নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asrafulalam

ব্যোমকেশ বাবু

ব্যোমকেশ বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাঁজা দিয়ে পান্তাভাত

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২৩



ভাবুন আপনার বাসায় ইলেক্ট্রিসিটি নেই , প্রচন্ড গরমে আপনি হাঁশফাঁশ করছেন । এই সময় আপনাকে যদি কেয় এসে বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে লেকচার দেয়, তা কি আপনি খুব ভালো ভাবে নিবেন ? বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আপনাকে যে পরিস্থিতিতে যেতে হবে তা কি আপনার আছে ? ভালো খারাপের সংঘা অত্যন্ত আপেক্ষিক একটা বেপার ? আপনি যা ভালো মনে করছেন , অনেকে তা মনে নাও করতে পারে । আপনি হয়তো বলতে পারেন , যা ভালো বা সত্য , তা সব সময় ভালো আর সত্য, অন্য কেও মানুক বা না মানুক । মোটের উপর বেশির ভাগ আমরা এরকমই ভাবি ।



নিউ ইয়র্কে গাজা মানে "গঞ্জিকা" সেবনে কোনো বাধা নিষেধ নেই । দোকানে অবাধে গাজা বা কোকেইন কিনতে পাওয়া যায় । সমানে লোকজন রাস্তায় - পাবলিক প্লেসে গাজা খায় আর আমার মতো নিরীহ মাঁনুষের, বাসে বা ট্রেনে সেই গাজার গন্ধ সহ্য করে চলতে হয় ।এখানেই অবাক হবার কিছু নেই, নকল গাজা বা কোকেইনে ভোরে গেছে নিউইয়র্ক শহর . সরকারি ভাবে বাসে- ট্রেনে, সাধারণ জনগণকে আসল গাজা বা কোকেইন সেবনের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়া হয় । হারবাল গাজা বা কোকেইন শরীরের জন্য ভালো, অনেকটা এই রকম । কি মনে হচ্ছে, গাঁজাখুরি কিছু লিখে ফেলেছি ? এই গাঁজাখুরি ভাবার জন্যই গাজার গল্পটা বললাম ।কারণ আপনি যেটাকে গাঁজাখুরি ভাবছেন , সেটা পৃথিবির এই প্রান্তে পান্তা ভাত , আর আপনার পান্তা ভাত এখানে অবাস্তব একটা মেনু ।

তাহলে মানতে বাধা নেই, সব সময় আপনি যা ভালো মনে করেন তা পৃথিবীর অন্য প্রান্তে ভালো নাও হতে পারে । মানুষে চাহিদা অনুযায়ী ভালো খারাপের নির্ধারণ হয় । ঠিক কি কারণে আপনি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কে ভালো মনে করছেন না , তা কি ঠিক করে বলতে পারবেন ?? মনে হয় না । পৃথিবীর এই প্রান্তের মানুষগুলোর কাছে এই মুহূর্তে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা সুন্দরবন নিয়ে যে আগ্রহ সেটা আসলে কেন, তা কি আপনি ওই প্রান্তে বসে বুজতে পারবেন ? বোজার কি কথা ? যেখানে আপনি গাজা আর পান্তা ভাতের মিল করতে পারবেন না, সেখানে কিভাবে আপনি এদের চাহিদা আর আপনার চাহিদা এক করছেন ?

টক্ শো গুলোতে দেখলাম পুরো ডাটাবেস নিয়ে বসে একদল বলছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশের জন্য হুমকি , আর একদল বলছে আমাদের এখন ইলেকট্রিসিটি দরকার হারিকেন না । আপনি কখনই গাজা আর পান্তাভাত এক সাথে মিলাতে পারবেন না । দুইটা দুই রকমের মেনু , দুই প্রান্তের । কোন পক্ষ না নিয়ে বলছি, লন্ডন আর নিউইয়র্কের পাওয়ার প্লান্ট গুলো কি দেখেছেন, দেখেছেন বায়ু দূষণ ? কিন্তু এই দেশগুলোতে পরিবেশ নিয়ে কথা বলার কেয় নেই । কারণ কি জানেন , পৃথিবীর এই প্রান্তে আন্দোলন একটা নিয়ম মাফিক ব্যায়াম। আপনার বয়েস যদি ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে হয় ,আপনার ড্রেস কোড, আচার আচরণ আন্দোলনের ধারা সবই একই রকম হবে । আপনি WORLD BANK , WTO , UN , এর অফিসার সামনে তাবু টাঙিয়ে আন্দোলন করবেন, এটাকে বলা হয় PANK লাইফ স্টাইল এর একটা অংশ । এদের প্রত্যেকের জীবনে এই বয়েসের এই ধরণের কিছু ছবি আপনি পাবেন এদের FB তে । আর বয়েস যদি ৪০ উর্ধে হয় , এই একই মানুষটি এই সবের মধ্যে আর থাকে না , হয়তো যে WORLD BANK বা UN অফিসের সামনে বসে একদিন আন্দোলন করছে , এখন সে সেই UN এতে জব করছে ।



আর অদ্ভুত ভাবে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে আপনি এদের এই লাইফ স্টাইলকে ভাবছেন সম্পূরূক চিন্তা । একবার কেন ভাবছেন না, আপনার কি প্রয়োজন ? গাজা বা পান্তা ভাত যাই আপনি চান নিজের মতো করে হালাল করে নিন । আপেক্ষিক এই বাস্তবতায় দূরের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের দিকে তাকান, সরকার এই মুহূর্তে আপনার জন্য গাজা , আর পান্তা ভাত দুটোই হালাল করে রেখেছে । আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি পছন্দ করে নেন , কিন্তু পৃথিবীর অন্য প্রান্তের কাওকে রেফারেন্স টানবেন না, কারণ আপনার কোনো আইডিয়া নেই, যাকে আপনি রেফারেন্স টানছেন, সে কতটুকু আপনার মতো । । ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দাদা সকাল সকাল সেবনটা মনে হয় একটু বেশিই হয়ে গেছে ;)


এতই যখন গাজা চেনেন- আপনার দেশে সুন্দরবনের পাশে করে তা এই দেশে বিক্রি করেন! না হয় পার ইউনিট ১ টাকা বেশি করেই দোব!!!!

আপনার কথাই আপনাক ফিরিয়ে দেই-
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি পছন্দ করে নেন , কিন্তু পৃথিবীর অন্য প্রান্তের কাওকে রেফারেন্স টানবেন না, কারণ আপনার কোনো আইডিয়া নেই, যাকে আপনি রেফারেন্স টানছেন, সে কতটুকু আপনার মতো । । ।

সো বেটার অয়েল ইউর অ্ওন মেশিন!

আমরা ভালই জানি আমাদরে কোনটা বেশি দরকার- রামপাল না সুন্দরবন!!

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রামপাল নিয়ে অকারন বিরোধিতার কোন মানে হয় না।
ভারত একটি বৃহৎ দেশ হিসেবে বনভুমির নিরাপদ দুরত্ত্ব ২৫ কিলোমিটার। তাইওয়ান হংকং মত ছোট দ্বীপরাষ্ট্রে কোন বার নেই, শহরের মাঝেই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র। বাংলাদেশের মত ছোট দেশের নিরাপদ দুরত্ত্ব ১৪ কিলোমিটার ঠিক আছে।
যদি গোঁ ধরেন "না। ভারতের স্ট্যান্ডার্ড ২৫ কিলো মানতে হবে" তাহলে আপনাদের দাবি মত মাত্র ১১ কিলোমিটার বনভুমি্র 'ঘাস পর্যন্ত' মরে যাবে। বাকি সুন্দরবন থাকবে। অতচ ওরা স্লোগান উঠাচ্ছে - "রামপাল না সুন্দরবন"!!
পৃথিবী শতশত বড় বিদ্যুতকেন্দ্র চলছে, একটা ঘাস বা গাছও মরে নাই। অতচ সবাই দাবি করছে রামপালের কারনে ১০০ কিলো দুরের কোষ্টাল ম্যানগ্রোভ পর্যন্ত বিলুপ্ত হবে।
তাহলেতো এটা তেতুলিয়া সিমান্তে সরিয়ে নিলেও সুন্দরবনের রেহাই নাই!

২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ৯ বছরে কোন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়নি, সাইফুররহমানের বাজেট বক্তৃতাগুলো খুটিয়ে দেখুন কোন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিকল্পনা বা বরাদ্দ নেই, বরাদ্দ সুধু তার আর খাম্বায়। ২০০৭-৮ এ তত্তাবধায়কদেরও কোন নতুন বিদ্যুৎ পরিকল্পনা নেই, করে নি।
কেন দেশটিকে বিদ্যুতে ১০ বছর পিছিয়ে দেয়া হল? জবাব আছে?
এরা ফালতু অযুহাতে ইন্টারনেট সংযোগ প্রত্যাখ্যান করে দেশটিকে ১৫ বছর পিছিয়ে দিয়েছিল।

বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর বর্তমান ক্যাপাসিটি ১০ হাজার মেগাওয়াট থেকে ৩০-৪০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নিত করতে একুশ শতকের মধ্যে শক্ত অবকাঠামোর মাধ্যমে দেশকে উঠিয়ে আনতে। খালেদার এইসব দরকার নেই, তার কথা - যা আছে এতেই চলবে!

আমার ৩ বছর আগের এই লেখাটি পড়ুন - রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সুন্দরবন ধ্বংশ হবে না

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ৥ হাসান কালবৈশাখী ভাই

অন্ধ হলেই কি প্রলয় বন্ধ হয়????

সাইফুর আর তারেক খাম্বায় চুরি করছে! চেতনার দল আওয়ামীলীগ কি করছে দিন দুপুরে ডাকাতি! তাও আবার চক্কিুর্ও দেয়া যাবেনা! টিভি মিডিয়ার গলা টিপে ধরে!

তার মাঝেও যা বেরিয়ে আসে ভয়াবহ!


দরপত্র ছাড়া জ্বালানি তেল ক্রয়
সাড়ে তিন বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকা গচ্চা
প্রতি ইউনিটের দাম গড়ে ৭ টাকা করে বেশি * জ্বালানি তেল আমদানি নিয়েও লুটপাট * বর্তমানে টেন্ডারে প্রতি ইউনিটের দাম প্রস্তাব ৮.২০ পয়সা

সরকার দরপত্র ছাড়াই বিদ্যুৎ কিনে গত সাড়ে তিন বছরে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ১৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গড়ে ১৪ লাখ ২৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনা হয়। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য সাত টাকা করে বেশি দাম দেয়ায় বিশাল অংকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি আরও কিছু বেসরকারি কোম্পানির কাছ থেকে দরপত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কিনতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের এ হিসাব ধরা পড়ে।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আমি টেন্ডার ছাড়া বিদ্যুৎ কেনার বিপক্ষে। কারণ এ ধরনের কার্যক্রম পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলসের পরিপন্থী। তিনি বলেন, সরকার একটি যুক্তি দেখাতে পারে, টেন্ডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেনা হলে সময় লাগত। আর দ্রুত বিদ্যুৎ পৌঁছানোর কারণেই টেন্ডার ছাড়া দেয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারের এই যুক্তি খুব বেশি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ এর ফলে দেশের বিশাল অংকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, একবার ফিলিপাইনে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। তবে দেশটির ওই উদ্যোগ ছিল বড় পাওয়ার প্লান্টের ক্ষেত্রে। কিন্তু টেন্ডার ছাড়া বিশ্বের কোথাও কুইক রেন্টালের কাজ দেয়া হয়েছে, বলে আমার জানা নেই। তিনি আরও বলেন, আগে টেন্ডার ছাড়া যাদের কাজ দেয়া হয়েছিল, তাদের ব্যাপারে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
জানা গেছে, ২০১০ সালে ১৩টি কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের অনুমোদন দেয়া হয়। এদের কাছ থেকে বিনাটেন্ডারে গড়ে ১২ টাকা থেকে ১৮ টাকা ৭৫ পয়সা দামে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১২ সালের শেষ দিক থেকে চলতি বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত হিসাবে দেখা গেছে, এই দামে কেন্দ্রগুলো থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮শ’ থেকে ১৩শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেয়া হয়। সে হিসাবে গত সাড়ে ৩ বছরে গড়ে প্রায় ১৪ লাখ ২৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনা হয়। (১ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ১ ঘণ্টা ব্যবহার হলে তা ১ ইউনিট হিসাবে ধরা হয়।) এর প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য সরকারকে সাত টাকা করে বেশি দিতে হয়েছে। টাকার হিসাবে অতিরিক্ত ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। বর্তমানে টেন্ডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেনার সিদ্ধান্ত হওয়ায়

আর কত মরার গীত গাইেবন?? িনেজেদর অন্যায়েকো অন্যায় বলা শিখুন! তবেই না দেশেপ্রম খাঁটি হবে! বিবেক সুস্থ থাকবে।

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



বেশি কইরা খান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.