ্ট বাবা আর দ্বায়িত্ববান স্বামী! শুভকামনা রইল!

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ লিখেছেন ভাই, আশা করি ভবিষ্যত বাবা মায়েরা এই পোস্ট থেকে অনপ্রেরণা পাবেন। :)

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

মানবী বলেছেন: আপনার স্ত্রী আর আপনাকে অভিনন্দন! সদ্যজাত শিশু আর মায়ের সুস্থতার প্রার্থনা রইলো।

পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে সহমত। আমাদের দেশে বাবাদের সন্তান জন্মের সময় লেবার রুম/ অপারেশন থিয়েটারে উপস্থিতির চর্চা জরুরী।

" তাহলে আপনি ভাবছেন, সন্তান প্রসব একটা অসুখ আর এই সময় এত আনন্দ কেন ?"
- আমাদের দেশে কবে, কোথায়, কখন প্রেগন্যান্ট মায়দের অসুস্থ মনে করা হয়েছে? দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর বাস্ত চিত্রটা জানলে আতংকিত হবেন এভেবে যে একজন গর্ভবতী মায়ের যে নুন্যতম বিশ্রাম বা যত্নের প্রয়োজন তা থেকেও তাঁরা বন্চিত!
আপনি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রে যেমন দেখেছেন গর্ভধারনের কিছুদিন পর থেকে সন্তান জন্ম পর্যন্ত চিকিৎসকের গাইডেন্সে চলতে হয়, আমাদের দেশেও তেমন নিয়ম। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে অধিকাংশ মায়েরা সেই গাইডেন্স থেকেও বন্চিত।

"লন্ডন বা নিউ ইয়র্কে আফ্রিকান কালো বাবারা এই ধরণের খবর পাওয়ার সাথে সাথে পালিয়ে যায় । ঘর সংসার ছেড়ে মোটামুটি বছর খানেকের জন্য পালিয়ে বেড়ায় আবার সন্তান জন্ম নেবার পর বাসায় ফেরত আসে । এদের স্ত্রীরা পালিয়ে যাবার এই বেপারটা খুব সহজে নেয় , কারণ জানে আবার ফিরে আসবে ।"

- এই তথ্যটা হাস্যকর নয়কি? কজন শিক্ষিত, সুপ্রতিষ্ঠিত কৃষ্ণাঙ্গ বাবা স্ত্রী সন্তান সম্ভাবা হলে পালিয়ে যেতে দেখেছেন? এটা জাতিগত নয়, বিশ্ব জুড়েই আর্থ সামাজিক ব্যাপার যা আমাদের দেশেও ঘটে থাকে। নিতান্ত নীচ মানসিকতার কিছু পুরুষ এমনটা করে, খুব বেশি দুরে নয় ঢাকা শহরের বুয়াদের মাঝে জরিপ করলেই এধরনের পালিয়ে যাওয়া বাবাদের সংম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়া যাবে।

"সাময়িক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে অপারেশন ডেলিভারি করিয়ে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু করে দেন আপনার স্ত্রীকে ।"
- গর্ভবতীর মায়ের শরীর আর গর্ভের শিশুর অবস্থান অনুকুল হলে অবশ্যই স্বাভাবিক ডেলিভারী সন্তান জন্মের জন্য সবচেয়ে ভালো ও রেকমেন্ডেড পদ্ধতি তবে সিজারিয়ান হলে একজন মা সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাবে কেনো? কিভাবে পঙ্গু হবে?

"আসলে প্রসব ব্যথা কমাবার কোনো চেষ্টাই করে না এদের ডাক্তাররা । প্রসব যন্ত্রণার এক মাত্র ওষুধ হাসব্যান্ডকে স্ত্রীর হাত ধরে বসে থাকতে হয় আর শান্তনা দিতে হয় । "

- অত্যন্ত ভুল তথ্য!
লেবার পেইনের সময় সন্তানের বাবা গর্ভবতী মায়ের হাত ধরে, মাথায় হাত বুলিয়ে, সুন্দর কথা বলে তাঁকে আশ্বস্ত করবে এটা সুন্দর এবং সঠিক তবে চিকিৎসকেরা প্রসব ব্যাথা কমানোর কোন চেষ্টাই করেনা এই তথ্য পুরোপুরি ভুল।
প্রথমত ব্রিদিং টেকনিকের মাধ্যমে প্রথম কন্ট্রাকশণ থেকে ব্যাথাটা আয়ত্ত্বে আনার বা সহ্য করার উপদেশটা মায়েদের বেশ আগে থেকে শিখিয়ে রাখা হয়। আর লেবার রুমে প্রবেশের পর ব্যাথানাশক ওষুধের ব্যবহারও কমন। "এপিডুরাল" শব্দটির সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সকল গর্ভাবতী মায়েরা আর তাঁদের স্বামী/পার্টনাররা পরিচিত।

পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে সহমত তা প্রথমেই বলেছি। বাবাদের লেবার রুম/অপারেশন থিয়েটারে উপস্থিত থেকে মায়েদের আশ্বস্ত করা জরুরী।
আমাদের দেশে পাশ্চাত্যের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত ও আধুনিক মনে করা হয়। তাই এই পোস্টের কারনে একজন গর্ভবতী মায়ের যেনো প্রন্যাটাল কেয়ার, মেডিক্যাল ইন্ডিকেশন থাকা সত্ত্বেও সিজারিয়ান না হওয়া বা লেবারের সময় ব্যাথানাশক থেকে বন্চিত হতে না হয় তাই আমার এই বিস্তারিত মন্তব্য।

ভালো থাকুন।

৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৪৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অনেক কিছুই জানলাম।
আসলেই বাবাদের থাকা উচিত স্ত্রীর হাত ধরে, দেখা উচিত সন্তান প্রসবের কষ্ট।
খুব ভালো লেগেছে পোস্ট।

৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

শরতের ছবি বলেছেন:


আগে ও কিছু টা এ ব্যাপারে শুনেছিলাম । এবারে জানলাম । ভাল লেগেছে । আগ্রহ ভরে পড়েছি ।প্রত্যেক পুরুষের এ ব্যাপারে অবহিত হওয়া উচিত ।

৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। পোস্টে +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.