নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asrafulalam

ব্যোমকেশ বাবু

ব্যোমকেশ বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

UBER রহস্য উন্মোচন

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩



ব্যবসা শুরুর পরের দিনই কোন প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ হতে হলো বাংলাদেশে । তাও আবার দুনিয়া কাঁপানো ৬০ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি UBER । মনে কি কিছু প্রশ্ন জাগছে না আপনার ? ৬০ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি এতো অবুজের মতো একটা কাজ করতে পারে ? মনে হয় না । আসল কাহিনী শুনলে হয়তো আপনি আরো অবাক হতে পারেন ।

অনেক চেষ্টা করেও বাংলাদেশে UBER এর কোনো অফিস খুজে পেলাম না গুগল বা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনে । হতাশ হয়ে যা খুজে পেলাম তা রীতিমতো আপনাকে চমকে দিবে । আসলে UBER এর বাংলাদেশে কোন অফিস নেই । সবচেয়ে কাছের UBER অফিসটি হচ্ছে ইন্ডিয়ার কলকাতায় । অমিত জৈন যিনি UBER এর দক্ষিণ এশিয়া প্রেসিডেন্ট উনিই মোটামুটি পৃথিবীর এই অংশের দেখাশুনা করেন । কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশে UBER কিভাবে আসলো তাও আবার বি আর টি এর নিয়ম কানুন না মেনে ? উত্তর হচ্ছে এক্ষেত্রে UBER এর তেমন কোন ভূমিকা ছিল না ।





আব্দুল্লাহ ওয়াসিফ , সাপোর্ট কনসালটেন্ট UBER বাংলাদেশ ,মাশীদ রহমান , কান্ট্রি এন্ড পলিসি এডভাইসর UBER বাংলাদেশ ,কাজী জুলকারনাইন , সিনিয়র ম্যানেজার UBER বাংলাদেশ । নাম আর পদবী গুলো দেখে হয়তো ভাবছেন UBER মহা প্রস্তুতি নিয়ে বাংলাদেশ অপারেশন শুরু করেছিল ।আমারও তাই মনে হচ্ছিলো প্রথমে । কিন্তু এদের সবার linkedin প্রোফাইল ঘেটে দেখলাম এরা সবাই নিতান্তই ছেলেমানুষ আর ইন্টারনেট - ওয়েবসাইট এইসব নিয়ে উঠতি বয়েস এর ছেলেদের যেমন ফ্যান্টাসি থাকে এদেরও অনেকটা তেমন । তাহলে UBER কি শেষমেশ ছেলে মানুষী করলো ? ঠিক এই মুহূর্তে UBER এর সাইটে বাংলাদেশ এর জন্য জেনারেল ম্যানেজার এর চাকুরী বিজ্ঞপ্তি আছে ।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ঢাকাতে UBER এর অফিস কোথায় সেটাই এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না ।

ভেরিফিকেশন লিংক

ধরলাম বাচ্চা ছেলে গুলো একটা ওয়েবসাইটে বানালো আর UBER এর সাথে যোগাযোগ করে UBER কে কোনো না কোনো ভাবে বাংলাদেশে ব্যাবসার জন্য রাজি করলো । UBER কি কোনো কিছু এনালাইসিস না করে কিছু ছেলে পেলের কোথায় বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে দিলো ?UBER এর দিক থেকে কিন্তু UBER ঠিক আছে । কারণ UBER একটা সফটওয়্যার কোম্পানি যা আপনাকে ট্যাক্সি সার্ভিস এর অনলাইন সল্যুশন গুলো দিয়ে থাকে । এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু সফটওয়্যার বা অনলাইন বা মোবাইল APPS এর মাধ্যমে এদের সার্ভিসটুকু দিয়ে থাকে আর কাস্টমার সাপোর্ট অনেকটা ভার্চুয়াল । এদের হেড অফিস আমেরিকার সান ফ্রান্সিস্কো শহরে আর এই মুহূর্তে আমেরিকাতে UBER এর নামে ৭০ টি মামলা কোর্টে বিচারাধীন আছে । ধরে নিলাম এতো পাকা একটা কোম্পানি কখনো ঢাকায় এসে বি আর টি এর জল খাবার কথা নয় । তাহলে এর পেছনের কোম্পানিটা কি ?

লিংক ১

২২শে নভেম্বর ২০১৬ তে গ্রামীনফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইয়াসির আজমান , অমিত জৈন , প্রেসিডেন্ট UBER দক্ষিণ এশিয়া, আর আমাদের মাননীয় ICT মন্ত্রী এক সাথে UBER এর এর অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট সহ প্রেস রিলিজ প্রদান করেন ।এর মানে আপনি ধরে নিতে পারেন , গ্রামীনফোন , মাননীয় মন্ত্রী , UBER দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধান আর UBER হেড অফিস এরা সবাই এই পুরো ব্যাপারটা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে তারপর প্রেস রিলিজ প্রদান করেন । তাহলে ভুলটা করলো কে । আসুন দেখি ভুলটা কে করলো ।

UBER তার স্টেটমেন্টে ঠিক এইভাবে লিখেছে ওরা "The world's largest on-demand mobility platform will be available in Dhaka (from today) to offer safe, reliable and affordable rides at the push of a button while opening up flexible, economic opportunities for driver-partners."

এই স্টেটমেন্টের উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে শেষের দুটো শব্দ । ড্রাইভার পার্টনার ।

অর্থাৎ বাংলাদেশে UBER এর একটা ড্রাইভার পার্টনার আছে যারা UBER এর কাছ থেকে অনলাইন এবং সফটওয়্যার সাপোর্ট কিনেছে । এক্ষেত্রে আসলে UBAR পৃথিবীর সবখানে যা করে থাকে বাংলাদেশেও তা করেছে । আর গ্রামীনফোনের অংশটা হচ্ছে যেহেতু একটা মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে এই APPS ব্যবহার করতে হবে তাই গ্রামীনফোন নিজেদের বিক্রি বা ব্যবসা বারাবার কথা চিন্তা করে তাদের প্রধান বিক্রয় বাবস্থাপককে পাঠান UBER এর এই অনুষ্ঠানে ।

একটু ভালো করে চিন্তা করে দেখুন , UBER ৬০ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি যা পৃথিবীর ৭৫ তা দেশে প্রায় ৭০০ শহরে এর কার্যক্রম পরিচালনা করে । এবং অবস্যই টেলিনর বা গ্রামীনফোন থেকে অনেক গুন বেশি শক্তিশালী আমেরিকান ব্র্যান্ড । নিদেন পক্ষে গ্রামীনফোনের সি ই ও এর তো ওই দিন সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল । তবে আমাদের আই সি টি মন্ত্রী মহোদয় কেন ওই দিন উপস্থিত ছিলেন আমি জানি না । সরকারের কোন স্বার্থ ছিল এই খানে সম্ভবত উনি ভালো জানবেন ।

তাহলে মূল কথা হলো অনেকটা এই রকম , বাংলাদেশে এমন একটি ট্যাক্সি ড্রাইভার প্রতিষ্ঠান আছে যেটা UBER এর ড্রাইভার পার্টনার হিসেবে কাজ করছে । প্রশ্ন হচ্ছে কি নাম এই কোম্পানির । আমার ধারণা উপরের নামজাদা বাচ্চা ছেলে গুলুকে একটু ছেঁকে দেখলে আপনিও এর উত্তর পেয়ে যাবেন । আর প্রশাসন কি করবেন উনারা ভালো জানেন ।



এটা কি কোন অপরাধের পর্যায়ে পরে ? বলতে পারেন অনেকটা । কারণ UBER এর সাইটে আপনি যখন রেজিস্ট্রেশন করতে যাবেন তখন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর লাগবে । আর এই অনলাইন ইন্টিগ্রেটেড ভেরিফিকেশন শুধু মাত্র সম্ভব নির্বাচন কমিশন থেকে যদি এই ধরনরে ভেরিফিকেশন এর অনুমতি নিয়ে থাকে । এবং অবশ্যই UBER এর এই অনুমতি আছে । তা না হলে UBER এর সাইটে আমার দেশের জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন ভেরিফিকেশন কিভাবে হয় ? এই প্রশ্নের উত্তর খুব সম্ভবত মাননীয় মন্ত্রী দিতে পারবেন । কারণ এই অংশটি একান্তই সরকারি ব্যাপার সেপার ।

দেশের প্রায় সব কোটি ব্যাংক UBER এর টাকা পয়সার লেনদেন করে থাকে । কিভাবে করে বা কার একাউন্টে টাকা যায় এটা মুহূর্তের মধ্যে জানার কথা ব্যাংক গুলোর । যদি UBER এর নিজস্ব কোন কর্পোরেট একাউন্ট না থাকে তাহলে UBER এর সাইটে আমাদের দেশের প্রায় সবকটি ব্যাংকের নাম লিস্ট করা । এটা কি ভাববার বিষয় নয় ?

অনেকে হয়তো UBER নিষিদ্ধের বিপক্ষে কারণ তাদের মতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে গেলে এই রকম একটু আধটু জামেলা হবেই । তাদের জন্য কিছু কথা ।




নিউ ইয়র্কে UBER ট্যাক্সি চালাতে হলে ৫০০০ ডলার খরচ করে টি এল সি বা ট্যাক্সি লাইসেন্স নিতে হয় সবাইকে । আর প্রত্যেক UBER ট্যাক্সিকে একটা UBER ব্র্যান্ড এর লোগো গাড়িতে আটকিয়ে রাখতে হয় সবসময় । আমাদের দেশের বি আর টি এ যখন এই দুটি কারণে UBER কে নিষিদ্ধ করে আপনারা খেপে যান । আপনি জানেন না বলে হয়তো খেপছেন । যে ফোন বা ল্যাপটপে বি আর টি এ বা সরকারের বিরুদ্ধে লিখছেন তাই দিয়ে অন্তত একবা গুগল এ সার্চ করে দেখুন । আপনি নিজেও বলবেন বি আর টি এ অনেক ভালো আর দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।

UBER এর এই ঘটনাটি আমাদের দেশের জন্য একটা সংকেত । কারণ ডিজিটাল প্লাটফর্মে গড়ে উঠা স্টার্টআপ বা ব্যবসা গুলোকে মনিটর করা প্রয়োজন । সামান্য একটা ওয়েবসাইট দিয়ে ব্যাংক ট্রানসাকশান , জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে শুরু করে সব কিছুর নাগাল পাওয়া যায় । নিরাপত্তা বা গোপনীয়তা এই দুটো সত্তা কিভাবে রক্ষা হবে তাই নিয়ে সবার ভাবা উচিত । ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে এ দেশে এরকম উল্টাপাল্টা কাজ শুরু হয়েছে।

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

আশ্রাফ বাংলা বলেছেন: মডুরা ব্যাখ্যা দেবেন কি? পোস্ট দেবার অধিকার নেই, তাই কমেন্টেই দিলাম।

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২১

জিয়াউল ইসলাম মামুন বলেছেন: পোষ্ট করেছি কিন্তু স্থান মিলে নাই। এখনও স্ট্যাটাসে আসে নাই!! কেবল মন্তব্য করা যায়।

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ বিস্তারিত তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্টের জণ্য।


হচ্ছেটা কি দেশে! অনুমতি ছাড়া এরকম ঘোষনাইবা দেয় কি করে?

প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রনকি কেবলই পুলিশ দিয়ে বিরোধী দল লাটিপেটাতেই আটকে গেছে!!!!????

অনেকগুলো বার্নিং কোশ্চেন উঠে এসেছে। কে জবাব দেবে???

৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: সবই মালের কারবার। তবে মালের পরিমানটা কম অয়া গেসে তাই বিটিরা ক্ষেপসে!

৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ওবায়দুল কাদের আবার চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন। অপব্যবহার না হলেই হয়...

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:০৩

অজ্ঞাত নামা বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.